Tag: India-Pakistan Conflict

India-Pakistan Conflict

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর ও যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবং তৎপরবর্তী যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Conflict) নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের তরফে এই প্রথমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানো হল।

    কীর্তি বর্ধন সিংয়ের বক্তব্য (Operation Sindoor)

    বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চালু করা হয়েছিল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে।” তিনি জানান, ৭ মে চালু হওয়া এই অভিযানের অধীনে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে থাকা ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি সফলভাবে ধ্বংস করেছে। এর পর পাকিস্তান ভারতীয় সেনা চৌকি ও অসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। যদিও ভারতীয় বাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চরম ক্ষতি করে।” মন্ত্রী জানান, ১০ মে পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) ভারতের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। ওই দিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমনের প্রশ্নের জবাবে এই উত্তর দেন তিনি। ভারত কি পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভারত নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে চলেছে। ভারতের এই চেষ্টার ফলে পাকিস্তান-ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর ধূসর তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দে

    তিনি জানান, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই ঘটনাটিকে কঠোর (Operation Sindoor) ভাষায় নিন্দা করে। তারা দোষীদের জবাবদিহিও চায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) (লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত (India Pakistan Conflict) করেছে।পাকিস্তানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সমস্ত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই বিষয়ে ওয়াশিংটন ও অন্যান্য বৈশ্বিক পার্টনারদের সঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” এদিন সরকারের তরফে তিনি আরও একবার সাফ জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ভারতের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও।

    বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর

    কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “পাকিস্তান-স্পনসরর্ড সন্ত্রাসবাদীদের একটি বর্বর আক্রমণের জবাবে অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট (Operation Sindoor) করার চেষ্টা করেছিল।” এদিকে, সোমবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুলাই এই আলোচনা হওয়ার কথা। সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে (India Pakistan Conflict)।

    বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এবং নিশিকান্ত দুবেও এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন (Operation Sindoor)। রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা হবে ২৯ জুলাই মঙ্গলবার। এতে অংশ নেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য মন্ত্রীরা। রাজ্যসভায়ও এই বিষয়ে আলোচনা হবে ১৬ ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তাকিয়ে বিশ্ব

    বিরোধীদের দাবি, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার সময় যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু আদৌ প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকারই কথা। বুধবার চার দিনের ব্রিটেন ও মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ সফর সেরে তিনি যাতে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, তা মাথায় রেখেই (India Pakistan Conflict) তৈরি করা হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার সূচি (Operation Sindoor)। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, ভাষণ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “সংসদে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হলে গোটা দেশের নজর থাকবে তার ওপর। আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মহলও সেই আলোচনার (India Pakistan Conflict) ওপর নজর রাখবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন (Operation Sindoor) প্রধানমন্ত্রী।”

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুরে (Operation Sindoor) মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের পর ইশাক দার। পাক প্রধানমন্ত্রীর পর উপপ্রধানমন্ত্রীও মেনে নিলেন ভারতের হামলায় (India-Pakistan Conflict) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি পরিষ্কার স্বীকার করেছেন তাঁদের দুই গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটি, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস এবং শোরকোট বিপর্যস্ত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায়। এর আগে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার নয়াদিল্লির প্রত্যাঘাতকে প্রকাশ্যে মানতে চাননি।

    সৌদি যুবরাজের ফোন

    গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছিল ভারত। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশাক দার সেই অভিযানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেন। অতীতে পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী বারবার এই হামলার ফলে ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করে আসছিল। এই আবহে পাক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানও ভারতকে (India-Pakistan Conflict) জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত আঘাত হানে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, ভারতের হানার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সৌদি যুবরাজ ফয়সল বিন সলমন নাকি ফোন করে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আমি কি জয়শঙ্করকে বলব পাকিস্তান থেমে যেতে চাইছে?” সৌদি আরবও যে নীরবে ভারত-পাক সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেছিল, সেটাই ফুটে উঠেছে পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর দাবিতে।

    ট্রাম্পের দাবি খারিজ

    মে মাসের শেষদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তান সেদিন সকালে হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে ভোর রাতে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই একই কথা বললেন ইশাক দারও। অর্থাৎ, ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন। তবে ভারত প্রতিবারই তাঁর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের দাবি যে ঠিক নয় তা-ও ফুটে উঠল পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর কথায়। ইশাক দার বলেন, ‘‘সৌদি প্রিন্স ফয়সল বিন সলমন আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা। তিনি জয়শঙ্করকে ফোন করে জানান, পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan Conflict) থামতে প্রস্তুত।” তখন দিল্লি জানিয়েছিল, পাকিস্তান যদি সংঘাত বন্ধ করতে চায়, তাহলে তাদের সরাসরি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই মতো এরপরই সামরিক চ্যানেলে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের কাছে সংঘাত বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছিল। আর তাতে সাড়া দিয়েই ভারত হামলা বন্ধ করেছিল।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Colombia Support India: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতকে সমর্থন! পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনার বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

