Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    Indian Air Force: জারি নোটাম, গুজরাটে পাক সীমান্তের কাছে ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে, আরব সাগর অঞ্চলে বড়সড় বিমান মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই মহড়ার জন্য নোটাম (Notice to Airmen) জারি করা হয়েছে। এই মহড়া আজ, ২০ জুন ২০২৫ সকাল ১০:৩০ টায় শুরু হবে এবং শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক বিমান সক্রিয়ভাবে উড়বে। করাচি আকাশসীমা এবং পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এর প্রতিধ্বনি অনুভূত হতে পারে।

    কেন এই মহড়া?

    কেউ সুরক্ষিত নয়। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহ। কয়েকদিন আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকেও। সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করেছে ভারত। সংঘর্ষ বিরতি হলেও প্রতিরক্ষা শিথিল করছে না সরকার। বরং নিরাপত্তা আরও মজবুত করতেই বড় সিদ্ধান্ত। যুদ্ধ আবহের মাঝেই ফের বড় অ্যাকশনে নামছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বড়সড় বিমান মহড়া হচ্ছে পাকিস্তানের গা ঘেঁষেই। জানা গিয়েছে, গুজরাটে বায়ুসেনা বড় মাপের মহড়া চালানো হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে। একেবারে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেষেই উড়ছে সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমানগুলি। এই মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটাম জারি করা হয়েছে।

    নোটাম (NOTAM) কী?

    নোটাম (NOTAM) হল একটি নোটিস যা পাইলট, বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক এবং বিমানের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিমান (Indian Air Force) ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। NOTAM এর উদ্দেশ্য হল বিমান ভ্রমণকে নিরাপদ করা। এর মাধ্যমে, বিমানবন্দর, আকাশসীমা বা অন্যান্য বিমান চলাচলের সুবিধাগুলিতে যেকোনো অস্থায়ী পরিবর্তন বা বিপদ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। যখন বায়ুসেনার মহড়া চলবে, তখন ওই আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না অন্য কোনও বিমান। এই তথ্য জানাতেই জারি করা হয়েছে নোটাম। এই তথ্য টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দেওয়া হয় যাতে ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের ফ্লাইট পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারেন। এটি রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহ করে বিমানবন্দর অপারেশন বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC) কে দেয়। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর একাধিকবার এমন মহড়া দিয়েছে বায়ুসেনা। কখনও রাজস্থানের সীমান্ত, কখনও জম্মু-কাশ্মীর। এবার গুজরাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বায়ুসেনা।

  • Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মুকুটে যুক্ত হল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আরও এক গর্বের সংযোজন। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্র (Smart Anti Airfield Weapon)। এর ওজন ১২৫ কেজি। ১.৮৫ মিটার লম্বা এই গ্লাইড বোমা, ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের রানওয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম।

    বিমানঘাঁটি অচল করতে বিশেষভাবে নির্মিত

    স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্রের (SAAW) মধ্যে রয়েছে ৮০ কেজির উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়ারহেড, যা রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, বাঙ্কার এবং জ্বালানির ডিপোগুলি অচল করে দিতে পারে। এটি রকেট চালিত নয় বরং গ্লাইড করে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছয়, ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এই স্মার্ট বোমাটিতে ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল (GPS ও NavIC) সংযুক্ত করা হয়েছে, যা লক্ষ্যভ্রান্তি মাত্র সাত মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও ইমেজিং-ইনফ্রারেড সিকার, যার ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিশানার ভুলত্রুটি তিন মিটারের নিচে নেমে আসে।

    ঝুঁকির বাইরে থেকেই আঘাত

    এই বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আক্রমণ চালাতে পারে। এর ফলে যুদ্ধবিমানগুলি শত্রু অঞ্চলের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ না করে বাইরে থেকেই আঘাত হনতে পারে। কম ওজনের কারণে এটি বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা যায়, ওড়ার ক্ষমতাতেও কোনও প্রভাব ফেলে না। ২০১৬ সাল থেকে জাগুয়ার, মিরাজ, মিগ-২৯, এসইউ-৩০, এলসিএ তেজস, হক (Jaguar, Mirage 2000, MiG‑29, Su‑30 MKI, LCA Tejas, Hawk) সহ বিভিন্ন বিমানে এটি সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। এমনকি হ্যাল-এর ভবিষ্যতের ড্রোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে এমন ক্যাটস ওয়ারিয়র (CATS Warrior) প্ল্যাটফর্মের জন্যও এটি উপযুক্ত।

