Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • INS Mormugao: অভিষেকেই সফল আইএনএস মর্মুগাও! তার নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদ ব্রহ্মোস-এর

    INS Mormugao: অভিষেকেই সফল আইএনএস মর্মুগাও! তার নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদ ব্রহ্মোস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম পরীক্ষাতেই সফল ভারতের নতুন যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। শত্রুদেশের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এই রণতরীর রবিবার ছিল প্রথম পরীক্ষা। শব্দের চেয়ে তিন গুণ দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমেছিল মর্মুগাও। আর অভিষেকেই সেঞ্চুরি। তার নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদ করেছে ব্রহ্মোস। ব্রহ্মোস (Brahmos) ২৯০ কিমি থেকে ৪৫০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।

    আত্মনির্ভরতার উদাহরণ

    ছ’মাস আগেই ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আইএনএস মর্মুগাও। সেই নয়া রণতরী থেকেই সফল উৎক্ষেপণ করা হল ব্রহ্মোস মিসাইলের। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ। ব্রহ্মোসের সফল উৎক্ষেপণের পর আইএনএস মর্মুগাও নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নৌসেনা আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, “জাহাজ এবং যুদ্ধাস্ত্র দু’টিই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মাঝসমুদ্রের এই সফল উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভরতার প্রকৃত উদাহরণ।”

    ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘প্রজেক্ট ১৫বি’-র আওতায় মূলত দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি দ্বিতীয় রণতরী এটি। যা বানাতে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এটি মজগাওঁ ডকে তৈরি করা হয়েছিল। নৌসেনার ‘ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো’ এই রণতরীর নকশা তৈরি করেছিল। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই রণতরীর উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় নৌবাহিনী জানিয়েছিল, পারমাণবিক হামলা বা জৈব হামলা চালালেও এই রণতরীর কিছু হবে না। এ ছাড়াও এই যুদ্ধজাহাজে ছিল ৭০ কিমি মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা, টর্পেডো, রকেট লঞ্চার ও নানা ধরনের বন্দুক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটা দেশ। ভেঙে পড়া বিমানবন্দর ও তার খানাখন্দে ভরা রানওয়ে। নেই কোনও নেভিগেশন ব্যবস্থা। এমনকী, নেই রানওয়ের ল্যান্ডিং-লাইটও। ভরসা বলতে একমাত্র পাইলটদের নাইট-ভিশন গগলস্। তাই দিয়েই নিরাপদে ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) দৈত্যকায় বিমান। কিছুক্ষণ পর আবার একই কায়দায় ১২১ জনকে নিয়ে আকাশে উড়ল সে। ঠিক এইভাবে একেবারে হলিউড ফিল্মি কায়দায় গতকাল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানে (Sudan) আটকে পড়া ১২১ ভারতীয়কে নিয়ে বিমান উড়িয়ে সাহসী উদ্ধারকার্য চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা। এমন উদ্ধারকার্য যা দুর্ধর্ষ সামরিক অভিযানের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    সুদানে গৃহযুদ্ধ থামার নাম নেই। সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। সেই দেশে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। তাদের উদ্ধার করতেই “অপারেশন কাবেরী” (Operation Kaveri) শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার (Indian Navy) তরফে যৌথ উদ্যোগে সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: কলাইকুন্ডায় শেষ হল ভারত ও মার্কিন বায়ুসেনার যৌথ সামরিক মহড়া, কতটা প্রাপ্তি হল?

    গত এক সপ্তাহ ধরে একাধিক অভিযানে প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয়কে সেদেশ থেকে উদ্ধার করে এনেছে ভারতীয় নৌ ও বায়ুসেনা। তেমনই একটি উদ্ধারাভিযান বায়ুসেনা চালায় শুক্রবার রাতে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, সি-১৩০জে হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট (C-130J Hercules Transport) পণ্যবাহী বিমানে উদ্ধারকাজ চালানো হয় সুদানের রাজধানী খারতুম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ওয়াদি সাইদনা বিমানবন্দরে। 

    বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সুদানের দুই বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে বহু ভারতীয়ের পক্ষেই পোর্ট সুদানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যই ওই ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের আটজন গড়ুড় কমান্ডো। 

    বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করা ও ভারতীয়দের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, ওই এয়ারস্ট্রিপটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কোনও নেভিগেশনের ব্যবস্থা যেমন নেই। তেমনই জ্বালানি ভরা বা ল্যান্ডিং লাইটটুকুও নেই। রাতের অন্ধকারে বিনা আলোয় রানওয়েতে সুরক্ষিতভাবে অবতরণের জন্য বায়ুসেনার পাইলটরা নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেন। বিমানে উপস্থিত ক্রু-রাও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল বা ইনফ্রা-রেড সেন্সর ব্যবহার করেন। 

    বায়ুসেনার তরফে এই অপারেশনের বিষয়ে আরও জানানো হয়, অবতরণের পর বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আটকে পড়া ১২১ জন ভারতীয়কে সুরক্ষিতভাবে বিমানে তোলেন কমান্ডোরা। তাদের সামগ্রীও বিমানে তুলে দেন। আবার নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেই বিমানকে টেক-অফ করিয়ে সেখান থেকে উড়ে সৌদি আরবের জেড্ডার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এই গোটা অপারেশনের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।

    উদ্ধারের এই খবর ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বায়ুসেনা পাইলটদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সব মহল। যে অদম্য সাহস এবং দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা, তাকে কুর্নিশ।

  • BrahMos Missile: সফল উৎক্ষেপণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের, ট্যুইট নৌসেনার

    BrahMos Missile: সফল উৎক্ষেপণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের, ট্যুইট নৌসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। রবিবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় নৌসেনা। আরব সাগরে কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ার থেকে এই ব্রহ্মোস অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গনাইজেশন বা ডিআরডিও। রবিবার একটি ট্যুইট করে ভারতীয় নৌসেনা এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের বিষয়ে জানায়। ট্যুইট বার্তায় লিখেছে, “আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ থেকে একেবারে সঠিকভাবে একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় নৌসেনা। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে ডিআরডিও সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।”

    ব্রহ্মোস মিসাইল (BrahMos Missile)…

    ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) হল একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন ভারত নিজের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই মিসাইল তৈরি করতে শুরু করেছে। ভারত এখন ব্রহ্মোস মিসাইল বিদেশেও রপ্তানি করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুত। যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও ডুবোজাহাজ, বিমান এবং স্থলভাগ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষপণ করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন:চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    উল্লেখ্য, যখন প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল, সেই মুহূর্তে এই ব্রহ্মোসই ছিল বিশ্বের দ্রুততম সুপারসোনিক (শব্দের থেকেও বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বা ২.৮ মাখ গতিতে ছুটতে পারে ব্রহ্মোস মিসাইল (BrahMos Missile)। সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের অ্যান্টি-শিপ সংস্করণ গত বছরের এপ্রিলে ভারতীয় নৌসেনা এবং আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড যৌথভাবে সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল।

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি ফিলিপিন্সের

    সূত্রের খবর, অন্য দেশেও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয় ভারতের। এই চুক্তি অনুযায়ী ফিলিপিন্সকে মিসাইল পাঠাবে ভারত। এই প্রথম ভারতে তৈরি অস্ত্র বিদেশে রপ্তানি করা হবে। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিপিন্সের কাছে এই মিসাইলগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ২৩ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সাবমেরিন ভগির, জানুন বিস্তারিত

    Indian Navy: ২৩ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সাবমেরিন ভগির, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের উদ্যোগে নৌবাহিনীকে (Indian Navy) ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। কয়েকদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জাহাজ ধ্বংসকারী মিসাইল বরাদ্দ করেছে নৌবাহিনীর (Indian Navy) জন্য। এবার ২৩ জানুয়ারি মুম্বাইতে কালভরি-শ্রেণির পঞ্চম সাবমেরিন ‘ভগির’ অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে নৌসেনায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে। জানা যাচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  থাকবেন ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। সাবমেরিনটি ফ্রেঞ্চ নেভাল গ্রুপের সহযোগিতায় মুম্বই-এর মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড তাদের ‘প্রজেক্ট ৭৫’-এর অধীনে নির্মাণ করেছে বলে জানা গেছে। সাবমেরিনটি প্রায় এক মাস আগে মুম্বইতে আনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা! 

