Tag: Indian Army

Indian Army

  • Jammu and Kashmir: দুমাসও বিয়ে হয়নি! রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাংলার সিদ্ধান্তর

    Jammu and Kashmir: দুমাসও বিয়ে হয়নি! রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেল বাংলার সিদ্ধান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ মাস আগেই বিয়ের জন্য বাড়ি এসেছিলেন সিদ্ধান্ত, তারপর নববধূকে রেখে দেশের কাজে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফেরেন ১৪ এপ্রিল। শুক্রবার জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের ছোড়া বোমার অভিঘাতে প্রাণ গেল বাংলার জওয়ান সিদ্ধান্ত ছেত্রীর। তরুণ জওয়ানের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। 

    রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলের গুহায় জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর আসে সেনার কাছে, সেই মতো শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। প্যারা এসএফ এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ টিম নামে এই তল্লাশিতে। শুরু হয় সেনা-জঙ্গি প্রবল গুলির লড়াই। এমন সময়ই জঙ্গিদের ছোড়া বোমার অভিঘাতে মৃত্যু হয় ২ জওয়ানের। গুরুতর আহত ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় উধমপুরের সেনা হাসপাতালে, সেখানেই শহিদ হন দার্জিলিঙের বিজনবাড়ির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত।

    সিদ্ধান্ত ছাড়াও এই জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন আরও ৪ জন তাঁরা হলেন, আখনুরের হাবিলদার নীলম সিং, পালামপুরের নায়েক অরবিন্দ কুমার, উত্তরাখণ্ডের গাইরসাইন থেকে ল্যান্স নায়েক রুচিন সিং রাওয়াত এবং হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর থেকে প্যারাট্রুপার প্রমোদ নেগি। জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্যারা রেজিমেন্টে যোগ দিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত। ২০২১ সালে প্যারা এসএফ-এ (স্পেশাল ফোর্সেস) নিযুক্ত হন ২৫ বছরের ওই যুবক। এদিন সিদ্ধান্তর মৃত্যুর খবর ভেসে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা বিজনবাড়ি এলাকাতে। সিদ্ধান্তের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার শোক প্রকাশ

    রাজৌরিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের উদ্দেশে শোক প্রকাশ করলেন কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি বলেন, “আমি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি নিহত সেনা জওয়ানদের পরিবারবর্গকে। আমরা নিশ্চয় সীমান্তের ওপারের মদতে চলা সন্ত্রাসকে শেষ করতে পারব।”  তিনি আরও জানান, উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন এবং গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: পূর্ব সিকিমে তুষারপাতে আটকে ছিলেন ৪০০ পর্যটক, উদ্ধার করে গ্যাংটকে পাঠাল সেনা

    Indian Army: পূর্ব সিকিমে তুষারপাতে আটকে ছিলেন ৪০০ পর্যটক, উদ্ধার করে গ্যাংটকে পাঠাল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল তুষারপাতে সিকিমে আটকে পড়েছিলেন প্রায় চারশো পর্যটক। ভারতীয় সেনার (Indian Army) ‘অপারেশন হিমরাহত’-এর দৌলতে নিরাপদে প্রত্যেকেই ফিরলেন গ্যাংটকে। পূর্ব সিকিমের চিন সীমান্তে পাহারারত ভারতীয় সেনা (Indian Army) খবর পায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন তুষারপাতের কারণে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ‘অপারেশন হিমরাহত’ গঠন করে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজে কয়েকশো সেনাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

