Tag: India China relation

India China relation

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর সামরিক সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India China Relation)। সেই সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ভারত ও চিন ঐক্যমত্যে পৌঁছতে বুধবার ছ’দফা চুক্তি করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নদীর সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নাথুলা সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করা হয়।

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধরাও কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কৈলাস পর্বত দর্শন করে আনন্দ লাভ করেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই কৈলাসই মহাদেবের বাসস্থান। ২০২০ সালের আগে ফি বছর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় যেতেন পুণ্যার্থীরা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। পরে করোনা-পর্ব চুকে গেলেও, চিনের টালবাহানায় আর শুরু হয়নি যাত্রা। সম্প্রতি সেই যাত্রাই ফের চালু হতে চলেছে বলে খবর। তবে কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি (Kailash Mansarovar Yatra) চিন কিংবা ভারতের বিবৃতিতে (India China Relation)।

    আরও পড়ুন: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    তবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধিরা সীমান্ত পেরিয়ে সহযোগিতা ও বিনিময়ের জন্য ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু করা, সীমান্ত পেরিয়ে নদীর তথ্য শেয়ারিং এবং সীমান্ত বাণিজ্য। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি (ডোভাল এবং ওয়াং) সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতেই এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জোর দিয়েছেন যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক উন্নয়নে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: “বেজিংয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ যোগাযোগ বজায় রাখতে ইচ্ছুক দিল্লি”, বললেন ডোভাল

    India China Relation: “বেজিংয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ যোগাযোগ বজায় রাখতে ইচ্ছুক দিল্লি”, বললেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেজিংয়ের সঙ্গে বাস্তবসম্মত পদ্ধতিতে ফলপ্রসূ যোগাযোগ বজায় রাখতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি।” বুধবার ভারত-চিন বৈঠক শেষে কথাগুলি বললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তিনি বলেন, “সীমান্ত (পড়ুন, ভারত-চিন) সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালাবে দুই দেশ।”

    কী বললেন ডোভাল? (India China Relation)

    বুধবার বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২৩তম ভারত ও চিনের বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই উপস্থিত ছিলেন। ডোভাল বলেন, “গত পাঁচ বছরে উভয় পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় সীমান্ত অঞ্চলের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির সঠিকভাবে সমাধান হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বাস্তবসম্মত পদ্ধতিতে চিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ যোগাযোগ বজায় রাখতে ও সীমান্ত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধানের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।”

    চিনের বিবৃতি

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ওয়াং ই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজানে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘এ বছরের অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি কাজানে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন, যেখানে তাঁরা সীমান্ত অঞ্চলের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সমাধানে চিন ও ভারতের অগ্রগতিকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন এবং চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’’

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী, সংবিধান-বিরোধী”, সংসদে তোপ শাহের

    দুই দেশের নেতারা কৌশলগত এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন-ভারত সম্পর্ককে দেখার ওপর জোর দিয়েছেন, এবং একটি সঙ্কটময় মুহূর্ত থেকে চিন-ভারত সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের দিকনির্দেশ স্পষ্ট করেছেন। চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আগামী বছর চিন ও ভারতের (India China Relation) মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে। গত ৭০ বছরে চিন-ভারত সম্পর্কের উত্থান-পতন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, উভয় পক্ষের সবচেয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা হল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশের নেতাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনা মেনে চলা, একে অপরকে সঠিকভাবে বোঝার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতিতে (Ajit Doval) অটল থাকা এবং আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে মতপার্থক্য সঠিকভাবে মোকাবিলা করা (India China Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: “গালওয়ানের মতো ঘটনা এড়ানো উচিত”, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বললেন রাজনাথ

    India China Relation: “গালওয়ানের মতো ঘটনা এড়ানো উচিত”, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গালওয়ানের মতো ঘটনা এড়ানো উচিত।” চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের (India China Relation) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বুধবার লাওসের ভিয়েনতিয়ানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন রাজনাথ এবং চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন। লাদাখে সেনা অপসারণের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন দুই প্রতিবেশী দেশের দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    কী বললেন রাজনাথ? (India China Relation)

