Tag: ICC

ICC

  • ICC New Rule: পাওয়ারপ্লে নিয়ে নয়া নিয়ম! টি-২০ থেকে টেস্ট, ক্রিকেটে একগুচ্ছ বিধি চালু আইসিসি-র

    ICC New Rule: পাওয়ারপ্লে নিয়ে নয়া নিয়ম! টি-২০ থেকে টেস্ট, ক্রিকেটে একগুচ্ছ বিধি চালু আইসিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে আইসিসি (ICC New Rule)। ২২ গজে স্বচ্ছতা রাখতে, ক্রিকেটের মাঠে দুই প্রতিপক্ষকে সমান সুবিধা দিতে সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। আইসিসি ঘোষণা করেছে টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের নতুন খেলার নিয়ম, যেখানে বৃষ্টির কারণে খেলা সংক্ষিপ্ত হলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে পাওয়ারপ্লে ওভারের সংখ্যা।  জুলাই মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর লক্ষ্য হল খেলার দৈর্ঘ্য যাই হোক না কেন, ফিল্ডিং বিধিনিষেধে একধরনের মানসম্পন্নতা ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা।

    সংক্ষিপ্ত ইনিংসে পাওয়ারপ্লে কত হবে?

    আইসিসির (ICC New Rule) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চার্ট অনুযায়ী, ৮ ওভারের ইনিংসে পাওয়ারপ্লে হবে ২.২ ওভার, যেখানে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে সর্বোচ্চ ২ জন ফিল্ডার থাকতে পারবে। পূর্বে সংক্ষিপ্ত ম্যাচে প্রায়শই রাউন্ড ফিগারে পাওয়ারপ্লে নির্ধারণ করা হতো, যেমন ৮ ওভারের খেলায় ৩ ওভারের পাওয়ারপ্লে দেওয়া হতো।

    ৫ ওভার: ১.৩ ওভার

    ৬ ওভার: ১.৫ ওভার

    ৭ ওভার: ২.১ ওভার

    ৮ ওভার: ২.২ ওভার

    ৯ ওভার: ২.৪ ওভার

    ১০ ওভার: ৩.০ ওভার

    ১১ ওভার: ৩.২ ওভার

    ১২ ওভার: ৩.৪ ওভার

    ১৩ ওভার: ৩.৫ ওভার

    ১৪ ওভার: ৪.১ ওভার

    ১৫ ওভার: ৪.৩ ওভার

    ১৬ ওভার: ৪.৫ ওভার

    টেস্টে কী কী নতুন নিয়ম

    স্টপ ক্লক চালু: স্লো ওভার রেট রুখতে টেস্ট ক্রিকেটেও এবার স্টপ ক্লক চালু করা হয়েছে। প্রতি ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে ফিল্ডিং দলকে। মাঠে ইলেকট্রনিক ক্লক থাকবে যা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত গণনা করবে। ফিল্ডিং দলকে দু’টি ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে ব্যাটিং দল পাবে ৫ পেনাল্টি রান। এই ওয়ার্নিং ৮০ ওভারের পর থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে।

    শর্ট রানের ক্ষেত্রে বদল:  অবৈধ শর্ট রানের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি ব্যাটার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রিজে ব্যাট না ছুঁইয়ে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে যান, তাহলে ব্যাটিং টিমের ৫ রান কেটে নেওয়া হবে। নট আউট ব্যাটারকে ব্যাটিং প্রান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফিল্ডিং দল নির্ধারণ করবে পরবর্তী বলে কোন ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকবে।

    লালার ব্যবহারেও নতুন ব্যাখ্যা: বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে আগের মতোই। তবে এখন থেকে বলের উপর লালার প্রয়োগ হলে বল পরিবর্তন বাধ্যতামূলক নয়। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বল পাল্টানোর উদ্দেশ্যে এমন করলে সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ডিআরএস-এ দু’দিক থেকে রিভিউ হলে: যদি একই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটার ও অন-ফিল্ড আম্পায়ার দু’জনেই রিভিউ চায়, তবে আগে যে রিভিউ এসেছে, তা আগে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ ক্যাচ আউট চ্যালেঞ্জ করলে যদি রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগেছে, তাহলে পরবর্তীভাবে এলবিডব্লিউ রিভিউ হবে এবং ‘আউট’ সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। বল ট্র্যাকিংয়ে যদি ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখায়, তাহলে ব্যাটারকে আউট বলে ধরা হবে।

