Tag: Indian Army

Indian Army

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Portable Hospital: অভিনব! ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে আকাশ থেকে নামল আস্ত হাসপাতাল

    Portable Hospital: অভিনব! ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে আকাশ থেকে নামল আস্ত হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট ওপর থেকে মাটিতে নামল আস্ত হাসপাতাল। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার (Air Force Army) যৌথ উদ্যোগে প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে প্রথম বার সফল ভাবে নামল চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital)। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য এই অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার। শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভরত ভূষণ বাবু। 

    এবার থেকে চলমান হাসপাতাল পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে

    সীমান্ত হোক বা দেশের যে কোনও দুর্গম অঞ্চল, এতদিন যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে ‘এয়ার লিফট’ই ছিল একমাত্র উপায়। তবে তাতে ঝুঁকি কম ছিল না। এই পরিস্থিতির বদল আনতেই অভিনব এই উদ্যোগ। যেখানে চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital) পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে। এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে চলেছে দেশের সেনাবাহিনী।

    এই হাসপাতালের বিশেষত্ব (Portable Hospital) 

    দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ তাঁবুর মতো হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ট্রমা কেয়ারের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা। এই হাসপাতালের মধ্যে ৭২ রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে থাকবে একটি ছোট আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, রান্নাঘর, খাবার, জল, একটি বিদ্যুৎ জেনারেটর, রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, একটি এক্স-রে মেশিন-সহ আরও নানান ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এই কিউবগুলি দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই এক একটি চলমান হাসপাতালের ওজন প্রায় ৭২০ কেজি। এক বার মাটি স্পর্শ করার পর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই এই হাসপাতালের ভিতরের সামগ্রী গোছানো সম্ভব। কিউবগুলি অত্যন্ত হালকা ওজনের হওয়ায় এয়ারড্রপের পর যে কোনও জায়গায় দ্রুত স্থাপন করা যেতে পারে। তবে শুধু মাটি নয়, সমুদ্র পথেও এটিকে যে কোনও জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ’’, মমতার পদত্যাগ চাইলেন নির্ভয়ার মা

    এদিন বায়ুসেনার হারকিউলিস বিমান চলমান হাসপাতালকে (Portable Hospital) ১৫ হাজার ফুট উপর থেকে প্যারাশুটের মাধ্যমে নামানো হয় মাটিতে। দেশীয় উপায়ে তৈরি এই চলমান হাসপাতালগুলিকে বলা হয় আরোগ্য মৈত্রী হেল্‌থ কিউব। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভীষ্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই হেলথ্‌ কিউবগুলি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই চলমান হাসপাতালগুলিকে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে মোতায়েন করা হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ের (Wayanad Landslide) পরিস্থিতি যেন সিকিমকেও টেক্কা দিল। ভূমিধসে বিপর্যস্ত অঞ্চলে যোগাযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুটের বেলি ব্রিজ তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। দক্ষিণ সিকিমের লোকান হ্রদে জলস্ফীতি এবং হড়পা বানের বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীর উপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ বেলি ব্রিজ নির্মাণ করেছিল ভারতীয় সেনা এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। এবার কেরলের ওয়েনাড়ের বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ পৌঁছে দিতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিরাট সেতু তৈরি করল ভারতীয় সেনার (Indian Army) মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।

    চুড়ালমালা ও মুন্ডাক্কাইকে সংযোগ করবে বেলি ব্রিজ (Wayanad Landslide)

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সেতুর মাধ্যমে বিকল্প পথে ভূমিধস কবলিত চুড়ালমালা (Wayanad Landslide) এবং মুন্ডাক্কাইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা যাবে। ইরুভঞ্জিপ্পুঝা নদীর উপর নির্মিত এই বেলি ব্রিজ উদ্ধারকাজে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, গত বছর সিকিমের ভূমিধসের বিপর্যয়ে সেনার ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কোর’-এর তৈরি ইস্পাতের অস্থায়ী সেতুও ভীষণভাবে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিল।

