Tag: Indian Army

Indian Army

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরে ফের আক্রান্ত এক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরে এক পরিযায়ী শ্রমিকের উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শ্রমিক। হামলার পরেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। তাঁর বাবার নাম আবদুল করিম। এদিন সকালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ওই বাঙালি শ্রমিকের উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সকালেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে ট্যুইটারে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। যদিও তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন।

    আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! গুলির লড়াইয়ে খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    এছাড়াও গতকাল রাতেই উপত্যকায় ভারতীয় সেনা ও  জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াইয়ে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। জানা গিয়েছে, তারা জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য। বুধবারে উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের বোমাই নামক গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় এক নাগরিক ও এক জওয়ান আহত হয়েছেন। গত বুধবার বোমাই গ্রামে পুলিশ ও ভারতীয় সেনার জওয়ানদের এক যৌথ অভিযান চালানোর সময় দুজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছেন। দুজন জঙ্গির মধ্যে একজনকে বোমাই গ্রামে ও একজনকে পুলওয়ামায় খতম করেছেন কাশ্মীর পুলিশ। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার ট্যুইট করে জানিয়েছেন,  নিকেশ করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে। একজনের নাম মহম্মদ রফি ও অন্যজন পুলওয়ামার কাইজার আশ্রফ। তারা সম্প্রতি সোপোরে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করবে বলে পরিকল্পনা করছিল। এরপর গোপন সূত্রে জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়েই ‌নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি অভিযান চালায়। এরপরেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এনকাউন্টারে তাদের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারেও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় লস্কর-ই-তৈবার তিন জঙ্গিকে সেনার গুলিতে নিকেশ করা হয়েছিল।  

     

  • Pangong Tso Bridge: লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা! প্যাংগংয়ে চিনের নতুন সেতু নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনা

    Pangong Tso Bridge: লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা! প্যাংগংয়ে চিনের নতুন সেতু নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual Control) চিনা সেনার (Chinese army) সক্রিয় গতিবিধি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে,প্যাংগং লেকের (Pangong Tso) কাছে বড় একটি সেতু নির্মাণ শুরু করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মি (PLA)। এই সেতু দিয়ে অনায়াসে ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধের সাঁজোয়া যান চলতে পারবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। তবে চিনের (China) পদক্ষেপ নিয়ে সতর্ক ভারতও (India)। কোনওরকম অনুপ্রবেশ দেখলে প্রতিবেশী দেশকে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা (Indian Army) এমনটাই জানিয়েছেন নয়া সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande)।
     
    চলতি মাসের শুরুতে লাদাখ সফরে যান সেনাপ্রধান। পূর্ব লাদাখে সেনার অবস্থান এবং চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সামরিক কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সেনাপ্রধানের দাবি, সীমান্ত এলাকায় চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না। তাঁর অভিমত, ‘‘ইন্দো-চিন সীমান্তে (India China border) যে অবস্থা রয়েছে তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের সৈন্যরাও কৌশলগত সঠিক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশীর নিয়মিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকা এখন শান্ত।’’ তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনা প্রস্তুত রয়েছে তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই এলাকায় অতিরিক্ত সৈন্য এবং অস্ত্র মজুত করেছি। এর সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে।’’

    সম্প্রতি লাদাখ সফরে গিয়ে প্যাংগং সো-র উপর চিনের নয়া সেতু নিয়ে সেনা-আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মনোজ পাণ্ডে। সেনা সূত্রে খবর, প্যাংগং সংলগ্ন যে এলাকা ১৯৬২ সাল থেকে চিনের দখলে, সেখানে এর আগেও ২০২১ সালের শেষের দিকে একটি সেতু নির্মাণ করেছিল পিএলএ। সেই সেতুর ঠিক পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে নয়া আরও বড় সেতুটি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এই দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে চিনা সামরিক বাহিনী। এই সেতু নির্মাণ হলে ভারত সীমান্তের কাছে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবে চিনা ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সাজোঁয়া যান।

