Tag: Indian Army

Indian Army

  • Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় সেনা। লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে (Shyok River) পড়ে গেল জওয়ান বোঝাই গাড়ি। অন্তত সাতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখের তুরতুক (turtuk) সেক্টরে ঘটেছে ঘটনাটি। জখম হয়েছেন একাধিক সেনাকর্মী। বায়ুসেনার (IAF) নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।  

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জন জওয়ানকে নিয়ে পার্টাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়িটি। প্রায় ৯ কিমি চলার পর থয়েসের কাছে গাড়িটি পিছলে রাস্তা থেকে ৫০-৬০ ফুট  নীচে নদীতে পড়ে যায়।

    [tw]


    [/tw]

    দ্রুত উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের হরিয়ানার পাঁচকুলা জেলার চণ্ডীমন্দির এলাকার আর্মি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সাত জন জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে বায়ুসেনাকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি    

    ঘটনার পরেই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, “লাদাখের বাস দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের হারালাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যা সাহায্য প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করব।”

    [tw]


    [/tw]

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। তিনি লেখেন, “লাদাখের দুর্ঘটনার কথা জেনে মর্মাহত। আমাদের বীর সেনারা প্রাণ হারালেন। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: জম্মু টানেলে ধস উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

  • Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরে (Army Aviation Corps) যোগ দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক (Abhilasha Barak)। দেশের স্থলবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টারের প্রথম মহিলা চালক হলেন হরিয়ানার রোহতকের মেয়ে ২৬ বছর বয়সী অভিলাষা। ভারতীয় সেনা জন্যে অন্যতম গর্বের দিন। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন।”   
     
    [tw]


    [/tw]

    কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যেখানে যোগদান করলেন অভিলাষা? 

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব থেকে নতুন শাখা এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর। তবে ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পরাধীন ভারতে রয়্যাল বায়ুসেনাতেও ছিল বিশেষ এই দল। ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম ‘এয়ার অবজার্ভেশন পোস্ট’ তৈরি করা হয়। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই এয়ার অবজারভেশন পোস্টের হেলিকপ্টারগুলি শত্রুপক্ষের গতিবিধি নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার এই শাখা।

    ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরকে ‘প্রেসিডেন্ট কালার’ প্রদান করেন। এটি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। সেনাবাহিনীর কোনও স্কোয়াডকে তাদের ভালো কাজের পুরস্কারস্বরূপ সম্মানিত করা হয়।   

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    তৈরি হওয়ার পরেই সেনাবাহিনীর এই বিশেষ দল তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় ‘অপারেশন পবন’- এ যোগদান করে এবং সফল হয়। কার্গিল যুদ্ধের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই স্কোয়াড। সিয়াচেনে ২০ হাজার ফিট উচ্চতা থেকে নজরদারির দায়িত্বে আছে এই বিশেষ টিম। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিভিন্ন অপারেশনেও অংশ নিয়েছে এই রেজিমেন্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য উদ্ধারকাজেও বিভিন্ন সময় অংশ নেয় এই দল। 

    [tw]


    [/tw]

    এর আগে এই স্কোয়াডে মহিলাদের শুধুমাত্র ‘গ্রাউন্ড ডিউটি’ দেওয়া হত। গতবছরই সেনাবাহিনী জানায়, দুজন মহিলা অফিসারকে হেলিকপ্টার চালানোর প্রশক্ষণ দেওয়া হবে। অভিলাষাই প্রথম যিনি ‘চিতা’ হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়বেন। জুলাই থেকেই দুই মহিলা অফিসার হেলিকপ্টার ওড়ানো শুরু করবেন। 

     

     

     

     

  • Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে নজরদারি থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান চালানো সব ক্ষেত্রেই মহিলারা নিজেদের প্রমাণ করছে। বন্দুক হাতে যেমন সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন তেমনি দেশের সুরক্ষায় চালাচ্ছেন যুদ্ধবিমানও। এবার প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে সেনার কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক। ভারতীয় সেনার কাছে এই ঘটনা অত্যন্ত গর্বের। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন। যা দেশের কাছে গর্বের।

    [tw]


    [/tw]

    মাত্র ২৬ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন অভিলাশা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিলাশা সফলভাবে তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। তার পরেই তাঁকে কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি (OTA) থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আসেন। নাসিকের কমব্যাট আর্মি অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং স্কুলের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা কমব্যাট হেলিকপ্টার পাইলট হলেন।

    [tw]


    [/tw]

