Tag: India Pakistan

India Pakistan

  • Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    Operation Spiderweb: ‘স্পাইডার ওয়েব’-এর ধাঁচে ভারতে হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের! শক্ত হাতে রুখে দেয় এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মাকড়সার জাল’! সাঙ্কেতিক নাম এটাই। অভিযানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল আজ থেকে ঠিক এক বছর ছ’মাস আগে। তার পর থেকে দেড় বছর ধরে চলেছিল প্রস্তুতি। রবিবার রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের স্রেডনি জনবসতির কাছে অবস্থিত ওলেনিয়া বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। নিশানায় ছিল আরও তিনটি বিমানঘাঁটি। ঠিক এক বছর আগে ভারতেও অনুরূপ হামলার (Operation Spiderweb)পরিকল্পনা করেছিল ইসলামিক স্টেট। গত বছর, ভারতের মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইসিসের একটি ঘাঁটি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যেখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনআইএ-র তৎপরতায় এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ছক কষতে আইএস-কে সাহায্য করেছিল পাকিস্তান।

    রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা

    রাশিয়ার একের পর এক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রবিবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’ (Operation Spiderweb), অর্থাৎ ‘মাকড়সার জাল’! ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ৪০টিরও বেশি রুশ সামরিক বিমান। বেছে বেছে সামরিক বিমানগুলি লক্ষ্য করে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)-এর দাবি, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানগুলির মধ্যে ছিল টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২। দু’টিই যুদ্ধে ব্যবহৃত বোমারু বিমান, যা সাধারণত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। হামলাকারী ড্রোনগুলিকে আগে থেকেই ট্রাকে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে। পরে দূর থেকে রিমোট নিয়ন্ত্রিত হামলা চালানো হয়। এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ১১৭টি ড্রোন। আগে থেকেই ট্রাকে করে রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোনগুলি। যাতে কারও নজরে না পড়ে, সে জন্য ড্রোনগুলিকে বোঝাই করে রাখা হয়েছিল সারি সারি কাঠের বাক্সে। প্রতিটি বাক্সে কাঠের ঢাকনার বদলে ছিল ধাতব প্লেট। পরিকল্পনামাফিক ট্রাকগুলিকে রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির কাছাকাছি নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সময়মতো রিমোটের সাহায্যে দূর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ধাতব প্লেটের আবরণ। কাজ শুরু করে দেয় ১১৭টি কোয়াড্রোকপ্টার ড্রোন।

    ভারতেও স্পাইডার-ওয়েব ধাঁচে হামলার ছক!

    গত বছর, ২০২৪ সালের জুন মাসেই মুম্বইয়ে এরকম হামলার ছক কষেছিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইসিস। মহারাষ্ট্রের গ্রামে মজুত করা হয়েছিল ড্রোন। আইএসআইএস-কে এই কাজে পরোক্ষে সাহায্য করেছিল পাক গুপ্তচর (India Pakistan) সংস্থা আইএসআই। ভারতের যে কোনও প্রান্তে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর পেয়েই তখন সক্রিয় হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মহারাষ্ট্রের প্যাডঘা গ্রামে আইএসআইএসের একটি ঘাঁটি খুঁজে পায় তারা। জানা যায়, ওই এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল শাকিব নাচান নামে এক জঙ্গি। ওই গ্রামের নাম পাল্টে ‘আল-শাম’ করে দিয়েছিল নাচান। এমনকি, নিজেকে ওই অঞ্চলের শাসক হিসেবে ঘোষণা পর্যন্তকরে দিয়েছিল। স্থানীয় যুবকদের ব্রেনওয়াশ করে আইসিসের আদর্শ তাদের মধ্য ঢুকিয়ে নাশকতা হামলার জন্য প্রস্তুত করছিল। যুবকদের আইইডি বিস্ফোরণে পারদর্শী করা হচ্ছিল।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখানে ৪৪টি ড্রোন, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং বিভিন্ন নথি পাওয়া গিয়েছিল। এই ড্রোনগুলো মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। বড় জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা ছিল দিল্লি, ও গোয়াতেও। নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জঙ্গিদের এই পরিকল্পনা জানতে পেরেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সতর্কতা জারি হয় দিল্লি, মুম্বই গোয়া, দেশের এই তিন এলাকায়। ভারতীয় গোয়েন্দারা সেই সময় ইন্টারনেটে জঙ্গিদের কথোপকথনে আড়ি পাতে। সেখান থেকেই নানা তথ্য মেলে। গোয়েন্দাদের চেষ্টায় ব্যর্থ হয় জঙ্গিদের পরিকল্পনা। নাচান সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে জেলে রয়েছে তারা।

