Tag: Indian Army

Indian Army

  • Manipur Violence: মণিপুরে সেনার ক্যাম্পে সন্তান প্রসব মহিলার! জাতিগত দ্বন্দ্বের ছায়া পড়ল রাজধানীতেও

    Manipur Violence: মণিপুরে সেনার ক্যাম্পে সন্তান প্রসব মহিলার! জাতিগত দ্বন্দ্বের ছায়া পড়ল রাজধানীতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিগত হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। তার মধ্যেই অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) ডাক্তারদের সহযোগীতায় বাচ্চা প্রসব করলেন ক্যাম্পে আটকে পড়া এক মহিলা। সম্প্রতি হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur) থেকে ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) জওয়ানরা দুই গর্ভবতী মহিলাকে (pregnant woman) নিরাপদে উদ্ধার করে (safely rescued) নিজেদের হেফাজতে চিকিৎসা করছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা দুটি সন্তান প্রসব করেছেন। 

    সেনার মানবিক মুখ

    মণিপুরের জাতিগত সংঘর্ষের (Manipur Violence) জেরে বেশ কিছু এলাকা এখনও থমথমে। তাই বাসিন্দাদের উদ্ধার করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পে। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন এস্থার হোনথা। বর্তমানে মন্ত্রীপুখরি (Mantripukhri ) ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি। সি-সেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যাম্পের মধ্যেই ফুটফুটে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন ৩৮ বছরের ওই মহিলা। সম্প্রতি ক্যাম্পে থাকা দুই গর্ভবতী মহিলা সন্তান প্রসব করার পর সদ্যোজাতদের মঙ্গল (godspeed) ও সৌভাগ্য (good luck) কামনা করে রবিবার একটি ভিডিও (Video) পোস্ট করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভারতীয় সেনার মানবিক মুখের প্রশংসায় মুখর নেটিজেনরা।

    মণিপুরের দ্বন্দ্বের ছায়া দিল্লিতেও

    এরই মধ্যে মণিপুরের জাতিগত দ্বন্দ্বের (Manipur Violence) ছায়া পড়ল রাজধানীতেও (Manipur Violence)। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) মণিপুরের দুই দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জানা গিয়েছে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে তা বেশি দূর গড়ায়নি। দু’পক্ষেরই বক্তব্য, থানা অভিযোগ নেয়নি। পুলিশের বক্তব্য থানাতে দু পক্ষকে বসিয়ে মিটমাট করে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কারও গুরুতর আঘাত লাগেনি। ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পুলিশ দুই দল ছাত্রকেই মিলে মিশে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেরলে নৌকাডুবিতে মৃত ২১! শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    এদিকে, মণিপুরে (Manipur Violence) নতুন করে বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর না থাকলেও প্রশাসন ঝুঁকি নিচ্ছে না। সেখানে বিপুল সংখ্যায় র‍্যাফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, এবং সিআরপির জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আছে অসম রাইফেলস। অসমের দুটি বিমান ঘাঁটি থেকে ছোট বিমান উড়িয়ে বিমান বাহিনীও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    Jammu and Kashmir: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই রাজৌরির জঙ্গলে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিহত হন ৫ জওয়ান। রাজৌরির কান্দির জঙ্গলে শুক্রবার সাত সকালে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াই চলাকালীন হঠাৎই জঙ্গিদের ছোড়া বোমের অভিঘাতে নিহত হন ২ জওয়ান, আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে, শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারমুল্লা জেলায় একটি পৃথক এনকাউন্টারে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর সেনা সূত্রে। ঘায়েল আরও এক জঙ্গি। যদিও নিহত জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, শুক্রবারে হামলার দায় স্বীকার করেছে The People’s Anti-Fascist Front (PAFF) নামের একটি সংগঠন। জানা গিয়েছে, এটি জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের শাখা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আচমকা গত কয়েক মাসে ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপ নতুন করে মাথাচাড়া দিল কেন?

