Tag: India Iran Relation

India Iran Relation

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তাঁর সম্মানে মঙ্গলবার ভারতে পালন করা হবে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক (India Iran Relation)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, “প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ২১ মে, মঙ্গলবার সারা ভারতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শোকের দিন দেশের সব ভবনে যেখানে যেখানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা ওড়ে, সেখানে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেদিন কোনও বিনোদন থাকবে না।”

    শোক প্রকাশ মোদির (India Iran Relation)

    ইরানের (India Iran Relation) রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার ও ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে, ইরানের পাশে রয়েছে ভারত।”

    শোক প্রকাশ জয়শঙ্করের

    শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. ইব্রাহিম রাইসি ও বিদেশমন্ত্রী এইচ আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের সঙ্গে আমার বহু বৈঠকের কথা মনে পড়ছে। অতি সম্প্রতি, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও আমরা বৈঠক করেছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে আমরা ইরানের মানুষের পাশে আছি।”

    আর পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি, সর্বোচ্চ পদে এবার কে?

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে পূর্ব আজহারবাইজানে একটি পাহাড়ে গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির (Ebrahim Raisi) কপ্টার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটিতে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। পরে নিশ্চিত করা হয় প্রেসিডেন্ট ও ইরানের বিদেশমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর (India Iran Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    Chabahar Port Contract: নির্বাচন-পর্ব মিটলেই স্বাক্ষরিত হবে ভারত-ইরান চাবাহার বন্দর চুক্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ অপেক্ষার। রূপায়ণ হতে চলেছে ইরানের চাবাহার বন্দর চুক্তি (Chabahar Port Contract)। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছিল। শেষমেশ রাজি হয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। বর্তমানে ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এই পর্ব চুকে গেলেই স্বাক্ষরিত হবে চাবাহার বন্দর চুক্তি।

    চিনকে চাপে রাখার কৌশল! (Chabahar Port Contract)

    ভারতকে চাপে রাখতে বিভিন্ন দেশের বন্দরের দখল নিচ্ছে চিন। এর পরেই ভারতও উদ্যোগী হয় বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নিতে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। ভারত-ইরান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে চাবাহার বন্দরের রশিও চলে আসবে নয়াদিল্লির হাতে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইরানের ওই বন্দর পরিদর্শনে যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি ওই দল যেতে পারে চাবাহার (Chabahar Port Contract) দর্শনে। চাবাহার বন্দর চুক্তির জল যে অনেক দূর গড়িয়েছে, তা জানিয়েছে ইরানও। ইরানিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল কবে ইরান সফরে যান, আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। এই চুক্তির ফলে উভয় তরফই লাভবান হবে।”

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব যে খুব কম নয়, সে ইঙ্গিত মিলেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রওহানি। তাঁর সেই সফরে ভারতের সঙ্গে ইরানের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “চাবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার পর আফগানিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত একটি দেশের সামনে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল।”

    আরও পড়ুুন: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    প্রসঙ্গত, শত্রুদেশ পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট রুট গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই চাবাহার বন্দরের রাশ হাতে নিতে চাইছে নয়াদিল্লি। এই সমুদ্রবন্দরটি বাড়ানো হচ্ছে সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের গ্বদরে চিনের অর্থ সাহায্যে যে সমুদ্রবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে চাবাহার বন্দরের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। ভূকৌশলগতভাবে চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব ভারতের কাছে অপরিসীম। ’২২ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই বন্দরের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন ১০০ কোটি টাকা (Chabahar Port Contract)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Iran Relation: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই হল ভারত-ইরানের, জানেন এর গুরুত্ব?

    India Iran Relation: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই হল ভারত-ইরানের, জানেন এর গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁটছড়া আরও শক্ত হল ভারত ও ইরানের (India Iran Relation)। ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে ভারতের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ৯টি। এর ঠিক ছ’বছর পরে সোমবার ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে সম্পাদিত হয়েছে আরও একটি চুক্তি। সম্প্রতি ইরান সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    চাবাহার বন্দর নিয়ে আলোচনা

    সেখানে ইরানের সড়ক ও আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী মেহরদাদ বাজরাপাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জয়শঙ্কর। সেই বৈঠকেই চাবাহার বন্দরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার পরাকাষ্ঠা তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের এই বন্দরে ভারত যাতে কৌশলগত জলপথের সুবিধে পায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে ইরান ও ভারতের। ২০১৮ সালে ইরান-ভারত (India Iran Relation) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৯টি। সেই সময় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত সুষমা স্বরাজ। চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “চাবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার পর আফগানিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত একটি দেশের সামনে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল।”

    কী লিখলেন জয়শঙ্কর?

    ছ’বছর পরে যখন ইরানের সেই ছাবাহার বন্দর নিয়ে ইরান-ভারত চুক্তি সই হল, তখন বিদেশমন্ত্রীর ভূমিকায় জয়শঙ্কর। দু’ দিনের সফর সেরে যিনি সবে মাত্র ফিরেছেন দেশে। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “তেহরানের সড়ক ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মেহরদাদ বাজরাপাসের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। চাবাহার বন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পারস্পরিক সহযোগিতার মজবুত ভিত গড়তে বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়ে মত বিনিময়ও হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইরানের, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গি-ঘাঁটি

    জানা গিয়েছে, বাজরাপাস একটি জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন জয়শঙ্করকে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের ওই মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সঈদ ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে। সেখানেই দুই রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ছাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন (India Iran Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share