Tag: Indian Army

Indian Army

  • Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    সুশান্ত দাস

     

    আশঙ্কা ছিল। এবার তৈরি হল ধোঁয়াশা। প্রতি বছর ’৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন উদযাপন করতে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2024) পালন করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বিশেষ করে এই দিনটির উদযাপনে বাড়তি উদ্দীপনা দেখা যায় কলকাতাস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডে (Army Eastern Command)। কারণ, এই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (1971 Victory Day) ইস্টার্ন কমান্ডের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সামনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। 

    ভারতীয় সেনার পাক-জয়ের বর্ষপূর্তি

    ভারতীয় সেনার পাক-জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের স্মরণে প্রতি বছর নিয়ম করে এই দিবস (Vijay Diwas 2024) পালিত হয়ে আসছে। আর এই উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) দল, বাংলাদেশ সেনার পদস্থ কর্তারা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজন উপস্থিত হন কলকাতায়। এমনকী, উপস্থিত থাকেন সেদেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। 

    ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে’’

    কিন্তু, এ বছর ছন্দপতন। কারণ, আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার আয়োজিত বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধিদল হয়ত আসছে না। হয়ত, এই শব্দ ব্যবহার করতে হল কারণ, শুক্রবার সেনার তরফে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি এ বিষয়ে। এদিন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তা মেজর জেনারেল অফ জেনারেল স্টাফ (এমজিজিএস) মোহিত শেঠকে আসন্ন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ছোট্ট উত্তরে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’’ ফলত, সেনার এই কথায় ধোঁয়াশা জিইয়ে থাকল।

    বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল আসবে কি?

    তবে, সেনার অন্য সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনী বা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ফোর্ট উইলিয়ামের এক সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), বিদেশ মন্ত্রক বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। কোনও বার্তা আসেনি বাংলাদেশের তরফেও। ফলে, বিষয়টা কার্যত পরিষ্কার যে— ভারতীয় সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ। 

    উপস্থিত না থাকার কারণ?

    উপস্থিত না থাকার কারণ? সেটা আরও পরিষ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের কোনও সেনাকর্তা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। কারণটা অবশ্যই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। যার শুরুটা হয়েছিল শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। পরবর্তীকালে, যা আরও জটিল আকার ধারণ করে যখন প্রতিবেশি রাষ্ট্রে নির্বিচারে হিন্দু-নিধন ও নিপীড়ন শুরু করে দেয় কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদীরা। হামলা চলেছে মন্দিরে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহ। লোপাট হচ্ছে গয়না। ভূলুণ্ঠিত হিন্দু মা-বোনেদের আব্রু। যত্রতত্র লুটপাট করা হয়েছে হিন্দুদের সম্পত্তি। নির্বিচারে হত্যালীলা চলেছে। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা ঠুকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তিনি সেদেশে অত্যাচারিত ও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুদেরকে লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছিলেন। অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দুদেরকে আহ্বান করেছিলেন চিন্ময়। ভারতের তরফে তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়। 

    বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি

    শুধু সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালাচ্ছে তাই নয়। পদ্মাপাড়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের ঘটনাতেও অসন্তুষ্ট দিল্লি। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভারতীয় পতাকা সকলে পায়ে মাড়িয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটছে। আবার, আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। বাসে ভারতীয় যাত্রীদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রভাব গিয়ে পড়ে আগরতলায়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে উত্তেজিত জনতা (Vijay Diwas 2024)। কয়েকজন ভিতরেও ঢুকে পড়ে। ভারত কিন্তু, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, বাসে হামলার ঘটনায় কোনও দুঃখপ্রকাশ করেনি বর্তমানে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। এখানে এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছে পাকিস্তান। যাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরে যুদ্ধ (1971 Bangladesh Liberation War) করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেদেশের মানুষ। বাংলাদেশের বন্দরে এখন আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। ৫৩ বছরে এই প্রথম। কারণ, এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নয়। বর্তমানে তারা পুরোটাই চালিত হচ্ছে মৌলবাদী জামাত ও কট্টরপন্থী বিএনপির নির্দেশমতো।

    ভুল বার্তা এড়াতেই কি?

    এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে থাকে, তাহলে তা আদ্যান্ত যথার্থ। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের মধ্যে, বিশেষ করে বঙ্গবাসীদের ও বাংলাভাষীদের মধ্যে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক ভাবধারা জন্মেছে। অধিকাংশের মনে রাগ, ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সেনার অনুষ্ঠানে (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশের উপস্থিত হলে হয়ত একটা ভুল বার্তা যেত জনমানসে। দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিলক্ষণ জানেন ও বোঝেন যে, দেশবাসীর ভাবাবেগে অবশ্যই আঘাত লাগবে। ফলে, অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাঁরা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে, তা সমর্থনযোগ্য। 

    দুদেশের কূটনৈতিক যুদ্ধ

    সেনার এক প্রাক্তন কর্তা দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas) বর্তমান বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা কেউ আসতে চাইছেন না। বা আসা সম্ভব নয়। এটা আংশিক সত্য হলেও, পুরোটা নয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতস্তরে আমন্ত্রণ পাঠানো হয় না। যা করা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে। ফলত, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক কার্যত রসাতলে, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছে, তাদের এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। যে দেশে ভারতীয় পতাকার অসম্মান হয়, বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) উদযাপনে সেই দেশের প্রতিনিধিদলকে এদেশে ডেকে এনে অতিথি আপ্যায়ন করার কোনও প্রয়োজন আছে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংসারে চলে এল নয়া সদস্য ‘নাগাস্ত্র-১’। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আত্মঘাতী ড্রোন ভারতের শত্রুদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ‘ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা এই ড্রোন তৈরি করেছে। নাগাস্ত্র হল এক ধরনের ‘লয়টারিং মিউনিশন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’। এই সংস্থাকে ৪৮০টি নাগাস্ত্র তৈরির বরাত দিয়েছিল সেনা। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২০টি ড্রোন আগেই পেয়েছিল সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাকি ড্রোনগুলোও সরবরাহ করেছে ওই সংস্থা। এখন তারা আরও উন্নত ‘নাগাস্ত্র-২’ ও ‘নাগাস্ত্র-৩’  আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির কাজ করছে।

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনের ক্ষমতা

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনটি নির্দিষ্ট এলাকায় সকলের নজরের আড়ালে অনেক ক্ষণ ধরে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে পারে। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ‘লক’ করছে তত ক্ষণ পর্যন্ত হামলা চালাবে না। লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে ঘোরাফেরা করবে। সেনা সূত্রে খবর, এক একটি নাগাস্ত্রের ওজন আনুমানিক ৯ কেজি। দু’মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু স্থির করে হামলা চালাতে পারে ড্রোনগুলি। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এগুলি। এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে ‘নাগাস্ত্র-১’। দু’কেজির মতো বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা ধরে এক একটি ড্রোন। প্রতিটি ড্রোনে উচ্চমানের জিপিএস ব্যবহার করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    দেশীয় ড্রোন শিল্পে জোর

    প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, লক্ষ্যবস্তু স্থির করার পর প্রায় নির্ভুল হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে নাগাস্ত্র। এই ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে নাগাস্ত্র ছাড়াও, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মিডিয়াম অ্যালটিচুড লং এন্ডুরেন্স (MALE) শ্রেণির ড্রোন ডিজাইন ও উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগ দেশীয় ড্রোন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য় করবে। কম খরচে  উন্নত ক্ষমতার ড্রোন চলে আসবে সেনাবাহিনীর হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে জঙ্গি হানা খাস কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial)! আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ সবাই হাজির। খবর রটল, জঙ্গিরা নাকি এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে অপহরণ করে বন্দি করে ফেলেছে। তাঁকে উদ্ধারেই এসেছে সেনা বাহিনী। সকাল ৯টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলেছেন জওয়ানরা (Indian Army)। জঙ্গি হানার এমন খবর শুনে অনেকেই এলাকা ছেড়ে দৌড়লেন। কয়েকজন অবশ্য থেকে গেলেন, দূর থেকে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয়ের ‘লাইভ’ দেখবেন বলে! বুকে হেঁটে অতি সন্তর্পণে মাটি কামড়ে সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে তখন পজিশনে রয়েছে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর এল এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে ৮ জঙ্গি! কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হল অপারেশন।

    কী বলছেন সেনা কর্তা (Indian Army)?

    সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা, টানা আধ ঘণ্টা ধরে চলল এই অপারেশন। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। আগেই অবশ্য ৬ জন জঙ্গিকে পাকড়াও করেন জওয়ানরা। পরে বাকি দু’জনকে আটক করার পরে অপারেশন শেষ হয়। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে। কিন্তু সেনা প্রহরায় থাকা ভিক্টোরিয়ার কীভাবে ঢুকে পড়ল জঙ্গি? এনিয়ে সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রী বলেন, ‘‘এটা আসল কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা নয়। মক ড্রিল অর্থাৎ নকল অভিযান (Mock drill)। হঠাৎ করে জঙ্গি হানা ঘটলে বা জঙ্গিরা কোনও এক ‘ভিআইপি’-কে যদি জঙ্গি অপহরণ করে, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল (Victoria Memorial)।’’ তিনি আরও জানান, এই মক-ড্রিলে অংশ নেন স্থলসেনা, নৌসেনা, এনএসজি ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় গড়ে তোলাই লক্ষ্য এই মহড়ার (Mock drill)।

    মনে করাল ২৬/১১-র জঙ্গি হানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের তাজ প্যালেস হোটেলে ১৬ বছর আগে ২৬/১১-র হামলা এখনও মনে রেখেছে গোটা দেশ-বিশ্ব। তাজ হোটেলে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে তিরিশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। মরণাপন্ন লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অপহৃতদের। ভারতীয় সেনা, ভারতীর নৌসেনার মার্কোস কমান্ডো, এনএসজি কমান্ডো উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেন। জানা গেল, তারপর থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সেনার তরফ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এবার এই মহড়া (Mock drill) কলকাতায় হচ্ছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সি-ভিজিল (Sea Vigil-24)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যৌথ যুদ্ধ মহড়া শেষ হল মঙ্গলবার। ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’ নামে গত আট দিন ধরে চলা যুদ্ধাভ্যাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রস্তুতি।

    কেন এই মহড়া

    ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অরুণাচল প্রদেশে ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া চালাচ্ছে। এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য হল প্রতিকূল পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার ইতিবাচক পরিণতির পরে এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই ‘পূর্বী প্রহার’ বা ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া।

    প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা 

    সেনা সূত্রের খবর, চিন সীমান্তে এই মহড়ায় যোগ দেয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ রুদ্র। আমেরিকা থেকে আনা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজারের পাশাপাশি সোয়ার্ম ড্রোন, ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি) ড্রোন, এবং লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)-সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগে সেনার তিন শাখার জওয়ান ও অফিসারেরা পরিচিত হয়েছেন। প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা, তরুণ অফিসারদের শেখানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ মাওবাদীর। নিহত মাওবাদীদের (Maoists) কাছ থেকে ৫টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ের জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে রায়পুরে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখে বস্তারের জঙ্গলেই বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩১ মাওবাদী। গত ১ বছরে এই জঙ্গলে ১৯৭ জন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা

    গোপন সূত্র মারফত, ওই জঙ্গলে (Chhattisgarh) মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জানা যায়, এই সময়ই (সকাল ৮টা নাগাদ) গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে আরম্ভ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলির লড়াইয়েই ৫ মাওবাদী খতম হয়। অন্যদিকে, মাওবাদীদের (Maoists) ছোড়া গুলিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই জওয়ান জখম হন। তাঁদের কপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কী বলছেন বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ?

    বস্তার রেঞ্জের (Chhattisgarh) আইজিপি পি সুন্দররাজ এনিয়ে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালাচ্ছে।’’ (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কাঙ্কের ও অবুঝমাড়ের উত্তরে জঙ্গলে মাওবাদীদের (Chhattisgarh) উপস্থিতি নিয়ে তাঁরা গোপন সূত্রে তথ্য পান। তারপরই অপারেশনে নামে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ।

    টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে

    জানা গিয়েছে, টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচজন মাওবাদীর দেহ। প্রসঙ্গত, অবুঝমাড়ের ওই জঙ্গলের আয়তন গোয়ার থেকেও বড়। একসময় এই ঘন জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের দুর্গ ছিল। এর অনেকটা অংশ বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং কাঙ্কের ও মহারাষ্ট্রর মধ্যে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সেনার তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

    কী বলছেন সেনা কর্তা? (Indian Army)

    ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সমীর শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছি। এটি আমাদের দ্রুত এবং নির্ভুল ফল দিয়েছে… আমরা এক সেনা কুকুর হারিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমরা যখন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলাম, তখন কুকুরটি সামনে ছিল। জঙ্গিরা তাকেই লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তার আত্মত্যাগের কারণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে।”

