Tag: India-Pakistan Conflict

India-Pakistan Conflict

  • India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    India Pakistan Conflict: সমাজমাধ্যমে দেশ-বিরোধী পোস্ট? নেটপ্রভাবী, প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India Pakistan Conflict) আবহে জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরে কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বা সমাজমাধ্যম প্রভাবী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মনে করছে সরকার। সম্প্রতি এমনটাই বলল সংসদীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই কমিটির মাথায় আছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই ধরনের ইনফ্লুয়েন্সার এবং প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে দুটি মন্ত্রকের কাছে বিশদ বিবরণ চেয়েছে প্যানেল।

    জাতীয় ঐক্যে ফাটল নয়

    কমিটির আশঙ্কা, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও প্রভাবশালী (influencers) এমন কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে এবং জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড বর্তমান সাইবার আইন এবং নৈতিক মিডিয়া নীতিমালার লঙ্ঘন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে কমিটির তরফে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির মাধ্যমে আইটি আইন, ২০০০ এবং তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) বিধি, ২০২১-এর অধীনে এই ইন্ফুলেন্সারদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। পিটিআই সূত্রে খবর, চিঠিটি দুই মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ৮ মে-র মধ্যে বিশদ তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

    ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ

    সংসদীয় কমিটির এই পদক্ষেপ সরকারের ডিজিটাল কথোপকথনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার অভিপ্রায় স্পষ্ট করছে, বিশেষ করে জাতীয় সংকটের (India Pakistan Conflict) সময়ে। ব্যবহারকারীদের পোস্ট ছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর কনটেন্ট মডারেশন নীতি, প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা ও ভারতীয় আইনের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের একাধিক ইউটিউব চ্যানেল, সংবাদ পোর্টাল, ইনফ্লুয়েন্সারদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ভারতে। তথ্য যুদ্ধে পাকিস্তানকে মাত দিতে ভারতীয় মিডিয়ার উদ্দেশে নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। তাতে বলা হয়েছে, কোনও ভাবে যেন সেনার কোনও অবস্থান বা গতিবিধি সোশ্যাল মিডিয়া বা খবর আকারে প্রকাশ না করা হয়। এর ফলে শত্রুপক্ষেরই সুবিধা হবে। এছাড়া ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে যাতে ‘ভারত বিরোধী’ পাক অতিথিদের আমন্ত্রণ না জানানো হয়, এই জন্যে নির্দেশিকা জারি করেছে এনবিডিএ।

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধের সাইরেন বাজলে কী করবেন? একাধিক রাজ্যে মক ড্রিলের দিন ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু যুদ্ধ-প্রস্তুতি! ১৯৭১-এর পরে এই প্রথম! একাধিক রাজ্যকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহরা চালানোর নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA Orders for Mock Drill)৷ আগামী ৭ মে, বুধবার ওই সমস্ত রাজ্যকে মহড়া (India Pakistan Conflict) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷ যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য রাজ্য প্রশাসন ঠিক কতখানি প্রস্তুত তা যাচাই করার জন্যই এই নির্দেশ বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রের খবর৷ কার্যত কোনও হামলা হলে তার জন্য কী করতে সেটাই জানা যাবে এই মক ড্রিলে। সেটাই শিখে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। তার জন্যই আগাম অনুশীলন।

    কোন কোন রাজ্যকে নির্দেশ

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে (MHA Orders for Mock Drill) খবর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অমিত শাহের মন্ত্রক বেশ কয়েকটি রাজ্যকে আগামী ৭ মে, অর্থাৎ বুধবার মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্ত এলাকায় এই মহড়া চালানো হতে বারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। গত সপ্তাহে নৌসেনা এবং বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন সরকারি সূত্রে দাবি, জঙ্গিদমনে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি হিসাবেই প্রতিরক্ষা বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, তার পরেই কয়েকটি রাজ্যকে মহড়ার নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। বুধবারের মক ড্রিলের আগে, আজ অর্থাৎ, মঙ্গলবার ৬ মে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলির অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারাও যোগ দেবেন। এছাড়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রেল বোর্ডের কর্তারা এবং আকাশ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী কী হবে এই মক ড্রিলে?

