মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ট্রেনেই যাওয়া যাবে ভুটানে (India Bhutan Rail Link)। শীঘ্রই রেলপথে জুড়তে চলেছে দুই দেশ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে (India Bhutan Relations) নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে একসঙ্গে এক জোড়া নতুন রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে একটি রেল প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। ভুটান যাত্রা সহজ করতে সোমবার দুটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি জানান, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে মোট ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। একটি রেলপথ যাবে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে ভুটানের সামৎসে পর্যন্ত। অন্যটি হবে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর পর্যন্ত।
মোদির সফরে পাকা কথা…
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর ভুটান সফরে গিয়ে এই রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) চুক্তিতে সাক্ষর করেছিলেন। ভারত সফরে এসে সোমবার এই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলমোহর দিলেন ভুটানের বিদেশসচিব। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভুটানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। ভারত ও ভুটান দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত হল ভুটানের সবথেকে বড় বাণিজ্য সঙ্গী। ভুটানের যাবতীয় আমদানি-রফতানি ভারত হয়ে হয়। ফলে ভুটানের আর্থিক উন্নতিতে এই রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই ৮৯ কিলোমিটার ভুটানকে ভারতের ১,৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে।”
রেলমন্ত্রক যা বলল
রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত দুটি রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) জন্য খরচ পড়বে আনুমানিক ৪০৩৩ কোটি টাকা। বাংলা ও ভুটানের এই রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী ৩ বছরের সম্পন্ন হয়ে যাবে। বানারহাট থেকে সামৎসে পর্যন্ত রেলপথে থাকবে দু’টি স্টেশন। একটি বড় ও ২৪টি ছোট উড়ালপুল, ৩৭টি ভূগর্ভপথ। অন্যদিকে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর-এর মধ্যে ৬টি স্টেশন থাকবে। এই পথে দুটি উচ্চ সেতু, ২৯টি বড়, ৬৫টি ছোট সেতু এবং একটি উড়ালপুল থাকছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৪ বছর।
বিদেশমন্ত্রক যা জানাল
বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘দুই দেশের সরকার এই সীমান্তপার প্রকল্পের জন্য সায় দিয়েছে। এটাই ভুটানের সঙ্গে প্রথম রেল যোগযোগ প্রকল্প (India Bhutan Relations)। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে একটি মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রেললাইনের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সুবিধা হবে। ভুটানের পণ্য খুব সহজেই পৌঁছে যাবে ভারতে। সেখান থেকে ছড়িয়ে যেতে পারবে সারা বিশ্বে (India Bhutan Rail Link)। যার ফলে সেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। শুধু তাই নয়, ভারতও আরও সহজে নিজেদের পণ্য পাঠিয়ে দিতে পারবে ভুটানে। এতে ভারতেরও কিছুটা লাভ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর মাধ্যমে পর্যটকরাও খুব সহজে ভুটান যেতে পারবেন। তাদের আর বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ভুটানের ভালো পর্যটনেরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।