Tag: Indian Army

Indian Army

  • Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    Indian Army: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ভারত সীমান্ত গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়েছে বারেবারে। হাতাহাতির ঘটনাতো নজর এড়ায়নি আমাদের, কয়েকমাস আগেই অরুণাচলের তাওয়াংয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছিল দুদেশের সেনা (Indian Army) মুখোমুখি চলে আসায়। কিন্তু এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রক রেখার পরিস্থিতি কী রকম? শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এলএসি বরাবর ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাওয়াংয়ে ঘটনার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা জওয়ানের মোতায়েন বাড়িয়েছিল ভারত। তাও কমানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

    কী বললেন সেনাপ্রধান? 

    এদিন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা পদক্ষেপ করছে সেনা (Indian Army)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যুদ্ধের ধরণও পাল্টে দিতে পারে।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রসঙ্গও তোলেন সেনাপ্রধান। তাঁর মতে, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধ বুঝিয়ে দিয়েছে জমি দখল এখনও লড়াইয়ের একটি মূল লক্ষ্য। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ে বিবাদ আছে। তাই আমাদের ক্ষেত্রে জমি দখলই হার-জিতের ফয়সালা করবে।’’ তাঁর দাবি, আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল। চিনের সব গতিবিধির উপরে নজর রাখছে ভারত।

    যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা মজুদ রয়েছে

    এদিন সেনাপ্রধান আরও বলেন এলএসি এবং তিনটি সেক্টরে আমাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সেনা (Indian Army) মজুদ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে মিশে আমাদের সক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে সামনের এলাকার রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজ অনেক হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

  • Chinese Mobile: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    Chinese Mobile: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বড় সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সেনাকর্মীদের চিনে তৈরি মোবাইল ফোন (Chinese Mobile) ব্যবহার করতে নিষেধ করা হল। চিনের তৈরি মোবাইল এবং অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অফ অ্যাকচ্যুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর মোতায়েন সেনা জওয়ানদের এমনই নির্দেশিকা দিল গোয়েন্দা বিভাগ।

    কেন এমন নির্দেশিকা?

    গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, চিনা বা বিদেশি মোবাইলগুলি ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বহু ক্ষেত্রেই ম্যালওয়্যার, বা স্পাইওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে চিনা মোবাইলে (Chinese Mobile), যা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে আগেও সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে। এবার সরাসরি চিন সীমান্তে যাতে এই মোবাইলগুলি ব্যবহার না করা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার বার্তা এল। মোবাইলের পাশাপাশি চিনা অ্যাপ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। এবারে শুধুমাত্র সেনাকর্মীরাই নন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও চিনা ফোন ও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় সেনাকর্তাদের উদ্দেশে বলা বয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি-তে যে সমস্ত সেনাকর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন, তারা যেন কোনও চিনা মোবাইল ফোন বা চিনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করেন। প্রতিরক্ষা বিভাগকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিভাগকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেনাকর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, চিনা মোবাইল ফোন (Chinese Mobile) ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    চিনা ফোন ব্যবহারে না…

    জানা গিয়েছে, ভিভো, ওপো, শাওমি, ওয়ান প্লাস, হনর, রিয়েলমি, জিওনি, আসুস ও ইনফিনিক্সের মত মোবাইল ফোন, যা চিনে তৈরি হয় (Chinese Mobile), তা ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। এই ফোনগুলি ছাড়া বর্তমানে ভারতীয় বাজারে অন্যান্য যে ফোন রয়েছে, তা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে লাল ফৌজ। ফলে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: আকাশে উড়ে সীমান্তে টহল দেবে ভারতীয় জওয়ানরা! আসছে জেটপ্যাক, কী এটি?

    Indian Army: আকাশে উড়ে সীমান্তে টহল দেবে ভারতীয় জওয়ানরা! আসছে জেটপ্যাক, কী এটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিয়াচেন হোক বা লাদাখ-অরুণাচলের কোনও প্রত্যন্ত এলাকা বা ভারত পাকিস্তান সীমান্ত, সব দিক থেকেই শত্রুদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবারে শক্তি বাড়াতে চলেছে ভারত। ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে এমনই কিছু পোশাক, অস্ত্র ও রোবট আসতে চলেছে, যার ফলে সীমান্তে নজরদারিতে আর কোনও সমস্যা হবে না। নিজেদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও উন্নত করতে সব সময়েই উদ্যত ভারতের সশস্ত্র বাহিনীগুলি (Indian Army)। শত্রুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার আরও মজবুত করছে ভারত। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার কাছে আসতে চলেছে জেটপ্যাক। যার ফলে শূন্যে উড়তে পারবে জওয়ান। আবার কিছু রোবোটিক মিউলস ও অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেমও পেতে চলেছে জওয়ানরা।

    কী এই জেটপ্যাক?

