Tag: Indian Army

Indian Army

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    Operation Sindoor: ‘৬টি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে ভারত’, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল ভারত। শনিবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। বায়ুসেনা প্রধান জানান, ভারত ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ এস-৪০০ ব্যবহার করে ধ্বংস করেছিল ৫টি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জ্যাকোবাবাদে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারেও নিখুঁত ভাবে আঘাত হানা হয়েছিল বলে দাবি করলেন এপি সিং। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাতেও হ্যাঙ্গারের মধ্যে থাকা বিমানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    পাক হামলার মোক্ষম জবাব ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। জবাব দেয় ভারতও। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ’টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমনটাই জানালেন বায়ুসেনা প্রধান।

    সুদর্শন চক্রের সাফল্য

    শনিবার বেঙ্গালুরুতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।” অমরপ্রীত জানান, এখনও পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। বায়ুসেনা প্রধান জানান, এই ছ’টি পাকিস্তানি বিমানকেই ধ্বংস করা হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করে। ভারত এর নাম দিয়েছে সুদর্শন চক্র। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর শুরু করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। তার জবাব দেয় ভারতও। এই সংঘর্ষের সময়েই যুদ্ধবিমানগুলি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা।

    এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস!

    এদিন বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং বলেন, “জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার আছে। হ্যাঙ্গারের অর্ধেকটাই উড়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভিতরে কিছু বিমান ছিল, সেগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” বস্তুত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আমেরিকা তৈরি করে। আমেরিকার থেকেই এই যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের এই মন্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের সাফল্য

    একইসঙ্গে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং বলেছেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স দুরন্ত কাজ করেছে। রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ সিস্টেম, যেটা আমরা সম্প্রতি মোতায়েন করেছিলাম সেটা খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই সিস্টেমের শক্তি ওদের বিমানগুলিকে সত্যিই দূরে রেখেছিল। যেমন ওদের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমাগুলির মতো অস্ত্রকে ওরা ব্যবহারই করতে পারেনি। কারণ এই সিস্টেমটাকে ওরা ভেদই করতে পারেনি।” বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ভারত জ্বালানি এবং অস্ত্র কেনায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে তা একাধিক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর বাড়তি শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে শনিবার রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান।

    যুদ্ধবিরতি ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না

    ভারত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বায়ুসেনার শক্তির সমূলে আঘাত হানে বলেও জানিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল। বায়ুসেনা প্রধানের মতে, এর পরে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানানো ছাড়া পাকিস্তানের কোনও উপায় ছিল না। জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ স্যাটেলাইট ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাশের কোন বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব অক্ষত রয়েছে। আমাদের কাছে শুধু স্যাটেলাইট ছবি নয়, স্থানীয় মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ছবিও আছে।’ লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের ছবিও দেখান বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এগুলো ওদের অফিস। এখানেই বৈঠক করত।’ তাঁর দাবি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    Indian Army: অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার মেজর দ্বীপান্বিতা কলিতা, স্থান পেলেন ফেমিনা পত্রিকার প্রচ্ছদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেনাবাহিনীতে কাজ করা মহিলাদের জন্য আর শুধু স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব। ‘অপারেশন সিঁদুরে’-এও দেখা গিয়েছে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশিদের ভূমিকা। তাঁদের সঙ্গেই আরও অনেক সাহসী মহিলা অফিসার বর্তমানে দেশের জল, মাটি এবং আকাশকে সুরক্ষিত রাখছেন। এমনই একজন সাহসী সেনা অফিসার হলেন মেজর দীপান্বিতা কলিতা (Dwipannita Kalita), যিনি অসমের বাসিন্দা। তিনি হলেন প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার, যিনি লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ফেমিনা’র প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য ভারতীয় সেনার মহিলা অফিসারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে।

    ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই প্রচ্ছদ বানায় ওই পত্রিকা

    এই প্রচ্ছদটি তৈরি করা হয়েছে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০ জন সাহসী মহিলা সেনা অফিসার (Indian Army), যাঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর গর্ব ও দেশের রক্ষাকর্তা। জানা যাচ্ছে, মেজর দীপান্বিতা কলিতা অসমের ডারং জেলার ধিকৈয়াজুলি শহরের বাসিন্দা। এটি গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনি ছোট শহর থেকে বড় হয়েছেন, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল অনেক বড়।

    দীপান্বিতা কলিতা পেশায় চিকিৎসক (Indian Army)

    পেশাগত দিক থেকে দীপান্বিতা একজন চিকিৎসক। তিনি তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি ফিলিপিন্স থেকে অর্জন করেন। পরে ভারতে ফিরে এসে চিকিৎসা পেশায় যোগ দেন এবং দিল্লির একাধিক হাসপাতালে কাজ করে বহু রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তাঁর ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স-এর ভান্ডারও সমৃদ্ধ। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া। সেই স্বপ্নপূরণেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন ভারতীয় সেনার গর্বিত সদস্য। বর্তমানে তিনি সেনার এলিট প্যারা রেজিমেন্টে আর্মি মেডিক্যাল কোর-এর অফিসার। একটি সামরিক হাসপাতালে (Dwipannita Kalita) কর্মরত আছেন এবং দেশের জন্য সর্বদা নিজের সেরাটাই দিয়ে চলেছেন তিনি। দুর্গম পর্বত হোক বা গভীর জঙ্গল অথবা রূক্ষ্ম মরুভূমি– যে কোনও প্রতিকূল ভৌগলিক পরিবেশে চিকিৎসা চালাতে দক্ষ প্যারা রেজিমেন্টের চিকিৎসকরা। এই প্রচ্ছদে দীপান্বিতা কলিতা ছাড়াও আরও যাঁরা রয়েছেন (Indian Army), তাঁদের মধ্যে আছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। এবারের পত্রিকাটির থিম রাখা হয়েছে — In the Line of Duty.

  • Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    Pahalgam Attack: পকেটে পাক ভোটার কার্ড, চকোলেট! কীভাবে পহেলগাঁওয়ে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) সময়ে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এবং সেনা যে তথ্য পেয়েছে, তা থেকে প্রমাণিত যে ওই তিন জন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্র, করাচিতে তৈরি চকোলেট এবং একটি মেমারি কার্ড মিলেছে, যাতে তাদের আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড মিলেছে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রকাশ করা রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য। শুধু তাই নয়, কবে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল তিন জঙ্গি, সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    তিন জঙ্গির কবে -কীভাবে ভারতে প্রবেশ

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ (Operation Mahadev)  নিহত হয় তিন জঙ্গি। তারা হল সুলেমান শাহ ওরফে ফয়জল জাট, আবু হামজা ওরফে আফগান এবং ইয়াসির ওরফে জিবরান। সুলেমান লস্করের এক জন এ প্লাস প্লাস কমান্ডার ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সুলেমানই পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী। হামলার অন্যতম প্রধান বন্দুকবাজও ছিল। হামজা এবং ইয়াসির এ-গ্রেড লস্কর কমান্ডার ছিল। পহেলগাঁওয়ের হামলায় হামজা দ্বিতীয় এবং ইয়াসির তৃতীয় বন্দুকবাজ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে গুরেজ সেক্টর থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল এই তিন জঙ্গি। হামলার আগের দিন বৈসরন থেকে ২ কিমি দূরত্বে একটি কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় তারা। হামলার দিন সকালে ট্রেকিং করে বৈসরনে যায় তিনজন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শেল কেসিং মিলে গিয়েছে ‘অপারেশন মহাদেবে’র পর উদ্ধার হওয়া একে-১০৩ রাইফেলের সঙ্গে। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে মিলেছে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড-ও। জঙ্গিদের পকেটে ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরবাদে তৈরি চকলেটের মোড়কও।

    তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা

    এএনআইয়ের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ভুল জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত ২৮ জুলাই পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিকেশ করা হয় ‘অপারেশন মহাদেবে’র (Operation Mahadev) মাধ্যমে। তাদের থেকে পাকিস্তানি ভোটার কার্ড, চকলেট এবং বায়োমেট্রিক ডেটাবোঝাই মাইক্রো এসডি চিপ মিলেছে। সুলেমান এবং আফগানের পকেট থেকে পাওয়া ল্যামিনেট করা ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে, তারা যথাক্রমে লাহোর এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা। জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন থেকে একটি মেমরি কার্ড মিলেছে। ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই মেমরি কার্ডে রয়েছে এনএডিআরএ-র (ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি) তথ্য। তা থেকে তিন জঙ্গির বায়োমেট্রিক তথ্যও মিলেছে। কী রয়েছে সেখানে? জঙ্গিদের আঙুলের ছাপ, মুখের অবয়ব, পরিবারের বিষয়ে তথ্য, যা থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে যে, তিন জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। দু’টি ঠিকানাও মিলেছে সেই মেমারি কার্ড থেকে। একটি ঠিকানা কাসুর জেলার চাঙ্গা মাঙ্গার, দ্বিতীয়টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের কোইয়ান গ্রামের। এছাড়াও এসডি চিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও তিন জঙ্গির পাক নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। তারা সকলেই লস্কর-এর সদস্য, তার প্রমাণও মিলেছে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। তিনজনের কেউই স্থানীয় কাশ্মিরি জঙ্গি নয়।

  • PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) হাওয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। পিওকে-তে কুইয়ান গ্রামের মানুষরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। গ্রামবাসীদের রোষের জেরে শেষমেশ সশস্ত্র দলবল নিয়ে পালাতে বাধ্য হল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদলের কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সম্প্রতি ভারতের অপারেশন মহাদেব-এ শ্রীনগরের হারওয়ানে খতম করা হয়েছে জঙ্গি হাবিব তাহিরকে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় হাবিব যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে ভারত। ওই জঙ্গির অন্ত্যেষ্টিতে হানিফ ও তার দলবল হাজির হয়। যা ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জঙ্গিদলগুলির সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের ছবি সে অঞ্চলে পরিবর্তনের হাওয়া বলে মনে করছেন অনেকে।

    কী ঘটেছিল

    পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) -এর কুইয়ান গ্রামে জঙ্গিবাদ বিরোধী নজিরবিহীন গণআন্দোলনের চিত্র সামনে এসেছে। সম্প্রতি ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত লস্কর-ই-তৈইবার প্রশিক্ষিত জঙ্গি হাবিব তাহির ওরফে ছোট্টুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। গ্রামের মানুষ প্রথমে শোক প্রকাশ করলেও, লস্কর ও যুক্ত জেকেএউএম (JKUM) জঙ্গিরা যখন অস্ত্রসহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হয়, তখন পরিস্থিতি ঘোরতর পাল্টে যায়। গ্রামবাসীরা সোজাসুজি প্রতিবাদ জানান। সূত্রের খবর, গ্রামের বাসিন্দারা স্পষ্ট জানান, তাদের সন্তানদের ব্রেনওয়াশ করে কাশ্মীরে জঙ্গি হিসেবে আর পাঠাতে নারাজ তাঁরা। এর বিরুদ্ধে তারা আর চুপ থাকবেন না। লস্করের স্থানীয় কমান্ডাররা, পাক নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকিও দেয়। সাধারণ মানুষ ও জঙ্গিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ওই জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে তাড়িয়ে দেন।