    পাকিস্তানের চেষ্টা বানচালে সক্রিয় ভারত

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান (India Pakistan) ইতিমধ্যেই চিন থেকে উন্নতমানের ড্রোন সংগ্রহ করেছে। যা অস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ড্রোনগুলো ৮০০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এবং ১৫-২০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছতে পারে। এগুলি ব্যবহার করে আইএসআইএসের মতো গোষ্ঠীগুলো ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যে এই ধরনের হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি এবং সহজলভ্যতার কারণে, এই ধরনের হামলা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তি যুদ্ধের ধরন পরিবর্তন করছে, এবং এটি শুধুমাত্র রাষ্ট্র নয়, বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্যও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

     

     

     

  • PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের এক বার পাকিস্তানকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের বিকানের থেকে পাকিস্তানকে (India Pakistan) নিশানা করেছিলেন মোদি। এবার গুজরাটের (Gujarat) ভুজ। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে সে দেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে! পাকিস্তানকে হয় শান্তি বেছে নিতে হবে, নয়তো তাঁর ‘গুলি’ প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার গুজরাটে ‘রোড শো’ থেকে জনসভা— একাধিক কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    ভারত পর্যটনে বিশ্বাসী, পাকিস্তানে সন্ত্রাসই ব্যবসা

    ভুজের (Bhuj) জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘ভারত পর্যটনে বিশ্বাস করে। কিন্তু পাকিস্তান (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদকেই পর্যটন হিসাবে বিবেচনা করে, যা বিশ্বের জন্য খুবই বিপজ্জনক। আমি পাকিস্তানের জনগণের কাছে জানতে চাই, কী অর্জন করেছে তাঁদের দেশ? আজ ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সেখানে আপনাদের (পাকিস্তান) অবস্থা কোথায়?’’ পাক নাগরিকদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, ‘‘যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে, তারাই আপনাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে!’’ পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ আর পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে হামলার পর আমি ১৫ দিন অপেক্ষা করেছিলাম। আমি আশা করেছিলাম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। কিন্তু সব দেখে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসই তাদের রুটিরুজি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ছিল সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতেই।’’ সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক অস্থিরতার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে পাকিস্তান যখন ভারতের নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল, তখন আমাদের সেনাবাহিনী দ্বিগুণ শক্তি দিয়ে তার জবাব দেয়। ধ্বংস করে ওদের (পাকিস্তান) বিমানঘাঁটি।’’

    পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম দায়িত্বশীল হোক

    শুধু ভুজ নয়, গুজরাটের দাহোদের জনসভা থেকেও সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। পাকিস্তানকে (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদীদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে সে দেশের জনগণের দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মোদির হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মতো রোগ থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করতে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তিতে জীবন কাটাও, রুটি খাও। নয়তো আমার গুলি তো আছেই। যারা সিঁদুর মুছে দিতে আসবে, তাদেরও মুছে যেতে হবে, এটা নিশ্চিত। যারা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে, তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, মোদির সঙ্গে মোকাবিলা করা কতটা কঠিন!’’

  • Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েই ছিল। ২৬টি ‘রাফাল মেরিন’ (Rafale-M Jets) যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে ফ্রান্সের সঙ্গে অবশেষে চুক্তি সই করে ফেলল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার ফ্রান্সের সঙ্গে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে মহার্ঘ প্রতিরক্ষা চুক্তি (India France Deal)। দুই দেশের সরকারের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, ২২টি এক আসনের নৌ-সংস্করণ এবং চারটি দুই আসনের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে সরবরাহ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, লজিস্টিক সহায়তা, কর্মীদের প্রশিক্ষণও চুক্তির আওতায় রয়েছে।

    সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি

    রাফাল-এম (Rafale-M Jets)  বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নৌ-যুদ্ধবিমান, যা শুধু এখন ফ্রান্সের কাছেই রয়েছে। এ বার তা ভারতও পেতে চলেছে। পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েই চলেছে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করায় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই রাফাল বিমানগুলি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত থেকে পরিচালিত হবে। সেখানে বর্তমানে থাকা মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৬টি ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান এলে জলপথ থেকেই আক্রমণ শানাতে পারবে ভারত। এই ২৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ২২টিতে এক জন পাইলট বসার জায়গা থাকছে। বাকি চারটি বিমানে দু’জন করে পাইলট বসতে পারবেন। দুই আসন বিশিষ্ট জেটগুলি কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য। এগুলি বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠানামা করতে পারবে না।

