Tag: Indian

Indian

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো উত্থান ভারতীয় পাসপোর্টের (Indian Passport)! গত বছর যেখানে ভারতীয় পাসপোর্টের ক্ষমতা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ধাপ, সেটাই এবার এক লাফে আট ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। ২২ জুলাই প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে (Visa)। গত বছর এটাই ছিল ৮৫তম ধাপে। জানা গিয়েছে, এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় প্রতিটি দেশের পাসপোর্টধারীরা পূর্ববর্তী ভিসা ছাড়াই কতগুলি দেশে যেতে পারেন, তার ভিত্তিতে।

    শুধু পাসপোর্টেই যাওয়া যাবে এই দেশগুলিতে (Indian Passport)

    বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বা ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা পাচ্ছেন ৫৯টি দেশে। ভিসা ছাড়াই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে যেসব দেশে যাওয়া যাবে সেগুলি হল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড। ভিসামুক্ত আরও কয়েকটি দেশ হল ভুটান, ইরান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, কিরিবাস, ম্যাকাও, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউই, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভানুয়াত, অ্যাঙ্গোলা এবং বারবাডোস।

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, মলদ্বীপ, বলিভিয়া, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ, কাতার, সামোয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সেন্ট লুসিয়া, তাঞ্জানিয়া, তিমোর-লেস্তে এবং তুভালু (Indian Passport)। এবার আসা যাক ইটিএ প্রসঙ্গে। ইটিএ হল একটি ডিজিটাল ভ্রমণ পারমিট যা ভারতীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ বা ট্রানজিটের জন্য একটি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই তালিকায় ৫৯তম দেশ হিসেবে রয়েছে সেশেলসের নাম।

    এই র‍্যাঙ্কিং উন্নতি ভারতের বিশ্বমঞ্চে ক্রমবর্ধমান মর্যাদা ও উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে (Visa)। এটি ভারতীয় পর্যটকদের প্রতি বাড়তি আস্থা এবং দেশের স্থিতিশীলতারও ইঙ্গিত দেয়। ভারতের নাগরিকদের জন্য এটি বিশ্ব ঘোরার নতুন দোর খুলে দেয় (Indian Passport)।

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    An Unsung Indian: নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদিদের বাঁচাতে কুন্দনলালের অবদান সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তোমায় একটা গোপন কথা বলি। তোমার দাদু নাৎসিদের হাত থেকে ইহুদি পরিবারগুলিকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন।” মায়ের মুখ থেকে শোনা এই একটিমাত্র বাক্যই বিনয় গুপ্তকে ঠেলে দিয়েছিল তাঁর দাদুর অতীত খুঁজে বের করার কাজে হাত দিতে। শেষমেশ (An Unsung Indian) তিনি যা আবিষ্কার করেন, তা কল্পনার চেয়েও বেশি নাটকীয় — এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর অজানা বীরত্বগাথা, যিনি ইউরোপের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে (Austrian Jews) অপরিচিত মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে বাজি রেখেছিলেন নিজের সব কিছু।

    ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প (An Unsung Indian)

    এটি শুধুমাত্র সহানুভূতি কুড়নোর কোনও গল্প নয়, বরং একটি পরিকল্পনা, ঝুঁকি এবং দৃঢ় সংকল্পের গল্প। ভারতে ফিরে এসে কুন্দনলাল ইহুদিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, তাঁদের মাথা গোঁজার জন্য ঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই ব্রিটিশরা তাঁদের ‘শত্রু বিদেশি’ বলে ঘোষণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই আটক করা হয় তাঁদের। কুন্দনলালের জীবনটা যেন একটা আস্ত মহাকাব্য। লুধিয়ানার এক হত দরিদ্র ছেলের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সংসার চালাতে তিনি কাঠ, নুন থেকে শুরু করে পরীক্ষাগার সরঞ্জাম ও বলগাড়ির চাকা পর্যন্ত সব কিছু বিক্রি করেন। পরে কাপড়ের ব্যবসা এবং একটি দেশলাই কারখানাও চালান। লাহোরে ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে ২২ বছর বয়সে ঔপনিবেশিক সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নিজেকে নিয়োজিত করেন শিল্প গড়ার কাজে।

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা”