    ‘জিগরা’ জনসভার মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান

    এই ঘটনায় উৎসাহিত হয়ে পিওকে-র (PoK Anti-Terrorism Sentiment) একাধিক গ্রামে এখন ‘জিগরা’ ডাকা হচ্ছে। ‘জিগরা’ হল জনসভা। এই জনসভাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো—সন্ত্রাসে শিশু-কিশোরদের নিয়োগ, ধর্মের নামে জিহাদের অপব্যবহার এবং জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানো। এক ভিডিও-বার্তায়, ‘ছোট্টুর শিক্ষক’ লিয়াকত আলি বলেন, “ওরা আমাদের শিশুদের জঙ্গি বানায়, নিজেদের সন্তানদের পাঠায় ইংল্যান্ড-আমেরিকায়।” লিয়াকত আলি একটি ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কারা আমাদের শিশুদের কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে? ওরা ব্রেনওয়াশ করে আমাদের গরিব ছেলেদের ভারতের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সামনে ঠেলে দিচ্ছে।” তিনি জঙ্গি সংগঠনগুলোর উদ্দেশে আহ্বান জানান—“নিজেদের সন্তানদের বাঁচাও, আমাদের সন্তানদের মরতে দিও না।” তিনি আরও বলেন, “ধনী জিহাদিদের সন্তানরা ইংল্যান্ড-আমেরিকায় পড়াশোনা করছে, আর আমাদের মতো গরিবদের সন্তানদের মরতে হচ্ছে তথাকথিত জিহাদের নামে।” এই ভিডিওটি পিওকে জুড়ে ভাইরাল হয়।

    পাকিস্তানের ভেতরেই ভাঙনের সুর

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরেও বিরোধিতা চোখে পড়েছে। পিওকে-র বাঘ জেলায় এক সম্মেলনের আয়োজন করতে চেয়েছিল জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী। কিন্তু প্রশাসন জননিরাপত্তার খাতিরে তাতে অনুমতি দেয়নি। ওই সম্মেলনে অস্ত্রধারীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত থাকার কথা ছিল পিওকে-র পরিচিত মুখ নওমান শেহজাদেরও। প্রশাসনের মতে, এমন সম্মেলনের আড়ালে জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতার বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল। পিওকে-র গ্রামবাসী, শিক্ষক, এবং স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে পাকিস্তানের ‘ডিপ স্টেট’ ও সন্ত্রাস-সাপোর্টিং কাঠামোর বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, তা পাকিস্তানের জন্য গভীর সংকেত। বালোচিস্তান থেকে পিওকে—দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুরবস্থা, সেই সঙ্গে জনগণের প্রতিরোধ—পাকিস্তানের অবৈধ দখল ও জঙ্গি-সমর্থন নীতিকে টলিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি কুইয়ান গ্রামের বাসিন্দারা একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় গর্জে উঠেছেন। ওই এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে গ্রামবাসীদের এহেন পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    পরিবর্তনের ছবি স্পষ্ট

    বহু দশক ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। লস্কর-ই-তৈইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি এখানে পাকিস্তানি সামরিক এবং গোয়েন্দা সংস্থার নীরব মদতে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে একাধিক বড়সড় হামলার পিছনে এদের হাত রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক মহলের অভিযোগ। এই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের উপস্থিতিতে সেখানে ‘ভারত-বিরোধী’ সন্ত্রাসী সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রবীণ নেতারাও! কিন্তু কুইয়ানের মতো ঘটনা এই পুরনো বাস্তবতায় ধাক্কা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পিওকে-তে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক নতুন জনচেতনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

  • Kamikaze Drone: হায়দরাবাদের হস্টেলে ২০ বছরের দুই পড়ুয়ার চমক! কলকাতার ছেলের তৈরি কামিকাজে ড্রোন কিনল সেনা

    Kamikaze Drone: হায়দরাবাদের হস্টেলে ২০ বছরের দুই পড়ুয়ার চমক! কলকাতার ছেলের তৈরি কামিকাজে ড্রোন কিনল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা সিনেমায় সম্ভব নয়, তা বাস্তবে করে দেখাল কলকাতার ছেলে শৌর্য। রাজস্থানের বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হস্টেলে অসাধ্যসাধন! ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে উড়তে পারে, সাধারণ ড্রোনের তুলনায় গতিবেগ ছয় গুণ বেশি, এক কিলোগ্রাম পর্যন্ত বোমা বইতে পারে, ধরতে পারবে না রেডারও ভারতীয় সেনার জন্য এমনই আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করেছে রাজস্থানের জয়ন্ত খত্রী এবং কলকাতার শৌর্য চৌধুরী। তাঁদের তৈরি এই কামিকাজে ড্রোন (Kamikaze Drone) সকলকে চমকে দিয়েছে। জয়ন্ত ও শৌর্য-র লক্ষ্যই হল আত্মনির্ভর ভারত। বিদেশি ড্রোনের উপর ভারতীয় সেনার নির্ভরতা কমানোর জন্যই এই প্রযুক্তির প্রতি মননশীল হন তাঁরা।