    সাবমেরিনটির খুঁটিনাটি তথ্য

    সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ৬৭.৫ মিটার এবং প্রস্থ যথাক্রমে ৬.২ মিটার। ‘আইএনএস ভগির’-এর গতি প্রতি ঘণ্টায় ২০ কিমি এবং নিমজ্জিত হয় ৩৭ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। এই সাবমেরিনটি অত্যাধুনিক স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। এই ডুবোজাহাজটিতে রয়েছে স্টেলথ প্রযুক্তি। 

    আরও পড়ুন: আজ হঠাৎ পারদ পতন! তবে সরস্বতী পুজো কাটবে গরমেই! কী বলছেন আবহবিদরা?

    ভারতের নৌবাহিনীর (Indian Navy) ইতিহাসে ভগির

    ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর প্রথম ভগিরের উদ্বোধন হয়েছিল। বেশ কয়েকটি অপারেশনাল মিশনে অংশগ্রহণ করেছিল ভগির।  প্রায় তিন দশক ধরে দেশকে সেবা করার পরে ২০০১ সালে সাবমেরিনটি অবসর নেয়।
    পরবর্তীকালে, নৌসেনার ঐতিহ্য মেনে পুরনো ভগিরের নামেই নামাঙ্কিত করা হয় নতুন সাবমেরিনের।  ১২ নভেম্বর, ২০২০ সালে নতুন ভগিরের উদ্বোধন করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভগির প্রথম সমুদ্র যাত্রা শুরু করে। গত ১ বছর ধরে সমুদ্রে ট্রায়ালে ছিল ভগির।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rafale: শুরু ফ্রান্স-ভারত যৌথ নৌ মহড়া, নৌবাহিনীর জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমানই পছন্দ ভারতের?

    Rafale: শুরু ফ্রান্স-ভারত যৌথ নৌ মহড়া, নৌবাহিনীর জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমানই পছন্দ ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় যুক্ত হচ্ছে রাফাল ফাইটার জেট। আগামী মার্চ মাসেই ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর,তখনই নৌসেনার জন্য রাফাল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। ফ্রান্স থেকে অন্তত ২৬টি রাফাল জেট কিনবে ভারত। এর আগেই সোমবার থেকে ভারতীয় ও ফ্রান্স নৌবাহিনীর মধ্যে ২১তম দ্বিপাক্ষিক নৌ মহড়া (Naval Exercise) শুরু হয়েছে।

    ফ্রান্স-ভারত যৌথ নৌ মহড়া

    নৌসেনা সূত্রে খবর, ফ্রান্স ও ভারতের যৌথ নৌ মহড়া পশ্চিম সমুদ্র তীরে শুরু হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে এই মহড়া প্রথম হয়েছিল। ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত সম্পর্কের সাক্ষর এই দ্বিপাক্ষিক মহড়ার নাম ২০০১ সালে ‘বরুণ’ রাখা হয়েছিল। এই মহড়ায় দেশীয় গাইডেড মিসাইল স্টিলথ ডেস্ট্রয়ার আইএনএস চেন্নাই, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট আইএনএস তেগ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট পি-৮আই এবং ডর্নিয়ার ও মিগ২৯ কে যুদ্ধবিমান অংশ নেবে। অন্যদিকে, ফ্রান্স নৌবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবে বিমানবাহী বাহক চার্লস ডি গল, এফএস ফোরবিন এবং প্রোভেন্স,সহায়ক জাহাজ এফএস মার্নে এবং সামুদ্রিক টহল বিমান আটলান্টিক। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুশীলন চলবে। 

    আরও পড়ুন: “যুদ্ধ নয়, এবার শান্তি চাই”, কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে আলোচনায় বসার বার্তা দিলেন শাহবাজ

    ফরাসি রাফালই পছন্দ

    নৌসেনার মতে, মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট জেট নয় ফরাসি রাফালই তাদের চাহিদা পূরণে অনেক বড় ভূমিকা নেবে। নৌসেনা এখন রুশ ফাইটার জেট মিগ-২৯কে এবং মিগ-২৯কেইউবি যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে। বিমানগুলি পুরোনো হয়ে যাওয়ায়, সব মিলিয়ে মোট ৪৩টি মিগ যুদ্ধবিমানকে বসিয়ে দিতে চায় নৌবাহিনী। এর বদলে অত্যাধুনিক জেট বিমান কিনতে চেয়েছিল নৌসেনা। বেশ কয়েকটি দেশের তৈরি যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত দৌড়ে ছিল রাফাল এম এবং এফ-১৮ যুদ্ধবিমান। ফরাসী নৌবাহিনী বর্তমানে ২৪০টি রাফাল এম যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল-এম যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত! ফরাসি সংবাদপত্র ‘লা ত্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম বিমানই যে ভারতীয় নৌসেনা কিনবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।  ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। তাঁর মধ্যে সর্বাধুনিক সংযোজন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। কিন্তু বিক্রান্তের জন্য নৌ সেনার দরকার আধুনিক যুদ্ধবিমান। এক্ষেত্রে লড়াই চলছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট ও ফ্রান্সের রাফালের মধ্যে। নৌসেনা সূত্রে খবর, রাফাল এম কেই বেছে নিতে চলেছে ভারত।