    জি২০ সম্মেলন নিয়ে উৎসাহ ভূস্বর্গে

    সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর তার নিজের ছন্দেই ফিরেছে, হোটেলগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থিক থিক করছে, বলিউড ছবির শ্যুটিংও চলছে। এই আবহে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) উত্তপ্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য শুধুই কি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীরকে ভারত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এই দাবিতে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে পাকিস্তান কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করেছে ভারত। তার পর থেকেই পাকিস্তান আরও দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

    এরই মধ্যে চলতি মাসেই কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জি২০-র একটি সম্মেলন হতে চলেছে। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে কাশ্মীরের শ্রীনগরে ২২ থেকে ২৪ মে-র মধ্যে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা। আসন্ন বৈঠকে চিন ছাড়া জি২০-র সকল সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের পাশাপাশি, আগত প্রতিনিধিদের ২৪ মে কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। শ্রীনগরের ডাল লেক এবং গুলমার্গ স্কি-রিসর্ট সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট পর্যটন স্থলে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। ২৫ মে তাঁরা দিল্লিতে ফিরে আসবেন।

    কী এই জি২০ এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    জি২০, বা ‘গ্রুপ অফ টোয়েন্টি’ হল, বিশ্বের প্রধান প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলির ফোরাম। এই গোষ্ঠীর সদস্য হল– ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম। জি২০ গোষ্ঠীর দেশগুলি বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপির (মোট উৎপাদন) প্রায় ৮৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রক। বিশ্ব বাণিজ্যেরও ৭৫ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাশাপাশি, মানব সম্পদেও ভরপুর এই গোষ্ঠী। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির বাসিন্দা। অর্থাৎ, এই গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার অর্থ, বিশ্ব অর্থনীতিতে সেই দেশের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    ভারত উন্নতির পথে, পাকিস্তান অবনতির

    মোদি জমানায় বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি যে হারে বেড়েছে, তা স্বাধীনতার ৭০ বছর পর তেমন হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে ভারত নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করেছে। এখন বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশ ভারতকে চটানোর আগে দুবার ভাবে, কারণ, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাজার। মোদি জমানায় ভারত এখন স্রেফ উন্নয়শীল নয়, উন্নীত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, জি২০ গোষ্ঠীর সদস্য নয় পাকিস্তান। কার্যত দেউলিয়া হওয়ার পথে তারা। তদাপি, ভারতের উন্নতি কোনও কালেই সহ্য করতে পারে না ইসলামাবাদ। নিজেদের ঘর ভাঙছে, অথচ, সেদিকে অন্ধ থেকে ভারতের ক্ষতি করাতেই মনোযোগ পাক সরকার, আইএসআই ও পাক সেনা।  জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের সভাপতিত্বে হতে চলা এই জি২০ বৈঠক নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। যদিও ইসলামাবাদের সেই আপত্তি পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়ে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছিল, জি২০-র সম্মেলনগুলি সারা দেশেই সংগঠিত হচ্ছে। এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও জি২০-র বৈঠক হওয়া অত্যন্ত ‘স্বাভাবিক ঘটনা’। কারণ এই দুই অঞ্চল ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ। লাদাখের লেহ্-তে ইতিমধ্যেই নির্বিঘ্নে জি২০ গোষ্ঠীর ইউথ এনগেজমেন্ট গ্রুপের বৈঠক হয়েছে। এবার পর্যটন গ্রুপের বৈঠকও হতে চলেছে। 

    সম্মেলন বানচাল করতেই কি হামলা?

    ভারতের জবাব যে পাকিস্তানের পছন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। ফলে, উপায় না দেখে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিতে শুরু করেছে ইসলামাবাদ ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। লক্ষ্য, বৈঠক বানচাল করতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা। জম্মু-কাশ্মীরের এক পদস্থ প্রশাসনিক কর্তা জানান, জি২০-র আগে পরিকল্পিতভাবে ভূস্বর্গে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জি২০ সদস্যভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরে আসার ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।

