Tag: IIT

IIT

  • Uttarakhand: কেদার-পথে ঘোড়া চালিয়ে চলত সংসার, সেই ছেলেই সুযোগ পেলেন মাদ্রাজ আইআইটিতে

    Uttarakhand: কেদার-পথে ঘোড়া চালিয়ে চলত সংসার, সেই ছেলেই সুযোগ পেলেন মাদ্রাজ আইআইটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন আক্ষরিক অর্থেই গোবরে পদ্মফুল ফোটার কাহিনি! উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) কেদারনাথ ধামের খাড়াই তীর্থপথে ঘোড়া ও খচ্চর চালিয়ে নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেন। এরই ফাঁকে ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। শেষমেশ সফল হল স্বপ্ন।

    হার্ডল পার করে চমক (Uttarakhand)

    মাদ্রাজ আইআইটিতে (IIT Madras) অতুল কুমার নামের ওই ঘোড়ার মালিক পেলেন পড়াশোনার সুযোগ। যা বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর স্বপ্ন, সেই হার্ডলই পার করে সবাইকে চমকে দিলেন অতুল। আইআইটি-জেএএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অতুল বলেন, “উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছি। প্রথমে তো জানতামই না আইআইটি কী। ছোটবেলায় জলের সংকট আর সচেতনতার অভাবে বড় কিছু স্বপ্ন দেখার সুযোগই হত না। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় আমার আগ্রহ ছিল না। পরে একজন শিক্ষক আমায় আইআইটিতে মাস্টার্স করার পরামর্শ দেন। তারপরেই সব কিছু বদলে যায়।”

    অতুলের লড়াই

    অতুল বলেন, “জুলাই মাসে আমি পড়াশোনা শুরু করি। কেদারনাথ থেকে ফিরে আসার পর। গোটা জুন মাসটা আমি কেদারনাথেই ছিলাম। সেখানে কাজ করছিলাম। কোনও নেটওয়ার্কও ছিল না। আমরা তাঁবুতে থাকতাম, তাই পড়াশোনা করা সম্ভব ছিল না।” তিনি বলেন, “আমার বন্ধু মহাবীর যে আগে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল, সে আমায় অনেক সাহায্য করেছে। সে তার নিজের নোটস শেয়ার করেছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আমি নিয়মিত পড়াশোনা করি। ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা দিই।” অতুল বলেন, “আমার সব চেয়ে বড় প্রেরণা ছিল জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের জন্য ভালো কিছু তৈরি করা।” তিনি বলেন, “বাবার ঘোড়ার সহকারি হিসেবে কাজ করেন। সেটাই আমাদের রোজগারের একমাত্র পথ ছিল। ছুটির সময় আমি তাঁকে সাহায্য করতাম। আমার দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট বোন সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে (Uttarakhand)।”

    আইআইটি মাদ্রাজে সুযোগ পেয়ে কেমন লাগছে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে অতুল বলেন, “প্রতিক্রিয়া এতটাই দারুণ ছিল যে নিজের আনন্দের চেয়েও বেশি স্পর্শ করেছে অন্যদের খুশির অভিব্যক্তি। শিক্ষক থেকে শুরু করে যাঁরা কখনও আমায় পড়াননি, তাঁরাও পর্যন্ত ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন (IIT Madras)। নিজের সম্প্রদায়ের গর্বের কারণ হতে পেরে ভালো লাগছে (Uttarakhand)।”

  • IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি রুরকি (IIT Roorkee) বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মডেল তৈরি করেছে, যা ঐতিহাসিক মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল। এটি কেবল প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ, ভারতের বিস্মৃত ভাষাতাত্ত্বিক (Devanagari) ঐতিহ্যের এক ডিজিটাল পুনর্জন্ম, এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ভাষিণী’, ‘ভারত জিপিটি’, ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর মতো জাতীয় উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

    দুটি শক্তিশালী উপকরণ (IIT Roorkee)

