মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। কিন্তু সেই ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোনোর আগেই সেগুলিকে নষ্ট করে দেয় ভারতের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সুদর্শন চক্রের (ভারতের দেওয়া নাম) আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয় যায় পাক ড্রোন ও বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তের সেনা ছাউনিগুলি লক্ষ্য করে আঘাত হানার চেষ্টা করে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এস -৪০০ থেকে মোট ৭২টি মিসাইল ছোড়া হয়। যেগুলির প্রায় সবক’টি নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে পাকিস্তানের মিসাইল এবং ড্রোনকে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
সুদর্শন চক্রে আটকে গেল পাকিস্তান
উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। তার মধ্যে ছিল অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং ভুজ। কিন্তু পাকিস্তানের সেই হামলা পুরোপুরি ভেস্তে দেয় এ-৪০০। যা ভারতের আকাশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে রেখেছে। ভারতীয় সেনায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। আকাশপথে যে দিক থেকেই হামলা হোক না কেন, এস ৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলাকে রুখে দিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। রাশিয়া থেকে কেনা এই যুদ্ধাস্ত্র এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সফল।
পাকিস্তানের মোট আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ১৫টি জায়গায় সেনা ছাউনিকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিণ্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই ও ভূজে হামলার চেষ্টা করে । কিন্তু সব অপচেষ্টা মাঝ আকাশেই ব্যর্থ করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পাকিস্তানের মোট ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ধ্বংস করেছে। পাক হামলার নিশানায় ছিল মূলত জম্মু বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা, আরিনা এবং সংলগ্ন এলাকা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আটকানো হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের কয়েকটি জায়গায় পর পর হামলায় চালায় পাকিস্তানি সেনা। সেই হামলাই প্রতিহত করেছে ভারত। পাল্টা আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক বায়ুসেনার মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের দু’টি চিনা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও। ড্রোনের মাধ্যমেও হামলা চালানো হয়েছিল। তা-ও প্রতিহত করা হয়েছে। আখনুরে একটি ড্রোনকে গুলি করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
ব্ল্যাকআউট, সাইরেনের শব্দ
সমগ্র জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু বিমানবন্দর, পঠানকোটের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সাইরেন বাজতে শুরু করে। সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে বারামুলা, কুপওয়ারার মতো এলাকাতেও। এ ছাড়া শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। জম্মুর বিমানবন্দর, সামবা, আরএস পুরা, আর্নিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।
সুদর্শনের সহায়তায় অন্যরা
এরইমধ্যে আবার সুপারসনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়েও উধমপুরে হামলা চালায় পাকিস্তান। রাজস্থান, পাঞ্জাব, কাশ্মীর সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাক আক্রমণের খবর আসতে থাকে। কিন্তু, ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করে কিছুতেই ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা করতে পারেনি পাক সেনা। তার আগেই এস-৪০০ এর পাশাপাশি পাকিস্তানকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমে পড়ে এল-৭০, জেডএসইউ-২৩, শিলকার মতো শক্তিশালী সব ডিফেন্স সিস্টেম।
কোথায় পাক প্রধানমন্ত্রী
জয়সলমিরে পাকিস্তানের (India Pakistan War) ঘাতক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ নামিয়ে আনা হয়। লাহোর, ইসলামাবাদ, শিয়ালকোটে পাল্টা মিসাইল হামলা চালায় ভারত। জ্বলন্ত ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বাহাওয়ালপুরের সেনা ক্য়াম্পেও হামলা চলে। এরইমধ্যে শোনা যায় ইসলামাবাদ সহ পাকিস্তানের ৭ শহরে হানা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। খবর আসে, বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ। সূত্র মারফত এও জানা যায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনির।
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বেঠক সেনাপ্রধানের
বৃহস্পতিবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেন। এরইমধ্যে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বড় বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইসলামাবাদের মিসাইল হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একের পর এক শহরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। আর উত্তেজনার এই পরিবেশেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হয়। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি ও সামরিক বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।