    নো-বলে ক্যাচ: নো-বলে ক্যাচ নেওয়া হলে এখন থেকে ভিডিও আম্পায়ার দেখবেন ক্যাচটি সঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। যদি ক্যাচ ঠিকঠাক ধরা হয়ে থাকে, তবে ব্যাটিং দল পাবে নো-বলের জন্য একটি অতিরিক্ত রান। যদি ক্যাচ পরিষ্কার না হয়, তবে ব্যাটাররা যত রান নেন তা দেওয়া হবে।

  • Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাতে চলেছে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ (Boundary Catch Rule) ধরার নিয়ম। এখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে যে ভাবে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ক্রিকেটারেরা ছয় বাঁচান বা ক্যাচ ধরেন, আগামী দিনে তা আর করা যাবে না। এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে ফিল্ডারদের। ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)। আগামী মাস থেকেই বাউন্ডারি লাইনের ধারে চোখ ধাঁধানো ‘বানি হপ’ ক্যাচ ধরার নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

    ‘বানি-হপ’ ক্যাচ কী?

    অনেক সময়েই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে বলটিকে মাঠের ভিতরে এনে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডাররা। এই ধরনের ক্যাচকে বলা হয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ। এই ক্যাচের নিয়মেই পরিবর্তন আনতে চলেছে এমসিসি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ ধরা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে প্রথম বার লাফিয়ে ভাল ভাবে বল ধরতে পারেননি ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল ধরে মাঠের ভিতরে পাঠান তিনি। তার পর ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। সেই বিতর্কের পর নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়।

    নতুন নিয়ম

    নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে একাধিক বার স্পর্শ করা যাবে না বল। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে শূন্যে (লাফিয়ে) থাকলে এক বার বল ছুঁতে পারবেন। তার পর ক্যাচ ধরতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতর ঢুকে। অনেক সময় চার বা ছয় বাঁচানোর জন্য ফিল্ডারেরা লাফিয়ে বল মাঠের মধ্যে (বাউন্ডারি লাইনের ভিতর) পাঠিয়ে দেন। নতুন নিয়মে বল ‘ডেড’ না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ডারকে থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গেলে, চার বা ছয় দেওয়া হবে। পরিবর্তন আনা হচ্ছে রিলে নিয়মেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’জন ফিল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ধরা হয়, যা পরিচিত রিলে ক্যাচ নামে। অনেক সময়েই একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বলটি ঠেলে দেন ভিতর। অন্য একজন সেই ক্যাচ ধরেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দু’জনকেই থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে। তা না হলে, বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গণ্য করা হবে।

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হবে নতুন নিয়ম। আগামী জুলাই থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। আগামী বছরের অক্টোবরে এমসিসির ক্রিকেট ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে নিয়মটি।

  • MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    MS Dhoni: আইসিসির হল অফ ফেমে জায়গা করে নিলেন ধোনি, তালিকায় আর কোন কোন ভারতীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC Hall of Fame)। ধোনি হলেন একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন। ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে অন্যতম মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-২০ বিশ্বকাপ, একদিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-সবই জিতেছেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যেই আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পেলেন ক্যাপ্টেন কুল। ধোনির সঙ্গেই আইসিসি-র ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন ম্যাথু হেডেন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, হাশিম আমলা, গ্রেম স্মিথ, সানা মির এবং সারা টেলর।

    অসাধারণ অনুভূতি, বললেন মাহি

    ২০০৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির (MS Dhoni)। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। এর পর টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সফল ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। ভারতকে দু’বার এশিয়া কাপ জিতিয়েছেন। এক দিনের ফরম্যাটে দু’বার আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের হয়ে ৩৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি। ৯০টি টেস্টে করেছেন ৪৮৭৬ রান। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে ধোনি বলেছেন, “হল অফ ফেমে সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত। গোটা বিশ্বে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারেরা যে অবদান রাখে, তার স্বীকৃতি জানানো হয় এই সম্মানের মাধ্যমে। সর্বকালের সেরাদের পাশে নিজের নাম দেখতে পাওয়া অসাধারণ অনুভূতি। সারাজীবন এই সম্মান মনে রাখব।”