    আয়রন ম্যানের স্যুটের বিষয়ে নিশ্চয়ই জানেন আপনারা! এবারে ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও খানিকটা তেমনই পোশাক পেতে চলেছে। যার সাহায্যে আকাশে উড়তে পারবেন তাঁরা। এটি ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে চলবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ (UK) সংস্থা ‘গ্র্যাভিটি ইন্ডাস্ট্রিজে’র তৈরি জেটপ্যাকের প্রদর্শন হয়ে গিয়েছে আগ্রায়। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিওগুলি। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনা ৪৮টি জেটপ্যাকের বরাত দিয়েছে ওই সংস্থার কাছে।

    সংস্থার সিইও রিচার্ড ব্রাউনিং নিজে ওই মহাকর্ষ-বিরোধী স্যুট পরে শূন্যে উড়ে বেড়িয়েছেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জলাশয় ও ফাঁকা প্রান্তরের উপর উড়ছেন তিনি। তাঁর স্যুটের সঙ্গে তিনটি জেট ইঞ্জিনকে জুড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি স্যুটের পিছনে। বাকি দু’টি রয়েছে স্যুটের হাতে। প্রসঙ্গত, এই স্যুটগুলিতে জ্বালানি হিসেবে তরল গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওগুলি।

    রোবোটিক মিউলস

    জেটপ্যাক ছাড়াও রোবট প্রযুক্তিও সেনায় অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রোবোটিক মিউল কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, ১০০ টি রোবট কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, এটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় কাজ করতে সক্ষম ও অসম ভূখণ্ডেও চলতে পারে। এটিতে চারটি পা থাকবে। উল্লেখ্য, এই মিউলস ও জেটপ্যাকগুলি ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতির মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে কেনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আর্টিলারি গান সিস্টেম

    পাকিস্তান ও চিন দেশের সীমান্তে ভারত নিজেদের আর্টিলারি সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনার উপর কাজ করছে। এর ফলে সেনাবাহিনী ৩০৭টি এটিএজিএস হাউইটজার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম কেনার প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি হাউইটজারের জন্য এটিই প্রথম প্রস্তাব হতে চলেছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উচ্চতার অঞ্চলে এগুলির পরীক্ষা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলিকে আরও উন্নত কীভাবে বানানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। এই হাউইটজারগুলি তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা জওয়ান, কড়া নজরদারি গালওয়ান উপত্যকায়

    Indian Army: হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা জওয়ান, কড়া নজরদারি গালওয়ান উপত্যকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনা জওয়ানের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ফলে সেরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটতে পারে, তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু এই টহলদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এক অন্য ছবিই দেখা গেল গালওয়ানে, যা দেখে হতবাক ভারতীয়রা। দেখা যাচ্ছে, সেই রক্তাক্ত উপত্যকাতেই মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় সেনা। শুধু তাই নয়, প্যাংগং হ্রদের পাশে হাফ ম্যারাথন রেসেরও আয়োজন করা হয় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।

    মিশন ইমপসিবল!

    ভারতীয় সেনা কার্গিলের (Kargil) রুক্ষ জমিতে দাঁড়িয়ে হিমাঙ্কের নিচে থাকা তাপমাত্রায় ক্রিকেট খেলছে ভারতীয় জওয়ান, একে ‘মিশন ইমপসিবল’ই বলা চলে। সেই ক্রিকেট খেলার ছবিগুলি এই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। আর তা দেখে রীতিমত অবাক নেটিজেনরা। এমনিতেই উচ্চ অক্ষাংশ। তারপর সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ কম। তার উপর আবার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে। এমন এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে রীতিমত চলছে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস-এর তরফে ট্যুইট করে কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। পাটিয়ালা ব্রিগেডের ত্রিশূল ডিভিশন আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের যে উচ্ছ্বসিত ভঙ্গি দেখা গিয়েছে তা কার্যতই ‘মিশন ইমপসিবল’। ছবিগুলি পোস্ট করে ওই ব্রিগেডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি।’

