Tag: India-Russia Relation

India-Russia Relation

  • Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    Trump’s Tariff on India: বিকল্প পথের সন্ধানে দিল্লি, ট্রাম্পের শুল্ক-বাণ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২৫% শুল্ক (Trump’s Tariff on India) এবং অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ট্যারিফ ভারতীয় রফতানির উপর অগাস্টের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হলেও, ভারত সরকার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে এবং জানিয়েছে যে তারা কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরিবর্তে, সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বলেই স্থির করেছে। সরকারি সূত্রে খবর, ২৫ শতাংশ শুল্ক যে খুব একটা চিন্তার বিষয় এমনটা নয়। কারণ, চারপাশে তাকিয়ে দেখলে লক্ষ্য করা যাবে চিনের উপর শুল্ক চাপানো ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশের উপর ৩৫ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় চাপানো ১৯ শতাংশ। বাকি সব দেশেও গড়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। যে গোষ্ঠীতে এখন ভারতও ‘এন্ট্রি’ নিয়েছে।

    ট্রাম্পের ঘোষণা

    ট্রাম্প বুধবার জানিয়েছেন, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক (Trump’s Tariff on India) আরোপ করা হবে, এর পাশাপাশি আরও কিছু আর্থিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। ট্রাম্প ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পিছনে ব্রিকসকে (BRICS) অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখনও আলোচনায় আছি। এর মধ্যে ব্রিকসের বিষয়টিও রয়েছে। এটি আমেরিকা বিরোধী দেশগুলির একটি দল এবং ভারত এর সদস্য। এটি ডলারের উপর আক্রমণ করতে চায় এবং আমরা কাউকে ডলারের উপর আঘাত হানতে দেব না।”

    উদ্বিগ্ন নয় ভারত

    সরকারি সূত্রে খবর, ট্রাম্প শুল্ক (Trump’s Tariff on India) চাপালেও ভারত এই বিষয়ে কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করছে না। বৃহস্পতিবার এক উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, “নীরবতাই সবচেয়ে বড় উত্তর। আমরা যা করব, আলোচনার টেবিলেই করব। দেশের জন্য যা ভালো তাই করবে মোদি সরকার। অন্য দেশের কথা শুনে ভারতের বিদেশনীতি ঠিক হবে না। আর দেশের কৃষক ও ছোট ব্যবসাদারদের কোনও ক্ষতি হতে দেবে না সরকার।” বুধবার সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত এবং রাশিয়া, দুই দেশের অর্থনীতিই মৃত। চাইলে এই দুই দেশ আরও অর্থনৈতিক অধোগতির পথে হাঁটতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে একটি বানিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ট্রাম্প বহুবারই মার্কিন পণ্যের জন্য ভারতের বাজারে আরও প্রবেশাধিকার চেয়েছেন।

    কী বলছেন দেশের অর্থনীতিকরা

    এই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) পদক্ষেপ নিয়ে যখন কিছু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন ভারত সরকার একে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “যখন আমরা পরমাণু পরীক্ষা করেছিলাম, অনেক নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। তখন আমরা ছোট অর্থনীতি ছিলাম। আজ আমরা আত্মনির্ভরশীল শক্তিশালী অর্থনীতি। এখন ভয়ের কিছু নেই।” ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষার সময় বিল ক্লিনটন প্রশাসন ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলেও তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার পিছিয়ে যায়নি।

    কী বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, আমেরিকার এই ট্যারিফ (Trump’s Tariff on India) সিদ্ধান্ত ভারতের রফতানিকারকদের এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা বিশ্লেষণ করছে সরকার। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রক বর্তমানে বিভিন্ন রফতানিকারক, শিল্পপতি, এমএসএমই এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, উদ্যোগপতি, ছোট-মাঝারি শিল্প এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই সরকার গ্রহণ করবে।

    বিকল্প পথের সন্ধান

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতের কাছে একাধিক পথ খোলা আছে। সম্ভাব্য একটা পথ হল ট্রাম্পের সঙ্গে আবার দর-কষাকষিতে গিয়ে ওই শুল্ক (Trump’s Tariff on India) কমানো। আলাপ-আলোচনা অবশ্যই হবে, কিন্তু কতটা কমবে সেটা দেখার। দ্বিতীয় পথ হলো অন্য বিকল্প খোঁজা। জাপান ও ফ্রান্সের সঙ্গে তো বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্পর্ক ভালো ছিল, এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। সেটাও কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে ভারত। বাণিজ্যক্ষেত্রে যে ডেফিসিটটা (ঘাটতি) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হবে সেটাকে অন্য দেশে পরিচালিত করাই এখন ভারতের মূল উদ্দেশ্য। অনেকে বলছেন, বিদেশ নীতির দিক থেকে ভারতের বাণিজ্যের জন্য অন্য দেশের প্রতি এতটা নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই, অভ্যন্তরীণ দিক থেকে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রোডাকশন সেক্টরের ওপর জোর দিয়ে ভারত যদি নিজেদের উৎপাদন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাহলে যে কোনও দেশ ভারত থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য হবে। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের মূল লক্ষ্য।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির জন্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি এই মত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের স্বার্থে মোদির ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।  সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে নিয়ে পুতিন বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সবদিক দিয়েই আরও দৃঢ় হচ্ছে। এই নীতির সবথেকে বড় গ্যারান্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।’

    কী বললেন পুতিন

    সম্প্রতি পুতিনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ নেতা হিন্দিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন। পুতিন নিজে অবশ্য হিন্দি বলেননি। রুশ ভাষায় তাঁর বলা কথাগুলি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ওই ভিডিও-তেই মোদির নীতির প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। পুতিন বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদিকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-রুশ সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। তবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপের মুখে মাথা নত করেনি মোদি সরকার। জ্বালানি তেল কেনা প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সস্তায় তেল পেলে, তা কেনা হবেই। এমনকী যুদ্ধের সমালোচনা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থেকেছে ভারত। দিন কয়েক আগেই, ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই সম্পর্ক ভারতকে অতীতে বহুবার বহু সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে ফের ভারত বন্দনা শোনা গেল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share