Tag: Indian Army

Indian Army

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

  • Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে তলব করল লখনউয়ের একটি আদালত। মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

    কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব। ওই মামলাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে আদালত। ঘটনাচক্রে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার ‘বিজয় দিবস’। এ প্রসঙ্গে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    কী বলছে আদালত

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব যে মামলা দায়ের করেন তাতে অভিযোগ করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সেখানে রাহুল জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা তাঁকে চিন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবে না বলে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। রাহুলের দাবি ছিল, চিন ভারতের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তারপরেও সেনা কিছু করেনি। তিনি এ নিয়ে ঠিক ছিলেন এবং দেশ তা দেখেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্যর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে রাহুল ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘সেনার অবমাননা’র অভিযোগ তুলেছিল বিজেপিও।

  • Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম বদলে গেল শতাব্দী-প্রাচীন ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed)। সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) সদর দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্মে এখন থেকেই নতুন নামে ডাকা হচ্ছে ২৫০ বছরের পুরনো এই সামরিক প্রতিষ্ঠানকে। এই নাম বদল নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে। তবে, কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, ঐতিহ্যের পুনঃস্থাপন এবং ব্রিটিশ যুগের প্রভাব সরিয়ে ফেলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে…

    মুঘল এবং ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে মোদি জমানায় দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে জায়গা ও প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করা হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। যেমন এলাহাবাদ শহরের নাম পাল্টে করা হয়েছে প্রয়াগরাজ। দেশের ব্যস্ততম মোগলসরাই রেল স্টেশনের নাম পাল্টে করা হয়েছে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। আবার রাজধানীর রাজপথের নাম পাল্টে করা হয়েছে কর্তব্য পথ। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে এবার কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলে দেওয়া হল।

    এখন থেকে ফোর্ট উইলিয়াম হল ‘বিজয় দুর্গ’

    এ প্রসঙ্গে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কমান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফোর্ট উইলিয়ামকে ‘বিজয় দুর্গ’ (Vijay Durg) নামেই ডাকা হবে। তিনি আরও জানান, গত ২ ডিসেম্বর নাম বদলের নির্দেশ আসে। শুধু ফোর্ট উইলিয়াম নয়, এর মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি জায়গার নামবদলও হয়েছে। যেমন ফোর্টের মধ্যে থাকা সেনা কমান্ডারের বাসভবন কিচেনার হাউসের নতুন নাম হয়েছে মানেকশ হাউস। দক্ষিণ প্রান্তের গেটের নাম ছিল সাউথ গেট বা সেন্ট জর্জ গেট। সেটি হয়েছে শিবাজি দ্বার। আবার পূর্ব প্রান্তের গেটের নাম রাখা হয়েছে স্বর্নিম বিজয় দ্বার। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) এক সূত্রের মতে, ঔপনিবেশিকতা ছাপ মুছতেই ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ফোর্ট উইলিয়ামের ইতিহাস

    ১৭৭ একর জমির ওপর তৈরি ২৫০ বছরের পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম সেই তখন থেকেই কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে। জানা যায়, ১৬৯৬ সালে মূল দুর্গটি তৈরি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। কিন্তু, সেই সিপাই বিদ্রোহের সময় এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা। তাতে বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুর্গটি। পরে, নতুন করে শুরু হয় নির্মাণ। প্রথমে ১৭৫৮ সাল থেকে তৈরি শুরু হয় এই সেনা ছাউনি তৈরির কাজ। পরে ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন।

    নতুন নামকরণের তাৎপর্য (Fort William Renamed)

