Tag: Indian Army

Indian Army

  • Lt General Upendra Dwivedi: পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, এমাসেই দায়িত্ব নেবেন

    Lt General Upendra Dwivedi: পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, এমাসেই দায়িত্ব নেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নতুন সেনা প্রধান (Next Army Chief) হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Lt General Upendra Dwivedi)। বর্তমানে ভারতীয় সেনার সহকারী প্রধান (‘ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ’) পদে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৩০ জুন অবসর নেবেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সে দিনই লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। 

    কবে নেবেন নতুন দায়িত্ব 

    গত মে মাসেই জেনারেল মনোজ পান্ডের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তে তার কার্যকালের মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়েছে ৷ আগামী ৩০ জুন জেনারেল মনোজ পাণ্ডের কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর সেদিনই নতুন সেনা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Lt General Upendra Dwivedi)৷  চলতি বছরে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সেনা সহকারী প্রধান বা ভাইস চিফ আর্মি স্টাফ হিসেবে দায়িত্বভার নেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী৷ ওই পদে মাত্র চার মাস থাকার পরই দেশের চিফ অফ আর্মি স্টাফ হতে চলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রবাবুর

    নির্ভরযোগ্য হাতে দায়িত্ব

    ১৯৮৪ সালে ভারতীয় সেনার জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেনান্ট পদে যোগ দিয়েছিলেন উপেন্দ্র  দ্বিবেদী (Lt General Upendra Dwivedi)। ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাডেমি ও ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির এই প্রাক্তনী এর আগে ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ, ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইনফ্যান্ট্রির মতো পদমর্যাদা সম্পন্ন পদ সামলেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বিদেশেও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সৈনিক স্কুল দিয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়৷ তারপর ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন৷ এছাড়াও আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত একাধিক কোর্সও করেছেন তিনি৷ বিশ্বের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে এসেছেন নানা ধরনের অত্যাধুনিক সামরিক কলা-কৌশল৷ একইসঙ্গে প্রতিরক্ষার বিষয় নিয়ে এমফিল এবং দুটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর৷ এবার দেশের সেনাবাহিনীর (Next Army Chief) দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    AK-203: সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ২৭ হাজার অত্যাধুনিক ‘একে-২০৩’ কালাশনিকভ, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে উঠে এল প্রায় ২৭ হাজার দেশে নির্মিত (Made in India) ‘একে-২০৩’ অ্যাসল্ট রাইফেল (AK-203)। কালাশনিকভ ঘরানার এই অত্যাধুনিক রাইফেল প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে ভারতেই। এটি তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল ফ্যাক্টরি লিমিটেড (আইআরআরপিএল)। জানা গিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে, আরও ৮ হাজার একে-২০৩ রাইফেল সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    আইআরআরপিএল হল ভারত ও রুশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী ২ সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। ভারতের অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (পূর্বতন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড) এবং রুশ সংস্থা কালাশনিকভ কনসার্ন — যা বিশ্বখ্যাত একে-৪৭ রাইফেল নির্মাণের জন্য পরিচিত— এর মধ্যে যৌথ অংশিদারিত্বে তৈরি হওয়া সংস্থা। এই সংস্থার কারখানা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের অমেঠির কোরওয়াতে। 

    ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট উৎপাদন

    দেশীয় ইনস্যাসকে সরিয়ে নতুন প্রধান অ্যাসল্ট রাইফেলের খোঁজ করছিল সেনা (Indian Army) ও আধাসামরিক বাহিনী। বিশ্বের একাধিক রাইফেলের তুল্যমূল্য বিচার করে ২০২০ সালে একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলকে বেছে নেওয়া হয়। স্থির হয়, বাহিনীর প্রয়োজনকে মাথায় রেখে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার একে-২০৩ কেনা হবে। এর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সে বছরেই। চুক্তির মূল্য ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, ১ লক্ষ রাইফেল সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে। বাকি ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ইউনিট প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তৈরি হবে এদেশেই (Made in India)। 

