Tag: Indian Army

Indian Army

  • Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির সময় মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। মাকে কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু  জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি ফেরা হল না ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তর। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন শুভম। বুধবার থেকে হওয়া ওই গুলির লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই লড়াইয়ে বুধবারই সেনার দুই ক্যাপ্টেন-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জন। সেই লড়াইয়ে আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার।

    স্কুলের ‘টপার’ থেকে সেনায়

    মাস ছয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের আগরায় বাড়িতে ২৬তম জন্মদিন পালন করেছিলেন ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। আগরার তাজ নগরীর বাসিন্দা শুভম। তাঁর বাবা বসন্ত কুমার গুপ্ত আগরার ডিস্ট্রিক্ট গভর্নমেন্ট কাউন্সেল (অপরাধ)। ২০১৫ সালে সেনায় যোগ দেন শুভম। ২০১৮ সালে সেনার বিশেষ বাহিনী ৯ প্যারা এসএফ-এ সুযোগ পান। ক্যাপ্টেনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, শুভম বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিল তাঁর পরিবার। বিয়ের তোড়জোড়ও চলছিল। শুভমের ভাই ঋষভ জানান, ফোনে তাঁদের জানানো হয় যে, একটি অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শুভম। দীপাবলির সময় পরিবারের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর। সেই সময় মাকে ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা।” কিন্তু তা হল না আক্ষেপ শুভমের ভাই-এর। স্কুলের ‘টপার’ ছিলেন শুভম। সেনায় যোগদানের জন্য প্রথমে তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং পরে দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেন। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    খতম দুই জঙ্গি

    সেনা সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টা ধরে লড়াইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। নিহতদের মধ্যে এক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার কারি। পাকিস্তানের নাগরিক লস্করের এই কমান্ডার গত এক বছর ধরে রাজৌরি-পুঞ্চে সক্রিয় ছিল। কারি, ডাংরি এবং কান্দিতে হামলার মূলচক্রী বলেও মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, কারি ছাড়াও আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ের। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajouri Encounter: রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযানে শহিদ ২ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান, খতম লস্কর কমান্ডার

    Rajouri Encounter: রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযানে শহিদ ২ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান, খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনে পড়ল রাজৌরির জঙ্গিদমন অভিযান। বুধবার থেকে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri Encounter) জেলার কালাকোট মহকুমার অন্তর্গত জঙ্গলে ঘেরা বাজিমাল অঞ্চলে চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই (Army Terrorist Gunfight)। গতকাল ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। এর মধ্যে সেনার ২ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। রয়েছেন ২ জওয়ানও। অন্যদিকে, বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে লস্করের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারও।

    কী জানিয়েছে সেনা?

    সেনার ১৬ কোরের (হোয়াইট নাইট) তরফে এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার কালাকোট এলাকার গুলাবগড় জঙ্গলে চিরুনি-তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ-কে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী (Rajouri Encounter)। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় বুধবার। সেই থেকে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলি বিনিময় হচ্ছে। জঙ্গিদের ঘিরে ফেলা হয়েছে (Army Terrorist Gunfight)। মহিলা ও শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আমাদের সেনা জওয়ানরা শহিদ দিয়েছেন। তাঁদের এই সাহসিকতা ও চরম বলিদানের ফলে অনেকের প্রাণ বেঁচেছে।

    শহিদ চার সেনা কর্মী

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেনার চার জন শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার এবং বাকি ২ জন হাভিলদার পদমর্যাদার। ২ অফিসারের মধ্যে একজন হলেন ৬৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল। অপরজন ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। ২ জওয়ানের মধ্যে একজনের নাম হাভিলদার মাজিদ। তিনও ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটে অঙ্গ ছিলেন (Rajouri Encounter)। দ্বিতীয় জওয়ানের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এছাড়া, ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের এক মেজর পদমর্যাদার অফিসার আহত হয়েছেন। তাঁকে উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    খতম লস্কর কমান্ডার

    সেনা সূত্রে খবর, বাহিনীর গুলিতে এক পাক জঙ্গি-নেতা খতম হয়েছে। যা জানা যাচ্ছে, ওই জঙ্গির নাম কুয়ারি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা কুয়ারি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার। সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গি-নেতা দীর্ঘদিন রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় (Rajouri Encounter) আত্মগোপন করেছিল। তার আগে, পাক-আফগান সীমান্তে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এই নিহত জঙ্গি (Army Terrorist Gunfight)। আইইডি তৈরিতে পারদর্শী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ধাংরি ও কান্দি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই কুয়ারি। ওই হামলায় ৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ১৪ জন আহত হয়েছিলেন। সেনা সূত্রে দাবি, এখনও ওই এলাকায় ২-৩ জন জঙ্গি রয়েছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে তারা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। 