    হল অফ ফেমে যে ভারতীয়রা (ICC Hall of Fame)

    সুনীল গাভাসকর: আইসিসির হল অফ ফেমে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন।

    বিষেণ সিং বেদী: গাভাসকরের সঙ্গেই ২০০৯ সালে হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার ৬৭টি টেস্ট খেলে ২৬৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

    কপিল দেব: প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবকে ২০১০ সালে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।

    অনিল কুম্বলে: এক ইনিংসে ১০ উইকেট। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ। কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলেকে ২০১৫ সালে আইসিসি হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    রাহুল দ্রাবিড়: ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়কে ২০১৮ সালে হল অফ ফেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।

    সচিন তেণ্ডুলকর: ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেণ্ডুলকরকে ২০১৯ সালে হল অফ ফেম সম্মান দেয় আইসিসি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০ টেস্ট খেলা, ১০০ সেঞ্চুরি হাঁকানো-হাজারো রেকর্ডের মালিক শচীন।

    বিনু মানকড়: ভারতের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে জ্বলজ্বল করে বিনু মানকড়ের নাম। দেশের হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন, ২১০৯ রান এবং ১৬২টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

    বীরেন্দ্র শেহওয়াগ: ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। ১৪ বছরের কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তারকা ওপেনার। সবচেয়ে বেশিবার ট্রিপল সেঞ্চুরির নজিরও রয়েছে তাঁর দখলে।

    ডায়ানা এডুলজি: ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ডায়ানা এডুলজি। তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছেন, তার মধ্যে দু’বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম কিংবদন্তি হিসেবে ডায়ানাকে মনে করে ক্রীড়ামহল।

    নীতু ডেভিড: দেশের হয়ে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় স্পিনার নীতু ডেভিড। ১৮২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। চার বছর মহিলা দলের নির্বাচক প্রধানও ছিলেন।

  • Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) একবারই জায়গা পেয়েছিল ক্রিকেট। ১৯০০ সালে। প্যারিস অলিম্পিক্সে খেলা হয়েছিল ক্রিকেট। তার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১২৮ বছর। ফের একবার অলিম্পিক গেমসের আসরে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে ‘জেন্টলম্যান্স গেম’। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আসরে দেখা যাবে ক্রিকেটকে। বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ছ’টি দেশ অংশগ্রহণ করবে ক্রিকেটে (Cricket)। জানা যায়, ১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে ছিল ক্রিকেট। সেবছর মাত্র একটি ম্যাচই খেলা হয়েছিল। অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছিল আইসিসি। অবশেষে তা সফল হল।

    ছটি দল খেলবে ক্রিকেট, কীভাবে যোগ্যতা অর্জন?

    প্রসঙ্গত, ছ’টি দল অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং মহিলা, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই এই সংখ্যা একই থাকছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য। আইসিসির অধীনে এই মুহূর্তে ১২টি দেশ পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পায়। আরও ৯৪টি দেশ সহযোগী সদস্য হিসেবে অংশ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে যোগ্যতা অর্জন কী ভাবে হবে তা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সারা বছর ধরেই চলে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই আবহে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইসিসি ব়্যাঙ্কিংকেই যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। অনেকের মতে, এক্ষেত্রে আয়োজক হিসেবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আমেরিকা।

    কমছে ফুটবলের দেশের সংখ্যা

    ক্রিকেট (Cricket) যেমন ১২৮ বছর ফিরছে একইসঙ্গে ফুটবলে দেশের সংখ্যা কমছে বলেও জানিয়েছে অলিম্পিক্স (Olympics 2028) কর্তৃপক্ষ। পুরুষদের ফুটবলে এত দিন পর্যন্ত ১৬টি দেশ খেলত। তবে বর্তমান তা কমে হচ্ছে ১২। অন্যদিকে মহিলাদের ফুটবলে দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ১৬টি দেশ এ বার থেকে অংশ নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে, এবছরের অলিম্পিক্সে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • PCB: ৮৬৯ কোটি খরচ করে লোকসান ৮৫ শতাংশ! বাবরদের ব্যর্থতায় ভাঁড়ার শূন্য পাক ক্রিকেট বোর্ডের