    কোভিড অতিমারীর কারণে বিলম্ব

    কিন্তু, দরদাম করতে ও কোভিড অতিমারীর কারণে, দেশে উৎপাদনের কাজ থমকে যায়। এর মধ্যে ২০২১ সালে রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার একে-২০৩ (AK-203) রাইফেল চলে আসে ভারতীয় বাহিনীর (Indian Army) জন্য। কোভিড-উত্তর কালে, কারখানায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় প্রথম ব্যাচের উৎপাদন। ৬ মাস আগে, দেশে নির্মিত এই অত্যাধুনিক কালাশনিকভ রাইফেলের পরীক্ষা শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেনার থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত মতামত নিয়েই এই রাইফেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। এবার, দেশে তৈরি সেই একে-২০৩ রাইফেল চলে এল বাহিনীর হাতে।

    এক-একটি রাইফেল নির্মাণ খরচ কত?

    সূত্রের খবর, এক-একটি রাইফেল তৈরি করতে খরচ প্রায় ১১০০ মার্কিন ডলারের মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯০ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারাখানা তৈরি করার খরচ ধরা হয়েছে। কালাশনিকভের অন্যান্য সিরিজের মতোই একে-২০৩ (AK-203) রাইফেলটিও গ্যাস-চালিত ও ম্যাগাজিন-নির্ভর। এর থেকে ৭.৬২ এমএমx৩৯ ক্যালিবারের গুলি নিক্ষিপ্ত হয়। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় (Indian Army) হাতে রয়েছে মার্কিন নির্মিত সিগ-সয়ার রাইফেল। এই রাইফেলেও একই ক্যালিবারের গুলি ব্যবহৃত হয়। ফলে, কার্যকারিতা ও ব্যবহারযোগ্যতার দিক দিয়ে একে-২০৩ নিয়ে সেনার অসুবিধে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kulgam Encounter: কুলগামে ৪০-ঘণ্টার সেনা অভিযানে খতম লস্করের শীর্ষ কমান্ডার সহ ৩ জঙ্গি

    Kulgam Encounter: কুলগামে ৪০-ঘণ্টার সেনা অভিযানে খতম লস্করের শীর্ষ কমান্ডার সহ ৩ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (J&K) কুলগ্রাম এলাকায় (Kulgam Encounter) টানা ৪০ ঘণ্টা পর শেষ হল জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে সেনার এই যৌথ অভিযানে নিকেশ হয়েছে এক শীর্ষ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর গোলাবারুদ ও নথি।

    নিকেশ লস্করের শীর্ষ কমান্ডার

    ৬ মে মধ্যরাত্রি থেকে পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় সেনার তরফে এই অভিযানের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে লস্কর-এ-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) শাখা সংগঠন টিআরএফের (The Resistance Front) এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ভারতীয় সেনার চিনার কোর (Chinar Corps) এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেডওয়ানি পাইন এলাকায় ৬ মে গভীর রাতে এই অভিযান শুরু হয়। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। চিনার কোর জম্মু কাশ্মীর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

    ৪০ ঘণ্টা চলল সেনার অভিযান

    সেনার তরফে ৪০ ঘন্টা সময় তিন জঙ্গিকে খতম করতে লাগল কেন জানতে চাওয়া হলে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “যাতে কোন সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয় তার জন্যই সেনার তরফে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তাই বেশি সময় লেগেছে।” প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam Encounter)  এলাকার রেডওয়ানি পাইন এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার গুলি বিনিময় হয়েছিল। তারপরেই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এই যৌথ অভিযান শুরু করে।

    আরও পড়ুন: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    প্রথমে জঙ্গিরা বিমান বাহিনীর কনভয়ের উপর হামলা চালায় 

    এর আগে ৪ মে পুঞ্চ জেলায় পাক সমর্থিত জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর কনভয়ের উপরে হামলা চালিয়ে ছিল। ওই হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) একজন জওয়ানের মৃত্যু হয়। এবং চারজন জখম হয়েছিলেন। ভারত পাক সীমান্ত লাগোয়া মেন্ধর (Mendhar) এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনার যে জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল তার নাম ভিকি পাহাড়ে বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায়। সেখানেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব শেষ শ্রদ্ধা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ সুমন, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিতে খুশির হাওয়া