    সিনেমাকে হার মানাল বাস্তব

    থ্রি-ইডিয়টস সিনেমায় জয় লোবোর ড্রোন তৈরির স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার কলেজের হস্টেলের ঘরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্নকে সফল করল হায়দরাবাদ বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (BITS) পিলানির দুই ছাত্র। হস্টেলের ঘরে বসে সামান্য কিছু সরঞ্জাম ব্যবহার করে আত্মঘাতী মানববিহীন উড়ুক্কু যান বানিয়েছেন কলকাতার ছেলে শৌর্য ও রাজস্থানের জয়ন্ত। শৌর্য ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আর জয়ন্ত পড়াশোনা করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তাঁরা দু’জনে মিলে একটি স্টার্ট-আপও খুলেছেন।

    কীভাবে সেনার নজরে

    জয়ন্ত জানিয়েছেন যে প্রাথমিকভাবে ড্রোন তৈরি করার পরে যাঁদের যাঁদের সম্ভব, তাঁদের ইমেল করেছিলেন। লিঙ্কডইনে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের প্রত্যুত্তর দেন একজন কর্নেল। হাতেকলমে ড্রোন দেখাতে তাঁদের চণ্ডীগড়ে যেতে বলা হয়। চণ্ডীগড়ে সেনা অফিসারদের সামনে দু’টি ড্রোন প্রদর্শন করেন শৌর্য ও জয়ন্ত। তার মধ্যে একটি ছিল আত্মঘাতী শ্রেণির অর্থাৎ কামিকাজে। অপরটি নজরদারির। পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মানববিহীন উড়ুক্কু যানগুলির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন ফৌজি জেনারেলরা। ওখান থেকেই বাহিনীকে নজরদারি ড্রোন সরবরাহের বরাত পেয়ে যান জয়ন্ত ও শৌর্য। বর্তমানে তাঁদের তৈরি ড্রোন জম্মু, হরিয়ানার চণ্ডীমন্দির, বাংলার পানাগড় এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় ফৌজ।

    রেডারে ধরা যাবে না

    শৌর্য জানিয়েছেন, তাঁরা যে ড্রোন তৈরি করেছেন, তা সাধারণ ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যেল’-র (ইউএভি) থেকে অনেক বেশি গতিশীল। একেবারে নিখুঁতভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল যে দুই পড়ুয়ার তৈরি করা ড্রোনের নাগালই পাবে না শত্রুপক্ষ। কারণ রেডারে ধরা যাবে না কামিকাজে ড্রোনকে। ফলে অনায়াসে শত্রুদের নাকানি-চোবানি খাইয়ে দেওয়া যাবে। হায়দরাবাদের বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রোবোটিক্সের প্রতি আগ্রহ থেকে ধীরে ধীরে শৌর্য ও জয়ন্তের মধ্যে গড়ে ওঠে নিবিড় সম্পর্ক। প্রথম থেকেই ফৌজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার একটা নেশা ছিল তাঁদের। এই উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি ক্লাব চালু করেন তাঁরা। স্টার্টআপ সূচনার নীল নকশাও তৈরি হয় সেখানে। মাস দুই আগে শুরু হওয়া স্টার্টআপ এর নাম দেওয়া হয় ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’।