    PCB: ৮৬৯ কোটি খরচ করে লোকসান ৮৫ শতাংশ! বাবরদের ব্যর্থতায় ভাঁড়ার শূন্য পাক ক্রিকেট বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পাক ক্রিকেট (PCB)। ২৯ বছর পর দেশের মাটিতে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। সেখানে লাভের বদলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে মহসিন নকভিদের। তার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ভাঁড়ার খালি হওয়ায় কমেছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি।

    কেন লোকসানের মুখে পাক ক্রিকেট

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সকলের আগে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান (PCB)। মাত্র চার দিনেই তাদের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশে খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। ফলে পাকিস্তানের দর্শক এই প্রতিযোগিতা থেকে আগ্রহ হারিয়েছে। পরের ম্যাচগুলিতে মাঠ ফাঁকা ছিল। টিকিটের চাহিদা কমেছে। তার ফলে মুখ ফিরিয়েছে স্পনসররা। সব মিলিয়ে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, দেশের তিনটি জায়গায় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসানোর জেরে ইতিমধ্যে প্রায় ৭৩৭ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যার জেরে কোপ পড়েছে ক্রিকেটারদের বিলাস-ব্যাসনে। বাবর আজমরা বিদেশ সফরে গেলে আগে বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে থাকতেন। এবার থেকে ছাপোষা হোটেলেই দিন কাটাতে হবে।

    কমল পাক ক্রিকেটাদরদের ম্যাচ ফি

    এর প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে (PCB)। আসন্ন জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় আগে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা ৪০ হাজার টাকা করে পেতেন। সেটা কমে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ঘরোয়া লাল বলের প্রতিযোগিতাতেও আগে ম্যাচপিছু ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। এ বার থেকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা।

    ৭৩৭ কোটি টাকা লোকসান

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্টেডিয়াম ঠিকঠাক করার পর টুর্নামেন্ট আয়োজন বাবদ পিসিবিকে কয়েক প্রস্থ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫২০ কোটি টাকা। এছাড়, প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিতে খরচ হয়েছে আরও প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। এতকিছুর পর আয়োজন ফি বাবদ পিসিবি-র হাতে আসে ৫২ কোটি টাকা। মোট খরচের তুলনায় যা নামমাত্র। আর দিনের শেষে লাভ-ক্ষতির যোগ-বিয়োগের পর পাক ক্রিকেট বোর্ডের ভাঁড়ার থেকে কিছু আসার বদলে বেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৭৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ শতাংশ।

  • Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর মিছিলে হয়েছিল হামলা। এবার হামলা হল ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) জয় উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলেও। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর, তৃণমূল শাসিত বাংলায়। আর এবারের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। ফেরা যাক খবরে।

    মিছিল লক্ষ্য করে পাথর (Islamists Attack)

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ী হয় ভারত। সেই উপলক্ষে সোমবার মহোওয় একটি মিছিল করেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট লাভার্সরাও। অভিযোগ, মিছিল যখন জামা মসজিদ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Islamists Attack)। এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ায় অল্পবিস্তর জখম হন কয়েকজন। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা। দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলেই পালিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন।

    ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

    তার পরেই হামলাকারীরা একতরফা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে থাকে। মিছিলে হামলাকারীরা কয়েকটি যানবাহন এবং হিন্দুদের দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মসজিদের কাছে থাকা লোকজনের হঠাৎ হামলায় হকচকিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন। পরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাঁরা। কিন্তু বস্তুত মুসলমানদের আক্রমণের সামনে সেই প্রতিরোধ ভেসে যায় খড়কুটোর মতো। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান ক্রীড়াপ্রেমীরা। রে রে করে তাঁদের পেছনে ছুটে যায় হামলাকারীরা। পরে তারা অন্তত দুটি গাড়ি এবং দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। গাড়ি এবং দোকানগুলি হিন্দুদের।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহোওর এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “র‍্যালিটি (Islamists Attack) শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল যখন জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন একদল ইসলামপন্থী পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। ফলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মানুষ তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।”