    যবে থেকে উপত্যকায় জি২০ দামামা বেজেছে, সেই থেকেই পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি বেশ কিছুদিন ধরেই উপত্যকায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ নতুন করে বৃদ্ধি করেছে। সাম্প্রতিককালে, পুঞ্চের ভিমবার গলিতে হামলা হয়েছে। সেখানে ৫ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। প্রায় নিত্যদিন অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা বা মারা পড়ছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারও বারামুল্লায় ২ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। এরই মধ্যে শুক্রবার জঙ্গি-দমন অভিযানে বেরিয়ে শহিদ হলেন আরও ৫ সেনা জওয়ান।

    পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    এদিকে, এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার মধ্যেই এই হামলা চলেছে। কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) অশান্ত! এই বার্তাই আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতে চায় পাকিস্তান। জি২০-র সম্মেলনের আগে তাই উপত্যকায় বারংবার হামলা চালাচ্ছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ইসলামাবাদের এই ‘খেলা’ ধরে ফেলে, গতকাল পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী ভুট্টোকেও। ভুট্টোকে ‘জঙ্গি ইন্ডাস্ট্রির মুখপাত্র’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিলেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায় না ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমার আঘাতে ৫ জন সেনা আধিকারিকের (Indian Army) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ১ জন সেনা অফিসার, উধমপুরের সেনা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ঠিক কী ঘটনা?

    রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন সকাল থেকেই জঙ্গি নিকেশ অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। জানা গেছে, জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। শুরু হয় দুইপক্ষের গুলির লড়াই। এমন সময়ে জঙ্গিদের দিক থেকে ছোড়া হয় বোমা, তাতেই প্রাণহানি ঘটে ২ সেনা আধিকারিকের। আহত হন ৪ জন, তাঁদের ভর্তি করানো হয় সেনা হাসপাতালে, সেখানে তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি কান্দি জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গিরও। সকালের ঘটনার পরেই রাজৌরি সেক্টরে বাড়ানো হয় সেনা সংখ্যা। ইদের প্রাক্কালে পুঞ্চে সেনা (Indian Army) ট্রাকে যে জঙ্গি গোষ্ঠী গ্রেনেড ছুড়েছিল, এদিন তারাই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান সেনার।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছেই 

    গত সপ্তাহেই সেনা (Indian Army) ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। তাঁরা পুঞ্চে ইদের ফল বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে থাকা ৫ জওয়ান ঝলসে যান গ্রেনেড হামলায়। আবার চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বারামুলার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই লস্কর জঙ্গির। নিহতদের নাম শাকির মাজিদ ও হানাম আহমেদ শেহ। তাদের থেকে AK-47 রাইফেল, পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বুধবারও কুপওয়ারাতে ২ লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক! অবস্থা সঙ্কটজনক, ‘‘পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত’’, বলছে সেনা

    Manipur Clash: আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক! অবস্থা সঙ্কটজনক, ‘‘পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত’’, বলছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Clash)। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একদিকে যেমন দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেমনই সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে নয়াদিল্লিও। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনা। যদিও, এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হন মণিপুরের এক বিজেপি (BJP) বিধায়ক। 

    সঙ্কটজনক আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক

    জানা গিয়েছে, রাজ্যের অশান্তি (Manipur Clash) নিয়েই ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মণিপুরের ফেরজাওয়াল জেলার থানলনের তিনবারের বিধায়ক ভুংজাগিন ভালতে (Vungzagin Valte)। সেই সময় তাঁর গাড়ির ওপর হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বেশ কিছু ক্ষিপ্ত জনতা বিধায়কের গাড়ি ঘিরে ধরে। গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল-পাথর ছোড়া হয়। সেই সময় গাড়ির ভিতরে ছিলেন বিধায়ক ভুংজাগিন ভালতে, তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ও গাড়ির চালক। হামলার পরই বিধায়কের ব্যক্তিগত সচিব পালিয়ে যান। 

    জানা যায়, ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ধরা পড়ে যান ওই বিধায়ক ও তাঁর গাড়ির চালক। দুজনকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল (Manipur Clash) থেকে বিধায়ককে উদ্ধার করে এবং বিধায়ককে ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা অতি সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। আইসিইউ-তে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কুকি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ভুংজাগিন ভালতে। তিনি গত বারের বিজেপি সরকারের আদিবাসী ও পর্বত মন্ত্রী ছিলেন।

