Tag: Indian Army

Indian Army

  • Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ নির্মিত মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট “সুখোই ৩০-এমকেআই” হল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ৪০টি সুখোই-৩০ এম কে আই-এর আধুনিকীকরণ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মোস ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর আধুনিকীকরণও জরুরি। সেই পরিকল্পনা নিয়েই চলছে বায়ুসেনা

    আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর বেশ কিছু অংশকে আরও শক্ত করতে হবে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই কাজ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। ইতিমধ্যেই ৩৫ টি ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০ থেকে ২৫ টি ফাইটার জেট  উন্নত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মর যুদ্ধবিমান হল এই সুখোই-৩০। এর আধুনিকীকরণ করা হলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা এশিয়াতে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    প্রধানত এয়ার-টু-এয়ার সুপিরিওরিটি যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০। অর্থাৎ, মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। মোট বহন ক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার কেজি। দুই আসন বিশিষ্ট, দুই ইঞ্জিনের সুখোইতে রয়েছে একটি ৩০এমএম বন্দুক। মাঝারি পাল্লার গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার, ইনফ্রারেড হোমিং স্বল্প পাল্লার মিসাইল সহ একাধিক ক্ষপণাস্ত্র বহন করতে পারে সুখোই। পারমাণবিক অস্ত্রবহন করতেও সক্ষম সুখোই-৩০। এবার এই বিমানে বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-ভার্সান অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। একবার তা সম্পন্ন হলে, সুখোই-৩০ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Indian Army: আতঙ্কিত চিন! সীমান্তে আধুনিক ও উন্নত যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন ভারতের

    Indian Army: আতঙ্কিত চিন! সীমান্তে আধুনিক ও উন্নত যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোগরা -হটস্প্রিং থেকে দুদেশ সেনা সরালেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন (China)। এবার তারই পাল্টা দিল ভারত (India)। পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে চিন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ সেনার ব্যাটেলিয়ন মজুত রাখা হচ্ছে।

    সক্রিয় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Air Force)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান ওড়াচ্ছে ভারত। তাতেই আতঙ্কিত চিন! ভারতীয় সেনার লাদাখ সেক্টরের মানোন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। তাই বুধবারই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ৭৫ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সবমিলিয়ে স্থিতাবস্থা রয়েছে সীমান্তে। আপৎকালীন পরিস্থিতি থেকে দুই দেশই বেরিয়ে এসেছে। দিল্লি অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মত দেয়নি।

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা… 

    ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত বরাবর আধুনিক মানের উন্নত যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই মর্মে সেনার আর্টিলারি  ডিভিসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পুরনো ও ভারী প্রকৃতির ফিল্ড গানের জায়গায় বসানো হচ্ছে আধুনিকতম, হাল্কা ফিল্ড বা আর্টিলারি গান। সেই তালিকায় রয়েছে ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার ট্র্যাকড্ সেল্ফ প্রোপেল্ড কে-৯ বজ্র-টি (K9 Vajra-T) গান, অতিরিক্ত ১৫৫মিমি/৪৫ ক্যালিবার ধনুষ (Dhanush) আর্টি গান, ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) এবং আধুনিকীকরণ করা ফিল্ড গান সরঙ্গ (Sharang)।

    এর পাশাপাশি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হয়েছে অধিক পাল্লার পিনাকা রকেট সিস্টেমের সর্বাধুনিক সংস্করণ। রয়েছে অ্যারিয়াল ভেহিকলস, আধুনিক ড্রোন-সহ নানান সমরাস্ত্র। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে কিন্তু LAC-এর খুব কাছে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাতেই ঘুম উড়েছে চিনের। 

    আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    আগেই দিল্লির তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় কিন্তু কোনওভাবেই আর শান্তি ভিক্ষা করা হবে না। আর কয়েকমাসের মধ্যেই শীত এসে যাবে। এই অবস্থায় ভারত এবং চিন দুই দেশই সীমান্তে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছে, ভারত সীমান্তের কাছে রাস্তা এবং অন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। শীঘ্রই ধনুষ রেজিমেন্ট ইতিমধ্যেই তৈরি, বলে সেনা সূত্রে খবর। যদিও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত নয়া সেনাদল হয়ত বা শীতের পরই কসরত দেখাবে। উত্তর সীমান্তে চিনের গতিবিধির দিকে সবসময়ই নজর রয়েছে ভারতের। চিন যদি ভারতকে উপেক্ষা করে নিজেদের শক্ত করতে চায়, তাহলে সীমান্তে নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে এতটুকু খামতি দেখাবে না দিল্লি, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের।

  • Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    Make in India: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে সাফল্যের ছোঁয়া। এবার ভারতে অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্যাব ( Swedish defence company Saab)। সুইডিশ প্রতিরক্ষা সংস্থা স্যাব (SAAB)-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই ভারতে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তারা।  তবে কোথায় এই কারখানা গড়ে তোলা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    সুইডেনের এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে যে কারখানা গড়ে তোলা হবে, তাতে সংস্থার নির্মীত অন্যতম সফল অস্ত্র ‘কার্ল গুস্তাভ এম৪’ (Carl Gustaf M4) যুদ্ধট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, সুইডেনের বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও দেশে এই শোল্ডার মাউন্টেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার সিস্টেম উৎপাদন করা হবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এর জন্য ‘স্যাব এফএফভি ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন সংস্থা ২০২৪ সাল থেকে কার্ল গুস্তাভের রকেট লঞ্চার তৈরি করা শুরু করবে ভারতে।

    ভারতীয় সেনার জন্যই এই অস্ত্র তৈরি করা হবে। ১৯৭৬ সাল থেকেই স্যাবের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিককালে, ভারতীয় সেনার আধুনীকিকরণের ওপর জোর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর স্যাবের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের এই বিশেষ ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার সিস্টেমের বরাত সংক্রান্ত চুক্তি করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই মেক ইন ইন্ডিয়া শর্তেই রাজি হয় স্যাব। সুইডিশ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত অস্ত্রর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাই প্রাধান্য পাবে। পরবর্তীকালে, তা ভিন্ন দেশে রফতানিও করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সংস্থার আধিকারিক গর্জেন জোহানসন বলেন, ‘‘ভারতে কার্ল গুস্তাভ এম৪-এর কারখানার খোলার সিদ্ধান্ত খুবই সাধারণ পদক্ষেপ। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দিনের।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারত চাইছে একেবারে বিশ্বমানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করতে। আমরা ভারত সরকারের সেই লক্ষ্যে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত।” তবে যেহেতু এটাই সুইডেনের বাইরে স্যাবের প্রথম অস্ত্র প্রস্তুতকারক ইউনিট, তাই এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করতে চায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে ভারতীয় কোনও অংশীদারের খোঁজ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    CDS Anil Chauhan: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief Of Defence Staff ) বা সিডিএস (CDS) হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনিল চৌহান (Retd Lt General Anil Chauhan)। বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়তের (General Bipin Rawat) উত্তরসূরি হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু সিডিএস বা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফই নয়, অনিল চৌহানের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের কাজ ও সেনা স্তরীয় কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে একথা। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ৯ মাস পর নতুন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পেল ভারত।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভারতীয় সেনায় (Indian Army) ১১ গোরখা রাইফেলসের (11 Gorkha Rifles) সদস্য ছিলেন অনিল চৌহান। বহু বছর নর্দার্ন কমান্ডের বারামুলা সেক্টরে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফলে কাশ্মীর সম্পর্কে তাঁর ধারণা যথেষ্ট ভাল। তাঁর ৪০ বছরের কেরিয়ারে কাশ্মীরই শুধু নয়, উত্তর পূর্বের অনুপ্রবেশ ঠেকানোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহান ২০২১ সালের মে মাসে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধানের (General Officer Commanding-in-Chief, Eastern Command) পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণকারী অনিল চৌহান এককালে দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিললিটারি অ্যাকাডেমি (IMA), ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (NDA) ছিলেন। এছাড়াও ভারতীয় সেনায় স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রেও তিনি বিভিন্ন পদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা ইস্যুর ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ নাম হয়ে উঠতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে এক সামরিক হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে ভারতের সামরিক বাহিনীর এই সর্বোচ্চ পদটি ফাঁকাই ছিল। সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা– এই তিন পরিষেবার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে আসার জন্যই এই নতুন পদটি তৈরি করা হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তার জন্য দরপত্রও চেয়েছে তারা। ড্রোন, মিসাইল, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, আগ্নেয়াস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি সবই রয়েছে সেই তালিকায়। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি টেন্ডার ডেকেছে ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের ওপর ভরসা করে দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারী  সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চেয়েছে সেনা। 

