Tag: India-Brazil Relation

  • India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে অতিষ্ঠ ভারত-ব্রাজিল (India Brazil Relation)। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার। সূত্রের খবর, আসন্ন ব্রিকস ফোরামে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে একটি যৌথ ও সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যেই এই ফোনালাপ (PM Modi talk with President Lula)। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    কেন কথা দুই দেশের

    এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে দেশের উপরে শুল্ক বা ট্যারিফ বসিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ট্য়ারিফ ভারত ও ব্রাজিলের (India Brazil Relation) উপরেই। ভারতের উপরে যেমন তাঁর রাগ রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য, তেমনই আবার ব্রাজিলে স্রেফ পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জয়েস বলসেনারোকে ফিরিয়ে আনতে শুল্কের খাঁড়া বসিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছিলেন, ফোন করতে হলে তিনি ট্রাম্পকে নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করবেন। যেমন বলা তেমন কাজ। গতকালই তিনি মোদিকে ফোন করেন এবং এক ঘণ্টা কথা বলেন। এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-ব্রাজিল পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা ফলপ্রসূ বললেন মোদি

    সমাজমাধ্যমে মোদি জানিয়েছেন, এর আগে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ব্রিকস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল। তার পরে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’ নিয়ে ফোনালাপে ‘ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি, বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রাজিল দুই দেশ কৌশলগত ভাবে পরস্পরকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। মোদীর দাবি, এর ফলে দক্ষিণের দেশগুলিও উপকৃত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদীর কাছে প্রথম ফোন এসেছিল ব্রাজিলের তরফেই। জানা গিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ও।

    ভারতে আসবেন লুলা

    সমাজমাধ্যমে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এক তরফা শুল্ক আরোপ’-এর পরে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ও ব্রাজিল দু’টি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহত্তম সংহতি ‘অন্বেষণ’-এ জোর দিচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ব্রিকসের একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন লুলা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে ব্রাজিলের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই ধরনের শুল্ককে “অস্থিতিশীল” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তিনি সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভারতে আসবেন। লক্ষ্য হবে মূলত বাণিজ্য। উপস্থিত থাকবেন সে দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরাও। আলোচনা হতে পারে খনিজ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। লুলার আরও দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড়। ভারত ও ব্রাজিল (India-Brazil Relation) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ করে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও পাশে থাকবে ভারতের ব্রাজিল। মঙ্গলবার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকের পরে এই কথাই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবদানের কথা মেনে নেন লুলা। তাই মোদিকে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অফ দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করা হয়।

    সন্ত্রাসের বিরোধিতায় পাশাপাশি

    পাকিস্তান এবং চিনের নাম না করেই ব্রাজিল থেকে দুই দেশকে বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং ব্রাজিল দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ এবং যারা এই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে তাদের বিরোধিতা করছে।’ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরে, সাংবাদিক সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একই রকম। এই ক্ষেত্রে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছি। এই ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই।’ এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলার পরে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ব্রাজিল। এই জন্য এ দিন আবার সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদি।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি

    দুই দেশের (India-Brazil Relation) প্রতিনিধিদের মধ্যে এ দিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং ওষুধ, মহাকাশ, খাদ্য এবং জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সুপার কম্পিউটার, ডিজিটাল সহযোগিতার মতন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা। এ দিন একাধিক চুক্তিতেও স্বাক্ষর করছে ভারত এবং ব্রাজিল। দুই দেশের মধ্যে শক্তি, কৃষি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধসহ মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    ভারত-ব্রাজিল রঙিন সম্পর্ক

    ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক (India-Brazil Relation) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি বলেন, “আমরা চাই ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক রঙিন কার্নিভালের মতো, ফুটবলের মতো আবেগময় এবং সাম্বার মতো হৃদয়স্পর্শী – ভিসা কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনের দরকার নেই!” তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উভয় নেতা সম্মত হন যে, সমস্ত বিরোধ আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। মোদি বলেন, “ভারত-ব্রাজিল অংশীদারিত্ব বিশ্ব স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। সেটিকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পাশাপাশি শক্তি খাতে সহযোগিতাও বাড়ছে। মোদি বলেন, “পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি দুই দেশেরই অগ্রাধিকার। আজকের এই চুক্তি আমাদের সবুজ লক্ষ্যে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।” প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোদি জানান, “আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের মধ্যে গভীর আস্থা ও বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে।”

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক

    দুই দেশ (India-Brazil Relation) এখন ব্রাজিলে ভারতের ইউপিআই (Unified Payments Interface) চালু করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মোদি। তিনি বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভিজ্ঞতা ব্রাজিলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।” মোদি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সুপারকম্পিউটিং ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়ছে, যা দুই দেশের মানব-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের প্রতিফলন। কৃষি গবেষণা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসারের ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত-ব্রাজিল সমন্বয় প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “দুটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের সহযোগিতা শুধু গ্লোবাল সাউথের জন্য নয়, গোটা মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে আমাদের যৌথ দায়িত্ব এই অঞ্চলের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা।” মোদি-লুলার এই বৈঠক ভারত-ব্রাজিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    সম্মানিত মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রাজিলের (PM Modi in Brazil) সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করল সে দেশের সরকার। ভারত-ব্রাজিলের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই সম্মান প্রদান করেন। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এটি মোদির ২৬তম আন্তর্জাতিক সম্মান।

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share