Tag: Indian Army

Indian Army

  • India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আকাশসীমা লঙ্ঘনের ‘অবাঞ্ছিত ঘটনা’ এড়াতে নতুন করে আলোচনা শুরু করল ভারত এবং চিন। সেনা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের চুশুল-মোলদো সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত আগেকার চুক্তি ও প্রোটোকল মেনে চলা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) ১০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’দেশের আকাশযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে দুই দেশই আপাতত  সম্মত হয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর।

    বছর পাঁচেক আগে কাজাখস্তানে সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপলক্ষ ছিল, উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চিনা সেনার হেলিকপ্টারের ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা অনুপ্রবেশ এবং গালওয়ানের সংঘাতের পরে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নজরে এসেছে চিনা ড্রোন এমনকি, বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা। তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও। জুনের চতুর্থ সপ্তাহে শেষ বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা আকাশযানের উপস্থিতি নজরে এসেছে ভারতীয় সেনার।
     
     
    কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও LAC বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন। এবার পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় ফাইটার জেট মোতায়েন করছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Airforce)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছে ভারত। তাতেই টনক নড়েছে চিনের।
  • Homage paid to Axel: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    Homage paid to Axel: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গির গুলিতে নিহত শারমেয় অ্যাক্সেলকে (Axel) শহিদ তকমা দিয়ে শ্রেষ শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) এক জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয় অ্যাক্সেলের। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর এই কুকুরটির মাথায় মোট তিনটি গুলি লাগে এবং তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি ঘটেছে বারামুল্লার ওয়ানিগামে (Wanigam)। 

    পুলিশ জানায়, মোট পাঁচ ঘন্টা ধরে চলা এনকাউন্টারে আখতার হুসেন ভাট নামে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং সংঘর্ষে দুই সেনা ও একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বারামুল্লার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মহম্মদ রইস ভাট বলেছেন, জঙ্গিরা ওয়ানিগাম গ্রাম ঘিরে ফেললে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং একটি থলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    শনিবার কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় বেলজিয়ান মালিনোয়া প্রজাতির কুকুর অ্যাক্সেল। বারামুলার ওয়ানিগম বালা গ্রামে দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে খবর পায় সেনা। এরপরই তল্লাশি অভিযানে নামে করে ২৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেল। এই অভিযানেই ছিল ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের দুই সেনা কুকুর বয়সি অ্যাক্সেল ও বাজাজ। দুজনেরই বয়স দু বছর। 

    যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে খবর পায় সেনা, সেটিতে প্রথমে তল্লাশি চালায় বাজাজ। সে খালি হাতে ফিরে এলে, এরপর ময়দানে নামে অ্যাক্সেল। প্রশিক্ষকের নির্দেশে পর পর দুটি ঘরে তল্লাশি চালায় সে। দ্বিতীয় ঘরটিতে ঘাপটি মেরে বসে ছিল এক জঙ্গি। সে অ্যাক্সেলকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি চালায়। সেনাদের দাবি, ওই অবস্থাতেও ছুটে গিয়ে জঙ্গির শরীরে দাঁত বসিয়ে দেয় অ্যাক্সেল। ফলে জঙ্গিকে পাকড়াও করা সেনা পক্ষে আরও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু মৃত্যু হয় অ্যাক্সেলের।

    আরও পড়ুন: ১৯১টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় সেনার শর্ট সার্ভিস কমিশন

    অ্যাক্সেলের মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করে চিনার কর্পস ব্যাটেলিয়ন। লেখা হয়, তোমাকে ধন্যবাদ অ্যাক্সেল। রবিবার সেনা আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের এলাকায় সমাধিস্থ করা হয় অ্যাক্সেলকে। 

     

    তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, আক্রমণাত্মক আচরণ এবং ক্লান্তিহীনতার জন্যে এই বিশেষ জাতের কুকুরকে বিভিন্ন জঙ্গি দমন অভিযানে ব্যবহার করে তদন্ত সংস্থা এবং ভারতীয় সেনা। এই কুকুরকে প্রথম নকশাল দমন অভিযানে কাজে লাগায় সিএরপিএফ। 

    এছাড়াও ভারতীয় সেনা বিভিন জঙ্গি অভিযানে ল্যাবরেডর, জার্মান শেফার্ড নিয়ে যায়। তুষারাচ্ছন্ন এলাকায় ব্যবহার করা হয় গ্রেট সুইস মাউন্টেন ডগ। এছাড়াও রয়েছে ককার স্যানিয়েলস। 