    সেনা সূত্রে খবর, বিজয় দুর্গ নামকরণের নেপথ্যে বড় যুক্তি রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গে রয়েছে বিজয় দুর্গ। যা ছত্রপতি শিবাজি মহাজারাজের নৌবহরের ঘাঁটি ছিল। বলা হয়, এই দুর্গ অভেদ্য ছিল। পুনর্নির্মাণের পর একবারের জন্যও আক্রমণ হয়নি এই ফোর্ট উইলিয়াম। নতুন আক্রমণ ঠেকাতে এখানে ৪৯৭টি তোপ মোতায়েন করেছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু, একবারের জন্যও তা চালাতে হয়নি। আবার কিচেনার হাউসের নাম পাল্টে মানকেশ হাউস করার নেপথ্যেও রয়েছে বড় ইতিহাস। এই বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়েছিল সেনা কমান্ডারদের থাকার জন্য। ফিল্ড মার্শাল হোরাশিও হার্বার্ট কিচেনার ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনার তৎকালীন সেনা কমান্ডার। তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে ছিলেন ১৯০২-১৯১০ সাল পর্যন্ত। তাঁর নামেই নাম রাখা হয় বিল্ডিংটির (Fort William Renamed)। সেই নাম পাল্টে করা হয়েছে মানেকশ-র নামে, যিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। শুধু তাই নয়। ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময়, তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান, যার আমলে পাকিস্তান পর্যুদস্ত হয়েছিল এবং জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। সেই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই ইস্টার্ন কমান্ড (Army Eastern Command)। এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, ভারতের কাছে ৯০ হাজার পাক সেনার আত্মসমর্পণের পর তাদের তৎকালীন কমান্ডার এএকে নিয়াজিকে এই কিচেনার হাউসেই এনে আটক রাখা হয়েছিল।

  • India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনায় বিপুল জনপ্রিয় দেশে তৈরি পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের (Pinaka MBRL System)। বিশ্বের নজর টানা এই আর্টিলারি রকেট সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাশালী করতে সম্প্রতি ২টি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই এক জোড়া চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ফলে, পিনাকা সিস্টেমের ধার ও ভার উভয়ই প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে (India Defence)।

    দু’ধরনের রকেট উৎপাদনের চুক্তি

    প্রথম চুক্তির মূল্য ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চুক্তিটি করা হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা সম্পন্ন হাই-এক্সপ্লোজিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড রকেট অ্যামুনিশন কেনার জন্য। দ্বিতীয় চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় ৩৭ কিলোমিটার পাল্লার এরিয়া ডিনাইয়াল অ্যামুনিশন কেনা হবে, যেগুলি ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনার ১০টি পিনাকা রেজিমেন্টের জন্য। এরিয়া ডিনাইয়াল মুনিশনের বিশেষত্ব হল এটি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ও মাইন-বিধ্বংসী হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (India Defence)।

    সেনায় আরও গুরুত্ব পিনাকা-কে

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ রকেট ও অস্ত্রগুলি উৎপাদন করবে নাগপুরস্থিত বেসরকারি সংস্থা সোলার গ্রুপ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই মর্মে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ৪টি পিনাকা রেজিমেন্ট রয়েছে। এর একাংশ বর্তমানে দুর্গম চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। নতুন আরও ৬টি রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান।

    পিনাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতের

    কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিনাকা সিস্টেমে (Pinaka MBRL System) ব্যবহৃত রকেটের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। কোনওটার পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার তো কোনওটার ৭৫ কিমি পর্যন্ত। অধিক দীর্ঘ পাল্লার (৭৫ কিমি) রকেটগুলি গাইডেড প্রকৃতির। তবে, এখানেই থামতে রাজি নয় ডিআরডিও। ভবিষ্যতে, এই রকেটের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করে প্রথমে ১২০ কিমি এবং আরও পরে ৩০০ কিমি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে, একবার এই পাল্লা ভারতের হাতে চলে এলে, পিনাকা হয়ে উঠবে বাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র (India Defence)।

    কারগিলে জাত চিনিয়েছিল পিনাকা

    পুরাণ মতে, দেবাদিদেব মহাদেবের ধনুকের নাম ‘পিনাক’। সেই অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয় ‘পিনাকা’। সাবেক সোভিয়েত আমলের ‘গ্রাদ বিএম-২১’ রকেট লঞ্চারের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় পিনাকা। প্রথম এটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল এই দেশীয় রকেট সিস্টেম। কারগিল যুদ্ধের সময় দুর্গম এলাকায় এই পিনাকা ব্যবহার করে পাক ফৌজকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা (India Defence)। সেই সময় পাক সেনার ওপর মুহুর্মুহু আঘাত হেনেছিল পিনাকা রকেট। কার্যত রকেটের বর্ষণ হয়েছিল, যা পাক হামলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। এখন পিনাকা মোতায়েন রয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম অঞ্চলে।

