Tag: Indian Army

Indian Army

  • Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    Indian Army: চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে ভারতীয় সেনার তিনটি নয়া ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকী চিনকেও মোক্ষম জবাব দিল ভারত (Indian Army)। সীমান্তে নীরবে শক্তি প্রদর্শন করল দিল্লি। যে ‘চিকেন্স নেক’ (Chicken’s Neck)-র দিকে অনেকদিন ধরে কুনজর, সেই অঞ্চলেই ভারতের তিনটি নতুন সামরিক ঘাঁটি তৈরি হয়ে গেল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, অসমের ধুবড়ি এবং বিহারের কিষানগঞ্জ- এই তিনটি জায়গায় নতুন ব্যাটেলিয়ান অফিস বা সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হল। সেনার ভাষায় এই ঘাঁটি গুলিকে বলা হয়, “গ্যারিসন” (Garrison)। এক একটি ঘাঁটিতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন জওয়ান থাকবেন। এগুলি ইনফেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন হিসেবে কাজ করবে।

    চিকেন্স নেক করিডর থেকে ঘাঁটিগুলির দূরত্ব

    সাম্প্রতিককালে বহু ইউটিউবার দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ৬০ কিমি এলাকা নাকি ভারত দখল করেছে। যে রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করা হচ্ছে, সেটি প্রকাশিত হয় গ্লোবাল গভারনেন্স নামক একটি ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়, চিকেন্স নেক অঞ্চলে ভারতীয় সেনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের পরিসর বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু, বাস্তবে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) বা শিলিগুড়ি করিডর ভারতের অংশ। সেখানে সেনা কোনও এলাকা দখল করেনি। বাংলাদেশের কোনও এলাকাও দখল করেনি সেনা। এই আবহে চিকেন্স নেক অঞ্চলে নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি গড়ল ভারত। উল্লেখ্য, চিকেন্স নেক করিডর থেকে ধুবড়ির দূরত্ব ২২২–২৪০ কিলোমিটার, চোপড়ার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, কিষাণগঞ্জের দূরত্ব ১৫২-১৮০ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও এই ঘাঁটি গুলির গড় দূরত্ব খুব একটা বেশ নয়। ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রের খবর, ভারী যুদ্ধাস্ত্র সহ ব্যাটালিয়নকে বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে কাছে রাখতেই এই গ্যারিসন তৈরি করা হয়েছে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত ভারতের

    একদিকে চিনের কৌশলী সামরিক বিস্তার, অন্যদিকে বাংলাদেশের ভিতরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি- দুই বিষয়ই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে সামরিক গোয়েন্দাদের। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি অন্য বিপদের শঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। আর সেখানেই “চিকেন্স নেক করিডর” (Chicken’s Neck) অংশটি যে ভারত বিরোধী বা শত্রু শক্তিগুলির অন্যতম পাখির চোখ, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সামরিক বিশারদদের কাছে। সামরিক গোয়েন্দাদের কাছেও শিলিগুড়ির ঠিক ওপারে থাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে থাকা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক তথ্য আসছে। সেই কারণে অত্যন্ত নীরবে এবং দৃঢ়ভাবে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেখানে থাকা ভারতীয় সেনার কাছে অস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি পৌঁছেছে। পৌঁছে গিয়েছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এছাড়াও অত্যাধুনিক মোবাইল জ্যামিং সিস্টেমও মোতায়েন করা হচ্ছে এই ঘাঁটিগুলিতে।

    ভারতের সামরিক কৌশল

    আগামী কয়েক মাসে ভারতের (Indian Army) সামরিক অনুশীলন চলার কথা উত্তরপূর্ব জুড়ে। ইতিমধ্যেই, উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে নোটাম জারি করা হল বায়ুসেনা অনুশীলনের জন্য। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ৬টি বিভিন্ন তারিখের জন্য। ভারতীয় সেনার এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে পদ্মপারেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সেখানে ইতিমধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে ভারতীয় সেনা যে কোনও মূহূর্তে সীমান্ত টপকে সে দেশে ঢুকে পড়তে পারে। চোপড়া থেকে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) দূরত্ব মাত্র ৫২ কিলোমিটার। আবার বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে এর দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এখানে রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোর। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চল কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি সম্প্রতি অসমের ধুবড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া সেনাঘাঁটি পরিদর্শন করেন।

