মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Central Government)। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। এই কারণেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে (Central Government) বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে দিল্লি। জানা যাচ্ছে, একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এবং অসম রাইফেলসকেও। বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত পাহারা দিয়ে থাকে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কী বলা হল নির্দেশিকায়
সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে সন্দেহজনক বাংলাদেশি এবং মায়ানমারের বাসিন্দার যাঁরা নিজেদের ভারতের বাসিন্দা বলে দাবি করে, তাঁদের তিরিশ দিনের মধ্যে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের মূলত রোহিঙ্গা জাতির মানুষ ভারতে নানা প্রান্তে রয়েছে। ভারত সরকার (Central Government) তাদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতিও দেয়নি। কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে রোহিঙ্গা জনজাতির মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বহু মানুষ আইনি ও বেআইনি পথে এসে আর ফিরে যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
গুজরাটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতকরণ অভিযান
সপ্তাহ দুই হল ভারত সরকার বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। গুজরাট থেকে ৭৮ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনী। গুজরাট সরকার ইতিমধ্যে ছয় হাজারের বেশি সন্দেহজনক বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে। তারা নিজেদের ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দা বলে মিথ্যা দাবি করেছে। তাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে (Central Government) বলে জানা যাচ্ছে। নথিপত্র দিয়ে ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের এদেশে আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এই আবহে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।