    পিনাকায় মজেছে পশ্চিমি দুনিয়া

    বর্তমানে পিনাকা বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্টিলারি সিস্টেম (India Defence)। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেমের দৌলতে। এখন এই সিস্টেমের সর্বাধিক পাল্লা ৬০ কিমি। দুর্গম এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা। যে কারণে, পাশ্চাত্য দেশেও এটি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরমেনিয়া ইতিমধ্যে এই সিস্টেম কিনেছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম ব্যাচ তাজের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রান্স সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পিনাকা (Pinaka MBRL System) কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবার দিল্লির রাজপথে এক সঙ্গে শক্তিপ্রদর্শন করবে দেশের তিন বাহিনী। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এবার বিরাট বদল। ২৬ জানুয়ারির বিশেষ দিনে প্রতি বছর প্যারেডে আলাদা আলাদা ভাবে পরাক্রম দেখায় স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা। এবার সেই ছবিতে বদল আসতে চলেছে। দেশের তিন সেনাবাহিনীর ঐক্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে অভিনব এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ইন্ট্রিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (IDS)। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে সামরিক বাহিনীর তিন বাহুর (ট্রাই-সার্ভিস) সমন্বিত ট্যাবলো।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল, দেশের তিন বাহিনীর একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও বোঝাপড়া দৃঢ় করা। দেশের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়লে একজোট হয়ে ‘ত্রিশূল’-এর মতো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারতের তিন বাহিনী, এমনই স্বপ্ন দেশবাসীর। ভারতের তিন বাহিনীকে একছাতার নিচে আনতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে তিন সেনাবাহিনীর মধ্যে একে অপরের মধ্যে বোঝাপোড়া যেমন বাড়বে, তেমনই যুদ্ধক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে সুবিধা হবে। এই লক্ষ্যেই তিন সেনাবাহিনীর মাথায় নতুন পদ তৈরি হয়েছে যার নাম ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ (CDS)। 

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    এক অনন্য নজির

    প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট থিম নির্বাচন করে দেয়। ২০২৫ সালে থিম ‘স্বর্ণিম ভারত’। এই বছরের থিমটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং এর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রাকে তুলে ধরে। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশ সহ ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলো কার্তব্য পথ কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কেরাও উপস্থিত থাকতে পারেন ওই দিন।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজপথে তিন বাহিনীর এই পরাক্রম শত্রুপক্ষের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা। সেনা কর্তাদের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আসতে চলেছে আমূল বদল। যেখানে তিন বাহিনীর আধুনিকীকরণ তো বটেই, কৃতিত্ব এবং সহযোগিতামূলক ক্ষমতা প্রদর্শনের এক অনন্য নজির দেখবে ২৬ জানুয়ারি রাজপথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akashteer: এয়ার-ডিফেন্সের গেম-চেঞ্জার! ‘আয়রন ডোম’কেও ছাপিয়ে যাবে ভারতের ‘আকাশতীর’?

    Akashteer: এয়ার-ডিফেন্সের গেম-চেঞ্জার! ‘আয়রন ডোম’কেও ছাপিয়ে যাবে ভারতের ‘আকাশতীর’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারিদিকে বাড়ছে শত্রু। চিন-পাকিস্তানের চোখ রাঙানির সঙ্গে বছর শেষে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের আস্ফালনও। এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে দেশে অনুপ্রবেশ। বেআইনি কাজ রুখতে একদিকে যেমন সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে, তেমনই ভারতীয় সেনাও নিজের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। শক্তিশালী সামরিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা হুমকির দ্রুত পরিবর্তনশীল যুগে, ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের উন্নতির জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে ‘আকাশতীর’, পরবর্তী প্রজন্মের একটি আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ডিআরডিও এবং ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড (BEL) যৌথভাবে তৈরি করেছে।

    আয়রন ডোমের থেকেও ভয়ঙ্কর আকাশতীর!