    “আ রেসকিউ ইন ভিয়েনা” নামে এক পারিবারিক স্মৃতিচারণে বিনয় আবিষ্কার করেন বিদেশের মাটিতে তাঁর দাদুর এই অসাধারণ উদ্ধার অভিযানের কাহিনি। ১৯৩৮ সালে হিটলারের অস্ট্রিয়া দখলের ছায়ায়, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরের মেশিন টুল প্রস্তুতকারী কুন্দনলাল গোপনে ইহুদিদের ভারতে চাকরির অফার দেন, যাতে তাঁরা জীবনরক্ষাকারী ভিসা পেতে পারেন। তিনি তাঁদের কাজ দেন, জীবিকার ব্যবস্থা করেন, এমনকি তাঁদের জন্য ভারতে ঘরও বানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে কুন্দনলাল মোট ৫টি পরিবারকে উদ্ধার করেছিলেন। ফ্রিট্‌জ ওয়েইস একজন বছর তিরিশের ইহুদি আইনজীবী। প্রাণ বাঁচাতে অসুস্থতার ভান করে তিনি লুকিয়েছিলেন একটি হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে সেখানে ভর্তি ছিলেন কুন্দনলালও। নাৎসিরা যখন ওয়েইসকে বাধ্য করেছিল নিজের বাড়ির সামনের বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করতে, তখন কুন্দনলাল তাঁকে (Austrian Jews) “কুন্দন এজেন্সিজ” নামের এক কাল্পনিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার দেন। এই অফারের পেতেই ওয়েইস ভারতে ভিসা পান (An Unsung Indian)।

    কুন্দনলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আলফ্রেড ভাখ্‌সলার দক্ষ কাঠের কারিগর। এই ইহুদি যুবকও হাসপাতালে গিয়ে কুন্দনলালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর পরিবারও চলে আসেন ভারতে। হান্স লোশ ছিলেন টেক্সটাইল প্রযুক্তিবিদ। একটি অস্ট্রিয়ান পত্রিকায় কুন্দনলালের দেওয়া বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে লুধিয়ানায় তাঁর কাল্পনিক “কুন্দন ক্লথ মিলসে” চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে। নবজীবন লাভ করেন এই ইহুদিও। আলফ্রেড শাফ্‌রানেক নিজেই একসময় ৫০ জন কর্মচারীর একটি প্লাইউড কারখানার মালিক ছিলেন। কুন্দনলালের কাছে নিজের দক্ষতার কথা জানান তিনি। তার পরেই ভারতের সবচেয়ে আধুনিক প্লাইউড ইউনিট তৈরির কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান আলফ্রেড। তাঁর পুরো পরিবারও একইভাবে রক্ষা পেয়েছিল নাৎসিদের হাত থেকে।

    ত্রাতার ভূমিকায় কুন্দনলাল

    সিগমুন্ড রেটার ব্যবসা করতেন যন্ত্র সরঞ্জামের। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ হয় কুন্দনলালের। নাৎসি শাসনে ব্যবসা লাটে উঠলে কুন্দনলাল তাঁর ভারতে আসার ব্যবস্থা করে দেন। এসবই শুরু হয়েছিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Austrian Jews) থাকার সময়ই কুন্দনলাল জানতে পারেন ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বাড়তে থাকা হিংসা ও জীবনজীবিকা ধ্বংসের কথা (An Unsung Indian)। পরবর্তী কয়েক মাসে তিনি আরও কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বাঁচাতে ফের দক্ষ কর্মী চাই বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন কুন্দনলাল। সেই বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওয়াখ্সলার, লসচ, শাফ্রানেক এবং রেটারও। কুন্দনলাল এঁদের প্রত্যেককে চাকরি, আর্থিক নিশ্চয়তা এবং ভারতীয় ভিসা পেতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