    এদিকে ভারতও প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্যাংগং লেকের দক্ষিণাঞ্চলের কাছে পাহাড়গুলিতে ভারতীয় সেনা মোতয়েন থাকায় চিন খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে। লাদাখ সেক্টরে উপস্থিত রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বড় রেজিমেন্ট। তাই চিনের উপর ভারতও কড়া নজর রেখে চলেছে।

  • Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাটের (Amreen Bhat) হত্যায় জড়িত দুই দুই লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি। কাশ্মীরের অবন্তিপোরায় (Awantipora) এনকাউন্টারে এই দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। 

    ইসলামিক ফতোয়া না মানায় বুধবার রাতে আমরীন ভাটকে বুধবার বদগামের হাশরু গ্রামে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১০ বছরে ভাইপো, সেও আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর হত্যাকারীদের। 

    কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdulla) ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া জানান, “আমরীন ভাটের খুনের ঘটনায় দুঃখিত এবং হতবাক। আমরীনকে তাঁর প্রাণ দিতে হল এবং তাঁর ভাইপো আহত। ঈশ্বর তাঁকে স্বর্গে ঠাঁই দিক।”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
     
    কাশ্মীরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৩ দিনে নিকেশ করা হয়েছে ১০ জঙ্গিকে। এদের মধ্যে ৩ জন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। বাকি ৭ জন লস্করের সদস্য। 

    [tw]


    [/tw]

    মৃত জঙ্গিদের মধ্যে কাশ্মীরের টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাট হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিরাও ছিল বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। তাদের নাম শাকির আহমেদ ওয়াজা এবং আফরিন আফতাব। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।  

    [tw]


    [/tw]

    টেলিভিশন অভিনেত্রী আমরীন ভাট কাশ্মীরে বেশ জনপ্রিয় মুখ। টিকটক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশ সক্রিয় ছিলেন। পুলিশের ধারণা, ইসলামিক ফতোয়া না মানায় তাঁকে টার্গেট করে জঙ্গি গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

     

  • Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দর (Haifa Port) কিনেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বন্দরের সম্পর্ক আজকের নয়। তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১০০ বছর আগে— যখন অটোমান এবং জার্মানদের হাত থেকে এই বন্দর উদ্ধার করেছিল ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনা। ইতিহাসের সরণী বেয়ে ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা—

    সময়টা ১৯১৮। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র বল্লম সম্বল করে ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনারা (Cavalry) মেশিনগানধারী জার্মান-অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলের (Israel) হাইফা শহরকে। এই ঘটনা বদলে দেয় সেনার ইতিহাস। এই ঘটনার দুমাস পরেই শেষ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। পৃথিবী এমনভাবে বদলে যায়, যার কল্পনা কেউ কোনওদিন করেনি। ভারতীয়রা ইজরায়েলে আজ কেন এত সমাদৃত, তা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ১০০ বছর পিছনে।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    প্রেক্ষাপট

    ইজরায়েলের হাইফা শহর তখন জার্মান এবং তুর্কিদের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন মধ্যগগনে। বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে তখন দখলের চেষ্টায় রয়েছে অ্যালাইড ফোর্স বা মিত্র সেনা এবং সেন্ট্রাল পাওয়ারের দেশগুলি। কারণ বন্দরগুলিকে দখল করতে পারলে শহর দখল করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে যুদ্ধ জেতা সহজ হত। হাইফা তৎকালীন সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর ছিল।

    মিত্র বাহিনীর অন্তর্গত ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং রাশিয়ার নজরে ছিল হাইফা, নাজারেথ এবং দামাস্কাস। এই হাইফা এবং নাজারেথ বর্তমান ইজরায়েলের অংশ। দামাস্কাস বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী। জার্মান- অটোমানদের থেকে এই হাইফা বন্দর ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ফিফটিনথ ক্যাভালরি ব্রিগেডের ওপরে। 