    সিকিমের কোথায় আটকে ছিলেন পর্যটকরা

    সেনা জওয়ানদের টানা ২৪ ঘণ্টার অক্লান্ত চেষ্টার ফলে রবিবার বিকেলে গ্যাংটকে নিরাপদে ফিরেছেন পর্যটকেরা। তাঁদের মধ্যে ১৭৮ জন পুরুষ, ১৪২ জন মহিলা এবং ৫০টি শিশু রয়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শনিবার বিকেলে পূর্ব সিকিমের নাথু লা, ছাঙ্গু, জুলুক সমেত বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল তুষারপাত হয়। তার জেরে আটকে পড়েন পর্যটকেরা। শনিবার দিনভর ঘুরে এঁদের কেউ তখন নাথু লা, কেউ বাবা মন্দির, কেউ আবার ছাঙ্গু থেকে গ্যাংটক ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। কিন্তু তুষারপাত শুরু হয়ে যাওয়ায় গাড়ির চালকেরা রাজি হননি। কারণ তুষারপাতের সময়ে পাহাড়ি রাস্তায় যানবাহন চালানো কার্যত অসম্ভব। চাকার তলায় বরফ ঢুকে গেলে গাড়ি পিছলে খাদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সেনা ছাউনিতে পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করে জওয়ানরা

    গাড়ির চালকরা রাজি না হওয়ায় পর্যটকদের পক্ষে গ্যাংটকে ফেরা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকে, প্রবল ঠান্ডার মধ্যে রাত্রিবাসের অনিশ্চয়তা সংকট আরও বাড়ায়। রাতে তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে ভেবে সকলেই তখন উদ্বেগের প্রহর গুণছেন। সিকিম রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই খবর পৌঁছয় ভারতীয় সেনার (Indian Army) কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। আটকে পড়া গাড়ি থেকে নামিয়ে আনা হয় পর্যটকদের। এর পর সেনা ছাউনিতে আশ্রয় দেওয়া হয় তাঁদের। প্রত্যেকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। রাতের খাবারও দেওয়া হয় উদ্ধার হওয়া প্রত্যেক পর্যটককে। এর পর মেলে রাত পার করার মতো নিশ্চিত আশ্রয়। তুষারপাতের মধ্যে তা তখন রীতিমতো জীবনদায়ী। পর্যটকদের উদ্ধার করার পরই সেনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাকেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন জওয়ানরা। রবিবার ভোরের মধ্যেই ছাঙ্গু থেকে গ্যাংটকে ফেরার রাস্তা পরিষ্কার করে দেন সেনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার কর্মীরা। অবশেষে সকলেই নিরাপদে ফিরে আসেন গ্যাংটকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Indian Army: কোমর অবধি পুরু বরফ ঠেলে এগিয়ে চলেছেন ভারতের জওয়ান, কুর্নিশ নেট পাড়ার

    Indian Army: কোমর অবধি পুরু বরফ ঠেলে এগিয়ে চলেছেন ভারতের জওয়ান, কুর্নিশ নেট পাড়ার

    মাধ্যম নিজউ ডেস্ক: দেশের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করেন তারা। বৈদেশিক শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ হোক অথবা দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব, সবটাই রয়েছে ভারতীয় সেনার (Indian Army) কাঁধে। মাতৃভূমির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় সেনা সদা নিয়োজিত। বর্ডার সিনেমার বিখ্যাত গান ‘সন্দেশা আতে হ্যায়…..’ আজও সমান জনপ্রিয় সারা ভারতব্যাপী। এই সিনেমায় সেনাদের জীবন ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে কোনও অংশে কম কঠিন নয় ভারতীয় সেনাদের (Indian Army)  জীবন। লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে গাওয়া ‘অ্যায় মেরে বতন কে লোগো কো…’ এই গান শুনে আবেগপ্রবণ হননা, এমন ভারতীয় খুব কমই আছেন। এই গানেও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয় দেশের সেনার কঠিন, বিপদসঙ্কুল জীবন এবং তাঁদের কর্তব্যবোধের প্রতি। যেকোনও চরম আবহাওয়াতেই তাঁরা কীভাবে কাজ করেন সেরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ওই সেনা জওয়ান (Indian Army)  কোমর অবধি কঠিন বরফের আবরণকে হাত দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে এগিয়ে চলেছেন।

    মেজর জেনারেল রাজু চৌহানের ট্যুইট করা ভিডিও

    ভিডিও ক্লিপটি ট্যুইট করেছেন মেজর জেনারেল রাজু চৌহান। ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে যে এত কষ্টের মাঝেও ওই সেনা জওয়ান (Indian Army)  হাসিমুখে বরফ সরাচ্ছেন এবং এগিয়ে চলেছেন। মাঝখানে তাঁর রাইফেলটা অন্য এক জওয়ানকে তিনি দিলেন এবং হাত দিয়ে বরফ কেটে কেটে এগোতে থাকলেন। মেজর জেনারেল রাজু চৌহান ক্যাপশনে লিখেছেন, “দেশের এই তরুণ জওয়ানের (Indian Army)  মুখের হাসিটা একবার লক্ষ্য করুন আপনারা।”