    প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরতার পথেই হেঁটেছে ভারত। একাধিক দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি যেমন হয়েছে, তেমনই দেশীয় প্রযুক্তিতেও অস্ত্র-শস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক যুগে অত্য়াধুনিক অস্ত্র যোগ হয়েছে ভারতীয় সেনার ভাণ্ডারে। সেনাবাহিনীতে মাল্টিপল সেন্সর ইনপুটের জন্য যোগ করা হয়েছে আকাশতীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ভারতের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশলকে শক্তিশালী করবে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার।

    ইজরায়েলের আয়রন ডোম

    ইরান-লেবাননের শয়ে শয়ে মিসাইল হামলা ইজরায়েল প্রতিহত করেছে তাদের বিখ্যাত আয়রন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সবথেকে সুপরিচিত, ‘লৌহগম্বুজ’ বা ‘আয়রন ডোম’ ব্যবস্থা। ৪ কিমি থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার রকেট, শেল এবং মর্টারগুলিকে আটকানোর জন্য নকশা করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যেভাবে বারে বারে হামাস-সহ গাজার যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলি এবং লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী নাগাড়ে ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে গিয়েছে এবং ইজরায়েল যেভাবে সেই হামলাগুলিকে ভোঁতা করে দিয়েছে, তাতে আয়রন ডোমকে বর্তমান বিশ্বের সবথেকে যুদ্ধ-পরীক্ষিত এবং সফল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

    কীভাবে কাজ করেছে আয়রন ডোম

    ইজরায়েল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আয়রন ডোমের ব্যাটারি। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিন থেকে চারটি লঞ্চার থাকে। প্রতিটি লঞ্চারে থাকে ২০টি করে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল। রাডারের সাহায্যে উড়ে আসা রকেটগুলিকে শনাক্ত করে এবং ট্র্যাক করে আয়রন ডোম। তারপর এই ব্যস্থা হিসেব কষে দেখে যে, রকেটগুলি কোনও জনবহুল এলাকায় পড়তে পারে কিনা। যদি দেখে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে ওই রকেটগুলি লক্ষ্য করে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল নিক্ষেপ করে। আর যেগুলি কোনও জনবহুল এলাকায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে না, সেগুলিকে মাটিতে পড়ে নষ্ট হতে দেয়। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, তাদের এই ব্যবস্থা ইজরায়েলের দিকে উড়ে আসা ৯০ শতাংশ রকেটকেই ধ্বংস করে।

    বিমান প্রতিরক্ষায় ভারতের বিপ্লব

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে।

    বর্ধিত পরিসর এবং সঠিকতা

    আকাশতীরের মিসাইলটি একটি বর্ধিত হামলা পরিসর প্রদান করবে, যার মাধ্যমে এটি বৃহত্তর দূরত্ব থেকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো, যেমন সেনা ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং জাতীয় অবকাঠামোকে একাধিক সম্ভাব্য হুমকি থেকে রক্ষা করতে পারবে। মিসাইলটির উন্নত পরিসর এবং সঠিকতা, শত্রু বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে তাদের ক্ষতি করার আগেই লক্ষ্যবস্তু থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিক কার্যকরী। আকাশতীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এটি ভারতের বিদ্যমান আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে সমন্বয় স্থাপন করতে সক্ষম। এটি রাশিয়ার এস-৪০০ সিস্টেম এবং ইজরায়েল-উন্নত বারাক-৮ সিস্টেমের সঙ্গেও একত্রে কাজ করবে।