    হায়দ্রাবাদ, মাইসোর, পাটিয়ালা, আলওয়ার এবং যোধপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপের অন্তর্গত এই বল্লমধারী ঘোড়সওয়ার সেনাদের। ভারতীয় বল্লমধারী সেনাদের নিয়ে গঠিত এই ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীকে হাইফা বন্দর আক্রমণের নির্দেশ দেয় ইংরেজ সরকার। কারণ তখন ইংরেজ সৈনিকরা অন্যত্র পাহারায় ব্যস্ত ছিল। 

    কিন্তু এ ছিল এক অসম্ভব এবং অসম যুদ্ধ। কারণ হাইফা শহরের একটু আগেই কারমেল পর্বতে, যুদ্ধের জন্যে সুবিধাজনক উঁচু স্থানে পাহাড়ায় ছিল জার্মান, অস্ট্রিয়ান এবং অটোমান সেনারা। তাদের হাতে ছিল উন্নত আর্টিলারিগান, মেশিনগান। আর ভারতীয় সেনাদের ভরসা শুধুই বল্লম। ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পাহাড় চড়াও প্রায় এক অসম্ভব কাজ। যেন এক ‘সুইসাইডাল মিশন’। কিন্তু সেদিন এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিল ভারতীয় সেনা।   

    যুদ্ধ

    ভারতীয় সেনারা জানতে পারেন, অটোমানরা পাহাড়ের ঢালু অংশের দিকে সবথেকে বেশি মাশিগানধারী সেনা মোতায়েন করেছে। কামান নিয়ে সেনারা পাহাড়ের চার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। মাইসোর ল্যান্সারদের ওপর মেশিনগানধারী সেনাদের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করার দায়িত্ব পরে। যাতে তারা মেশনগানের আগুনের হাত থেকে যোধপুর ল্যান্সারদের (Lancer) সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং তারা (যোধপুর ল্যান্সার) যাতে উত্তরদিক থেকে আক্রমণ করে কারমেল পাহাড় এবং হাইফা শহর সহজেই দখল করতে পারে।  

    ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেইমতো মাইসোর ল্যান্সাররা পাহাড়ের নীচের ভাগে আক্রমণ চালায়। আর যোধপুর ল্যান্সাররা আক্রমণ চালায় পাহাড়ের মূল অংশে জার্মান সেনাদের ওপরে। অবরোধ করা হয় রাস্তা। মেশিনগান এবং আর্টিলারির সামনে পড়ে যায় যোধপুর ল্যান্সাররা। নদীর চোরাবালিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তারা। কিন্তু এত বাধার পরেও হাইফা শহরে উপস্থিত হয় যোধপুর ল্যান্সাররা। তাদের পেছনেই শহরে ঢোকে মাইসোর ল্যান্সাররা। মেশিনগান, বুলেট কিছুই দমাতে পারেনি এই ভারতীয় বীরদের। ভয়ঙ্করভাবে আহত হওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। 

    ঘোড়সওয়ারদের এই দুই রেজিমেন্ট যৌথভাবে ২ জার্মান অফিসার এবং ৩৫ অটোমান অফিসারসহ ১৩৫০ জার্মান এবং অটোমানকে বন্দি বানায়। এছাড়াও ১৭টি আর্টিলারি গান, আটটি ৭৭ এমএম বন্দুক, চারটে ক্যামেল গান ও নেভাল গান এবং ১১টি মেশনগান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জয় কি বলিদান ছাড়া আসে! ভারতীয় সেনাদেরও এই জয়ের মূল্য চোকাতে হয়েছিল। যুদ্ধে ৮ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ জ্যায়। আহত হয় ৩৪ জন।

    ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর দলপত সিং- প্রাণ হারান যুদ্ধে। তাঁর বীরত্বের পুরো ঘটনা ইজরায়েলের পাঠ্যপুস্তকে আজও পড়ানো হয়। ‘হিরো অফ হাইফা’- র খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই যুদ্ধে হতবাক হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কীভাবে কয়েক জন বল্লমধারী, ঘোড়সওয়ার সেনা সংখ্যায় বহুগুণ বেশি মেশনগানধারী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল! 