    ১) এয়ার রেড সাইরেনকে কার্যকরী করতে হবে।

    ২) যে কোনও সময় ব্ল্যাক আউট করে এই মকড্রিল করা হতে পারে।

    ৩) বিশেষ বিশেষ কারখানাকে, সংস্থাকে ক্যামোফ্লেজের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

    ৪) যে কোনও হামলার সময় নিজেদের নিরাপদে সরিয়ে বাঁচানোর জন্য সাধারণ নাগরিক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া

    ৫) সাধারণ মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্ল্যান তৈরি ও তার রিহার্সাল

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় (MHA Orders for Mock Drill) বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর শুধু জঙ্গি নয়, যারা সন্ত্রাসবাদের মদত দেয়, তাদেরও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘যারা বন্দুকের ট্রিগার চেপেছিল এবং যারা সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল— কাউকে রেয়াত করা হবে না!’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘জঙ্গি হামলার কঠোর জবাব দেবে ভারত। আমার বিশ্বাস পহেলগাঁওয়ের ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে।’’ সোমবার, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ফিরোজপুরে মকড্রিল

    ইতিমধ্যেই গত রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্য়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য় পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সব আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। সেই সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যতক্ষণ এই ড্রিল চলে ততক্ষণ হুটার বাজছিল। এই সময়ের মধ্য়ে কোথাও ইনভার্টার বা জেনারেটর চালানো হয়নি। পুরো অন্ধকারে ডুবে ছিল এলাকা। আগাম অনুরোধ করেই এটা করা হয়। রাস্তায় গাড়ির আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ছিল পুলিশের পাহারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকেই এ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন আলোকিত বা দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও বস্তু বা আলো ব্যবহার না করেন ওই সময়টুকু। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিবিয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস

    পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব কড়া ভাবেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। রবিবার দিল্লিতে আয়োজিত সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসব অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানেন, ওঁর কাজের ধরন ও দৃঢ়তার সঙ্গেও সকলে পরিচিত। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যা আপনারা চাইছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই হবে।’’ পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পহেলগাঁও হামলার কড়া জবাব দেওয়া তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও দাবি করেছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সেনার সঙ্গে মিলে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা এবং যারা আমাদের দেশে হামলা করার সাহস দেখায়, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া।’’

    যুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা!

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India Pakistan Conflict) চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে৷ গত ২২ এপ্রিল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ‘ব্ল্যাকআউট’ ড্রিলের পরে বাসিন্দারা স্বাভাবিক ভাবেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। তাহলে কি যুদ্ধ যে কোনও সময়েই লাগতে পারে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷

  • Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের হাতে এসে গেল ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্র (Igla-S Missiles)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে সেনার জন্য রাশিয়ার নির্মিত এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের অর্ডার দেয়। সেই মতো, বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা হাতে পেয়ে গেল নতুন এই মিসাইল। যার জন্য মোদি সরকারের খরচ হল ২৬০ কোটি টাকা। রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে আসায় আকাশপথে হামলার বিরুদ্ধে এক লাফে অনেকটা শক্তিশালী হল ভারতের ঢাল।

    যুদ্ধবিমান, ড্রোন লক্ষ্য করে নির্ভুল আঘাত

    রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন করা যায়। এটি নিক্ষেপ করার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যাটফর্মও লাগে না। কোনও ব্যক্তি কাঁধে করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবেন। নীচ দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলিকে নির্ভুল ভাবে আঘাত করার মতো করেই নকশা করা হয়েছে ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Igla-S missiles)। সম্প্রতি এই অতি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর জন্য জরুরি ক্রয় ক্ষমতার অধীনে রাশিয়ার সঙ্গে ২৬০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে ইগলা-এস বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সরবরাহ। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন হুমকির মোকাবিলা করার জন্য এগুলি সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনা সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে।