    ভারতে ভীত বাংলাদেশ

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই তৎপরতায় কিছুটা হলেও ভীত বাংলাদেশ। তারা এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটি লালমনিরহাট সংস্কারে হাত দিয়েছে। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে চিন। সূত্রে খবর, লালমনিরহাটে তৈরি হবে হ্যাঙার। থাকবে যুদ্ধবিমান। চিনের থেকে বাংলাদেশ কিনেছে ১০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সিজে-১০। লালমনিরহাটের ছাউনিতে ওই বিমানগুলিকে রাখা হবে। ভারতীয় সেনার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই তিন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনার আচমকা তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের মাখামাখি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বদলে যাওয়া পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান সেনার উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় সেনা আর চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি হয়নি। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন তদারকি সরকার প্রধান ইউনূসের টার্গেট এখন এই শিলিগুড়ি করিডর (Siliguri Corridor)। তার একার পক্ষে এই এলাকা দখল করা সম্ভব হবে না অনুমান করে তিনি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তবে সেনাকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ ভুল করেও যদি চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিকেন্স নেক (Chicken’s Neck) কব্জা করার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাল্টা জবাব দেবে। যমুনা ভবনের বাসিন্দা এবং উত্তরপাড়ার যাবতীয় ছক ভেস্তে দেওয়ার মতো রসদ সীমান্তে মজুত করা আছে।

  • Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গোল্ডেন বয়’ নীরজ চোপড়ার Neeraj Chopra) মুকুটে নয়া পালক। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হল। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় আয়োজিত এই “পিপিং সেরিমনি” নীরজ চোপড়ার জীবনের আর একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রইল। নীরজ হলেন সেই ক্রীড়াবিদ, যিনি বিশ্বমঞ্চে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন একাধিকবার। অনুষ্ঠান চলার সময়ই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) নীরজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Neeraj Chopra)

    এই জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়নের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “নীরজ অধ্যবসায়, দেশপ্রেম এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ভারতীয় চেতনার জীবন্ত প্রতীক।” রাজনাথ নীরজের প্রেরণাদায়ী যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। হরিয়ানার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে শুরু করে তিনি কীভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষে পৌঁছলেন, তাঁর সেই অসামান্য সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সাম্মানিক) নীরজ চোপড়া শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা এবং জাতীয় গৌরবের সর্বোচ্চ আদর্শের প্রতীক। তিনি ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছেও অনুপ্রেরণার উৎস।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন (Neeraj Chopra) সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় সেনা ও টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রবীণ আধিকারিকরা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    নীরজের পথ চলা

    ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন নীরজ। সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রাচীন ও সর্বাধিক সম্মানিত পদাতিক রেজিমেন্ট রাজপুতানা রাইফেলসে যোগ দেন। নীরজ ইতিহাসে নিজের নাম অমর করে তুলেছেন ২০২০ সালে, টোকিও অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে ভারতের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী অ্যাথলিট হয়ে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে রৌপ্যপদক জয় এবং ২০২৩ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে নীরজ প্রমাণ করেছেন, তিনি বিশ্বের অন্যতম ধারাবাহিক জ্যাভলিন থ্রোয়ার।

    এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং ডায়মন্ড লিগ প্রতিযোগিতায়ও একাধিক স্বর্ণপদক জয় করেছেন নীরজ। এভাবে বিশ্বমঞ্চে নীরজ উজ্জ্বল করেছেন ভারতের নাম (Rajnath Singh)। নীরজের ব্যক্তিগত সেরা থ্রো ৯০.২৩ মিটার (২০২৫) ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি (Neeraj Chopra) শুধু শারীরিক দক্ষতার নয়, বরং জাতীয় গৌরব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

  • Tejas MK1A: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ, রাজনাথের সামনে তেজস মার্ক-১এ ফাইটারের প্রথম উড়ান

    Tejas MK1A: আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ, রাজনাথের সামনে তেজস মার্ক-১এ ফাইটারের প্রথম উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বায়ুসেনার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছে তেজসের (Tejas MK-1A) উন্নততর সংস্করণ মার্ক-১এ। শুক্রবার নাসিকের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে প্রথমবার আকাশে ডানা মেলল এই যুদ্ধবিমানটি। শুক্রবার নাসিকে তেজসের তৃতীয় উৎপাদন শাখা উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি, এইচটিটি-৪০ প্রশিক্ষণ বিমানের দ্বিতীয় উৎপাদন শাখাও চালু করলেন তিনি। আত্মনির্ভর ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর নাসিক ক্যাম্পাসে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রকৃত উদাহরণ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) হ্যাল-এর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধিতে হ্যাল একটি মজবুত স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। আজকের দিনটি গর্বের দিন।” তিনি আরও বলেন, “এটি আমার প্রথমবার হ্যাল-এর নাসিক ক্যাম্পাসে আসা। এখানে কর্মীদের মুখে আমি গর্ব আর উচ্ছ্বাস দেখেছি। তেজস মার্ক-১এ (Tejas MK-1A) ও সুখোই-৩০ বিমানের পাইলটদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। আজ সুখোই-৩০, মার্ক-১এ ও এইচটিটি-৪০ বিমানের উড়ান দেখে আমার হৃদয় গর্বে ভরে উঠেছে। এটি আত্মনির্ভর ভারতের প্রকৃত উদাহরণ। একসময় এই স্থানে মিগ বিমান তৈরি হতো, আর আজ এখান থেকে তৈরি হচ্ছে আধুনিক সুখোই জেট। এটা এক বিশাল অগ্রগতি।” তিনি আরও বলেন, “নাসিকের এই ভূমি ঐতিহাসিক। ত্রিম্বকেশ্বর রূপে এখানে অধিষ্ঠিত আছেন শিব ঠাকুর। এই ভূমি যেমন বিশ্বাস ও ভক্তির প্রতীক, তেমনই আজ আত্মনির্ভরতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে হ্যাল আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতিচ্ছবি।”

