Tag: ICC

ICC

  • Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পরই টেস্ট ক্রিকেটে বড়সড় এক বদলের পরিকল্পনা করছেন জয় শাহ (ICC Chairman Jay Shah)। টেস্ট ক্রিকেটে টু-টিয়ার সিস্টেম বা দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছেন আইসিসির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা মিলে এই নীল নকশা তৈরি করছেন। যার নেতৃত্বে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আইপিএল ও টি-টোয়েন্টির যুগে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের টেস্ট ক্রিকেট। আধুনিক ক্রিকেটের ঘরানায় ধরে খেলা, উইকেটে থেকে খেলা দর্শক মনে জায়গা করে নিতে পারছে না। দুমদাম শট দেখতেই মাঠে ভিড় জমাচ্ছে দর্শক। সম্প্রতি এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) রেকর্ড দর্শকসংখ্যার পরে সেই ধারণা ভেঙে গিয়েছে। ভালো খেলা হলে দর্শক মাঠে আসতে বাধ্য তা প্রমাণ করেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। রোহিত-বিরাট-যশস্বী-পন্থদের সঙ্গে কামিন্স-স্টার্কদের দ্বৈরথ দেখতে প্রতিদিন মাঠে এসেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বুমরা-স্মিথ-হেড-সিরাজ বা জাদেজা-কনস্টাসদের খেলা নজর কেড়েছে সকলের। তাই টেস্ট ক্রিকট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইসিসি। অ্যাশেজ সিরিজের বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় মাঠে এত ভিড় আর কোনও সিরিজে হয়নি। সদ্যসমাপ্ত বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে মোট দর্শকসংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৯। শুধু ১৯৩৬-৩৭, ২০১৭-১৮ ও ১৯৪৬-৪৭ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বেশি দর্শক স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছিলেন।

    কীভাবে হবে শ্রেণিবিন্যাস

    টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো শ্রেণিতে ভাঙার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বায়ার্ড, ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো আলাদা আলাদা ডিভিশনে ভাঙার জন্য। টেস্ট ক্রিকেটকে টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ তে ভাঙা হবে। বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড— এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে চার বছরে দু’বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। টেস্ট খেলিয়ে তিনটে প্রথম সারির দলের ক্ষেত্রে যেটা অনেক কম বলে মনে করে আইসিসি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিসি যেই পরিকল্পনা করেছে তাতে এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে তিন বছরে দু’বার করে টেস্ট খেলবে।

    কোন বিভাগে কারা

    আইসিসি যেই প্রস্তাব দিয়েছে তাতে প্রথম ডিভিশনে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এই গ্রুপ বিন্যাসের অর্থ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ম্যাচ খেলবে। তিন মহাশক্তিধর টেস্ট খেলিয়ে দেশ নিজেদের মধ্যে বেশি করে খেললে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে খবর আইসিসির অন্দরে। তাই তিন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসি একটা চুক্তি করতে চাইছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বৈঠক করবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে।

    বিতর্কে নতুন ফরম্যাট

    তবে প্রস্তাবিত এই ফর্ম্যাট নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই দ্বিস্তরীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনায় অবনমন প্রথা থাকবে বলে খবর নেই। সেক্ষেত্রে ওপরের পর্বে যাওয়ারও সুযোগ থাকবে না দ্বিতীয় গ্রেডে থাকা দলগুলির। কী করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ঐতিহ্যশালী দলকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়, স্যর গ্যারি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডস, পেস বোলিংয়ের পঞ্চপাণ্ডব, ব্রায়ান লারার দেশকে গ্রেড টুয়ে রাখা আসলে উপেক্ষা করা কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

    এই ভাবনা নতুন নয়

    তবে, এই প্রথম নয়, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ ভাগ করার কথা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন সব ক্রিকেট বোর্ড তা খারিজ করে দেয়, তালিকায় ছিল বিসিসিআইও। সেই সময় ভারতের যুক্তি ছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হলে ছোট দলগুলো পিছিয়ে যাবে এবং টেস্টে এগোতে পারবে না। কিন্তু ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের যা ছবি ছিল সেটা এখন বদলেছে। এখন সমর্থকরা নির্দিষ্ট কিছু দলের ম্যাচ দেখতে টেস্টে ভিড় করেন। তাই আইসিসি চাইছে পুরোনো প্রস্তাব ফিরিয়ে আনতে ও সেটাকে বাস্তবায়িত করতে। 

    কবে থেকে নতুন ফরম্যাট

    নতুন ফরম্যাট চালু হলে সবটাই হবে ২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর। এখন আইসিসির টেস্ট সাইকেল চলছে। সেই সাইকেল অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত টেস্ট সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই হিসেবে যদি টেস্টকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে সূচিতে বদল আনতে হবে। মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে চলা টেস্ট সাইকেল শেষ হলে তারপর নতুন নিয়ম চালু করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! ভারতের দাবি না মানলে কত ক্ষতি হত আইসিসির? 

    ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! ভারতের দাবি না মানলে কত ক্ষতি হত আইসিসির? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। সরকারি ঘোষণা না করা হলেও আইসিসি সূত্রে খবর, সব বোর্ডের কর্তারাই হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। যে কারণে পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে। ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইতে খেলবে। ইতিমধ্যেই, ভারত না খেললে আইসিসির কতটা ক্ষতি হবে তা দেখিয়ে দিয়েছে সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার ইন্ডিয়া। এই প্রতিযোগিতা থেকে মোট আয়ের ৯০ শতাংশ ভারতের বাজার থেকে পাবে তারা। ফলে ভারতকে (India vs Pakistan) ছাড়া যে কোনও ভাবেই প্রতিযোগিতা সম্ভব নয় তা পরিষ্কার জানিয়েছিল আইসিসি। ফলে শেষ পর্যন্ত ভারতের কথা মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    কোন নিয়মে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

    আগামী বছর ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) হওয়ার কথা। পাকিস্তানে (India vs Pakistan) প্রতিযোগিতা না হলে নাম তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তারা নিজেদের দাবি থেকে পিছিয়ে এসে হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়ছে, এমনই খবর। কিন্তু ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে খেলতে না গিয়ে তাদেরও হাইব্রিড মডেলে নিরপেক্ষ দেশে খেলা আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেছিল পিসিবি। সেটা ২০২৭ সাল পর্যন্ত মানা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভারত মেয়েদের এক দিনের বিশ্বকাপ এবং ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। এই নিয়ম মেনে ওই দু’টি প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান ভারতে খেলতে আসবে না। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে আয়োজক দেশ হিসাবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলি সে দেশে দেওয়া হতে পারে। মেয়েদের বিশ্বকাপে হয়তো পাকিস্তান অন্য কোনও নিরপেক্ষ দেশে ম্যাচগুলি খেলবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ওপেনার হিসেবে রাহুলই যোগ্য’’, অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অধিনায়কোচিত সিদ্ধান্ত রোহিতের

    ভারত না খেললে ক্ষতির পরিমাণ

    চার বছরের জন্য স্টার ইন্ডিয়াকে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে আইসিসি। এই প্রথম বার ভারতে আলাদা করে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে। সেই কথা আইসিসিকে মনে করিয়ে দিয়েছে স্টার ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) সম্প্রচারের জন্য আইসিসিকে ৬৩৫২ কোটি টাকা দিয়েছে তারা। ১৫টি ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। যদি ভারত না খেলে তা হলে এই টাকার ৯০ শতাংশ তাদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে। অর্থাৎ, রোহিত শর্মারা না খেললে আইসিসির ৫৭১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তুলনায় পাকিস্তান যদি এই প্রতিযোগিতায় না খেলে তা হলে আইসিসির ক্ষতি হবে ৬৩৪ কোটি টাকা, যা অনেকটাই কম। তাই ভারতের (India vs Pakistan) দাবি মেনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে আইসিসি-কে জোর দিয়েছে সম্প্রচারকারী সংস্থা। আইসিসি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও অবশ্য চ্যম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জয় শাহ। তবে বিসিসিআই সচিব হিসাবে তাঁর দেওয়া যুক্তি সুবিধাজনক জায়গায় রেখেছে ভারতকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • ICC Champions Trophy: পাকিস্তানের প্রস্তাবে নারাজ বিসিসিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোলাচল অব্যাহত

    ICC Champions Trophy: পাকিস্তানের প্রস্তাবে নারাজ বিসিসিআই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোলাচল অব্যাহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে আইসিসি (ICC) ইভেন্টের জন্য পিসিবির হাইব্রিড মডেল মানতে নারাজ বিসিসিআই (BCCI)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা থাকলেও, ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই ভারত থেকে কোনও খেলা অন্য কোথাও সরানোর কোনও মানে নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে তাই অচলাবস্থা অব্যাহত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এর আগে তার অবস্থান বদলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে। কিন্তু, তাদের শর্ত, পিসিবি ভবিষ্যতে ভারতে আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টের জন্য একইরকম হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে চায়। 