    কীভাবে কাজ করে

    নতুন এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় সেনা কাঁধে চাপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে বাঁধলে যদি পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা চপার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে কাঁধে চাপিয়ে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে মিসাইল ফায়ার করা যায়। বহুদিন ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপক কদর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পোর্টেবল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। আকাশে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে একবার ‘লক’ করতে পারলে সিস্টেমের ইনফ্রারেড টার্গেটের হিট সিগনেচার লক্ষ্য করে ধেয়ে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরের ও প্রায় ৪ কিলোমিটার উপরের উড়ন্ত টার্গেটকেও নিখুঁত নিশানায় আঘাত করে নিকেশ করতে পারে।

    সহজে বহনযোগ্য, দুর্গম এলাকায়ও নিয়ে যাওয়া যায়

    এটি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (Igla-S missiles) বা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ‘ইনফ্রারেড হোমিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বস্তুর ‘হিট সিগনেচার’ শনাক্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তার পর সেটিতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য বলে, দুর্গম এলাকায় যেখানে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কাজে আসবে। একবার নিক্ষেপ করা হলে, লক্ষ্যবস্তুর ইঞ্জিনের তাপকে অনুসরণ করে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ছোটমাপের এবং দ্রুতগতির আকাশযানের বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর।

    ইগলা সিরিজের মিসাইল নতুন নয়, আরও আধুনিক

    ১৯৯০-থেকেই দেশে বিদেশে অনেক যুদ্ধে রুশ নির্মিত ইগলা সিরিজের মিসাইল (Igla-S missiles) ব্যবহার হয়। ‘ইগলা-এস’ হল একটি উন্নততর সংস্করণ। উড়ন্ত ড্রোন, চপার বা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রাকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে ব্যর্থতার হার প্রায় শূন্য শতাংশ। ভারতীয় সেনা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে অর্থাৎ পাক সীমান্তের কাছে এই সিস্টেম মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এক দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেগুলিরও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ ইগলা-এস

    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নতুন ইগলা-এস সিস্টেমগুলিকে এখন দ্রুত পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (India Pakistan Conflict) এবং আইএসআই ক্রমে হামলার জন্য ড্রোনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইগলা-এসের মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি, সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে দেশি প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্ক ওয়ান ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেমও। সম্প্ৰতি জম্মুতে সেনার ১৬ কোর-এর এলাকায় এই ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেই পাক ড্রোন নামিয়েছে সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে এই মিসাইলের কদর ও সক্ষমতা এতটাই যে ভারতীয় বায়ুসেনাও ইনফ্রারেড নির্ভর এই একই মিসাইলের জন্য দরপত্র জারি করেছে। পাশাপাশি, পদাতিক বাহিনী আরও ৪৮টি লঞ্চার ও ৯০টি ইনফ্রারেড নির্ভর মিসাইলের নতুন বরাত দিয়েছে। সেগুলিও দ্রুতই চলে আসবে।

  • India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict) পশ্চিম সীমান্তে অত্যাধুনিক জ্যামার বসাল ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে। উপগ্রহ-নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেমগুলো ব্যাহত হওয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ভারতের সর্বাধুনিক জ্যামিং প্রযুক্তি, বেকায়দায় পাকিস্তান

    নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই তিন প্রযুক্তিকেই মাত দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু পর্যটক। এরপরই ভারত ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, যার মাধ্যমে জিপিএস, গ্লোনাস এবং ভারতীয় ‘নাবিক’-সহ বিশ্বব্যাপী ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিগন্যালকে ব্যাহত করা হচ্ছে।

