Tag: IAF

IAF

  • India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আকাশসীমা লঙ্ঘনের ‘অবাঞ্ছিত ঘটনা’ এড়াতে নতুন করে আলোচনা শুরু করল ভারত এবং চিন। সেনা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের চুশুল-মোলদো সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত আগেকার চুক্তি ও প্রোটোকল মেনে চলা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) ১০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’দেশের আকাশযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে দুই দেশই আপাতত  সম্মত হয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর।

    বছর পাঁচেক আগে কাজাখস্তানে সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপলক্ষ ছিল, উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চিনা সেনার হেলিকপ্টারের ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা অনুপ্রবেশ এবং গালওয়ানের সংঘাতের পরে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নজরে এসেছে চিনা ড্রোন এমনকি, বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা। তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও। জুনের চতুর্থ সপ্তাহে শেষ বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা আকাশযানের উপস্থিতি নজরে এসেছে ভারতীয় সেনার।
     
     
    কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও LAC বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন। এবার পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় ফাইটার জেট মোতায়েন করছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Airforce)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছে ভারত। তাতেই টনক নড়েছে চিনের।
  • S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে চিন সীমান্ত বরাবর এস-৪০০ (S-400) ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন বসাতে চলেছে ভারত (India)। এই বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম লাদাখ (Ladakh) সেক্টরে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) আলাদা মনোবল জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) মাঝেমধ্যেই নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে চিন, এই মিশাইল বসানো হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে ধারণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। চিনের বাড়বাড়ন্তও অনেকটা রোখা যাবে বলে অনুমান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুশ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু চিনকে আটকাতে এই মিসাইল সিস্টেমটি কেনার ব্যাপারে ভারতকে আলাদা করে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। মার্কিন ক্যাটসা আইন (CAATSA) অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে ভারতকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও লম্বা পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুদ্ধ চালাতে  ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) -এর বিকল্প নেই। চিনের সঙ্গে সীমান্তে প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে রয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ভারত। লাদাখ (Ladakh) ও অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) নিশানায় রেখে আগেভাগেই চিন অধিকৃত তিব্বতে দুটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে বেজিং। এ বার ভারতের পালা। রাশিয়া থেকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন ভারতে আসছে। খরচ পড়ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেও বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। 

  • Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান ভারতের (India) হাতে তুলে দিয়েছে ফ্রান্স (France)। এমনটাই জানালেন ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল লেন্যাঁ (Emmanuel Lenain)। 

    যদিও বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রের মতে, এর মধ্যে ভারতে এসেছে ৩৫টি। বাকি একটি রাফাল বর্তমানে ফ্রান্সেই রয়েছে। তার ওপর ভারতের দাবি মতো ১৩টি বাড়তি প্রযুক্তিগত উন্নতি সংযোগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই যে বিমানটি এখনও ফ্রান্সে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আদতে সেটিই ছিল ফ্রান্সের তরফে হস্তান্তর করা প্রথম রাফাল বিমান— যার কোডনেম দেওয়া হয়েছে ‘আরবি০০৮’ (RB-008)। 

    ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়ার (Air Chief Marshal RKS Bhadauria) সম্মানে এটির এমন নামাঙ্কন করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে রাফাল কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে দরাদরি ও চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন বায়ুসেনা উপ-প্রধান ভাদৌরিয়া। তার জন্যই তাঁকে এভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ ব্যাচে তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আসে। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, ফ্রান্সে থাকা শেষ রাফালে ‘ইন্ডিয়া স্পেসিফিক এনহ্যান্সমেন্ট’-গুলোর পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন ভারতে থাকা বাকি ৩৫টি যুদ্ধবিমানে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্য এক সূত্রের দাবি, ভারতের রাফালে যে ১৩টি নতুন প্রযুক্তিগত আধুনীকিকরণ যুক্ত করা হয়েছে, তা ফ্রান্সের ব্যবহৃত রাফালেও নেই। এই প্রযুক্তিগুলো শুধুমাত্র ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত রাফালগুলোর জন্যই নির্ধারিত। 

    ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি দাসো রাফাল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান (Dassault Rafale Multirole Fighter Aircraft) সরাসরি একেবারে তৈরি অবস্থায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) জানিয়েছিলেন, বায়ুসেনার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টার-গভার্নমেন্টাল এগ্রিমেন্টের (Inter-Govermental Agreement) মাধ্যমে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

  • Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। 

    রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ। 

    বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের

    পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।

    আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

    [tw]


    [/tw]

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।    
     

     

  • Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) নিয়ে কালক্ষেপ করতে চাইছে না সরকার (government)। আগামী ২৪ জুন থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী। শুক্রবার, তিনি জানান, এই প্রকল্প দেশের যুবসমাজকে আরও বেশি করে দেশসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। নূন্যতম দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    সেনা প্রধান জেনারেল (Army Chief) মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এদিন ঘোষণা করেছেন, দিন-দুয়েকের মধ্যে সেনার ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই প্রক্রিয়ার বিশদ তথ্য দেওয়া থাকবে সেখানে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রথম দফার নিয়োগ সেরে ফেলতে চান। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অগ্নিবীরেরা সেনাবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথে চার বছরের চুক্তির চাকরিতে প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

    গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনা প্রধানের মতে, ভারতীয় সেনায় এত বড় সংস্কার এর আগে কখনও হয়নি। চার বছরের চুক্তির চাকরি শেষে ৭৫ শতাংশকে সেনা থেকে অবসর দেওয়া হবে। পাকা চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন বাকি ২৫ শতাংশ। প্রথম বছর ৪৬ হাজার পদে লোক নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

  • Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অগ্নিপথে দেশের তরুণরা। সেনার (Army) তিন বিভাগে চাকরি নিয়ে মঙ্গলবার “অগ্নিপথ প্রকল্পের” ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister)। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণরা দেশের সেনাবাহিনীতে সাময়িকভাবে ” অগ্নিবীর” (Agniveer) হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগে মিলবে আকর্ষণীয় বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্যই হল বেতন, পেনশন বিল কমানো এবং অস্ত্রের জরুরি সংগ্রহের জন্য তহবিল খালি করা। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু হলে সেনাদের প্রথম চার বছরের পেনশনের ভার বহন করতে হবে না কেন্দ্রকে। তার ফলে প্রচুর ৫.২ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।

    [tw]


    [/tw]

    চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে থাকবেন যাঁরা ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন সৈনিকরা। তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কাটা হবে তাতে সরকারও সমান অবদান রাখবে। এর ফলে সৈন্যরা চার বছরের চাকরির পরে তাদের অবসর গ্রহণের সময় এককালীন ১০ লাখ টাকা পাবে। যদিও চাকরি ছাড়ার পর তাঁরা আর পেনশন যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।  

    দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এবার পরিকল্পনাটি সামরিক বিষয়ক বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এবার থেকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ চলবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের ব্যায়ও কিছুটা কমবে। আর্থিক সাশ্রয়ের জন‌্যই জওয়ান ও অফিসার নিয়োগে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভাবনা কেন্দ্রের। 

    এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধানেরা। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানান, এই প্রকল্পের ফলে সেনাবাহিনীতে তরুণ এবং অভিজ্ঞ সেনাদের যথোপযুক্ত সংমিশ্রণ ঘটবে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, বিমানবাহিনীতে আধুনিক-প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে তরুণ সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নেবে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, মহিলারাও এই প্রকল্পে সমান সুবিধা পাবেন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। প্রশিক্ষণের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করবে ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Agnipath Scheme: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    Agnipath Scheme: ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার অর্ধেক হবে অগ্নিবীর! দাবি সেনা উপপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় ১২ লক্ষ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মধ্যে ৫০ শতাংশই হবে ‘অগ্নিবীর‘ (Agniveer)। বুধবার এমন দাবি করলেন ভারতীয় সেনা (Indian Army) উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (Lt General) বাগগাভল্লি সোমশেখর রাজু (BS Raju)।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চলতি বছরে ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। তাঁদের জন্য ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) আওতায় সেনার নিয়ন্ত্রণে তৈরি হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি বাহিনী। এ প্রসঙ্গে বিএস রাজু এদিন বলেন, “শীঘ্রই এই পদ্ধতিতে সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলতি বছর ৪০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে।

