Tag: india America relation

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: “মোদি আমার মহান বন্ধু, অত্যন্ত বুদ্ধিমান”, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার মহান বন্ধু। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি মোদির কোনও স্তাবক নন, বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রীও নন, সাধারণ মানুষ তো ননই। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল মোদি-স্তুতি। এই বৈঠকেই তিনি ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতির প্রতি তাঁর অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন।

    ‘তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন’ (Donald Trump)

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন, এবং আমরা সবসময় খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আদায়কারী দেশগুলির মধ্যে একটি। তারা খুব স্মার্ট। তিনি একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং আমার একজন মহান বন্ধু। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালোভাবেই গড়ে উঠবে। আমি বলতে চাই, তোমাদের একজন মহান প্রধানমন্ত্রী আছেন।”

    ‘শুল্ক রাজা’

    প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল থেকে আমেরিকা ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একে ‘শুল্ক রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের আমদানি শুল্ককে ‘অত্যন্ত অন্যায্য ও কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক আছে। ভারত সম্পর্কে আমার একমাত্র সমস্যা হল তারা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। আমি মনে করি, তারা সম্ভবত এই শুল্কগুলি যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা তাদের ওপর সেই একই শুল্ক আরোপ করব, যা তারা আমাদের ওপর আরোপ করে।”

    এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “১২-১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে গভীরতর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ন্যায্যতা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন – ‘মিশন ৫০০’ – যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য ও সেবার দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা… উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের শরৎকালের মধ্যে একটি পারস্পরিকভাবে উপকারী, বহু-ক্ষেত্রীয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) প্রথম কিস্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।”

    কীর্তি বলেন, “দুই সরকারই এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে এবং বিটিএ-র জন্য একটি কাঠামো (PM Modi) গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হল পণ্য ও সেবা খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা, পাশাপাশি বাজার প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমানো এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের একীকরণকে গভীরতর করা (Donald Trump)।”

  • Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Trump Modi) আমেরিকা সফর খুব ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Trump Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এটা আমার পুরো জীবন ধরে করে আসছি, তাই আমার কিছু রেফারেন্স পয়েন্ট আছে এবং তুলনামূলক মূল্যায়নের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বলব, আমার মনে হয়েছে, সফরটি খুব ভালো হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “লোকেরা জানে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন খুব শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তিনি সেই জাতীয়তাবোধকে বিকিরণ করেন।”

    ট্রাম্প-প্রশস্তি

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী। আমার মনে হয় অনেকভাবে জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সম্মান করেন। তাঁরা খুব স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য কাজ করেন, ট্রাম্প স্বীকার করেন যে মোদি ভারতের জন্য কাজ করছেন, মোদিও স্বীকার করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার জন্য কাজ করছেন (Trump Modi)।” জয়শঙ্কর বলেন, “আমি অনুভব করেছিলাম… রসায়নটি (মোদি-ট্রাম্পের) ভালো ছিল। আবারও, ট্রাম্প কিছুটা অস্বাভাবিক, বিশ্বে অনেক অন্যান্য নেতা রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক ইতিহাস নেই। কিন্তু মোদিজির ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। তিনি (ট্রাম্প) ভারতে দুর্দান্ত একটি সফর করেছিলেন, যা তিনি মনে রেখেছিলেন।”

    জয়শঙ্কর এদিন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ওপর একটি ছবির বইয়ের উল্লেখ করেন। বলেন, “তাঁকে জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্প নিজেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছবি বেছে নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ভারত সম্পর্কে।এতে ২০২০ সালে তাঁর সফরের সময় আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের একটি ছবিও ছিল।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে হয় আমেরিকার স্বার্থ সম্পর্কে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তিনি কী চান এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে কী চান। আমাদেরও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরাও আমেরিকার সঙ্গে সুযোগ এবং চাহিদা নিয়ে কথা বলছি (S Jaishankar)। তাই আমি মনে করি, এ নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমি বলতেই পারি, এটি খুব ভালো মনোভাব, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে (Trump Modi)।”

  • Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! বন্ধু মোদির (PM Modi) ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। তার প্রমাণ মিলল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ওই বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পড়শি দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যে আমেরিকার কোনও গোপন ভূমিকা নেই, তাও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    আমেরিকা সফরে মোদি (Donald Trump)

    ফ্রান্স সফর সেরে দুদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হোয়াইট হাউসে আসেন মোদি (Donald Trump)। সেখানেই হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই সেই বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এ সংক্রান্ত খবরাখবর পড়ছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদির ওপরই ছাড়তে চাই।”

    কী বললেন ভারতের বিদেশ সচিব

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদি। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলছেন।”

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। হাসিনা সংক্রান্ত নথিপত্রও ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ভারতে। এর পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডিতে হাসিনার সুধা সদনেও। হাসিনার কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় জনতার একাংশ। ইউনূস ও তাঁর সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য বারবার দাবি করছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত। কয়েকটা জায়গায় অশান্তি হলেও, আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি সমাল দিচ্ছে। ভারতের উদ্বেগপ্রকাশকে অনভিপ্রেত বলছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার মোদির (PM Modi) ওপরই ছাড়লেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

LinkedIn
Share