    যুদ্ধের তাৎপর্য 

    সেদিনের যুদ্ধ যে শুধু হাইফা দখলের জন্যই ছিল, তা নয়। ওই যুদ্ধের পর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তুর্কী এবং জার্মান সেনাদের। এছাড়াও ভারতীয় সেনাদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে ইংরেজ সরকারের। এরপর থেকে ভারতীয়দের দিয়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ানোও শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরেই ১৯২২ সালে দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।

    ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা 

    স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি নতুন ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট তৈরির কথা ভাবা হয়। মাইসোর এবং যোধপুর ল্যান্স্যারদের স্মরণে ১৯৫২ সালে জয়পুরে ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। এটাই পৃথিবীর সর্বশেষ ঘোড়সওয়ার বাহিনী। পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক সম্মান পেয়েছে ভারতের এই ঘোড়সওয়ার বাহিনী। 

    হাইফা যুদ্ধে নিহত ভারতের বীর সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির তিন মূর্তি চকে একটি স্মৃতি সৌধ বানিয়েছে ভারত সরকার। ২০১৮ সালে ওই জায়গার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইফা চক’।

  • Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Ladakh Army Accident: লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় সেনা। লাদাখের (Ladakh) শিয়ক নদীতে (Shyok River) পড়ে গেল জওয়ান বোঝাই গাড়ি। অন্তত সাতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখের তুরতুক (turtuk) সেক্টরে ঘটেছে ঘটনাটি। জখম হয়েছেন একাধিক সেনাকর্মী। বায়ুসেনার (IAF) নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।  

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জন জওয়ানকে নিয়ে পার্টাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়িটি। প্রায় ৯ কিমি চলার পর থয়েসের কাছে গাড়িটি পিছলে রাস্তা থেকে ৫০-৬০ ফুট  নীচে নদীতে পড়ে যায়।

    [tw]


    [/tw]

    দ্রুত উদ্ধারকাজ চালিয়ে আহতদের হরিয়ানার পাঁচকুলা জেলার চণ্ডীমন্দির এলাকার আর্মি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সাত জন জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা জওয়ানদের সুচিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে বায়ুসেনাকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি    

    ঘটনার পরেই ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, “লাদাখের বাস দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের দেশের বীর জওয়ানদের হারালাম। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যা সাহায্য প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করব।”

    [tw]


    [/tw]

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। তিনি লেখেন, “লাদাখের দুর্ঘটনার কথা জেনে মর্মাহত। আমাদের বীর সেনারা প্রাণ হারালেন। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” 

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: জম্মু টানেলে ধস উদ্ধার কাজে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

  • Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরে (Army Aviation Corps) যোগ দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক (Abhilasha Barak)। দেশের স্থলবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টারের প্রথম মহিলা চালক হলেন হরিয়ানার রোহতকের মেয়ে ২৬ বছর বয়সী অভিলাষা। ভারতীয় সেনা জন্যে অন্যতম গর্বের দিন। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন।”   
     
    [tw]


    [/tw]

    কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যেখানে যোগদান করলেন অভিলাষা? 

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব থেকে নতুন শাখা এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর। তবে ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পরাধীন ভারতে রয়্যাল বায়ুসেনাতেও ছিল বিশেষ এই দল। ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম ‘এয়ার অবজার্ভেশন পোস্ট’ তৈরি করা হয়। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই এয়ার অবজারভেশন পোস্টের হেলিকপ্টারগুলি শত্রুপক্ষের গতিবিধি নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার এই শাখা।

    ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরকে ‘প্রেসিডেন্ট কালার’ প্রদান করেন। এটি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। সেনাবাহিনীর কোনও স্কোয়াডকে তাদের ভালো কাজের পুরস্কারস্বরূপ সম্মানিত করা হয়।   

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    তৈরি হওয়ার পরেই সেনাবাহিনীর এই বিশেষ দল তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় ‘অপারেশন পবন’- এ যোগদান করে এবং সফল হয়। কার্গিল যুদ্ধের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই স্কোয়াড। সিয়াচেনে ২০ হাজার ফিট উচ্চতা থেকে নজরদারির দায়িত্বে আছে এই বিশেষ টিম। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিভিন্ন অপারেশনেও অংশ নিয়েছে এই রেজিমেন্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য উদ্ধারকাজেও বিভিন্ন সময় অংশ নেয় এই দল। 