    জ্বলছে মণিপুর

    মণিপুরে সংঘাতের (Manipur Clash) সূত্রপাত বুধবার থেকে। গত মাসে সেখানকার হাইকোর্ট সরকারের উদ্দেশে নির্দেশ দেয়, মৈতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি তালিকাভুক্ত করা যায় কি না তা বিবেচনা করতে। তাকে ঘিরে ক্রমশ মৈতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। এরই মধ্যে, মৈতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বুধবার একটি মিছিল বের করা হয়েছিল। বুধবার এই সংহতি মিছিলকে ঘিরেই অশান্তি বাধে।

    আরও পড়ুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    জারি কারফিউ, দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ

    পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে মণিপুরের বিজেপি সরকার দেখা মাত্রই গুলি অর্থাৎ ‘শ্যুট অ্যাট সাইট অর্ডার’, অর্থাৎ দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করে। বুধবার বিকেলেই অধিকাংশ জেলায় কারফিউ জারি করেছিল প্রশাসন। কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সংঘর্ষ (Manipur Clash) শুরু হওয়ার পরপরই বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। 

    হিংসার মূল চক্রী মায়ানমারের অনুপ্রবেশকারীরা?

    মণিপুর পুলিশের দাবি, মায়ানমার থেকে যে অনুপ্রবেশকারীরা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ঢুকে পড়েছিল, তারাই সমস্ত হিংসার (Manipur Clash) মূল চক্রী। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে গত বুধবার থেকে টানা পাঁচদিন চুড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ওই দিন থেকেই নতুন করে উত্তাপ ছড়ায় মণিপুরের একাংশে।

    ব্যাহত রেল পরিষেবা

    মণিপুরে (Manipur Clash) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সমস্ত মণিপুরগামী ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সিপিআরও সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ট্রেন মণিপুরে প্রবেশ করছে না৷ মণিপুর সরকার ট্রেন চলাচল বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    মোকাবিলায় তৎপর সেনা-বায়ুসেনা

    তবে এরই মধ্যে, ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফে জানানো হয়েছে যে, পরিস্থিতি (Manipur Clash) এখন অনেকটাই স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। মোরে এবং কাংগোপি এলাকা এখন অনেকটাই শান্ত, স্থিতিশীল। ইম্ফল এবং চূড়াচাঁদপুর এলাকার অবস্থাও ভাল করার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। তবে পরিস্থিতি শান্তির দিকে মুখ ঘোরালেও সেনা এখনই সরছে না সে রাজ্য থেকে, বরং আগাম সতর্কতা হিসেবে মোতায়েন হতে চলেছে আরও কিছু বাহিনী। পড়শি রাজ্য নাগাল্যান্ড থেকেও আনা হয়েছে সেনা। চুরাচাঁদপুর সহ বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় ফ্ল্যাগ-মার্চ করছে সেনা। স্থলসেনার পাশাপাশি, মণিপুরে তৎপর বায়ুসেনাও। গতকাল সেনা জওয়ানদের নিয়ে গুয়াহাটি এবং তেজপুর থেকে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ও এএন-৩২ বিমান মণিপুরে পৌঁছয়। পাশাপাশি, সাধারণ নাগরিকদের হিংসা-কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করছে বায়ুসেনা।

    প্রশাসনের মাথাব্যথা ভুয়ো ভিডিও!

    সংঘর্ষের (Manipur Clash) আবহে প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ভুয়ো ভিডিও (Fake video)। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এই নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়। জানানো হয়, ‘শত্রুভাবাপন্ন একাংশের তরফে’ এই ধরনের ভুয়ো ভিডিও ভেবেচিন্তে ছড়ানো হচ্ছে। ‘অসম রাইফেলস’-র উপর হামলা-সহ একাধিক এমন ভিডিও রয়েছে সেই তালিকায়। ভারতীয় সেনার তরফে মণিপুরের বাসিন্দাদের কাছে আর্জি জানানো হয়, একমাত্র সরকারি এবং নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে পাওয়া তথ্য এবং ভিডিওতেই তাঁরা যেন বিশ্বাস করেন।