    এখনও ফিকে হয়নি অনন্তনাগ…

    অনন্তনাগ অভিযানের কথা এখনও টাটকা। প্রায় ২ মাস আগে, অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ অঞ্চলে সেনা-জঙ্গির ভয়াবহ গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন ২ সেনা অফিসার— ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মনপ্রীত, সেনা মেজর আশিস ধনচোক এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপার হুমায়ুন ভাট। খতম হয়েছিল ২ জঙ্গিও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র চৌকির উপর ফের হামলা চালাল পাকিস্তান।  পাক হামলায় নিহত হয়েছেন এক জওয়ান। অন্যদিক, উপত্যকায় ফের সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Force)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) এনকাউন্টার (Encounter) অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্টের (The Resistance Front) এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। 

    রামগড় সেক্টরে পাক বাহিনীর গুলি

    সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে বুধবার রাত থেকে টানা পাক বাহিনীর গুলিগোলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রামগড় সেক্টরে একাধিক সীমান্ত চৌকিতে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বিনা প্ররোচনায় পাক বাহিনী হামলা চালায়। পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনীর পাশাপাশি পাক জঙ্গিরাও হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে বিএসএফের একটি সূত্রের খবর। বিএসএফের তরফেও পাক গুলির ‘জবাব’ দেওয়া হয়। শীত পড়ার আগে উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। পাক বাহিনীর গুলিতে গুরুতর জখম এক জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সোপিয়ানে সেনার সাফল্য

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিকে গোপন সূত্রে জঙ্গিদের খবর পেয়েই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা বাহিনী সোপিয়ানে যৌথ অভিযান শুরু করে। সোপিয়ানের কাথোহালানে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। শেষ খবর অনুযায়ী, সেনার গুলিতে দ্য় রেসিস্টেন্স ফোর্সের এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

    কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হয়েছে, “সোপিয়ান এনকাউন্টার আপডেট: সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যৌথ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। সেই অভিযানেই বৃহস্পতিবার পাঁচজন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছিল কুপওয়ারা জেলার পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তারা এলাকায় পৌঁছতেই বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর), এদিন সকালে, প্রথমে ২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর দিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও তিন জঙ্গির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করকা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, এই অভিযান এখনও চলছে। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। শ্রীনগরে মোতায়েন ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুপওয়ারা সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কুপওয়ারা পুলিশের কাছে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এরপরই যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঠিক কতজন জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে, তারা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত – এই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সেনার অনুমান, নিহত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।

    জম্মু ও কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানান, এতদিন ভারতীয় সেনা একা এই ধরনের অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চালালেও ক্রমশ সেই অভিযানে সামিল করা হচ্ছে পুলিশকেও। চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে শেষ করেছে সেনা ও পুলিশ। এদের মধ্যে ৩৭ জন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে এই উপত্যকায় ১৩০ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে যাদের মধ্যে অর্ধেকই বিদেশি। তাদের নিকেশ করতে এবার সক্রিয় প্রশাসনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • J-K Encounter: জম্মুর রাজৌরিতে সেনা এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি, মৃত্যু এক জওয়ানের

    J-K Encounter: জম্মুর রাজৌরিতে সেনা এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি, মৃত্যু এক জওয়ানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে ভয়াবহ সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ (J-K Encounter)। টানা ২ দিন ধরে চলছে দুপক্ষের গুলির লড়াই। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ২ জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী (Indian Army)। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।  জওয়ানকে রক্ষা করতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল এক সেনা সারমেয়র। 

    ‘অপারেশন সুজানিগালা’য় খতম ২ জঙ্গি, মৃত্যু এক জওয়ানের

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রজৌরির পত্রারা অঞ্চলে দু’জন সন্দেহভাজনের গতিবিধির লক্ষ্য করা যায়। এরপরই অভিযান  (J-K Encounter) শুরু হয়। জঙ্গিরা পালিয়ে নারলা গ্রামের দিকে চলে যায়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পোশাকি নাম দেওয়া হয়— ‘অপারেশন সুজালিগালা’ (Operation Sujaligala)। কিন্তু গ্রামেই হামলার মুখে পড়ে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। জম্মু জোনের অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিং বলেন ‘‘তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করলে, পাল্টা প্রতিরোধ করে বাহিনী। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলি বিনিময় হয়। এই এনকাউন্টারে ২ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুই জওয়ান এবং এক স্পেশাল পুলিশ অফিসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’’

    হ্যান্ডলারকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ বলিদান দিল সেনার কুকুর

    এদিকে, ওই অভিযানে জঙ্গির ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সেনার (J-K Encounter) এক সারমেয়র। জানা গিয়েছে, প্রথমে এক জঙ্গি খতম হওয়ার পর আরেকজন পালিয়ে যায়। সেই সময় দ্বিতীয় জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে, তা জানতে সেনার ২১ আর্মি ডগ ইউনিটের সদস্যা ল্যাব্রাডর প্রজাতির সারমেয় ‘কেন্ট’-কে ডাকা হয় (Army Labrador Kent)। ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফে জানানো হয়েছে, গন্ধ শুঁকে কেন্ট যখন জঙ্গিদের একেবারে কাছে পৌঁছে যায়, তখন আচমকা এক জঙ্গি গুলি চালাতে শুরু করে। নিজের হ্যান্ডলারকে বাঁচাতে জঙ্গির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ৬ বছর বয়সী ‘কেন্ট’। হ্যান্ডলার বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় কেন্টের।

    পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করেছিল দুই জঙ্গি!