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর থেকেই বিদেশ থেকে বহু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি, দেশেই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র কারখানার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনা সেই মতোই আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দরপত্র চেয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই টেন্ডার চূড়ান্ত করা হবে। 

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সেনা সূত্রে খবর, যে সংস্থাগুলি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বরাত পাবে, তাদের এক বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট সরঞ্জামগুলি সরবরাহ করতে হবে। সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু কিছুদিনআগে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন, সেখানে বিভিন্ন গবেষণাগার ও অস্ত্র তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন তিনি। মিসাইল স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ল্যাব, সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড প্রভৃতি জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর মতে, এই সংস্থাগুলি ভাল কাজ করছে। তাই ওপেন টেন্ডার ডেকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ভাল করার জন্য সেনা দ্রুত সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Siachen Glacier: সিয়াচেনে ভারতীয় সেনার জন্য স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা চালু

    Siachen Glacier: সিয়াচেনে ভারতীয় সেনার জন্য স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা চালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে দুর্গম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহেও সুবিধা থাকবে ইন্টারনেটের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর (Fire and Fury Corps) তরফে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ইন্টারনেট পরিষেবা স্যাটেলাইট নির্ভর। ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের তরফে জানানো হয়েছে, স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবাটি ‘সিয়াচেন সিগন্যালার’-দের (Siachen Signallers) দ্বারা বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহের ১৯,০৬১ ফুট উচ্চতায় চালু করা হয়েছে। ট্যুইটারে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই খবর জানানো হয়েছে সেনার তরফে।

    উল্লেখ্য, সিয়াচেন হিমবাহ হিমালয়ের পূর্ব কারাকোরাম রেঞ্জে প্রায় ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এর আগে রবিবার, লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর কে মাথুর প্যাংগং এবং নুব্রা মহকুমা পরিদর্শন করেছিলেন। এ সময় তিনি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। সিয়াচেনে সামরিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করতে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন ও  গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের অনুরোধ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিল ভারতীয় সেনা। এর জন্য, বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, কাউন্টার-ড্রোন, লয়টার অ্যামুনেশন, যোগাযোগ ও অপটিক্যাল সিস্টেম, বিশেষজ্ঞ যানবাহনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    In keeping with its commitment to fight the future wars with Indigenous Solutions, #IndianArmy invites Indian Defence Industry to offer critical defence equipment for Emergency Procurement. #IndianArmy #InStrideWithTheFuture pic.twitter.com/eAHYEM3cp7

    — ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) September 18, 2022

    এরপরেই ইন্টারনেট সুবিধাার এই ব্যবস্থা করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের জন্য। বিশ্বের সর্বোচ্চ ও দুর্গম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে ইন্টারনেটের কোনও সুবিধা না থাকায় জওয়ানদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট চালু করার ফলে আর কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indian Army: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা?

    Indian Army: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔপনিবেশ অতীতকে (Colonial Past) মুছে ফেলতে চাইছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। পোশাক, অনুষ্ঠান, রেজিমেন্টের নাম এবং ভবনগুলির নাম প্রাক স্বাধীনতার সংস্কতিকে বদলে ফেলতে তৎপর সেনাবাহিনী। বুধবার হওয়া একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে, সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল প্রচলিত রীতিনীতি, পুরানো অনুশীলনগুলি পর্যালোচনা করেন। এই বিষয়ক একটি প্রস্তাব পত্র ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। আর তাতে সেনার এই সিদ্ধন্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বেশ কিছু বর্ষীয়ান অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক।    

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী, হিজাব বিতর্কের আবহেই মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক আরএসএস প্রধানের

    সেনা সূত্র জানা গিয়েছে, প্রস্তাব পত্রের অর্থ এই নয় যে সমস্ত পরামর্শ কার্যকর করা হবে। কোনও পরিবর্তন কার্যকর করার আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তাব পত্রে বলা হয়েছে “প্রাচীন এবং অকার্যকর অনুশীলনগুলিকে বদলানোর সময় এসেছে।” জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর পোশাক নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে। কাঁধের পাশের কর্ড থাকবে কি না সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।   
     
    সেনা ইউনিটগুলির নামেও আসতে পারে বদল। শিখ, গোর্খা, জাট, পাঞ্জাব, ডোগরা, রাজপুত এবং আসামের মতো রেজিমেন্টগুলির নাম দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

    আরও পড়ুন: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?
     