    উৎপাদন ও রফতানি

    ২০১৩ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনা হাতে এর প্রথম সংস্করণ তুলে দেন। চলতি মাসেই স্যাটেলাইট-নির্ভর সংস্করণ কেনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন মিললেই অর্ডার চূড়ান্ত হবে। এই স্মার্ট দেশি বোমা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড। এই অস্ত্র বিদেশে রফতানির কথাও ভাবা হচ্ছে।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan Relation) আলোচনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিল নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লক ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কখনওই এক সঙ্গে চলতে পারে না। এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের হাতে যে দাগী সন্ত্রাসবাদীগুলির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমাদের হাতে তুলে দিক। তবেই আলোচনা হতে পারে।’ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যদি বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার আগে আমাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দিক।’

    শরিফের প্রস্তাব নাকচ করল নয়া দিল্লি

    পাক প্রধানমন্ত্রী (India Pakistan Relation) শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি ইরান সফরের সময় বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।” শরিফ বলেন, “জল নিরাপত্তা এবং কাশ্মীর সহ দীর্ঘদিনের ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।” আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, মূলত ইরানের রাষ্ট্রপতির চাপেই এই বুলি বলতে বাধ্য হয়েছে শরিফ। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসাথে চলতে পারে না—এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট ও স্থির। আমরা আবারও বলছি, পাকিস্তানকে সেই সন্ত্রাসীদের আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে, যাদের তালিকা আমরা বহু বছর আগে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।” তিনি আরও জানান, “জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র সেই প্রক্রিয়া এবং সময়রেখা নিয়ে—যার মাধ্যমে পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীর খালি করবে।”

    ভারতের কড়া জবাব

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ না পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসে সমর্থন বন্ধ করে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উদ্ধৃত করে বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসাথে চলতে পারে না, জল ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।” ভারতের কড়া জবাব স্পষ্ট করে দিল, কোনো আলোচনা হতে হলে প্রথমে পাকিস্তানকে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে।

    পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ করে নয়াদিল্লি। প্রতিদিনের মতোই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই দুই দেশকে এক সুতোয় টেনে আক্রমণ করেন তিনি। প্রথমেই ফিরিয়ে দেন শরিফের প্রস্তাব। তারপরেই নস্য়াৎ করেন ইউনূসের অযৌক্তিক দাবিকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকেও তোপ দেগেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের বিরুদ্ধে ইউনূসের তোলা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন সংক্রান্ত সমস্যার দায় শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের উপরেই বর্তায়। যদি কেউ বলে যে বহিরাগতের কারণে বা অন্য কেউ এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তা হলে বলব, আসলে তারা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পাকিস্তান ঠিক যেমন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ভারতের দিকে ঠেলে দেয়। একই পথ অবলম্বন করেছে বাংলাদেশও। এবার সেই কৌশলকেই ভাঙল নয়াদিল্লি।

  • Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি (India-Pak Ceasefire) সত্ত্বেও পাকিস্তান লাগোয়া রাজ্যগুলিতে হামলার হুমকি রয়েই গিয়েছে। যে কারণে বাছাই করা কিছু এলাকায় যুদ্ধপরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং সেই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মহড়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ মে সন্ধ্যায় গুজরাট (Gujarat), পাঞ্জাব (Punjab), রাজস্থান (Rajasthan), জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir), হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মক ড্রিল (Mock Drill) হবে বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তরফে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে এখন প্রতি মাসেই এমন মহড়া চলবে। সেই সময় প্রশাসন যা যা নির্দেশ দেবে, তাই মেনে চলতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    কেন ‘অপারেশন শিল্ড’?

