Tag: Indian Army

Indian Army

  • Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    Cyberattacks by Pakistan: সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা! পাকিস্তানের সাইবার হামলা প্রতিহত করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) ৪টি ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করল পাকিস্তানি হ্যাকাররা (Cyberattacks by Pakistan)। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর, রানিক্ষেতের আর্মি পাবলিক স্কুলের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে। আর্মি ওয়েলফেরার হাউজিং অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও হামলার চেষ্টা হয়। কিন্তু বার বারই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যাকারদের একাধিক সমন্বিত সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। হ্যাকারদের লক্ষ্যই ছিল ভারতের সাইবার সুরক্ষা নষ্ট করা।

    কোন কোন ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান (Cyberattacks by Pakistan) প্রায় প্রতি দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে। সেই আবহেই পাকিস্তানি হ্যাকারেরা ভারতের সাইবার সুরক্ষা ভেদ করতে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, শ্রীনগর এবং রানিক্ষেতের সেনাবাহিনী স্কুলের ওয়েবসাইটগুলিতে হানা দিয়েছিল হ্যাকারেরা। বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পোস্ট ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এ ছাড়াও, ‘আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন’-এর তথ্যভাণ্ডারের হামলা করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন’ পোর্টালও হ্যাকারেরা নিশানা করে। শুধু ‘আইওকে’ নয়, ভারতের বিভিন্ন সাইবার হানার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অন্য পাকিস্তানভিত্তিক হ্যাকার গোষ্ঠীর। ‘আর্মি কলেজ অফ নার্সিং’-এর ওয়েবসাইট হ্যাকের অভিযোগে নাম জড়ায় হ্যাকার গোষ্ঠী— ‘টিম ইনসেন পিকে’র।

    সাইবার হানা প্রতিহত কীভাবে

    গোয়েন্দা (Cyberattacks by Pakistan) সূত্রে খবর, সাইবার হানার বিষয় নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েবসাইটগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তার পর হ্যাকারদের কবল থেকে তা পুনরুদ্ধার করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্তে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। এর মধ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর নতুন ছক প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতকে অশান্ত করার পাক চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। ভারতীয় অফিসারের নাম বলে ফোন করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা। সেনারা যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার রাস্তা জানার চেষ্টা করেছে আইএসআই। এবার, ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি হ্যাক করে সাইবার জগতে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তান।

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    India’s ‘Aakraman’ Exercise: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া কিসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান (Indi – Pakistan) উত্তেজনা যখন চরমে, তখনই ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) শুরু করেছে এক বড় সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। নামেই পরিষ্কার এই মহড়ার (India’s ‘Aakraman’ Exercise) উদ্দেশ্য ও বিধেয়। দেশের মধ্যাঞ্চলে শুরু হওয়া এই মহড়ার অংশ নিয়েছে বায়ুসেনার (Indian Air Force) তুখোড় যুদ্ধবিমানের বহর, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাফাল ও সুখোই-৩০ এমকেআই স্কোয়াড্রন।

    নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ

    রাফাল স্কোয়াড্রন দুটি, আম্বালা ও হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে, সেখান থেকে বিমানগুলি এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পূর্বাঞ্চল থেকেও বেশ কিছু বিমান ও সেনা-সরঞ্জাম এই মহড়ার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বায়ুসেনার এক অফিসার জানিয়েছেন, “এটি নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ হলেও, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর মহড়ার সময়সূচি তাৎপর্যপূর্ণ। রাফাল ও সুখোই বিমানগুলি নির্ভুল ভুমি-আক্রমণ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধাভিযান অনুশীলন করছে।” যদিও ভারত সরকার বলছে এটি একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ, তবে ইতিহাস বলছে অন্য কথা। অতীত বলছে, ২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের আগে চিন সীমান্তে একাধিক সামরিক মহড়া চালিয়েছিল। তার মাসখানেকের মধ্যেই গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, যাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনেরও প্রায় চল্লশিের বেশি সৈন্য নিহত হয়। আবার ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ঠিক আগে, তারা Zapad নামে বিশাল সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, যেখানে ২ লক্ষ সেনা, ৮০টির বেশি বিমান, ১৫টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল। এইসব নজির ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের ‘আক্রমণ’ মহড়া নিছক ট্রেনিং নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা—যেটি যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রতিফলন, তেমনি শত্রু পক্ষের কাছে একটি সতর্ক সংকেত।

