Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়ে পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে বিশাল যাদব নামে নৌবাহিনীর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। নৌসেনার দিল্লির সদর দফতরে কর্মরত ওই কর্মী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ‘স্পাই’ হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ।

    ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। নৌসেনার সদর দফতরে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল বিশাল। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল প্রথমে ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করত। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার মাধ্যমেই পেয়েছে আইএসআই। পুলিশের দাবি, তার মোবাইল ফোন ঘেঁটেই এই কথা জানা গিয়েছে। বিশাল যাদব টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এক মহিলাকে সরবরাহ করেছিল। ওই মহিলা তার ‘পাকিস্তানি হ্যান্ডলার’ ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ

    পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানের সিআইডির গোয়েন্দা ইউনিট কারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছে তার ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল যাদবের কাজ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। তখনই জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিত। বিশালের কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য জানার জন্য তাকে নিয়মিত টাকাও দিত ওই মহিলা।

    টাকা নিয়ে তথ্য পাচার

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমসে আসক্ত ছিল বিশাল। খেলায় হেরে যাওয়ার পরে তার টাকার দরকার পড়ত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়ত বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন জয়পুরে নিয়ে গিয়ে বিশালকে জেরা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কোন কোন তথ্য বিশাল ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করেছে তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচর-যোগের অভিযোগে ধৃত নেট-প্রভাবী জ্যোতি মালহোত্রার ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই মধ্যে নৌসনার অফিসে কর্মরত বিশালের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচর-যোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan Relation) আলোচনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিল নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লক ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কখনওই এক সঙ্গে চলতে পারে না। এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের হাতে যে দাগী সন্ত্রাসবাদীগুলির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমাদের হাতে তুলে দিক। তবেই আলোচনা হতে পারে।’ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যদি বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার আগে আমাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দিক।’

    শরিফের প্রস্তাব নাকচ করল নয়া দিল্লি

    পাক প্রধানমন্ত্রী (India Pakistan Relation) শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি ইরান সফরের সময় বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।” শরিফ বলেন, “জল নিরাপত্তা এবং কাশ্মীর সহ দীর্ঘদিনের ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।” আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, মূলত ইরানের রাষ্ট্রপতির চাপেই এই বুলি বলতে বাধ্য হয়েছে শরিফ। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসাথে চলতে পারে না—এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট ও স্থির। আমরা আবারও বলছি, পাকিস্তানকে সেই সন্ত্রাসীদের আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে, যাদের তালিকা আমরা বহু বছর আগে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।” তিনি আরও জানান, “জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র সেই প্রক্রিয়া এবং সময়রেখা নিয়ে—যার মাধ্যমে পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীর খালি করবে।”

    ভারতের কড়া জবাব

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ না পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসে সমর্থন বন্ধ করে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উদ্ধৃত করে বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসাথে চলতে পারে না, জল ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।” ভারতের কড়া জবাব স্পষ্ট করে দিল, কোনো আলোচনা হতে হলে প্রথমে পাকিস্তানকে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে।

    পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ করে নয়াদিল্লি। প্রতিদিনের মতোই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই দুই দেশকে এক সুতোয় টেনে আক্রমণ করেন তিনি। প্রথমেই ফিরিয়ে দেন শরিফের প্রস্তাব। তারপরেই নস্য়াৎ করেন ইউনূসের অযৌক্তিক দাবিকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকেও তোপ দেগেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের বিরুদ্ধে ইউনূসের তোলা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন সংক্রান্ত সমস্যার দায় শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের উপরেই বর্তায়। যদি কেউ বলে যে বহিরাগতের কারণে বা অন্য কেউ এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তা হলে বলব, আসলে তারা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পাকিস্তান ঠিক যেমন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ভারতের দিকে ঠেলে দেয়। একই পথ অবলম্বন করেছে বাংলাদেশও। এবার সেই কৌশলকেই ভাঙল নয়াদিল্লি।

  • Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল (India-Pakistan Conflict)  বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।’’

    শেহবাজের ব্রহ্মোস স্বীকারোক্তি

    পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মোস ব্যবহার করে পাক সামরিক ঠিকানায় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ব্রহ্মসের নাম না করলেও ১০ জুন সকালে পাক সেনা জানিয়েছিল, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতপর্বে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া দেশ আজরবাইজানে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিমানঘাঁটি নিশানা করে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।’’

    নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস 

    সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে তিনটি অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটির নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, হামলায় পাক বিমানবহরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও ১৫ মে পাক বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মাসুদ আখতার জানিয়েছিলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ মে গভীর রাতে ইসলামাবাদের ভালোরী বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের একটি ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স) সম্বলিত বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শেহবাজ (Shehbaz Sharif) অবশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও বিমানঘাঁটির নাম করেননি। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছিল, পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস।

    ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে।

    পাকিস্তান ভাবার আগেই পদক্ষেপ ভারতের

    কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের (India-Pakistan Conflict) উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে ভোর-রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। পাক সেনা প্রতিক্রিয়ার সময় পায়নি বলেও স্বীকার করে নেন শেহবাজ। জানান, বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয় ঘটে যায়।

    কেন ব্রহ্মোস-হামলা

    প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য সুখোই ৩০ এম কেআই জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ে ভারত।

  • India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    India Shreds Pakistan: ‘জঙ্গি আর সাধারণ মানুষের তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের সরব ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে দেশ জঙ্গি এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের শুক্রবার পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত (India Shreds Pakistan)। এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘‘একটি অপমানজনক আচরণ’’ বলে আখ্যা দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ পুরি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসী ও অসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না, তাদের এই বিষয়ে কথা বলা ন্যায়সম্মত নয়। বিশ্বকে বুঝতে হবে পাকিস্তানের প্রকৃত সত্য।”

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার ভারত

    অপারেশন সিঁদুরেই ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) ভূখণ্ডে কীভাবে জঙ্গিদের লালন-পালন চলে। এদিন ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন যে, ‘‘পাকিস্তানি প্রতিনিধির বিভিন্ন বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব আমি দেব।’’ এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অসীম ইফতিখার আহমেদ তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথাও বলেন তিনি। এরপরই প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রতিনিধি হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে সীমান্তে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। ৬৫ বছর আগে সৎ বিশ্বাসে সিন্ধু জল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ভারত। ভারতের উপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার চেতনা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। গত কয়েক দশকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিকতমটি হল পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলা। ভারত সর্বত্র অসাধারণ ধৈর্য এবং উদারতা দেখিয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ অসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে পণবন্দি করতে চায়।”

    কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানে

    পাকিস্তানের (India Shreds Pakistan) মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। হরিশ বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলে পাকিস্তানেই রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তা-ও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত এও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এর ফলে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এমনকী ধর্মীয় স্থান এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার সাধারণ মানুষ

    ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার কথাও এদিন বলা হয় ভারতের তরফে। হরিশ বলেন,“ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরা ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে । এর মধ্যে মুম্বই শহরে ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের বর্বর গণহত্যাও রয়েছে। সব ঘটনার পিছনে পাকযোগের প্রমাণ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত পাকিস্তানের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। কারণ ওদের লক্ষ্য হল আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। এমন একটি দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।” সংঘাতের মাঝে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে শেলিং থেকে অসামরিক যাত্রিবাহী বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সমস্ত কীর্তি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এদিন তুলে ধরে ভারত। একইসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ জানান, কী ভাবে বার বার সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি পাক উর্ধ্বতন সরকার, পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের বিখ্যাত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে দেখেছি।”

    বিশ্ববাসীর কাছে আর্জি

    একদিকে গোটা বিশ্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল অপারেশন সিঁদুর-এর প্রয়োজনীতা, তার সাফল্য ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের শয়তানি তুলে ধরছেন তো অপর দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (India at UN) ইসলামাবাদকে তুলোধনা করছে ভারত। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় সন্ত্রাসবাদীরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকানা সকলে জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি সম্ভব, প্রশ্ন তোলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ সে দেশের সরকারের অজানা নয়। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।’’ আর পাকিস্তানের প্রশাসনও যে এই বিষয়ে অবহিত, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ধরা যাক, আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আপনার সরকার কিছুই জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।’’ জয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান এই সন্ত্রাস হামলা বন্ধ না করলে ‘ফল ভুগতে হবে’। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই পাকিস্তানকে বার্তা দেন হরিশ। পাকিস্তানকে দু-মুখো সাপের সঙ্গে তুলনা করে একইসঙ্গে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে বিনষ্ট করারও আর্জি জানান তিনি।