    Birbhum: সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ সুমন, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিতে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতারাতি সেলিব্রিটি বীরভূমের (Birbhum) গ্রামের ছেলে। না, কোনও সিনেমায় অভিনয় বা অন্য কোনও কাজ করে নয়, সরকারি চাকরি পেয়ে সেলিব্রিটি তিনি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন, গ্রামের প্রথম সরকারি চাকরি বলে কথা। বীরভূমের সিউড়ির নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গ্রামের এক সামান্য দিনমজুরের ছেলে সুমন। ছোট থেকেই পড়াশোনাতে অনেক সুনাম। তারই প্রতিফলন সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর হিসেবে সাফল্য পাওয়া। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষজন শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করছেন সুমনের ছোট্ট মাটির কুঁড়ে ঘরে।

    সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনা শেষের আগেই চাকরির সিদ্ধান্ত (Birbhum)

    নগরী গ্রামের সুধাংশু বদনি শিক্ষানিকেতন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিশ্বভারতীতে বিএসসি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা সুমনের। ইচ্ছে ছিল নেট-সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিএইচডি করে অধ্যাপক হওয়ার। কিন্তু বিএসসি পঞ্চম সেমেস্টার সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ে সুমনের। অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন যেত সুমনের। বাবা রাজমিস্ত্রির শ্রমিক, কোনও দিন হাতে কাজ থাকত, আবার কোনও দিন তাও থাকত না। তাই সুমনের মা সিউড়িতে বাড়ির পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকেই সুমনের পড়াশোনার খরচ চলত বলে জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু সুমন থেমে থাকেননি, এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। সংসারের হাল ধরতেই সেনাবাহিনীর জন্য আবেদন করেন সুমন, আর প্রথমবারেই সাফল্য। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে খুশির জোয়ার। কারণ বড়গ্রামের বাউড়িপাড়া অঞ্চলে প্রথম সরকারি চাকরি পেয়েছেন সুমন। আগামী ২২ এপ্রিল থেকেই সেনাবাহিনীর কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হবেন তিনি (Birbhum)।

    সুমন নিজে কী জানিয়েছেন?

    সুমনের এই সাফল্যের পর খুশি গোটা গ্রামবাসী থেকে তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে সুমন বলেন, “যেহেতু আমি একটি গরিব ঘরের ছাত্র, আমার বাবা দিনমজুর এবং মা পরিচারিকার কাজ করে, তাই সংসার খুব কষ্ট করেই চলত আমাদের। এতে আমার পড়াশোনার খরচও চালাতে হত। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই সেনাবাহিনীতে আবেদন করার। প্রথমবারই আমি সাফল্য পেয়েছি। আর গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠা করেছি। তাই গ্রামবাসীও খুব খুশি।” সুমনের মা বলেন, “ছেলের পড়াশোনা করার খুবই ইচ্ছে ছিল। তাই খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ও সরকারি চাকরি পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এবার পরিবারের (Birbhum) অভাব কিছুটা হলেও মিটবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার অরুণাচলের চিন সীমান্তে সেলা ট্যানেলের (Sela Tunnel) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সুড়ঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ সম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার চিন সীমান্তে সংঘাত বেঁধেছে। শুক্রবারই আবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক কার্যত হুমকি দেয় ভারতকে সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে। ঠিক সেই আবহে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে দিলেন সেলা টানেলের। দুর্গম এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থাও কঠিন হয়ে পড়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে। সেই ছবিই এবার বদলে দিল মোদি সরকার। সেলা টানেলের (Sela Tunnel) মাধ্যমে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে যেতে বাধাহীনভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবার।

    কী বলছেন সেনার আধিকারিক?

    সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জওয়ানরা যাতে সীমান্তের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন, যাতে অস্ত্রশস্ত্র তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে এই সেলা টানেল। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শীতকালে এই টানেল আরও অনেক বেশি কাজে আসবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তাগুলি শীতকালে সম্পূর্ণভাবে বরফে ঢেকে যায়। যেগুলি পেরিয়ে দ্রুত পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, এই টানেল (Sela Tunnel) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে এই টানেল শুধু সেনা জওয়ানদের ক্ষেত্রে যে কাজে আসবে তা নয়, পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তুষারপাতে যখন রাস্তা ঢেকে যাবে, পর্যটকরা এই পথে যাতায়াত করতে পারবেন।

