Tag: icg

icg

  • Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং গুজরাটের এন্টি টেরোরিস্ট গুজরাট এটিএস-এর (Gujrat ATS) যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হল। জানা যাচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণে উদ্ধার হওয়া মাদকের (Narcotics) বর্তমান বাজার মূল্য ১,৮০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা যাচ্ছে, মধ্য সমুদ্রে অপারেশন চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার করে উপকূল রক্ষা বাহিনী (Gujrat ATS)। সঙ্গে ছিল গুজরাট এটিএস।

    গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়েই শুরু অভিযান (Gujrat ATS)

    এ নিয়ে বিবৃতিও সামনে এসেছে। নিজেদের এক বিবৃতিতে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ১২ এবং ১৩ এপ্রিল গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে এই অভিযান শুরু করে তারা। মাদকবিরোধী এই অভিযানে তাদের সঙ্গে সামিল হয় গুজরাটে এটিএসও (Gujrat ATS)। এর ফলে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮০০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, একটি বিদেশি নৌকো করে এভাবেই ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল। তারপরে এই অভিযান চালিয়ে তা ধরে ফেলে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযান চালানো হয় উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের উপকূল অঞ্চলে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল মাদক (Narcotics)।ওই সন্দেহভাজন নৌকো দেখেই ধাওয়া করে উপকূল রক্ষা বাহিনী। এরপর আটক করা হয় ওই নৌকোটি।

    গত বছরেই গুজরাট উপকূলে উদ্ধার হয়েছিল ৩,৩০০ কেজি মাদক

    সাম্প্রতিককালে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছিল গুজরাট উপকূল থেকে। ভারতীয় নৌসেনা, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, গুজরাট পুলিশ মিলে যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালায়। গুজরাত উপকূলে একটি সন্দেহজনক নৌকা থেকে ৩,৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৯ কেজির চরস, ১৫৮ গ্রাম মেথামফেটামিন, ২৫ কেজি মরফিন পাওয়া যায়। নৌকায় থাকা ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নৌসেনা।

  • Indian Coast Guard: আরও শক্তিশালী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, নতুন ১৪টি জাহাজের চুক্তি স্বাক্ষর

    Indian Coast Guard: আরও শক্তিশালী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, নতুন ১৪টি জাহাজের চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ৪৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস (ICG Raising Day) পালন করছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তার আগে, উপকূলরক্ষীদের (Indian Coast Guard) জন্য বড় সুখবর। দেশের উপকূলকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে ১৪টি নতুন জাহাজ আসতে চলেছে বাহিনীর হাতে। এই ফাস্ট প্যাট্রল ভেসেলগুলি (এফপিভি) নির্মাণ করতে সম্প্রতি মাঝাগাঁও ডকইয়ার্ডের সঙ্গে ১,০৭০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এমনটাই খবর মিলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে। দেশের বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে আরও ২১টি জাহাজ। পাশাপাশি, আকাশপথে নজরদারি চালানোর জন্য কেনা হচ্ছে ৮টি ডর্নিয়ার ও ৬টি মাল্টি-মিশন মেরিটাইম সার্ভেল্যান্স বিমান।

    ১৯৭৮ সালে পথ চলা শুরু

    ১৯৭৮ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর (ICG Raising Day)। সেই সময় বাহিনীর হাতে সর্বসাকুল্যে ৭টি জাহাজ ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫২টি জাহাজ ও ৭৮টি বিমান। বাহিনীর লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০টি জাহাজ এবং ১০০টি বিমান নিজেদের হাতে রাখা। আর সেই লক্ষ্যের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে এই নতুন বরাত। জানা যাচ্ছে, গত ২৪ জানুয়ারি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সেই মোতাবেক, ৬৩ মাস, অর্থাৎ পাঁচ বছরে এই ১৪টি জাহাজকে বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

    অত্যাধুনিক জাহাজের বরাত

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বহুমুখী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে নতুন জাহাজগুলি মাল্টিপারপোস ড্রোন থেকে শুরু করে রিমোট কন্ট্রোল্ড ওয়াটার রেসকিউ ক্র্যাফট লাইফবুই এবং সর্বোপরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে জাহাজগুলি এবং সেইসঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীও (Indian Coast Guard)। মন্ত্রকের মতে, অত্যাধুনিক জাহাজগুলি মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও নজরদারির পাশাপাশি একইধারে চোরাচালান-রোধ অভিযান, অগভীর জলে উদ্ধারাভিযান, বিপদে পড়া অন্য জাহাজকে সহায়তা, খারাপ হওয়া জলযানকে বন্দরে নিয়ে আসা, সমুদ্রে দূষণের মোকাবিলা করা এবং জলদস্যুদের মোকাবিলা করা— এসবই করতে সক্ষম হবে নতুন জাহাজগুলি।

    তৈরি হচ্ছে আরও ২১টি জাহাজ

    এই নতুন বরাতের পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই দেশের ৩টি জাহাজ নির্মাণ সংস্থায় তৈরি হচ্ছে ২১টি জাহাজ। এছাড়া, আকাশপথে নজরদারি চালানোর জন্য কেনা হচ্ছে ৮টি ডর্নিয়ার ও ৬টি মাল্টি-মিশন মেরিটাইম সার্ভেল্যান্স বিমান। এর পাশাপাশি, আরও ৬টি ডর্নিয়ার বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে, দফায় দফায় মোট ১৭টি বিমানে অত্যাধুনিক সেন্সর বসানো হবে। এর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী (ICG Raising Day)।

    ১১ হাজারের বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে বাহিনী

    বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম সেরা উপকূলরক্ষকগুলির (Indian Coast Guard) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ১৯৭৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে এই বাহিনী। শুধুমাত্র ২০২৩ অর্থাৎ গত বছরই দুশোর বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে তারা। বাহিনী আরও জানিয়েছে, দেশের উপকূলের রক্ষায় নিরন্তর নজর রাখছে তারা। এ জন্য প্রতিদিন ৫০-৬০টি জাহাজ ও ১০-১২ বিমান মোতায়েন করা হয় বিভিন্ন জায়গায়। ২০২৩ সালে ৪৭৮ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে কোস্ট গার্ড। প্রতিষ্ঠা ইস্তক এখনও পর্যন্ত সেই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share