    জ্যামারের কাজ কী

    ভারত-পাক সীমান্তে পাক খাচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানকেই আকাশ প্রতিরক্ষায় পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এফ-১৬ সহ একাধিক পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকেও পাক খেতে দেখা গিয়েছে। ভারত হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। সীমান্তে পাকিস্তানের জারিজুরি কৌশলকে আটকে দিতে এবং যুদ্ধবিমানে থাকা ফ্রিকোয়েন্সি যাতে সমস্যায় পড়ে, তার জন্য ভারতীয় সীমানায় মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার সিস্টেম। জ্যামারের কাজই হল, বিমানের ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকে দেওয়া। জ্যামার থাকলে বিমান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়বে, আকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পাক খেতে হবে। সীমান্তে এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার নিয়ে যাওয়ায় পাক বায়ুসেনা আকাশপথে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম

    জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।

    ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই আসল

    এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এলওসি বরাবর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, কুপওয়ারায় সংঘর্ষ এবং গুজরাটের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা—এই সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতের যুদ্ধে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই নির্ধারণ করবে বিজয়ী পক্ষ।” ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে ‘সম্যুক্তা’ ইডব্লিউ সিস্টেম (রেঞ্জ ২০০ কিমি), ‘হিমশক্তি’ হিমালয় ও উচ্চ-অঞ্চলে, রাফাল জেটে সংযুক্ত ‘স্পেকট্রা’ ইডব্লিউ স্যুট, নৌবাহিনীর ইডব্লিউ সিস্টেম, ‘কালী-৫০০০’ এবং ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র (ডিইডব্লু) ব্যবস্থা।

    চিনের সহায়তার আশায় পাকিস্তান

    অন্যদিকে পাকিস্তান চিনের সহায়তায় গঠিত ‘জারব’ উপকূলীয় ইডব্লিউ সিস্টেম, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে যুক্ত ইডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম এবং বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চিনা জ্যামার ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) তাদের ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মধ্যে অর্ধেকই সরিয়ে নিয়েছে আরব সাগরের উত্তর উপকূলের পাসনি এয়ারবেসে, যাতে ভারতের রুশ-উৎপাদিত অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের রাডার কভারেজ থেকে দূরে রাখা যায়। সাউথ ব্লকের এক আধিকারিকের কথায়, “ভারতের সমন্বিত নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিমানসম্পদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।” জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

  • India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    India-Pakistan Conflict: সম্মুখ সমরে ভারত-পাকিস্তান! জলে-স্থলে-আকাশে সামরিক শক্তিতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ২৬ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সামরিক (India-Pakistan Military Strength) শক্তির তুলনা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর।

    সক্রিয় সেনাসংখ্যা

    স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সামরিক বাহিনীতে মোট সক্রিয় সদস্য ১৪ লক্ষ। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার, নৌবাহিনীতে ৭৫ হাজার ৫০০ এবং বায়ুসেনায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০, উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ১৩ হাজার ৩৫০। এছাড়াও ১৬.১৬ লক্ষ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে। পাকিস্তানের মোট সেনাসংখ্যা ৭ লক্ষ, সেনাবাহিনীতে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার, বায়ুসেনায় ৭০ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৩০ হাজার। পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী ২.৯১ লাখ সদস্যবিশিষ্ট।

    অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে ৯ হাজার ৭৪৩টি কামান রয়েছে। পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৪ হাজার ৬১৯টি। ভারতের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি, পাকিস্তানের ২ হাজার ৫৩৭টি। ভারতের রয়েছে ১,৪৩৭টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৯৯৫টি হেলিকপ্টার, ৭,০৭৪টি সাঁজোয়া যান এবং ১১,২২৫টি আর্টিলারি। পাকিস্তানে ৮১২টি ফিক্সড-উইং বিমান, ৩২২টি হেলিকপ্টার, ৬,১৩৭টি সাঁজোয়া যান এবং ৪,৬১৯টি আর্টিলারি রয়েছে। সাঁজোয়া যানে ভারতে কিছুটা অগ্রাধিকার থাকলেও খুব বেশি পার্থক্য নেই।