    মোবিলিটি এবং মোতায়েনের নমনীয়তা

    আকাশতীরের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং রেডার ইউনিটগুলি উচ্চ-মোবিলিটি যানবাহনে স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে এটি বিভিন্ন ধরনের ভূ-প্রকৃতিতে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব। সুতরাং, এটি যেকোনও পরিস্থিতিতে, বিশেষত সীমান্তে জরুরি সময়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে সক্ষম। সমতল ভূমি, পাহাড়ি এলাকা বা উপকূলীয় অঞ্চলে আকাশতীর সহজেই স্থাপন করা যেতে পারে, যা বাস্তব সময়ে কৌশলগত সুরক্ষা প্রদান করবে।

    প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভারত

    আকাশতীরের অন্যতম প্রধান দিক হল এটি একটি পূর্ণাঙ্গ দেশীয় প্রযুক্তি, যা সম্পূর্ণভাবে ভারতের ডিআরডিও এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড দ্বারা তৈরি। এই সিস্টেমটির উন্নয়ন ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির প্রতি বাড়তি দক্ষতা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে আত্মনির্ভরতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। এটি বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরশীলতা কমায় এবং একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা পরিবেশ তৈরি করে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে। ‘প্রজেক্ট আকাশতীর’-এর লক্ষ্য হল পরিস্থিতিগত সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রণের একটি “অভূতপূর্ব স্তর” প্রদান করা যাতে বন্ধুত্বপূর্ণ বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং “প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশপথে” শত্রু বিমানকে নষ্ট করা যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    Bharat Ranbhoomi Darshan: যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ দেবে ভারত রণভূমি দর্শন! কার্গিল, শিয়াচেনে গিয়ে শুনবেন সেনার বীরগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়্যার মেমোরিয়াল কিংবা ইতিহাসের খ্যাতনামা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন দেখতে দেশ-বিদেশে ছুটে যান পর্যটকরা (Tourists)। এবার ভারতেও সেই সুযোগ মিলতে চলেছে পর্যটকদের। সেই তালিকায় থাকছে সীমান্তে সদ্য ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ স্থলও। এত দিন পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য কার্যত নিষিদ্ধ ছিল ওই এলাকাগুলি। দেশের সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে এ বার পর্যটনক্ষেত্র (Battlefield Tourism) হিসাবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই উদ্দেশ্যে বুধবার সেনা দিবসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন।

    প্রতিরক্ষা ও পর্যটন মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগ

    ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনের সেনার সঙ্গে ভারতের সেনার সংঘর্ষ। যে ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিংবা ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে প্রায় দুমাস ধরে চলা উত্তেজনা। অথবা শিয়াচেনে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় সেনার প্রহরা। ১২০০০ ফুট উচ্চতা থেকে দুর্গম ভূমিতে সেনার আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবেন পর্যটকরা (Battlefield Tourism)। এছাড়া ৭৫টি অন্যান্য যুদ্ধভূমিও রয়েছে সেই তালিকায়। কার্গিলে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের স্মৃতি— সবই চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার ৭৭তম সেনা দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পর্যটন মন্ত্রক যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

    বীর সেনাদের লড়াই ক্ষেত্র

    আশির দশকে সিয়াচেন হিমবাহ, নব্বইয়ের দশকে কার্গিল কিংবা হালফিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা দেশের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক্স পোস্টে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান— ‘‘সেই পবিত্র স্থানগুলি দর্শন করুন যেখানে আমাদের বীর সেনারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেছিলেন।’’

    পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র সীমান্ত এলাকা 

    ভারতের ব্যাটলফিল্ড ট্যুরিজম (Battlefield Tourism)। পোশাকি নাম, ভারত রণভূমি দর্শন (Bharat Ranbhoomi Darshan)। এর মধ্যে রয়েছে লাদাখে কার্গিল ও গালওয়ান, রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু, বুম লা, সিকিমে চো লা ক্ল্যাশ। কিংবা কার্গিলে ড্রজ ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সুযোগ। চিফ অফ আর্মি স্টাফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Chief of Army Staff, General Upendra Dwivedi) বলেন, সীমান্ত এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়নের একটি অংশ এই উদ্যোগ। এই বিষয়ে ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এই উদ্যোগ চারটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি হল পরিকাঠামো, যোগাযোগ, পরিকাঠামো, শিক্ষা। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র করে তোলা হবে। এখানে ইতিহাসের তথ্য তুলে ধরা থাকবে। অনুমতি নেওয়া যাবে নিষিদ্ধ এলাকায় যাওয়ার জন্য, ওয়ার মেমোরিয়াল, মিউজিয়ামের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে।