    কেন্দ্রকে সাহায্যের আর্জি মেরি কমের

    পরিস্থিতির (Manipur Clash) দিকে কড়া নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর মধ্যেই অনলাইনে দু’টি বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এমনকী পড়শি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও একপ্রস্ত কথাবার্তা সেরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার মেরি কম (Mary Kom)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন তিনি। আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার রাজ্য জ্বলছে। দয়া করে সাহায্য করুন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: স্বামী শহিদ হন গালওয়ান সংঘর্ষে, সেনায় যোগ দিয়ে চিন সীমান্তে গেলেন স্ত্রী!

    Indian Army: স্বামী শহিদ হন গালওয়ান সংঘর্ষে, সেনায় যোগ দিয়ে চিন সীমান্তে গেলেন স্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনা ফৌজের হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন স্বামী নায়েক দীপক সিং। শনিবার সেই শহিদ সেনার স্ত্রী রেখা সিং লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দিলেন ভারতীয় সেনায়। তিনি পোস্টিং পেলেন পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরে তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন চেন্নাইয়ে। শনিবার সেই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি যোগ দিলেন ভারতীয় সেনায় (Indian Army)। প্রসঙ্গত, রেখার স্বামী দীপক ছিলেন, বিহার রেজিমেন্টের ষোড়শ ব্যাটেলিয়নে। ২০২১ সালে তাঁকে মরণোত্তর বীর চক্রে ভূষিত করা হয়। পরের বছরই রেখা মহিলা ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। অবশেষে তিনি যোগ দিলেন লেফটেন্যান্ট হিসেবে।

    ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়ে রেখা কী বললেন সাংবাদিকদের?

    ভারতীয় সেনায় (Indian Army) যোগ দিয়ে রেখা সিং সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আজ আমার প্রশিক্ষণ শেষ হল। আমি এখন থেকে লেফটেন্যান্ট পদে কাজ করব। সেনায় যোগ দিতে পেরে অত্যন্ত গর্ববোধ হচ্ছে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্থির করেছিলাম সেনায় যোগ দেব। আজ সেই স্বপ্ন, সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারলাম।”

    রেখার সঙ্গে আরও ৫ জন যোগ দিলেন গোলন্দাজ বাহিনীতে 

    তবে শুধুমাত্র রেখাই নন, শনিবার একসঙ্গে পাঁচজন মহিলা আর্মি অফিসার হিসেবে গোলন্দাজ বাহিনীতে যোগ দিলেন সেনায়। তাঁরা সকলেই চেন্নাইয়ের ‘অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমি’তে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পাঁচ মহিলা অফিসারের মধ্যে দু’জনকে পাক সীমান্তের কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজন (রেখা-সহ) যোগ দিচ্ছেন লাদাখে চিনের সীমান্তের কাছে। তাঁদের সঙ্গে ১৯ জন পুরুষ অফিসারও যোগ দিলেন রেজিমেন্টে। গত জানুয়ারিতে চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছিলেন মহিলা অফিসারদের গোলন্দাজ বাহিনীতে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা। পরে তাঁর প্রস্তাবে সম্মতি দেয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manoj Pande: সাইবার যুদ্ধে চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে নতুন ইউনিট গঠন ভারতীয় সেনার

    Manoj Pande: সাইবার যুদ্ধে চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে নতুন ইউনিট গঠন ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাহিনীর একটি নয়া ইউনিট খুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। মোদি জমানায় ভারতকে হাতে মারতে না পেরে সাইবার ওয়ারফেয়ারে টক্কর দিতে চাইছে চিন (China) ও পাকিস্তান (Pakistan)। এমতাবস্থায় এই দুই শত্রু দেশের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ছিল নয়া ইউনিটের। সেই ইউনিটই খুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় আর্মি কমান্ডারর্স কনফারেন্স। উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande)। সেই কনফারন্সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে নয়া ইউনিট খোলার ব্যাপারে।

    কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের প্রয়োজন…

    সরকারি সূত্রে খবর, কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যাতে ভেঙে না পড়ে, সেজন্য ভারতীয় সেনায় কমান্ড সাইবার অপারেশনস অ্যান্ড সাপোর্ট উইংস খোলা হচ্ছে। ওই সূত্র জানায়, বর্তমানে সেনায় সাইবার স্পেশ দিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যুদ্ধক্ষেত্রেও এর প্রয়োজন রয়েছে। স্পেশালিস্ট ইউনিটের ওপর আলোকপাত এবং প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ওই সূত্র জানিয়েছে, আমাদের শত্রু দেশগুলি সাইবার ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে এই ইউনিট খোলা খুবই প্রয়োজন। ভারতীয় সেনা দ্রুত নেট নির্ভর হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই সব ক্ষেত্রেই আমাদের কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যাপক উন্নতি ঘটাতে হবে। এই সূত্রই জানিয়েছে, এই নয়া ইউনিট ভারতীয় সেনার সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    এই কনফারেন্সে ভারতীয় সেনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে (Manoj Pande) দেখা হয়। অপারেশনাল প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখা হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা হয় এই কনফারেন্সে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও চিহ্নিত করেছেন সেনার শীর্ষ কর্তারা। সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বাহিনীর কল্যাণ সাধনেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমান্ড সাইবার অপারেশসন অ্যান্ড সাপোর্ট উইংস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাহিনীর পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাহিনীর জওয়ানদের কল্যাণেও নানা (Manoj Pande) আলোচনা হয়। যেসব সন্তান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তাঁদের সেনা জওয়ান বাবা যদি শহিদ হন, তবে তাঁদের প্রাপ্য দ্বিগুণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাঞ্জাব। বুধবার ভোরে পরপর গুলি চলল ভাটিন্ডার সেনা শিবিরে। তাতে অন্তত চার সেনা জওয়ানের মৃত্যু। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে চলে গুলি বলে সূত্রের খবর। গুলি চলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সাউথ ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড।

    তপ্ত সেনা শিবির

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ৪টে বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা শিবিরে গুলি চলে। বিকট আওয়াজে ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই গুলির শব্দ শুনতে পান। সেনার তরফে জারি বিবৃতিতে আপাতত বলা হয়েছে, ‘ভোর ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা ছাউনির ভিতরে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এর পরপরই ‘ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিম’কে মোতায়েন করা হয় ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ভোর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই গুলি চালানোর ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ?

    প্রাথমিক ভাবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা বলে অনুমান। তবে, জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। কে বা কারা গুলি চালাল, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও, পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, এই গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন আগে ইনসাস রাইফেল (Insas Rifle) ও ২৮ টি কার্তুজ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সেনা ছাউনি থেকে। পুলিশ মনে করছে, কোনও সেনা কর্মীই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। গুলি করার পিছনে কারণ সূত্র খুঁজে পেতে তদন্ত জারি রয়েছে পঞ্জাব পুলিশের।

    কী বলছে পাঞ্জাব পুলিশ?

    ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানার বিবৃতি অনুযায়ী, এক জওয়ানই সম্ভবত সতীর্থদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে সেনা শিবির। এই সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে সেনা শিবিরের অন্দরেই এলোপাথাড়ি গুলি চলার ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ। সেনা শিবিরের বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনী। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই  ক্যুইক রিয়্যাকশন টিম কাজে নেমে পড়েছে। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকায় ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Misfired) ছুঁড়ল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সালমীরে। শুক্রবার পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়া চলাকালীন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তিনটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ‘ভুলবশত’ নিক্ষেপ করা হয় বলে সেনাসূত্রে খবর। 

    যান্ত্রিক ত্রুটিই দায়ী!