    বিনয় গুপ্তর বক্তব্য

    বিনয় লেখেন, “এই সব পরিবারগুলির জন্য কুন্দনলালের এত জটিল পরিকল্পনার একটি বিস্ময়কর দিক ছিল তাঁর গোপনীয়তা — তিনি সব সময় এটিকে ভারতের প্রযুক্তি স্থানান্তরের একটি প্রচেষ্টা বলে তুলে ধরতেন। তিনি তাঁর ইচ্ছা বা পরিকল্পনার কথা কোনও ভারতীয় বা ব্রিটিশ আধিকারিকের সঙ্গে শেয়ার করেননি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তা জানতে পারেন কুন্দনলাল বাড়ি ফিরে এলে (An Unsung Indian)।” ১৯৩৮ সালের অক্টোবরে লসচ ছিলেন কুন্দনলালের ডাকা প্রথম ব্যক্তি যিনি লুধিয়ানায় পৌঁছন। বিনয় লেখেন, তাঁকে কুন্দনলালের (Austrian Jews) বাড়িতে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু ইহুদি কোনও সমাজ না থাকায়  এবং কুন্দনলালের বস্ত্রকলের বিপর্যস্ত দশা দেখে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লসচ তৎকালীন বোম্বেয় চলে যান। ওয়েইস টিকেছিলেন দুমাসেরও কম। তাঁর জন্য যে কোম্পানিটি তৈরি করা হয়েছিল, ‘কুন্দন এজেন্সি’, সেটি কোনওদিন চালুই হয়নি। তিনিও দ্রুত বোম্বে চলে যান। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেও কুন্দনলালের কোনও ক্ষোভ ছিল না। বিনয় লেখেন, “আমার পিসি আমায় বলেছিলেন, বরং কুন্দনলাল লজ্জিত ছিলেন এই ভেবে যে তিনি ভিয়েনার মতো জীবনধারা বা সামাজিক পরিবেশ দিতে পারেননি, এবং তিনি মনে করতেন যদি দিতে পারতেন, তাহলে এই দুই ব্যক্তি হয়তো লুধিয়ানায়ই থেকে যেতেন।”

    লুধিয়ানায় ইহুদি পরিবার

    আলফ্রেড এবং লুসি ভ্যাক্সলার তাঁদের ছোট ছেলেকে নিয়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেশ লুধিয়ানায় এসে পৌঁছন। তাঁরা ওঠেন একটি বিরাট বাড়িতে, যেটি কুন্দনলাল তাঁদের জন্য বানিয়েছিলেন। পাশেই আর একটি বাড়ি যেটি তৈরি হয়েছিল শাফরানেক পরিবারের জন্য। ১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়া থেকে আলফ্রেড শাফরানেক, তাঁর ভাই সিগফ্রিড এবং তাঁদের পরিবার নিয়ে লুধিয়ানায় পৌঁছন। তাঁরা চালু করেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন প্লাইউড কারখানা (An Unsung Indian)। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন। এর ক’দিনের মধ্যেই ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতকে সেই যুদ্ধে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে যায়। এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ লাখেরও বেশি ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে ৮৭ হাজার জন আর ফিরে আসেননি।

    বন্দি শিবিরে জার্মানরা

    ১৯৪০ সালের মধ্যে নয়া নিয়মে সব জার্মান নাগরিককে পাঠানো হয় বন্দি শিবিরে। ওয়াখসলার ও শাফরানেকের পরিবারকে জোর করে পুনার (বর্তমান পুণে) নিকটবর্তী পুরানধর ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। করাচিতে চাকরি পাওয়ায় ওয়াখসলার পরিবার ১৯৪২ সালে ক্যাম্প ছাড়েন। ১৯৪৮ সালে আলফ্রেড ওয়াখসলারের এক খুড়তুতো ভাই তাঁদের পরিবারের জন্য আমেরিকায় শরণার্থী ভিসার ব্যবস্থা করেন। তার পরেই চিরতরে ভারত ছেড়ে চলে যান তাঁরা। শাফরানেক পরিবার ১৯৪৭ সালে চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। বিনয় লেখেন, “মাত্র ১০ বছর বয়সে মার্কিন (Austrian Jews) যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও, আজ তাঁর বয়স আশির কোঠায়, অ্যালেক্স ওয়াখসলার এখনও ভারতের জীবনকে গভীরভাবে মিস করেন, ভারতীয় রেস্তোরাঁয় খেতে ভালোবাসেন, ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করে খুশি হন এবং উর্দু ভাষায় তাঁর জ্ঞান দিয়ে তাঁদের চমকে দেন (An Unsung Indian)।”