    ‘কমলা’ সতর্কতা জারি

    এদিকে, বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) যত উদ্ধার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তত যেন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৯০। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। যদিও, রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন ভূমিধসের কারণে ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে, এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, সন্ধান না পাওয়া গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই জায়গায়। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে মানুষের কপালে।

    আরও পড়ুনঃ আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    কলকাতায়ও নির্মিত হয়েছিল বেলি ব্রিজ

    উল্লেখ্য, একটা সময় কলকাতা শহরের আপদকালীন পরিস্থিতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বেলি ব্রিজ। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টম্বর মাঝেরহাট সেতু ভেঙে গেলে ৫ জনের মৃত্যু হয়। বিপর্যয়ের ফলে বেহালা, ঠাকুরপুকুর সহ দক্ষিণ শহরতলির একটা বড় অংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ব্রিজের নিচে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেল লাইন থাকায় বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি। সেই সময়, মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেললাইন এবং চেতলা খালের উপর ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে তৈরি একটি ১৬০ ফুটের দৈর্ঘ্যের অস্থায়ী বেলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এক প্রান্তে আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং অন্যদিকে হুমায়ন কবীর সরণিকে যুক্ত করেছিল এই সেতু। একই ভাবে ২০১৯ সালে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশে ফাটল দেখা দিলে, লেক টাউনে কেষ্টপুর খালের উপরে আরও একটি বেলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। ১৪০ ফুট লম্বা এই সেতুটি ১০০ টন ভার বহনে সক্ষম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    Wayanad Landslide: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা (Indian Army)। এবার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের।  

    সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের ভিডিও প্রকাশ্যে

    কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কীভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানরা।

    প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

    মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি

    এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস, মৃত্যু ৮০ পার! চাপা পড়ে শতাধিক

    তবে এখনই শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগাস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগাস্টও ওয়েনাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সকলের কপালে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    Terrorist Attack: ডোডায় হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে, প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লাখ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ওপর হামলায় (Terrorist Attack) জড়িত তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করল পুলিশ। প্রত্যেকের মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার স্কেচ প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে, “ডোডা এবং ডেসরা এলাকায় এই তিনজন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গির কার্যকলাপের এই তিনজনই যুক্ত ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছে ওই জঙ্গিদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ নেওয়ার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে।

    উর্দু ও পস্তো জানে জঙ্গিরা (Kupwara Encounter)

    জানা গিয়েছে জঙ্গিরা উর্দু এবং পাস্তো ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত এলাকা থেকে এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে। জঙ্গিরা “জৈশ-এ-মোহাম্মদের” সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের হ্যান্ডেলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাঁদের অবস্থান যাতে চিহ্নিত না করতে পারে সেনা এবং পুলিশ, সেই কারণে নিজেদের ফোন ব্যবহার না করে অনেক ক্ষেত্রে জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন এবং পাকিস্তানে যোগাযোগের জন্য হটস্পট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

    সেনার উপর ফের হামলা (Terrorist Attack)

    এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara Encounter) জেলার কুমকাডি ছাউনি লক্ষ্য করে পাক জঙ্গি ও সীমান্ত বাহিনীর যৌথ হামলায় (Terrorist Attack) এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। মেজর পর্যায়ের পদমর্যাদার এক অফিসার সহ আরও চারজন সেনা পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলিতে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে একজন পাক জঙ্গিও খতম হয়েছে বলে সেনা সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সর্পবিনাশ শুরু করেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলঘেরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে, এমনই খবর পেয়েছে সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত জওয়ান, খতম এক পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল বিজয় দিবসের পরের দিনই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল কাশ্মীর উপত্যকায় (Jammu Kashmir)। শনিবার কুপওয়ারার (Kupwara) কামকারি এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক মেজর-সহ পাঁচ সেনা। ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। 