    পারমাণবিক শক্তি

    ভারত মূলত স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া আকাশপথেও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে এবং সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক হামলার সক্ষমতাও গড়ে তুলছে। ভারতের কাছে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল পরীক্ষাধীন। ভারতের কাছে ১৮০টি ওয়ারহেড রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রে বা রকেটের যে অংশটিতে রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক বিস্ফোরক ভরে শত্রুপক্ষের দিকে ছোড়া হয়, সেটিকে ওয়ারহেড বলা হয়। পাকিস্তানের ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৭০। পাকিস্তান স্থলভিত্তিক ও আকাশপথে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। তাদের ছোট, মাঝারি ও নিকট পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। সাবমেরিন থেকে পারমাণবিক ক্রুজ মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা নেই পাকিস্তানের।

    বায়ুসেনা

    বিশ্বতালিকায় ভারতের বায়ুসেনার স্থান চতুর্থ। ভারতের কাছে রয়েছে ২,২২৯টি এয়ারক্র্যাফট। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে মাত্র ১,৩৯৯টি। শত্রুর বুকে আঘাত হানতে যে কোনও সময় ওড়ার জন্য প্রস্তুত ভারতের ৫১৩টি যুদ্ধবিমান। সেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৩২৮টি। ভারতের হাতে অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান রয়েছে ১৩০টি, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার ও ৮০টি অ্যাটাকিং কপ্টার। সেখানে পাকিস্তানের মাত্র ৯০টি অ্যাটাকিং যুদ্ধবিমান, ৩৭৩টি হেলিকপ্টার ও ৫৭টি অ্যাটাকিং কপ্টার।

    নৌসেনা

    নৌবহরের দিক থেকেও পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি ভারত। দেশের একদিকে ভারত মহাসাগর, অন্যদিকে আরব সাগর। ফলে বিরাট সমুদ্র অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাতে ভারতের নৌবহর বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বিরাট শক্তিশালী। নৌবহরে বিশ্বে ষষ্ঠস্থানে ভারত। আর পাকিস্তান ২৭ তম স্থানে। ভারতের কাছে যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে ২৯৩টি। সেখানে পাকিস্তানের ১২১টি। ভারতের রয়েছে দুটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার – আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। যা পাকিস্তানের নেই। এছাড়া ভারতের ১৮টি ডুবোজাহাজ, পাকিস্তানের ৮টি। ভারতের ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, পাকিস্তান ০। ভারতের ফ্রিগেট ১৪টি, পাকিস্তানের ৯টি, করভেট রয়েছে ভারতের ১৮টি, পাকিস্তানের ৯টি। এবং টহলদারি ভেসেল ভারতের ১৩৫টি ও পাকিস্তানের ৬৯টি।

    প্রতিরক্ষা বাজেট

    ২০২৫ সালে ভারতের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সেনার আধুনিকীকরণের জন্য বরাদ্দ হয় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মোট জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ সামরিক খাতে বরাদ্দ করে ভারত। আর বাজেটের ১৩.৪৫ শতাংশ। অন্য দিকে, ২০২৪ সালে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে ২.১২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করেছিল, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৪ হাজার ৮২ কোটি টাকা। দেশের জিডিপি-র ১.৭ শতাংশ তারা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে।

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স

    গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের চলতি বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ। অন্যদিকে, গত বছরও বিশ্ব তালিকায় ৯ নম্বর স্থানে ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে চলতি বছরে পাকিস্তান নেমে গিয়েছে ১২ নম্বরে। গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স (GFP)-এর তথ্যে ভারতের (PwrIndx) স্কোর ০.১১৮৪ এবং পাকিস্তানের স্কোর ০.২৫১৩। এখানে ০.০০ স্কোর সবচেয়ে ভালো বলে ধরা হয়।