    Colombia Support India: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতকে সমর্থন! পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনার বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকায় বিরাট কূটনৈতিক জয় ভারতের। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) নিহত পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছিল কলম্বিয়া সরকার (Colombia Support India)। ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল সেই দেশে গিয়ে কলম্বিয়ার বিবৃতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। অবশেষে সেই বিতর্কিত বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া। এমনটাই দাবি সে দেশে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor)। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কলম্বিয়ার বিদেশমন্ত্রী নতুন বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন।

    পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে কলম্বিয়া

    কলম্বিয়ার (Colombia Support India) বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। কাশ্মীরে কী ঘটেছিল, তা-ও বিশদে জানতে পেরেছেন। কলম্বিয়া সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের। সেখানে ছিলেন কলম্বিয়ার বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী রোসা ইয়োলান্দা ভিলাভিসেন্সিয়ো। সমাজমাধ্যমে শশী থারুর লিখেছেন, ‘‘কলম্বিয়ার মন্ত্রী রোসা এবং তাঁর সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারতের অবস্থান ওঁদের জানিয়েছি। পাকিস্তানিদের জন্য ‘আন্তরিক সমবেদনা’ প্রকাশ করে ওঁরা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে আমরা হতাশ, ওঁদের বলেছি। মন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ওই বিবৃতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের অবস্থান ওঁরা বুঝেছেন এবং সমর্থন করেছেন।’’

    শশী থারুরের ক্ষোভ

    আসলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ায়নি কলম্বিয়া। উলটে পাকপন্থী বিবৃতি দেয় বোগাতা। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত পাক নাগরিকদের পরিবারকে শোক জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল দেশটি। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলে দক্ষিণ আমেরিকার ওই দেশ। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান বোঝাতে কলম্বিয়ায় পৌছেই এই বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় প্রতিনিধি দল। কলম্বিয়া সরকারের আচরণে তাঁরা যে হতাশ, সে কথা সে দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখের উপরেই বলে দেন থারুররা।

    সন্ত্রাসবাদ এবং তার প্রতিরোধকারীরা এক নয়

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের(Colombia Support India) ভূমিকায় পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের একাধিক প্রথম সারির দেশ। আমেরিকা থেকে ফ্রান্স, জাপান থেকে ইন্দোনেশিয়া, একের পর এক দেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেশ করছেন ভারতের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। এর মাঝে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সেই তালিকায় ছিল কলম্বিয়াও। পাকিস্তানে নিহতদের প্রতি কলম্বিয়া সমবেদনা জানানোয় নিন্দা প্রকাশ করে শুক্রবার সে দেশের রাজধানী বোগাতায় সাংবাদিকদের থারুর বলেন, “কলম্বিয়া সরকারের প্রতিক্রিয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। তাঁরা ভারতের আক্রমণে নিহত পাকিস্তানিদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানালেন। সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন যাঁরা, তাদের জন্য নয়! আমরা কলম্বিয়ার বন্ধুদের বলতে চাই, সন্ত্রাসবাদ এবং তার প্রতিরোধকারীদের কোনওভাবেই এক করে দেওয়া যায় না। কেউ আক্রমণ করে, কেউ রক্ষা করে, এদের মধ্যে কোনও সমতা নেই। আমরা আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছি মাত্র। যদি কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তার মীমাংসার জন্য আমরা আছি।”

    একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছে ভারত

    এর পরেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বিস্তারিত বিবরণ এবং পরবর্তীকালে পাকমদতপুষ্ট জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিস্তারিত বিবরণ দেন থারুর। সংসদীয় প্রতিনিধিদল জানায়, নয়াদিল্লির কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা জড়িত ছিল। থারুরের সংযোজন, ‘আমরা কেবল আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে কলম্বিয়ার সঙ্গে কিছু বিস্তারিত কথা বলতে পেরে আমরা খুব খুশি। ঠিক যেমন কলম্বিয়া অনেক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি ভারতেও একাধিক জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমরা বিগত প্রায় চার দশক ধরে অনেক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছি।’

    ভারতের পাশে কলম্বিয়া

    থারুরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি পানামা এবং গুয়েনা সফরের পর বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ায় পৌঁছয়। থারুরদের প্রতিবাদের পর কূটনৈতিক স্তরেও দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। এর পর কলম্বিয়ার (Colombia Support India) চেম্বার অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্‌সের সেকেন্ড কমিশনের (ভারতের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সমান) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো তোরো এবং চেম্বার অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্‌সের প্রেসিডেন্ট (ভারতের লোকসভার স্পিকারের সমান) জেমি রল সালামান্‌কার সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। থারুর জানিয়েছেন, কলম্বিয়ার এই আধিকারিকেরাও ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছেন। থারুরের পাশে দাঁড়িয়ে এর পর কলম্বিয়ার বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেন, ‘‘কী ঘটেছিল, আমরা তার ব্যাখ্যা পেয়েছি। কাশ্মীরে কী ঘটেছিল সেই সম্পর্কে এখন আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’’ সূত্রের দাবি, দ্রুতই ভারতের পক্ষে জোরাল বিবৃতি দেবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা বিজেপি নেতা তরণজিৎ সিং সান্ধুও জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধিদলের চাপে অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছে কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির অবস্থান বা মতামত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, শীঘ্রই তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চলেছে। পুরো বিষয়টিকে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share