    কী ঘটেছিল

    সেনা সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এলওসি-তে ওই হামলার (Jammu Kashmir) ঘটনায় পাক সেনার নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি এবং জঙ্গিদের যৌথবাহিনী ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট) জড়িত। শুক্রবার ওই এলাকায় জঙ্গিদের গতিবিধির ‘খবর’ এসেছিল। তারই ভিত্তিতে অভিযানে নেমে হামলার মুখোমুখি হয় সেনা।

    ব্যাট কি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা এই বাহিনীর সাহায্যেই উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে। এখন জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ভৌগোলিক অবস্থান জানার জন্য অত্যাধুনিক জিপিএস ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় সেনাও উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে।

    পরপর সংঘর্ষ

    শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী নেরন্দ্র মোদি জঙ্গিদমনে আরও কড়া হুঁশিয়ারি দেন। ঠিক তার পরের দিনই উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Kupwara)। এর আগে গত ২৪ জুলাই লোলাব এলাকায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সেনার তরফে জানানো হয়, ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি এখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    Indian Army: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় (Indian Army) সেনাবাহিনীর জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। ২৬ জুলাই ২০২৪ কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas) বিশেষ দিনে টেলিকম বিভাগের তরফে সামাজিক মাধ্যমে বরফের চাদর মোড়া পাহাড়ের উপর এক সেনা জওয়ানের ছবি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে লেখা ছিল, “কার্গিলে আমাদের সেনাদের জন্য মোবাইল পরিষেবা সুনিশ্চিত করা হল। এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায়।”

    ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল নেটওয়ার্ক (Indian Army)

    ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) শেষ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এই দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কার্গিল এবং আশপাশের পাহাড়ে পাকিস্তানি সেনাকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার সেই উপলব্ধিকে প্রত্যেক বছর ভারত সরকার ধুমধাম করে পালন করে। এই যুদ্ধে ৫২৮ জন (Indian Army) জওয়ান নিজের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন। তাঁদের স্মৃতিতে সারা ভারত জুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার সেনার বলিদান স্মরণ করে তাঁদের একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছে টেলিকম বিভাগ। যে সময় যুদ্ধ হয়েছিল তখন এই অঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা তো দূর অস্ত টেলিফোন পরিষেবাও ছিল না। যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন এবং সেনার নিজস্ব কিছু পদ্ধতির উপরে ভরসা করতে হত। কিন্তু এখন সারা বছর এই অঞ্চলে যারা মাইনাস তাপমাত্রায় তাদের কর্তব্য পালন করে, তাঁদের স্বাভাবিক জীবনের কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনা জওয়ানরা সহজে পরিবারের সঙ্গে শুধু কথা বলতে পারবে। এমনকি তাঁদের কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।

    সেনাকে উপহার

    অন্যদিকে কার্গিল বিজয় দিবসকে (Kargil Vijay Diwas) একটু আরও বিশেষ করার উদ্দেশ্যে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার উদ্যোগে (Indian Army) সেনাবাহিনীকে উপহার পাঠানো হয়। শিল্পপতি নিজেই একটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে আপলোড করে লিখেছেন, “১৪০ কোটি ভারতবাসীর তরফে এই উপহার পাঠানো হয়েছে। ভারতবাসী শুধু সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চায়, এমন নয়। সেনাকে তাঁরা পরিবারের সদস্য মনে করে। কারণ তাঁরা নিজেদের জীবন বাজিয়ে রেখে আমাদের জীবন বাঁচান।”

    কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (Kargil War)

    কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত হয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল যখন শীতের সময় বরফের চাদরের আড়ালে পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাঁরা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ভারতীয় দিকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে। দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী (Indian Army) ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করেছিল।