    সামরিক আধুনিকীকরণ

    ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছিল।স২০১৯ সালের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সামরিক আধুনিকীকরণে মনোযোগী হয়েছে। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া প্রধান সরবরাহকারী হলেও, ভারত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং দেশীয় উৎপাদনের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে — যার মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন এবং হেলিকপ্টার।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জানুয়ারি মাসে এক পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হন। যার ফলে, নতুন জীবন লাভ করেন ওই পাক তরুণী। এমনকী, অস্ত্রোপচার খরচসাপেক্ষ হলেও, তা মকুব করে দেওয়া হয়। আর সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদ্বেষমূলক ও হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করে বসলেন প্রতিবেশী দেশের এক মৌলবী (Pakistani Imam)।

    পাকিস্তানি ধর্মগুরুর ধর্মীয় সুড়সুড়ি…

    এমনিতেই ভারত-পাক দুই দেশের সম্পর্ক (India Pakistan Relation) তলানিতে। সেই পরিবেশের মধ্যেও এই ঘটনা যখন চারদিকে প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক তখনই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেওয়ার কথা বললেন পাকিস্তানি ধর্মগুরু (Pakistani Imam)। ওই পাক ইমামের মতে, দাতা হিন্দু (ইমামের কথায় ‘বিধর্মী’) হওয়ায় কোনও পুণ্যলাভ হবে না ওই ব্যক্তির। তাঁর এই কাজ গৃহীত হবে না। কারণ, পাক ইমামের মতে, পুণ্য অর্জন করতে হলে নাকি মুসলিম হয়ে মরতে হয়। ইমামের ভাবখানা এমন যেন মেয়েটি হৃদযন্ত্র গ্রহণ করে দয়া করেছে। তাঁর মতে, মেয়েটি সাহসী। এর কারণ হিসেবে ইমাম জানান, এতদিন ওই হৃদপিণ্ড হিন্দু দেহে থাকায় ঈশ্বরের কাছে ঝুঁকত। এবার ওই মেয়েটির জন্য হিন্দু হৃদপিণ্ড আল্লার সামনে ঝুঁকবে।

    এগোচ্ছে ভারত, পিছোচ্ছে পাকিস্তান

    পাক ইমামের (Pakistani Imam) এই মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন ওই পাক ইমাম। ইমামের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক শ্রেণি পাকিস্তানিদের ভারত-বিদ্বেষ (India Pakistan Relation)। ইমাম মোয়াজ্জেম কিংবা পাক জনগণের একটা বড় অংশ ভারত এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম সম্পর্কে কী মত পোষণ করেন তা তাঁদের ভাষাতেই বহিঃপ্রকাশ পায়। আজ ভারত একদিকে যেখানে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেখানে অন্ধ ভারত-বিরোধিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যেতে যেতে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। 

    কী হয়েছিল পাক তরুণীর

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন পাক তরুণী আয়েশা রেশান। সেই সময় একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সি আয়েশা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সি এক ব্রেন ডেথ রোগীর হার্ট বসানো হয় (India Pakistan Relation)। ওই রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    তরুণীর পরিবার কী বলছে

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার খুব বেশি সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তারা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।” জানা গিয়েছে, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন ওই তরুণী। ভবিষ্যতে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। 

    উদার মনের পরিচয় ভারতীয় চিকিৎসকদের

    অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ভারতে অনেক নিয়ম কানুন আছে। কিন্তু পাকিস্তানি তরুণীর ভারতীয় চিকিৎসকরা অনেক উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অঙ্গদানের প্রক্রিয়া সহ ওই পরিবারের চিকিৎসার খরচ মকুব করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের (Heart Transplant Cost) ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। চিকিৎসার আয়েশার চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছিল ভারতীয় (India Pakistan Relation) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চেন্নাইয়ের চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। 

    ভারত ও পাকিস্তানের তফাত কোথায়

    অথচ, ইমাম (Pakistani Imam) যে বক্তব্য রাখলেন তাতে পরবর্তীতে কোন পাকিস্তানি রোগী ভারতে (India vs Pakistan) সাহায্যপ্রার্থী হলে চিকিৎসকরা সে বিষয়ে নতুন করে ভাববেন। যদিও ভারত “বসুধৈব কুটুম্বকম” তত্ত্বে বিশ্বাসী। যে কারণে, শত বৈরিতা সত্ত্বেও, পাক তরুণীর জন্য হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে ভারত। সেখানে, শুধু ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়েই বেঁচে রয়েছে প্রতিবেশী। আর এখানেই তফাত ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন হল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র (India Pakistan Relation)। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী।

    ১৯ বছরের তরুণী আয়েশা  

    জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সী আয়েশা রেশান (India Pakistan Relation)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সী এক ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া রোগীর হার্ট বসানো হয়। ঐ রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    কী জানালেন আয়েশা? 