    এখনও অব্দি এই ভাইরাল ভিডিওটি ১ লক্ষ ৯১ হাজারের উপর ভিউ হয়েছে যেখানে ৮৪৫৫ টি লাইক এবং অসংখ্য নেটিজনদের কমেন্ট দেখা যাচ্ছে। একজন কমেন্ট করেছেন, “কী কঠিন জীবন আমাদের হিরোদের কিন্তু তারপরেও তাঁরা নিজেদের মুখে হাসি রেখে এগিয়ে চলেছেন। এনাদের লক্ষ লক্ষ স্যালুট জানাই।” অপর একজন কমেন্ট করছেন, “কীভাবে কোনও রকম গ্লাভস ছাড়াই বরফ সরাচ্ছেন। এনারাই আসল সুপারম্যান।” অন্য একজন কমেন্ট করেছেন, “এই পরিস্থিতিতেও মুখে হাসি! এটা তাঁর মনের সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, দেশ শান্তিতে ঘুমাতে পারে শুধুমাত্র এই জওয়ানদের (Indian Army)  জন্য।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    Indian Army: সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করবে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার পুঞ্ছে সেনার এক অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন নর্দান কম্যান্ডের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পেলেই তা কার্যকর করা হবে।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, পাকিস্তান পিছনে ছুরি মেরেছে। জোর করে কাশ্মীর দখল করেছে। আর সেখানকার বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছে। ভারত প্রয়োজন বোধ করলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করতে দ্বিধা করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করাই ভারতের লক্ষ্য। ১৯৯৪ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদেও সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। জম্মু-কাশ্মীরে মঙ্গলবার রুটিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।” একই সঙ্গে  তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান অস্ত্র-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেন কোনওভাবেই ভারতকে দুর্বল না ভাবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা রীতিমতো সমস্যায় রয়েছে, বলে জানান জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৫ বছর। সেনাবাহিনীতে তাদের নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকিস্তান পাঠালে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    সক্রিয় জঙ্গিরা

    জম্মু-কাশ্মীরে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করেন লেফট্যানেন্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি লঞ্চ প্যাড রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সুযোগ পেলেই জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করে হামলা চালাতে পারে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, সব দিক বিবেচনা করে সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহলদারি ও তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    Kedarnath: এবারেও সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো এবারেও দীপাবলীতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে উৎসবে মাতবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গত আট বছর ধরে দীপাবলী কাটিয়ে আসছেন।তার আগে পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ (Kedarnath) ও বদ্রীনাথ  (Badrinath) তীর্থ দর্শনে।কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর কেদারনাথ (Kedarnath)  ও বদ্রীনাথ যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে সরকারি সূত্রে কিছুই না জানানোয় প্রধানমন্ত্রী উওরাখন্ড সফর ঘিরে ধোঁয়াশা ছিল। 

    এবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অক্টোবর কেদারনাথে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির পরিদর্শনের পর তিনি ওই একই দিনে বদ্রীনাথে যাবেন।কেদারনাথে  পুজো দেবেন তিনি। এছাড়াও কেদারনাথ প্রকল্পের (Kedarnath Project) কাজ পরিদর্শন করবেন। সেদিনই যাবেন বদ্রীনাথ মন্দির (Badrinath Temple) দর্শনে। বদ্রীনাথ মাস্টার প্ল্যানের (Badrinath Master Plan) কাজ ঘুরে দেখবেন। তবে ২৪ অক্টোবর প্রতিবারের মতো দিওয়ালি উৎসব উপভোগ করবেন ভারতীয় সেনার সঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

    সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী কাটাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttrakhand) সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম মান্নাতে (Manna) যাবেন মোদি। সেখানকার  গ্রামবাসীদের সঙ্গেও সময় কাটাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর  মোদী ২০১৪ সালে সিয়াচেন সফর দিয়ে দীপাবলিতে  সেনাদের সঙ্গে সময় কাটানো শুরু করেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় দুবার সেনাদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করেছিলেন ২০১৯ এবং ২০২১ সালে। সংবাদ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে,কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দির আরতি-দর্শনের পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যও সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে গুজরা্টের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিজ রাজ্য গুজরাটে আজ ও কাল অর্থাৎ ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর থাকবেন ।সেখানে ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। আজ, ১৯ তারিখে তিনি গুজরাটের গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে ডেফএক্সপো ২০২২-র উদ্বোধন করবেন। এরপর মিশন স্কুলস অব এক্সিলেন্সের উদ্বোধনও করবেন তিনি। জুনাগড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজকোটেও একাধিক প্রকল্পের সূচনা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। ২০ তারিখে তিনি গুজরাট থেকেই সূচনা করবেন মিশন লাইফের। এরপর কেভাদিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগদান ও ভ্যারায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, উৎসবের মরসুমে বড়োসড়ো নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজধানী দিল্লী। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) মঙ্গলবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লী এই পাঁচটি রাজ্যের ৫০ টির বেশী স্থানে অভিযান চালিয়ে একজন আইনজীবী সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এনআইএ জানিয়েছে, অভিযানের সময় দিল্লির বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আসিফ খান এবং হরিয়ানার রাজেশ ওরফে ‘রাজু মোতা’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আসিফ খানের বাড়ি থেকে  গোলাবারুদ সহ চারটি অস্ত্র এবং কয়েকটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • BSF: গত ৯ মাসে পাকিস্তানের ১৯১টি ড্রোন দেখা গিয়েছে ভারতীয় সীমান্তে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চাঞ্চল্যকর তথ্য বিএসএফের

    BSF: গত ৯ মাসে পাকিস্তানের ১৯১টি ড্রোন দেখা গিয়েছে ভারতীয় সীমান্তে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চাঞ্চল্যকর তথ্য বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে (LOC) শুধু জঙ্গি অনুপ্রবেশ নয়, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের (pakistan drone )মাধ্যমে। গত ৯ মাসে পাকিস্তানের প্রায় ১৯১টি ড্রোন নজরে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তার মধ্যে সাতটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Govt) এই বিষয়ে অবগত করেছে সেনাবাহিনী (Indian Army)। কারণ, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ১৯১টি পাক ড্রোনের মধ্যে ১৭১টি ভারতীয় সীমানা অতিক্রম করেছিল বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে সেনাবাহিনী। যার মধ্যে অধিকাংশ পাঞ্জাবের সীমান্ত এলাকার ঘটনা। আর জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে দেখা গিয়েছে ২০টি পাকিস্তানি ড্রোন।

    সীমান্তে নজরদাবি চালানোর জন্য ইউএভি (Unnamed Aerial Vehicle) বসানো হয়েছে। তার মাধ্যেমেই চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের একাধিক ড্রোনের ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রমের তথ্য ধরা পড়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবের অমৃতসর, ফিরোজপুর এবং অবোহার অঞ্চলে এই ঘটনা বেশি করে লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর, গত ১৮ জানুয়ারি অমৃতসরের হাভেলিয়ান সীমান্তের আউট পোস্টের সামনে একটি পাক ড্রোন নজরে পড়ে বিএসএফের (BSF)। সঙ্গে সঙ্গে তা গুলি করে নামানো হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৭ ও ৯ মার্চ ফিরোজপুরের টিজে সিং ও অমৃতসরের হাভেলিয়ান আউট পোস্টেও দু’টি ড্রোন নামাতে সক্ষম হয় বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    পুরো বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নজের আনা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি শ্রীনগর সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে বিএসএফের পক্ষ থেকে যাবতীয় নথি ও প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ড্রোন অস্ত্র বহনে যেমন সক্ষম, তেমনি বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের আশঙ্কা, ড্রোনের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তে আফগানিস্তানের হেরোইনের সাপ্লাই করা হচ্ছে। একই আশঙ্কা করছে বিএসএফও। কারণ, পাঞ্জাবের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতেই বেশি করে পাকিস্তানের ড্রোন চোখে পড়েছে। এর পিছনে হাত রয়েছে আইএসআইয়ের। পাকিস্তানের এই কার্যকলাপ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি পাঞ্জাব সীমান্তে আরও বেশি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • International Women’s Day: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    International Women’s Day: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী, মহীয়সী, শক্তির আধার। ভারতীয় সমাজে নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার অনুভূতি রয়েছে। নারী দিবসের প্রাক্কালে (International Women’s Day) দেশে সব স্তরে নারী শক্তির জয়গান গাওয়া হচ্ছে। পিছিয়ে নেই দেশের বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। বিআরও-এর (BRO) গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন মহিলারা। প্রায় দুই দশক আগে, কয়েকজন মহিলা কর্মকর্তা বিআরওতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ঝুঁকির কথা ভেবে তাঁদের কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হত। এখন সেই ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্রে মোদি সরকার নারীশক্তিকে সমান অধিকার দিতে প্রস্তুত।