    বৈঠকে রাজনাথ বলেন, “বিশ্বের দুটি বৃহত্তম জাতি ভারত ও চিনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” তিনি বলেন, “যেহেতু উভয় দেশই প্রতিবেশী এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে, তাই আমাদের সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার উপর জোর দিতে হবে।” দুই নেতা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি এবং চার বছরের বেশি সময় ধরে যেখানে দুই পক্ষ অচলাবস্থায় ছিল সেই এলাকাগুলিতে সেনা অপসারণ নিয়ে পর্যালোচনা করেন। রাজনাথ বলেন (India China Relation), “২০২০ সালের দুর্ভাগ্যজনক সীমান্ত সংঘর্ষ থেকে উভয় দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি চাই।”

    সহযোগিতার দিকে মনোনিবেশের প্রস্তাব

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে সীমান্তে সেনা অপসারণ চুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পরে এটিই ছিল দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম বৈঠক। সেখানে রাজনাথ বলেন, “আমাদের সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।” বুধবার থেকে তিন দিনের লাওস সফরে গিয়েছেন রাজনাথ। আসিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক প্লাসে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ১০-দেশের আসিয়ান এবং এর আটটি ডায়ালগ পার্টনার – ভারত, চিন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া এবং আমেরিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ফোরামের বর্তমান চেয়ারম্যান লাওস। তারাই আয়োজন করেছে এই বৈঠকের।

    আরও পড়ুন: ভারত-ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের সম্পর্ক মজবুত করতে সাত দফা প্রস্তাব দিলেন মোদি

    উচ্চ হিমালয় অঞ্চলের লাদাখে সামরিক অচলাবস্থা প্রধানত পাঁচটি অঞ্চলে ঘটে, যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবস্থিত। এগুলি হল, গালওয়ান, প্যাংগং, গোগরা হট স্প্রিংস, দেপসাং এবং ডেমচক। গালওয়ানে দুই দেশের সংঘাতের পর তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-চিন সম্পর্ক (Rajnath Singh)। সেই সম্পর্কেরই বরফ গলছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের (India China Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে, বলছে বেজিং

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে, বলছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ এখন অতীত। বরফ গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation)। দুই দেশের মধ্যে ফের চালু হবে সরাসরি বিমান চলাচল। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের। চিনা বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে।

    জয়শঙ্কর-ওয়াং ই বৈঠক (India China Relation)

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে চলছে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সেখানেই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফের উড়ান চালু এবং আবার কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা চালু নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত ডেপসাং এবং দেমচোক এলাকায় সেনা বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হল এই বৈঠক। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই পদক্ষেপ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।”

    বন্ধ ছিল উড়ান, তীর্থযাত্রাও

    করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। কোভিড বিধি শিথিল হলেও, সরাসরি বিমান চলাচল আর শুরু হয়নি। ওই বছর মে মাসে লাদাখে উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের (India China Relation) মধ্যে। পরের মাসে গলওয়ানে সংঘর্ষ ঘটে। শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। ক্ষতি হয় চিনের লালফৌজেরও। যদিও তাদের ঠিক কতজন সেনা হতাহত হয়েছে, তা সরকারিভাবে জানায়নি বেজিং। তবে, বেসরকারি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, সংখ্যাটি ৪০-এর বেশি। এর পরেই সীমান্তে উভয় পক্ষের সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি পায়। উত্তেজনা প্রশমনে সামরিক পর্যায়ের আলোচনাও শুরু হয়। একটি নোটে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ফ্লাইট এবং তীর্থযাত্রা ফের শুরু করা, সীমান্ত পেরনো নদীগুলোর তথ্য ভাগাভাগি এবং মিডিয়া এক্সচেঞ্জের বিষয়ে আলোচনা করেছেন জয়শঙ্কর এবং ওয়াং।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    ভারতের একটি ধারাবাহিক বিদেশনীতি রয়েছে বলে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা মাল্টিপোলার বিশ্বের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে একটি মাল্টিপোলার এশিয়াও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের ক্ষেত্রে, এর বিদেশনীতি নীতিগত এবং ধারাবাহিক, যা স্বতন্ত্র চিন্তা এবং পদক্ষেপের দ্বারা চিহ্নিত। আমরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠার একতরফা পন্থার বিরোধী। ভারত তার সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে দেখে না (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চিন (China)। ভারতের শিল্প প্রবৃদ্ধির গতি (Indias Growth) রোধ করতেই চিন অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতির রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো খনিজ। এগুলি সৌরশক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টানেল-বোরিং মেশিন রফতানিতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই মেশিন মূলত ব্যবহৃত হয় মেট্রো নির্মাণের মতো পরিকাঠামো প্রকল্পে।

