Tag: Indian Army

Indian Army

  • Vijay Diwas 2024: ‘‘পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না’’, একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য, মত মুক্তিযোদ্ধাদের

    Vijay Diwas 2024: ‘‘পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না’’, একাত্তরের যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য, মত মুক্তিযোদ্ধাদের

    সুশান্ত দাস, মাধ্যম: ‘‘পরিবার বদলাতে পারি। ইতিহাস বদলাতে পারি। কিন্তু, পড়শিকে (রাষ্ট্র) উপেক্ষা করতে পারি না। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান উপেক্ষা করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা অনস্বীকার্য৷’’ (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনার বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এপার বাংলায় এসে ঠিক এভাবেই দু’দেশের সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কের হয়ে সওয়াল করলেন ওপার বাংলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas)। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের গলায় ধরা পড়ল ‘আক্ষেপের সুর’। কারও কারও মতে, বোধ হয় পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষাদানে তাঁদের কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল। তাই হয়ত, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন বাংলাদেশ। যদিও, এর সঙ্গেই তাঁদের সংযোজন, ‘বাংলাদেশ ভালো আছে।’

    ভারতের জয়ে জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ

    প্রতি বারের মতো এ বছরও বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) পালন করল ভারতীয় সেনা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতীয় সেনার (1971 War Heroes) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল প্রায় ৯৩ হাজার পাক সেনা। আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষর করার সময়, নিজের রিভলভারটি ভারতীয় সেনার তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার হাতে তুলে দেন নিয়াজি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের এই জয়ের ফলে জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।

    মুক্তিযোদ্ধাদের আসা নিয়ে ছিল সংশয়

    ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন (Vijay Diwas 2024) করতে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর ফোর্ট উইলিয়ামে (Fort William) বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতি বছর, এই অনুষ্ঠানে নিয়ম করে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা (Bangladeshi Muktijoddhas) ও সামরিক অফিসারদের প্রতিনিধিদল কলকাতায় আসেন। তবে, বর্তমানে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকারের আমলে যে হারে সে দেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নিপীড়ন ও অত্যাচার শুরু হয়েছে, তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। 

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির কূটনীতির জোর!

    এই পরিস্থিতিতে, এ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদল ভারতে আসবে কি না, তা নিয়ে ছিল জোর সংশয়। কিন্তু, অবশেষে ওপার বাংলা থেকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ৯ জনের প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি, প্রথা মেনে বাংলাদেশেও গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধিদলও। অনেকে বলছেন, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির কূটনীতির জোরেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভারতের দৌত্যের জন্যই এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) পাঠাতে এবং বিজয় দিবসের পরম্পরা বজায় রাখতে বাধ্য হয়েছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এদিন, বিজয় স্মারকে (Vijay Diwas 2024) পুষ্পস্তবক দান থেকে শুরু করে সামরিক ট্যাটু— সব অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেদেশের সেনা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে শহিদ স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান।

    ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য

    সেনাবাহিনীর মাঠে আয়োজিত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-সম্পর্কিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সেদিনকার স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন (Vijay Diwas 2024)। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তাঁরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা অনস্বীকার্য৷ সেই সময় থেকে ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা আজীবন থাকবে৷ পৃথিবী যতদিন থাকবে, ততদিন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকবে৷’’

    পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না…

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (Bangladeshi Muktijoddhas) কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী সাজ্জাদ আলি জাহির বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনও জায়গা নেই৷ কারণ, আমরা পরিবার বদলাতে পারি। ইতিহাস বদলাতে পারি। কিন্তু, পড়শিকে উপেক্ষা করতে পারি না৷ এটাই দুই বাংলার বৈশিষ্ট্য৷ একাত্তরে ভারতীয় সেনার (1971 War Heroes) ভূমিকা কোনওভাবেই ভোলার নয়৷ আমরা সেটা সবসময় স্বীকার করি৷’’ সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রসঙ্গে কাজী সাজ্জাদ আলি বলেন, ‘‘ইতিহাসের অনেক পর্যায় রয়েছে। সম্পর্কের উত্থান-পতন দুটোই ঘটে। পঁচাত্তরের নির্মম গণহত্যার পর একটি সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা অতিক্রম করতে পেরেছি। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা হয়েছে, ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তারপরেও আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি। বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক স্থায়ী এবং ইতিহাসের ভিত্তিতেই তা টিকে থাকবে।’’

    কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল…

    আগত মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) অনেকেই যেমন মনে করেন, দু-একজনের মন্তব্য সত্ত্বেও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতেও সম্পর্কে চিড় ধরেনি৷ কাজী সাজ্জাদ আলি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে অনেকেই অনেক কিছু বলে। কোনও মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের মাপকাঠি ঠিক করে দেয় না৷’’ তবে, আগত মুক্তিযোদ্ধাদের (Vijay Diwas 2024) কয়েকজনের মুখে ধরা পড়েছে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপের সুর। তাঁদের মতে, বোধ হয় পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষাদানে তাঁদের কোনও খামতি থেকে গিয়েছিল। তাই হয়ত, এই পরিস্থিতির সম্মুখীন বাংলাদেশ। তাঁদের আরও দাবি, হয়তো সঠিক পথে নিজের সন্তানদের পরিচালনা করলে আজ এই দশা দেখতে হত না পদ্মাপাড়ের মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, ১২টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, বরাত হ্যালকে

    Indian Air Force: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, ১২টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, বরাত হ্যালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ১২টি সুখোই-৩০ এমকেআই (SU-30 MKIs) যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত। সেজন্য হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল) সঙ্গে ১৩,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১২টি যুদ্ধবিমান দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও দেবে হ্যাল। আপাতত ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে ২৬০টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান আছে। এবার যে ১২টি নতুন সুখোই-৩০ কেনা হচ্ছে, সেগুলি দুর্ঘটনায় পড়া যুদ্ধবিমানের শূন্যস্থান পূরণ করবে।

    আরও শক্তিশালী বায়ুসনা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এই যুদ্ধবিমানগুলি হাতে পেলে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান চালানোর দক্ষতা আরও বাড়বে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের প্রস্তুতি আরও মজবুত হবে।’’ অতীতে লাইসেন্স নিয়ে বিভিন্ন মিগ এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে নাসিকের ‘এয়ারক্রাফট ম্যানফ্যাকচারিং ডিভিশন’। ১৯৬৪ সালে সেটি তৈরি হয়েছিল। আর এবার হ্যালের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করবে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। ফলে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর পথে আরও একটা বড় পদক্ষেপ ফেলা হল বলে মনে করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত

    গত সেপ্টেম্বরেই সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের ২৩০টি অ্যারো-ইঞ্জিনের জন্য হ্যালের সঙ্গে ২৬,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতি বছর ৩০টি এএল-৩১এফপি ইঞ্জিন দেবে হ্যাল। সবমিলিয়ে আট বছরের মধ্যে সবগুলি পেয়ে যাবে বায়ুসেনা। যেগুলি ওড়িশার কোরাপুটে তৈরি করা হবে। প্রযুক্তি সরবরাহ করবে রাশিয়া। হাতেগোনা কয়েকটি সরঞ্জাম আনা হবে বিদেশ থেকে। সেইসঙ্গে ৬৫,০০০ কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানকে আরও আধুনিক করে তোলা হবে। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উত্তর অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রেডার, ওয়েপন কন্ট্রোল সিস্টেম, নয়া অস্ত্রশস্ত্র যোগ করা হবে বলে সূত্রের খবর। এই নতুন আপগ্রেড করা সুখোই-৩০ বিমানগুলিতে মোতায়েন করা হবে বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ‘ব্রহ্মোস-এ’ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যা ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পরিসরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আর তার ফলে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। যা ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা আরও বাড়াবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kharga Kamikaze: ধরা পড়বে না শত্রু-রেডারে, ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে যুক্ত হল ‘খড়্গ’ আত্মঘাতী ড্রোন