    মে মাসের শুরুতেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মক ড্রিল হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ মে, চার দিনব্যাপী ভারত-পাক সংঘর্ষে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের নাগাড়ে গোলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি গ্রামের। বহু ভারতীয় নাগরিকের প্রাণও গিয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এমন ঘটনা না ঘটে তাই এই ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মহড়া শুরু করেছে ভারত। সূত্রের খবর, এই মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আকাশপথে হামলার সময়ে কন্ট্রোল রুম এবং সতর্কতা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। এ ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা, অসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার কাজ পরিচালনা এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশ কতটা প্রস্তুত তারই মূল্যায়ন করা হবে।

    কী এই ‘অপারেশন শিল্ড’?

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) হল ভারতের সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শত্রুপক্ষের বিমান হামলা, ড্রোন অনুপ্রবেশ, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, এবং নাগরিকদের জরুরি স্থানান্তর ও সতর্কতা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা পরখ করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। একজন উচ্চপদস্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তা বলেন, “এই মহড়ার লক্ষ্য হল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আমাদের নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করা। এই অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষায় ‘বাফার জোন’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স ইউনিট যৌথভাবে এই মহড়া পরিচালনা করবে।

    কেন সীমান্ত রাজ্যগুলোতে জোর?

    সীমান্তবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে এই মহড়া সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে সরকারের মূল যুক্তি হলো, এই এলাকাগুলোই সম্ভাব্য সংঘাতের প্রথম ধাক্কা সামলাবে। একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর। তাই এখানকার নাগরিক ও প্রশাসনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় করে এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে। অগ্নি নির্বাপন বাহিনী, চিকিৎসা দল এবং পুলিশ বাহিনী এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন মহড়ার সময় সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সব ধরনের সরকারি নির্দেশ মেনে চলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, “এটি একটি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    মক ড্রিলের উদ্দেশ্য কী?

    মক ড্রিল হলো একটি সিমুলেটেড প্রশিক্ষণ, যার লক্ষ্য সিভিলিয়ান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবা দলগুলিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী হামলা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত করা। এই মহড়ার মাধ্যমে এয়ার রেইড সাইরেন, ব্ল্যাকআউট প্রোটোকল, নাগরিক স্থানান্তর, এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় পরীক্ষা করা হয়। ‘অপারেশন শিল্ড’-এর উদ্দেশ্য হলো সীমান্তবর্তী এলাকায় জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে তারা শত্রুপক্ষীয় হামলা বা অন্যান্য সংকটের সময় নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের মহড়া জনগণের মধ্যে আতঙ্ক প্রতিরোধ এবং সংকটকালীন পরিস্থিতিতে শান্ত ও সংগঠিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।

    ‘অপারেশন শিল্ড’-এর গুরুত্ব

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে এই মক ড্রিল সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিক এবং প্রশাসনের প্রস্তুতি জোরদার করবে। এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক সমন্বয়ই নিশ্চিত করবে না, বরং জনসাধারণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে যে তারা যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই সময়ে, এই ধরনের প্রস্তুতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

  • Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল (India-Pakistan Conflict)  বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।’’

    শেহবাজের ব্রহ্মোস স্বীকারোক্তি

    পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মোস ব্যবহার করে পাক সামরিক ঠিকানায় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ব্রহ্মসের নাম না করলেও ১০ জুন সকালে পাক সেনা জানিয়েছিল, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতপর্বে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া দেশ আজরবাইজানে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিমানঘাঁটি নিশানা করে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।’’

    নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস 

    সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে তিনটি অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটির নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, হামলায় পাক বিমানবহরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও ১৫ মে পাক বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মাসুদ আখতার জানিয়েছিলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ মে গভীর রাতে ইসলামাবাদের ভালোরী বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের একটি ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স) সম্বলিত বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শেহবাজ (Shehbaz Sharif) অবশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও বিমানঘাঁটির নাম করেননি। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছিল, পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস।

    ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে।

    পাকিস্তান ভাবার আগেই পদক্ষেপ ভারতের

    কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের (India-Pakistan Conflict) উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে ভোর-রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। পাক সেনা প্রতিক্রিয়ার সময় পায়নি বলেও স্বীকার করে নেন শেহবাজ। জানান, বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয় ঘটে যায়।

    কেন ব্রহ্মোস-হামলা

    প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য সুখোই ৩০ এম কেআই জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ে ভারত।

LinkedIn
Share