    বিসিসিআই-এর যুক্তি

    বিসিসিআই পাকিস্তানে দল না পাঠানোর প্রধান কারণ হিসেবে জানিয়েছে, নিরাপত্তাই প্রধান সমস্যা। গত মাসে, ভারত সরকার দৃষ্টিহীনদের টি২০ বিশ্বকাপেও নিরাপত্তার কারণে দলকে পাকিস্তান যেতে দেয়নি। বিসিসিআইয়ের যুক্তি হল, ভারতে কোনও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা নেই। তাই ভারতে আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টে হাইব্রিড মডেল গ্রহণের প্রয়োজনও নেই। ভারত আগামী বছর মহিলা একদিনের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে, পাশাপাশি ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপও আয়োজন করবে। ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) এবং ২০৩১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভারতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নতুন করে যে দাবি তুলেছে, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোথায়

    পিসিবি (PCB) ও বিসিসিআই (BCCI) দ্বৈরথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজন এখনও দোলাচলে। তবে আইসিসি সূত্রে খবর, হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের শর্ত কতদূর মানা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভারতকে ছাড়া টুর্নামেন্ট অসম্ভব। বিসিসিআই-এর দাবিও যুক্তি সঙ্গত। ভারতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় যে কোনও দল ভারতে খেলতে পছন্দ করে। এই আবহে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তাদের সিরিজ মাঝপথে বাতিল করে দেশে ফিরে যায়। পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতাও চলছে, যা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashid Latif: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    Rashid Latif: ‘‘ভাইয়ের বাড়ির পাশেই থাকি’’! দাউদ-যোগ উস্কে দিল্লির দাবিতে সিলমোহর প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত বিবৃতি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। দাউদকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ‘ভাই’ বলে ভারতকে ভয় দেখাতে গিয়ে নিজেই বেকায়দায় পড়লেন লতিফ। তাঁর মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল সাইটে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রশিদ লতিফ বলেছেন যে তিনি করাচিতে সন্ত্রাসবাদী দাউদের বাসভবনের কাছাকাছিই থাকেন। তাই তাঁর বা তাঁদের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ না নেওয়াই ভালো। লতিফের এই মন্তব্যের পর বিপাকে পাকিস্তানও। দাউদ যে করাচিতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে তা অভিযোগ করে আসছে ভারত। কিন্তু অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। লতিফের মন্তব্য, কার্যত ভারতের দাবিকেই মান্যতা দিল।

    কী বলেছেন লতিফ

    আগামী বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তানে। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে দল পাঠানো হবে না। লতিফ এর আগে ভারতকে করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ সেমিফাইনাল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারত পাকিস্তানে দল পাঠাবে না শুনে বেজায় চটেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। সম্প্রতি ইউটিউবে কট বিহাইন্ড শো-এ হাজির ছিলেন লতিফ। আলোচনার সময় এই অনুষ্ঠানের আয়োজক নিয়াজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ ভারতের অবস্থানের উল্লেখ করেছিলেন। তারপরই লতিফ পরোক্ষভাবে ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘‘কার সঙ্গে ছলচাতুরি করছ? আমি ভাইয়ের বাড়ির কাছেই থাকি।’’

    ভারতের দাবিকেই মান্যতা

    রশিদ করাচিতে থাকেন। তাঁর এই মন্তব্য কার্যত দাউদের করাচিতে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে, বলেই অভিমত নানা মহলের। এই মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সমালোচনার মুখেও পড়েছেন লতিফ। উল্লেখ্য, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের একজন। তিনি করাচিতে বসবাস করছেন বলে বহুদিন ধরেই ভারত অভিযোগ করে চলেছে। কয়েক বছর ধরে, পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে দাউদকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে। দাউদ ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম। ওই বিধ্বংসী হামলায় ২৫৭ জন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছিলেন। দাউদকে নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভারতের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও, পাকিস্তান সমস্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এবার লতিফের খোলামেলা স্বীকারোক্তি কার্যত ভারতের দাবিতেই সিলমোহর দিল। দাউদ পাকিস্তানেই রয়েছে, তা মেনে নিলেন লতিফ। একইসঙ্গে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত কেন পাকিস্তানে দল পাঠাতে নারাজ তা-ও ফের বুঝতে পারল ক্রিকেট-বিশ্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স  ট্রফি! কবে, কোথায় ভারত-পাক ম্যাচ?

    ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! কবে, কোথায় ভারত-পাক ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। রবিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গে তিনিই কথা বলবেন। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি। শোনা যাচ্ছে ভারতের ম্যাচগুলি দুবাইতে আয়োজনের কথা ভাবছে তারা। সেই মতো ভারত-পাকিস্তান মহারণও হবে মরু শহরে।

    পিসিবির শর্ত

    হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজন করতে রাজি হলেও আইসিসি সূত্রে খবর, একগুচ্ছ শর্ত দিয়েছে পিসিবি। তার মধ্যে অন্যতম হল ২০২৭ অবধি কোনো বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচ ভারতে এসে যাতে না খেলতে হয় সে বিষয়ে আইসিসি’র সবুজ সংকেত চেয়েছে পাক বোর্ড (PCB)। আসন্ন টুর্নামেন্ট গুলির মধ্যে ২০২৬-এর টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2026) রয়েছে ভারতের মাটিতে। যদিও সেখানে কো-হোস্ট হিসেবে থাকার কথা শ্রীলঙ্কার। ফলে পাকিস্তান চাইলে দ্বীপরাষ্ট্রে খেলতেই পারে ম্যাচগুলি। সমস্যা দেখা যেতে পারে আগামী বছরে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ (Women’s World Cup 2025) ও পুরুষদের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) নিয়ে। দুটি টুর্নামেন্টেরই একমাত্র হোস্ট ভারত। পাকিস্তান না এলে তাদের ম্যাচগুলি মধ্যপ্রাচ্য বা অন্য কোথাও আয়োজনের কথা ভাবতে হবে বিসিসিআই-কে। শোনা যাচ্ছে প্রতিটি টুর্নামেন্টের ফাইনালের জন্যও নাকি নিরপেক্ষ ভেন্যু চেয়েছে পিসিবি, তা আদৌ মানা হবে কিনা তা নিয়ে যদিও সংশয় রয়েছে। আইসিসি সূত্রে খবর, সোমবার চেয়ারম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আইসিসির সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন জয় শাহ। তবে আইসিসি-র তরফে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।

    ভারত-পাক ম্যাচ 

    আইসিসি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে দুবাইয়ে খেলা হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ভারত-পাক হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সাধারণত মেগা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহের রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখা হয়। সম্প্রচারের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও সেই প্রথাই মানা হবে। সম্ভবত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champions Trophy: পাকিস্তানকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! পিসিবিকে কড়া সতর্কতা আইসিসির

    Champions Trophy: পাকিস্তানকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! পিসিবিকে কড়া সতর্কতা আইসিসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) কথা ভাবছে আইসিসি (ICC)। হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে রাজি না হলে পাকভূমি থেকে সরবে প্রতিযোগিতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল সূত্রে খবর, পাকিস্তান যদি হাইব্রিড মডেলের জন্য প্রস্তুত না হয় তবে অন্য কোনও দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও এই টুর্নামেন্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান না খেলার সম্ভাবনা বেশি। আইসিসি, পিসিবি ও বিসিসিআই-এর বৈঠক হওয়ার কথা শনিবার, ৩০ নভেম্বর।

    হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

    ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আয়োজক পাকিস্তান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) আইসিসিকে (ICC) জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে দল পাঠানো হবে না। জয় শাহেরা হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা বলেছেন। ভারতের ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রতিযোগিতা আয়োজনের অধিকার ছাড়তে নারাজ। হাইব্রিড মডেল মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা।  পিসিবি-র তরফ থেকে নাকি বলা হয়েছিল যে যদি ভারত পাকিস্তানে না যায় তাহলে তারা কখনই অন্য কোথাও এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে না। আইসিসি তাদের উপর চাপ দিলে তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে না এবং খেলবেও না। এমন অবস্থায় এবার আইসিসি পিসিবি-র উপর চাপ দিতে তৈরি করল।