    এই উদ্যোগের মূল দুটি শক্তিশালী উপকরণ হল ১) মোদি স্ক্রিপ্ট কনভার্সান নেটওয়ার্ক (এমওএসসি)। এটি একটি একটি উন্নত ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, যা প্রচলিত অপটিকাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) টুলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। এবং ২) মোদি দেবনাগরী ট্রান্সলিটারেটেড ডেটাসেট। এটি হল মোদি লিপিতে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির প্রথম এবং একমাত্র ব্যাপক ডেটাসেট, যেখানে প্রামাণ্য দেবনাগরী প্রতিলিপি যুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুটি টুলই হাগিং ফেস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বিশ্বব্যাপী গবেষক, ডেভেলপার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে আরও গবেষণা ও উন্নয়ন চালাতে পারে। এটি প্রাচীন ভাষা বিষয়ক এআইয়ের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।

    মোদি লিপি

    মোদি লিপি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে বিভ্রান্ত হবার মতো নয়। এটি একটি আধা-সাঁড়াশি ধরণের লিপি যা ঐতিহাসিকভাবে মহারাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্য ও পশ্চিম অংশে ব্যবহৃত হত। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের শাসন কালে জারি করা রাজকীয় ফরমান, পেশওয়াদের আমলের প্রশাসনিক নথিপত্র, এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় ভূমি ও আইনি রেকর্ড – সব কিছুর জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী এই মোদি লিপিই ছিল সরকারিভাবে স্বীকৃত ভাষা (IIT Roorkee)। তবে এত সমৃদ্ধ ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও ঔপনিবেশিক শাসকরা দেবনাগরী (Devanagari) ও ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়ায় মোদি লিপির ব্যবহার কমে যায়। ধীরে ধীরে এই লিপির চর্চাও প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি মোদি লিপিতে লেখা নথি দেশে বিভিন্ন আর্কাইভ, মন্দির, ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং সরকারি দফতরে পড়ে রয়েছে। এর অধিকাংশই অপঠিত, কারণ দক্ষ পাঠকের অভাব রয়েছে।

    কী বললেন প্রধান গবেষক?

    এই প্রেক্ষাপটেই এসেছে মোদিএসসিনেট। সর্বাধুনিক ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ এআই ব্যবহার করে নির্মিত এই মডেলটি হাতে লেখা মোদি অক্ষরকে চিনতে পারে এবং প্রাসঙ্গিকভাবে তা বুঝে যথাযথভাবে দেবনাগরীতে রূপান্তর করতে পারে। সাধারণ ওসিআর সিস্টেম যেখানে হাতে লেখা, অলঙ্করণযুক্ত বা পুরোনো ক্ষয়প্রাপ্ত লেখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, সেখানে মোদি লিপির গতি, শৈল্পিক বৈচিত্র্য এবং সাঁড়াশি প্রকৃতিকে চমৎকার নিখুঁতভাবে সামলাতে পারে। আইআইটি রূরকির প্রধাণ গবেষক তথা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি ট্রান্সলিটারেশন সরঞ্জাম নয়। এটি একটি যন্ত্র, যা কালি ও কালের মাঝে চাপা পড়া সভ্যতার জ্ঞানকে উন্মোচন করতে সক্ষম, আর্কাইভে সংরক্ষিত, হারিয়ে যাওয়া উপভাষায় লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারে।” তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি এআই তৈরি করছি, যা ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, উত্তরাধিকারকে (Devanagari) বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এবং ভারতীয় ইতিহাসের নতুন অধ্যায় উন্মোচনের পথ খুলে দেয় (IIT Roorkee)।”