    [tw]


    [/tw]

    এর আগে এই স্কোয়াডে মহিলাদের শুধুমাত্র ‘গ্রাউন্ড ডিউটি’ দেওয়া হত। গতবছরই সেনাবাহিনী জানায়, দুজন মহিলা অফিসারকে হেলিকপ্টার চালানোর প্রশক্ষণ দেওয়া হবে। অভিলাষাই প্রথম যিনি ‘চিতা’ হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়বেন। জুলাই থেকেই দুই মহিলা অফিসার হেলিকপ্টার ওড়ানো শুরু করবেন। 

     

     

     

     

  • Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    Abhilasha Barak: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে নজরদারি থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান চালানো সব ক্ষেত্রেই মহিলারা নিজেদের প্রমাণ করছে। বন্দুক হাতে যেমন সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন তেমনি দেশের সুরক্ষায় চালাচ্ছেন যুদ্ধবিমানও। এবার প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে সেনার কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক। ভারতীয় সেনার কাছে এই ঘটনা অত্যন্ত গর্বের। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন। যা দেশের কাছে গর্বের।

    [tw]


    [/tw]

    মাত্র ২৬ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন অভিলাশা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিলাশা সফলভাবে তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। তার পরেই তাঁকে কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি (OTA) থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আসেন। নাসিকের কমব্যাট আর্মি অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং স্কুলের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা কমব্যাট হেলিকপ্টার পাইলট হলেন।

    [tw]


    [/tw]

    তিনি ২০১৬ সালে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। ছোট থেকেই সামরিক পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছেন অভিলাশা। তিনি বলেন, ” ছোট থেকে সামরিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য সেনাবাহিনী নিয়ে আলাদা করে উৎসাহ ছিল না। কিন্তু যেদিন (২০১৩ সালে) ভারতীয় সামরিক অ্যাকাডেমিতে আমার বড় ভাইয়ের “পাসিং আউট প্যারেড” দেখি, তখন থেকে স্থির করি নিজেও সেনায় যোগ দেব। ”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    পাশাপাশি তিনি বলেন, “২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর আমি আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে বেছে নিয়েছিলাম। আমি জানতাম সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী সামরিক হেলিকপ্টার চালানোর জন্য মহিলাদেরও বেছে নেবে।” ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, “৩৬ জন সেনা পাইলটের সঙ্গেই ক্যাপ্টেন অভিলাশাকে এই মর্যাদাপূর্ণ শাখায় ভূষিত করা হয়েছে।”

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারীদের যোগদান উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৫ জন মহিলা ইতিমধ্যে আর্মি অ্যাভিয়েশনে যোগ দেওয়ার জন্যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু পাইলট অ্যাপটিটিউড ব্যাটারি টেস্ট এবং মেডিক্যালের পর মাত্র দুজনকেই নির্বাচিত করা হয়। ক্যাপ্টেন অভিলাশা বারাক দেশের প্রত্যেক মহিলার কাছে অবশ্যই গর্বের।
     

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    Indian Army Chief Manoj Pande: “চিনকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না”, কড়া বার্তা নতুন সেনাপ্রধানের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: দেশের সেনাপ্রধানের (Indian Army Chief) দায়িত্বভার গ্রহণ করেই চিনের (China) উদ্দেশ্য়ে কড়া বার্তা দিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande)। তিনি জানিয়ে দিলেন, সীমান্ত এলাকায় চিনকে কোনও পরিস্থিতিতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না।

    গত সপ্তাহে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (MM Naravane)। তাঁর জায়গায় দেশের ২৯ তম সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। একটি সাক্ষাৎকারে চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, স্থিতবস্থায় কোনওরকম পরিবর্তন আমরা হতে দেব না। আর কোনও ভাবেই জমি খোয়াব না।’’