    মেয়েদের জন্য স্কুল

    লুধিয়ানায় কুন্দনলাল তাঁর মেয়েদের জন্য বাড়িতেই একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলে বর্তমানে ৯০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ১৯৬৫ সালে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় কুন্দনলালের স্ত্রী সরস্বতীর। এর ঠিক এক বছর পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কুন্দনলাল। বিনয় লেখেন, “‘নীরব দর্শক’ হওয়া কুন্দনলালের চরিত্রে ছিল না। যদি তিনি কিছু দেখতেন বা কারও যার যত্নের প্রয়োজন, তিনি তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসতেন। সমস্যা তাঁকে কখনও ভয় দেখাতে পারেনি (An Unsung Indian)।”

     

  • Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! মালয়েশিয়ায় ‘ইসলামিক তাস’ খেলতে গিয়ে মুখে চুন করে ফিরতে হল শাহবাজ শরিফের দেশকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে আলোচিত কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সমস্ত কর্মসূচি (Indian Delegations Visit) বাতিল করার আবেদন জানায়।

    পাকিস্তানের অনুরোধ (Pakistan)

    পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার সরকারি কর্তাদের বলেছে, “আমরা একটি ইসলামিক দেশ, আপনারাও ইসলামিক দেশ। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কথা শুনবেন না। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করুন। মালয়েশিয়ায় তাদের সব কর্মসূচি বাতিল করা হোক।” সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ার সরকার পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে। নস্যাৎ করে দিয়েছে তাদের দাবি। মালয়েশিয়ায় ভারতের ১০টি কর্মসূচি ছিল। সেই সবকটিতেই অনুমোদন দেয় মুসলিম রাষ্ট্র মালয়েশিয়া।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য

    সোমবার রাতে ভারতে ফিরেছে জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঁচটি দেশ – জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর শেষ করে আমি দেশে ফিরেছি। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিউ নর্মাল নীতি এবং অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিশ্বকে জানানো। এই সময়ে পাঁচটি দেশের সিনিয়র মন্ত্রী, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আমরা যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত।” তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া-সহ সমস্ত দেশ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার প্রত্যেক পরিবারের উদ্দেশে তাদের সমবেদনা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে জঙ্গিঘাঁটিগুলির নির্ভুল নিশানায় ভারতের আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ভারতের প্রত্যাঘাত, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সবই আলোচনা হয়েছে (Indian Delegations Visit)।

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া, হেমাঙ্গ জোশী, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের জন ব্রিটাস (Indian Delegations Visit), কংগ্রেস সাংসদ সালমান খুরশিদ এবং বাহরিন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার (Pakistan)।

  • ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে পেহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির (ISI Assets) হাতে কমপক্ষে ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক হয়েছে। এদের প্রত্য়েকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং পাঞ্জাবে থেকেই বেশিরভাগকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ট্রাভেল ব্লগার তো কেউ সরকারি কর্মচারী, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার।

    সিআরএফ কর্মী মতি রাম জাট (ISI Assets)

    সম্প্রতি, গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের একজন জওয়ান মতি রাম জাটকে। জানা গিয়েছে, সে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিল না কিন্তু কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক জায়গাতেই তার যাতায়ত ছিল। একেই কাজে লাগাতে শুরু করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এন আই এর সূত্রে জানা গিয়েছে মতিরাম যার ২০২৩ সাল থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য সে পাচার করতে থাকে। ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতেই দিল্লি থেকে মতি রামকে গ্রেফতার করা হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মা (ISI Assets)

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এটিএস গ্রেফতার করে ২৭ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মাকে। মুম্বাইয়ের একটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করত এই ইঞ্জিনিয়ার। দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভারতের নৌ ঘাঁটিতে রবীন্দ্রের যাতায়াত ছিল বলে জানা যায়। সে সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কিত নানা কাজে যুক্ত ছিল। নৌ বাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন স্কেচ, ডায়াগ্রাম এবং অডিও শেয়ার করতে শুরু করে সে পাক এজেন্টদের সঙ্গে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে রবীন্দ্র পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে বলে জানা গিয়েছে।

    ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা (ISI Assets)

    দেশের মধ্যে সবচেয়ে চর্চা শুরু হয় পাকিস্তানের গুপ্তচর জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে। হরিয়ানার এই ট্রাভেল ব্লগার সরাসরি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের তথ্য সরবরাহ করত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয় জ্যোতি দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করে (ISI)। পাকিস্তান সফরের সময় আইএসআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। এছাড়াও চিনসহ একাধিক বিদেশ ভ্রমণের জন্য তার টাকার যোগান দেয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

