Tag: India Pakistan War

India Pakistan War

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা, পুলিশ কর্তাদের নাম প্রকাশ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান তা ফের একবার সামনে এসেছিল অপারেশন সিঁদুর-র (Operation Sindoor) পরেই। একটি ছবিতে দেখা যায়, ভারতের প্রত্যাঘাতে বাহাওয়ালপুরে জইশের হেড কোয়ার্টারে নিহত জঙ্গিদের স্যালুট করছে পাক সেনা। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্সে করে জইশ জঙ্গিদের দেহ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান আর্মি কোর অফ মিলিটারি পুলিশ তাদের স্যালুট ঠোকে। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে পাক সেনা অফিসার, পুলিশকে।

    মুরিদকে ক্যাম্পে খতম জঙ্গিদের শ্রদ্ধা পাক সেনা-পুলিশের

    মুরিদকে জঙ্গি ক্যাম্পে খতম হওয়া জঙ্গিদের সার দিয়ে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান সেনার (Pak Army) আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের কফিন বন্দি মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে (Operation Sindoor) পাক সেনাকে। একইসঙ্গে জঙ্গিদের কফিনও মুড়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পতাকায়। এই আবহে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকা পাক সেনা অফিসারদের নাম সামনে আনল দিল্লি। ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি হাফিজ আবদুল রাউফকে। আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় বিশেষ ভাবে চিহ্নিত তার নাম। ভারতের প্রত্যাঘাতে (Operation Sindoor) এই শিবিরে থাকা তিন শীর্ষ কমান্ডার সহ একাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন শীর্ষ কমান্ডার হল, কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাস্‌সির। তাদেরই শেষকৃত্যের ছবি প্রকাশ করেছে ভারত, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    কোন কোন উচ্চপদস্থ পাক সেনা হাজির ছিল জঙ্গিদের শেষকৃত্যে

    পাক সেনা ও পুলিশ আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করল ভারত সরকার (Operation Sindoor)। উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পদও। সেই তালিকায় রয়েছে-

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়াজ হোসেন শাহ, লাহোরের চতুর্থ কোরের কমান্ডার।

    লাহোরের ১১তম পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ

    ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির

    পাঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল ডঃ উসমান আনোয়ার

    মালিক সোহাইব আহমেদ ভের্থ, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।

    আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা দাবি করে আসছে তারা কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় না বা মদত দেয় না, তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ছবি অনুসারে, অনেক পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টি আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে উত্থাপন করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি নিহত জঙ্গিদের কফিনের পিছনে প্রার্থনারত পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশ সদস্যদের উর্দি পরিহিত একটি ছবি তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন যে, এই ছবিটি (Operation Sindoor) কী বার্তা দেয়।

  • Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: ‘‘পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর’’, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে, সময় এসে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়েও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নতুন কারখানার উদ্বোধন হয়। সেখানে এসেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    কী বললেন যোগী আদিত্যনাথ?

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘যতক্ষণ আমরা সন্ত্রাসবাদকে দমন না করতে পারব, ততক্ষণ সমস্যার সমাধান হবে না। সময় এসে গিয়েছে। আমাদের একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে জোট হতে হবে। সন্ত্রাসবাদীদের ভাষায় তাদের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’ একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে কুকুরের লেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, এই লেজ কখনওই সোজা হয় না। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা না গেলে কখনওই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’’

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে নামে মোদি সরকার। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এই আবহে রবিবার সকালেই অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে বলে জানিয়ে দেয় বায়ুসেনা। তারা জানিয়েছে, জাতীয় উদ্দেশ্যপূরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোপনীয়তার সঙ্গে অপারেশন চলছে। বেছে বেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।প্রসঙ্গত, শনিবার সংঘর্ষবিরতি সমঝোতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে লাগাতার হামলা চালায় পাক-বাহিনী। এর পরেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছে সেনা।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত, বৈঠকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকাল ৫টায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) যে থামেনি রবিবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সূত্রের খবর, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম গোলাবর্ষণের যোগ্য জবাব দেবে ভারত।

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, গত ৭ মে পাকিস্তান অধীকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে নয় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই হামলার পরে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। পাকিস্তান গুলি চালালে (Operation Sindoor) ভারত পাল্টা আরও জোরালো হামলা চালাবে।

    অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি

    সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এখনও শেষ হয়নি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘‘এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।’’

    সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে

    এছাড়াও, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত অবশ্যই দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে, এই দুটো একসঙ্গে চলবে না। অর্থাৎ এটা একদম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনেই চলছে। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    Operation Sindoor: ‘‘যারা সিঁদুর মুছেছিল, ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে’’, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবারই তিনি লখনউতে ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সেখানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অপারেশন ছিল না, এটি একটি সংকল্প। যারা সিঁদুর মুছেছিল, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ভারত তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।’’

    দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না

    এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘ভারত নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। দেশ শক্তিশালী না হলে বিশ্বে কেউ সম্মান করে না।’’ রাজনাথ সিংয়ের আরও সংযোজন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কেবলমাত্র একটি হাতিয়ার নয়, এটি বিশ্বকে দেওয়া ভারতের একটি বার্তা। ভারতের পরাক্রমের বার্তা বহন করছে এই মিসাইল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার পরিচয় এই ব্রহ্মস মিসাইল। শত্রুর নিধনে ভারত কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিরও পরিচয় বহন করে এই মিসাইল।’’

    সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না

    পাশাপাশি, রাজনাথের (Rajnath Singh) আরও বক্তব্য ‘‘অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) বুঝিয়েছে, সীমান্তের ওপারেও জঙ্গিরা নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবে না।’’ অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়। এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির পরিচয় দিয়েছে এই অপারেশন। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন আমরা কোনও অ্যাকশন নিই তখন সীমান্ত পারেও জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা রেহাই পাবে না।’’

    ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত শোনা গিয়েছে

    পাশাপাশি তিনি জানান, ভারত কোনও সাধারণ পাক নাগরিককে আক্রমণ করেনি। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনার গর্জন রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দফতর পর্যন্ত শোনা গিয়েছে। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কোনও নাগরিককে আক্রমণ করিনি।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের আক্রমণের পাশাপাশি বহু মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জাগুলিতে হামলা চালিয়েছে।’

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    India Pakistan War: যুদ্ধ ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পেয়েই মোদিকে ফোন করেন ভ্যান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) যুদ্ধ বিরতি ইস্যুতে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-র এক প্রতিবেদন। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র থেকে এক ‘উদ্বেগজনক ও গোপন তথ্য’ পায়। এর ভিত্তিতেই মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা শুক্রবারই আলোচনায় বসেন। তার ঠিক একদিন পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শুক্রবার দুপুরে সরাসরি ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)।

    সিএনএনের প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

    সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শুক্রবার সকালে ভারত-পাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশ সচিব ও অস্থায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুজি ওয়াইলস। সেখানেই গুরুতর গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করে আমেরিকা। সেই গোয়েন্দা তথ্য মোতাবেক, ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan War) মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়ানক তীব্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ছিল।’’ সিএনএনের বক্তব্য অনুযায়ী সেই তথ্যের প্রকৃতি এখনও পর্যন্ত কেমন ছিল তারা তা জানতে পারেনি তারা। কারণ মার্কিন প্রশাসন গোপনীয়তার স্বার্থে তা জানায়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনিক কর্তারা সিএনএন-কে জানিয়েছে, এই গোপন তথ্যই ছিল হস্তক্ষেপের একেবারে ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

    কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারত যুদ্ধ পরিস্থিতি

    প্রসঙ্গত, মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি ভ্যান্স ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এবং কয়েকদিনেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এরপরেই অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মোদির সঙ্গে এই কথোপকথনের পরে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাতভর (India Pakistan War) কথা বলেন। রুবিও ফোন করেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে। তবে মার্কিন প্রশাসন সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেনি, শুধু আলোচনা শুরু করিয়ে দেওয়াটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, মোদি-ভ্যান্স ফোনালাপই ছিল পরিস্থিতি বদলের প্রধান মুহূর্ত।

  • Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে ফের একবার স্বাগত জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সিদ্ধান্তের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এখনই যে আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং পাকিস্তান (India Pakistan War) তা যে বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যে ভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’’

    ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য

    এদিন কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও লিখেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য আমেরিকা যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’’ এর পরই তিনি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে তার জন্য ভারত-পাক দু‌’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। শেষে তিনি (Donald Trump) আবারও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তান যে ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’’

    ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে , শনিবারই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, শনিবার বিকেলে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি বজায় থাকবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।’’  এরপর ফের রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি সামনে এল।

  • India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    India Pakistan war: কাপুরুষোচিত হামলা, পাকিস্তানের ছোড়া গুলিতে শহিদ বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই বিকেল পাঁচটায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরই ফের নিজেদের (India Pakistan War) আসল রূপ দেখাল পাকিস্তান। ফিরে এল পাকিস্তান। কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় লাগাতার গোলা-গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় অবশ্য পাকিস্তানকে সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য জবাবও দিতে শুরু করে বিএসএফ (BSF)। তবে বিএসএফ-এর জম্মু ডিভিশন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ আধিকারিকের। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে নির্বিচারে গোলাগুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তান। সেই সময়ই সামনে থেকে আধা সেনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর এমডি ইমতিয়াজ। তখনই পাকিস্তানের (India Pakistan War) ছোড়া গুলিতে শহিদ হন তিনি।

    শনিবারও রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে

    অন্যদিকে শনিবারই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করা হয়েছে। আপাতত আকাশ, স্থল, জল, কোনও পথেই সেনা ‘অ্যাকশন’ চালানো হবে না বলে জানান বিক্রম মিস্রি। তবে এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দেখা গেল উধমপুর, আখনুর, নৌসেরা, পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, আরএসপুরা সহ একাধিক জায়াগায় গোলা-গুলি চালাতে (India Pakistan War) শুরু করে পাকিস্তান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত রাজস্থান-গুজরাট সহ একাধিক জায়গায় ফের সাইরেন বাজাতে শুরু করে। জয়সালমের, বারমের, পাঠানকোট সহ একাধিক জায়গা সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়।

    শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, পাক হামলায় শুক্রবারও মৃত্যু হয়েছিল এক সরকারি আধিকারিকের। নিহত হয়েছেন রাজৌরির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারও। পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজ কুমার থাপা নামের ওই আধিকারিকের। ওই হামলার ঘটনায় সেসময় আহত হয়েছিলেন তিনজন । পরে মৃত্যু হয় ওই আধিকারিকের।

LinkedIn
Share