    আয়েশা জানিয়েছেন, এখন ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন তিনি। তাঁর নিঃশ্বাস নিতেও কোনও ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন (India Pakistan Relation) তিনি। ভবিষ্যৎ জীবনে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। ২০১৯ সালে আয়েশা প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় একবার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল তাঁর।

    ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়েশার মা

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের (India Pakistan Relation) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তাঁরা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।”

    কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আয়েশা 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সার্জেন এস বালাকৃষ্ণণ ২০২৩ সাল থেকে ওই তরুণীর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তিনি ওই তরুণীর মাকে জানিয়েছিলেন হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। যদিও বিদেশি রোগীর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট-এর ক্ষেত্রে ভারতীয় রোগী তালিকাভুক্ত না থাকলে তবেই অঙ্গদানের বিধান রয়েছে। যেহেতু দাতা ৬৯ বছর বয়সী ছিলেন তাই এত বয়স্ক মানুষের হৃদযন্ত্র সেই সময় অপেক্ষারত তালিকাভুক্ত কোনও ভারতীয় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করার ঝুঁকি কোনও চিকিৎসক নেন নি। ফলে সহজেই ওই পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বয়স বেশি হলেও দাতার হৃদযন্ত্র বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। এখন পাকিস্তানি (India Pakistan Relation) তরুণীর দেহে রয়েছে ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র।

    চিকিৎসার খরচ বহন কারা করল?

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। ট্রান্সপ্লান্টের কয়েকদিন পরেই আয়েশাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    Anurag Thakur: “সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভারত-পাক ক্রিকেট নয়”! স্পষ্ট বার্তা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ভারতের। অনুপ্রবেশ ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ না থামলে, ক্রিকেটেও পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থাকবে না। শুক্রবার স্পষ্ট জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

    এশিয়া কাপে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। বিশ্বকাপে আবার মুখোমুখি হবে তারা। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আবার কবে হবে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে দু’দলের ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের মধ্যে। এ বিষয়ে সরকারের মতামত জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বোর্ড বহু দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও রকম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা হবে না। এই দেশের যে কোনও সাধারণ মানুষ এটাই চায়।” সম্প্রতি অনন্তনাগে পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সেই সূত্র ধরে এদিন এই বার্তা দেন অনুরাগ।

    পাকিস্তানে খেলা নয়

    প্রসঙ্গত, চলতি এশিয়া কাপের সমস্ত ম্যাচই পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ভারত সরকারের অনুমতি না মেলায় পড়শি দেশে খেলতে যাওয়া সম্ভব নয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ভারতে ওডিআই বিশ্বকাপ বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বারংবার। এদিন অনুরাগ (Anurag Thakur) বলেন,  “পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারতীয়দের অনুভূতিকে সম্মান দিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রীড়া জগতের যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।” 

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কেন ফের এই জল্পনা

    এশিয়া কাপ শুরুর পর পাকিস্তানের আমন্ত্রণে সে দেশে গিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি এবং সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে খেলা হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু গত বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার কর্নেল, মেজর পদাধিকারীর আধিকারিকদের। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্টও জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। এই তিন হত্যার দায় স্বীকার করেছে পাক মদত পুষ্ট রেসিসট্যান্ট ফ্রন্ট নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। এরপরই পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sir Creek: ‘করেছি নিজেদের জমিতে’, স্যর ক্রিকে ছাউনি নির্মাণ নিয়ে পাক-আপত্তি ওড়াল ভারত