    চাপে পাকিস্তান

    আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy)। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক বন্ধ। কোনও বহুদলীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যও পাকিস্তানে যায় না ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত বছর এশিয়া কাপের সময়ও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। ভারতের ম্যাচ-সহ বেশ কিছু খেলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। সে ভাবেই যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা যায়, তা ভাবছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। কিন্তু পাকিস্তান সায় না দেওয়ায় এবার পিসিবিকে কড়া ভাষায় জাবাব দিল আইসিসি। সূত্রের খবর, পিসিবিকে বলা হয়েছে তারা যদি হাইব্রিড মডেলে না খেলে তাহলে পাকিস্তানকে ছাড়াই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। উল্লেখ্য আগামী কাল রবিবার, ১ ডিসেম্বর জয় শাহ আইসিসির সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নেবেন। এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে বসবে আইসিসি, এমনই খবর। বৈঠকে থাকার কথা আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি বোর্ডের প্রতিনিধি, তিনটি সহযোগী সদস্য বোর্ডের প্রতিনিধি, এক জন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক, আইসিসির চেয়ারম্যান এবং সিইও-র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champions Trophy: ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অসম্ভব, পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল আইসিসি

    Champions Trophy: ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অসম্ভব, পাকিস্তানকে জানিয়ে দিল আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিসিসিআই-এর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করতে হবে চূড়ান্ত সূচি। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এমনই নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা আইসিসি-র তরফে দেওয়া না হলেও সূত্রের খবর, ভারতকে ছাড়া টুর্নামেন্ট অসম্ভব এমনই মত আইসিসি-র।

    আইসিসি-র নির্দেশ

    ভারত সরকার কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলার জন্য টিম পাঠানো হবে না। দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ, কবাডি টিমের পাক সফর বাতিল করা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে। সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ওয়াঘার ওপারে যাবেন না রোহিতরা, জানিয়েছে বিসিসিআই-ও। এই অবস্থায় পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দাবি করেছিলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তানেই। কোনও ভাবেই হাইব্রিড মডেল ফলো করা হবে না। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের লাহৌর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা। কিন্তু সেই নিয়ে জট অব্যাহত। তবে খবর অনুযায়ী আইসিসির তরফে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (PCB) হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য রাজি করানো হচ্ছে। আইসিসির তরফে পিসিবিকে বলা হয়েছে, ভারতকে ছাড়া কোনওভাবেই টুর্নামেন্ট সম্ভব নয়। 

    আরও পড়ুন: উন্নতির জোয়ার! ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে ভারতের ক্রীড়া শিল্প

    কেন যাবে না ভারত

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল সূত্রে খবর, ভারতের দাবি মেনে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন না করলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। আর তিন মাসও বাকি নেই, তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চায় আইসিসি। ভারতের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতেও বারণ করা হয়েছে পিসিবি-কে, এমনই খবর।  বিসিসিআই-এর তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপর বড়সড় হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের আমজনতা হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটারদের উষ্ণ আতিথেয়তা জানাবে, কিন্তু পাকভূমে রোহিত শর্মাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপরে হামলার উদাহরণও উল্লেখ করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ICC: অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাক বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে জানাল আইসিসি

    ICC: অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাক বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে জানাল আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তিনটি শহরে যাবে না চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পরিকল্পনা বাতিল করে এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি (ICC)। প্রসঙ্গত, পিসিবির পরিকল্পনা ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যাওয়ার। তবে সেই পরিকল্পনাতে জল ঢেলে দিল আইসিসি। আগামীকাল ১৬ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ঘুরবে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সে দেশের স্কার্দু, মুরি, মুজফফরবাদ- এই তিন শহরেরই অবস্থান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি পরিকল্পনা করেছিল এই শহরগুলিতেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC) নিয়ে যাওয়ার। একইসঙ্গে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ গডউইন অস্টিন বা  K2.  সেখানেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি (Champions Trophy)। তবে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করল আইসিসি। আইসিসির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে না ট্রফি।

    ঘন কুয়াশার কারণে আরও তিন শহরে যাবে না ট্রফি

    জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে এই ট্রফি (ICC)। একই সঙ্গে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতেও ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আইসিসি। কারণ সেখানকার ঘন কুয়াশা। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) হওয়ার কথা রয়েছে। সে কারণেই সে দেশের বিভিন্ন শহরের ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করেছিল পিসিবি। তবে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবেই, একথা নিশ্চিতভাবে এখনই বলা যাচ্ছে না।

    পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত

    পাকিস্তানে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স (ICC) ট্রফি খেলতে রাজি নয়। মোট আটটি দল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে। কারণ এই দুই দেশের রাজনৈতিক সমস্যা। প্রসঙ্গত পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বড় করে দেখছে বিসিসিআই। তারা মনে করছে, সে দেশের জঙ্গিরা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের টার্গেট করতে পারে। তার কারণ পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসে আক্রমণের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ICC Champions Trophy 2025: ভারতের ‘না’! বিসিসিআই-কে মান্যতা, পাকিস্তানে বাতিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুষ্ঠান