    গত বছর কম্বাইন্ড কমান্ডার কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সশস্ত্র বাহিনীর রীতিনীতিতে স্বদেশীকরণের উপর জোর দিয়েছিলেন। যেসব রীতি অপ্রাসঙ্গিক তা বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। 

    স্যার ক্লড অচিনলেক এবং হার্বার্ট কিচেনারের মতো ব্রিটিশ কমান্ডারদের নাম অনুসারে ভবন, রাস্তা এবং পার্কের নাম রয়েছে। বদল আসতে পারে সেই নামেও। বিদেশী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেনা ইউনিটের অনুমোদনের বিষয়টিকেও পর্যালোচনা করা হয়েছে। থিয়েটার সম্মান এবং ব্যাটেল সম্মান নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের অনুদান, অনারারি কমিশনের অনুদান, বিটিং দ্য রিট্রিটের মতো অনুষ্ঠান এবং রেজিমেন্টের প্রধান ‘কর্নেল’ পদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। 

  • Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    Chinook: চিনকে টক্কর দিতে চিনুকের জন্য অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ ও অরুণাচল সীমান্তে চিনের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা লেগেই আছে। যদিও গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু পাকিস্তান বা চিনকে পুরোপুরি ভরসা করা যায় না, এমনই অভিমত কুটনৈতিক মহলের। অতীতেও বহুবার শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েও পিছিয়ে এসেছে প্রতিবেশী এই দুই দেশ। তাই দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনওরকম সমঝোতায় নারাজ ভারত। কারুর জমি অধিগ্রহণ নয় কিন্তু নিজের মাটিতে অনুপ্রবেশও বরদাস্ত করবে না ভারতীয় সেনা। তাই অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সবসময় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। এম ৭৭৭ হাউইৎজারও মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে সামনে রেখে নানা আধুনিক সমরাস্ত্রে সেজেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। লাইট মেশিন গান, অ্যাসল্ট রাইফেল, রকেট লঞ্চার সহ নানা উন্নত অস্ত্র রয়েছে সেনার কাছে। সূত্রের খবর, চিনুক হেলিকপ্টারকেও মোতায়েন করা হচ্ছে পূর্ব ভারতের সীমান্তে। সেনারা যাতে অরুণাচলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে তাই চিনুক হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নয়া হেলিপ্যাড।

    আরও পড়ুন: ফের জাল নোটের কারবার! আসামে জাল নোট ও জাল নোট তৈরি করার মেশিন সহ গ্রেফতার ৪ জন

    একই সঙ্গে সীমান্ত বরাবর নতুন স্যাটেলাইট টার্মিনালেরও ব্যবস্থা করছে সেনা। পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার ঠাকুর মায়াঙ্ক সিনহা জানিয়েছেন, আরও দক্ষ সেনা কাম্য। তাই সেনার প্রশিক্ষণ ও নয়া সমরাস্ত্রের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন যে অস্ত্রগুলি সেনা পাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল ইজারেয়েলে তৈরি নাগেভ লাইট মেশিন গান, মার্কিন অ্যাসাল্ট রাইফেল, সুইডিশ রকেট লঞ্চার। আমেরিকায় তৈরি বিভিন্ন গাড়িও যুক্ত করা হচ্ছে। এই গাড়িগুলি দুর্গম অঞ্চল পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jammu & kashmir: কাশ্মীরের কিশতওয়ার থেকে গ্রেফতার পাক মৌলবী গুপ্তচর

    Jammu & kashmir: কাশ্মীরের কিশতওয়ার থেকে গ্রেফতার পাক মৌলবী গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আবারও এক বড় সাফল্য অর্জন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কিশতওয়ারে (Kishatwar)  এক পাক গুপ্তচরকে (Cleric) গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। ধৃতের নাম আব্দুল ওয়াহিদ। মৌলবীর ছদ্মবেশে গুপ্তচরবৃত্তি করত সে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশতওয়ার পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ তথ্যের সূত্রে আব্দুল ওয়াহিদ (Abdul Wahid) নামের সেই মৌলবীকে গ্রেফতার করা হয়েছি। ওই মৌলবী চের্গী ডুলের বাসিন্দা। সে পাকিস্তানের এক গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।

    জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সী মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদ পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীরি ফোর্সের হয়ে কাজ করত। তার কাজ ছিল কিশতওয়ার থেকে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানে পাঠানো।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    সূত্র থেকে আরও জানা যায়, আব্দুল ওয়াহিদ কিশতওয়ারের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে এবং স্থানীয় একটি মসজিদে মৌলবি হিসেবে কাজ করে। রাজৌরি আর্মি ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলার পর থেকে, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছে, সেই খবর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এরপর এই তদন্তের সময়ই, এটি সামনে এসেছিল যে পাকিস্তানের কেউ কিশতওয়ারে বসে কাশ্মীরি বাহিনীর সদস্যদের সামরিক ক্যাম্প, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের পথগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাচার করছে। এরপর সেনাবাহিনী যখন কিশতওয়ারে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে, তখন মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদকে তারা খুঁজে পায়। তখনই জানা যায়, মৌলবী কিশতওয়ারে সেনা মোতায়েন, তাদের ক্যাম্প ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পর সেনাবাহিনী মৌলবী আব্দুল ওয়াহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াহিদ স্বীকার করেছে যে সে কিশতওয়ারে বসে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীরি ফোর্সের হয়ে কাজ করে। এছাড়া সে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যও দিয়ে আসছিলেন। ওয়াহিদ বলেছে যে তিনি কিশতওয়ারে নিযুক্ত সেনা সদস্যদের মোতায়েন, তাদের অফিসারদের ছবি এবং তাদের প্রতিদিনের যাতায়াত সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তান থেকে কিশতওয়ারে অনুপ্রবেশের পথ কী কী হতে পারে সে সম্পর্কেও তথ্য দিচ্ছিল।

    তবে আবদুল ওয়াহিদ অতীতে কিশতওয়ারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টায় জড়িত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী। সব তথ্য সংগ্রহের পর ওই মৌলবীকে আদালতে হাজির করে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেবে সেনাবাহিনী। আব্দুল ওয়াহিদকে গ্রেফতার করার পর, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার পর কিশতওয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: ৩০ ঘণ্টার অভিযানে হারিয়ে যাওয়া হাঙ্গেরি ট্রেকারকে উদ্ধার ভারতীয় সেনার 

    Indian Army: ৩০ ঘণ্টার অভিযানে হারিয়ে যাওয়া হাঙ্গেরি ট্রেকারকে উদ্ধার ভারতীয় সেনার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের (Himalaya) গিরিখাতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন এক হাঙ্গেরি ট্রেকার (Hungarian trekker)। সেই বিদেশি  নাগরিককে প্রায় ৩০ ঘণ্টার অভিযানের পর উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। 

    কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার উমাসি লা গিরিখাত (Umasi la Pass) বরাবর ট্রেকিং করার সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই হাঙ্গেরি নাগরিক। মূল শহরে ফেরার পথ হারিয়ে ফেলেন তিনি। অবশেষে ময়দানে নামে ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন বা সমকামী সম্পর্কও পরিবারের আওতাও পড়ে, জানাল শীর্ষ আদালত   

    এয়ারলিফ্ট করে উধমপুরে চিকিৎসার জন্য় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। উদ্ধার হওয়ার পর ঐ বিদেশি নাগরিক বলেন, “আমি ভারতীয় সেনার কাছে কৃতজ্ঞ। যাঁরা এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।”  

    হাঙ্গেরি প্রশাসনের তরফ থেকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হাঙ্গেরিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। একটি ট্যুইট করে তারা জানায়, বুদাপেস্ট এই উদ্ধার অভিযানে শামিল সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। 

     

    এএনআই সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ুসেনাও এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। এরপর হাঙ্গেরির নাগরিক কে উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের 

    গত জুন মাসে ১২ ঘণ্টা অনুসন্ধানের পরে অন্তত ১৭জন ট্রেকারকে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। তারা সেভেন লেকে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছিলেন বলে খবর। প্রচন্ড তুষারপাত ও খারাপ আবহাওয়ার জেরে তারা পথের মাঝেই আটকে পড়েন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share