    নারীর শক্তিকে গুরুত্ব (International Women’s Day)

    সংস্কৃতে এক শ্লোকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘যেখানে একজন মহিলাকে সম্মান করা হয়, সেখানে সৎকর্ম, বিশেষ গুণাবলী, শান্তি এবং সম্প্রীতির সাথে ঈশ্বরের বাসস্থান হয়ে ওঠে। যদি তা করা না হয় তাহলে সমস্ত কাজকর্ম নিষ্ফল হয়ে যায়।’ সেই কথাকে মাথায় রেখেই এগিয়ে চলেছে বিজেপি সরকার। নারীর ক্ষমতায়নের (International Women’s Day) দিকে বিআরও-এর (Border Roads Organization) বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থানের বিভিন্ন ভূমিকা, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, সঠিক স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস, অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ, খেলাধুলা এবং সামগ্রিকভাবে বিকাশের জন্য উৎসাহ দান, কারণ তারা জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। নারীর ক্ষমতায়ন, সত্যিকার অর্থে, একটি দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তনকে সূচিত করে। 

    লিঙ্গভেদ দূরীকরণের নজর

    ২০২১ সালের ৮ মার্চ থেকেই বিআরও-তে নারী পুরুষের (International Women’s Day)  সমান পদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়। জাতি গঠনের প্রচেষ্টায় মহিলারা সব সময়ই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই এই সংস্থাটি মহিলাদের উচ্চতর নেতৃত্বের দায়িত্ব প্রদান করেছে। প্রথম মহিলা হিসেবে জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্স (জি আর ই এফ) আধিকারিক ইই (সিভিল) শ্রীমতি বৈশালী এস হাইওয়াসে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল রাস্তা তৈরির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। যা মুন্সিয়ারি- বুকদিয়ার- মিলাম সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-চিন সড়ক পথে পড়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ওই মহিলা আধিকারিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। এই মাইলফলক অনুসরণ করে, ইই (সিভি) ওবিন টাকিকেও অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং উপত্যকার দুর্গম ভূখণ্ডে রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    মেজর আয়নার নজির

    বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (Border Roads Organization) ২০২১-এর ৩০ অগাস্ট আরও একটি ইতিহাস সৃষ্টি করে। উত্তরাখণ্ডের চামুলি জেলার পিপল কোটিতে শিবালিক প্রকল্পের দায়িত্বভার দেওয়া হয় মেজর আয়নার ওপর। এই ধরনের ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম মহিলা হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেন। উল্লেখ্য, তার অধীনে থাকা তিন প্লাটুন কমান্ডারই ছিলেন মহিলা অফিসার। মেজর রানা ১৮,৪৭৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ পাস মানা পাস পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে ল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছিল। তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা সেনা ইঞ্জিনিয়ার যিনি একটি রাস্তা নির্মাণ সংস্থাকে কমান্ড করেছেন। মহিলাদের নেতৃত্বে এরকম চারটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা হয়েছে যার দুটি উত্তর-পূর্ব এবং দুটি পশ্চিমাঞ্চলে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনেরও

    বিভিন্ন পদে মেয়েরা

    কর্নেল নবনীত দুগ্গাল, কাশ্মীর উপত্যকায় একটি ফিল্ড ওয়ার্কশপের অফিসার কমান্ডিং (OC) হিসাবে কাজ করছেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বর্তমানে কর্নেল) স্নিগ্ধা শর্মা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) এর সদর দফতরে লিগ্যাল সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্নেল অর্চনা সুদকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরুণাচল প্রদেশের জিরোতে একটি টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। এভাবেকে ই বিআরও-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন নেতৃত্বে রয়েছেন বহু মহিলা অফিসার। যা দেশে নারীশক্তিকে ক্রমশ জাগ্রত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Snowfall: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    Sikkim Snowfall: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষারপাতে বিধ্বস্ত সিকিম (Sikkim Snowfall)। পূর্ব সিকিমের নাথুলায় হঠাতই প্রবল তুষারপাতের জেরে প্রায় ১৭৫টি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন কলকাতা-সহ অন্যান্য স্থানের শতাধিক পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর

    সেনা সূত্রে খবর, বুধবার আচমকাই উত্তর সিকিমের নাথুলা অঞ্চল-সহ বেশ কিছু এলাকায় ভারী তুষারপাত ঘটে। যার ফলে উত্তর সিকিমের সেই সব জায়গায় বেড়াতে আসা কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য অংশের বহু পর্যটক তুষারপাতের কবলে পরে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিরক্ষা দফতরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করতে, প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোরের জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। নিরাপদে পর্যটকদের বার করে আনতে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র, গরম খাবার এবং নিরাপদ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আটকে পড়া যানগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে আটক পর্যটকদেরও।

    সেনার সহমর্মিতায় আপ্লুত পর্যটকরা

    সকাল থেকে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও বিকেল থেকে পূর্ব সিকিমের নাথুলাতে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়। অবিরাম তুষারপাতের ফলে কমে আসে দৃশ্যমানতা। বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। আটকে পড়েন পর্যটকরা। শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় উদ্ধারে নামে সেনা। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁদের ছাউনিতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়৷ তুষারপাত থেকে বাঁচতে পর্যটকদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়। সেনা জওয়ানদের এহেন ভূমিকায় আপ্লুত পর্যটকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন পাল্টে যাচ্ছে যুদ্ধের ধরন ও গতিপ্রকৃতি, ঠিক তেমন ভাবেই পাল্টাতে থাকছে সামরাস্ত্রও। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ নিজ অস্ত্র থেকে শুরু করে সামরিক যান ও যন্ত্রপাতিকে আধুনিক যুদ্ধের যুগোপযোগী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি দেশ। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। আর সেই দিশায় এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সূত্রের খবর, বুড়ো হয়ে যাওয়া রুশ-নির্মিত ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ট্যাঙ্ক (FRCV) কেনার দিকে হাত বাড়াল ভারত।

    ঠিক কী জানা যাচ্ছে?

    দীর্ঘদিন ধরেই স্থলসেনার মেকানাইজড ও আর্মার্ড ডিভিশনকে অত্যাধুনিক সামরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর সেই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে মান্ধাতার আমলের ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিসম্পন্ন একেবারে সর্বাধুনিক ‘ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিক্যল’ বা সংক্ষেপে ‘এফআরসিভি’-কে (FRCV) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই বিশেষ যুদ্ধট্যাঙ্কটি দেশীয় প্রযুক্তির, এবং এর উৎপাদনও দেশেই হবে।

    ১৭৭০টি এফআরসিভি তৈরি হবে

    সূত্রের খবর, মোট ১৭৭০টি এমন এফআরসিভি তৈরি হবে। প্রতিটি এফআরসিভি প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই উন্নত হবে। এতে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে, যা আধুনিক রণকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জানা গিয়েছে, এতে থাকবে— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটার, ড্রোন ইন্টিগ্রেশন, অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম এবং আরও উন্নত পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষমতা। জানা গিয়েছে, এই এফআরসিভি-র (FRCV) অন্তর্ভুক্তি তিনটি পর্যায়ে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে নতুন সংস্করণ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি সংস্করণ তার পূর্বসূরির তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে অধিক উন্নত এবং বেশি শক্তিশালী হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বরাদ্দ ৫৭ হাজার কোটি টাকা