    এদিকে, মৃত জঙ্গিদের (J-K Encounter) কাছ থেকে ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, যেখানে জামাকাপড় সহ আরও বেশ কয়েকটি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নাশকতার ছক কষে পাকিস্তান থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছিল ওই দুই জঙ্গি। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি ঘাপটি মেরে বসে আছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে গোটা গ্রামে চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই শক্তি বৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় সেনার (Indian Army)। আগামী বছরই ভারতের স্থলসেনার হাতে আসতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache)। সম্প্রতি, হেলিকপ্টারের নির্মাণকারী সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং-এর তরফে এমনটাই খোলসা করা হয়েছে। ট্যুইটারে বোয়িং জানিয়েছে, আমেরিকার অ্যারিজোনার মেসায় বোয়িংয়ের কারখানায় এই হেলিকপ্টারের উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে এই যুদ্ধ-কপ্টার ভারতের হাতে পৌঁছে যাবে।

    চিন-পাক সীমান্তে বহুগুণ শক্তিবৃদ্ধি

    চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের নিরাপত্তাকে নজরে রেখে ২০২০ সালে ছ’টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ কপ্টার কেনার জন্য চুক্তি করেছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চুক্তির মূল্য ছিল প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এবার সেগুলোর উৎপাদন শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার আর্মি এভিয়েশন কোরের জন্য এই ৬টি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে। এর আগে, ২০১৯ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয়েছিল ২২টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হেলিকপ্টার। এবার ভারতীয় স্থলসেনার হাতেও আসতে চলেছে এই অত্যাধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বোয়িং জানিয়েছে, এই কপ্টারের মূল কাঠামো বা ফিউসেলাজ তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদে অবস্থিত টাটা বোয়িং অ্যারোস্পেস লিমিটেডের কারখানায়। 

    ছুড়তে পারে ‘নরকের আগুন’!

    ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ও আধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলি। এই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর বলে পরিচিত ‘হেলফায়ার’ মিসাইল, যা লেজার-চালিত। এয়ার-টু-এয়ার ‘স্ট্রিঙ্গার’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এছাড়া, এই কপ্টার একলপ্তে ৮০টি ৭০ মিমি রকেট নিয়ে উড়তে সক্ষম। এতেই শেষ নয়। অ্যাপাচের ঠিক নাকের নিচে ৩০ এমএম বন্দুক রয়েছে। যা দু’মিনিটেরও কম সময় ১,২০০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে। 

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত

    প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) কপ্টারের জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলিকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় এই কপ্টারকে। দিন হোক বা ঘুটঘুটে অন্ধকার, যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়াইয়ে চূড়ান্ত দক্ষ ও নির্ভরশীল অ্যাপাচে। শত্রুঘাঁটিকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে নিপুণ এই বিশেষ কপ্টার। এর পাশাপাশি, এই কপ্টারে রয়েছে লংবো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার যা ১ মিনিটে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম। অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। প্রতি মিনিটে ২৮০০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত উপত্যকা! শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম (Kulgam) জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ তিন সেনা জওয়ান। শ্রীনগরের সেনার চিনার কর্পসের তরফে একটি  ট্যুইট করে জানানো হয়েছে এই খবর। তারা আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার পরেই সেনার তরফে আরও বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। সেখানে এখনও জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

    সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম জেলার হালান জঙ্গল এলাকায় ভারতীয় সেনার তরফে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। কারণ, পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান হিসেবে শুরু করা হলেও বিষয়টি অচিরেই এনকাউন্টারে (Encounter) পরিণত হয় কারণ গোপন ঘাঁটি থেকে জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর উদ্দেশে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও।

