Tag: India China LAC

India China LAC

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের শুরু হয়েছে চিনা সেনাদের উৎপাত। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে৷ আর এবারে এই ঘটনা নিয়েই চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত আর ১৯৬২ তে নেই। যদি কেউ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে তাকে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা যোগ্য জবাব দেবে।  

    কী ঘটেছিল?

    চলতি মাসের ৯ তারিখ তাওয়াংয়ে (Tawang) দুই দেশের সেনা জওয়াানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতীয় জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর এই অবস্থায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিনের সেনা জওয়ানরাই বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে কোনও প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনারাও। অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হার মেনে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।

    আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    চিনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় গতকাল চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চিনের সেনাকে আটকে দিয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।”

    অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এরপরেই ভারত-চিন সংঘর্ষ(Tawang) নিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিলেন পেমা খাণ্ডুও। তিনি বলেছেন, “এটা ১৯৬২ সাল নয়। যদি কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তাকে কড়া জবাব দেবে ভারতীয় বীর জওয়ানরা। অনুপ্রবেশের কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইয়াংতসে আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। প্রত্যেক বছর আমি সেনা জওয়ান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করি।” আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ফলে চিনারা পিছু হটতে বাধ্য হলে তিনি জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমাদের জওয়ানরা ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয় না, ইটের জবাব লোহা দিয়ে দেয়।”

LinkedIn
Share