    প্রযুক্তির ভিত্তি

    গবেষকরা শুধু একটি মডেল তৈরি করেই থেমে থাকেননি, তাঁরা এই প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছেন মোদিট্রান্স নামের একটি বিশেষভাবে সংগৃহীত, উচ্চমানের ডেটাসেটের মাধ্যমে, যা প্রামাণিক মোদী লিপিতে লেখা ২০০০-রও বেশি স্ক্যান করা পাণ্ডুলিপির ছবি নিয়ে গঠিত। এই পাণ্ডুলিপিগুলি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, শিবকালীন (১৭শ শতাব্দী) – ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সময়কাল, পেশওয়াকালীন (১৮শ শতাব্দী)- পেশওয়া প্রশাসনের অধীনে এবং আঙ্গলকালীন (১৯শ শতাব্দী) – ব্রিটিশ শাসনের সময়। প্রতিটি পাণ্ডুলিপির সঙ্গে অভিজ্ঞ ভাষাবিদদের দ্বারা যাচাই করা দেবনাগরী লিপ্যন্তর যুক্ত রয়েছে, যা এটিকে শুধুই একটি প্রযুক্তিগত উপাদান নয় বরং বিপুল মূল্যমানের একটি ভাষাগত ঐতিহ্য-ভান্ডারে পরিণত করেছে। গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে এমন একটি টুল, যা একদিকে অ্যাকাডেমিক কড়াকড়ি বজায় রাখে, অন্যদিকে ব্যবহারিক প্রয়োগে উপযোগী, ঐতিহ্য সংরক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এক বিরল কৃতিত্ব (IIT Roorkee)।

    একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে যুক্ত

    এই এআই মডেলটি ভারতের একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এগুলি হল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া – লক্ষ (Devanagari) লক্ষ প্রাচীন পান্ডুলিপিকে যন্ত্র-পঠনযোগ্য রূপে রূপান্তর করে ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ভাষিণী – বহু-ভাষিক ভাষা প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমর্থন জোগাচ্ছে। ভারতজিপিটি– ভারতীয় প্রসঙ্গকে ভিত্তি করে বৃহৎ ভাষা মডেল গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে। এবং ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন– আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ এবং লিপ্যন্তরের মাধ্যমে ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই উদ্যোগটি রাষ্ট্রসংঘের মজবুত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১১.৪-কে সরাসরি সমর্থন করে- বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করা (IIT Roorkee)।

    যখন জলবায়ু পরিবর্তন, সময় এবং অবহেলা প্রাচীন নথিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন এই ধরনের এআই ভিত্তিক কাঠামো বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য হতে পারে। এই টুলের মাধ্যমে তামিলনাড়ুর সংস্কৃত (Devanagari) গ্রন্থ লিপি হোক বা লাদাখের তিব্বতি পান্ডুলিপি, কিংবা খেমার, পালি ও থাই ভাষার শিলালিপি – সব ক্ষেত্রেই এআই সাহায্য করতে পারে (IIT Roorkee)।

  • JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    JoSAA: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করল জোসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল (Result 2025) ঘোষণা করল জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি, সংক্ষেপে জোসা (JoSAA)। আজ, ২৫ জুন ঘোষণা হয় ফল। আইআইটি এবং এনআইটি আসনে ভর্তির ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

    জোসা (JoSAA)

    শিক্ষামন্ত্রক ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য যৌথ আসন বরাদ্দ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জোসা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের ২৩টি আইআইটি, ৩১টি এনআইটি, আইআইইএসটি শিবপুর, ২৬টি আইআইআইটি এবং ৪৭টি অন্যান্য-সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রদত্ত অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের জন্য একটি সিঙ্গল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

    অনলাইনে শুরু ফি জমা

    জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বণ্টনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর আবেদনকারীরা এদিনই বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে ফি জমা দেওয়া, নথি আপলোড করা এবং রেসপন্স করতে পারবেন। আবেদনকারীরা ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসা আসন বণ্টন প্রক্রিয়া থেকে আসন প্রত্যাহার ও প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার কাজ শুরু করতে পারবেন। রবিবার ২৯ জুনের মধ্যে প্রার্থীদের দ্বিতীয় রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দের জন্য ফি দিতে হবে। আসন প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার শেষ দিন ১ জুলাই।