    বিশাল পুলিশ বাহিনী

    খবর পেয়ে দ্রুত ইন্দোর গ্রামীণ ও ইন্দোর শহর থেকে নিয়ে গিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে দেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়। মহোও একটি সেনানিবাস শহর। সেখানে সেনা ইউনিটগুলিও সতর্ক ছিল। যদিও অল্পক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই আর অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হয়নি। প্রসঙ্গত, ইন্দোর জেলা সদর থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহোও শহর। সোমবার সকালে এখানেই ঘটে হিংসার ঘটনা। দুবাইয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয় উপলক্ষে একদল তরুণ ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেই উপলক্ষে প্রথমে হয় মিছিল। সেই মিছিলেই হামলা চালায় মসজিদ এলাকার লোকজন।

    কী বলছেন এসপি

    এ প্রসঙ্গে ইন্দোর গ্রামীণ সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SP) হিতিকা বাসল বলেন, “দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা (Islamists Attack) সৃষ্টি হয়। যার ফলে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। র‍্যালির সময় আতশবাজি সংক্রান্ত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি যেন কোনও ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করেন তাঁরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এলাকায় টহল দিচ্ছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে (Champions Trophy)। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    ইন্দোর জেলার কালেক্টর আশিস সিং বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” মানুষকে শান্ত থাকার ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমি নাগরিকদের ধৈর্য ধরতে ও ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। যারা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি, গ্রামাঞ্চল) নিমিশ আগরওয়াল বলেন, “ঘটনার সঠিক ক্রম এবং দোষীদের (Islamists Attack) চিহ্নিত করার জন্য প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনের সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। আমাদের তদন্ত নিশ্চিত করবে যে হিংসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত চারজন জখম হয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য (Champions Trophy) প্রকাশ পাবে।”

  • ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    ICC Champions Trophy: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে হিংসা! কেন দুবাইয়ের মঞ্চে নেই আয়োজক পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফাইনালে একজনও প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে ভারত শিরোপা জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিসিসিআই-এর সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) পরিচালক রজার টোয়েস মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও আয়োজক দেশ হিসেবে অনুপস্থিত ছিল পাকিস্তান। বিতর্কের মুখে আইসিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি রবিবার দুবাইয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’’

    প্রশ্ন প্রাক্তন পাক তারকারই

    এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব আখতার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় শোয়েব বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। ভারতকে অভিনন্দন। যোগ্য দল হিসেবেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু আমি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ ছিল না ফাইনাল ম্যাচে। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কেউ কোনও ট্রফি দিতে এল না? কেন কেউ এখানে উপস্থিত নেই? এটা নিয়ে ভাবা উচিত। এটা একটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এখানে আসা উচিত ছিল পাক বোর্ডের প্রতিনিধিদের।” অন্য আরও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। সেখানে তিনি বলেন, “টুর্নামেন্টের সেরা দল ভারত। বরুণ অসাধারণ বল করেছে। বিরাটের কামব্যাক ঘটেছে। রোহিত আজ দারুণ খেলল। তাঁরা দেখিয়ে দিল কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। ভারতকে অভিনন্দন। ওরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।”

    পিসিবির ক্ষোভ

    যদিও জানা গিয়েছে, ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পিসিবির সিইও সুমাইর আহমেদ। তিনি প্রতিযোগিতার ডিরেক্টরও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সুমাইরই ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি। তবু তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইসিসির পক্ষে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা নাকি সুমাইরের উপস্থিতির কথা জানতেন না। আইসিসির এক কর্তা জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের অভাবের ফলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আইসিসির ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট পিসিবি।

    সমালোচনার মুখে পাকিস্তান

    ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তান যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রত্যেকটা ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে আয়োজক দেশ পাকিস্তান হলেও ফাইনাল ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা হল বলে অনুপস্থিত পাকিস্তান। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেটা পরিকাঠামো হোক বা ম্যাচ আয়োজন। কিন্তু তা বলে ফাইনালে পাকিস্তান বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না? যতই হোক, তারাই তো আয়োজক। সেটা কি ভারতের সাফল্যে ‘রাগ’ করে?