     

     

       

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ চিনা (China) নাগরিকের ভাষা মান্দারিন (Mandarin)। তাই সেই ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের দাবি, চিন সীমান্তের অবস্থা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনা (Indian Army) অফিসারদের মান্দারিনে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। মোটের উপরে বাহিনীতে মান্দারিন জানা জওয়ান-অফিসারের সংখ্যা বাড়ানোই সেনার লক্ষ্য।     

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার বিভিন্ন স্তরের কমিশনড অফিসাররা ইতিমধ্যেই মান্দারিন ভাষা ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন। সেনার নর্দার্ন, ইস্টার্ন এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের ভাষা-শিক্ষার স্কুলগুলিতে মান্দারিনের নানা রকম কোর্সের শিক্ষা চলছে। মান্দারিন লেখা পড়তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি টেরিটোরিয়াল আর্মিতেও মান্দারিন জানা জওয়ান ও অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা    

    সূত্রের মতে, ভবিষ্যতে দুদেশে মধ্যের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সেনা বাহিনীর দাবি, দুই দেশের বাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা, ফ্ল্যাগ মিটিং, বর্ডার পার্সোনেল মিটিং বা যৌথ সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে ভাষাটি জানা থাকলে সুবিধা হবে। মতের আদান-প্রদান সহজ হবে। চিনের সেনা বাহিনী যখন তাদের কোনও সিদ্ধান্ত জানাবে, তখন ভারতীয় অফিসারদের পক্ষে তার অর্থ আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। আবার ভারতের অফিসাররাও চিনকে তাঁদের বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত রণকৌশল তৈরি আরও সহজ হবে।  

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    সেনা বাহিনীকে মান্দারিনে দক্ষ করে তুলতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের পচমঢ়ীতে সেনার ট্রেনিং স্কুল এবং দিল্লির স্কুল অব ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজেস-এ চাকরি বাড়িয়ে তাদেরও এই প্রয়াসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা। সেনারা মান্দারিন ভাষা রপ্ত করতে পারছেন কি না, দিল্লির লাঙ্গমা স্কুল অব ল্যাঙ্গোয়েজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করেও দেখা হচ্ছে।    

     

  • Indian Army: দুই মহিলা পাকিস্তানি এজেন্টের ‘হানি-ট্র্য়াপে’ পড়ে ধৃত বাংলার এক জওয়ান

    Indian Army: দুই মহিলা পাকিস্তানি এজেন্টের ‘হানি-ট্র্য়াপে’ পড়ে ধৃত বাংলার এক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশের এক জওয়ান ‘হানি-ট্র্যাপে’ পরে ফাঁস করল সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য৷ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৪ বছর বয়সী জওয়ানের নাম শান্তিময় রানা (Shantimoy Rana), তিনি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে ও তাঁকে রাজস্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল। তাঁকে পাকিস্তানের দুই মহিলা ফাঁদে ফেলে তাঁর থেকে ভারতীয় সেনার বেশ কিছু তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। সেনার গোপন তথ্য ফাঁস করার পরেই রাজস্থান পুলিশের হাতে ধরাও পড়ল বাংলার জওয়ান৷ তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও ভারতের বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি এজেন্টরা। আবারও এমন ঘটনায় চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    আরও পড়ুন: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    ডিজি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, ওই দুই মহিলা এজেন্ট নিজেদের গুর্নুর কৌর (Gurnur Kaur) ওরফে অঙ্কিতা (Ankita) ও নিশা (Nisha) নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। তারা শান্তিময়কে বলেছিলেন যে অঙ্কিতা উত্তরপ্রদেশে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কাজ করেন ও নিশা মিলিটারি নার্সিং সার্ভিসের সঙ্গে জড়িত। এইভাবেই এই পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টদের ‘হানিট্র্যাপ’-এ ফেঁসে দেশের সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য, ভিডিও শত্রুদেশের এজেন্টদের হাতে তুলে দেয়।

    আরও জানা গিয়েছে, শান্তিময়ের সঙ্গে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় ও তাদের ইমপ্রেস করার জন্যেই এই ভিডিও, তথ্যগুলো পাঠায়। অথচ, ওই দুই মহিলাই পাকিস্তানি গুপ্তচর বাহিনী আইএসআই-এর এজেন্ট বলে দাবি করেছে রাজস্থান পুলিশ। ২৫ জুলাই প্রাথমিক তদন্তের পর মঙ্গলবার ২৬ জুলাই শান্তিময় রানাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সেনা, ডিআরডিও-র গোপন তথ্য হাতাতে ছড়ানো হচ্ছে ম্যালওয়ার! সতর্ক থাকার নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় বাহিনী থেকে আগেই সেনা জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতীয় সেনা। এর আগেও মে মাসে দিল্লি পুলিশ ভারতীয় বিমান সেনার এক জওয়ানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। সেনাদের একাধিকবার সতর্ক করার পরেও পাকিস্তানি এজেন্টদের ফাঁদ থেকে রেহাই পাওয়া যাাচ্ছে না।