    কীভাবে দেখবেন ফল

    জোসা ২০২৫ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল, কীভাবে দেখবেন? অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান – জোসা.এনআইসি.ইন। হোমপেজে ক্যান্ডিডেট অ্যাক্টিভিটি বোর্ড-এ যান (JoSAA)। রাউন্ড ২ সিট অ্যলোটমেন্ট রেজাল্ট লিংকে ক্লিক করুন। আপনার জেইই মেইন ২০২৫ এর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি পিন দিন। সমস্ত তথ্য জমা দিন। আপনার আসন বরাদ্দের ফল স্ক্রিনে দেখানো হবে। নির্বাচিত হলে বরাদ্দ অর্ডারটি ডাউনলোড করুন এবং প্রিন্ট করে রাখুন (Result 2025)। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ছটি রাউন্ডে হবে জোসা কাউন্সেলিং। ষষ্ঠ রাউন্ডে জোসার আসন বরাদ্দ হবে ১৬ জুলাই। এদিনই বিকেল ৫টায় ঘোষণা করা হয় জোসার দ্বিতীয় রাউন্ডের ফল (JoSAA)।

  • JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    JoSAA 2025: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি, আজ থেকে শুরু কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে কাউন্সেলিং। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট সিট অ্যালোকেশন অথরিটি (JoSAA 2025) তাদের রেজিস্ট্রেশন ও চয়েস ফিলিং উইন্ডো আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, ১২ জুন বিকেল ৫টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, JoSAA এবার অর্থাৎ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ছয়টি রাউন্ডে কাউন্সেলিং পরিচালনা করবে। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডের ফল প্রকাশিত হবে শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায়। অন্যদিকে IIT-র ভর্তি প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৬ জুলাই এবং সম্পূর্ণ কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে ২২ জুলাই (JoSAA 2025)।

    ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা

    JoSAA কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে দেশের মোট ১২৭টি সেরা প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা। এর মধ্যে রয়েছে ২৩টি IIT, IIEST শিবপুর, ২৬টি IIIT এবং ৪৬টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। যে সকল ছাত্রছাত্রী কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দ করে ভর্তি নিশ্চিত করবেন, তাঁরা পঞ্চম রাউন্ডের আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সুযোগ পাবেন (JoSAA 2025)।

    লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য

    JEE Main 2025 পরীক্ষার্থীদের লগইন করার জন্য নিজেদের আবেদন নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বিদেশি নাগরিক এবং OCI/PIO প্রার্থীরা যাঁরা JEE Main পরীক্ষায় অংশ নেননি, তাঁদের JEE Advanced 2025-এর শংসাপত্র ব্যবহার করে লগইন করতে হবে (Top Engineering Colleges)।

    JoSAA 2025 কাউন্সেলিং-এর মূল তারিখসমূহ

    ১৪ জুন: প্রথম রাউন্ড আসন বরাদ্দ (সকাল ১০টা)

    ২১ জুন: দ্বিতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ২৮ জুন: তৃতীয় রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ৪ জুলাই: চতুর্থ রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১০ জুলাই: পঞ্চম রাউন্ড ফলাফল (বিকাল ৫টা)

    ১৬ জুলাই: IIT-এর চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল (বিকাল ৫টা)

  • Viral IIT Baba: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন, রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদি”, ভবিষ্যদ্বাণী আইআইটি বাবার

    Viral IIT Baba: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন, রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদি”, ভবিষ্যদ্বাণী আইআইটি বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন। নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। এটাই হওয়া উচিত। টাইমলাইন বদলেও যায়।” কথাগুলি বললেন মহাকুম্ভ দর্শনে আসা আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba)।

    আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba)

    এবার মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh 2025) সবার নজর কেড়েছেন আইআইটি বাবা। তাঁর আসল নাম অভয় সিং। আইআইটি থেকে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজও করেছিলেন কিছু দিন। পরে সব ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে যান। জীবনের অর্থ বুঝতেই বেরিয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর কাহিনি ভাইরাল হয়ে যায়। দ্রুত বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। জুনা আখড়া থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, আইআইটি বাবা মাদকাসক্ত। যদিও তাঁর দাবি, পাছে তিনি গোপন কথা ফাঁস করে দেন, তাই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে আখড়া থেকে।