    মনোজ পাণ্ডে বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তে (India China border) যে অবস্থা রয়েছে তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ সেনাপ্রধানের দাবি, ‘‘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (Line of Actual control) বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের সেনাও (Indian Army) কৌশলগত সঠিক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশীর নিয়মিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকা এখন শান্ত।’’

    তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কথাবার্তাই একমাত্র সমাধান। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমরা অতিরিক্ত সরঞ্জাম মোতায়েন করেছি। আমাদের লক্ষ্য হল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমিত করা। সেনার কার্যকারিতা এবং শক্তিবৃদ্ধির জন্য বর্তমানে যে সংস্কার চলছে সেটাতেই নজর দিতে চাই।” একইসঙ্গে ইন্টার-সার্ভিস সমন্বয় বাড়ানোর গুরুত্বের ওপরও জোর দেন নতুন সেনাপ্রধান।

    অন্যদিকে, পাকিস্তান সীমান্ত (Pakistan Border) নিয়েও নিজের মুখ খুলেছেন সেনাপ্রধান। মনোজ পাণ্ডে জানান, আগের তুলনায় সংঘর্ষের পরিমাণ কমেছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Control) দুদিকেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা হলেও ভাল আছেন। তবে, তিনি এ-ও জানান, পাকিস্তানের দিক থেকে সন্ত্রাস ও মাদক পাচার (drug smuggling) দুই-ই চলছে। ফলে, নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ কমলেও, কাশ্মীরের অভ্যন্তরে নাশকতা কার্যকলাপ (terrorism) বেড়ে গিয়েছে। 

     

     

  • Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag) জেলার পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে খতম তিন হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি (Terrorist)। অমরনাথ যাত্রীদের উপর আক্রমণ করার ছক কষেই ওই জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)।   

    শুক্রবার যে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে এক জন এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সবচেয়ে পুরনো সদস্য বলে পুলিশের তরফে জানা গেছে। মৃত ওই জঙ্গির নাম আশরাফ মোলভি (Ashraf Molvi)। কাশ্মীর পুলিশের আইজি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আশরাফ মোলভি সহ অন্য দুই জঙ্গি সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে। অমরনাথ যাত্রার রাস্তায় এই জঙ্গিদের নিকেশ করতে পারা পুলিশের জন্য বড় সাফল্য।”    

    সেনা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের কাছাকাছি জঙ্গলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরই  নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। জঙ্গিরা গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় সেনা। এর পরেই সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায় ওই তিন জঙ্গি।   
     
    ২০১৩ সাল থেকে এই জঙ্গির বিরুদ্ধে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তকমা ছিল। আশরাফ মোলভি ছাড়াও নিহত হয়েছে মহম্মদ রফিক দ্রাঙ্গে এবং জামির তান্ত্রে ওরফে আকিব। এরা প্রত্যেকেই হিজবুল সদস্য হিসেবে পরিচিত। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অমরনাথের যাত্রীদের মধ্যে।

    পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, আইইডি (IED) বিস্ফোরক প্ল্যান্ট করা, সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলাসহ একাধিক নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগ রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত  জঙ্গি মোলভির বিরুদ্ধে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ১৯৯৯ সালে  বেআইনি অস্ত্র পাচার দিয়ে প্রথম অপরাধ জগতে প্রবেশ করে মোলভি। এই জঙ্গির নির্দেশেই ২০২১ সালে পঞ্চায়েত প্রধান গুলাম রসুল এবং তাঁর স্ত্রী জওহরা বেগমকে অনন্তনাগের লালচকে হত্যা করা হয়। অনন্তনাগ এলাকায় এবারও কোনও বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল হিজবুলের। এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা ছাড়াও আরও এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, ”মহম্মদ ইশৎাক শেরগোজরি নামে এক হিজমুল মুজাহিদিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নয়গাঁ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গিকেও অনন্তনাগ থেকেই পাকড়াও করেছে পুলিশ।”   

     

LinkedIn
Share