    আরও পড়ুন: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    সেনার ১৫ কর্পের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, সেখানে এখনও অভিযান চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লেখে, ‘কুলগামে হালানে উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে, নির্দিষ্ট এই খবর পেয়ে গত ৪ অগাস্ট অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময়, তিন জওয়ান আহত হন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তল্লাশি অভিযান চলছে।’ এর পর পরই সেখানে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫ কমান্ডো-সহ ১০ সেনা জওয়ান শহিদ হন। পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) তাঁদের মৃ্ত্যু হয়। এপ্রিল মাসে রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই দুই এলাকা গত দুই দশক ধরে জঙ্গিমুক্ত বলে ধরা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা বাহিনীতে (Indian Army) পাকিস্তানি চর নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে জানাল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওবিসি সার্টিফিকেট কারচুপি করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করছেন এমন চারজনের হদিশ মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে এমন বেশ কিছু নথি তাঁদের কাছে রয়েছে। এমনকী, শংসাপত্রে এসডিও-র সইও রয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অভিযোগের গুরুতর ভূমিকা রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে জাল নথি দিয়ে বাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, মহকুমা শাসকের সই করা সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, অথচ তিনি তা স্বীকার করছেন না। শুধু ডোমিসাইল নয় এমন প্রার্থীদের ওবিসি সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মহকুমা শাসক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও এমন নিয়োগের চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের কার্যকলাপের হদিশ পাওয়া গিয়ছে। সিবিআই আদালতকে বলেছে, ‘এখনও অবধি কোনও বিদেশি নাগরিকের এইভাবে চাকরি পাওয়া হদিশ না পাওয়া গেলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এটা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ।’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এ প্রসঙ্গে বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, এই রাজ্য সীমান্তবর্তী হওয়ায় কম নম্বরের মাধ্যমে এখানকার বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিন্‌রাজ্যের নাগরিকেরা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে, চক্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ছেন। দ্রুত তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যত দিন না সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছে, তত দিন মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে রাজ্যের পুলিশ। 

    সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক!

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সত্যিই পাকিস্তানি নাগরিক আছেন কি না, থাকলেও কী ভাবে এলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সিআইডিকে প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকেও বিষয়টি দেখতে বলেন। আদালতের বক্তব্য ছিল, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। এই ঘটনায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায়ই এবার এফআইআর দায়ের করতে চায় সিবিআই। বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানেই একথা জানায় সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    জাল নথি দিয়ে নিয়োগ

    কেবল সেনাবাহিনীতেই নয়, আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দাখিল করে নিয়োগের হদিশ দিয়েছিল সিআইডি। তবে কোনও পাক নাগরিকের জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কোনও নজির (Calcutta High Court) তারা পায়নি বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। ২৩ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সব সমস্যাকে সমন্বয় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এই মামলারই শুনানি হয়েছে বুধবার।

    সেনায় পাক চর!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক জাল নথি দিয়ে চাকরি করছেন বলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত চর ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় সেনায়। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাক নাগরিক চাকরি করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। জাল নথি দাখিল করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    এই মামলার শুনানির পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court)। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এবং মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিবিআই। এদিকে, এদিন আদালতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিষ্ণু। তিনি জানান, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেই আদালত তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    Manipur Violence: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur Violence) মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা সদস্য কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবারের এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মন্ত্রী। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বুধবার কাংপোকপি জেলাতে জাতিগত হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১০। মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সংলগ্ন অঞ্চলে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ এবং সেনা।

    পরপর জ্বলছে ৮ টি গ্রাম 

    মঙ্গলবার থেকে মণিপুরে (Manipur) নতুন করে শুরু হয়েছে অশান্তি (Violence)। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ইম্ফলের পূর্বে খামেনলোক গ্রামে সাধারণ মানুষের উপরে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। খামেনলোক থেকে গোভাজাং এলাকার মাঝে ১৭ কিলোমিটার অঞ্চলে মোট ৮টি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িই পুড়িয়ে (Arson) দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। শান্তি রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাঠানো হলেও মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। গ্রামের বয়স্ক মহিলাদের নেতৃত্বে ৬০০ জনের একটি দল রাস্তা আটকে দেয়। ফলে নিরাপত্তা বাহিনী ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওই উত্তপ্ত অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি। চেষ্টা করেও সেনা বাহিনীর ২০০ জওয়ান ও অসম রাইফেলসের ২৫০ জওয়ান ঘটনাস্থলগুলিতে পৌঁছতে পারেননি। 

    জঙ্গলে আশ্রয়

    যে আটটি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছে, সেগুলি হল গোভাজাং, সংজান, জর্ডেনফাই, থাম্বল, আইগিজিয়াং, ফিনোম, খুইপুং ও চৌলোফাই। প্রাণ বাঁচাতে এই গ্রামের বাসিন্দারা আপাতত পাহাড়ের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। প্রায় শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব মিলিয়ে।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি বিমানবন্দর, ১২টি মেডিক্যাল কলেজ! মোদি জমানায় এগিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত

    গত ৩ মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur Violence) কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও এখনও সমাধানসূত্র মেলেনি। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি তকমার দাবি জানানোর পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয় কুকিরা। জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিদের অভিযোগ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা মেইতেইদের দাবি, কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share