    ড্রোনকে আরও ঘাতক করে তোলার পরিকল্পনা

    ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’-এ সামরিক ড্রোন নিয়ে কাজ করছেন হায়দরাবাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় বর্ষের অন্তত ছ’জন পড়ুয়া। উল্লম্ব ভাবে ওঠানামায় সক্ষম মানববিহীন উড়ুক্কু যান তৈরিতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন তাঁরা। চলছে স্থায়ী ডানাওয়ালা (Fixed Wing) ড্রোন তৈরির কাজও। কারণ, ফৌজকে শুধুমাত্র আত্মঘাতী ড্রোন সরবরাহ করে ক্ষান্ত থাকতে নারাজ জয়ন্ত এবং শৌর্য। এর পাশাপাশি কৃত্রিম মেধা বা এআই (AI) ব্যবহার করে ড্রোনকে আরও ঘাতক করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’-এর। স্টার্টআপটির সঙ্গে জড়িতেরা মাঝেমধ্যেই সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারদের ড্রোন সংক্রান্ত নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। জয়ন্ত ও শৌর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিআইটিএস পিলানির অধ্যাপক সঙ্কেত গোয়েল।

    আধুনিক যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার

    ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ফৌজি অভিযানগুলিতে ড্রোনের ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়তে শুরু করে। ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বর্তমানে যুদ্ধ বা জঙ্গি দমন অভিযানে মানববিহীন উড়ুক্কু যানের ব্যবহার ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এত দিন পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সক্ষম ড্রোন ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং তুরস্ক-সহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের নামও। চলতি বছরের মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে ভারতীয় ড্রোনের পরাক্রম প্রত্যক্ষ করে বিশ্ব। সূত্রের খবর, ওই সংঘাতে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি স্কাইস্ট্রাইকার আত্মঘাতী মানববিহীন যানটির বহুল ব্যবহার করে সেনা। পাক ভূমির একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে এগুলি আছড়ে পড়েছিল।

  • Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মহাদেব’-এর পর এবার ‘অপারেশন শিবশক্তি’ (Operation Shivshakti)। গোপন অভিযানে ফের জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ ভারতীয় সেনার। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ২ পাক অনুপ্রবেশকারীকে খতম করল ভারতীয় বাহিনী।

    মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ…

    সেনার তরফে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে পুঞ্চে জঙ্গল লাগোয়া দেঘোয়ার সেক্টর অঞ্চল দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল ওই জঙ্গিরা। বিএসএফ তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালালেও রাতের অন্ধকার ও ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে বিএসএফের হাত থেকে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে এরপর তাদের নিকেশের দায়িত্ব নেয় সেনা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন শিবশক্তি’। সেইমতো শুরু হয় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে অভিযান। রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয় গোটা এলাকায়। বুধবার ভোরের আলো ফোটার আগেই, ২ পাক অনুপ্রবেশকারীর খেল খতম করে সেনা।

    সেনা অভিযান চলছে, চলবে…

    সেনার ‘হোয়াইট নাইট’ কোরের তরফে জানানো হয়েছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সন্দেহজনক চলাচল নজরে আসে। তাদের ট্র্যাক করে বাহিনী এগিয়ে গেলেই, আচমকা জঙ্গলের ভিতর থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, এখনও ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। নিহত জঙ্গিদের আর কোনও সঙ্গী আত্মগোপন করে আছে কিনা, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ বিরাট সাফল্য

    এর আগে, সোমবার ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) মাধ্যমে উপত্যকায় বিরাট সাফল্য পায় নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের অদূরে মহাদেব পর্বতের পাদদেশে দাচিগাম জঙ্গলে সেনার বিশেষ কমান্ডো অভিযানে খতম হয় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ৩ পাক জঙ্গিই। তাদের মধ্যে ছিল ওই হামলার মূল মাথা সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা। এছাড়া খতম হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা আরও ২ জঙ্গি জিবরান ও অফগান। সেই খবর, মঙ্গলবার সংসদে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, সুলেমান ওরফে মুসা ছিল পাক সেনার প্রাক্তন কমান্ডো। বর্তমানে নিষিদ্ধ পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আফগান এবং জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি। জিবরান গত বছরের সোনামার্গ টানেলে হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল।

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

LinkedIn
Share