    তিনি ২০১৬ সালে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। ছোট থেকেই সামরিক পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছেন অভিলাশা। তিনি বলেন, ” ছোট থেকে সামরিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য সেনাবাহিনী নিয়ে আলাদা করে উৎসাহ ছিল না। কিন্তু যেদিন (২০১৩ সালে) ভারতীয় সামরিক অ্যাকাডেমিতে আমার বড় ভাইয়ের “পাসিং আউট প্যারেড” দেখি, তখন থেকে স্থির করি নিজেও সেনায় যোগ দেব। ”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    পাশাপাশি তিনি বলেন, “২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর আমি আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে বেছে নিয়েছিলাম। আমি জানতাম সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী সামরিক হেলিকপ্টার চালানোর জন্য মহিলাদেরও বেছে নেবে।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, “৩৬ জন সেনা পাইলটের সঙ্গেই ক্যাপ্টেন অভিলাশাকে এই মর্যাদাপূর্ণ শাখায় ভূষিত করা হয়েছে।”

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদান উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৫ জন মহিলা ইতিমধ্যে আর্মি অ্যাভিয়েশনে যোগ দেওয়ার জন্যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু পাইলট অ্যাপটিটিউড ব্যাটারি টেস্ট এবং মেডিক্যালের পর মাত্র দুজনকেই নির্বাচিত করা হয়। ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক দেশের প্রত্যেক মহিলার কাছে অবশ্যই গর্বের।
     

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেনাপ্রধানের (Indian Army Chief) দায়িত্বভার গ্রহণ করেই চিনের (China) উদ্দেশ্য়ে কড়া বার্তা দিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande)। তিনি জানিয়ে দিলেন, সীমান্ত এলাকায় চিনকে কোনও পরিস্থিতিতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না।

    গত সপ্তাহে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (MM Naravane)। তাঁর জায়গায় দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। একটি সাক্ষাৎকারে চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, স্থিতবস্থায় কোনওরকম পরিবর্তন আমরা হতে দেব না। আর কোনও ভাবেই জমি খোয়াব না।’’

    মনোজ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তে (India China border) যে অবস্থা রয়েছে তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ সেনাপ্রধানের দাবি, ‘‘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual control) বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের সেনাও (Indian Army) কৌশলগত সঠিক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশীর নিয়মিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকা এখন শান্ত।’’

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কথাবার্তাই একমাত্র সমাধান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমরা অতিরিক্ত সরঞ্জাম মোতায়েন করেছি। আমাদের লক্ষ্য হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমিত করা। সেনার কার্যকারিতা এবং শক্তিবৃদ্ধির জন্য বর্তমানে যে সংস্কার চলছে সেটাতেই নজর দিতে চাই।” একইসঙ্গে ইন্টার-সার্ভিস সমন্বয় বাড়ানোর গুরুত্বের ওপরও জোর দেন নতুন সেনাপ্রধান।

    অন্যদিকে, পাকিস্তান সীমান্ত (Pakistan Border) নিয়েও নিজের মুখ খুলেছেন সেনাপ্রধান। মনোজ পাণ্ডে জানান, আগের তুলনায় সংঘর্ষের পরিমাণ কমেছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Control) দুদিকেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা হলেও ভাল আছেন। তবে, তিনি এ-ও জানান, পাকিস্তানের দিক থেকে সন্ত্রাস ও মাদক পাচার (drug smuggling) দুই-ই চলছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ কমলেও, কাশ্মীরের অভ্যন্তরে নাশকতা কার্যকলাপ (terrorism) বেড়ে গিয়েছে। 

     

     

  • Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag) জেলার পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে খতম তিন হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি (Terrorist)। অমরনাথ যাত্রীদের উপর আক্রমণ করার ছক কষেই ওই জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)।   

    শুক্রবার যে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে এক জন এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সবচেয়ে পুরনো সদস্য বলে পুলিশের তরফে জানা গেছে। মৃত ওই জঙ্গির নাম আশরাফ মোলভি (Ashraf Molvi)। কাশ্মীর পুলিশের আইজি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আশরাফ মোলভি সহ অন্য দুই জঙ্গি সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে। অমরনাথ যাত্রার রাস্তায় এই জঙ্গিদের নিকেশ করতে পারা পুলিশের জন্য বড় সাফল্য।”    

    সেনা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের কাছাকাছি জঙ্গলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরই  নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। জঙ্গিরা গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় সেনা। এর পরেই সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায় ওই তিন জঙ্গি।   
     
    ২০১৩ সাল থেকে এই জঙ্গির বিরুদ্ধে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তকমা ছিল। আশরাফ মোলভি ছাড়াও নিহত হয়েছে মহম্মদ রফিক দ্রাঙ্গে এবং জামির তান্ত্রে ওরফে আকিব। এরা প্রত্যেকেই হিজবুল সদস্য হিসেবে পরিচিত। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অমরনাথের যাত্রীদের মধ্যে।

    পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, আইইডি (IED) বিস্ফোরক প্ল্যান্ট করা, সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলাসহ একাধিক নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগ রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত  জঙ্গি মোলভির বিরুদ্ধে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ১৯৯৯ সালে  বেআইনি অস্ত্র পাচার দিয়ে প্রথম অপরাধ জগতে প্রবেশ করে মোলভি। এই জঙ্গির নির্দেশেই ২০২১ সালে পঞ্চায়েত প্রধান গুলাম রসুল এবং তাঁর স্ত্রী জওহরা বেগমকে অনন্তনাগের লালচকে হত্যা করা হয়। অনন্তনাগ এলাকায় এবারও কোনও বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল হিজবুলের। এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা ছাড়াও আরও এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, ”মহম্মদ ইশৎাক শেরগোজরি নামে এক হিজমুল মুজাহিদিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নয়গাঁ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গিকেও অনন্তনাগ থেকেই পাকড়াও করেছে পুলিশ।”   

     

  • Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লাদাখ সীমান্তে সংঘাত মেটাতে চিনের কতটা ইচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানান, ভারত চাইছে সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসুক । তিনি বলেন,”তবে এটা কোনও মতেই এক তরফা হতে পারে না।” এই বিষয়ে তিনি কার্যত বেজিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

    চিন ইস্যুতে মনোজ পাণ্ডে বলেন,”মূল সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত ইস্যুর সমাধান। কিন্তু চিনের উদ্দেশ্য হল সীমান্ত সমস্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, তার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু অন্যদিক থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।” ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে চিনের আগ্রাসন ভারতের মাথা ব্যথার মূল কারণ। এই ঘটনার তিন বছর কেটে গেছে কিন্তু লাদাখে সীমান্ত রেখা নিয়ে বিবাদের সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি। 

    গত এপ্রিলে সেনার দায়িত্ব নেন মনোজ। সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান পদে ছিলেন মনোজ পাণ্ডে। ছিলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) পদে। এই কমান্ডই সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তের রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাই চিনের সীমান্ত সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্বচ্ছ। ২ বছর আগে এই মে মাসেই লাদাখে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে পা রেখেছিল চিনা ফৌজ। যার মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারত স্পষ্ট করেছিল নিজের অবস্থান। গোগরা, ডেপসাং, ডেমচকে সংঘাতের রেশ দেখা গিয়েছিল। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এরপর থেকে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলেছে। এখনও তা অব্যাহত। 

    এদিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘স্টেটাস কো পাল্টাতে দেওয়া হবে না’। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেন যে, দেশের অংশের একচুলও জমি ভারতীয় সেনা ছাড়তে রাজি নয়। সেই বিষয়টিও চিন সীমান্তে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। পর্যাপ্ত সেনাও রয়েছে সীমান্তে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। এদিন মনোজ বলেন,”কয়েকটি এলাকা নিয়ে চিনের সঙ্গে মতপার্থক্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে সেই জায়গার সমাধান সূত্র বের করতে আমরা চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। আলোচনা চলছে। আর এর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়।” 

  • Agnipath scheme: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    Agnipath scheme: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath scheme) নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (upper age limit) বাড়াল কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছর ভারতীয় সেনার (Indian Army) তিন বিভাগে ৪৬ হাজার তরুণ-তরুণীকে নিয়োগ করা হবে। মাধ্যমিক পাশের পরই এই পদের জন্য আবেদন করা যাবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরও ছেলে-মেয়েরা অগ্নিবীর হিসেবে দেশসেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন।

    তবে এই পদে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স হতে নূন্যতম সাড়ে ১৭ বছর। গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande), নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar), এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর (ACM V R Choudhury) উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানানো হয়, ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর পর্যন্ত যুবক-যুবতীরা চার বছরের চুক্তিতে সেনায় নিযুক্ত হতে পারবেন। তবে, বৃহস্পতিবার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার কথা জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: বিপুল বেতন পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা! মেয়াদ শেষে এককালীন করমুক্ত টাকার প্রস্তাবও