  • ICC Champions Trophy: ভারতের জয়ে ক্ষতির মুখে পিসিবি! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে

    ICC Champions Trophy: ভারতের জয়ে ক্ষতির মুখে পিসিবি! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালও পাকিস্তানের বাইরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আয়োজক দেশ হয়েও ফাইনাল আয়োজন করতে পারল না পাকিস্তান। পাক দল আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরে বাইরে চলে গেছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও দেশের বাইরে চলে গেল। তাও ভারতের সৌজন্যে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে খেলা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপত্তির জেরে পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকার করে বিসিসিআই। ঠিক হয়, ভারত তাদের গ্রুপ ও নকআউট, এমনকী ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও দুবাইয়ে খেলবে। সেই মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হবে দুবাইয়ে।

    গদ্দাফি নয় দুবাইতেই ফাইনাল

    ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এই টুর্নামেন্টের প্রতিটা ম্যাচই তারা খেলবে দুবাইতে। ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে না উঠলে ম্যাচগুলি হতো পাকিস্তানেই। কিন্তু সেটা হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারত ফাইনাল খেলবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল ফাইনাল খেলতে উড়ে যাবে দুবাই। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এক অর্থে পাকিস্তানেরও ছুটি করেন রোহিতরা। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বইতে শুরু করে মিমের প্লাবন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা

    ভারত হারলে ফাইনাল (ICC Champions Trophy) আয়োজিত হতো লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সে ক্ষেত্রে টিকিট বিক্রি এবং বিজ্ঞাপন থেকে আরও বেশি উপার্জন করতে পারত পিসিবি। তা হলো না শেষ পর্যন্ত। সেমিফাইনাল আয়োজন করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। একজন তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘গদ্দাফি স্টেডিয়াম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিল’। সুমিত কাড়েল নামে অন্য একজনের সরস টিপ্পনি—‘ভারতের হাতে দুবাই থেকে ছুটি হল আয়োজক দল পাকিস্তানের। তিনটি ম্যাচ পাকিস্তানের সেরা তিনটি স্টেডিয়ামে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল। একটি সেমিফাইনাল পাকিস্তানের বাইরে খেলা হল। এখন ফাইনালও আয়োজিত হবে দুবাইয়ে। এর চেয়ে চরম অসম্মান ও আর্থিক লোকসান আর কিছুই হতে পারে না। আয়োজক হয়েও পাকিস্তান আয়োজক নয়।’

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের বাইরে

    আরেকজন নেটিজেন মজার ছলে লেখেন—‘তাহলে এটা চূড়ান্ত—২৩ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে। ৪ মার্চ: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের বাইরে।’ রাহুলের ছক্কা মারার ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই শট বলে দিচ্ছে কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।’ বাবর-রিজওয়ানদের সমালোচনার পর এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও কটূক্তি। একজন সমর্থক লেখেন, ‘৩০ বছর পর একটা আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তার ফাইনালও দেশের বাইরে হবে। মহসিন নকভির অযোগ্যতার প্রমাণ।’

    সমস্যায় পাকিস্তান ক্রিকেট

    ২৯ বছর পরে আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু শুরুতেই বিদায় নিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে পাক বোর্ডের সামনে তিন বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক) স্পনসরের সমস্যা। দুই) ভবিষ্যতে আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার সমস্যা। তিন) পাকিস্তান ক্রিকেটের খোলনলচে বদলে ফেলার দাবি।