    পর্যটন বুকে তুলবেন কোন কোন জায়গা (Battlefield Tourism)

    প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে সেনার তরফে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র (বর্তমানে যা হরিয়ানায়) পর্যটকদের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদেরও যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে এসেছে। মুঘল সম্রাট আকবর এবং রানা প্রতাপের ঐতিহাসিক হলদিঘাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই পর্যটনস্থল (Bharat Ranbhoomi Darshan) হিসাবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের ছবি ‘বর্ডার’ জয়সলমেরের মরুভূমিতে ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে রক্তসিক্ত লোঙ্গেওয়ালাকে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। এবার  টলোলিং, টাইগার হিল, সালতারো রিজ, পিপি ১৪-তেও ভিড় জমাবে মানুষ।

    ভারতীয় সেনার নয়া উদ্যোগ 

    ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধকালীন পর্যটন (Bharat Ranbhoomi Darshan) বিকাশের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এই নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ৭৫টি স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব স্থান ভারতের ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সাক্ষী। এই উদ্যোগের প্রথম দিকের প্রধান স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে গালওয়ান উপত্যকা, যেখানে ২০২০ সালে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল। চিনী বাহিনী ভারতীয় সেনাদের রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধা দেয়, এবং এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারান, যদিও চিনা বাহিনীর ক্ষতির পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    সিয়াচেনের সৌন্দর্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনী একইভাবে সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের মতো অঞ্চলে পর্যটন বিকাশের পরিকল্পনা করছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২৩ সালে এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয় (Battlefield Tourism)। এর পাশাপাশি কাকরেল, কার্গিল, এবং লোঙ্গেওয়ালা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রও এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে। কাকরেল, ১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এবং লোঙ্গেওয়ালা, যেখানে ১৯৭১ সালে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছিল, সেগুলি এখন পর্যটকদের জন্য একটি ইতিহাসের সাক্ষী। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলের মতো কিবিতু, বুমলা, রেজাংলা এবং পাংগং ত্সো, যেগুলি ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল, সেগুলিও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া, ১৯৬৭ সালের চো-লা সংঘর্ষস্থলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী চিনের উপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছিল।

    কেন সেনার এই উদ্যোগ

    এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চায়। এটি একটি সুযোগ, যেখানে দর্শনার্থীরা ভারতের সামরিক ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন এবং দেশের জন্য সংগ্রাম করা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, যে গত চার বছরে লাদাখ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে পর্যটক সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মূল কারণ উন্নত পরিকাঠামো, ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সীমান্ত পর্যটনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ। এবার সেই পর্যটনের সঙ্গেই জড়িয়ে যাবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জয়ের উপাখ্যান।

    আরও পড়ুন: শত্রুর এক ঝাঁক ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম ভারত, পরীক্ষায় সফল মাইক্রো মিসাইল সিস্টেম ‘ভার্গবাস্ত্র’

    ভারত রণভূমি দর্শন ওয়েবসাইট

    ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ (Bharat Ranbhoomi Darshan) ওয়েবসাইটটি জনসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা ভ্রমণ পরিকল্পনা সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এক ক্লিকে। যার মধ্যে এই স্থানগুলির কিছু পারমিটের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিশদ বিবরণ থাকবে (Battlefield Tourism)। ভার্চুয়াল ভ্রমণ, ঐতিহাসিক আখ্যান এবং ইন্টার‌্যাক্টিভ কন্টেন্ট প্রদান করা হবে স্থানগুলি সম্পর্কে। পর্যটন মন্ত্রক এবার থেকে অতুল্য ভারত (Incredible India) প্রচারের অংশ হিসাবে এই স্থানগুলির কথাও তুলে ধরবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share