     

     

  • Agnipath Scheme: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে

    Agnipath Scheme: নেপালি এবং গোর্খাদেরও সেনায় নিয়োগ করা হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সাতটি গোর্খা রেজিমেন্টে (Gorkha regiment) নেপালিদের (Nepali) এবং গোর্খাদের অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের ভারতীয় সৈন্যদের নিয়োগের শর্ত এখানেও মানা হবে। অন্যান্যদের মতো নেপালিদেরও চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে, যার পরে ২৫ শতাংশ সেনাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য রাখা হবে। নিয়োগের তারিখ নির্ধারণের জন্য ভারতীয়, নেপাল ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে। নেপাল থেকে গোর্খাদের নিয়োগ পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে অবস্থিত দুটি গোর্খা রিক্রুটমেন্ট ডিপো (GRD)-এর মাধ্যমে হবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা  
     
    ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের ৪৩ ব্যাটালিয়নে নেপালের আবাসিক এবং ভারতের সৈন্য রয়েছে। এই রেজিমেন্টে ৬০% নেপালিদের নেওয়া হয়, বাকি ভারতীয়দের নেওয়া হয়ে থাকে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দার্জিলিং, আসাম এবং মেঘালয় থেকে গোর্খাদের নিয়োগ করা হয় এই রেজিমেন্টে। ভারতীয় গোর্খাদের নিয়োগ এই রাজ্যগুলিতে অবস্থিত আর্মি রিক্রুটমেন্ট অফিসের (ARO) মাধ্যমে করা হয়।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ভারত, নেপাল এবং ব্রিটেনের সেনাবাহিনী প্রথমে নিয়োগ সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করে। এই বিশেষ দিনে, তিনটি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা নেপালের একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা পরিচালনা করে। এক সূত্র জানিয়েছে, “ধরা যাক, ১০০ জন প্রার্থী সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন এবং ব্রিটিশরা ২০, ভারত ৪০ এবং নেপাল সেনা ৫০ চায়। শীর্ষ ২০ জন নিয়োগপ্রাপ্তদের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পছন্দ দেওয়া হয়। এদের বেতন এবং ভাতা সর্বোচ্চ। পরবর্তী লট ভারত নেয় ভারত। ভারত নেপাল সেনাবাহিনীর ২.৫ গুণ বেতন ও ভাতা দেয়। ভারতীয়-আবাসিক গোর্খাদের নিয়োগের সময় সেনাবাহিনীকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। নেপাল থেকে গোর্খা রেজিমেন্টে যথেচ্ছ নিয়োগ হয়। একবার নেপালি সৈন্যরা ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করলে, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলি তাদের পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার জন্য অবসরপ্রাপ্তদের নিযুক্ত করে। যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং পরিষেবা দিয়েছে তাঁদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সমস্যা হয় ভারতীয়-আবাসিক গোর্খাদের নিয়ে। সম্প্রতি ভারতীয়দের জন্য সংরক্ষিত ৪০ শতাংশের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের ঘাটতি লক্ষ্য করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘাটতি পূরণের জন্যে সেনাবাহিনীতে কুমাওনি এবং গাদওয়ালীদের নিয়োগ শুরু হয়েছে। যদিও এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সেনাবাহিনীর ধারনা, যখন গোর্খারা দেখবে তাদের কোটা অন্যদের কাছে যাচ্ছে তাহলে গোর্খারা সেনায় যোগদানের বিষয়ে আরও আগ্রহী হবে।     

     

  • Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    Indian Army: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তির দ্বারা সামরিক বাহিনীকে সাজাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে দেশ। তারই এক ধাপ হিসেবে ভারতীয় সেনার হাতে কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেইকেল (QRFV) তুলে দিল টাটারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যুদ্ধ যান তৈরি করেছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (Tata Advanced Systems Limited)। সম্প্রতি এক ট্যুইট বার্তায় কোম্পানির তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

    মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটে ভিডিও পোস্ট করে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড (TASL) লিখেছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সফলভাবে QRFV তুলে দেওয়া হয়েছে।” কোম্পানির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে যে কোন রকমের সংঘর্ষের সময় এই যান ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট বলেছিলেন  কেন্দ্র সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত দেশীয় প্রযুক্তি ও ডিজাইন ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে উৎসাহিত করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদন সম্প্রসারণকেই পাখির চোখ করেছে মোদি সরকার।সম্প্রতি রাজ্যসভায় লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত গত চার বছরে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রের উদ্যোগে বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানি ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৬ শতাংশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    এপ্রিল মাসে, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে QRFV-এর প্রথম সেট অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলে আসছে কেন্দ্র। সেই পথে নতুন দিশা দেখাবে টাটা অ্যাডভ্যান্সড  সিস্টেমের ডেলিভারি, বলে আশা প্রতিরক্ষা মহলে।

  • INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। বৃহস্পতিবার এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। তার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indigenously built) তৈরি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে চলেছে নৌসেনা। এদিন বিক্রান্তকে নৌসেনার হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited) বা সিএসএল (CSL)। একাধিক ট্রায়ালের (Trial) পর নির্মাণ সংস্থার তরফে এই রণতরী  তুলে দেওয়া হল নৌসেনার হাতে। 

    [tw]


    [/tw]

    কোচিন শিপইয়ার্ড জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ৪৫ হাজার টন। সর্বোচ্চ ২৮ নট (Knot) গতিতে ছুটতে পারে এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier)। এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই যুদ্ধ জাহাজ হাতে পাওয়ার পর এদিন ট্যুইট বার্তায় ভারতীয় নৌসেনা জানায়, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিমানবাহী রণতরী হাতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজ চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগর (Indo Pacific region) এবং ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন করা হতে পারে এই রণতরী। এখানে থাকবে মিগ-২৯কে (Mig-29K) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft)। এছাড়াও এই রণতরীতে থাকবে কামোভ-৩১ (Kamov-31), এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল কপ্টার  এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter)। এর প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • Anti Tank Guided Missile: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা

    Anti Tank Guided Missile: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে আরও এক সাফল্যের মুখ দেখল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (Defence Research and Development Organisation) তৈরি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের (Anti Tank Guided Missile) পরীক্ষা সফল হয়। গত ২৯ জুন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আহমেদনগরের (Ahmednagar) কেকে রেঞ্জ থেকে ভারতীয় সেনারা এই মিসাইল ছুঁড়ে এর পরীক্ষা করে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, সফলভাবে যুদ্ধ ট্যাঙ্ক অর্জুন থেকে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ছুড়ে নজির গড়ল ডিআরডিও ও ভারতীয় সেনা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এদিন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও ভারতীয় সেনাদের এই সাফল্যের জন্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, মিসাইলটি নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পেরেছে এবং যে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বকে টার্গেট করা হয়েছিল তা সফলভাবে পূরণ হয়। ফলে এই মিসাইলের টেস্ট ফায়ার সফল হয়।

    [tw]


    [/tw]

    DRDO-এর চেয়ারম্যান, ডঃ জি সতীশ রেড্ডি (Dr G Satheesh Reddy ) অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল সিস্টেমের নকশা, উন্নয়ন এবং পরীক্ষায় জড়িত দলগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে লেজার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলটি এমবিটি অর্জুন যুদ্ধ ট্যাঙ্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

    আরও পড়ুন:’পৃথ্বী-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল নৈশকালীন উৎক্ষেপণ ভারতের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে নিম্ন রেঞ্জের লক্ষ্যগুলিকে নিক্ষেপ করতে সমস্যা হলেও অর্জুন ট্যাঙ্কের জন্য এই মিসাইলটি ছোঁড়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটি যে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ রেঞ্জের লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করতে সক্ষম তা এই টেস্ট- ফায়ারের মাধ্যমে জানা যায়।  এখানেই শেষ নয়, অল ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটিকে (ATGM) বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে যাতে সহজেই উৎক্ষেপণ করা যায় সেই অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এমবিটি অর্জুনের ১২০ মিমি রাইফেল বন্দুক থেকে এটিকে উৎক্ষেপণ করার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

     

  • Agniveer Recruitment Indian Army: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী? 