  • India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    India Pakistan Conflicts: ৮টি এফ-১৬, ৪টি জেএফ-১৭, অ্যাওয়াক্স,… অপারেশন সিঁদুরে পাক বায়ুসেনার কী কী ধ্বংস? তালিকা প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) মধ্যে চলা সামরিক সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত রিপোর্টে সেই ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) যে বিপুল কৌশলগত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে ২০২৫ তারিখে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও ৪টি জেএফ-১৭ ধ্বংস করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চ-মূল্যের আকাশ ও স্থল সামরিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়। স্যাটেলাইট ছবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং গোপন বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে মোট ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৩৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বিমানঘাঁটি ও আকাশপথে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    আকাশপথে সরাসরি সংঘর্ষে পাকিস্তান (India Pakistan Conflicts) ৪টি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি হারিয়েছে, প্রতিটির মূল্য ৮৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩৪৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পাকিস্তানের একটি সাব ২০০ এরিআই অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান (মূল্য ৯৩ মিলিয়ন ডলার), একটি আইএল-১৭ রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার (৩৫ মিলিয়ন ডলার), দুইটি সিএম-৪০০একেজি মিসাইল, দুইটি শাহিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও এই সব সম্পদের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫২৪.৭২ মিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। অন্যদিকে, ১০ তারিখ পাক এয়ারবেসগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতে আরও চারটি এফ-১৬ ব্লক ৫২ডি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে পাকিস্তান। একটি সি১৩০ হারকিউলিস পরিবহণ বিমান (৪০ মিলিয়ন ডলার), একটি এইচকিউ-৯ সাম ব্যাটারি (২০০ মিলিয়ন ডলার), এবং দুটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে (১০ মিলিয়ন ডলার)। এই ক্ষতির পরিমাণ মোট ৫৯৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল ক্ষতির ফলে পাকিস্তানের বিমান যুদ্ধের সক্ষমতা, নজরদারি ক্ষমতা এবং কৌশলগত পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে, এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এফ-১৬ এর দাম

    এফ-১৬ বিমানটি মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল ডাইনামিক্স (বর্তমানে লকহিড মার্টিন) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রথম ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৮০টি এফ-১৬ বিমানের অর্ডার দেয়। চুক্তিটি ‘পিস গেট ১ এবং ২’ প্রোগ্রামের অধীনে করা হয়েছিল এবং তাদের ডেলিভারি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে, পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫টি এফ-১৬ বিমান রয়েছে, যার মধ্যে এ, বি, সি এবং ডি ভেরিয়েন্ট রয়েছে। এফ-১৬ এর দাম এর মডেলের উপর নির্ভর করে। একটি নতুন এফ-১৬ এর দাম প্রায় ৪০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে।

    জেএফ-১৭ এর দাম

    জেএফ-১৭ থান্ডার, পাকিস্তান ও চিনের অংশীদারিত্বে নির্মিত একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি যৌথভাবে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (সিএসি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে এফ-১৬ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আমেরিকা, তখন এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এরপর, পাকিস্তান ১৯৯২ সালে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৫ সালে জেএফ-১৭ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম জেএফ-১৭ ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের কাছে এখন ১৫৬টিরও বেশি বিমান রয়েছে। এটি একটি হালকা এবং দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান, যার সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৩,৫০০ কেজি। জেএফ-১৭ এর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি), যেখানে ব্লক থ্রি-র দাম প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    যুদ্ধকালীন ব্যয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো

    ২৯ দিনব্যাপী সংঘাতে পাকিস্তানের যুদ্ধ (India Pakistan Conflicts) ব্যয়ও ছিল বিপুল। প্রতিদিনের বিমান টহল ও হামলা পরিচালনার খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার ধরে মোট ৭২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, সীমান্তে মোতায়েন ও প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসলামাবাদ। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি। ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিরও প্রবল ক্ষতি হয়েছিল৷ ভেঙে পড়েছিল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ এই দুটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি৷ পাকিস্তান বুঝতে পারে এরপরও সংঘর্ষ চললে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে৷ ইসলামাবাদের সমস্যা আরও বাড়বে ৷ তাই সংঘর্ষ বিরতির পথে হাঁটে পাকিস্তান।

LinkedIn
Share