Tag: India Pakistan War

India Pakistan War

  • India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    India Pakistan Ceasefire: যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা থেকে পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি, সব খোলসা করলেন মিস্রি, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে (India Pakistan Ceasefire) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর সামরিক সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে বলে দাবি করলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, গত ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষিবিরতিতে সায় দেন।

    ট্রাম্পের দাবিকে মান্যতা নয়

    সংঘর্ষবিরতির কথা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারত এবং পাকিস্তানের (India Pakistan Ceasefire) তরফে আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় তাঁর নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও বারাবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার কারিগর হিসেবে নিজেকেই তুলে ধরেছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে বিরোধী দলগুলি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়। সংসদীয় কমিটির এক সদস্য প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অন্তত ৭ বার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। ভারত চুপ কেন?

    তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই

    এদিন বিদেশসচিব স্পষ্ট বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির (India Pakistan Ceasefire) সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।” বিক্রম মিস্রি জানান, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ছিল পুরোপুরি প্রচলিত যুদ্ধবিধির মধ্যে। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের তরফে কোনও পরমাণু সংকেত দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাদের ব্যবহৃত চিনা প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল— আমরা তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছি।” বিদেশ সচিবের এই বক্তব্য ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে, যে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত গ্রহণ করবে না।

    যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচ-কিউ ৯ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথাও উঠে আসে কমিটির আলোচনায়। তবে বিদেশসচিব জানান, অস্ত্রের উৎস নয়, আঘাতের কার্যকারিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য জানতে চান, পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কি ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে বিদেশ সচিব জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি জানান, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিষয়, তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। উল্লেখ্য বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এক ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অভিযানের শুরুতেই আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা দিয়েছিলাম, জানিয়ে দিই যে আমরা সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা করছি।” এই বক্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় রাজনীতি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একে ‘অপরাধ’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে? এর ফলে আমাদের বিমানবাহিনী কতটি বিমান হারিয়েছে?’ বিদেশ সচিব কমিটিকে জানান, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের শুরুতে নয়, সুনির্দিষ্ট আঘাতের পর পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল।” সূত্রের খবর, সোমবারের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে মিস্রি জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর প্রথম অভিঘাতের পরে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল, ভারতের টার্গেট জঙ্গিঘাঁটি, কোনও পাকিস্তানি মিলিটারি ইনস্টলেশন নয়, তাই পাক সেনা যেন ভারতের অপারেশনে বাধা না দেয়। কিন্তু পাকিস্তানি সেনা সেই পরামর্শ শোনেনি, তাই তাদের ফল ভুগতে হয়েছে। অপারেশন শুরুর আগে পাকিস্তানকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি মিস্রির।

    তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক

    পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ভারত–তুরস্কের সম্পর্ক এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে মিস্রি বলেন, ‘আপনারা ইতিহাস ঘেঁটে দেখে নিন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক— দু’দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক কোনও দিন বিশেষ ভালো ছিল না। ফলে, নতুন করে সম্পর্কে অবনতির বিষয় নেই।’ মিস্রি ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ট্রোল করা হয়েছিল, এ দিনের বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটি সর্বসম্মত ভাবে তার নিন্দা করেছে।

  • China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে চিন (China) সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানকে কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মারফত সহায়তা প্রদান করেছে বেজিং। রেডার পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদকে বেজিং সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।

    রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় সেনার (India Pakistan War) গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহকে কাজে লাগায় চিন (China)। এভাবেই তারা সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে থাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। তবে চিনের এত সাহায্য়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাঘাত চালায় দিল্লি। এদিকে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে চিনা উপগ্রহ। কীভাবে সামনে এল বিষয়টি? প্রথম বার এটি নজরে আসে ওপেন-সোর্স ইনটেলিজেন্স বা ও এসআইএনটির গোয়েন্দাদের। তাঁরাই জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের আবহে বহু বার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে।

    ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ দূর্দান্ত কাজ করায় ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, পাকিস্তানের ফৌজ যখন (India Pakistan War) রাজস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই ওই এলাকার ওপর নজরদারি চালায় চিনের উপগ্রহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিঙের সাহায্য নিয়ে ওই হামলা পরিচালনা করছিলেন রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনা অফিসাররা। তবে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) দুর্দান্তভাবে কাজ করায় সেগুলি শূন্যেই ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নামে চিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর কাছে রয়েছে নজরদারি এবং অনুসন্ধানমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে সক্ষম একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ। সূত্রের খবর মিলেছে, ভারত-পাক যুদ্ধে ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই সেগুলির বড় অংশকে কাজে লাগায় চিন। এক কথায় ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালায় বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর যুদ্ধকৌশল, এয়ার ডিফেন্স সার্ভিস ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহই ছিল চিনা উপগ্রহগুলির মূল উদ্দেশ্য।

    নিজেদের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন

    পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ‘পাকিস্তান রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট-১’ (পিআরএসএস-১) এবং পাকস্যাট-এমএম১ নামের আরও দুটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য় পাচ্ছিল পাকিস্তান। এগুলির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে চিনের হাতেই। সূত্রের খবর, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে এই ধরনের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন।

    পাকিস্তানকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে ইতিমধ্যেই পাক ফৌজকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হামলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলি ব্যবহার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পন্থা (এনক্রিপশন) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। এগুলিকে হ্যাক করা খুবই কঠিন।

    কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন

    পাকিস্তানকে সাহায্য করার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে চিনের নিজস্ব স্বার্থ। বেজিং আশঙ্কা করছে, অরুণাচল প্রদেশ বা লাদাখের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে তাদেরকেও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘যুদ্ধে’ ব্যবহার হওয়া নয়াদিল্লি আক্রমণ পদ্ধতি বুঝে নিতেই নিজেদের ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহগুলিকে কাজে লাগায় তারা। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ইসলামাবাদকে বিক্রি করা অস্ত্রগুলির শক্তি পরীক্ষার ওপরেও নজর রেখেছিল বেজিং (China)। তবে সেখানে অবশ্য় একেবারে ফেল করেছে চিন। চিনা হাতিয়ার ‘ডাহা ফেল’ করায় পাকিস্তানের সামনেও মুখ পুড়েছে চিনের।

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘাত চলাকালীন ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের ‘এয়ার ডিফেন্স’কে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এখানেই মোতায়েন ছিল চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ নামের একটি এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়াও চিনের জেএফ-১৭ নামের দু’টি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে নয়াদিল্লি।

    চিনের সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছাপা হয় রাফাল নিয়ে

    ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদ ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করে চিন (China)। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’- এ প্রকাশিত হয় এই খবর। এর পরেই ‘গ্লোবাল টাইমস’কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। তখন বাধ্য হয়ে ভুল খবর প্রকাশ করার কথা স্বীকার করে নেয় চিনের এই সরকারি সংবাদমাধ্যম। এই আবহে রাফালকে ধ্বংস করতে বেজিঙের জে-১০সি লড়াকু জেট ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর বক্তব্য খারিজ করে দেয় চিন।

  • India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    India-Pakistan War: ভারতের আকাশ, ব্রহ্মোস, স্কাই স্ট্রাইকার! ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অস্ত্রে ধ্বংস পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India-Pakistan War) আবহে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ওয়েপন’ বা দেশের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার সকলের নজর কেড়েছে। সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলির আঘাতে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা হয়েছে ইসলামাবাদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী আকাশ, ব্রহ্মোস ও স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চূর্ণ করে দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর শুধু পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে তা নয়, বরং ভারতের আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির শক্তি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation) ও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (BDL)-এর মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের অস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলো এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হচ্ছে।

    আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা

    ডিআরডিও নির্মিত আকাশ হলো ভারতের (India-Pakistan War) নিজস্ব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ২৫ থেকে ৪৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত এবং ১৮,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যার সফলতা ৯০ শতাংশ। গত ৮ থেকে ১০ মে, পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আকাশ সিস্টেম দ্বারা প্রতিহত করা হয়। এর মধ্যে শ্রীনগরে একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান, পাঞ্জাবে একটি ফতেহ্-১ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ও ডিজেআই সামরিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে বিশেষ ধরনের একটি রেডার যুক্ত রয়েছে এই ব্যবস্থায়। ডিআরডিও জানিয়েছে, দু’ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ট্র্যাকিং মোডে এটি একসঙ্গে ৬৪টি টার্গেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম। আবার সক্রিয় মোডে ১২টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে আকাশ।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মোস হলো ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি পৃথিবীর দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে পরিচিত, যার গতি শব্দের গতির তিন গুণ। বর্তমানে এর পরিসীমা ৯০০ থেকে ১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। বর্তমানে তিন ধরনের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় ফৌজ। তার মধ্যে রয়েছে স্থলভাগ এবং যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়ার ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া রণতরীর জন্য আলাদা ধরনের ব্রহ্মোস রয়েছে। সেগুলি মূলত ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। সূত্রের খবর, এর সাহায্যে পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী। গত ১১ মে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এই অভিযানে লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচি-সহ সাতটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    স্কাই স্ট্রাইকার আত্মঘাতী ড্রোন

    স্কাই স্ট্রাইকার হলো ভারত ও ইজরায়েলের যৌথভাবে নির্মিত একটি “কামিকাজে” ড্রোন। এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ড্রোন ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর হামলা চালায়। এই ড্রোন দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে চক্কর কাটতে পারে এবং ছোট ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে পারে। এর ৫-১০ কেজি বিস্ফোরক বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ‘স্কাই স্ট্রাইকার’-এর নির্মাণকারী সংস্থা হল আদানি গোষ্ঠীর বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা আলফা ডিজাইন। ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট সিকিউরিটিজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটিকে তৈরি করেছে তারা। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মোট ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এই ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের হাতে থাকা চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ একে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়।

    নাগাস্ত্র-১ লইটারিং মিউনিশন: নিখুঁত সার্জিকাল স্ট্রাইক

    ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা নির্মিত নাগাস্ত্র-১ একটি ম্যান-পোর্টেবল লইটারিং মিউনিশন, যা স্কাই স্ট্রাইকার-এর কার্যক্রমকে সহায়তা করেছে। এই ড্রোনের পাল্লা ১৫-২০ কিলোমিটার, এবং এটি প্রায় ৬০ মিনিট আকাশে অবস্থান করতে পারে। ১-২ কেজি ওজনের ওয়ারহেডযুক্ত নাগাস্ত্র-১ জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও লস্কর-ই-তৈবা (LeT)-এর ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। মিশন মাঝপথে বাতিল করার ক্ষমতা ও সীমিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নাগাস্ত্র-১ ভারতের দায়িত্বশীল যুদ্ধনীতিকে প্রতিফলিত করেছে।

    ডি৪ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম: আকাশপথে সুরক্ষার ঢাল

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) সঙ্গে স্বল্প পরিসরের ‘যুদ্ধে’ ডিআরডিও-র ডি-৪ ব্যবস্থাটি খুবই কাজে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এর সাহায্যে তুরস্কের ড্রোনের হামলা ঠেকিয়ে দেয় সেনা। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ডি-ফোরের নির্মাণকারী সংস্থাও ভারত ইলেকট্রনিক্স। একে এককথায় ‘ড্রোন-কিলার’ হাতিয়ার বলা যেতে পারে। মূলত দু’ভাবে মানববিহীন উড়ুক্কু যান ধ্বংস করে এটি। প্রথম পদ্ধতিটি হল জিপিএস স্পুফিং। এর সাহায্যে ড্রোনকে ভুল পথে চালিত করে ডি-ফোর। জ্যাম করে মানববিহীন যানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। দ্বিতীয়টি হল, লেজার গাইডেড গুলি ছুড়ে মাঝ-আকাশে ড্রোনকে উড়িয়ে দেওয়া। ডিআরডিও-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, “বিপুল সংখ্যক ড্রোনের আক্রমণের মুখেও এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।”