    কবে চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার পর এবার রাফাল ফাইটার জেট পেতে চলেছে দেশের নৌসেনাও। আগামী মার্চ মাসেই ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর। ফরাসী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই সময়ই সম্ভবত নৌসেনার জন্য রাফাল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে অন্তত ২৬টি রাফাল জেট কিনবে ভারত।

    কেন রাফাল

    নৌসেনার তরফে ইতিমধ্যেই রাফাল-এম এর পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা হয়েছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেটও।  গোয়ায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আইএনএস হংস রণতরী থেকে পরীক্ষা করা হয়েছিল যুদ্ধবিমান দুটির। গত ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিশদ রিপোর্ট পেশ করেছিল নৌবাহিনী। এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান প্রত্যাখ্যান করে রাফালই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য একেবারে উপযুক্ত হবে রাফাল এম যুদ্ধবিমান, এমনটাই দাবি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের।

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    নৌসেনার তরফে জানানো হয়, যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল। কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি। এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে,রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারত তৈরি করল যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। বিশ্বের শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলিকে মাত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারতের এই রণতরী। রবিবার নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে আইএনএস মর্মুগাও। 

    আইএনএস মর্মুগাও-এর বৈশিষ্ট্য

    অত্যাধুনিক এই ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ (INS Mormugao) নির্মাণ করেছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। এর নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো। রবিবার মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে নৌসেনার হাতে আসবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই রণতরী। এই জাহাজ নিঃসন্দেহে জলসীমায় আরও শক্তিশালী করবে দেশকে। এর জেরে ভারত মহাসাগর সহ অন্যান্য অঞ্চলে নৌবাহিনীর গতিশীলতা আরও বাড়বে। গোয়ার ঐতিহাসিক বন্দর শহর মর্মুগাওয়ের নামে তৈরি এই রণতরী জৈব, পারমাণবিক ও রাসায়নিক— তিন ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই শত্রুপক্ষকে টেক্কা দিতে সক্ষম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গোয়া মুক্তি দিবসের একদিন আগেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এটি। 

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    চারটি শক্তিশালী গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত এই রণতরীর সর্বোচ্চ গতি ৩০ নটের বেশি। পাশাপাশি ‘স্টেলথ’ প্রযুক্তি থাকায় শত্রু শিবিরের জাহাজের রেডার এড়িয়ে চলতে সক্ষম ১৬৩ মিটার লম্বা ও ১৭ মিটার চওড়া আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করতে রণতরীতে রয়েছে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। থাকবে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকতম সংস্করণ, যার পাল্লা বলা হচ্ছে আনুমানিক ৪৫০ কিলোমিটার। ডুবোজাহাজের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত আইএনএস মর্মুগাও। জলের নীচে থাকা শত্রু নিধনের জন্য এতে রয়েছে টর্পেডো ও রকেট লঞ্চার। উন্নত মানের রেডার থাকায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হবে এই রণতরী। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে এই জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এটির কাজ শেষ হয়েছিল। এরপর গতবছর গোয়া লিবারেশন ডে অ্যানিভার্সারিতে এটির মহড়া হয়। এবার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কার্যত রাজ করবে ভারতের এই যুদ্ধ জাহাজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শক্তির জয় জয়কার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এবার থেকে যোগ দিতে পারবেন মহিলা কমান্ডোরাও। তবে তার জন্য তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত মাপকাঠি মেনেই তাঁদের চলতে হবে। নিতে হবে কঠোর প্রশিক্ষণ। দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