    আরও পড়ূন: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    ভারতীয় বাহিনী অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানীদের পিছু হটিয়ে যুদ্ধে (Kargil Vijay Diwas) জয়ী হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    Jammu And Kashmir: ভূস্বর্গে ঢুকেছে পাক জঙ্গি, ব্যবস্থা নিতে মোতায়েন ৫০০ কমান্ডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) অনুপ্রবেশ করেছে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি জঙ্গি। সেই কারণেই আরও আঁটসাঁট করা হল ভূস্বর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর (Indian Army), প্রায় ৫০০ প্যারা স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ৫০ থেকে ৫৫ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গি। এলাকায় অশান্তির ছক কষেছে তারা। এদেরই দমন করতে মোতায়েন করা হচ্ছে ওই কমান্ডোদের।

    গোয়েন্দা তৎপরতা তুঙ্গে (Jammu And Kashmir)

    অভিযান চালানোর আগে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। এই অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দাদের তৎপরতাও। এই জঙ্গিদের কারা সাহায্য করছে, কোথা থেকেই বা রসদ জোগাড় করছে, সেসবও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ভারতীয় সেনার তরফে টহলদারির জন্য অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এই বাহিনীতে রয়েছেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার দক্ষ সেনা। জঙ্গি দমনের ছকও কষে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    জঙ্গি মোকাবিলায় গুচ্ছ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও উন্নত কমিউনিকেশন ডিভাইস রয়েছে এই জঙ্গিদের হাতে। তাদের হাতে চলে এসেছে আফগানিস্তানে নেটো ও মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক সব অস্ত্র (Jammu And Kashmir)। জঙ্গিদের সেই অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা। এদের মোকাবিলায় তাই মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষ সেনা। এই এলাকায় সন্ত্রাস-বিরোধী পরিকাঠামোও সম্প্রতি গড়ে তুলেছে ভারতীয় সেনা। যাতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের দুটি ব্যাটেলিয়ন – রোমিও এবং ডেল্টা ফোর্স। এর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন রেগুলার ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনও।

    আরও পড়ুন: ‘‘জনজাতিদের জমি ও অধিকার রক্ষা করবে বিজেপি’’, ঝাড়খণ্ডে বললেন অমিত শাহ

    জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে উন্নয়ন যজ্ঞ। জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিয়ে সেই উন্নয়ন যজ্ঞই ব্যাহত করতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই ভারতে জঙ্গি ঢুকিয়ে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় পাক সরকার। এতে লাভ হয় দু’দিক থেকে। এক, ‘হা-ভাতে’র দেশ পাকিস্তানে অনায়াসেই মেলে জঙ্গি হওয়ার জন্য তাজা রক্ত। আর দুই, ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ চালিয়ে গেলে দেশে বয়ে যায় দেশপ্রেমের বন্যা। তখন আর অনাহার-অপুষ্টি নিয়ে (Indian Army) বিশেষ মাথা ঘামায় না কেউ। তাই ভূস্বর্গে (Jammu And Kashmir) নিরন্তর জ্বলতে থাকে অশান্তির গনগনে আগুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doda Encounter: ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ দার্জিলিঙের ছেলে ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ, ‘আক্ষেপ নেই’ বাবার

    Doda Encounter: ডোডায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ দার্জিলিঙের ছেলে ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ, ‘আক্ষেপ নেই’ বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৭ বছর। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। বি-টেক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কোনও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে সহজেই কাজ করতে পারতেন দার্জিলিঙের (Darjeeling) ছেলে ব্রিজেশ থাপা (Brijesh Thapa)। কিন্তু ছোট থেকেই সেনার পোশাক তাঁকে টানত। বাবা ভারতীয় সেনার কর্নেল। ছোট বেলা থেকেই ‘জয় হিন্দ’ ছিল ব্রিজেশের মন্ত্র। সেই মন্ত্র জপ করতে করতেই সোমবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) ডোডা জেলায় (Doda Encounter) জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ। হঠাতই গুলির পর গুলি, ঝাঁঝরা হয়ে গেল শরীর। শহিদ হয়ে গেলেন বাংলার ছেলে। শহিদের রক্তে চোখে জল পড়তে নেই তাই মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়েও বাড়ির বাইরে থমথমে, উদাস ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা। বললেন, ‘‘কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আক্ষেপ নেই। আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে।”

