Tag: india Pakistan relation

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বুধবার। এদিন মক ড্রিল করবে ভারত। এজন্য সারা হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এহেন আবহে সুর নরম করে ‘সন্ধির প্রস্তাব’ দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতও। তখনই বিলাওয়াল গর্জন করেছিলেন, “সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্তগঙ্গা বইবে।” এর পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ব্লক করে দেয় কেন্দ্র।

    কী বললেন জারদারি? (Bilawal Bhutto Zardari)

    পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনও হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।” তিনি বলেন, “ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়।” বিলাওয়াল বলেন, “আসুন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সঙ্কল্প আছে। কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, আমরা ভালোবাসি স্বাধীনতা।”

    ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন 

    পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সে কি আলোচনা করবে নাকি ধ্বংস হবে? সহযোগিতা করবে নাকি সংঘাত চায়?” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা যাবে না। একে ন্যায়ের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। গুলি দিয়ে একে উৎখাত করা যাবে না, আশা দিয়ে নিরস্ত্র করতে হবে।” বিলাওয়াল বলেন, “জাতিগুলিকে দানব হিসেবে চিত্রিত করে নয় (Pakistan), বরং যে অভিযোগগুলি এর জন্ম দেয়, সেগুলির মোকাবিলা করেই একে পরাস্ত করতে হবে (Bilawal Bhutto Zardari)।”

  • India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে আস্তিন গুটোচ্ছে ভারত (India Pakistan Relation)। একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ ‘সাজ’ চলছে, তেমনি অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে চাইছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ হলে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো শক্তিই পাবে না পাকিস্তান। ভারত যে যুদ্ধে বিশ্বাসী নয়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তবে পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে সেনাকে তিনি ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দিয়ে দিয়েছেন বলেও খবর। তার পরেই সীমান্তে শুরু হয়েছে সেনা তৎপরতা। যার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান।

    গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা (India Pakistan Relation)

    এর পাশাপাশি, আরও একটি কাজ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেটি হল পাকিস্তানকে ফের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা। বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে ইতিমধ্যেই এফএটিএফের সদস্য দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করছে ভারত। ২০১৮ সালের জুন মাসে ওই তালিকার গ্রে লিস্টে বা ধূসর তালিকায় ঠাঁই হয় পাকিস্তানের। অনেক কাকুতি-মিনতি এবং টালবাহানার পর সেই তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম বাদ যায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। গ্রে লিস্টেড হওয়ায় ওই পর্বে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থ সংগ্রহে বড় রকমের প্রভাব পড়েছিল। কারণ কোনও দেশ যদি গ্রে লিস্টেড হয়, তাহলে সেই দেশের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রভাবিত হয়।

    গ্রে লিস্টেড করার প্রক্রিয়া

    কোনও দেশকে এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন হয় একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের। এই প্রস্তাব আবার সদস্য দেশগুলির দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। এফএটিএফের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল মঞ্চ প্লেনারি বসে বছরে তিনবার – ফেব্রুয়ারি, জুন এবং অক্টোবর মাসে। তাই আসন্ন প্লেনারিতে ভারতকে এই প্রস্তাব (Pahalgam Attack) উত্থাপিত করতে হলে জোগাড় করতে হবে সদস্য দেশগুলির সিংহভাগের সমর্থন (India Pakistan Relation)। পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টেড করতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। কারণ পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান কমিশন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ ২৩টি দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছে ভারতের সঙ্গে।

    এফএটিএফের সদস্য ভারত

    ভারত এফএটিএফ এবং এশিয়া পেসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)-র সদস্য। আর পাকিস্তান শুধুই এপিজির সদস্য। তাই পাকিস্তানকে এফএটিএফের তালিকাভুক্ত করা ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। এফএটিএফের ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলির সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ভারতের সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল (India Pakistan Relation)। এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, আইনি কাঠামো, পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও। এফএটিএফের এই রিপোর্টগুলি সদস্য রাষ্ট্রগুলির পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এতে প্রতিটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়। ২৬/১১-য় মুম্বই হামলার সময়ও সক্রিয় হয়েছিল (Pahalgam Attack) আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)। তার জেরে এফএটিএফের চাপে পাকিস্তান মুম্বইয়ের ওই হামলায় কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল। ভারতের সাফ কথা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের নজরদারি থেকে মুক্ত থাকতে হলে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের অর্থ জোগান বন্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং স্থায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

    আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত

    এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে চেষ্টা করার পাশাপাশি আরও একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত। ভারত ২০২৪ সালের (India Pakistan Relation) জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রকল্পে আপত্তি জানাতে চলেছে। এই প্রকল্প চলবে ৩৭ মাস ধরে। মোট ছ’টি রিভিউ মিটিং হয়, যার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তি মঞ্জুর করা হয়। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এই টাকা সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ কাজে ব্যবহার করছে। তাই মে মাসে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলতে চলেছে ভারত।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৯ মে আইএমএফ বোর্ড জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ কর্মসূচির অধীনে পাকিস্তানের জন্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নয়া ঋণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এছাড়াও, বর্তমানে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ এবং নীতি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির (Pahalgam Attack) অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, এই ঋণ অনুমোদনের সময় বোর্ড সভায় প্রতিবেশী দেশটির সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত। সেটা হলে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের (India Pakistan Relation)।

  • India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) মধ্যে সংঘাতের আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে চরমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবীণ এক আধিকারিকের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। ২২ এপ্রিল ভরদুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। নিহত হন এক খ্রিস্টান পর্যটকও। সব মিলিয়ে ওই দিন জঙ্গি হামলার বলি হন ২৮ জন নিরীহ মানুষ।

    বাংলাদেশের বিতর্কিত পোস্ট (India Pakistan Relation)   

    বাংলাদেশের ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারপারসন মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান গত সপ্তাহে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন। বাংলায় লেখা ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করা। চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক কাঠামো গঠনের বিষয়টি বিবেচনার সময় এসেছে।” প্ররোচনামূলক ভাষা ও সময়ের কারণে এই পোস্ট ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে (Bangladesh)।

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ!

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ফজলুর রহমানের এই বক্তব্যকে। তাঁর এই মন্তব্যটি সমর্থন করেছেন কমিশনের আর এক সদস্য ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ততন নেতা শাহনাওয়াজ খান চন্দন। বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক চন্দনকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের অগাস্টে অপসারণের পর এই সরকার ক্ষমতায় আসে (India Pakistan Relation)।

    উদ্বেগজনক মন্তব্য

    স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্টরা এই বিবৃতিকে কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেই মনে করছেন না, তাঁদের মতে বাংলাদেশের এহেন মন্তব্য গভীরভাবে উদ্বেগজনকও, বিশেষত এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রেক্ষিতে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, যা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা শেয়ার করে, তা প্রায়ই আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে আসছে। তবে কোনও উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি আধিকারিকের ভারতের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক আগ্রাসন প্রকাশ্যে সমর্থন করা এই প্রথম। এই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যিনি শেখ হাসিনার সরকারের কুর্সি দখল করেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কঠোর অবস্থান ও বৈদেশিক নীতির পুনর্বিন্যাসের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলায় জড়িত থাকার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সম্প্রতি ১৯৬০-এর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, আটারি চেকপোস্ট সিল করে দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর হ্রাস করেছে (Bangladesh)। প্ররোচনামূলক এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, বিশেষত অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর (India Pakistan Relation)।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বাংলাদেশের এক প্রবীণ আধিকারিকের এহেন জ্বালাময়ী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রে খবর, ভারতের ঢাকায় অবস্থিত হাই কমিশন এই বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের এমন বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে। শেখ হাসিনার শাসন কালে রক্ষিত ঐতিহ্যগতভাবে আন্তরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে সরে আসারও ইঙ্গিত দেয় ইউনূসের সরকার। রহমানের পোস্টে চিনের উল্লেখ থাকায় বিশ্লেষকরা দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার সমীকরণে সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, যা আগামী মাসগুলিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।

    সাবধানী পদক্ষেপ ভারতের

    জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায়, পূর্ব প্রতিবেশী থেকে উদ্ভূত এই নতুন হুমকি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় তবে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তীব্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশের রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ইউনূস সরকারের। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকেন ইউনূসরা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত পাক সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সুযোগ (Bangladesh) কাজে লাগিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করতে চাইছে ইউনূসের বাংলাদেশ (India Pakistan Relation)।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন। তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” সোমবার কথাগুলি বললেন সাংসদ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা সৈফুদ্দিন সোজের উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ হেনে অনুরাগ বলেন, “কংগ্রেসের আসল চেহারা প্রতিনিধিত্বকারী সোজের মতো ব্যক্তিরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচলিত।”

    অনুরাগের অভিযোগ (Anurag Thakur)

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে অনুরাগ অভিযোগ করেন, “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা যাঁরা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন, তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী, যা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে নিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে ও বিশ্বকে বিপদে ফেলতে উৎসাহিত করে। তাই তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, শত্রুতার বিনিময়ে আতিথেয়তা আশা করো না।”

    নিশানায় কংগ্রেস

    অনুরাগ আরও লিখেছেন, “মোদি সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংযমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে, তাকে সমগ্র দেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজের মতো লোকেরা, যাঁরা কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তে কষ্ট পাচ্ছেন। পাকিস্তানের পক্ষে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের হৃদয় এই দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল।”