    নজরদারি বাড়ানো হয়েছে গালওয়ানে

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা। ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও চিনের লাল ফৌজের (PLA) মুখোমুখি সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ি এলাকা। ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা কত তা সঠিক জানা যায় নি আজও। এই ঘটনার পরই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় জওয়ান এলএসি-তে উন্নত অস্ত্র সহ মোতায়েন করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India-China Border) গুরুত্ব দিয়ে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড (Indian Army Eastern Command)। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হল মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট (MRSAM Regiment)। ভারতীয় সেনায় প্রথম এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। সেনা পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের মাধ্যমে এই রেজিমেন্ট পরিচালিত হবে। 

    কীভাবে কাজ করবে এই রেজিমেন্ট

    সেনা সূত্রে খবর, ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন কাজ করবে এই রেজিমেন্ট। ভারত- চিন সীমান্তকে ঘিরে কোথাও যাতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ফাঁক না থাকে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় সেনা। তাই এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। এই রেজিমেন্টের সঙ্গে থাকবে মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল যা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিআরডিও। এই ধরনের মিসাইল সিস্টেমকে বলা ‘অভ্র’ ওয়েপন সিস্টেমও বলা হয়। প্রসঙ্গত, এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রও। আসলে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে ভারত। তারই অঙ্গ হিসাবে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর এই নয়া সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কালিটা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি লম্বা লাফের মতো। দেশের আত্মনির্ভর ভারত-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রেও ভারত দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি। এই রেজিমেন্ট গঠন হওয়া উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে এই রেজিমেন্টকে পরিচালিত করা হবে।  বিশেষ করে আকাশপথে দেশের প্রতিরক্ষা আরও নিশ্ছিদ্র করার পথে এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস ও এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পথে মোদি সরকার?

    Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পথে মোদি সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের জমানায় নেওয়া হয় এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সংবিধান থেকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হয় ধারা ৩৭০, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। সেসময় উপত্যকা জুড়ে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘটনার এখন তিন বছর পার হয়েছে। ফলে এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ভূস্বর্গ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সাড়ে তিন বছর পর উপত্যকা থেকে সেই সেনা প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষস্তর থেকে এই প্রস্তাব মঞ্জুর হলেই এই প্রস্তাব কেবল নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সশস্ত্র বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফলে এই প্রস্তাবনা গৃহীত হলে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ছাড়া আর কোথাও সেনা মোতায়েন থাকবে না। সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরেই এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।

    নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআরপিএফ

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাকে কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানে সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্যই সিআরপিএফ মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

    কেন এই পরিকল্পনা?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, সরকার দাবি করেছে যে ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যার ঘটনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। কমেছে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানকার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, উপত্যকার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসকেও তিনটি ভাগে তুলে নেওয়া হবে। সিআরপিএফকে দিয়ে তাদের আংশিক প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য সংখ্যা হ্রাস করা হবে, তাদেরকে একেবারে প্রত্যাহার করা হবে না। এইভাবে প্রায় ১৫ হাজার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

    উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। তখন থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে নেতৃত্বে দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। তবে ২০০৫ সাল থেকে শ্রীনগরে জঙ্গি দমন অভিযান পরিচালনা করে সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

  • DMK Leader: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের

    DMK Leader: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ভারতীয় সেনার খুনের অভিযোগে তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার হয়েছেন সে রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে কাউন্সিলর (DMK Leader)। কাপড় কাচাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিবাদ খুনে পৌঁছয়। মৃত্যু হয় প্রভু নামের ওই জওয়ানের। এবার তামিলনাড়ুর এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলেন মৃত ওই জওয়ানের ভাই প্রভাকরণ। তিনিও ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যতদিন পর্যন্ত না তাঁর দাদার খুনের সুবিচার মিলবে, ততদিন কাজে যোগ দেবেন না তিনি।  

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রভু নামে ২৯ বছরের ওই সেনা জওয়ান এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পুকুরে কাপড় কাচা নিয়ে ওই কাউন্সিলর (DMK Leader) এবং তাঁর সঙ্গীদের বচসা হয়। প্রাথমিক ভাবে বিবাদ মিটে গেলেও সেই রাতে চিন্নাস্বামী এবং তাঁর আট সঙ্গী মিলে প্রভু আর তাঁর ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এর পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই দুজন। অচৈতন্য অবস্থায় প্রভুকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেই অবস্থায় ওই দুই ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। 

    মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার ওই জওয়ানের (DMK Leader)। প্রভুর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার চিন্নাস্বামী এবং তাঁর ছেলে-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮ 

    কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ প্রভাকরণ (DMK Leader)। তিনি বলেন, “যতদিন না দোষীরা শাস্তি পায়, আমি ততদিন সেনায় ফিরব না। আমরা কোনও ভুল করিনি। ১৩ বছর ধরে সেনায় কাজ করছি। একমাসের জন্য বাড়িতে ফিরে এরকম ঘটনা দেখতে হল। শাসক দলের কাউন্সিলর হুমকি দিলেন, ভারতীয় জওয়ান হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারব না আমরা।”

    একই ঘটনা বার বার 

    তামিলনাড়ুর এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটার দাবি (DMK Leader) করলেন ভারতীয় সেনার আরও এক জওয়ান। হাবিলদার রঘু বহু বছর ধরে মাদ্রাস রেজিমেন্টে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, গত জানুয়ারিতে কৃষ্ণগিরিতে, তাঁর বৌ-বাচ্চাকে এক দুষ্কৃতির হাত থেকে বাঁচাতে, ওই দুষ্কৃতির গায়ে হাত তুলতে হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই কৃষ্ণগিরিতেই খুন হয়েছেন প্রভু। রঘু দাবি করেন সাধারণ এক বচসাতেই, রাস্তা আটকে লোহার রড নিয়ে তাড়া করে ওই দুষ্কৃতি। রঘুর দাবি, পালিয়ে বেঁচে কৃষ্ণগিরি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ অভিযোগ নেয় নি। এরপর তিনি পুরো বিষয়টি এসপিকে জানান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় যখন মৃত্যুমিছিল, তারই মধ্যে ভারতীয় এক সেনা জওয়ান পেলেন এক খুশির খবর। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কে পৌঁছে সুখবর পেলেন যে বাবা হয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সেনা জওয়ানের নাম রাহুল চৌধুরী ও তিনি উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা।

    সাতদিন কেটে গিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের। দুই দেশেই মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের এই পরিস্থিতিতে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯৯ জনের ভারতীয় সেনার দল গেছে তুরস্কে। সেই দলের সদস্য রাহুল চৌধুরী তুরস্কে দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে পেলেন এই খুশির খবর।

    পরিবারের আগে দেশসেবায় গেলেন ভারতীয় সেনা জওয়ান

    নিজের স্ত্রী যখন আট মাসের সন্তানসম্ভবা, তখন তিনি পরিবারের দায়বদ্ধতা দূরে সরিয়ে দেশের কথা ভেবে পাড়ি দিয়েছিলেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে। অন্যান্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রাণের সন্ধান করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারত যে দল পাঠিয়েছে তাতে নাম ছিল রাহুলের। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একা ফেলে যেতে চাইছিলেন না তিনি। তবে নিজের কর্তব্য থেকেও সরে আসতে নারাজ ছিলেন। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সিজারের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি। পরিবার না দেশের জন্য কাজ, কোনটা বেছে নেবেন, সেই নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন রাহুল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝতে না পেরে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি বলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।” রাহুলের স্ত্রী তাঁকে বলেন,  “আমার নাম এই অভিযানে রাখা হয়েছে, তখন সে বলে যে আমার উচিত দেশের কাজ যেন আগে করি। দেশসেবাই প্রথম ধর্ম।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি, মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    এর পরেই তিনি নির্দ্বিধায় দেশের হয়ে অন্য দেশের সাহায্যে চলে যান। এর পর তুরস্কগামী বিমানে উঠেই তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তুরস্কে পৌঁছেই রাহুল জানতে পারেন, পুত্র সন্তান হয়েছে। সকলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। রাহুলের বন্ধু এবং সহকর্মীরা চান নবজাতকের নাম যেন ‘তুর্কি চৌধরী’ রাখা হয়।

    তবে একা রাহুল নন, তুরস্কে উদ্ধারকাজে যাওয়া উত্তর প্রদেশেরই বাসিন্দা ভারতীয় সেনার সেপাই পদে কর্মরত কমলেশ কুমার চৌহানও তুরস্কে পৌঁছনোর পরই বাবা হওয়ার সুখবর পেয়েছেন৷

  • Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।

    কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?

    সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

    বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন  ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • Animal Cyborgs: ভারতীয় সেনায় এবার ইঁদুর বাহিনী! জানেন কী এই ‘র‍্যাট সাইবর্গ’?

    Animal Cyborgs: ভারতীয় সেনায় এবার ইঁদুর বাহিনী! জানেন কী এই ‘র‍্যাট সাইবর্গ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপনে শত্রুঘাঁটিতে ঢুকে আনাচ কানাচ ঘুরে খবর দেবে ইঁদুর বাহিনী। কোথায় লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা, কী পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আছে, কী কী পরিকল্পনা হচ্ছে সবই খুঁটিয়ে জেনে ভারতীয় বাহিনীকে বলবে সেনা-ইঁদুরের দল। সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি ঢুকছে কিনা, শত্রু সেনার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে কিনা সবই বলে দেবে। পুলিশ থেকে সেনা, নিরাপত্তা বাহিনীগুলিতে কুকুরের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। কিন্তু, শত্রুপক্ষের অজান্তে,তাদের ভিডিয়ো ফিড প্রদান করার জন্য কাজে আসতে পারে ইঁদুরই। নয়া এই ভাবনা ভেবে ফেলেছে ডিআরডিও। স্পষ্ট করে বললে,‘ব়়্যাট সাইবর্গ’ (Rat Cyborg) বা ‘ইঁদুর সাইবর্গ’ভারতীয় সেনাকে কয়েক কদম এগিয়ে দেবে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে ইতিমধ্যেই এই ধরণের ইঁদুর তৈরি হয়ে গিয়েছে।

    র‍্যাট সাইবর্গ আসলে কী

    একেবারে জ্যান্ত ইঁদুর দিয়েই র‍্যাট সাইবর্গ (Rat Cyborg) তৈরি করছেন প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা। এখন মনে হতে পারে সাইবর্গ কী? সাইবর্গ হল বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি এমন প্রাণী যাদের মধ্যে যান্ত্রিক শক্তিও থাকবে। অর্থাৎ আধা প্রাণী-আধা যন্ত্র। ‘ইঁদুর সাইবর্গ’ আদতে স্বাভাবিক ইঁদুরই। তবে, তাদের মস্তিষ্কে বিজ্ঞানীরা একটি ইলেক্ট্রোড স্থাপন করেছেন। ওই ইলেকট্রোডের মাধ্যমে ইঁদুরটি বাইরে থেকে পাঠানো সঙ্কেত গ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ, বিজ্ঞানীরা তাকে যেদিকে যাওয়ার সঙ্কেত দেবেন, ইঁদুরটি সেদিকেই যাবে। আর লাইভ ভিডিয়ো গ্রহণ করার জন্য এই ইঁদুরগুলির পিছনে একটি ছোট ক্যামেরা বেঁধে দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    কারা তৈরি করল

    হায়দ্রাবাদের ‘ডিআরডিও ইয়ং সায়েন্টিস্ট ল্যাবরেটরি’ বা ‘ডিওয়াইএসএল’-এর (DYSL) একঝাঁক তরুণ গবেষক এই ইঁদুরগুলিকে তৈরি করেছে। এই ডিভাইসের রিমোর্ট কন্ট্রোল থাকবে সেনার হাতে। ইচ্ছামতো বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো যাবে সেই ডিভাইসে। আগে থেকেই প্রোগ্রামিং করা থাকবে সবকিছু। রিমোর্ট কন্ট্রোল দিয়ে শুধু চালনা করতে হবে ইঁদুরকে।  ধরা যাক, জঙ্গিদের কোনও গোপন ঘাঁটির খবর আনতে হবে। সেখানে এই ইঁদুরদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না, শরীরে যন্ত্র বসানো আছে। সাধারণ ইঁদুরদের মতোই তারা সেই এলাকার আনাচ কানাচে ঘুরে বেড়াবে। যন্ত্রে বসানো ক্যামেরা গোটা এলাকার ছবি ধরা পড়বে। এবার কোনখানে ঢুকলে অস্ত্রের খোঁজ মিলবে, কোথায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে সেটা আন্দাজ করে ইঁদুরদের সেখানে পাঠানো হবে। যদি জঙ্গিদের কোনও গোপন বৈঠকও হয়, তার সবটাই ভিডিওর মতো দেখতে পারবেন সেনা জওয়ানরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share