    আগ্রহ হারাচ্ছে স্পনসররা

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) হাত ধরে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের তিনটি মাঠ সংস্কারে ১৮০ কোটি টাকা খরচ করেছে তারা। প্রতিটি দলের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। বিদেশি সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার দিকে নজর রাখা হয়েছে। কিন্তু আসল বিষয় হল ক্রিকেটে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করা। যে ভাবে পাকিস্তানে একের পর এক আইসিসি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হচ্ছে, তাতে এই আগ্রহ ক্রমশ কমছে। বড় প্রতিযোগিতাগুলিতে টানা ব্যর্থতায় হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও। পিসিবি কর্তারা স্পনসর হারানোর আশঙ্কা করছেন।

    আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনে ভাবতে হবে

    ১৯৯৬ সালের পর থেকে পাকিস্তানে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা হয়নি। তার একটি কারণ সেখানকার নিরাপত্তা। এ বার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কিন্তু আইসিসি চায়, যে দেশে প্রতিযোগিতা হবে সেই দেশে গ্যালারি ভর্তি থাকুক। দর্শকদের উৎসাহ থাকুক। আয়োজক দেশ যদি ভাল খেলতে না পারে, তা হলে উৎসাহ কমবে। পাকিস্তানের দর্শকেরা যে ভাবে ক্রিকেটে আগ্রহ হারাচ্ছেন, তাতে ভবিষ্যতে এই দেশকে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার আগে অনেক ভাবতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে।

    পিসিবিকে গোল দিল বিসিসিআই

    চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) শুরুর দিন সাতেকের মধ্যেই পাকিস্তান দল প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছে। আট দল নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতার প্রথম চার দলের মধ্যেও ঠাই হয়নি আয়োজক দেশের। যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় নিঃসন্দেহে। এই আবহেই এবার আরও বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। সেমিফাইনালে ভারতের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে শুধুমাত্র বিদায় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া, ছিটকে গিয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামও। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্জের মধ্যে ম্যাচই পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ম্যাচ। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে ট্রোল করে ভারতীয় ফ্যানরা।‌ মাঠ এবং মাঠের বাইরে পাকিস্তানকে একরাশ লজ্জা উপহার দিল ভারত। মাঠে রিজওয়ান-বাবরদের হেলায় হারাল রোহিত-বিরাটরা আর মাঠের বাইরেও পিসিবিকে গোল দিল বিসিসিআই।

  • ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    ICC Champions Trophy: জাদু জাদরানের! আফগান ঝড়ে চ‍্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) থেকে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৮ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল আফগানিস্তান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের (Ibrahim Zadran) রেকর্ড ইনিংসে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করলেন জাদরান। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বাধিক। সেঞ্চুরি করে ভারতীয় সংস্কৃতিকেও সম্মান জানালেন আফগান ক্রিকেটার ইব্রাহিম জাদরান। শতরানের পর ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে দুই হাত এক করে নমস্কারের ভঙ্গিতে উৎসবে ভাসেন। জাদরানের এই ছবি সোশাল সাইটে ভাইরাল।

    আফগানদের দাপট

    এক দিনের বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy) হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড। আফগানদের এই জয়ের গায়ে ‘অঘটন’ তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বার বার অঘটন হয় না। সাদা বলের বড় প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের ধারাবাহিক সাফল্য ক্রিকেট বিশ্বকে আর চমকে দেয় না। পুলকিত করে। বুধবার লাহোরের বাইশ গজে ম্যাচের শুরুটা ভাল হয়নি আফগানিস্তানের। ৩৭ রানের মধ্যে তিন উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। গুরবাজ (৬), সেদিকুল্লা অটল (৪) এবং রহমত শাহ (৪) অল্প রান করে আউট হয়ে যান। সেখান থেকে ইনিংস গড়ার কাজটা করেন জাদরান এবং অধিনায়ক শাহিদি। তাঁরা ১০৩ রানের জুটি গড়েন। প্রথমে ব্যাট করে হশমতুল্লা শাহিদির দল ৭ উইকেটে ৩২৫ রান করে। ইব্রাহিম জাদরানের নজির গড়া ১৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে জস বাটলারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আফগানরা। জবাবে ইংল্যান্ড করল ৪৯.৫ ওভারে ৩১৭। ৮ রানে হারায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তৃতীয় দল হিসাবে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। কাজে এল না জো রুটের ১২০ রানের লড়াকু ইনিংস।