    কী বললেন আইআইটি বাবা

    এহেন আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba) সম্প্রতি মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমে। দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “আগামিদিনে যোগীই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও, অন্তরালে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই মোদির। তিনি আগামিদিনে রাষ্ট্রপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন। তাঁর এহেন ভবিষ্যদ্বাণীর জেরে নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে।”

    মাথায় বড় জটা, ছেঁড়া মলিন পোশাকে আইআইটি বাবাকে দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। টিভিতে তাঁকে দেখতে পেয়ে তাঁর বাবাও ফিরে আসতে কাতর অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি যে আর ফিরতে চান না, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন আইআইটি বাবা।

    প্রসঙ্গত, জুনা আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয় আইআইটি বাবাকে। তাঁকে আখড়া থেকে বের করার কারণ প্রসঙ্গে জুনা আখড়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহন্ত গিরি বলেছিলেন, অভয় সিংয়ের কাজগুলি পবিত্র গুরু-শিষ্য ঐতিহ্য ও সন্ন্যাসের মূল নীতিগুলি লঙ্ঘন করে। নিজের গুরুকে অসম্মান করা সনাতন ধর্ম ও আখড়ার দ্বারা সমুন্নত মূল্যবোধের প্রতি গভীর অবজ্ঞা (Viral IIT Baba)।

    মহন্ত সোমেশ্বর পুরীকেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভয়। বলেন, “আমি আগেই তাকে বলেছিলাম আমাদের মধ্যে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক নেই। এখন যেহেতু আমি বিখ্যাত হয়েছি, সে নিজেকে আমার গুরু বানিয়েছে (Mahakumbh 2025)।”

  • IIT Bombay: নাটকে রামের অবমাননা! মোটা অঙ্কের জরিমানা বম্বে আইআইটির ৮ পড়ুয়ার

    IIT Bombay: নাটকে রামের অবমাননা! মোটা অঙ্কের জরিমানা বম্বে আইআইটির ৮ পড়ুয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারফর্মিং আর্টস ফেস্টিভ্যাল। ৩১ মার্চ বম্বে আইআইটিতে (IIT Bombay) এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন পড়ুয়া মঞ্চস্থ করেন ‘রাবণ’ নামের একটি নাটক। অভিযোগ, নাটকটি আসলে রামায়ণের ব্যাঙ্গাত্মক রূপান্তর। নাটকটিতে সীতাকে নারীবাদী হিসেবে তুলে ধরতে গিয়ে অপমান করা হয়েছে রামকে।

    রাবণের গুণকীর্তন!

    শুধু তাই নয়, রাবণের গুণকীর্তনও করা হয়েছে। রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মধ্যে অশ্লীল ভাষায় কথোপকথনও শোনা গিয়েছে মঞ্চে। নাটকের (IIT Bombay) কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দু ধর্মের অবমাননার অভিযোগও জমা পড়ে আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে। তার পরেই পড়ুয়াদের ঘাড়ে নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। চার পড়ুয়াকে জরিমানা করা হয়েছে মাথাপিছু ১ লাখ ২০ হাজার করে টাকা। এটি ওই আইআইটির একটি সেমেস্টারের ফি-র সমান। আরও চার পড়ুয়াকেও দিতে হবে জরিমানা। তাঁদের অবশ্য দিতে হবে ৪০ হাজার করে টাকা। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে জরিমানা মেটাতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। জরিমানা না দিলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

    শাস্তির খাঁড়া

    শাস্তির পাশাপাশি কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। স্নাতকস্তরের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের জিমখানা পুরস্কারে প্রবেশ করতে পারবেন না। জুনিয়র পড়ুয়ারা পাবেন না হস্টেল। নাটকটিতে রাম ও সীতার কথোপকথনের একটি দৃশ্যে সীতাকে মঞ্চে বলতে শোনা যায়, “ওখানে (রাবণের ওখানে) নারীর যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। উনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমার সম্মতি ছাড়া উনি আমায় স্পর্শই করবেন না। ওঁর মধ্যে এমন পুরুষ দেখেছি, যা এই জাতের মধ্যে দেখিনি। তোমরা রাক্ষস হত্যায় উল্লাস করেছিলে বটে, আসল রাক্ষসকে হত্যা করতে পারনি।”