    ICC Champions Trophy 2025: ভারতের ‘না’! বিসিসিআই-কে মান্যতা, পাকিস্তানে বাতিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিপাকে আইসিসি। বিসিসিআই-এর চাপে কার্যত দোদুল্যমান অবস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের। বিসিসিআইয়ের (BCCI) পক্ষ থেকে আইসিসিকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) খেলার জন্য পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। একইসঙ্গে সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানও বাতিল করল আইসিসি। এই অনুষ্ঠানটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। এর ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে পিসিবি।

    ভারতের দাবির মান্যতা

    ফেবরুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের মাটিতে শুরু হওয়ার কথা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025)। প্রথমে কথা ছিল, গোটা প্রতিযোগিতাই অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের মাটিতে। সেই মতোই, সব দেশই প্রায় রাজি হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে, ব্যতিক্রম ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এবার ভারতের চাপে পড়েই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হল আইসিসিকে। যেমন কথা তেমন কাজ, আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড(BCCI) জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না তাঁরা। আইসিসি ইভেন্ট হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না যাওয়ার কড়া মনোভাবে অনড় থাকে ভারতীয় দল। হাইব্রিড মডেলেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চায়। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান দলের অন্যান্য সব ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সেদেশে হবে না। এমনকি ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া উঠলে সেই ম্যাচও পাকিস্তানে হবে না।  এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ পিসিবি। 

    আরও পড়ুন: দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

    আইসিসির অনুষ্ঠান বাতিল

    এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আইসিসির সঙ্গে যৌথভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) উন্মোচনের কথা ছিল ১১ নভেম্বর। সোমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর ১০০ দিন বাকি উপলক্ষ্যে লাহোরে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। যদিও ভারতীয় দল সেদেশে যাব না জানিয়ে দেওয়ায়, সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। যদিও পিসিবির ঘনিষ্ঠ এক আইসিসি কর্তা ভারতের জন্য এই ইভেন্ট বাতিল হয়েছে বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, লাহোরে এই মূহূর্তে আবহাওয়া ঠিক নেই। সেখানে বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকনা রয়েছে, সেই কারণেই আপাতত ট্রফির ফ্ল্যাপ অফ সেরিমনি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champions Trophy: দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

    Champions Trophy: দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে আগামী বছর পাকিস্তানে যাবে না ভারত। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ভারতীয় বোর্ডের (BCCI) তরফে নাকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এবং টুর্নামেন্টের সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্য়াচ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না।

    দুবাইতে হতে পারে ম্যাচ

    পরের বছরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আসর বসার কথা। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তানকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) আদৌ পড়শি দেশে খেলতে যাবে কি না, সেই নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় ছিল। বোর্ড সূত্রে খবর, বিসিসিআই (BCCI) দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সেই কারণেই ভারত চায় কিছু ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইতে আয়োজিত হোক। এই বিষয়ে অবগত এক সূত্র জানান, ‘হ্যাঁ, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা বিসিসিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা নিরপেক্ষ কোনও স্থানে ম্যাচ আয়োজনের পক্ষে। এক্ষেত্রে দুবাই ভারতীয় দলের ম্যাচগুলি আয়োজনের জন্য জোরাল দাবিদার।’

    আরও পড়ুন: আইপিএলের মেগা অকশনে ১৫৭৪ ক্রিকেটার! কোন দেশের কত জন তালিকায়?

    কবে থেকে শুরু

    ১১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) সূচি ঘোষণা করতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। ১০ থেকে ১২ নভেম্বর পাকিস্তানের লাহোরে যাওয়ার কথা আইসিসির একটি প্রতিনিধি দলের। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই প্রতিযোগিতার জন্য পাকিস্তান কতটা তৈরি তা খতিয়ে দেখতে যাবে প্রতিনিধি দল। সেই সফর চলাকালীন প্রতিযোগিতার সূচি ঘোষণা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই নাকি সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে খসড়া সূচি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি। জানা গিয়েছে, গ্রুপ এ-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ইতিপূর্বে পিসিবি-র পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনও দেশে এই টুর্নামেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হবে না। তবে উপায় না দেখে হয়ত বা নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে হতে পারে পাকিস্তানকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share