    সূত্রের খবর, এই ১৭৭০টি এফআরসিভি অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রকল্পে খরচ হবে আনুমানিক ৫৭ হাজার কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে, এই এফআরসিভিগুলিতে চালক থাকবেন। তবে, একইসঙ্গে ভবিষ্যতের কথা ভেবে চালকবিহীন ভার্সানের সংস্থানও রাখা হচ্ছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে প্রযুক্তি ও যোগাযোগ-নির্ভর। ফলে, এফআরসিভি-তে (FRCV) এই দুটি বিষয়ের ওপর ভীষণ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সামরিক যানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে।

    আরও শক্তিশালী হচ্ছে অর্জুন

    তবে, যতদিন না এফআরসিভির (FRCV) অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন বর্তমানে ব্যবহৃত ট্যাঙ্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এই মর্মে, ১১৮টি দেশীয় ‘অর্জুন মার্ক-১এ’ ট্যাঙ্কগুলির অস্ত্রসম্ভার থেকে শুরু করে তার সুরক্ষা, সহনশীলতা এবং ক্ষিপ্রতা আরও বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি, প্রোজেক্ট জোরাবর-এর অন্তর্গত নির্মিত ৩৫৪টি দেশীয় হাল্কা ট্যাঙ্ককে চিন-সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে ব্যবহৃত টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিতে আরও শক্তিশালী ১০০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্ত (Indo-Pak Border) দিয়ে চোরাচালান-গতিবিধির ওপর নজরদারির ক্ষেত্রে এবার থেকে আরও সজাগ হতে চলেছে সেনার দৃষ্টি। পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে দেশীয় ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোন (Drishti-10) বা চালকবিহীন সশস্ত্র বিমান।

    নজরদারির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনও সক্ষম

    সেনা সূত্রে খবর, পাঞ্জাব সেক্টরের ফরোয়ার্ড বেসগুলিতে এই বিশেষ ড্রোন মোতায়েন করা হচ্ছে। ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ ধরে উড়তে সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10)। একটানা ৩৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমান। সীমান্তে (Indo-Pak Border) নজরদারির পাশাপাশি অস্ত্রবহনেও সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’। এর জন্য বিমানের পেটে তিনটি হার্ড-পয়েন্ট (ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জায়গা) রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এই ড্রোনগুলি সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই বিশেষ ড্রোন বানিয়েছে আদানি ডিফেন্স সংস্থা। সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে, ২টি ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোনের বরাত দিয়েছে সেনা। শর্ত এটাই যে, উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ৬০ শতাংশ দেশীয় হতে হবে। 

    পাঞ্জাব ও মরু সীমান্তের নিরাপত্তায় জোর

    সেনা সূত্রের খবর, পঞ্জাব সীমান্তের (Indo-Pak Border) পাশাপাশি, মরু অঞ্চলেও নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হবে এই ড্রোন। বর্তমানে, এই অঞ্চলের নজরদারিতে ‘হেরন মার্ক ওয়ান’ ও ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এবাপ তার পাশাপাশি ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10) বা ‘হারমিস-৯০০’ ড্রোনের বরাত দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ড্রোন ভারতেই উৎপাদন করবে আদানি ডিফেন্স। এর জন্য ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। সংস্থার দাবি, ড্রোনের ৭০ শতাংশই দেশি হবে। পরবর্তীকালে, সেই অনুপাত আরও বাড়ানো হবে। 

    ‘দৃষ্টি-১০’-এর (Drishti-10) পাশাপাশি ইজরায়েল থেকে আরও বেশ কয়েকটি স্যাট-কম যোগাযোগে সমৃদ্ধ ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারতীয় নৌসেনা। গত সপ্তাহে সেগুলি প্রকাশ্যে আনেন ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং আর্মি এভিয়েশনের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় সুরী। জানা যাচ্ছে, সেগুলিকে পৌরবন্দরে মোতায়েন করা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share