    স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল

    পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (ISI) করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সহদেব সিং গোহিলকে। জানা গিয়েছে, সহদেব সিং গোহিল ২৮ বছর বয়সি এবং সে গুজরাটে একটি নবনির্মিত বিমান ঘাঁটি এবং বিএসএফের গোপন ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানি এজেন্ট এর সঙ্গে শেয়ার করেছিল। ২০২৩ সালেই সে হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আছে। আসলে এই অদিতি ছিল পাকগুপ্তচর। ছদ্মনাম ব্যবহার করত।

    দরিদ্র যুবকদের টার্গেট

    এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, হরিয়ানা সমেত দেশের অন্যত্র অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল, সেই সমস্ত যুবকদের টার্গেট করছে আইএসআই এবং এজেন্ট বানানোর চেষ্টা চলছে। পাতিয়ালাতে ২৫ বছর বয়সি এক ছাত্র দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সে পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছিল।

    ২৪ বছর বয়সি নওমান ইলাহিকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেখা যায় সে তার শ্যালকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আইএসআই হ্যান্ডেলারদের কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছে।হরিয়ানাতেই ২৩ বছর বয়সি আরমান এবং তারিফ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    আমলা যখন পাক গুপ্তচর

    রাজস্থানের সরকারি আধিকারিক সাকুর খানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ৪৯ বছর বয়সি সাকুর খান, অশোক গেহলটের জমানায় এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত বলে জানা যায়। সে ৭ বার পাকিস্তান সফর করে, এরপরেই তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    সিমকার্ড সরবরাহকারী

    দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি রাজস্থানের এক ৩৪ বছর বয়সি যুবক কাসিমকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে পাকিস্তানের এজেন্টদেরকে মোবাইলের সিম কার্ড সরবরাহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সে দুবার পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছে।

    ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তিবিদ

    উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যার নাম শাহজাদ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই এজেন্ট একাধিকবার সে দেশে সফর করে এবং গুপ্তচরদের হাতে বিভিন্ন তথ্য তুলে দেয়। জলন্ধরে আর এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুরতাজাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গুপ্তচরদের সাহায্য করার।

  • Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Army) পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।” গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার কোলাভাডা গ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিশ্ব আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করছে।”

    ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী নির্মূল

    তিনি বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করেছে এবং ১৫টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করেছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জঙ্গি হামলা ঘটত, এখন আর তা ঘটছে না (Indian Army)।”

    মোদি জমানায় খেলা ঘুরেছে

    গান্ধীনগরের লোকসভার সাংসদ বলেন, “আগে সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তান থেকে আসত, আমাদের সেনা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করত এবং পালিয়ে যেত। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। কিন্তু তখন তাদের কোনও জবাব দেওয়া হত না।” তিনি বলেন, “মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে—উরি, পুলওয়ামা এবং গত মাসে পহেলগাঁও।প্রধানমন্ত্রী মোদি সবগুলির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং গোটা বিশ্ব বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখছে, আর পাকিস্তান তা আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করছে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা (পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা) অতীতে ভারতের প্রতিক্রিয়া থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি এবং ফের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আওতায় আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে এসেছি যে, আমরা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছি—জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাদের পরিবারগুলোর সামনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল (Indian Army)।”

  • Akshay Kumar: আগেই ছেড়েছেন কানাডার নাগরিকত্ব, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয়”, বার্তা অক্ষয়ের

    Akshay Kumar: আগেই ছেড়েছেন কানাডার নাগরিকত্ব, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয়”, বার্তা অক্ষয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) কানাডার নাগরিকত্ব দীর্ঘ দিন ধরে ছিল। এবার তিনি কেন কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ছাড়লেন, তা সামাজিক এবং সংবাদ মাধ্যমে অকপটে জানালেন। উল্লেখ্য গতবছরই সামাজিক মাধ্যমে ওই দেশের নাগরিকত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি বলেন, “আমার মন, হৃদয় এবং আত্মা ভারতীয় (Indian)। এটি সর্বদা অক্ষত থাকবে।” ঘটনায় ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য এবং পরম্পরার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা প্রকাশও করেন। উল্লেখ্য কানাডার সঙ্গে ভারতের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ততার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় অক্ষয়ের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    কেন কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়লেন (Akshay Kumar)

    তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) প্রায় সময়ে প্রশ্ন করা হয়, প্রায় এটা নিয়ে সামজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক ভাবে ট্রোলড করা হয় তাঁকে। কিন্তু এবার কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়ার পর ভারতের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২৪-এ একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, “কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়টি বর্তমান ভূ-রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। কোন বাবা নয়, আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদ সব সময় ছিল। ম্যায় চুপচাপ নিকাল গেয়া (আমি চুপচাপ বেরিয়ে এসেছি)।” একই ভাবে গত বছর সামজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “আমার মন আর নাগরিকত্ব দুটোই হিন্দুস্থানি অর্থাৎ হৃদয় এবং নাগরিকত্ব ভারতীয় (Indian)। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ।”

    ভারতের প্রতি আস্থা

    নতুন সিনেমা ‘সিঙ্ঘম্‌ এগেইন’-এর প্রমোশন প্রসঙ্গে অভিনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) এদিন আরও বলেন, “ওই সময়ে আমার ছবিগুলোর কাজ হচ্ছিল না। বাকিদের সবাইকার কাজ চলছিল। তখন আমি কানাডায় আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কার্গোতে কাজ করছিলাম। কিন্তু দুটি সিনেমা মুক্তিও পায় এবং তারপর সেগুলো হিট করে যায়। ওটা আমার সঙ্কটের সময় ছিল, আমি পরবর্তীতে আরও অনেক হিট সিনেমা করতে পেরেছি। সবটাই দরকারে ছিল কানাডার নাগরিকত্ব। প্রায় ৩-৪ বছর আগে আমি এই মঞ্চে বলেছিলাম যে আমি কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে দেব এতে কিছু সময় লেগেছে। গত বছর ঠিক ১৪ বা ১৫ অগাস্ট আমি আমার ভারতীয় (Indian) পাসপোর্ট পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে হোটেলে আগুন! বাঁচতে ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে হোটেলে আগুন! বাঁচতে ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে (Bangladesh Crisis) বর্তমানে কোণঠাসা হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। গত দুদিন ধরে চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। এবার নিজের প্রাণ বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ভারতীয় (Indian) যুবক। কয়েকদিন আগে ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন অসমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শাহিদ আলি। তখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা তপ্ত হয়নি। সে সময় দুজনে যশোরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার বিকেলে তাঁদের হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রাণে বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শাহিদ। মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দু’পা ভেঙে গিয়েছে শাহিদের। 

    কী জানিয়েছেন তাঁরা? (Indian) 

    এ ঘটনার প্রসঙ্গে দুই ভাই জানান, আমদানি-রফতানির ব্যবসার কাজের সূত্রেই তাঁরা বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। যশোরের একটি হোটেলের ১২ তলার একটি ঘরে উঠেছিলেন তাঁরা। সোমবার দুপুরের পরে বাইরে কিছু শব্দ শুনে হোটেলের ঘরের জানলা খোলেন রবিউল এবং শহিদ। তাঁরা দেখেন আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) একাংশ ওই হোটেলটি ঘিরে ফেলেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে হোটেলের মধ্যে থেকে হট্টগোল শুনতে পান। খবর পান, হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে চার তলা থেকে পাশের একটি ভবনে চলে যান দু’জন। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন দুই ভাই। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরলাম। শুনেছি দু’জন মারা গিয়েছেন।’’ যদিও মৃতের কোনও তথ্য এখনও সরকারি ভাবে পাওয়া যায়নি। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা 

    যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতির (Bangladesh Crisis) অবনতি হওয়ার পর, ভারত কূটনীতিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ভারত তার কূটনীতিক ও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা বর্তমানে বিমানবন্দরের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল, কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকা হয়ে ফিরে আসছে। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কাটিয়ে সোমবার রাত থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট পরিষেবা আবার শুরু হয়। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকজন ভারতীয় (Indian) যাত্রী মঙ্গলবার সকালে ফিরে আসেন দেশে। সেই সব যাত্রীদের মধ্যে এক যাত্রী জানান, “আমরা বাংলাদেশে কাজ করি। গতকাল আমাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রবিবার, আমরা ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা যখন রাত সাড়ে ন’টার সময় ফ্লাইটে উঠতে যাচ্ছিলাম, তখন জানতে পারি যে ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। এরপর আমরা কোনও খাবার ও জল ছাড়াই বিমানবন্দরে আটকে পড়েছিলাম।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics: গেমস উদ্বোধন শুক্রবার, একদিন আগেই তিরন্দাজির ইভেন্ট শুরু ভারতের