    সেলা টানেল সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন

    ১) ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেল।

    ২) এই সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সহজেই সেনার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এবং ভারত সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তাইওয়ানের কাছে পৌঁছে যাবে সেনাবাহিনীর গাড়ি।

    ৩) এই টানেল (Sela Tunnel) ব্যবহার করলে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে আসবে।

    ৪) সুড়ঙ্গের প্রথম টানেলটি ৯৮০ মিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল টিউব। অন্যদিকে ২ নম্বর টানেলটি হল ১,৫৫৫ মিটার দীর্ঘ।

    ৫) দ্বিতীয় টানেলে দুটি রাস্তা থাকবে একটি যাতায়াতের জন্য এবং অন্যটি জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য।

    ৬) প্রবল বর্ষা বা শীতকালেও সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা যাবে।

    ৭) টানেল তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের প্রযুক্তি অনুযায়ী।

    ৮) সুড়ঙ্গের ভিতরে পর্যাপ্ত আলো এবং অগ্নি নির্বাপক সুবিধা রাখা হয়েছে।

    ৯) এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার গাড়ি এবং দু হাজার ট্র্যাক চলাচল করতে পারবে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টানেলের (Sela Tunnel) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন করলেন ২০২৪ সালের মার্চে। টানেলটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘সেলা টানেল অনেক আগেই নির্মাণ হতে পারতো কিন্তু কংগ্রেস সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’’ প্রসঙ্গত সেলা টানেলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন করেন ১২৩টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ৯৫টি নতুন প্রজেক্টর। যেগুলিতে খরচ হবে ৫৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবগুলিই উত্তর পূর্ব ভারতের মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে অবস্থিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siachen Mobile Connectivity: বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মিলবে মোবাইল পরিষেবা, সিয়াচেনে বসল টাওয়ার

    Siachen Mobile Connectivity: বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মিলবে মোবাইল পরিষেবা, সিয়াচেনে বসল টাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সিয়াচেনে (Siachen Mobile Connectivity) বেশ কয়েক বছর আগেও মোবাইল পরিষেবা কার্যত অসম্ভব মনে হত। মোদি জমানায় সেই অসম্ভবই সম্ভব হল। সিয়াচেনে বসল মোবাইল টাওয়ার। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনের কর্মরত জওয়ান এবং অফিসাররা মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবং ভারতীয় সেনার বেস ক্যাম্পে। মোবাইল পরিষেবার (Siachen Mobile Connectivity) মাধ্যমে সীমান্তে সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় এবং যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই পরিষেবা অপরিহার্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত কমবেশি সারা বছর ধরেই লেগে থাকে। সেই আবহে সীমান্তের মোবাইল পরিষেবা চালু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথম মোবাইল টাওয়ার

    গত ৬ অক্টোবর সীমান্তে সিয়াচেনে মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু করে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথম মোবাইল টাওয়ার (Siachen Mobile Connectivity) ও বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) বসিয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরা। মোবাইল পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করেছে বিএসএনএল। জানা গিয়েছে, সিয়াচেনের এক অংশে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছিল ভারতীয় সেনা। শত্রুরা যাতে কোনওভাবেই সিয়াচেন দখল করতে না পারে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। সেই ল্যান্ডমাইনের স্থানকে পরিষ্কার করে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানো হয়েছে। তবে মোবাইল টাওয়ার বসলেও সতর্কই থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোন হ্যাকও করতে পারে পাক ও  চিনা হ্যাকাররা।

    এক্স হ্যান্ডেলে সেনার পোস্ট 

    ইতিমধ্যে সামনে এসেছে ভারতীয় সেনার ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলের একটি পোস্ট। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘৬ অক্টোবর বিএসএনএল-র সাহায্যে সিয়াচেনের যোদ্ধারা বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রের ফরওয়ার্ড পোস্টে বিটিএস তৈরি করেছেন। এর জেরে সাড়ে ১৫ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় মোতায়েন থাকা সৈনিকরা মোবাইল (Siachen Mobile Connectivity) ফোন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একজনের। ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা অঞ্চলে। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে সিকিমের সিংথামের সেনাবাহিনীর একটি ছাউনি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় (Sikkim Disaster)। সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর গোলাবারুদও জলের তোড়ে ভেসে যায়। যার মধ্যে বেশ কিছু মর্টারও ছিল। তার জেরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

    হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণ

    বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানা এলাকার বাকালি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মর্টার (Sikkim Disaster)। পাশাপাশি ক্রান্তি এলাকা থেকেও বেশ কয়েকটি মর্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ ধরতে গিয়ে সেগুলি দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেগুলির মধ্য থেকেই একটিকে হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আইনুর রহমান নামে এক সাত বছরের শিশুর। আহত হন আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রায় প্রত্যেকের গোটা শরীর ঝলসে গেছে। জলপাইগুড়ি থেকে সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    শোকের ছায়া (Sikkim Disaster)

    ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিক এবং জওয়ানরা। তাঁরা সেগুলিকে সেখান থেকে নিয়ে যান। ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি শোকের ছায় নেমে এসেছে গোটা রাজাডাঙ্গা এলাকায় (Sikkim Disaster)। অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনা যে ঘটবে সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। অবুঝ শিশু কাঠ ধরতে গিয়ে ওই বস্তুটি নিয়ে আসে। তার পরিণতি যে এমন হবে, সেটা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি। ওই এলাকার কেউই আর কোনওদিন তিস্তা থেকে কিচ্ছু আনতে যাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: লাদাখে খাদে পড়ল সেনাবাহিনীর গাড়ি, মৃত ৯ জওয়ান, গুরুতর আহত ১

    Indian Army: লাদাখে খাদে পড়ল সেনাবাহিনীর গাড়ি, মৃত ৯ জওয়ান, গুরুতর আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) গাড়ি পড়ল রাস্তার ধারে গভীর খাদে। এই দুর্ঘটনায় ৯ জন সেনা জওয়ানের (Indian Army) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লে থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে কেয়ারি নামক একটি স্থানে শনিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। গন্তব্যস্থলের ঠিক ৭ কিলোমিটার আগে পিচ্ছিল রাস্তা থেকে কনভয়ের একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায় বলে সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর। মোট ১০ জন জওয়ান ছিলেন ওই গাড়িতে, তার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয় এবং একজন গুরুতর জখম হন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ছটা থেকে ছটার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইটে লেখা হয়, ‘‘গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি ৯ সেনা জওয়ানের (Indian Army) মৃত্যুতে। আহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের (Indian Army) পরিবারের পাশে গোটা দেশ রয়েছে’’

     

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    এদিন ট্যুইটে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষমন্ত্রী লেখেন, ‘‘গভীরভাব সমবেদনা জানাচ্ছি নিহত জওয়ানদের (Indian Army) পরিবারবর্গকে। দেশের কাজে তাঁদের অবদান স্মরণীয়।’’

  • Indian Army: গত ২৪ ঘণ্টায় সেনা এনকাউন্টারে জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি

    Indian Army: গত ২৪ ঘণ্টায় সেনা এনকাউন্টারে জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক এনকাউন্টার চলছে, জম্মু-কাশ্মীরে (Indian Army)। জঙ্গি খতমে গত ২৪ ঘণ্টায় বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার সকালেও এক জঙ্গি নিকেশের খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তখনই গুলি করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইতে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও এক জঙ্গি। 

    কী বলছে ভারতীয় সেনা?

    সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর মিলেছে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে দুই জঙ্গি। এরপরেই শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। ভারতীয় সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ পুলিশ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়।  বর্তমানে ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জম্মুর প্রতিরক্ষা জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট সুনীল বার্তওয়াল জানিয়েছেন, রাত দুটো নাগাদ ২ জঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালিয়ে জবাব দিতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী (Indian Army)। গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গিকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায় এবং দ্বিতীয় জঙ্গিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

    স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার ছক

    সূত্রের খবর,স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। সে কারণেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বারংবার। তবে ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কোনও ঘাটতি রাখা হচ্ছে না এবং নিরাপত্তা অনেক ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এনিয়ে  দ্বিতীয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। রবিবারও নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা এবং তখনই ভারতীয় সেনার (Indian Army) নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় সেনা। সেখানেও এক জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। এবং ২ থেকে ৩ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ফের পাকিস্তানে পালিয়েছে। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durand Cup 2023: ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার, কলকাতায় অভিনব উদ্বোধন ডুরান্ড কাপের

