মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি।
রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ।
বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।
আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের
পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।
আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা
[tw]
[/tw]
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।