    Kharga Kamikaze: ধরা পড়বে না শত্রু-রেডারে, ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে যুক্ত হল ‘খড়্গ’ আত্মঘাতী ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরকবোঝাই ‘আত্মঘাতী’ মানববিহীন ড্রোন ‘খড়্গ’ হাতে পেল ভারতীয় সেনা। গত কয়েক বছর ধরে ড্রোন-শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। সেই পথের নবতম সংযোজন হল ‘খড়্গ’। বিস্ফোরকবোঝাই এই ‘কমিকাজে’ (আত্মঘাতী) উড়ুক্কু যানটি তৈরি করেছে সেনাই। রেডারের নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে পারবে এই ড্রোন। অত্যন্ত হালকা ওজনের হলেও, এই ড্রোনের মারণ ক্ষমতা ভয়াবহ। মাত্র ৩০ হাজার টাকায় এই ধরনের এক-একটি ড্রোন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা।

    কামিকাজে ড্রোন কী?

    জাপানি শব্দ ‘কামিকাজে’র অর্থ হল ‘ঐশ্বরিক বাতাস’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আত্মঘাতী জাপানি যুদ্ধবিমানের পাইলটদের বলা হত কামিকাজে। বর্তমানে আত্মঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোনগুলির দুনিয়া জুড়ে এই ধরনের নামকরণ করা হয়েছে। চিন, রাশিয়া, ইজরায়েল থেকে শুরু করে ইরান ও তুরস্কের মতো দেশের হাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এই কমিকাজে ড্রোন। ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে জায়গা পাওয়া খড়্গ আত্মঘাতী ড্রোনটি যে শত্রু শিবিরে রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে যেভাবে নতুন করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তা সামাল দিতে অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠতে পারে এই ড্রোন। দুর্ভেদ্য জঙ্গলে জঙ্গিদের খুঁজে বের করা তো বটেই, চুপিসাড়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে নিকেশ করতে পারবে ড্রোনটি।

    ‘খড়্গ’-এর শক্তি

    কম ওজনের উচ্চগতির এই ড্রোনে রয়েছে জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম এবং অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যামেরা। রণাঙ্গন থেকে অনেক দূরে বসে এই দুয়ের সাহায্য শত্রুকে চিহ্নিত করে তার উপর নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে পারবে সেনা। একে নজরদারি এবং প্রত্যাঘাত— দু’ধরনের কাজেই ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেকেন্ডে ৪০ মিটার গতিতে ছুটতে পারে ‘খড়্গ’। ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক নিয়ে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। দেড় কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে খড়্গের জুড়ি মেলা ভার। ড্রোনটি ওজনে হালকা হাওয়ায় খুব সহজেই এটিকে ওড়াতে পারবেন সৈনিকেরা। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি থেকে শত্রুর উপর হামলা চালাবে এটি। যদি কোনও এলাকায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম জ্যামিং থাকে তবে তা ভেদ করে উড়ে যেতে সক্ষম এটি।

    সম্প্রতি রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে দু’দিনের মহড়ায় শক্তি প্রদর্শন করে এই ড্রোন। মহড়াটির নামও রাখা হয়েছিল ‘খড়্গ শক্তি’। মহড়া শেষে ভারতীয় সেনার ‘ড্রোন ফৌজি’-দের সঙ্গে কথা বলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুষ্কর। এই সৈনিকমণ্ডলীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘খড়্গ কোর’। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুষ্কর তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বহুল পরিমাণে খড়্গের মতো কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    সুশান্ত দাস

     

    আশঙ্কা ছিল। এবার তৈরি হল ধোঁয়াশা। প্রতি বছর ’৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন উদযাপন করতে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2024) পালন করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বিশেষ করে এই দিনটির উদযাপনে বাড়তি উদ্দীপনা দেখা যায় কলকাতাস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডে (Army Eastern Command)। কারণ, এই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (1971 Victory Day) ইস্টার্ন কমান্ডের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সামনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। 

    ভারতীয় সেনার পাক-জয়ের বর্ষপূর্তি

    ভারতীয় সেনার পাক-জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের স্মরণে প্রতি বছর নিয়ম করে এই দিবস (Vijay Diwas 2024) পালিত হয়ে আসছে। আর এই উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) দল, বাংলাদেশ সেনার পদস্থ কর্তারা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজন উপস্থিত হন কলকাতায়। এমনকী, উপস্থিত থাকেন সেদেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। 

    ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে’’

    কিন্তু, এ বছর ছন্দপতন। কারণ, আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার আয়োজিত বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধিদল হয়ত আসছে না। হয়ত, এই শব্দ ব্যবহার করতে হল কারণ, শুক্রবার সেনার তরফে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি এ বিষয়ে। এদিন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তা মেজর জেনারেল অফ জেনারেল স্টাফ (এমজিজিএস) মোহিত শেঠকে আসন্ন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ছোট্ট উত্তরে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’’ ফলত, সেনার এই কথায় ধোঁয়াশা জিইয়ে থাকল।

    বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল আসবে কি?

    তবে, সেনার অন্য সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনী বা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ফোর্ট উইলিয়ামের এক সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), বিদেশ মন্ত্রক বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। কোনও বার্তা আসেনি বাংলাদেশের তরফেও। ফলে, বিষয়টা কার্যত পরিষ্কার যে— ভারতীয় সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ। 

    উপস্থিত না থাকার কারণ?

    উপস্থিত না থাকার কারণ? সেটা আরও পরিষ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের কোনও সেনাকর্তা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। কারণটা অবশ্যই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। যার শুরুটা হয়েছিল শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। পরবর্তীকালে, যা আরও জটিল আকার ধারণ করে যখন প্রতিবেশি রাষ্ট্রে নির্বিচারে হিন্দু-নিধন ও নিপীড়ন শুরু করে দেয় কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদীরা। হামলা চলেছে মন্দিরে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহ। লোপাট হচ্ছে গয়না। ভূলুণ্ঠিত হিন্দু মা-বোনেদের আব্রু। যত্রতত্র লুটপাট করা হয়েছে হিন্দুদের সম্পত্তি। নির্বিচারে হত্যালীলা চলেছে। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা ঠুকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তিনি সেদেশে অত্যাচারিত ও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুদেরকে লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছিলেন। অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দুদেরকে আহ্বান করেছিলেন চিন্ময়। ভারতের তরফে তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়। 

    বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি

    শুধু সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালাচ্ছে তাই নয়। পদ্মাপাড়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের ঘটনাতেও অসন্তুষ্ট দিল্লি। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভারতীয় পতাকা সকলে পায়ে মাড়িয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটছে। আবার, আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। বাসে ভারতীয় যাত্রীদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রভাব গিয়ে পড়ে আগরতলায়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে উত্তেজিত জনতা (Vijay Diwas 2024)। কয়েকজন ভিতরেও ঢুকে পড়ে। ভারত কিন্তু, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, বাসে হামলার ঘটনায় কোনও দুঃখপ্রকাশ করেনি বর্তমানে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। এখানে এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছে পাকিস্তান। যাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরে যুদ্ধ (1971 Bangladesh Liberation War) করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেদেশের মানুষ। বাংলাদেশের বন্দরে এখন আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। ৫৩ বছরে এই প্রথম। কারণ, এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নয়। বর্তমানে তারা পুরোটাই চালিত হচ্ছে মৌলবাদী জামাত ও কট্টরপন্থী বিএনপির নির্দেশমতো।

    ভুল বার্তা এড়াতেই কি?

    এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে থাকে, তাহলে তা আদ্যান্ত যথার্থ। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের মধ্যে, বিশেষ করে বঙ্গবাসীদের ও বাংলাভাষীদের মধ্যে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক ভাবধারা জন্মেছে। অধিকাংশের মনে রাগ, ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সেনার অনুষ্ঠানে (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশের উপস্থিত হলে হয়ত একটা ভুল বার্তা যেত জনমানসে। দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিলক্ষণ জানেন ও বোঝেন যে, দেশবাসীর ভাবাবেগে অবশ্যই আঘাত লাগবে। ফলে, অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাঁরা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে, তা সমর্থনযোগ্য। 