    Durand Cup 2023: ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার, কলকাতায় অভিনব উদ্বোধন ডুরান্ড কাপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা সারা হয়েছিল আগেই। সেই মতো ছিল প্রস্তুতিও। শেষ বেলায় বৃষ্টির ফলে ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। হয় বিলম্বও। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়াও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। মঙ্গলবার বিকেলে এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মহানগরবাসী। শহর কলকাতা তো বটেই, পূর্ব ভারতের সর্বোচ্চ বহুতল ‘দ্য ৪২’-র ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন দুই সেনাকর্তা। হাজার হাজার মানুষ দেখলেন, কীভাবে ধীরে ধীরে তাঁরা প্যারাশ্যুট করে নেমে এলেন ব্রিগেডের মাঠে। সঙ্গে নিয়ে নামলেন সুদর্শন ট্রফি। এভাবেই মঙ্গলবার কলকাতায় ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2023) উদ্বোধন হল। কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ১৩২তম ডুরান্ড কাপ। তার আগে, এশিয়ার সব থেকে প্রাচীন এই ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে অভিনবত্ব দেখাল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।

    কী এই বেস জাম্পিং?

    দেশের ১৪টি শহর ঘুরে ডুরান্ড কাপের ট্রফি (Durand Cup 2023) এসেছে কলকাতায়। দেরাদুন, উধমপুর, জয়পুর, পুনে, মুম্বই, কারওয়ার, এজিমালা, কোচি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গুয়াহাটি, শিলং এবং কোকড়াঝোড় থেকে এবার ডুরান্ড কলকাতায়। ফলে, তাকে ‘ফ্ল্যাগ-ইন’ বা স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়াকে স্মরণীয় করতে সেনার (Indian Army) তরফে এমন এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়। সামরিক পরিভাষায় এধরনের ঝাঁপ দেওয়াকে বলা হয়ে থাকে ‘বেস জাম্পিং’। এটি একটি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। কোনও বহুতলের ছাদ কিংবা কোনও সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়া হয়। আর এই ঝাঁপ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যারাশুট খুলে দেওয়া হয়। তারপর ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তি মাটিতে নেমে আসেন। বলা বাহুল্য, এই জিনিস আগে কখনও দেখেনি কলকাতা। সেই কারণে, বাছা হয়, ‘দ্য ৪২’-কেই। কারণ, এর চেয়ে ভালো আর কী-ই বা হতে পারতো। পূর্ব পরিকল্পনা মতো, মঙ্গলবার বিকালে ময়দান সংলগ্ন ‘দ্য ৪২’-র ৬৫ তলা থেকে প্রথমে ঝাঁপ দেন সেনার অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কমল সিংহ ওবের। সরাসরি ময়দানে গিয়ে ল্যান্ড করেন তিনি। তার কিছু ক্ষণ পরে একই জায়গা থেকে ঝাঁপ দেন সেনার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সত্যেন্দ্র বর্মা। তিনিও ল্যান্ড করেন নির্দিষ্ট জায়গায়।

    কবে শুরু ডুরান্ড কাপ?

    আগামী ৩ অগাস্ট থেকে শুরু হবে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2023)। মোট ২৪টি ক্লাব এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। তার মধ্যে ১৯টি দল ভারতের। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ একাধিক জনপ্রিয় ক্লাব অংশ নেবে ডুরান্ড কাপে। এ বারে ডুরান্ড হবে গুয়াহাটি, কোকরাঝাড় এবং কলকাতায়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ন্টসের মুখোমুখি বাংলাদেশ আর্মি। উদ্বোধনী ম্যাচ খেলা হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ৪ জুলাই মহামেডান স্পোটিংসের প্রথম ম্যাচ। বিপক্ষে মুম্বই সিটি। কিশোর ভারতীতে খেলা হবে ওই ম্যাচ। আর ৬ তারিখ বাংলাদেশ আর্মি বিরুদ্ধে নামছে লাল-হলুদ বাহিনী। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে শতাব্দী প্রাচীন টুর্নামেন্ট। তবে সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা কলকাতা ডার্বির। ডুরান্ড কাপেই হতে চলেছে মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share