Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু যুদ্ধে অংশ নেওয়া বুড়ো ঘোড়াদের অবসরের আগের দিনই নতুন অশ্ব কেনার বরাত দিল ভারত।

    বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান

    ভারতীয় বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান হতে চলেছে৷ আর তার জায়গা নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস৷ আজ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছে বায়ুসেনার কিংবদন্তী মিগ-২১ (MiG-21) যুদ্ধবিমানগুলি। ঠিক তার আগের দিন, ৯৭টি মাল্টি-রোল সুপারসনিক লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এই চুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷

    ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে ডেলিভারি!

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হ্যাল ৯৭টি যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। এর মধ্যে থাকবে ৬৮টি ফাইটার যুদ্ধবিমান। আর বাকি ২৯টি থাকবে টুইন সিটার প্রশিক্ষণ বিমান। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু করবে হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্স লিমিটেড। বাকি যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ করা হবে প্রথম ডেলিভারি থেকে শুরু করে ৬ বছরের মধ্যে। এর আগে হ্যালকে ৮৩টি তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    হাতে আসেনি প্রথম বরাতের প্রথম বিমান!

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল।

    মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ উৎপাদন

    নতুন বরাতের ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

    ১১,৭৫০ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান

    ৪.৫ প্রজন্মের এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানগুলির ৬৪ শতাংশই তৈরি হবে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। বার্ষিক প্রায় ১১,৭৫০ জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    উত্তম আয়েসা, স্বয়ম রক্ষা কবচ

    এই ফাইটার জেটগুলিতে ৬৭টি অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার (UTTAM AESA), স্বয়ম রক্ষা কবচ এবং কন্ট্রোল সারফেস অ্যাকচুয়েটর্সের মতো ইক্যুইপমেন্ট থাকবে এই ধরনের যুদ্ধবিমানে। ইতিমধ্যেই জিই-৪০৪ ইঞ্জিন এসেছে হ্যালের হাতে। এই ধরনের যুদ্ধবিমানে তৈরির জন্য ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই যুদ্ধবিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা থাকবে।

  • Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প নিয়ে পাকিস্তানের দাবি জইশ-ই-মহম্মদের (জইশ) এক কমান্ডারের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এবার লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) এক জঙ্গি স্বীকার করেছেন যে, মুরিদকেতে সংগঠনের সদর দফতর ‘মারকাজ তৈইবা’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে লস্করের কমান্ডার কাসিম বলেন, ‘‘আমি মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে একসময় মারকাজ তৈইবা ছিল। ভারতের হামলায় এটি ধ্বংস হয়েছে। এখন আল্লাহর রহমতে এটি আরও বড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে।’’ ভিডিওতে কাসিমের পেছনে একটি নির্মীয়মান বাড়ি দেখা যায়।

    মুরিদকে লস্কর ভবন পুনঃনির্মাণ

    ওই ভিডিওয় লস্কর কমান্ডার আরও স্বীকার করেন যে, বহু মুজাহিদ এবং ‘তালাবা’ (ছাত্র) এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন এবং ‘ফয়জ’ অর্জন করতেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে, এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছিল না, কাসিমের এই ভিডিও সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করে। আরেকটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের ‘দাওরা-এ-সুফফা’ নামে পরিচিত লস্করের প্রাথমিক জিহাদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে ধর্মীয় প্ররোচনার পাশাপাশি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ই মে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor)  অধীনে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি একযোগে ধ্বংস করে। এই অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিন, বার্নালা ও মুজাফফরাবাদে লস্করের বিভিন্ন ঘাঁটি ছিল।

    ভারতের দাবিই সত্যি

    একটি ভয়াবহ ভিডিওতে লস্করের ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি সম্প্রতি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী মারকাজ তইবার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মুরিদকে লস্করের সদর দফতর গোপনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি — কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সামনে রেখে — নতুন করে নির্মিত মারকাজ তইবা উদ্বোধন করা হবে, যেখানে আবারও প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিও এক ভিডিও বার্তায় স্বীকার করেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার “টুকরো টুকরো” হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এই ভিডিওগুলি প্রমাণ করে ভারতের দাবি সত্যি। কাঁটাতারের ওপার থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহু হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

     

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালান হয়। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Anil Chauhan) অনিল চৌহান। এদিন নয়াদিল্লির রাজভবনে এক আলাপচারিতায় অনিলের কথায় উঠে এসেছে ‘সিঁদুর’ অভিযানের সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রসঙ্গ।

    রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে যে রাত ১টাতেই কেন এই অপারেশন চালানো হয়েছিল? তার উত্তর দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, মধ্যরাতে অভিযান করার নেপথ্যে ছিল দু’টি কারণ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত, রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব, আমাদের সেই ক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর দ্বিতীয়ত, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে।’’

    নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত

    অনিল জানান, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় ছিল। তার পরেও মধ্যরাতে অভিযান চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কেন সকালে অভিযান করা হয়নি? অনিলের কথায়, ‘‘ওটা নমাজের সময়। অনেক সাধারণ মানুষ জড়ো হন ওই সময়ে। তাই চিন্তাভাবনা করে ভোরের সময় বাতিল করা হয়।’’ অর্থাৎ, ভোরবেলা অভিযান চালালে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা থাকত বেশি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে ছিল মুজফ্‌ফরাবাদ, কোটলি, বহওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চক্‌সওয়ারি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলম এবং চকওয়াল। ছোড়া হয় মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। রাত ১টা বেজে পাঁচ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানের সময়সীমা ছিল ২৫ মিনিট। লশকর-এ-ত্যায়বা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলিই ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য। ভারতের দাবি, জঙ্গিদমন করতেই তাদের এই অভিযান। তাই নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত।

    যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র

    ভারতীয় বাহিনীর সামরিক প্রধান শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। যেখানে তিনি সামরিক ও অসামরিক মিশনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র এখন প্রযুক্তির দ্বারা বেশি চালিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্র আর শুধু স্থল, বায়ু এবং সমুদ্রের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মহাকাশ, সাইবার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম এবং এমনকি নলেজ ডোমেনেও প্রসারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক অপারেশনগুলিতে এই পরিবর্তন স্পষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন জেনারেল অনিল চৌহান।

  • Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে নেওয়া হল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে কমান্ডারদের সেই সম্মেলন শেষ হয় বুধবার। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে এবার তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করা হবে। একটি হবে দেশের উত্তর অংশে, অন্যটি মধ্য অংশে, আর একটি পূর্ব অংশে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসাবে থিয়েটার কমান্ড তৈরিতেও বিশেষ জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    থিয়েটার কমান্ড তৈরির পথে দেশ

    সম্প্রতি কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সম্মেলনেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মধ্যে সমন্বয় দেখা গিয়েছিল। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সেনা এবং বায়ুসেনা একসঙ্গে কাজ করেছিল। এছাড়া নৌসেনার সঙ্গেও সমন্বয় বজায় রেখেছিল বায়ুসেনা। উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো যৌথ সামরিক থিয়েটার কমান্ড তৈরির জন্যে মোদি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ধাপে ধাপে এই থিয়েটার কমান্ড বাস্তবায়নে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরির প্রথম ধাপই হল জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station)।

    আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 

    সেনাবাহিনীর শিক্ষা শাখাগুলির মূল দায়িত্ব হচ্ছে সেনা সদস্যদের শিক্ষার মান উন্নত করা। এদের নিযুক্তি হয়ে থাকে বিভিন্ন সাব-এলাকা (গ্যারিসন), হেডকোয়ার্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউনিট, সৈনিক স্কুল, সামরিক স্কুল, কলেজ ও সিলেকশন সেন্টারে। যৌথ সামরিক স্টেশন (Joint military Station) হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে গঠিত সামরিক এলাকা, যেখানে সৈনিক, সরঞ্জাম এবং তাদের পরিবাররা বসবাস ও প্রশিক্ষণ করে। এই ধরনের যৌথ স্টেশন গঠন সামরিক কার্যক্ষমতার আরও সমন্বয় সাধন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘সংস্কারের বছর’ (Year of Reforms) হিসেবে। ত্রি-সেনা একত্রিকরণ এবং যৌথ কাঠামোর মাধ্যমে একটি সমন্বিত শক্তি গঠন করতে চাইছে ভারত। এর অন্যতম ধাপ হলো ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ড (ITCs) -এর গঠন। বর্তমানে ১৭টি আলাদা কমান্ড (সেনা ও বিমান বাহিনীর সাতটি করে, নৌবাহিনীর তিনটি) আলাদাভাবে কাজ করে। ভবিষ্যতে এগুলিকে একত্রিত করে একক থিয়েটার কমান্ডে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন-এর গুরুত্ব

    স্থল সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনাকে একসঙ্গে কাজ করে মোকাবিলা করতে হবে শত্রুদের। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মূলত এই বিষয়ের উপরেই বেশি করে জোর দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, এক জায়গায় থেকে যেকোন অপারেশনের কার্যকলাপ শুরু করলে, তা যেকোনো পরিস্থিতিতে সাফল্য এনে দিতে পারে। সেই কারণেই এই প্রথম ভারতের জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তান সেনার মদতে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গি ঘাঁটি গুলি আবার সক্রিয় হওয়া। তাই এবার নতুন স্ট্র্য়াটেজির পথে হাঁটতে চাইছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারতীয় সেনার রণকৌশল বদলের পাশাপাশি সীমান্ত নীতির দিক থেকে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। গঠিত হচ্ছে ত্রি-সেনা শিক্ষা শাখাগুলিকে একত্রিত করে একক ‘ত্রি-সার্ভিসেস এডুকেশন কর্পস’

  • Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ছিন্নভিন্ন হয়েছে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবার। পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে এবার মন্তব্য জইশ কামান্ডারের। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। মঞ্চের দুই দিকে বন্দুকধারী রক্ষী ছিল কঠিন পাহারায়। মাইক নিয়ে হাত উঁচু করে জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলছে, “গত ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ডেরায় হামলা চালিয়েছিল সেই সময় সেই সময় জইশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যদের টুকরো টুকরো করে নিঃশেষ করা হয়েছিল। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু।” এই মন্তব্যে ফের একবার ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা হয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশের কুকর্ম আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    কী বলল জইশ কমান্ডার (Muhammad Masood Azhar)?

    পাকিস্তানের স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলে, “ভারতের হামলায় মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্য মারা পড়েছে।” জইশের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই কমান্ডারকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা দেশের সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে কাবুল, কান্দাহার, দিল্লির সঙ্গে লড়াই করছি। মাসুদ আজাহারের পরিবার সদস্য এবং পুত্রকে বোমায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে।” ভারতের সেনাবাহিনী যে ভাবে অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) সুপরিণতি দিয়েছে তাতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জয়ই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত বিরোধীরা ঘরেবাইরে জঙ্গিদের মন্তব্যে আরও কোনঠাসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর

    পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর হল বাহাওয়ালপুর। জইশ-ই-মহম্মদের (Muhammad Masood Azhar) সদর দফতর মারকাজ সুবহান আল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে ১০০ কিমি গভীরে অবস্থিত এই জঙ্গি ডেরা। আর এখানেই ভারতীয় সেনা ব্যাপক আঘাত করেছিল। এটা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই আস্তানায় মাসুদের পরিবারের আত্মীয়রা থাকত। ধ্বংসের পর উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে পাকজঙ্গি ঘাঁটির অবস্থা কতটা করুণ। সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    ১৫ একর জমির উপর নির্মিত

    মাসুদ ইলিয়াসের মন্তব্য ছিল পাকিস্তানের জন্য দারুণ ধাক্কা। সে নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজনের শিশু। যদিও প্রথমে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিল। পরে অবশ্য মাসুদ নিজেই স্বীকারোক্তি করে। তবে এই জঙ্গি ডেরাটি মোট ১৫ একর জমির উপর নির্মিত। এখানে কট্টর ধর্মীয় জিহাদ এবং মৌলবাদের শিক্ষা প্রদানের কাজ চলত।

    ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল

    ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখপাত্র হিসেবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটিও ছিল। আগেও বারবার ভারতের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।” জঙ্গিদের (Muhammad Masood Azhar) প্রতি পাকসেনা বাহিনী কতটা সহমর্মী তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল যখন মৃত জঙ্গিদের জানাজায় তাঁদের স্পষ্ট উপস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছিল।

    মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

    ভারতের কাছে মাসুদ আজাহার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে মাসুদ। ভারতে লাগাতার হামলার ছক করে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মাসুদ আজাহার। তার হামলা করা ষড়যন্ত্রগুলির মধ্যে হল- ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই জঙ্গি। আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার পাকিস্তানের এই জঙ্গিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই জেহাদি সংগঠনের সহযোগিতা নেয় এবং তাদের লালনপালন করে থাকে। তবে অপারেশন সিঁদুরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যে ব্যাপক ভাবে আঘাত করেছে তাও আরও একবার স্পষ্ট হয়।

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    Tejas Mk1A: বায়ুসেনার জন্য অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ কিনবে ভারত, ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিমানের ঘাটতি নিয়ে যখন ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান বারবার আশঙ্কার কথা তুলছেন, ঠিক সেই সময় দেশের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ৬২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত ৯৭টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই বিমানগুনি তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি যেমন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তেমনই প্রকল্পটি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকেও আরও শক্তিশালী করবে।

    ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ বিমান পাবে বায়ুসেনা

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল। এই অর্ডার আসত, এমন সম্ভাবনা ছিলই। এখন কেন্দ্রের ছাড়পত্র পাওয়ায় তা নিশ্চিত হল। এর ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক

    জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বরাতের তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উপকরণ ও সরঞ্জামের ব্যবহারের হার আরও অনকটাই বৃদ্ধি পাবে। নতুন তেজস বিমানগুলিতে দেশীয় উপকরণের ব্যবহার হবে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    পুরনো মিগের জায়গা নেবে তেজস

    ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) শেষ মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলি অবসর নেবে। নতুন বিমানগুলি পুরনো মিগ-এর জায়গা পূরণ করবে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

LinkedIn
Share