    দুদেশের কূটনৈতিক যুদ্ধ

    সেনার এক প্রাক্তন কর্তা দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas) বর্তমান বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা কেউ আসতে চাইছেন না। বা আসা সম্ভব নয়। এটা আংশিক সত্য হলেও, পুরোটা নয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতস্তরে আমন্ত্রণ পাঠানো হয় না। যা করা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে। ফলত, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক কার্যত রসাতলে, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছে, তাদের এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। যে দেশে ভারতীয় পতাকার অসম্মান হয়, বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) উদযাপনে সেই দেশের প্রতিনিধিদলকে এদেশে ডেকে এনে অতিথি আপ্যায়ন করার কোনও প্রয়োজন আছে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    Indian Army: ঘুম ছুটবে শত্রুদের! ভারতীয় সেনার হাতে এল দেশে তৈরি ৪৮০টি আত্মঘাতী ‘নাগাস্ত্র’ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংসারে চলে এল নয়া সদস্য ‘নাগাস্ত্র-১’। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আত্মঘাতী ড্রোন ভারতের শত্রুদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের ‘ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভ লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা এই ড্রোন তৈরি করেছে। নাগাস্ত্র হল এক ধরনের ‘লয়টারিং মিউনিশন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’। এই সংস্থাকে ৪৮০টি নাগাস্ত্র তৈরির বরাত দিয়েছিল সেনা। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২০টি ড্রোন আগেই পেয়েছিল সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাকি ড্রোনগুলোও সরবরাহ করেছে ওই সংস্থা। এখন তারা আরও উন্নত ‘নাগাস্ত্র-২’ ও ‘নাগাস্ত্র-৩’  আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির কাজ করছে।

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনের ক্ষমতা

    ‘নাগাস্ত্র-১’ ড্রোনটি নির্দিষ্ট এলাকায় সকলের নজরের আড়ালে অনেক ক্ষণ ধরে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে পারে। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ‘লক’ করছে তত ক্ষণ পর্যন্ত হামলা চালাবে না। লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে ঘোরাফেরা করবে। সেনা সূত্রে খবর, এক একটি নাগাস্ত্রের ওজন আনুমানিক ৯ কেজি। দু’মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু স্থির করে হামলা চালাতে পারে ড্রোনগুলি। ৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এগুলি। এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে ‘নাগাস্ত্র-১’। দু’কেজির মতো বিস্ফোরক বহন করার ক্ষমতা ধরে এক একটি ড্রোন। প্রতিটি ড্রোনে উচ্চমানের জিপিএস ব্যবহার করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাদক পাচারকারীরা যোগাযোগ রাখত মাস্কের স্টারলিঙ্ক দিয়ে! আন্দামান অভিযানে বড় দাবি পুলিশের

    দেশীয় ড্রোন শিল্পে জোর

    প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, লক্ষ্যবস্তু স্থির করার পর প্রায় নির্ভুল হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে নাগাস্ত্র। এই ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে নাগাস্ত্র ছাড়াও, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে মিডিয়াম অ্যালটিচুড লং এন্ডুরেন্স (MALE) শ্রেণির ড্রোন ডিজাইন ও উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগ দেশীয় ড্রোন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য় করবে। কম খরচে  উন্নত ক্ষমতার ড্রোন চলে আসবে সেনাবাহিনীর হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘জঙ্গি হানা’, ‘অপহৃত’ ভিআইপি! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে উদ্ধার বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে জঙ্গি হানা খাস কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial)! আর্মি, নেভি, সিআইএসএফ সবাই হাজির। খবর রটল, জঙ্গিরা নাকি এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে অপহরণ করে বন্দি করে ফেলেছে। তাঁকে উদ্ধারেই এসেছে সেনা বাহিনী। সকাল ৯টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া চত্বর ঘিরে ফেলেছেন জওয়ানরা (Indian Army)। জঙ্গি হানার এমন খবর শুনে অনেকেই এলাকা ছেড়ে দৌড়লেন। কয়েকজন অবশ্য থেকে গেলেন, দূর থেকে সেনা-জঙ্গির মুখোমুখি লড়াইয়ের ‘লাইভ’ দেখবেন বলে! বুকে হেঁটে অতি সন্তর্পণে মাটি কামড়ে সাউথ গেট দিয়ে ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) মাঠে ঢুকল সেনা! বাইরে তখন পজিশনে রয়েছে সিআইএসএফ। ভেতর থেকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর এল এক ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে ঘিরে ফেলেছে ৮ জঙ্গি! কয়েক মিনিটের মধ্যে শুরু হল অপারেশন।

    কী বলছেন সেনা কর্তা (Indian Army)?

    সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা, টানা আধ ঘণ্টা ধরে চলল এই অপারেশন। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিল, ভিক্টোরিয়ার (Victoria Memorial) শ্বেত পাথরের মূর্তির আড়ালে দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। আগেই অবশ্য ৬ জন জঙ্গিকে পাকড়াও করেন জওয়ানরা। পরে বাকি দু’জনকে আটক করার পরে অপারেশন শেষ হয়। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ভিআইপি প্রাতঃভ্রমণকারীকে। কিন্তু সেনা প্রহরায় থাকা ভিক্টোরিয়ার কীভাবে ঢুকে পড়ল জঙ্গি? এনিয়ে সেনা কর্তা প্রদীপ অগ্নিহোগ্রী বলেন, ‘‘এটা আসল কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা নয়। মক ড্রিল অর্থাৎ নকল অভিযান (Mock drill)। হঠাৎ করে জঙ্গি হানা ঘটলে বা জঙ্গিরা কোনও এক ‘ভিআইপি’-কে যদি জঙ্গি অপহরণ করে, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তার মহড়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছিল (Victoria Memorial)।’’ তিনি আরও জানান, এই মক-ড্রিলে অংশ নেন স্থলসেনা, নৌসেনা, এনএসজি ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় গড়ে তোলাই লক্ষ্য এই মহড়ার (Mock drill)।

    মনে করাল ২৬/১১-র জঙ্গি হানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের তাজ প্যালেস হোটেলে ১৬ বছর আগে ২৬/১১-র হামলা এখনও মনে রেখেছে গোটা দেশ-বিশ্ব। তাজ হোটেলে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে তিরিশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। মরণাপন্ন লড়াইয়ের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অপহৃতদের। ভারতীয় সেনা, ভারতীর নৌসেনার মার্কোস কমান্ডো, এনএসজি কমান্ডো উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেন। জানা গেল, তারপর থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সেনার তরফ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এবার এই মহড়া (Mock drill) কলকাতায় হচ্ছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সি-ভিজিল (Sea Vigil-24)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যৌথ যুদ্ধ মহড়া শেষ হল মঙ্গলবার। ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’ নামে গত আট দিন ধরে চলা যুদ্ধাভ্যাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রস্তুতি।

    কেন এই মহড়া

    ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অরুণাচল প্রদেশে ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া চালাচ্ছে। এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য হল প্রতিকূল পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার ইতিবাচক পরিণতির পরে এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই ‘পূর্বী প্রহার’ বা ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া।

    প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা 

    সেনা সূত্রের খবর, চিন সীমান্তে এই মহড়ায় যোগ দেয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ রুদ্র। আমেরিকা থেকে আনা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজারের পাশাপাশি সোয়ার্ম ড্রোন, ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি) ড্রোন, এবং লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)-সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগে সেনার তিন শাখার জওয়ান ও অফিসারেরা পরিচিত হয়েছেন। প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা, তরুণ অফিসারদের শেখানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ মাওবাদীর। নিহত মাওবাদীদের (Maoists) কাছ থেকে ৫টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ের জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে রায়পুরে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখে বস্তারের জঙ্গলেই বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩১ মাওবাদী। গত ১ বছরে এই জঙ্গলে ১৯৭ জন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা

    গোপন সূত্র মারফত, ওই জঙ্গলে (Chhattisgarh) মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জানা যায়, এই সময়ই (সকাল ৮টা নাগাদ) গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে আরম্ভ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলির লড়াইয়েই ৫ মাওবাদী খতম হয়। অন্যদিকে, মাওবাদীদের (Maoists) ছোড়া গুলিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই জওয়ান জখম হন। তাঁদের কপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কী বলছেন বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ?

