Tag: Indian airspace

Indian airspace

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

  • Air Force: বায়ুসেনার নজরদারি! ভারতের আকাশে প্রায় ১০ মিনিট রইল পাক বিমান, কেন জানেন?

    Air Force: বায়ুসেনার নজরদারি! ভারতের আকাশে প্রায় ১০ মিনিট রইল পাক বিমান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বিমানকে (Pakistan Plane) ঢুকে পড়তে দেখেই তৎপর হয়ে উঠল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। পাঞ্জাবের উপর চক্কর কাটছিল বিমানটি। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল ওই যাত্রীবাহী পাক বিমানটি। ১০ মিনিটের বেশি সময় বিমানটি পাঞ্জাবের আকাশে ছিল। 

    বায়ুসেনার নজরদারি

    রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৪ মে পাকিস্তানি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ১৬ বছর পুরোনো বোয়িং ৭৭৭ ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। লাহোরে অবতরণ করতে না পেরে ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশেই সেই বিমানটি ঘুরে ফের পাকিস্তানে প্রবেশ করে। সেই সময় সেটি ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। রাতের অন্ধকারে পাঞ্জাবের বেশ কিছু জায়গার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল বিমানটি। জানা গিয়েছে, পিকে-২৪৮ উড়ানটি ওমানের মাসকাট থেকে টেকঅফ করেছিল লাহোরের উদ্দেশে। তবে অবতরণের সময় লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবহাওয়া খারাপ ছিল। এই আবহে বিমানটি অবতরণ করতে পারছিল না। এই আবহে দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়। লাহোরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সমন্বয়ে বিমানটির যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করে দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল।

    আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘৪২০’ বলে কেন কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    খারাপ আবাহাওয়া দায়ী

    পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের সব বিমানের ভারতীয় আকাশসীমার উপর দিয়ে ওড়ার অনুমতি নেই। কয়েকটির আছে। পাকিস্তান থেকে কুয়ালালামপুর ও ব্যাঙ্ককগামী বিমানগুলি ভারতীয় আকাশসীমার উপর দিয়েই যায়। তাই এই বিমানটি রুট বদল করে ভারতে ঢোকার পর থেকেই লাগাতার বায়ুসেনার নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। পরে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ঠিক হলে বিমানটি ফিরে যায় লাহোরে। ফ্লাইট রাডার 24-এ একটি ট্র্যাকার অ্যাপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার দিন রাত প্রায় সাড়ে ৮ টার কিছু পরে পাক বিমানটি পাঞ্জাবের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তারপর সেটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মোড় নিয়ে পাক আকাশসীমায় প্রবেশের আগে তারন তারান উপর দিয়ে গিয়ে উড়ে যায়। পরে রুট বদল করে পাক বিমানটি লাহোরের পরিবর্তে মুলতান বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb threat :  বোমাতঙ্ক নিয়ে ৪০ মিনিট ভারতের আকাশে ইরানের বিমান

    Bomb threat : বোমাতঙ্ক নিয়ে ৪০ মিনিট ভারতের আকাশে ইরানের বিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় আকাশসীমায় থাকাকালীন ইরান (Iran) থেকে চীনগামী একটি যাত্রাবাহী বিমানে (Passenger Jet) বোমাতঙ্ক। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির বিমানবন্দরে (Delhi airport) অবতরণের জন্য অনুমতি চায় বিমানটি। আজ সোমবার সকাল ৯ টা বেজে ২০ মিনিটে একটি ফোন আসে দিল্লির বিমানবন্দরে। এরপরই বিমান বন্দরে হাই অ্যালার্ট (High alert) জারি করা হয়।

    আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪ 

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে ইরানের তেহরান থেকে চীনের গুয়াংজু যাওয়ার পথে বোমাতঙ্কের ফলে সেই বিমানটি অবতরণ করারা জন্য অনুমতি চাইলেও সেটিকে জয়পুর এবং চন্ডীগড় দু’টি বিমানবন্দর বিকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পাইলট ভিন্ন পন্থার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়। ভারতের আকাশে ৪০ মিনিট ছিল বিমানটি।

    [tw]


    [/tw] 

    ইরান কর্তৃপক্ষ বিবৃতি অনুসারে, তেহরান বোমার ভয়কে উপেক্ষা  করতে বলার পর বিমানটি চীনে তার গন্তব্যের (Destination) দিকে যাত্রা অব্যহত রাখে।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইএএফ বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় (MOCA) এবং ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS) এর সঙ্গে যৌথভাবে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিমানটি ভারতীয় আকাশসীমা (Indian airspace) জুড়ে বিমান বাহিনীর রাডারের গভীর নজরদারির (Surveililance) আওতায় ছিল।

    আরও পড়ুন: ৬টি বুলেটে ঝাঁঝরা, ইরানি তরুণীর শেষকৃত্যে বাধ মানল না পরিজনদের চোখের জল  

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে  পাকিস্তানের লাহোর (Pakistan Lahore) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল দিল্লি এটিসিকে (ATC) কথিত বোমা হুমকির বিষয়ে তথ্য দিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share