    ব্রিজেশের স্মৃতিচারণায় বাবা ভুবনেশ

    ব্রিজেশের জন্ম দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) লেবংয়ে। সেখানেই প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। কিন্তু ভুবনেশকে কর্মসূত্রে যেতে হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেতে হয়েছে পরিবারকেও। ২০১৪ সালে সেনা থেকে অবসর নেন কর্নেল ভুবনেশ। তার পর তিনি দার্জিলিংয়ের লেবংয়েই এক্স সার্ভিসম্যান হেলথ্ সার্ভিস স্কিমে কাজ করেন। বাবা-মা ছাড়াও ব্রিজেশের এক দিদিও রয়েছেন। বর্তমানে সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন নিকিতা থাপা। স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ব্রিজেশ। সেখান থেকে বি-টেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তিনি। ২০১৮ সালে ব্রিজেশ ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করেন ও ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তারপর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি হন। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ-কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা! নিহত মেজর-সহ চার জওয়ান, ডোডায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    ব্রিজেশকে শ্রদ্ধা

    সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাড়িতে ব্রিজেশের শহিদ (Doda Encounter) হওয়ার খবর এসে পৌঁছেছে। বুধবার ব্রিজেশের দেহ বিশেষ বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হবে। এর পর তাঁকে বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হবে। সেখান থেকে তাঁর দেহ সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হবে লেবংয়ে তাঁর বাড়িতে। সেখানে রয়েছেন ব্রিজেশের মা নীলিমা। দেশ মা-য়ের জন্য ব্রিজেশ বলিদান দিলেও মঙ্গলবার থেকে সারা জীবন পুত্র হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই যে বাঁচতে হবে নীলিমাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা! নিহত মেজর-সহ চার জওয়ান, ডোডায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    Jammu-Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা! নিহত মেজর-সহ চার জওয়ান, ডোডায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তল্লাশি অভিযানের সময় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে শহিদ চার সেনা জওয়ান। এক মেজর সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরের ডোডায় (Doda)। সূত্রের খবর, সোমবার জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ডোডা ও দেসায় যৌথভাবে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধান চালানোর সময়ই শুরু হয় দু পক্ষের গুলির লড়াই। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে একজন অফিসারও আছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কারণে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। 

    জঙ্গি দমনে অভিযান (Jammu-Kashmir)

    সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় ভারতীয় সেনার। সঙ্গে ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। দুই পক্ষের লড়াইয়ে অনন্ত চার জন জওয়ান এবং এক জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জওয়ানদের। ভারতীয় সেনার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) যৌথ ভাবে সোমবার সন্ধ্যায় ডোডা জেলার (Doda) দেসা জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান চালানো হয়। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। ভারতীয় সেনার তরফে এক্স মাধ্যমে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ জঙ্গিদের উপস্থিতির খোঁজ পায় সেনা জওয়ানরা। এরপরই শুরু হয় ব্যাপক গুলির লড়াই।

    আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    সন্ত্রাস রুখতে কঠোর পদক্ষেপ (Jammu-Kashmir)

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অন্তত ৬০ জন জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir)। অন্তত ১০ জেলায় ছড়িয়েছে আতঙ্কের ছায়া। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল ভূস্বর্গে। গত সপ্তাহেই কাঠুয়ায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তারপর সোমবার ফের হামলার ঘটনা ঘটল ডোডায় (Doda)। কখনও সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাগাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি। জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। সকালের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বা সেনার তরফে কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে ‘জিরো টেরর’ পরিকল্পনার মাধ্যমে যেভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, ঠিক সেই কাজটাই চালানো হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অল-আউট যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share