    ছয়-সাত বছরের মধ্যে এর সংখ্যা দাঁড়াবে এক লক্ষ ২০ হাজার। দশ-এগারো বছরের মধ্যে সংখ্যাটা হবে এক লক্ষ ৬০ হাজার।” অফিসার পদে নিয়োগ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে বলে জানান সেনা উপপ্রধান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ হতে থাকলে ২০৩০-৩২ সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীররাই ৫০ শতাংশ স্থান দখল করবেন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী-২এর সফল উৎক্ষেপণ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) দাবি, অগ্নিপথ প্রকল্প সশস্ত্র বাহিনীতে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের ভারসাম্য আনবে। শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনায় অগ্নিবীর হওয়ার সুযোগ পাবেন। নৌসেনা (Navy) ও বায়ুসেনায় (IAF) চলতি বছর তিন হাজার করে অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। প্রথম বছরে সেনার তিন বিভাগে অগ্নিবীরের সংখ্যা হবে ৪৬ হাজার এর পরের বছর তা বেড়ে হবে ৪৬ হাজার ৫০০। দ্বিতীয় বছর বায়ুসেনায় অতিরিক্ত ৫০০ জন নিয়োগ করা হবে। তৃতীয় বছর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৫২,৪০০। সেনায় (Army) অগ্নিবীরের সংখ্যা হবে ৪৫ হাজার, নৌবাহিনীতে তিন হাজার এবং বায়ুসেনায় চার হাজার ৪০০।

    গত দুবছর সেনায় নিয়োগ হয়নি। তাই চতুর্থ বছরের সেনায় প্রায় ৫০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে বলে জানান বিএস রাজু। সূত্রের খবর,নতুন বাহিনীর উর্দি হবে ভারতীয় সেনার ধাঁচেই। তবে থাকবে চিহ্নিতকরণের জন্য পৃথক ব্যাজ ও রঙের ‘ইনসিগনিয়া’। তবে এ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বর্তমানে ভারতীয় সেনার গড় বয়স ৩২। অগ্নিবীর নিয়োগ শুরুর ৬-৭ বছরের মধ্যে তা ২৪ থেকে ২৬-এ নেমে আসবে বলে জানান রাজু। এই ‘নতুন রক্তে’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Forces) যুদ্ধ-ক্ষমতা বাড়বে বলে বিশ্বাস সেনা উপপ্রধানের। সেনাবাহিনী হবে আধুনিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর।

  • MRFA: ১১৪ যুদ্ধবিমান কেনার পথে বায়ুসেনা, ৯৬টি তৈরি হবে ভারতেই

    MRFA: ১১৪ যুদ্ধবিমান কেনার পথে বায়ুসেনা, ৯৬টি তৈরি হবে ভারতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রকল্পকে আরও জোরগদার করার পথে ভারত।  দেশের আকাশসীমাকে নিশ্ছিদ্র করা ও ভারতের শক্তিবৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ১১৪টি বিদেশি যুদ্ধবিমান কেনার পথে ভারতীয় বায়ুসেনা

    ‘বায় গ্লোবাল অ্যান্ড মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Buy Global and Make in India)-র আওতায় কেনা হবে এই মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (MRFA) যার মধ্যে ৯৬টিই তৈরি হবে দেশে। অর্থাৎ, মূল বিদেশি  নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি এদেশে তৈরি করবে এখানকার সংস্থা। এই মর্মে সম্প্রতি বিদেশি বিমান নির্মাতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বায়ুসেনা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পটি কে কীভাবে পরিচালনা করতে চায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ১১৪টি বিমানের মধ্যে প্রথম দফায় ১৮টি সরাসরি বিদেশি নির্মাতার থেকে আমদানি করা হবে। বাকি ৯৬টি তৈরি হবে ভারতেই প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। এই ৯৬টির মধ্যে আবার দ্বিতীয় দফায় ৩৬টি বিমানের জন্য ভারতীয় এবং বিদেশি মুদ্রা যৌথভাবে খরচ করা হবে। তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৬০টি বিমানের জন্য খরচ মেটানো হবে শুধুমাত্র ভারতীয় মুদ্রায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) ভাবনা প্রসূত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

    বিদেশি সংস্থাগুলি ভারতে বা ভারতের সংলগ্ন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে যে পণ্য বিক্রি করে, তা ভারতের মাটিতে, ভারতীয় শ্রমিকদের সাহায্য নিয়ে এবং ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বানানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে উৎসাহ জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের বরাত সেই ক্ষেত্রে বড় সুযোগ করে দেবে বলে অনুমান। খুব শীঘ্রই ভারতীয় বায়ুসেনার ডাকা টেন্ডারে অংশ নিতে চলেছে বোয়িং, লকহিড মার্টিন, সাব, মিগ, ইরকুট, দাসোর মত বিদেশি যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