    নয়া উপায় উদ্ভাবন (China)

    তবে চিন ভারতের সাপ্লাই চেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও, ভারতীয় আমদানিকারীরা একটি নয়া উপায় বের করে ফেলেছেন। দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করে ঝামা ঘষে দিয়েছে বেজিংয়ের মুখে। সচল রয়েছে সাপ্লাই লাইন। ২০২৩ সালের অগাস্টে চিন (China) গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রফতানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য কেবলমাত্র ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে।

    ভায়া দুবাই আমদানি

    মোদি জমানায় রকেট গতিতে এগোচ্ছে দেশ। এই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওই খনিজগুলি ভারতের দ্রুত বেড়ে ওঠা রিউনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি খাতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত সৌর সেল ও মডিউল তৈরিতে। চিন ওই খনিজগুলির বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদেরই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং। তার জেরে ভারতের সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অগ্রগতি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাই ভারতীয় আমদানিকারীরা এই খনিজ পদার্থ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দুবাইয়ের মাধ্যমে আমদানি করছে ভারতে।

    জানা গিয়েছে, এখন ক্যাপিট্যাল গুডসগুলি প্রথমে আমদানি করা হয় দুবাইয়ে। সেখানে সেগুলি বিক্রি করা হয় ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলির কাছে। কখনও কখনও আবার লিজও দেওয়া হয়। ফলে সরাসরি এড়ানো যায় চিনের রফতানি নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    সূত্রের খবর, দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলি চিন থেকে যন্ত্রপাতি লিজে নেয় বা আমদানি করে। পরে সেগুলি রফতানি করে ভারতে। এই পদ্ধতি ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সাহায্য করে। এতে অবশ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনও লঙ্ঘিত হয় না। এই পদ্ধতির সব চেয়ে বড় ত্রুটি হল হাতফের হওয়ার দরুণ প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। যে জিনিস আসতে ১৫ দিন লাগত, সেটাই হাত ঘুরে আসতে সময় লাগছে তিন মাস (Indias Growth)। এছাড়া, লজিস্টিকস, গুদামজাতকরণ এবং অর্থায়ন সম্পর্কিত অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হচ্ছে (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! চার বছরেরও বেশি সময় পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর টহল দেওয়া (Patrolling Begins) শুরু করেছে ভারতীয় ও চিনা সেনারা। ২০২০ সালে গলওয়ানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    শুরু টহলদারি (LAC)

    বৃহস্পতিবার, দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেপসাং এবং দেমচক এলাকায় সেনারা টহল দেন। মিলিটারি ডিসএনগেজমেন্টের একদিন পর শুরু হয়েছে এই টহলদারি। ২০২০ সালের মে-জুন মাসে প্যাঙ্গং লেক ও গলওয়ান অঞ্চলে সংঘর্ষের পর এই দুই এলাকায় প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টহল বন্ধ ছিল। ভারত-চিনের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। দুই দেশের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে টহল সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটানো। এই বিচ্ছিন্নতা চুক্তির আওতায় ডেপসাং এবং দামচোক থেকে সৈন্য ও পরিকাঠামো অপসারণ করা হয়। এপ্রিলে ২০২০-র আগের অবস্থানে সৈন্যদের প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

    দীপাবলি

    দীপাবলি উপলক্ষে, গতকাল পাঁচটি জায়গায় যেমন লাদাখের চুশুল মল্ডো এবং দৌলত বেগ ওল্ডি-তে, সৈন্যরা মিষ্টি বিনিময় করেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন দেখছে, চিন চুক্তি অনুসারে সত্যিই তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেছে কি না। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে প্রতিটি পক্ষের স্থল-স্তরের কমান্ডাররা টহল দেওয়ার আগে একে অপরকে অবহিত করবেন (LAC)। দেপসাং ও দেমচকে উভয় পক্ষই নজরদারির বিকল্পগুলি বজায় রাখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    বৃহস্পতিবারই সেনার তরফে জানানো হয়, দেমচক ও দেপসাংয়ে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুই দেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা। সীমান্ত এলাকায় যাতে কোনও (Patrolling Begins) ভুল বোঝাবুঝি না হয়, তাই সেদিকেও নজর রাখবেন তাঁরা (LAC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে দেপসাং সমতলভূমি ও দেমচকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। ভারতীয় সেনবাহিনী সূত্রে (LAC) এ খবর আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে চিনের (China) তরফেও জানানো হল, চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে (সেনা প্রত্যাহার) ব্যস্ত রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।