    কবে আসছে নতুন রাফাল এম

    এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আনার চুক্তি হয়। সেগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য। রাফালের প্রথম ব্যাচটি এসে পৌঁছায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। এ বার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌসেনার হাতেও রাফাল শ্রেণির যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাফাল-এম ভারতে আসা শুরু করবে ২০২৮ সাল থেকে ২৯ সালের মধ্যে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে গোটা ডেলিভারির কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৮ সালে ৯টি, ২০২৯ সালে ১২টি এবং ২০৩০ সালে বাকি ৫টি রাফাল-এম ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসবে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রাফাল-এম একটি ক্যারিয়ার-নির্ভর বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যার প্রমাণিত অভিযানক্ষমতা রয়েছে। এটি সমুদ্রে ভারতের আকাশক্ষমতা অনেকগুণ বাড়াবে।” ভারতের স্টোবার-প্রযুক্তির বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকেই উড়ান কিংবা অবতরণ করতে পারবে রাফাল-এম।

    চুক্তির অধীনে কী কী

    সোমবার সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। অন্যদিকে, ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতে ফরাসি রাষ্ট্রদূত থিয়েরি ম্যাতু। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনার উপপ্রধান এবং বিমান ও অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা যথাক্রমে দাসো ও এমবিডিএ- কর্তারা। ডিজিটালি উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং ও ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই চুক্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনায় থাকা ৩৬টি রাফালের জন্যও অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই চুক্তিতে মোট প্রযুক্তি স্থানান্তরের কথা নেই, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র যেমন ‘অস্ত্র’ মিসাইল এবং ডিআরডিও-র তৈরি নৌবাহিনীর এনএসএম ক্ষেপণাস্ত্র রাফাল-এম যুদ্ধবিমানে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চুক্তির আওতায় ভারতে একটি বিমানের ফিউসেলাজ উৎপাদন কেন্দ্র এবং ইঞ্জিন, সেন্সর ও অস্ত্রের এমআরও (মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার ও ওভারহল) কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থাও থাকবে।

    ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের ডুবোজাহাজ!

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা শুরু করেছে এক বিরাট সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। বিমানবাহিনী পাহাড় এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ড্রিল সারছে। দেশের মূলধারার যুদ্ধবিমানগুলি সেখানে আকাশ দাপাচ্ছে। রয়েছে সুখোই স্কোয়াড্রন। বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি বর্তমানে হরিয়ানার অম্বালা এবং আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা— এই দুই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয়। ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের থেকে স্করপিন শ্রেণির ডুবোজাহাজ কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে ভারতের। ওই ডুবোজাহাজগুলির জন্যও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি এখনও তাতে অনুমোদন দেয়নি। এছাড়া, এমআরএফে চুক্তির আওতায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আরও ১১৪টি রাফাল কেনার প্রাথমিক কথাবার্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোথায় অন্য যুদ্ধবিমানদের মাত দেয় রাফাল

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বজুড়ে এক নামে পরিচিতি রাফালের। মাল্টি রোলিং ক্ষমতা সঙ্গে শত্রু নিক্ষেপে ধুরন্ধর। সব মিলিয়ে রাফালের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তার সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্র। যত দূরেই থাকুক শত্রু, রাফালের স্ক্যাল্প (SCALP) ক্রুজ মিসাইল তাকে নিমিষে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়াও, রাফাল কিন্তু নিজের মধ্যে বইতে পারে পরমাণু বোমাও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ঘণ্টায় ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিবেগে আকাশকে চিরে দিয়ে ছুটে যেতে পারে রাফাল। যা মিনিটে পার করে দেবে পাকিস্তানকে। বুঝে উঠতেও পারবে না তারা। যখন একদিকে মাথার উপর বসে সর্বক্ষণ হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে চিন। তাদের আবার দোসর হচ্ছে পাকিস্তানও। সেই আবহে এদের মুখ বন্ধ করতেই রাফালকেই মোক্ষম জবাব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতে জঙ্গি হানা হয়েছিল পুলওয়ামায়। বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত (India)। বর্তমানে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা (India Pakistan) প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে বা কাশ্মীরে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আগের মতো আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। পাকিস্তান যদি তাদের ভারত বিরোধী কৌশলের অঙ্গ হিসেবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন ভারত সেনা নামিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের পূর্ববর্তী রক্ষণাত্মক অবস্থানের তুলনায় নতুন এই অবস্থান একেবারেই পৃথক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার… 