    কেমন চলছে অনুশীলন

    এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মিগ-২১, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, AWACS (এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম), মিড-এয়ার রিফুয়েলার ও গরুড় কমান্ডোরা। মহড়ার অনুশীলনে সমতল এলাকা থেকে শুরু করে পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণের অনুশীলন করা হচ্ছে, যা বাস্তব অভিযানের অনুরূপ। সূত্রের খবর, ইস্টার্ন সেক্টর থেকে সেন্ট্রাল সেক্টরে অনেক বায়ুসেনার সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। যেখানে এই মহড়ার আওতায় দূরদূরান্তে গিয়ে শত্রুর অবস্থানে সুনির্দিষ্ট বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। পাইলটরা বাস্তব যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অনুশীলন করছেন, যাতে তাঁরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।

    আরব সাগরে নৌ মহড়া শুরু

    মহড়ার ঠিক আগেই পাকিস্তান আরব সাগরে নৌ-মহড়া শুরু করে এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তারিখে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য এনওটিএএম (Notice to Airmen/Mariners) জারি করে। একই সময় ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস সুরাটের মাধ্যমে সফলভাবে একটি মিড-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (MR-SAM) উৎক্ষেপণ করে, যা তাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার 

    পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে নানা পাল্টা পদক্ষেপ করেছে—ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত এবং সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নয়াদিল্লি যে এ বার কঠোর অবস্থান নিয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তা স্পষ্ট করতে বিহারে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার বলেন, “২৬ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। ভারত প্রতিটি জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বার করবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে।”

    সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস 

    পহেলগাঁওয়ে হামলায় সাতজন জঙ্গি শরিক ছিল, যাদের অধিকাংশই পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সাথে যুক্ত। তারা বডি-ক্যামেরা ও স্টিল কোর গোলাবারুদসহ একে-৪৭ নিয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, বিশেষত হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করে। এরপরই ভারতের সামরিক মহড়া এবং কূটনৈতিক কৌশল থেকে স্পষ্ট—দেশ এখন আর প্রতিক্রিয়ার নীতিতে নয়, বরং সক্রিয় প্রতিরোধে বিশ্বাস করছে। ‘আক্রমণ’ মহড়া সেই বার্তাই বহন করছে। কেন্দ্রীয় সেক্টরে বর্তমানে যুদ্ধ মহড়া চলছে। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর পাইলটরা পাহাড়ি ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুশীলন করছেন।

    থর মরুভূমিতে যুদ্ধ-প্রস্তুতি

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২৫-২৬ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একাধিক পোস্ট থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে অপ্রীতিকরভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনারা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে উপযুক্তভাবে জবাব দিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।” এই আবহে শুরু হয়েছে বায়ুসেনার আক্রমণ মহড়া, চলছে নৌসেনার প্রস্তুতি। একইসঙ্গে রাজস্থানে যুদ্ধ-প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। জয়পুরে সপ্তশক্তি কামান নিয়ে রাজস্থানের থর মরুভূমিতে পাক বর্ডারের কাছে যুদ্ধ-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সীমা অতিক্রম করে স্ট্রাইক ? এই যুদ্ধ-প্রস্তুতির মাধ্যমে। প্রতিপক্ষের সীমা অতিক্রম করে কীভাবে স্ট্রাইক করা যায়, তার জন্যই ভারতের এই যুদ্ধ-প্রস্তুতি। এই যুদ্ধ-প্রস্তুতিতে প্যারা-এসএফ কম্যান্ডোর সঙ্গে ট্যাঙ্ক ও স্পেশাল আর্মড ভেহিক্যালসের ব্যবহার করা হয়েছে। শত্রুদের এলাকা কব্জা করতে এই ট্যাঙ্কের ব্যবহার করা হয়, সূত্রের খবর। এরপর প্যারা কম্যান্ডো অপারেশনের পর ফিরে আসে।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশ। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যদিও ওই জঙ্গিদের এখনও ধরা যায়নি। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাজে তারা সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ।

    কুলগামে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গির বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    জঙ্গিদের দুই সহযোগী কুলগামে লুকিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হামলায় অভিযুক্তদের সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কুলগামে শনিবার সকালে যার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নাম জাকির আহমেদ গনি। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি যোগ না-থাকলেও নেপথ্যে থেকে কাজ করেছিল এই জাকির। হামলার পরিকল্পনায় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়েছে।

    পুলওয়ামায় ভাঙা হল আহসান আল হক শেখের বাড়ি

    পুলওয়ামায় (Pahalgam Attack) আহসান আল হক শেখ নামের আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভাঙা হয়েছে শনিবার সকালে। জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার মুরান গ্রামে সে থাকত। বুলডোজার দিয়ে শুক্রবার রাতে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে।

    নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা পাকিস্তানের, রাতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, পাল্টা জবাব দিল ভারতও

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাতেও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলি চালাল পাকিস্তান (Pahalgam Attack)। বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে খবর। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। শনিবার সকালেই এনিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২৫ এবং ২৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। একই ভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরাও। কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।’’

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Indian Army: ১০ মিলিসেকেন্ডেই দুশমন খতম! পাক-সীমান্তে বসছে এআই-নির্ভর রোবোটিক ওয়েপন সিস্টেম

    Indian Army: ১০ মিলিসেকেন্ডেই দুশমন খতম! পাক-সীমান্তে বসছে এআই-নির্ভর রোবোটিক ওয়েপন সিস্টেম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বসতে চলেছে ‘টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম’ (Ten AI Weapon System / TAIWS)। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাহারা দেবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ওয়েপন সিস্টেম। শীত-গ্রীষ্ম বা বর্ষা, পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ হতেই থাকে। ওয়াঘার ওপার থেকে জঙ্গি ভারতে ঢোকার কোনও বিরাম নেই। কখনও রাতের অন্ধকারে, কখনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার আড়ালে পাক জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের মাটিকে অশান্ত করতে, দেশের রক্তক্ষরণ ঘটাতে চায়। সেই সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতেই সীমান্তে নজিরবিহীন এক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা।

    কী করবে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম

    এমন অস্ত্র না কেউ কখনও দেখেছে, না শুনেছে! শুনলে মনে হবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প! কিন্তু সেটাই এবার বাস্তবে করে দেখাল ভারত। মুহূর্তে শত্রুকে চিহ্নিত করে কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই তাকে ঘায়েল করে দেবে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS)। এতে রয়েছে ঘন গাছপালা স্ক্যান করার জন্য দুটি ক্যামেরা। রয়েছে একটি মাঝারি মেশিনগান ব্যবহার করে যে কোনও হামলা মোকাবিলা করার ক্ষমতা। সব থেকে বড় বৈশিষ্ট হল এই সিস্টেম মাত্র ১০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে লক্ষ্যগুলিকে সারিবদ্ধ, সনাক্ত, ট্র্যাক এবং গুলি করতে পারে। এআই-ভিত্তিক “ট্র্যাক অ্যান্ড শুট” অস্ত্র, সম্প্রতি এরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ প্রদর্শন করা হয়েছিল।

    ১০ মিলিসেকেন্ডে দুশমন খতম

    এই যন্ত্রের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ক্যামেরা প্রথমে চিহ্নিত করবে শত্রুকে। তারপর মেশিনগানের সাহায্যে অনুপ্রবেশকারী বা জঙ্গিকে গুলি করে আক্রমণ শানাবে। শত্রুর গতিবিধি আঁচ করে মাত্র ১০ মিলিসেকেন্ডেই শত্রুর খেল খতম করে দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর এই ওয়েপন সিস্টেম। তবে শত্রুপক্ষের উপর গুলি চালানো হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাঙ্কারে বসে সিস্টেমটির নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মী। আগামী মাসে এই সিস্টেমটি মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    এই সিস্টেমে রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    এই সিস্টেমে রয়েছে একটি উচ্চক্ষমতাযুক্ত ডে ক্যামেরা ও অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা অন্ধকার বা ঝড়-কুয়াশার মতো প্রতিকূল আবহাওয়াতেও ২ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম। টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম-এর ক্যামেরা ৪০এক্স পর্যন্ত জুম করাও যাবে। মিডিয়াম মেশিন গানের ১.৮ কিলোমিটার পাল্লার গুলি জঙ্গল বা পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শত্রুকেও ঘায়েল করে দিতে পারে নিমেষে। তবে, এই সিস্টেমের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এর সেকেন্ডারি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক, যা ভূখণ্ডের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে ৫০০ মিটার থেকে ২ কিমি ব্যবধানে স্থাপন করা যাবে। ফলে, একটি ক্যামেরা থেকে শত্রু নিজেকে আড়াল করতে সক্ষম হলেও, বিভিন্ন পয়েন্ট ও অ্যাঙ্গলে থাকা ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়ে যাবে।

    রিমোট থাকবে সেনা অফিসারের হাতেই

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। স্বায়ত্তশাসিত ড্রোন থেকে শুরু করে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত। যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্র ব্যবস্থা অনেক সুবিধা প্রদান করে, তবুও এর কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তাই শত্রু দমন করলেও মানবতার দিক থেকে কোনও প্রশ্ন উঠুক তা চায় না ভারত। তাই টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS) শত্রুকে শনাক্ত করলেও তার উপর গুলি চালানো হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাঙ্কারে রিমোট হাতে দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মী।