    Sir Creek: ‘করেছি নিজেদের জমিতে’, স্যর ক্রিকে ছাউনি নির্মাণ নিয়ে পাক-আপত্তি ওড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের কথা উঠলেই সবার প্রথমে সামনে আসে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের কথা। এমনই ভারতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গুজরাটের স্যর ক্রিক নিয়েও ভারত-পাকিস্তানের বিবাদ জারি। এবারে সেই জায়গায় ভারতের বিওপি তৈরি করা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, ভারত পাকিস্তানের জায়গাতে বিওপি বা বর্ডার আউট পোস্ট বানানোর কাজ শুরু করেছে। তবে ভারতও তাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, বিএসএফ ভারতের আয়ত্তে থাকা জায়গাতেই তিনটি বর্ডার অফ পোস্ট বানাচ্ছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, গত মাসে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সঙ্গে স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই বিওপি নির্মাণ নিয়ে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। ভারতীয় এক সেনা আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “যেখানে বিওপি তৈরি করা হচ্ছে সেই এলাকায় ভারতীয় বাহিনী নজরদারি চালায়। কিন্তু পাকিস্তান দাবি করছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ১ কিমি দূরে এসে ভারত নির্মাণ কাজ করছে। তার জন্য তাদের কাছে প্রমাণও রয়েছে।” যদিও তা অসত্য বলে জানিয়েছেন ওই সেনা আধিকারিক। তাঁর মতে ভারত নিজেদের ভূখন্ডেই বিওপি নির্মাণ করছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    স্যর ক্রিকের জন্য টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    ২০২২ সালের শেষের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্যর ক্রিকে আটটি বহুতল বাঙ্কার তথা অবজার্ভেশন পোস্ট তৈরির জন্য ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। লাখপত ওয়ারি বেট, ডাফা বেট এবং সমুদ্র বেট— এই তিনটি বিওপি তৈরির জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় পাকিস্তানি জেলে ও মাছ ধরার নৌকার ক্রমাগত অনুপ্রবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিওপি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিএসএফদের যাতে ওই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে আরও কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

    ভারত এই বিওপিগুলি নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কারণ এই বিওপি বিএসএফকে স্যর ক্রিক এবং ‘হারামি নালা’  জলাভূমিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থান করার কৌশলগত সুবিধা দেবে। সরকারী তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে গুজরাটের এই অঞ্চল থেকে বিএসএফ ২২ জন পাকিস্তানি জেলে, ৭৯ টি মাছ ধরার নৌকা এবং ২৫০ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ করেছিল। ফলে পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

    বিওপি নির্মাণ

    এক একটি বাঙ্কারের উচ্চতা হবে প্রায় ৪২ ফুট। ওই বাঙ্কারগুলিতে র‌্যাডার থেকে শুরু করে নজরদারির সমস্ত অত্যাধুনিক সরঞ্জাম থাকবে। একসঙ্গে ১৫ জন সেনাকর্মী থাকতে পারবেন এক একটি তলায়। তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসও রাখা যাবে সেখানে।

    পাকিস্তানরা যেই বিওপি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, সেটি হল সমুদ্র বেট। পাকিস্তান ‘সমুদ্র বেট’-এর নির্মাণকাজকে তারা ‘মৌর্য বেট’ বলে অভিহিত করছে ও দাবি করছে, ওই এলাকা নিজেদের আয়ত্তে রয়েছে।

    এক সেনা আধিকারিক জানান, পুরোদমে নির্মাণকাজ চলছে। কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রক ওই বিওপিগুলি তৈরির কাজ করছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) বিওপিগুলিতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। বিএসফকে সবটাই জানানো হয়েছে। কারণ, পাকিস্তানের বিওপি নিয়ে আপত্তি-প্রতিবাদ, এই বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে গোটা ঘটনার কথা বিএসফকে জানিয়ে রাখা হয়েছে।

LinkedIn
Share