Tag: Indian Navy Frigate

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    Indian Navy: নৌসেনার নতুন ‘মেঘনাদ’! রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রবাহী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তমাল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘তমাল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা এটাই হবে শেষ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal)। রাবণ-পুত্র মেঘনাদের (ইন্দ্রজিৎ) মতোই আড়ালে থেকে শত্রুর উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ তমাল। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ইয়নটার শিপইয়ার্ডে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ‘স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট’গুলির অন্যতম তমাল।

    রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরের জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌসেনায় (Indian Navy) যোগ দিয়ে সমুদ্রযুদ্ধের মহড়ায় যোগ দেবে আইএনএস তমাল। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate Tamal) বানাচ্ছে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। এই তালিকার প্রথমটি, আইএনএস তুষিল ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিয়েছে। এ বার পালা আইএনএস তমালের। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা এবং যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এখন রাশিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী।

    কী কী অস্ত্রে সমৃদ্ধ তমাল

    ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন তমাল একটানা ৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তমালে (Stealth Frigate Tamal) থাকছে বিমানবিধ্বংসী কামান। পাশাপাশি থাকছে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পিডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ-৩১ হেলিকপ্টার থাকছে, যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়ায় এখন যুদ্ধজাহাজ তমালের ট্রায়াল চলছে। বিশেষ করে এর জন্য ২০০ জন ভারতীয় নৌসেনা সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। এই ট্রায়াল চলবে প্রায় ৬ সপ্তাহ। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তমালকে ভারতে আনার জন্য প্রস্তুত করা হবে।

LinkedIn
Share