    জরিমানার নোটিশটি আইআইটি বি ফর ইন্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের তরফে পোস্ট করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। নাটকটির বিরোধিতা করেছিল এই দলটি। দলটির তরফে স্বাগত জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপকে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান ঘিরেও প্রায় একই রকমের অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে (IIT Bombay) হ্যাকাররা।

    আর পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন-শিলান্যাস ৮৪ প্রকল্পের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জয়েন্টে অষ্টম স্থান পেয়ে খানিকটা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ার সাগ্নিক নন্দীর। তবে, এবার জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা অর্থাৎ আইআইটি জয়েন্টে সর্ব ভারতীয় স্তরে ৩৯ এবং রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়ে সেই আক্ষেপ আর নেই তাঁর। তাঁর এই সাফল্যে বেজায় খুশি বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া এলাকার তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পাড়ার ছেলের এই নজরকাড়া রেজাল্টের কথা এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে।

    কী বললেন সাগ্নিক?

    বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক নন্দী। এই স্কুলেই তিনি ছোট থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। মাধ্যমিকে তিনি ৯৪.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৯৬.৬০ শতাংশ নম্বর এবং জেইই মেইন পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ২৮৯। আর এরপরই বড় সাফল্য মিলল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় তাঁর সর্ব ভারতীয় র‍্যাঙ্ক ৩৯। যার নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাগ্নিক। এখন বাঁকুড়ার বাইরে রাজস্থানের কোটায় রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে ফোনে সাগ্নিক বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম দেশে প্রথম ১০০ এর মধ্যে আমার র‍্যাঙ্ক থাকবে। তবে তা যে ৩৯ নম্বরে উঠে আসবে, এতটা ভাবিনি। ভালো লাগছে।’ এবার মুম্বইয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।

    সাগ্নিকের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন তাঁর স্কুলের শিক্ষক?

    বাঁকুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণধন ঘোষ বলেন, খুবই মেধাবী এবং শান্ত প্রকৃতির ছাত্র সাগ্নিক। ঠান্ডা মাথার ছেলে। বরাবর পড়াশোনাটা ভালোভাবে করে আসছে। ছোট থেকে এই স্কুলে পড়েছে। জেইই  অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। আগামীতে ও আরও বড় হোক, এই কামনা করি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    সাগ্নিকের বাবা আনন্দরঞ্জন নন্দী বলেন, ছেলের ইচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার। আমরা চাইছি সে তার নিজের ইচ্ছে মতো পড়ুক। জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় ছেলে ভালো ফল করবে জানতাম। তবে, এত ভালো র‍্যাঙ্ক করায় আমরা খুশি। সাগ্নিকের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর মা মন্দিরা নন্দী বলেন, রাজ্যে ছেলে সেরা হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে। তবে ও পরিশ্রমও কম করেনি। রোজ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়ত। আর অবসর সময় পেলে একটু আধটু গল্পের বই পড়েছে। ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ার নেশা সাগ্নিকের। ছেলের ইচ্ছে মুম্বইয়ে পড়াশোনা করার। আমরা চাই, তার স্বপ্ন পূরণ হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    JEE Advanced: প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফল! রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সাগ্নিক

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: রবিবার প্রকাশিত হল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষার রেজাল্ট। পরীক্ষার ১৪ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) গুয়াহাটি। পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে jeeadv.ac.in ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবেন। এই বছর জেইই অ্যাডভান্সড-এর ফলাফল অনুযায়ী দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ভাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি। ভাভিলালা আইআইটি হায়দরাবাদ জোনের অন্তর্গত। ৩৬০ নম্বরের পরীক্ষায় ভাভিলালার প্রাপ্ত নম্বর ৩৪১। মেয়েদের প্রথম নয়কান্তি মোট ৩৬০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ২৯৮। এ বছর জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ১৮০৩৭২ জন পড়ুয়া। যার মধ্যে পাশ করেছেন ৪৩৭৭৩ জন। এঁদের মধ‍্যে ৩৬২৬৪ জন পুরুষ এবং ৭৫০৯ জন মহিলা।

    আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম ৪ জনের ২ জন কলকাতার

    রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন বাঁকুড়ার সাগ্নিক নন্দী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলকাতার মহম্মদ সাহিল আখতার ও সোহম দাস। রাজ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন মেদিনীপুরের সৌহার্দ্য দণ্ডপাট।

    বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে সাহিল দেশে প্রথম

    বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গোটা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাহিল। আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করে উত্তীর্ণ হলেও, আইআইটিতে পড়তেই চান না তিনি। সারা ভারতে প্রথম ১০০ জনের তালিকায় থাকার পাশাপাশি রাজ্যেও দ্বিতীয় হয়েছেন সাহিল।

    আইআইটিতে না পড়ে আমেরিকার MIT তে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে গবেষণা করতে চান সাহিল। ইতিমধ্যেই এমআইটির তরফে স্কলারশিপ অফার করা হয়েছে সাহিলকে। শুধুমাত্র উচ্চ বেতনের চাকরির জন্যই পড়াশুনা নয়, বরং জীবনে বিভিন্ন রকম প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও যাঁরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশেই পরবর্তীতে দাঁড়াতে চান সাহিল।

    এক নজরে দেখে নিন সেরাদের তালিকা

    ভ্যাভিলালা চিদবিলাস রেড্ডি (আইআইটি হায়দরাবাদ জোন)
    রমেশ সূর্য থেজা (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ঋষি কালরা (আইআইটি, রুরকি)
    রাঘব গোয়াল (আইআইটি, রুরকি)
    আদ্দগাদা ভেঙ্কটা শিভারম (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    প্রভব খান্দেলওয়াল (আইআইটি, দিল্লি)
    বিক্কিনা অভিনব চৌধুরী (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    মালয় কেডিয়া (আইআইটি, দিল্লি)
    নাগিরেড্ডি বালাজি রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)
    ইয়াকান্তি পানি ভেঙ্কটা মানেন্দর রেড্ডি (আইআইটি, হায়দরাবাদ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রায়ই বলেন, ‘‘আমাদের দুটি অপরিসীম শক্তি আছে। একটি হল জনসংখ্যা এবং অপরটি গণতন্ত্র। পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি যুবক এখন রয়েছেন ভারতে। সরকার সম্পূর্ণভাবে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়।’’ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রূপায়ণের ফলে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে গেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিকে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তির ওপর এবং বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৯ বছরে রেকর্ড সংখ্যায় আইআইটি, আইআইএম, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশ জুড়ে স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এখনও অবধি ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবক স্কিল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই রোজগার মেলার আয়োজন করেছে। ১০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের যুবসমাজকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহ দিতে আনা হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট। কর্মসংস্থান তৈরির বদলে ছোট বড় উদ্যোগপতি নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্র। যাতে বর্তমান যুবসমাজ চাকরিমুখী হওয়ার থেকে চাকরিদাতা হতে পারে। এই উদ্দেশ্যে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে ২০১৬ সাল থেকে।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, যুব সমাজের জন্য মোদি সরকারের (PM Modi) প্রয়াস  

    ১) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুব অ্যাথলেটিকদের তুলে আনা হচ্ছে খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রচেষ্টার ফল ভারত দেখেছে টোকিও অলিম্পিকে, ২০২১ সালে। এর ফলে অলিম্পিকে ৭টি মেডেল পায় ভারত।

    ২) প্রায় ৪০ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হল। শিক্ষাকে সময়োপযোগী এবং কর্মমুখী করে তোলার এক অনবদ্য প্রয়াস মোদি সরকারের।

    ৩) যুব উদ্যোগপতি বানাতে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট  চালু করা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকেই।