    সেনা (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাল্লা ১০ থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রই পাল্লার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ক্ষেতে আঘাত হেনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহত বা কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হঠাৎ মিসাইল আছড়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই পোখরানের ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে ওই মিসাইলের টেস্ট ফায়ারিং করা হচ্ছিল, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা ভুলবশত উৎক্ষেপণ হয়।

    আরও পড়ুন: সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত হল বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার যৌথ মহড়া

    তদন্ত চলছে

    প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিতাভ শর্মা জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে প্রশাসন সূত্রে জাানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া তিনটি মিসাইলের মধ্যে দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও, তৃতীয় মিসাইলটির হদিস মেলেনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী (Indian Army) মিলিতভাবে ওই ‘নিখোঁজ’ তৃতীয় মিসাইল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশী দেশে ভুলবশত ওই মিসাইল পড়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাচনার ডিএসপি কৈলাশ বিষ্ণোই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজাসার গ্রামের একটি ক্ষেতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি ক্ষেতে। ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের কারণে ক্ষেত দু’টিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ভারত সীমান্ত গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়েছে বারেবারে। হাতাহাতির ঘটনাতো নজর এড়ায়নি আমাদের, কয়েকমাস আগেই অরুণাচলের তাওয়াংয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছিল দুদেশের সেনা (Indian Army) মুখোমুখি চলে আসায়। কিন্তু এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রেখার পরিস্থিতি কী রকম? শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এলএসি বরাবর ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাওয়াংয়ে ঘটনার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা জওয়ানের মোতায়েন বাড়িয়েছিল ভারত। তাও কমানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

    কী বললেন সেনাপ্রধান? 

    এদিন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা পদক্ষেপ করছে সেনা (Indian Army)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যুদ্ধের ধরণও পাল্টে দিতে পারে।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন সেনাপ্রধান। তাঁর মতে, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধ বুঝিয়ে দিয়েছে জমি দখল এখনও লড়াইয়ের একটি মূল লক্ষ্য। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ে বিবাদ আছে। তাই আমাদের ক্ষেত্রে জমি দখলই হার-জিতের ফয়সালা করবে।’’ তাঁর দাবি, আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল। চিনের সব গতিবিধির উপরে নজর রাখছে ভারত।

    যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা মজুদ রয়েছে

    এদিন সেনাপ্রধান আরও বলেন এলএসি এবং তিনটি সেক্টরে আমাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা (Indian Army) মজুদ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে মিশে আমাদের সক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে সামনের এলাকার রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজ অনেক হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

  • Chinese Mobile: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    Chinese Mobile: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বড় সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সেনাকর্মীদের চিনে তৈরি মোবাইল ফোন (Chinese Mobile) ব্যবহার করতে নিষেধ করা হল। চিনের তৈরি মোবাইল এবং অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অফ অ্যাকচ্যুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর মোতায়েন সেনা জওয়ানদের এমনই নির্দেশিকা দিল গোয়েন্দা বিভাগ।

    কেন এমন নির্দেশিকা?

    গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, চিনা বা বিদেশি মোবাইলগুলি ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বহু ক্ষেত্রেই ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে চিনা মোবাইলে (Chinese Mobile), যা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে আগেও সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে। এবার সরাসরি চিন সীমান্তে যাতে এই মোবাইলগুলি ব্যবহার না করা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার বার্তা এল। মোবাইলের পাশাপাশি চিনা অ্যাপ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। এবারে শুধুমাত্র সেনাকর্মীরাই নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও চিনা ফোন ও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় সেনাকর্তাদের উদ্দেশে বলা বয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি-তে যে সমস্ত সেনাকর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন, তারা যেন কোনও চিনা মোবাইল ফোন বা চিনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করেন। প্রতিরক্ষা বিভাগকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিভাগকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেনাকর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, চিনা মোবাইল ফোন (Chinese Mobile) ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    চিনা ফোন ব্যবহারে না…

    জানা গিয়েছে, ভিভো, ওপো, শাওমি, ওয়ান প্লাস, হনর, রিয়েলমি, জিওনি, আসুস ও ইনফিনিক্সের মত মোবাইল ফোন, যা চিনে তৈরি হয় (Chinese Mobile), তা ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। এই ফোনগুলি ছাড়া বর্তমানে ভারতীয় বাজারে অন্যান্য যে ফোন রয়েছে, তা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে লাল ফৌজ। ফলে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share