    সচিন ভক্ত জাদরান

    গত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। এশিয়া থেকে নতুন শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে তারা। লড়াকু মনোভাব, হার-না-মানা লড়াই এবং ক্রিকেটবিশ্বের ‘দৈত্য’ দেশগুলিকে হারিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে একের পর এক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ইব্রাহিম জাদরান। ইংল্যান্ডের তারকা বোলারদের পিটিয়ে যিনি বুধবার ১৭৭ রান করেছেন। ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো ৮৭ রান এখনও সমর্থকদের মুখে মুখে ঘোরে। বিশ্বকাপের আসরেই জাদরানের সঙ্গ কথাহয় তাঁর স্বপ্নের ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের। আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে আলাদা করে জাদরানে কিছু পরামর্শ দেন সচিন। তার পরেই সেই ম্যাচে শতরান করেন আফগান তারকা। ১৪৩ বলে ১২৯ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচের পর জাদরান বলেছিলেন, “সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম। নিজের ক্রিকেটজীবনের কথা শুনিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে দলের সবাইকে বলেছিলাম, আজ সচিনের মতো ব্যাট করব। সেটাই করেছি।” এদিনও ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে ইব্রাহিম বলেন, “আত্মবিশ্বাস ও শৃঙ্খলার কারণে এই রান করেছি। আমি খেলার আগে কোচদের অনেক পরামর্শ নিই। রাশিদ খানের সাথে কথা বলি। রাশিদ অনেক পরামর্শ দেন। নেটে অতিরিক্ত সময় কাটাই। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মাথায় শুধু একটাই ভাবনা, দলকে জেতাতে হবে। তাছাড়া কিছুই ভাবিনি। প্রথমে ৪০ রান পর্যন্ত টার্গেট করেছিলাম। তারপর থেকে ৫০, ৬০, ৭০ এই ভাবে এগোতে থাকি। তাতেই সাফল্য এসেছে।”

  • Lahore: লাহোরের মাঠে বাজল জনগণমন অধিনায়ক জয় হে! দর্শকদের চিৎকারে বন্ধ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত

    Lahore: লাহোরের মাঠে বাজল জনগণমন অধিনায়ক জয় হে! দর্শকদের চিৎকারে বন্ধ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ছিল লাহোরে (Lahore) অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দু’দলের ক্রিকেটারেরা সেই মতো মাঠে হাজির হয়ে যান। প্রথমে বাজে ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা অপেক্ষা করতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীতের জন্য। তখনই চমক। হঠাৎ করে বাজতে থাকরে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। তা শুনেই চিৎকার শুরু হয়ে যায় লাহোরের মাঠে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। পরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত চালানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। তবে লাহোরের মাঠে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজার ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সমাদমাধ্যমে। অন্য দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

    উঠছে প্রশ্ন (Lahore)

    এই ঘটনার পর অনেকে প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে, প্রথমত, ভারত তো পাকিস্তানে কোনও ম্যাচই খেলবে না। তাই সেখানকার কোনও মাঠেই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত থাকার কথা নয়। তা হলে কীভাবে তা বাজল। এর পিছনে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই বিষয়ে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এটাই নতুন বা প্রথম নয়। এর আগে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল পাকিস্তানের স্টেডিয়ামে (Lahore)। গত সপ্তাহের সোমবারই সেই মতো একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে দেখা যায়, লাহোর, করাচির স্টেডিয়ামে বাকি দেশগুলির পতাকা থাকলেও সেখানে নেই ভারতের কোনও পতাকা নেই। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

    বিতর্কের পরে মাঠে আসে ভারতের পতাকা

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আটটি দেশ খেলে। সেই মতো পাকিস্তানের তিনটি মাঠেই আটটি দেশের পতাকা থাকার কথা। ২০২৩ সালে ভারতে যখন এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখনও এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের (Lahore) মাঠে। বিতর্কের পর অবশ্য করাচির স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা দেখা যায়। পাকিস্তানের এক ইউটিউবার সমাজমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের পতাকার পাশেই রয়েছে ভারতের পতাকা।

LinkedIn
Share