    কী বলছে চিনা বিদেশমন্ত্রক (China)

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারতের মধ্যে যে সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ পরিচালনা করছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।” বলা বাহুল্য, কাজ বলতে তিনি সেনা প্রত্যাহারের কথাই বলেছেন। শনিবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভবত ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে এই এলাকাগুলির ভূখণ্ড এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তার একটা কারণ হল আমাদের পক্ষ থেকে খুব দৃঢ় প্রচেষ্টা করা ও আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সামরিক বাহিনী এলএসিতে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল। সামরিক বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছে, কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে (China)।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে যা সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।” সমাধানের বিভিন্ন দিক রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমত চাপের বিষয় হল বিচ্ছিন্নকরণ, কারণ সেনাবাহিনী একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে ডি-এসক্যালেশন। কারণ উভয় পক্ষেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এরপর রয়েছে বৃহত্তর একটি বিষয়, কীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে (LAC) আলোচনা করা হবে। বর্তমানে যা কিছু চলছে তা প্রথম দিক নিয়ে, অর্থাৎ বিচ্ছিন্নকরণ নিয়ে (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত এবং চিন (India China Relation)। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে লাদাখের (Ladakh) ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলও। শুক্রবার তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলো এর প্রমাণ দিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে একাধিক স্থানে কাঠামোগুলোর হ্রাস দেখা গিয়েছে, যা ভারত-চিন দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের শেষের সংকেত হতে পারে। শীতের আগে দুই দেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    স্যাটেলাইট চিত্র প্রমাণ

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে সেনা যেখানে ছিল সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই দেশের সেনাকে। মার্কিন ভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট চিত্রে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন কাঠামো এবং আশ্রয়স্থল ভাঙার চিত্র দেখা গিয়েছে। অঞ্চলটিতে এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিনা কাঠামো রয়ে গেছে, যা সংঘাতকালীন সময়ে তাদের উপস্থিতির মাত্রা নির্দেশ করে। তবে, ভারতের আশা কথা রাখবে চিন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগের ছবিতে যে জায়গায় কাঠামোগুলি ধরা পড়েছিল এখন সে জায়গায় নেই।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    সীমান্তে শান্তি কাম্য

    চিনের (India China Relation) সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। আর এবার সেই জটই কাটতে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India China Relation) দুই দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল শুক্রবার। এদিন সকাল থেকে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করল ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সৈন্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে, চিনেরও সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    শুরু হল সেনা সরানোর প্রক্রিয়া

    পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন (India China Relation) সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল। দুই পক্ষেরই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই সব এলাকায়। অবশেষে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটছে। গত সোমবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে। বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরফ গলার ইঙ্গিত দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, লিন জিয়ান-ও। এরপর বুধবার, রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমান্তরালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত-চিনের চুক্তিকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    আলোচনার মধ্য দিয়েই অগ্রগতি

    ভারত ও চিনের (India China Relation) মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের যে জায়গাগুলি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ৷ বৃহস্পতিবার চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ অনুষ্ঠানে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)৷ তিনি জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কয়েকটি জায়গায় সেনার প্রহরা দেওয়া এবং গবাদি পশুদের বিচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ ৷ এই চুক্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ৷ রাজনাথ সিং বলেন,“প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মতভেদ ছিল৷ এই বিবাদ মেটাতে দুই দেশ সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করেছে৷ এই কথোপকথনের ফলেই বাস্তবের মাটিতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে একমত হয়েছে দু’দেশ৷ সমানাধিকার এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতিতে এই চুক্তি হয়েছে৷ এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেনার প্রহরা এবং গবাদি পশুদের বিচরণের বিষয় দু’টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ এটাই নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শক্তি৷ কারণ আজ হোক বা কাল, সমাধান মিলবেই৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share