    বায়ুসেনার হাতে হস্তান্তর কবে

    ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান। এরপর থেকে ক্রমে বিমানটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হ্যাল (হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড )। এবার বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিমান তৈরিতে আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, দশটি মার্ক-১এ বিমান তৈরি করে পরীক্ষা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এখনও এর চূড়ান্ত উড়ান পরীক্ষা এবং অস্ত্রসজ্জা বাকি রয়েছে। সেই কারণেই বায়ুসেনার হাতে এই বিমান হস্তান্তর করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

    ৬৫ শতাংশ মেক ইন ইন্ডিয়া

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সুখোই-৩০, এলসিএ তেজস ও এইচটিটি-৪০ এই তিনটি বিমান নাসিক ইউনিটে তৈরি হওয়া মানে দেশের আত্মনির্ভরতার আকাশে উড্ডয়ন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে দেশের প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করতে হতো, কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৬৫ শতাংশ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। রাজনাথ সিং আরও বলেন, “উদীয়মান প্রযুক্তি মানে শুধু নতুন সরঞ্জাম বা যন্ত্র নয়; এটি একটি নতুন মানসিকতারও প্রতীক। আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, এবং এখন আমাদের চিন্তাভাবনাকে আরও প্রসারিত করার সময় এসেছে। এটাই আমাদের ভারতের জন্য সময়ের দাবি।”

    তেজস মার্ক-১এ তে কী আছে

    তেজস মার্ক-১-এর উন্নততর সংস্করণ তেজস মার্ক-১এ একক আসনের যুদ্ধবিমান। মার্ক-১এ ৪.৫-প্রজন্মের হালকা যুদ্ধবিমান। এটি একক ইঞ্জিনের বিমান। এই বিমানে উন্নত এভিওনিক্স যুক্ত ক্লরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার এবং স্ট্যান্ডার্ড মার্ক-১-এর তুলনায় বেশি অস্ত্রসম্ভার থাকবে এই এই বিমানে। মার্ক-১এ বিমানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে একটি জিই এফ৪০৪-আইএন২০ ইঞ্জিন। এই বিমানে সর্বোচ্চ ৫,৩০০ কেজি পেলোড বহন করা সম্ভব। মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন প্রায় ১৩,৫০০ কেজি এবং সর্বোচ্চ গতি মাক ১.৮। বিমানটিতে এইএসএ রাডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW) স্যুট এবং আকাশে ওড়ার সময়েই জ্বালানি ভরার মত উন্নত ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে।

    তেজস মার্ক-১এ ঐতিহাসিক মাইলফলক

    হ্যালের দাবি, বায়ুসেনার হাতে তেজস তুলে দেওয়ার পথে প্রধান বাধা ইঞ্জিন। জিই-র ৪০৪ ইঞ্জিন আসার কথা রয়েছে মার্কিন মুলুক থেকে। এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি ইঞ্জিন পেয়েছে হ্যাল। অক্টোবরের শেষে আরও দুটি ইঞ্জিন আসার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনের জোগানের সমস্যার সমাধান হলেই তেজসের সাপ্লাই সঠিক হবে। তেজস মার্ক-১এ বিমানের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমানে অ্যাস্ট্রা এবং আসরাম ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করার ক্ষমতা। ২০২৯ সালের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য চুক্তি করা হয়েছে হ্যালের সঙ্গে। ২৫ সেপ্টেম্বর একটি নতুন চুক্তিতে আরও ৯৭টি বিমান সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকে। ২০২৭ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে এই বিমান তুলে দিতে হবে বায়ুসেনার হাতে। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তেজস এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম সফল উড্ডয়ন ভারতীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

     

     

     

     

  • Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, কুপওয়ারায় বাহিনীর গুলিতে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজৌরি, অনন্তনাগের পরে এ বার কুপওয়ারা। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্বাভাবিক গতিবিধি নজরে আসে প্রহরারত জওয়ানদের। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সে সময় বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে পাক জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুরু হয় দু’তরফের গুলির লড়াই। এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও এখনও তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। মাছিল সেক্টরের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি।

    অন্যদিকে, দুদনিয়াল সেক্টরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যার ফলে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করার চেষ্টার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনার পদস্থ আধিকারিকরা। তবে এখনও ওই এলাকায় জঙ্গির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

    শীতের আগে সেনা তৎপরতা তুঙ্গে

    গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা। কারণ শীত পড়ার আগেই বিপুল পরিমাণে জঙ্গিকে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। শীত পড়ে গেলে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকা কঠিন। তাই শীত পড়ার আগে পাকিস্তানি লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে, এমনটাই মত বিএসএফ কর্তার। সেকরণেই বিএসএফ এবং সেনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে, লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ অনন্তনাগে অপারেশন চলার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিখোঁজ হয়ে যান দুই প্যারা কম্যান্ডো (স্পেশাল ফোর্স) সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষ। শুক্রবার বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। অনন্তনাগের আলান গাডোলে এলাকার কোকেরনাগ সাব ডিভিশনের জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে সেনা। অভিযান চলাকালীন আচমকাই স্পেশাল প্যারা ইউনিটের দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

    গত কয়েকদিনে আরও জঙ্গি নিকেশ

    সম্প্রতি, একটি যৌথ অভিযানের সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ওয়ারসান এলাকার ব্রিজথর জঙ্গলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি আবিষ্কার করে। অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দুটি একে-সিরিজ রাইফেল, চারটি রকেট লঞ্চার, বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করে।

    আবার, কুলগাম জেলার গুদ্দার জঙ্গলে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এর আগেও একটি সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। দুই সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন শোপিয়ানের বাসিন্দাস নাম আমির আহমেদ দার। এই ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল। পহেলগাম হামলার পর মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪ জন ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় তার নাম ছিল।

  • India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানালেন, অপারেশন সিঁদুরে শেষপর্যন্ত নয়াদিল্লি অব্যাহতি দিলেও পরবর্তী সময়ে আর তেমন কিছু হবে না। আর সংযম দেখাবে না ভারত। সবকিছুরই শেষ থাকে, ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছে ভারত, তাই আর নয়। ভারতীয় সেনাকে তৈরি থাকার বার্তাও দিয়েছেন সেনাপ্রধান। অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান। সীমান্তে এখনও সমানতালে চলছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর দাবি, অপারেশন সিঁদুর ১০ মে শেষ হয়নি। ১০ মে-র পরও সবার অলক্ষে লড়াই চলছে।

    জঙ্গিদের মদত নয়

    শুক্রবার রাজস্থানের অনুপগড়ে সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্মি চিফ। সেখানেই ফের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময়ে আমরা সংযম দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এ বার আর দেখাব না। কোনও রেয়াত করা হবে না।’ এর পরেই হুঁশিয়ারির সুরে আর্মি চিফ বলেন, ‘পাকিস্তান যদি ভূগোলে নিজেদের জায়গা ধরে থাকতে চায়, তাহলে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতেই হবে।’ স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, ‘জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করুন। নাহলে মানচিত্রে আপনাদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।’ রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ভারতের সেনাপ্রধান জানান, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে।

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তা

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তাও দেন সেনাপ্রধান। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘ভারত এবার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঈশ্বর চাইলে আপনারা শীঘ্রই সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।’ গুজরাটের ভুজে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দশেরা পালনের সময়ে পাকিস্তানকে একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, যা ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে দিতে পারে।’ তার পরেই আর্মি চিফের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি সার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজনাথ বলেন, ‘পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই খালের (স্যর ক্রিক) মধ্য দিয়ে গিয়েছে।’

    ‘অপারেশন সিঁদুর ২’-এর অপেক্ষা

    অন্য দিকে, ৯৩ তম এয়ার ফোর্স ডে সেলিব্রেশনে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের ১০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রসঙ্গ টানেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতীয় সেনার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অভিযান। সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের ৩০০ কিমি অভ্যন্তরে ঢুকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তিনি বলেন, ‘পহেলগাঁওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দাম দিতে হয়েছে। ইতিহাসে অপারেশন সিঁদুরকে মনে রাখা হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখেই ৩-৪ দিনে যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’ এয়ার চিফ মার্শালের দাবি, ‘পাকিস্তানের ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। সমসংখ্যক জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। একটি সি-১৩০ বিমান ও মিসাইল সিস্টেমও ধ্বংস হয়েছে।’ সেনাপ্রধান, বায়ুসেনা প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবার গলাতেই এক সুর। তাহলে কি এবার ‘অপারেশন সিঁদুর ২’!