    কেন্দ্রের তখতে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (India Pakistan) থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তারপর থেকেই প্রায় শান্তি ফিরে এসেছে একদা অশান্তির ভূস্বর্গে। তবে মাঝে মধ্যেই কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর জবাব দিয়েছে ভারত।

    আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কঠোর জবাব দিতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের (India Pakistan) সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার জবাব দেয় ভারত। ওই দিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। রিপোর্টে অবশ্য এও লেখা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও সদিচ্ছা দেখিয়েছে দুই দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet) বিতর্কে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। তার সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। দাগল পাল্টা তোপও। সাফ জানাল, যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘু মানুষকে রক্ষা করতে পারে না, সেই দেশের  কোনও যোগ্যতা নেই ভারতের (india) বিষয়ে কথা বলা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, পাকিস্তান থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে এবং মন্তব্য আসছে, তা আমরা দেখেছি। অন্য দেশ কীভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ করছে, তা নিয়ে লাগাতার সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী কোনও দেশের মন্তব্য যে কতটা অযৌক্তিক, সেটা কারও কাছে অস্পষ্ট নয়। হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান এবং আহমদীয় সহ সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধারাবাহিক হত্যালীলা চালাচ্ছে পাকিস্তান, তা দেখে আসছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। তড়িঘড়ি দল তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। যদিও নূপুরের দাবি, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে নূপুরের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে ইসলামিক দেশগুলি (Islamic countries)। সৌদি আরব, কাতার, ইরান এবং কুয়েতও নিন্দা করে নূপুরের মন্তব্যের। ভারতীয় দূতকে তলব করে কাতার। বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলেরও (Naveen Jindal)। তাঁকে বহিষ্কার করে দল।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    এই আবহে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ট্যুইটারে লেখেন, আমাদের প্রিয় পয়গম্বরের বিরুদ্ধে ভারতের বিজেপি নেতা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। আগেও একাধিকবার বলেছি যে মোদির আমলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলিত হচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্বের নজর দেওয়া উচিত এবং ভারতকে শাস্তি দেওয়া উচিত।

    পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যেরই কড়া জবার দিয়েছে সাউথ ব্লক। বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মের প্রতি ভারত সরকারে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। সেটা পাকিস্তানের মতো নয়। যেখানে ধর্মান্ধদের প্রশংসা করা হয় এবং তাঁদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।

    ঘটনার পরে পরেই অবশ্য ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, হজরত মহম্মদ সম্পর্কে যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির অবস্থান নয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, আমরা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক প্রচার ও ভারতে বৈষম্য বাড়ানোর চেষ্টা করার বদলে সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জনকল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাই।

  • India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিনেক ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতপাকিস্তানের (India Pakistan) বাণিজ্য। তাতে সমস্যা এতদিন কিছু ছিল না। তবে এখন ফের উঠছে সেই প্রশ্ন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য (Trade) কী আবার চালু হবে? এই মুহূর্তে প্রশ্ন ওঠার কারণও অবশ্য একটা রয়েছে। তা হল, ভয়াবহ বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য অবোলা জীবেরও। এহেন পরিস্থিতিতে বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারত থেকে আনাজ আমদানির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী (Pak Finance Minister)। তার পরেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন, তাহলে কি ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়িক লেনদেন। দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মফতাহ ইসমাইল বলেছিলেন, শুল্কমুক্ত সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে স্থলপথে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করবে। বন্যার কারণে দেশে দেখা দেওয়া খাদ্যসংকটের মোকাবিলা করতেই আমদানির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।    

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?

    দেশের অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবধকতার কারণেই শরিফকে এটা করতে হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিপদের দিনেও পাক সরকারের এহেন মনোভাবে যারপরনাই বিস্মিত ভারত। তাই ভারত-পাক বাণিজ্য চালু নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ নয়াদিল্লি। তারা বল গড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। পাক সরকার উদ্যোগী হলে তবেই ফের চালু হবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক লেনদেন।

    এখন কোন পথে হাঁটে শাহবাজ শরিফের সরকার, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share