    ৪) ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবককে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীনে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

    ৫) গত ৯ বছরে নতুন সাতটি আইআইএম চালু করা হয়েছে।

    ৬) প্রধানমন্ত্রী শ্রী যোজনার আওতায় ১৪,৫০০ স্কুলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

    ৭) ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২৩ লক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাকরি তৈরি করা গেছে, স্টার্ট আপ প্রজেক্টের মাধ্যমে।

    ৮) অধিক সংখ্যায় AIIMS তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশে যার সংখ্যা ২৩টি।

    ৯) ৭ টি নতুন আইআইটি তৈরি হয়েছে। সারা দেশে আইআইটির সংখ্যা এখন ২৩। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছিল ১৬ টি আইআইটি। অন্যদিকে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছে ৭ টি আইআইটি।

    ১০) পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৪৬৬। অন্যদিকে বিগত ৯ বছরে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৬২৩। বর্তমানে মোট আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ৫২ হাজার ১৩৯।

    ১১) পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৪১ টি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। ৯ বছরের মোদি সরকারের জমানায় কলেজের বাড়ানো হয়েছে ৭০০টি। বর্তমানে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১,৩৪১।

    ১২) সারা দেশে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৭২৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। মোদি জমানায় গত ৯ বছরে আরও ৩৯০ টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১,১১৩।

    ১৩) ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে দেশের কমনওয়েলথ গেমসে (২০২২) ৬১টি মেডেল এনেছেন আমাদের যুব ক্রীড়াবিদরা।

     

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি মানেই নতুন ইনোভেশন। সম্প্রতি, আইআইটি মাদ্রাজের গবেষকরা এমন একটি সিস্টেমের ডেভলপমেন্ট করেছেন  যা সমুদ্রের ঢেউ-এর তরঙ্গ ( Wave Energy) থেকে শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে৷ সিস্টেমটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সিন্ধুজা-১। গবেষকরা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিন্ধুজা-১ কে স্থাপন করেছিলেন, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা প্রায় ২০ মিটার। সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  বর্তমানে ১০০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আগামী তিন বছরে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন। 

    কী বলছেন আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক?

    Department of Ocean Engineering, IIT Madras এর প্রফেসর সামাদ বাবু বলেন,
    “বর্তমানে আপনি যদি চেন্নাইয়ের মতো একটি শহর বা এর থেকেও যেকোনও ছোট শহর গড়ে তুলতে চান তবে প্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করা অনেক সস্তা। কিন্তু দূরবর্তী স্থানের ক্ষেত্রে, যেমন ধরুন কোনও দ্বীপ, এক্ষেত্রে সমুদ্রের উপর দিয়ে  বিদ্যুৎ পরিবহনের খরচ অনেক বেশি। ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ( Wave Energy)  এক্ষেত্রে কার্যকরী উপায়”।

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  কীভাবে কাজ করছে?

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) , আসলে হল একটি ভাসমান buoy, এতে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মডিউল এবং একটি spar. ঢেউগুলির গতি অনুযায়ী buoyটি উপরে এবং নীচে চলে যায়। এই buoy এর কেন্দ্রে একটি ছিদ্র রয়েছে যা spar-কে এটির মধ্য দিয়ে যেতে দেবে। ঢেউয়ে buoyটি  যাতে সরে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য sparটি সমুদ্রের তলায় স্থির রাখা হয়। ঢেউ-এর কারণে যখন buoyটি  নড়ে এবং sparটি  স্থির থাকে তখন উভয়ের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি হয়। এই আপেক্ষিক গতির সাহায্যে, একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর  শক্তি উৎপাদন ( Wave Energy)  করে।

    তবে সিস্টেম থেকে উৎপাদিত শক্তিকে ( Wave Energy)  ব্যবহার করতে পারে এমন কোনও ডিভাইস নেই। গবেষক দলটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবস্থানে remote water desalination system এবং একটি নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে৷ আবহাওয়ার পরিবর্তন  বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে নাকি তারজন্য আরও পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share