    Agniveer Recruitment Indian Army: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ভারতীয় সেনার, নিয়োগের প্রক্রিয়া কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের আওতায় অগ্নিবীর (Agniveer) জেনারেল ডিউটি, অগ্নিবীর টেকনিক্যাল, অগ্নিবীর ক্লার্ক/স্টোর কিপার, অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান সহ অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে প্রার্থীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।  

    প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদন শুরু হতে চলেছে আগামী জুলাই থেকে। প্রার্থীদের ARO দ্বারা সংশ্লিষ্ট পদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অনলাইনেই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। joinindianarmy.nic.in এই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০ জুন এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    কী যোগ্যতা লাগবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেতে

    বয়স: ১৭.৫-২৩ বছর 

    অগ্নিবীর জেনারেল ডিউটি- মোট ৪৫% নম্বর এবং প্রতি বিষয়ে ৩৩% নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণি পাশ করতে হবে। 
    অগ্নিবীর টেকনিক্যাল- পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক এবং ইংরেজিতে ৪০% নম্বর নিয়ে এবং মোট নম্বরে ৫০% পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। 
    অগ্নিবীর ক্লার্ক- যেকোনও বিভাগে ৬০% নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। প্রতি বিষয়ে ৫০% নম্বর পাওয়া আবশ্যিক।   
    স্টোর কিপার- যেকোনও বিভাগে ৬০% নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। প্রতি বিষয়ে ৫০% নম্বর পাওয়া আবশ্যিক।
    অগ্নিবীর ট্রেডসম্যান- দুটি ট্রেডসম্যান পদে অগ্নিবীরদের যথাক্রমে অষ্টম ও দশম শ্রেণি পাশ হতে হবে। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর বায়ুর রেজিস্ট্রেশন শুরু, কীভাবে করবেন আবেদন?

    নিয়োগ প্রক্রিয়া:

    ফিজিক্যাল ফিটনেস টেস্ট
    ফিজিক্যাল মেজারমেন্ট টেস্ট
    মেডিক্যাল টেস্ট
    লিখিত পরীক্ষা

    লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ভারতীয় সেনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আলাদাভাবে কোনও প্রার্থীকে চিঠি পাঠানো হবে না। প্রার্থীকেই নিজে থেকে ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে।

    জুলাই থেকেই আবেদন করতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। কোনও প্রার্থী একাধিক ক্যাটাগরিতে আবেদন করলে তাঁর আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।  

    প্রশিক্ষণের মেয়াদ সহ চার বছরের চাকরিতে সেনাদের নিয়োগ করা হবে। এই অগ্নিবীরদের আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে নিয়োগ করা হবে এবং প্রার্থীরা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে যেখানেই নির্দেশ দেওয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কিমের অধীনে নথিভুক্ত অগ্নিবীররা কোনও ধরনের পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না। 

    বেতন ১ম বছর- মাসিক ৩০,০০০ টাকা, ২য় বছর– মাসিক ৩৩,০০০ টাকা, ৩য় বছর- মাসিক ৩৬,৫০০ টাকা, ৪র্থ বছর- মাসিক ৪০,০০০ টাকা। চার বছর শেষে করবিহীন এককালীন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। 

     
     

  • Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ধসে বিপর্যস্ত মণিপুর (Manipur)। এবার ধসের (Landslide) কবলে পড়ল টেরিটোরিয়াল আর্মির (Army) সদস্যরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও আসম রাইফেলের জওয়ানদের। এখনও পর্যন্ত দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯ জন সেনা। একজন রেলের কর্মী। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জন সেনা বহিনীর কর্মী ও ৫ জন সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ থেকতে ৫০ জন ধসে আটকে রয়েছে।

    এদিন নোনে জেলায় ধসের মুখে পড়ে ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির একটি ক্যাম্প। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান,  ইম্ফল-জিরিবাম রেলওয়ে প্রজেক্টের কাজ চলছিল বলেই নিরাপত্তার জন্য সেখানে মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। বুধবার রাতে তুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কাছে ধসের ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ ৫০ জনের মধ্যে পাঁচ জন সাধারণ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপক ধসে ইজেই নদীর একাংশ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে নিচু এলাকা বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা।

    আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    ধসের কারণে আটকে যায় অনেকে। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক মানুষ। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন নতুন করে ধস হয়। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয় জানান তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার।

    পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, মণিপুরের টুপুল রেলস্টেশনের কাছে ধসের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। আরও দুটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তিনি জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরও দু’টি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীর কাছাকাছি না আসার এবং ধসের কারণে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    স্থানীয়দের মতে, বেশ কয়েকদিন ধরে মণিপুরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই সময় ধসের প্রবণতা অনেকটাই বেশি থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল।

LinkedIn
Share