    ভারতীয় অস্ত্রের চাহিদা বাড়বে

    স্বাধীনতার পর থেকে অস্ত্র আমদানির দিকেই বেশি নজর দিয়েছে নয়াদিল্লি। ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাতিয়ার নির্মাণে আত্মনির্ভর হওয়ার স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্র রফতানির উপরেও জোর দেয় কেন্দ্র। কিন্তু, ভারতের মাটিতে তৈরি হাতিয়ার কোনও যুদ্ধে সে ভাবে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সেগুলির তেমন কদর কখনওই দেখা যায়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে সেই মানসিকতায় আমূল বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চার দিনের লড়াইয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা! পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিতে আগুন ঝরিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। একের পর এক বায়ুসেনার ছাউনি গুঁড়িয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে পাকিস্তান। নূর খানে হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরও যে মোটেই নিরাপদ নয়, তা স্পষ্ট বুঝে যান ইসলামাবাদের ফৌজি অফিসারেরা। তাই ভারতের সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী সদর দফতর (Pakistan Army Headquarters) স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ভারতের এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হেনেছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    রাওয়ালপিন্ডির চকলালা এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (GHQ), যা যৌথ বাহিনীর সদর দফতরের নিকটবর্তী। এই ঘাঁটির পাশেই অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ভিআইপিদের আসা-যাওয়া ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী নূর খান ঘাঁটির পূর্ব ও বর্তমান অবস্থার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ঘাঁটি পাকিস্তানের সুরক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থার কেন্দ্র ছিল। পাকিস্তানের পাল্টা ভারতের হামলায় এই ঘাঁটির অবস্থা খুবই খারাপ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতের এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে রেডার ফাঁকি দিয়ে ভারতের ড্রোনের নিচু উচ্চতায় ঢুকে পড়া, পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে হামলা করা পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।

    রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের ড্রোন হামলা

    পাক বিমানবাহিনীর এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে চকলালার নূর খান ছাউনিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ইসলামাবাদ (Pakistan Army Headquarters) থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১০ কিলোমিটার। একে পাক বায়ুসেনার সদর দফতর বললে অত্যুক্তি করা হবে না। শুধু তা-ই নয়, অধিকাংশ বড় অপারেশনে মুখ্য ভূমিকা থাকে নূর খান ঘাঁটির। সংশ্লিষ্ট ছাউনিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। গত ৮ মে তারিখে ড্রোন দিয়ে যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন (এসপিডি) এবং রাওয়ালপিন্ডিতে কাশ্মীর নিয়ে কাজ করা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স-নর্থ উইং, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারের বাসভবন, অ্যাটক জেলার ন্যাশনাল ডিফেন্স কমপ্লেক্স (এনডিসি), যা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টার-লঞ্চার যান তৈরি করে। এই হামলা ইসলামাবাদে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর দফতরের কাছে নয়াদিল্লি আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন  ইসলামাবাদের সেনাকর্তারা। এবার তারা ভাবছে কী করে সেনা সদর দফতর সরানো যায়।

    পাকিস্তানের দুর্বলতা প্রকাশ

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারত। কেউ কেউ একে সংঘর্ষবিরতি বলতেই পারেন, কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এই শব্দটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটাকে শুধু বিরতি বলে বর্ণনা করা যাবে না বরং বলা যায় এটি বিরল এবং কৌশলগত স্থগিতাদেশ। ভারত বারবার দাবি করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই সংঘর্ষ বিরতির আবেদন করা হয়ছিল। ভারতের আঘাত সইতে পারেনি ইসলামাবাদ। এখন তাদের সেনা সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনাই প্রমাণ করে ভারেতর দাবি সত্য। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে ভারতের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এর পরই পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির আকাশসীমায় ঢুকে একের পর এক ছাউনিতে হামলা চালান ভারতের পাইলটেরা। ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। বেশ কিছু গণমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে হামলার সময়কার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে পাক বায়ুসেনাছাউনিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