    কেন্দ্র এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত দু’বছরে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৩ করা হচ্ছে। করোনার জন্য গত দু’বছর সেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ফলে অনেক যুবক-যুবতীই বঞ্চিত হয়েছেন। সেনাতেও শূন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে। একথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    চুক্তির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে আমল দিতে নারাজ সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence) সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) একটি দূরদর্শী প্রকল্প। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ‘অগ্নিবীর‘রা (Agniveer) বহু জায়গা থেকেই কাজের সুযোগ পাবেন। সরকারি সংস্থা, রাজ্য পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার পাবেন ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক মহড়া চাক্ষুষ করলেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আমজনতা। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে (Teesta field firing range) সম্প্রতি হয়ে গেল ওই মহড়া। ভারতীয় সেনার (Indian Army) ত্রিশক্তি কোরের (Trishakti corps) সঙ্গে ওই মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF)। সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি ও সক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ মহড়ার। যার পোশাকি নাম “কৃপাণ শক্তি” (EX KRIPAN SHAKTI)।

    যৌথবাহিনীর ওই মহড়ায় প্রথমে সক্ষমতা প্রদর্শন করে ত্রিশক্তি কোরের সদস্যরা। লক্ষ্যবস্তুতে তাঁরা কত দ্রুত আঘাত হানতে পারেন, তারই প্রমাণ দেন এই সেনা জওয়ানরা। লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষিপ্র গতিতে আঘাত হানতে পারার কারণেই এই বাহিনীর এত নামডাক। এদিন এই বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নরকমের সামরিক হাতিয়ার ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেখান। বন্দুক, মর্টার, ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিক্যালস, হেলিকপ্টার সহ বিভিন্ন সেনা-সরঞ্জাম। কেবল শব্দ শুনেই কীভাবে লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে হয় (sensor to shooter), এদিন মহড়া হয়েছে তারও।

    এদিনের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Central Armed Police Forces) জওয়ানরাও। দক্ষতার প্রমাণ দেন এই জওয়ানরাও। বিপদ ঘনালে এই দুই বাহিনী যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, এদিন মূলত মহড়া হয়ে গেল তারই।

    মহড়া শেষে আয়োজন করা হয়েছিল অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনের। আমজনতাও তিস্তা রেঞ্জে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন হাতিয়ার চাক্ষুষ করেন। মহড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ, ত্রিশক্তি কোরের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার সহ দস্থ সেনাকর্তারা। কর্তাদের পাশাপাশি মহড়া চাক্ষুষ করেছেন বিএসএফ (BSF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), স্থানীয় সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকজন। উপস্থিত ছিলেন স্কুল-কলেজের এনসিসি (NCC) ক্যাডেটরাও।

    সেনার এক মুখপাত্র জানান, মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের জওয়ানদের মনোবল বাড়ানো। বিদেশি যে কোনও শক্তির মোকাবিলা করতে আমাদের সেনা যে প্রস্তুত, সেই বার্তাও দেওয়া হয়।

     

  • Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার!  দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    Indian Army: লাদাখে চিনকে টেক্কা দিতে নয়া হাতিয়ার! দেশে তৈরি আধুনিক অস্ত্র সেনার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে (Ladkh) শক্তি বাড়ালো ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চিনকে যোগ্য জবাব দিতে নতুন সমরাস্ত্র সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। মঙ্গলবার সেই ছবি ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। অস্ত্রগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মূলত পূর্ব লাদাখে এই অস্ত্রগুলো ব্যাবহার করা হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যান্ডিং ক্রাফট অ্যাসল্ট ভেসেল সীমান্ত (LAC) বারবার প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করবে।  দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের চেহারা। অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে সেনা। এইসঙ্গে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেনা জওয়ানদের সুরক্ষার দিকটিতে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার (Indian Army) হাতে ‘ফিউচার ইনফ্যান্ট্রি সোলজার অ্যাজ এ সিস্টেম’ অথবা এফ-ইনসাস (F-INSAS) তুলে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।



    সেনা সূত্রে খবর, এই অস্ত্রগুলির মধ্যে আকাশপথে চালকহীন নজরদারি ব্যাবস্থা বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি সার্ভিল্যান্স হার্ডওয়্যার, পেট্রলিং বোট, অ্যান্টি পার্সোনাল মাইন, নিপুন (Anti Personnel Mine Nipun), ইনফ্যান্ট্রি প্রোটেক্ট টিভ Mobility ভেহিকল হাতে পেলেন সেনা কর্তারা। যা দিয়ে ভবিষ্যতে লাদাখ সীমান্তে চিনের আস্ফালন ও অনুপ্রবেশ ঠেকানো আরও সহজ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং (Harpal Singh)। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩৫টি আসন! জানুন কী ঠিক হল বিহার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে

    সেনা সূত্রে খবর, আগের তুলনায় এল সি এ নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে ধাপে ধাপে। তবে পূর্ব লাদাখে ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় পূর্ব লাধাখের বিস্তৃত জলাশয়। নতুন ভেসেল আসার ফলে সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share