    বিজেপি সাংসদ (Anurag Thakur) বলেন, “পাকিস্তান যদি এই ধরনের হামলা চালাতেই থাকে, তবে ভারত এক ফোঁটা জলও দেবে না। পাকিস্তান ও তার বন্ধুদের ক্লাবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই যে তোমরা আমাদের রক্তের এক ফোঁটা ঝরালে, ভারত জল দেবে না এক ফোঁটাও।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সৈফুদ্দিন বলেন, “ভারতের উচিত নয় এতদূর যাওয়া, কারণ সিন্ধু জলচুক্তি যুদ্ধের সময়ও ভালোভাবে কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত (Congress) প্রধানমন্ত্রী যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা মেনে চলা (Anurag Thakur)।”

  • Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) পর এক সপ্তাহও কাটেনি। এবার জোরালো বিস্ফোরণ হল পাকিস্তানের (Pakistan) দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে। সোমবারের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।

    শান্তি কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরণ (Pahalgam Attack)

    এদিন দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে স্থানীয় শান্তি কমিটির বৈঠক চলছিল একটি বহুতলে। আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। পাক পুলিশের আধিকারিক উসমান ওয়াজির বলেন, “ওয়াজিরিস্তানের একটি ভবনে শান্তিবৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের ফলে ওই বহুতলের একটি অংশ ধসে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় সাতজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েকজন। এই হামলার নেপথ্যে কারা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”

    নেপথ্যে কি টিটিপি

    বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে চলে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলাটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। এলাকাটি পাক তালিবানদের গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। এদিন দুপুরে সেখানকারই প্রধান শহর ওয়ানায় সরকারপন্থী এক শান্তি কমিটির দফতরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। অতীতে বিভিন্ন সময় টিটিপির বিরোধিতা করেছিল এই শান্তি কমিটি (Pahalgam Attack)। তাই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তাদের হাত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই পাকিস্তানের হাসান খেল এলাকায় পাক সেনা ও আফগান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

    সামরিক মিডিয়া উইংয়ের মতে, এবছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে রাতের বেলায় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের কথা জানতে পারে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই দুপক্ষে হয় গুলি বিনিময়। পাক সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “আমাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।” সোমবারের (Pakistan) বিস্ফোরণে এদের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান পাক সেনার (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার চড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও, পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই চাহিদা সামাল দিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। জিটিআরআই জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য থেমে গেলেও, চাহিদা কমেনি। পাকিস্তান ভারতীয় পণ্য উচ্চমূল্যে ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।”

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি (Pahalgam Attack)

    ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মোস্ট ফেভার্ড নেশন মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। জবাবে পাকিস্তান ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সকল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কেবল মাঝে মধ্যে ওষুধের মতো মানবিক পণ্য রফতানি হয়েছে পাকিস্তানে। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক সত্ত্বেও, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে ৪৪৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (Pakistan) পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যালস, ১২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, ৮৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনি, ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অটো পার্টস এবং ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার (Pahalgam Attack)। এদিকে, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি নগণ্য – মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ডুমুর, তুলসি ও রোজমেরির মতো কৃষিজাত পণ্য।

    জিটিআরআইয়ের অনুমান

    জিটিআরআইয়ের অনুমান, আনুষ্ঠানিক পুনঃরফতানি পথে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্য ছিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক দ্রব্য, চা ও কফি, তুলা ও রং, লবণ, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, অটো পার্টস এবং পেঁয়াজ, টমেটোর মতো পচনশীল পণ্য। জানা গিয়েছে, এই একই পথে পাকিস্তানের যেসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করে, তার মধ্যে রয়েছে, সৈন্ধব লবণ, খেজুর, খোবানি ও বাদামের মতো শুকনো ফল (Pahalgam Attack)। ভারতের এই বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে সরবরাহ শৃঙ্খলে জটিলতা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ফিচ রেটিংসের মতো প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা সহ অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে পাক সরকার যে আরও বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট

    জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা পাক রাজনীতিবিদদের। কারণ পাকিস্তানে ওষুধের কাঁচামালের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। সেই সরবরাহ বন্ধ হতেই বিপাকে ইসলামাবাদ (Pakistan)। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তার পরেও ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে ভেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে পাক সরকার (Pahalgam Attack)।

    ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির জের

    উনিশ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও অবনতি হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্কে। সেই সময়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। যার জেরে ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগেভাগেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের এক আধিকারিক বলেন, “২০১৯ সালের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ওষুধের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিকল্পের খোঁজ করছি।” পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করি। ক্যান্সার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষের প্রতিষেধক ভারত থেকে পাকিস্তানের বাজারে আসে।” তাঁর আশঙ্কা শীঘ্রই বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের বাজারে। জানা গিয়েছে, আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। ওই সব দেশ থেকে ওষুধ কেনার কথা ভাবছে (Pakistan) পাক সরকার। যদিও ঠিক কোথা থেকে ওষুধ কেনা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

LinkedIn
Share