    বস্তার রেঞ্জের (Chhattisgarh) আইজিপি পি সুন্দররাজ এনিয়ে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালাচ্ছে।’’ (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কাঙ্কের ও অবুঝমাড়ের উত্তরে জঙ্গলে মাওবাদীদের (Chhattisgarh) উপস্থিতি নিয়ে তাঁরা গোপন সূত্রে তথ্য পান। তারপরই অপারেশনে নামে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ।

    টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে

    জানা গিয়েছে, টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচজন মাওবাদীর দেহ। প্রসঙ্গত, অবুঝমাড়ের ওই জঙ্গলের আয়তন গোয়ার থেকেও বড়। একসময় এই ঘন জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের দুর্গ ছিল। এর অনেকটা অংশ বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং কাঙ্কের ও মহারাষ্ট্রর মধ্যে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    Indian Army: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সেনার তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

    কী বলছেন সেনা কর্তা? (Indian Army)

    ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সমীর শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা মানববিহীন যান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছি। এটি আমাদের দ্রুত এবং নির্ভুল ফল দিয়েছে… আমরা এক সেনা কুকুর হারিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমরা যখন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলাম, তখন কুকুরটি সামনে ছিল। জঙ্গিরা তাকেই লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তার আত্মত্যাগের কারণে অনেকের জীবন রক্ষা পেয়েছে।”

    শহিদ ‘ফ্যান্টম’

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার বছরের পুরনো স্নিফার এই কুকুরটির নাম ‘ফ্যান্টম’। সেনা সূত্রে খবর, সৈন্যদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করার সময় গুলির ঘায়ে কুকুরটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। শ্রীবাস্তব (Indian Army) বলেন, “এই অভিযানের পর এমন খবর ছড়িয়েছিল যে সেনাবাহিনী বিএমপি ব্যবহার করেছে। আমরা সেই ধরনের যান ব্যবহার করেছি। কারণ এলাকাটি দুর্গম ছিল। ৩০ ডিগ্রির ঢাল ও ঘন জঙ্গলের কারণে আমরা জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করার পর ওই যান ব্যবহার করেছি।”

    আরও পড়ুন: তোষণের রাজনীতি! অবাধে চলছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জঙ্গিদের সম্পর্কে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করি। জঙ্গিরা যে উদ্দেশ্যে এসেছিল, তা পূরণ না হওয়ায় ওরা আমাদের কনভয়ে গুলি চালিয়েছে।” শ্রীবাস্তব বলেন, “জঙ্গিরা যেভাবে সজ্জিত ছিল, তাতে মনে হয় তারা বড় কোনও উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিল। জঙ্গি সংগঠনগুলো পোস্ট করেছিল যে, তারা বড় কিছু করার পরিকল্পনা করছিল। তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সমস্ত সংস্থা, যার মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও রয়েছে, সবার মধ্যে সমন্বয় থাকায় সাফল্য এসেছে।” জম্মু-কাশ্মীরের আখনুরে জঙ্গিরা একটি সেনা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। দ্রুত ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। তল্লাশি শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (Jammu And Kashmir)। খতম হয় তিন জঙ্গি (Indian Army)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চলতি বছরের দীপাবলি অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে পালন করবেন। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় ৩১ অক্টোবর সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) পালন করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সীমা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। বিশেষত এখানকার কিছু এলাকাতে ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান আহত হন দু পক্ষেরই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে আরও সতর্ক হয় এবং চিনের আগ্রাসন রোধ করে। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যথেষ্ট বার্তা দেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। ৩১ অক্টোবর রাজনাথ সিং তাওয়াং সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে যাবেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। ভারতীয় বায়ুসেনার ওয়ার মেমোরিয়ালে তাঁরা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানাবেন।

    ২০২৩ সালের বিজয়া দশমীতেও হাজির ছিলেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের বিজয়া দশমীতেও রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) শস্ত্র পূজনের জন্য বেছে নেন তাওয়াং সীমানাকে। সেসময় অরুণাচলে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থির মধ্যেও দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জওয়ানরা যে ভাবে সীমান্তে প্রহরা দিচ্ছেন ও মাতৃভূমিকে সুরক্ষিত রাখছেন, তার যতই প্রশংসা করা হোক তা কম। দেশের মানুষ আপনাদের জন্য গর্বিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share