  • VVIP chopper scam: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে বায়ুসেনার চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব আদালতের

    VVIP chopper scam: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে বায়ুসেনার চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে (VVIP chopper scam) বায়ুসেনার (Indian Air Force) চার প্রাক্তন অফিসারকে তলব করল দিল্লির বিশেষ আদালত।  ৩,৬০০ কোটি টাকার অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড (Agusta Westland) চপার দুর্নীতিতে সিবিআই (CBI) তাদের চার্জশিটে ওই চারজনের নাম দিয়েছিল।

    প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব তথা প্রাক্তন সিএজি শশীকান্ত শর্মার সঙ্গেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রাক্তন এয়ার ভাইস মার্সাল জসবীর সিং পানেসর ও তিনজন বায়ুসেনা অফিসারের। এই তিন অফিসার হলেন, ডেপুটি চিফ পাইলট এসএ কুন্তে, উইং কমান্ডার থমাস ম্যাথু এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এন সন্তোষ।

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    শশীকান্ত তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে যুগ্মসচিব ছিলেন যখন ১২টি হেলিকপ্টার কেনা হয়। এই চুক্তিতে নানান অসঙ্গতি নিয়ে ইউপিএ আমলে তুলকালাম হয়। কিন্তু কেরিয়ারে দ্রুত উন্নতি করেন শশীকান্ত। এরপর ২০১১-২০১৩-র মধ্য়ে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব। তারপর ২০১৭ অবধি সিএজি-র দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই সময়ই তার নাম জড়ায় এই দুর্নীতির সঙ্গে। শশীকান্তকে এপ্রিল মাসেই তলব করেছিল আদালত। সে সময় এই চারজনকে ডাকা হয়নি। এবার এই চারজনকে তলব করা হল। তাঁদেরকে আগামী ৩০ জুলাই আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড বা ভিভিআইপি চপার চুক্তি হিসেবে পরিচিত এই দুর্নীতির বিষয়টি ২০১৩ সালে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে। কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (UPA-II) সরকারের  বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। সংসদীয় কমিটির তদন্তে দাবি করা হয়, ২০০৬-০৭ সাল নাগাদ প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এই মডেলের ১২টি হেলিকপ্টার কিনতে একাধিক দালাল এবং ভারতের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, একাধিক প্রথম সারির কংগ্রেস নেতার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ও যোগশাজস রয়েছে এই চুক্তির ক্ষেত্রে। একাধিকবার সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) থেকে শুরু করে এম ভিরাপ্পা মইলি (M Veerappa Moily), অস্কার ফার্নান্ডেজের (Oscar Fernandes) মতো নেতার নাম জড়িয়েছে। 

     

  • MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়মের-কাণ্ডের জেরে মিগ-২১ (single-engine MiG-21) পুরোপুরি বাতিল করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকরাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখন রয়েছে ভারতের কাছে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি স্কোয়াড্রনে কম-বেশি ১৬টি বিমান থাকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে একটি, শ্রীনগরের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনের (Srinagar 51 squadron) বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে পাঠানো হবে অন্য স্কোয়াড্রনের মিগ যুদ্ধবিমান এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলিকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই অবসরের সঙ্গে গত ২৮ জুলাই বাড়মেরে মিগ দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। নতুন ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এবার মিগ ২১কে বিদায় নিতে হবে। এটাই ভারতের দীর্ঘদিনের ফাইটার প্লেন। এর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এগুলিকে এবার বিদায় নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে? 

    ১৯৬৩ সালে এয়ার ফোর্স প্রথম সিঙ্গল ইঞ্জিন মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান হাতে পেয়েছিল। গত ছয় দশক জুড়ে এই বিমান ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, গত তিন দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১। দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ভারতীয় বায়ু সেনা মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমান। কয়েক বছর আগেই মিগ২১-কে অবসরে পাঠিয়ে পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনাকে তেজস যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০১৯ সালের একটি আলোচনাসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া মিগ-২১-এর অবসর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার বায়ুসেনার দাবি মেনে মিগ-২১কে বিদায় জানাতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, প্রাক্তন অ্য়াসিস্ট্যান্ট চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত সুনীল নানোদকার জানিয়েছেন, আকাশপথে পাহারার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফাইটার প্লেনও প্রয়োজন। তাই দ্রুত বিকল্প যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করতে হবে।

LinkedIn
Share