    Paris Olympics: গেমস উদ্বোধন শুক্রবার, একদিন আগেই তিরন্দাজির ইভেন্ট শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জুলাই ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে প্যারিস অলিম্পিক্স ২০২৪-এর (Paris Olympics)। গতবার টোকিওতে একটি সোনা সহ মোট সাতটি পদক জিতেছিল ভারতীয় দল। এবার তার থেকে অনেক বেশি পদক জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় খেলোয়াররা। আশায় বুক বাঁধছে গোটা দেশ। ভারতের হয়ে পদক জয়ের জন্য লড়াই করবেন নীরজ চোপড়া, পিভি সিন্ধু, অচিন্ত্য শরথ কমল, মনিকা বাত্রা, চিরাগ শেট্টি-সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি, মীরাবাই চানু, মনু ভাকের সহ একাধিক তারকারা। 

    প্রথম দিনে তীরন্দাজরা

    প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics) অফিসিয়ালি পর্দা উঠছে ২৬ জুলাই। কিন্তু তার আগেই বেশ কয়েকটি ইভেন্টের প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়ে যাবে। প্রথম দিন ২৫ জুলাই, মহিলাদের ব্যক্তিগত র‌্যাঙ্কিং রাউন্ড (দুপুর ১টা) এবং পুরুষদের স্বতন্ত্র র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে নামবেন ভারতের তিরন্দাজরা। দীপিকা কুমারী, তরুণদীপ রাইদের লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় রয়েছে ভারতবাসী। এবারের গেমসের সম্প্রচার ভারতে করবে জিও সিনেমা অ্যাপ এবং স্পোর্টস ১৮ চ্যানেল। হিন্দি, ইংরেজি সহ মোট চারটি ভাষাতে হবে এই সম্প্রচার। 

    প্যারিসে ভারতীয় অ্যাথলিটরা (Paris Olympics)

    অলিম্পিক্সে অংশ নিতে ভারত থেকে ৭০ জন পুরুষ এবং ৪৭ জন মহিলা প্রতিযোগী গিয়েছেন। এর মধ্যেই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের জন্য বড় ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। রবিবার জয় শাহ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের সমর্থনে ৮.৫ কোটি টাকা দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। মোট ১১৭ জন ভারতীয় প্রতিযোগীর সমর্থনেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড সচিব। প্যারিসে ২৯ জন অ্যাথলিট যাচ্ছেন ভারত থেকে। এর আগে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে এত সংখ্যক প্রতিযোগী পাঠায়নি ভারত। শুটিংয়ে অংশ নেবেন ২১ জন। শুটিংয়েও এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় দল। পুরুষদের হকি টিম, কুস্তি, তিরন্দাজি দল রয়েছে অলিম্পিক্সে। অলিম্পিক্স উদ্বোধনে একদম সামনের সারিতে থাকার কথা রয়েছে পিভি সিন্ধুর। ২৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে প্যারিস অলিম্পিক্স। 

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির উন্নয়নে প্রাধান্য, মহিলাদের জন্য কী কী বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাজেটে?

    অভিনব-সম্মান

    ২০০৬ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে অভিনব বিন্দ্রা যা করেছিলেন, সেটি ছিল ভারতীয় ক্রীড়া মানচিত্রের একটা বিশেষ মাইলফলক। ব্যক্তিগত বিভাগে অলিম্পিক্সে প্রথম সোনা পেয়েছিলেন বিন্দ্রা। তিনি শুটিংয়ে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন দেশকে। তাই অলিম্পিক্স কমিটির কাছেও বিন্দ্রা হয়ে গিয়েছেন কিংবদন্তি। তারা সম্প্রতি প্যারিসে (Paris Olympics) এক বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় শুটারকে দিয়েছেন অলিম্পিক্স অর্ডার অব মেরিট। আগামী ১০ অগস্ট প্যারিসে হবে অলিম্পিক্সের কর্মসমিতির বৈঠক। ওই সভা শেষে বিন্দ্রার হাতে স্মারক তুলে অভিনন্দন জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share