    ঘরে-বাইরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

    এদিকে, সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাক সরকারের। ঘরের মধ্যেই লাগাতার আন্দোলনে নাস্তানাবুদ পাক প্রধানমন্ত্রী। অশান্তির জন্য বহিরাগত শক্তিকে দায়ী করেছে পাক প্রশাসন। সূত্রের খবর, উত্তপ্ত অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধি দলকে মুজফফরাবাদে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলেছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথাই স্মরণ করালেন সেনাপ্রধান!

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জনের। সেই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগসাজশের প্রমাণ মেলে। ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তানে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রায় ১০০ জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান ভারতে হামলার চেষ্টা চালালে তা ব্যর্থ করে এ দেশের সেনাবাহিনী। ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত এবং পাকিস্তান। তার কয়েক দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও জানিয়েছিলেন যে, সিঁদুর অভিযান শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে প্ররোচনা দিলে আরও কড়া জবাব দেবে ভারত। এ বার কি সে কথাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন ভারতের স্থলসেনাপ্রধান?

  • Udhampur Encounter: উপত্যকায় নাশকতার ছক ভেস্তে দিল সেনা, উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ জওয়ান

    Udhampur Encounter: উপত্যকায় নাশকতার ছক ভেস্তে দিল সেনা, উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরসুমে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। ভারতে ঢুকে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছিল জইশ-ই-মহম্মদের চার জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় (Udhampur Encounter) ফের সন্ত্রাসবাদী দমন অভিযানকে ঘিরে তীব্র গুলির লড়াই চলল। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে,জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে শুক্রবার রাত থেকেই উধমপুর জেলায় অভিযানে নামে সেনা। সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে সমাজমাধ্যম‌ে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, “জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে।” জানানো হয়, সেনার অভিযান চলছে ডোডা-উধমপুর সীমানায়। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই (এনকাউন্টার)-এ খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান।

    পুঞ্চ সেক্টরে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার

    জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে (Udhampur Encounter) যখন সেনার সঙ্গে জইশ জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে, সেই সময় পুঞ্চ সেক্টরে সেনা অভিযানে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে, পুঞ্চ সেক্টরে অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই অভিযানে নামে সেনা। তল্লাশি চালানোর সময় চিনা হ্যান্ড গ্রেনেড, প্রচুর কার্তুজ, ম্যাগাজিন এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনার সন্দেহ, জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার জন্যই এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই সেই অস্ত্র উদ্ধার করা হল। তবে কারা অস্ত্র মজুত করছিল, কারা এই ঘটনায় জড়িত সেই তল্লাশি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি

    সেনার একটি সূত্র বলছে, যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপেই এগুলি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ছিল। গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের সাতটি জেলা— শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হান্দোয়ারা, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে তল্লাশি জারি। গত মাসেই উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় দুই লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর চিনা গ্রেনেড। ব্যারেল গ্রেনেড, গ্রেনেড লঞ্চার, ১০টি একে সিরিজের রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। তার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। সেই তল্লাশি অভিযানের সময়েই পুঞ্চ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হল।

    পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই

    সেনা সূত্রে খবর, উধমপুরের ডুডু বসন্তগড়ে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তার পরেই অভিযানে নামে সেনার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। উল্টো দিক থেকে জঙ্গিরা গুলি চালাতে‌ শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথ বাহিনীও। শনিবার সকালে উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হন এক জওয়ান। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। তিন থেকে চার জন জঙ্গিকে কোণঠাসা করে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। এদের প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে সূত্রের খবর। উধমপুরের ডুডু- বসন্তগড়েরের পাহাড়ি এলাকায় তিন থেকে চার জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় অভিযান। সেনাবাহিনী, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি) এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান গুরুতর আহত হন। এখনও গুলির লড়াই চলছে। এক্স পোস্টে জম্মুর আইজিপি লেখেন, ‘এনকাউন্টার চলছে। পুলিশ ও সেনার যৌথদল ঘটনাস্থলে রয়েছে।’

    নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা

    উল্লেখ্য, গত এক বছরে এই অঞ্চলেই একাধিক গুলির লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের ২৬ জুন ডোডা-বসন্তগড়ের জঙ্গলে সংঘর্ষে খতম হয় জইশ কমান্ডার হায়দার, যিনি প্রায় চার বছর ধরে ওই এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল একই এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স শাখা কাশ্মীর উপত্যকার সাতটি জেলায়। শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হ্যান্ডওয়ারা, পুলওয়ামা এবং শোপিয়ানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে সেনাবাহিনী ড্রোন ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছে। পুঞ্চ সেক্টরে ওই তল্লাশিতে মেলে বিপুল অস্ত্রভান্ডার। উদ্ধার হয়েছে ২০টি চিনা হাতবোমা-সহ একাধিক মারাত্মক অস্ত্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলি সম্প্রতি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এবং সেগুলি মূল ভূখণ্ডে পৌঁছে দিয়ে নাশকতা ঘটানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। সময়মতো খবর পাওয়ায় বড়সড় সন্ত্রাসের ছক ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    শেষ দুই সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় অভিযান

    স্থানীয় প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, শেষ দুই সপ্তাহের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে কূলগাম অভিযান চালিয়েছিল সেনা। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনা আধিকারিক-সহ মোট ২ জওয়ান শহিদ হন। পালটা জবাবে দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসের জাল ছিঁড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে সেনা। ব্যাপক ধড়-পাকড়ের পাশাপাশি জঙ্গি নিধন যজ্ঞ। এরপর শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেবে’ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর গত তিন মাস ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা।

  • Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প নিয়ে পাকিস্তানের দাবি জইশ-ই-মহম্মদের (জইশ) এক কমান্ডারের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এবার লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) এক জঙ্গি স্বীকার করেছেন যে, মুরিদকেতে সংগঠনের সদর দফতর ‘মারকাজ তৈইবা’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে লস্করের কমান্ডার কাসিম বলেন, ‘‘আমি মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে একসময় মারকাজ তৈইবা ছিল। ভারতের হামলায় এটি ধ্বংস হয়েছে। এখন আল্লাহর রহমতে এটি আরও বড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে।’’ ভিডিওতে কাসিমের পেছনে একটি নির্মীয়মান বাড়ি দেখা যায়।

    মুরিদকে লস্কর ভবন পুনঃনির্মাণ

    ওই ভিডিওয় লস্কর কমান্ডার আরও স্বীকার করেন যে, বহু মুজাহিদ এবং ‘তালাবা’ (ছাত্র) এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন এবং ‘ফয়জ’ অর্জন করতেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে, এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছিল না, কাসিমের এই ভিডিও সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করে। আরেকটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের ‘দাওরা-এ-সুফফা’ নামে পরিচিত লস্করের প্রাথমিক জিহাদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে ধর্মীয় প্ররোচনার পাশাপাশি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ই মে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor)  অধীনে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি একযোগে ধ্বংস করে। এই অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিন, বার্নালা ও মুজাফফরাবাদে লস্করের বিভিন্ন ঘাঁটি ছিল।

    ভারতের দাবিই সত্যি

    একটি ভয়াবহ ভিডিওতে লস্করের ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি সম্প্রতি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী মারকাজ তইবার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মুরিদকে লস্করের সদর দফতর গোপনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি — কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সামনে রেখে — নতুন করে নির্মিত মারকাজ তইবা উদ্বোধন করা হবে, যেখানে আবারও প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিও এক ভিডিও বার্তায় স্বীকার করেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার “টুকরো টুকরো” হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এই ভিডিওগুলি প্রমাণ করে ভারতের দাবি সত্যি। কাঁটাতারের ওপার থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহু হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

     

     

     

     

     

  • Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    Operation Sindoor: ‘‘জঙ্গি-দমনই লক্ষ্য, সাধারণ মানুষ নয়’’! রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর, জানালেন সিডিএস অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালান হয়। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Anil Chauhan) অনিল চৌহান। এদিন নয়াদিল্লির রাজভবনে এক আলাপচারিতায় অনিলের কথায় উঠে এসেছে ‘সিঁদুর’ অভিযানের সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রসঙ্গ।

    রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে যে রাত ১টাতেই কেন এই অপারেশন চালানো হয়েছিল? তার উত্তর দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, মধ্যরাতে অভিযান করার নেপথ্যে ছিল দু’টি কারণ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমত, রাতেও আমরা ছবি তুলতে পারব, আমাদের সেই ক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর দ্বিতীয়ত, সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে।’’

    নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত

    অনিল জানান, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় ছিল। তার পরেও মধ্যরাতে অভিযান চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কেন সকালে অভিযান করা হয়নি? অনিলের কথায়, ‘‘ওটা নমাজের সময়। অনেক সাধারণ মানুষ জড়ো হন ওই সময়ে। তাই চিন্তাভাবনা করে ভোরের সময় বাতিল করা হয়।’’ অর্থাৎ, ভোরবেলা অভিযান চালালে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা থাকত বেশি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে ছিল মুজফ্‌ফরাবাদ, কোটলি, বহওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চক্‌সওয়ারি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলম এবং চকওয়াল। ছোড়া হয় মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। রাত ১টা বেজে পাঁচ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানের সময়সীমা ছিল ২৫ মিনিট। লশকর-এ-ত্যায়বা ও জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলিই ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য। ভারতের দাবি, জঙ্গিদমন করতেই তাদের এই অভিযান। তাই নিরীহ মানুষের উপর আঘাত হানতে চায়নি ভারত।

    যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র

    ভারতীয় বাহিনীর সামরিক প্রধান শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। যেখানে তিনি সামরিক ও অসামরিক মিশনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র এখন প্রযুক্তির দ্বারা বেশি চালিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্র আর শুধু স্থল, বায়ু এবং সমুদ্রের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মহাকাশ, সাইবার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম এবং এমনকি নলেজ ডোমেনেও প্রসারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক অপারেশনগুলিতে এই পরিবর্তন স্পষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন জেনারেল অনিল চৌহান।

  • US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চট্টগ্রামের (US Army in Chattogram) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অবতরণ করেছে ‘বিদেশি’ সামরিক বিমান। এদিকে কয়েকদি আগেই নাকি চট্টগ্রামে ১২০ জন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য যান। তারা চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু-তে আছেন। এই সব মিলে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চাও চলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োকোটা ঘাঁটি (জাপান) থেকে পরিচালিত একটি ট্যাকটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। একইসাথে চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যেখানে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।

    চট্টগ্রামে যৌথ মহড়ায় নজর রাখছে ভারত

    এই মহড়া ও সাম্প্রতিক তৎপরতাগুলোর প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—ভারতের জন্য কি এই মহড়া উদ্বেগের কারণ? ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সন্নিকটে চট্টগ্রামে মার্কিন সেনা উপস্থিতি কী আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে? গত ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। এরই সঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ জন মার্কিন সেনা এবং বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এসব সৈন্যরা রেডিসন ব্লু হোটেলে অবস্থান করে, যেখানে তাদের নাম রেজিস্টারে লেখা হয়নি। এই অপারেশনটি ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৪’-এর অংশ। ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মহড়ার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা হয়েছিল?

    কি ঘটছে চট্টগ্রামে?

    ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ মূলত একটি মানবিক সহায়তা ও সামরিক সহযোগিতা ভিত্তিক মহড়া, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ২৪২ জন সামরিক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯২ জন মার্কিন ও ১৫০ জন বাংলাদেশি সেনা সদস্য রয়েছেন। মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তিনটি সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান (দুটি যুক্তরাষ্ট্রের), একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী)। এছাড়াও, আমেরিকার চার্জ দ্যা’ফেয়ার ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের (PACAF) প্রতিনিধি ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক

    এর আগে, ৮-১০ সেপ্টেম্বর হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত ‘ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’-এ ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। এদিকে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে চিনের প্রভাব বাড়ছে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে (যেমন আরাকান আর্মি) সমর্থন করতে চায়। এই বিদ্রোহীরা জুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদিকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও আমেরিকার নজর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের সামরিক জুন্তার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী দেশের সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় রয়েছে। এদিকে মায়ানমারকে নিজেদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে ভারত সরকার। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট প্রজেক্ট (মিজোরাম থেকে সিত্তে বন্দর পর্যন্ত) এর মতো প্রকল্পগুলি জুন্তার সমর্থনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই অর্থে, এই গোটা বিষয়টি খুব সংবেদনশীল।

    উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তির আশঙ্কা

    এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিশর বিমান বাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এর একদিন পরেই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পতেঙ্গা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। তবে এই করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে এই করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করতে পারে বলে আশঙ্কা শুরু হয়েছিল তাদের দেশের অভ্যন্তরেই। যার জেরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ইউনুস সরকারের ওপর। তারপর বেশ কয়েক মাস বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ইউনুস সরকারের তরফ থেকে। এমনকী বলা হয়েছিল, এই করিডোরের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি।

    আমেরিকার লক্ষ্য কি শুধুই চিন-বিরোধিতা?

    বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল মূলত চিনকে প্রতিহত করা। তবে এর প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক ভারসাম্যেও পড়ছে। বাংলাদেশে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে—যা একদিকে চিনের প্রভাব ঠেকানোর চেষ্টা, অন্যদিকে ভারতকেও নির্দিষ্ট ছকেই রাখতে চাওয়ার ইঙ্গিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-আন্দোলনের মুখে পড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়। এর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে, বলে অভিযোগ করেন হাসিনা। বলা হয়, শেখ হাসিনা ‘সেন্ট মার্টিন’ দ্বীপ মার্কিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।

    বদলে যাওয়া ভূরাজনীতি

    শেখ হাসিনা সরে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘টাইগার লাইটনিং ২০২৫’ নামের একটি ছয় দিনের যৌথ মহড়া জুলাই মাসে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড এবং বাংলাদেশের প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সতর্ক সংকেত হতে পারে। চট্টগ্রাম ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। আমেরিক যদি এই অঞ্চলকে লজিস্টিক হাব বা গোয়েন্দা তৎপরতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে, তাহলে তা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন—উভয় দেশই মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী তৎপরতা ও শরণার্থী সঙ্কটকে জটিল করে তুলতে পারে। এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ তৎপরতা মানবিক ও প্রশিক্ষণমূলক দাবি করা হলেও, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই।

  • Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    Joint military Station: শীঘ্রই তৈরি হবে তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন, ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে বড় সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথ সেনা সম্মেলনে নেওয়া হল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে কমান্ডারদের সেই সম্মেলন শেষ হয় বুধবার। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে এবার তিনটি জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করা হবে। একটি হবে দেশের উত্তর অংশে, অন্যটি মধ্য অংশে, আর একটি পূর্ব অংশে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসাবে থিয়েটার কমান্ড তৈরিতেও বিশেষ জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    থিয়েটার কমান্ড তৈরির পথে দেশ

    সম্প্রতি কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সম্মেলনেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মধ্যে সমন্বয় দেখা গিয়েছিল। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সেনা এবং বায়ুসেনা একসঙ্গে কাজ করেছিল। এছাড়া নৌসেনার সঙ্গেও সমন্বয় বজায় রেখেছিল বায়ুসেনা। উল্লেখ্য, আমেরিকার মতো যৌথ সামরিক থিয়েটার কমান্ড তৈরির জন্যে মোদি সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ধাপে ধাপে এই থিয়েটার কমান্ড বাস্তবায়নে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। এই থিয়েটার কমান্ড তৈরির প্রথম ধাপই হল জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station)।

    আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 

    সেনাবাহিনীর শিক্ষা শাখাগুলির মূল দায়িত্ব হচ্ছে সেনা সদস্যদের শিক্ষার মান উন্নত করা। এদের নিযুক্তি হয়ে থাকে বিভিন্ন সাব-এলাকা (গ্যারিসন), হেডকোয়ার্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউনিট, সৈনিক স্কুল, সামরিক স্কুল, কলেজ ও সিলেকশন সেন্টারে। যৌথ সামরিক স্টেশন (Joint military Station) হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে গঠিত সামরিক এলাকা, যেখানে সৈনিক, সরঞ্জাম এবং তাদের পরিবাররা বসবাস ও প্রশিক্ষণ করে। এই ধরনের যৌথ স্টেশন গঠন সামরিক কার্যক্ষমতার আরও সমন্বয় সাধন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘সংস্কারের বছর’ (Year of Reforms) হিসেবে। ত্রি-সেনা একত্রিকরণ এবং যৌথ কাঠামোর মাধ্যমে একটি সমন্বিত শক্তি গঠন করতে চাইছে ভারত। এর অন্যতম ধাপ হলো ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ড (ITCs) -এর গঠন। বর্তমানে ১৭টি আলাদা কমান্ড (সেনা ও বিমান বাহিনীর সাতটি করে, নৌবাহিনীর তিনটি) আলাদাভাবে কাজ করে। ভবিষ্যতে এগুলিকে একত্রিত করে একক থিয়েটার কমান্ডে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে। এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন-এর গুরুত্ব

    স্থল সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনাকে একসঙ্গে কাজ করে মোকাবিলা করতে হবে শত্রুদের। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মূলত এই বিষয়ের উপরেই বেশি করে জোর দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, এক জায়গায় থেকে যেকোন অপারেশনের কার্যকলাপ শুরু করলে, তা যেকোনো পরিস্থিতিতে সাফল্য এনে দিতে পারে। সেই কারণেই এই প্রথম ভারতের জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন (Joint military Station) তৈরি করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তান সেনার মদতে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গি ঘাঁটি গুলি আবার সক্রিয় হওয়া। তাই এবার নতুন স্ট্র্য়াটেজির পথে হাঁটতে চাইছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারতীয় সেনার রণকৌশল বদলের পাশাপাশি সীমান্ত নীতির দিক থেকে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। গঠিত হচ্ছে ত্রি-সেনা শিক্ষা শাখাগুলিকে একত্রিত করে একক ‘ত্রি-সার্ভিসেস এডুকেশন কর্পস’

LinkedIn
Share