    অস্ত্র ব্যবস্থায় এআই

    অস্ত্র ব্যবস্থায় এআই-এর ব্যবহার নতুন কোনও ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে, সামরিক গবেষকরা লক্ষ্য শনাক্তকরণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন সামরিক প্রয়োগ উন্নত করার জন্য এআই অ্যালগরিদমের ব্যবহার অন্বেষণ করে আসছেন। সম্প্রতি, মানবহীন আকাশযান (UAV) এবং ড্রোনের মতো স্বায়ত্তশাসিত অস্ত্র তৈরিতে এআই ব্যবহারের আগ্রহ বেড়েছে, যা সরাসরি মানুষের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই কাজ করতে পারে। এই অস্ত্রগুলি সামরিক অভিযানের গতি এবং দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। তবে ভারতীয় সীমান্তে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার প্রথম।

    কবে বসবে এইওয়েপন সিস্টেম

    আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনার বাঙ্কারে এই অস্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। আগামী দিনে কাশ্মীর সীমান্ত সুরক্ষিত করতে ভারতীয় সেনার এই সমরাস্ত্র যে নিজের কেরামতি দেখাতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেনা ও বন্দুকের গুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার সীমান্ত পাহারায় নয়া উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS)। সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির অস্ত্র বসাতে চলেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ও অনুপ্রবেশকারী রুখতে আগামী দিনে ভারতের (India) নয়া বাজি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ওয়েপন সিস্টেম।

  • Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকভাবে ধোঁয়াশা থাকলেও শুক্রবার সকালে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলন উপলক্ষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রনেতা৷ ব্যাংককে চাও ফ্রায়া নদীর পাশে শাংরি-লা হোটেলে আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসতেও দেখা যায় তাঁদের৷ এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, বিমস্টেকের অঞ্চলের মধ্যমণি উত্তরপূর্ব ভারত। স্বল্প কথাতেই মোদি বুঝিয়ে দেন, উত্তরপূর্বের এই ৭ রাজ্য শুধু ভারত নয়, বরং বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র ‘চিকেন’স নেক করিডর’ (Chicken’s Neck Corridor)। প্রশাসনিক এবং কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন (India China Relation), ভুটান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সীমান্তের একশো কিলোমিটারের মধ্যে থাকায় শিলিগুড়ি করিডর অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

    চিকেন’স নেক-এর নিরাপত্তায় সেনা

    চিকেন’স নেক-এর (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিলিগুড়ি করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন। উন্নত সামরিক প্রস্তুতির মাধ্যমে যেকোনও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত। করিডরের কাছে সুকনায় সদর দফতর অবস্থিত ত্রিশক্তি কোরের। যারা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোর রাফাল যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য করিডরের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে আরও জোরদার করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘চিকেন’স নেক ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক অঞ্চল। সেখানে যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিনীকে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব।’’

    বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে—

    উন্নত সামরিক সম্পদ মোতায়েন: ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারা এয়ারবেসে রাফাল ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মিগ-২১ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট: করিডরে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে, যা যে কোনও সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

    সার্ফেস-টু-এয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: ভারতীয় সেনা শিলিগুরি করিডোরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, যা আকাশসীমায় শত্রুর অনুপ্রবেশ রোধ করতে সক্ষম।

    এমআরএসএএম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এই ব্যবস্থাগুলি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং আকাশপথের ওপর অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

    নিয়মিত সামরিক মহড়া: ত্রিশক্তি কোর নিয়মিত যুদ্ধের অনুশীলন করে। যার মধ্যে টি-৯০ ট্যাঙ্কের সঙ্গে লাইভ-ফায়ার মহড়াও অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি পায়।

    কৌশলগত সতর্কতা

    ভারত এই অঞ্চলের (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তা নিয়ে সদা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং চিনের বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড়তে থাকা সম্পর্ক ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষত শিলিগুরি করিডরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। এর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে যান। যেখানে তিনি সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে উচ্চস্তরের আলোচনাও হয়েছে।

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি

    ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck Corridor) এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে চিনের ভুটানি ভূখণ্ডে রাস্তা নির্মাণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছিল। যা শিলিগুরি করিডরের জন্য হুমকি হতে পারত। অতীতের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভারত তার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো এবং প্রস্তুতি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত মোতায়েন এবং ধারাবাহিক নজরদারি সহ, ভারত ‘চিকেনস নেক’ এর নিরাপত্তা শক্তিশালী করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

LinkedIn
Share