    শহিদ ‘ফ্যান্টম’

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার বছরের পুরনো স্নিফার এই কুকুরটির নাম ‘ফ্যান্টম’। সেনা সূত্রে খবর, সৈন্যদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করার সময় গুলির ঘায়ে কুকুরটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। শ্রীবাস্তব (Indian Army) বলেন, “এই অভিযানের পর এমন খবর ছড়িয়েছিল যে সেনাবাহিনী বিএমপি ব্যবহার করেছে। আমরা সেই ধরনের যান ব্যবহার করেছি। কারণ এলাকাটি দুর্গম ছিল। ৩০ ডিগ্রির ঢাল ও ঘন জঙ্গলের কারণে আমরা জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করার পর ওই যান ব্যবহার করেছি।”

    আরও পড়ুন: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জঙ্গিদের সম্পর্কে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করি। জঙ্গিরা যে উদ্দেশ্যে এসেছিল, তা পূরণ না হওয়ায় ওরা আমাদের কনভয়ে গুলি চালিয়েছে।” শ্রীবাস্তব বলেন, “জঙ্গিরা যেভাবে সজ্জিত ছিল, তাতে মনে হয় তারা বড় কোনও উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিল। জঙ্গি সংগঠনগুলো পোস্ট করেছিল যে, তারা বড় কিছু করার পরিকল্পনা করছিল। তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সমস্ত সংস্থা, যার মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও রয়েছে, সবার মধ্যে সমন্বয় থাকায় সাফল্য এসেছে।” জম্মু-কাশ্মীরের আখনুরে জঙ্গিরা একটি সেনা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। দ্রুত ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। তল্লাশি শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (Jammu And Kashmir)। খতম হয় তিন জঙ্গি (Indian Army)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চলতি বছরের দীপাবলি অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে পালন করবেন। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় ৩১ অক্টোবর সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) পালন করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সীমা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। বিশেষত এখানকার কিছু এলাকাতে ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান আহত হন দু পক্ষেরই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে আরও সতর্ক হয় এবং চিনের আগ্রাসন রোধ করে। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যথেষ্ট বার্তা দেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। ৩১ অক্টোবর রাজনাথ সিং তাওয়াং সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে যাবেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। ভারতীয় বায়ুসেনার ওয়ার মেমোরিয়ালে তাঁরা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানাবেন।

    ২০২৩ সালের বিজয়া দশমীতেও হাজির ছিলেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের বিজয়া দশমীতেও রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) শস্ত্র পূজনের জন্য বেছে নেন তাওয়াং সীমানাকে। সেসময় অরুণাচলে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থির মধ্যেও দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জওয়ানরা যে ভাবে সীমান্তে প্রহরা দিচ্ছেন ও মাতৃভূমিকে সুরক্ষিত রাখছেন, তার যতই প্রশংসা করা হোক তা কম। দেশের মানুষ আপনাদের জন্য গর্বিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) আবারও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলমার্গের (Gulmarg) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে বুটাপাথরির কাছে সেনার এক গাড়িতে অতর্কিত হামলা হয়। এই ঘটনায় দুই সেনা জওয়ান-সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও চারজন আহত হয়েছেন। সেনা সূত্রে খবর, এলওসি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারাই এই ধরনের ক্রস-বর্ডার হামলা চালাতে দক্ষ। ঘাতক জঙ্গিদের নিকেশ করতে এই মুহূর্তে অভিযান জারি রেখেছে ভারতীয় সেনা।

    জঙ্গিদের খোঁজে সেনা

    সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গুলমার্গের (Gulmarg) নাগিন পোস্টের কাছে বুটাপাথরি এলাকায় সেনা গাড়িটি লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। এলাকাটি গুলমার্গ স্কি-রিসর্ট থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে এবং নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে অবস্থিত। এখানে অনুমতি ছাড়া অসামরিক ব্যক্তিদের চলাচল করতে দেওয়া হয় না। এলাকাটি জঙ্গিমুক্ত বলেই পরিচিত এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের অত্যন্ত পছন্দের। আক্রান্ত গাড়িটি ১৮ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেটি বুটাপাথরিতেই আসছিল। গাড়িটি একটি সেনা কনভয়ের অংশ ছিল। এক সন্ত্রাসবাদীও এই ঘটনায় আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, “এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং জঙ্গিরা যাতে ঘন জঙ্গলের মধ্যে পালাতে না পারে, তার জন্য ওই এলাকায় বিশাল বাহিনী পাঠানো হয়েছে।” 

    এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকায় একজন পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। প্রীতম সিং নামে উত্তর প্রদেশের ওই বাসিন্দা গুরুতর আহত হন। এর আগে কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) গান্ডেরবালে সুড়ঙ্গ নির্মাণের শ্রমিকদের খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই ফুটেজ সামনে এসেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে গান্ডেরবালের গগনগির এলাকায় দুই পাক জঙ্গি শ্রমিক শিবিরে ঢুকেছিল। তাদের হাতে ছিল একে ৪৭ ও এমকে-১ এর মতো অত্যাধুনিক মার্কিন রাইফেল। যা দেখে সস্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian army: সিকিমের চিন সীমান্তে হতে চলেছে ভারতীয় সেনার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, থাকবেন রাজনাথ

    Indian army: সিকিমের চিন সীমান্তে হতে চলেছে ভারতীয় সেনার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, থাকবেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শীত। ইতিমধ্যেই সিকিমের নানা জায়গায় বরফ পড়তে শুরু করছে। শীতের আগে উত্তর-পূর্বে চিন সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে ও নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমস্ত সিনিয়র কমান্ডাররা একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ১০ এবং ১১ অক্টোবর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রথম সিকিমে চিন সীমান্তে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। 

    বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা

    বিগত বেশ কয়েক বছর ভারত ও চিনের মধ্যকার সম্পর্কে চিড় ধরেছে। লাদাখ থেকে অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই আবহে সিকিম সীমান্তে বৈঠকে বসছেন ভারতীয় সেনার উচ্চ পর্যায়ের অফিসারেরা। এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকবেন। এই বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ, বিশেষ করে এলএসি বরাবর চলমান পরিস্থিতি, লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে নানা সমস্যা নিয়ে কথা হবে। এই অঞ্চলে ভারত ও চিন সেনা বারবার মুখোমুখি সংঘাতে মিলিত হয়। তাই এই অঞ্চলকেই বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন:কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    সেনা প্রধান হিসেবে এই বৈঠকটি জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর প্রথম বৈঠক। সম্প্রতি, জেনারেল দ্বিবেদী চিনের সাথে সীমান্ত পরিস্থিতিকে “স্থিতিশীল কিন্তু স্বাভাবিক নয়” বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায় চিনের সীমান্তে উত্তেজনা একটি চলমান জটিলতার প্রতিফলন। যা চার বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। সামনে শীত। প্রবল ঠান্ডার সুযোগ নিয়ে এর আগেও চিন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এবার সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য আগে থেকেই সতর্ক ভারত। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বটি ২৮ ও ২৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বরাবরই সক্রিয় ভারত। তবে কোনওভাবেই দেশের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না বলে আগেই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। শুক্রবার কিস্তওয়ারে (Kishtwar) জঙ্গিদের গুলিতে ভারতীয় সেনার দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদিন রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। সেখানেও গুলির লড়াই চলেছে দীর্ঘ ক্ষণ। এ ছাড়া, বারামুলায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানেও রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে জওয়ানদের গুলির লড়াই চলেছে। সকালেও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলার পাশাপাশি কিস্তওয়ারকে সংযোগকারী ছাতরু বেল্টের নাইদঘাম এলাকায় একটি কর্ডনে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর মেলে৷ এর পরই, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়৷ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল বাহিনী। তাদের দেখে জঙ্গলের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। তখনই চার জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। এঁরা হলেন নায়েব সুবেদার বিপন কুমার এবং জেসিও সিপাহি অরবিন্দ সিং৷ বাকি দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আকাশপথে সেনা হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেনার তরফে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টের সময় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর জানানো হয়৷ 

    বিক্ষিপ্ত অভিযান

    ভোটের মুখে উপত্যকা (Jammu Kashmir) ক্রমে উত্তপ্ত হচ্ছে। প্রায় প্রতি দিনই জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলছে। শুক্রবার রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। সেখানে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে গুলির লড়াই চলছে। উত্তপ্ত বারামুলাও। জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ বার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার সেখানে ভোট হতে চলেছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু। তার আগে উপত্যকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দিয়েছে সেনা।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share