    পাক সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা কমছে

    পাকিস্তানের ঘরের ভিতরে ঢুকে ভারতের এই হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর (Pakistan Army Headquarters) জন্য বড় ধাক্কা। ফলে পাক সেনাবাহিনী এখন ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। নেতৃত্ব পরিবর্তন, সদর দফতর স্থানান্তর তারই অঙ্গ। পাকিস্তান চাইছে তাদের সমরাস্ত্র এক জায়গায় না রেখে পাহাড়ঘেরা অঞ্চল যেমন বেলুচিস্তান বা খাইবার পাখতুনখোয়ায়র কোনও জায়গায় রাখতে। ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে রাওয়ালপিন্ডি একটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। যে কোনও সময় এখানে হামলা হতে পারে। তাই এখানে পরমাণু অস্ত্র রাখাও সুরক্ষিত নয়। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর পাকিস্তান সেনার সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনা ইসলামাবাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে। এই কাজ তাদের সামরিক ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দেবে, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনা সদর দফতর স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। ঋণে ডুবে থাকা অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস জোগাবে এবং সাধারণ মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা কমাবে।

  • Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    Operation Sindoor: সফল অপারেশন সিঁদুর! প্রতিরক্ষা খাতে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সাফল্যে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও ৫০ হাজার কোটি বাড়তে চলেছে। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। পাক আক্রমণ প্রতিহত করতে এস-৪০০ সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের ভূমিকাও (Indian Defence Budget) দেখেছে সারা বিশ্ব। ভারতের একাধিক শহরকে পাকিস্তানের সেনা টার্গেট করলেও এদেশের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের আক্রমণ। এই আবহে ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায় মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সেনার আধুনিকীকরণ, গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার হবে বরাদ্দ

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় এসংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটা নিয়ে বিল আনা হবে (Indian Defence Budget)। জানা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা সেনার আধুনিকীকরণ (Operation Sindoor), গবেষণা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহার করা হবে।

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ

    চলতি বছরেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হয়েছিল ৯.২ শতাংশ। ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা বাজেটে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছিল ৬ লক্ষ ২২ হাজার কোটি। ২০২৫ সালে তা বাড়িয়ে ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ মূল বাজেটের ১৩ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। এবার সেটা আরও বাড়তে চলেছে খবর। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে (Operation Sindoor) বাড়তি নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-১৫ সালে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমান বরাদ্দ তার প্রায় তিনগুণ।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের সেনাবাহিনী। খতম হয় শতাধিক জঙ্গি। এরপরে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয় জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান। পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা হয় ভারতের উপর। কিন্তু ভারতের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা রুখে দেয়। অন্যদিকে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

    মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

    ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

    রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

    ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

    চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

    পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

    এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

    সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

  • Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করল দিল্লি। সেলেবি এভিয়েশন ভারতের ৯টি বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিত বলে জানা গিয়েছে। এগুলি হল- দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, কোচি, কান্নুর ও গোয়া। তুরস্কের এই সংস্থাটি ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর এই ছাড়পত্র পেয়েছিল বলে জানা যায় (India Turkey Relation)। প্রসঙ্গত, ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। এই আবহে বাতিল হল সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র।

    কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্র (Operation Sindoor)

    তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে ড্রোন ও সেনা দিয়েও সাহায্য করেছে তুরস্ক। খবরে প্রকাশ, সেলেবি এভিয়েশনের অন্যতম সত্ত্বাধিকারী হলেন এরদোয়ানের মেয়ে। সেই কারণেই ভারত সরকার এমন কড়া অবস্থান নিল বলে মনে করা হচ্ছে (Operation Sindoor)। জানা যাচ্ছে, সেলেবি এভিয়েশন ২০০৯ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে কাজ শুরু করে এবং পরে দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুসহ অন্যান্য বড় শহরে কাজ ছড়িয়ে দেয়। এই সংস্থা যাত্রী পরিষেবা, কার্গো, সার্ভিস, বিমানের লোড কন্ট্রোল ইত্যাদি পরিচালনা করত।

    বাতিল রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, তুরস্ক সমেত বাংলাদেশ ও তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি ভবনে। কিন্তু তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল বিদেশ মন্ত্রক। এই অনুষ্ঠানেই তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলি মুরাদ এরসয় ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র উপস্থাপন করতেন। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই বদলে গিয়েছে ভারত ও তুরস্কের সম্পর্ক। এই আবহে দেশজুড়ে তুরস্কের পণ্য বয়কটের ব্যাপক দাবি উঠেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে তুরস্কের (India Turkey Relation) এমন এমন অবস্থান। জানা যাচ্ছে, তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত চ্যাভানার্ট থাংসুমফ্যান্ট এবং বাংলাদেশি হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহরও ওই একই অনুষ্ঠানে নিজেদের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করার কথা ছিল। তবে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দিল কেন্দ্র।

  • Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে (Pakistan) সরাসরি সমর্থন করেছে তুরস্ক। এই আবহাওয়া এ দেশে তুরস্কের পণ্য বর্জনের দাবি জোরদার হয়েছে। এই আবহে তুরস্কের সঙ্গে ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ সালে তুরস্কে ভারতের রফতানির পরিমাণ ছিল ৫.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যা এদেশের মোট রফতানির দেড় শতাংশ। অন্যদিকে তুরস্ক থেকে ভারত আমদানি করেছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার যা মোট আমদানির ০.৫%।

    তুরস্কে আমদানি ও রফতানি কী কী হয়?

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তুরস্কে ভারতের (Operation Sindoor) রফতানি করে তেল, খনিজ জ্বালানি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, রাসায়নিক, ওষুধ, ট্যানিং এবং ডাইং আইটেম, প্লাস্টিক, রাবার, তুলা, কৃত্রিম তন্তু এবং ফিলামেন্ট, লোহা, ইস্পাত, অটো এবং এর উপাদান। অন্যদিকে ভারত তুরস্ক থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে রয়েছে মার্বেল, তাজা আপেল, সোনা, শাকসবজি, চুন, সিমেন্ট, খনিজ তেল, রাসায়নিক, প্রাকৃতিক মুক্তা, লোহা এবং ইস্পাত। তুরস্ক কোম্পানিগুলি মেট্রো রেল, টানেল নির্মাণ, বিমানবন্দর পরিষেবা, শিক্ষা, মিডিয়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    বুধবার জেএনইউ তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে

    কিন্তু এই পুরো চিত্রটি এবার বদলে যেতে পারে (Operation Sindoor) বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানকে যেভাবে তুরস্ক সেনা এবং ড্রোন সরবরাহ করেছে, তাতেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের একবার পুনর্বিবেচনার জায়গাতে চলে এসেছে। গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। ২০২৩ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ভারত সেখানে ত্রাণ সরবরাহ করে, অপারেশন দোস্ত নামে। তারই প্রতিদান স্বরূপ অকৃতজ্ঞ তুরস্ক পাকিস্তানকে সেনা ও ড্রোন সরবরাহ করল (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হয়েছিল মুজিব। এবার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য (Operation Sindoor) । ধরা পড়ল তার পাকিস্তানি যোগ। মুজিবের সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা একাধিক পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের সঙ্গে তার যোগ পেয়েছেন (Pak Extremist)। এই প্রোফাইলগুলিতে সর্বদাই ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয় বলে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, instagram-এর একাধিক পাকিস্তানি অ্যাকাউন্টকে মুজিব ফলো করে, যেগুলি পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা চালায়। এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সে মাদকাসক্তও বটে। তাকে ফের একবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পরবর্তী তদন্তের (Pak Extremist) জন্য।

    সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করে মুজিব (Operation Sindoor)

    পুলিশ জানিয়েছে যখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়, তখনই মুজিব অস্বীকার করে তার সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয় প্রশাসনের। এরপরেই তার সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক পাকিস্তানি উগ্রপন্থী প্রোফাইলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। বর্তমানে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন এই পাকিস্তানি উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সে কীভাবে যোগাযোগ রাখত।

    আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান 

    প্রসঙ্গত, কোচি হারবার পুলিশ স্টেশন মুজিবকে আগেই গ্রেফতার করে। কারণ সে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে কোচি নৌ ঘাঁটিতে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান ঠিক কোন জায়গায় সেটা জানতে চেয়েছিল। এক্ষেত্রে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল যে সে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে ফোন করছে এবং নিজের নাম বলেছিল রাঘবন। ফোন কল ভুয়ো জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এমন ফোন কল আসায় বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় প্রশাসন। মুজিবকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করে কোচি পুলিশ। এরপরেই মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান।

LinkedIn
Share