    মার্কোসে মেয়েরা

    নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনীকে মার্কোস নামে ডাকা হয়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করায় এই বাহিনীর সুনাম দুনিয়া জুড়ে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষ— তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে পারে মার্কোস। এবার থেকে মহিলাদের জন্য সেই বাহিনীর দরজাও খুলে গেল। তবে এর জন্য অবশ্যই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। যেতে হবে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে চলেছে। বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যা সাধারণ ভাবে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে মহিলারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে এবং যে কোনও কষ্টকেই সহজে জয় করতে পারে, বলে দাবি করেন এক নৌসেনা আধিকারিক। তাই তাঁরা যেকোনও বিভাগে যোগ দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজে দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই এখন মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।

    আরও পড়ুন: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্সেও মেয়েরা

    শুধু নৌসেনা নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সেও যোগ দিতে পারবেন মহিলা অফিসাররা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মাপকাঠি পূরণ করলে বায়ুসেনার স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে (Garud commando force) যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। গত বছরই স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে মহিলাদের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ওই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও মাপকাঠি শিথিল করা হবে না। সম্পূর্ণ মাপকাঠি পূরণ করলে তবেই ওই বাহিনীতে সুযোগ মিলবে।  লিঙ্গ সাম্যের পথে এটাই প্রথম ধাপ নয় ভারতীয় বায়ুসেনার। অতীতে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক কারণে সামরিক ভূমিকা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায় রচিত হয়। সেই বছর মহিলা পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমোদন দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Agniveer: ভারতীয় নৌসেনার সমস্ত শাখায় মেয়েরা! অগ্নিবীর প্রকল্পে প্রথমেই ৩৪১ জন মহিলা নিয়োগ

    Agniveer: ভারতীয় নৌসেনার সমস্ত শাখায় মেয়েরা! অগ্নিবীর প্রকল্পে প্রথমেই ৩৪১ জন মহিলা নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের প্রথম ব্যাচে ভারতীয় নৌসেনায় (indian navy) যোগ দিলেন ৩৪১ জন মহিলা। এই ব্যাচে মোট ৩ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করেছে নৌসেনা। রবিবার নৌসেনা দিবসের আগে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। পরবর্তী পর্যায়ে ভারতীয় নৌসেনায় অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন নৌসেনা প্রধান

    আগামী বছর থেকে মহিলাদের জন্য নৌবাহিনীর সমস্ত পদই খুলে দেওয়া হবে এবং এই প্রথমবার নাবিক পদে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে জানিয়ে অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেন, “আমরা ৩৪১ মহিলা অগ্নিবীর নিযুক্ত করেছি। শারীরিক সক্ষমতা সহ বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত দিক বিবেচনা করেই জাহাজ, যুদ্ধজাহাজের নাবিক পদে মহিলা নিয়োগ করা হবে। তাঁদের সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য যুগান্তকারী ঘটনা। কারণ আমরা গত ১৬-১৭ বছর ধরে মহিলা অফিসার নিয়োগ করলেও এই প্রথম মহিলা নাবিকদের নিয়োগ দিলাম। এরপরেই নৌসেনা প্রধান জানান, আগামী বছর থেকে নৌসেনার সমস্ত বিভাগে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, “বর্তমানে মাত্র সাত-আটটি শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে মহিলাদের। আগামী বছর অফিসার-সহ সমস্ত বিভাগ মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্প আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল, বললেন নৌসেনা প্রধান

     সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ডিন্যান্স, ইলেকট্রিক্যাল নেভাল এয়ার মেকানিকস, কমিউনিকেশনস (অপারেশনস) এবং কমিউনিকেশনস (ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার)-এ মহিলাদের নিয়োগ করা হচ্ছে। নৌ গোলন্দাজ বাহিনীতেও নিয়োগ করা হচ্ছে মহিলাদের।প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রথম ব্যাচে মহিলাদের নিয়োগের জন্য গত ১ জুলাই থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু করেছিল নৌসেনা। তারই ভিত্তিতে এই নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নৌসেনা জানিয়েছিল,অগ্নিবীরদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ মহিলা নিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে। সেই মোতাবেকই নৌসেনায় ৩০০০ জন অগ্নিবীরের মধ্যে ৩০০-র বেশি মহিলা নিয়োগ করা হল। 

    এদিন অ্যাডমিরাল আর. হরি কুমার দাবি করেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত নৌসেনায় ‘আত্মনির্ভর হবে’। প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা জাহাজের গতিবিধি সম্প্রতি স্যাটেলাইটের ছবিতে ধরা পড়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার সহ গোটা দেশ। তবে সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে জানিয়ে নৌপ্রধান হরি কুমার বলেন, “আমাদের কাজ হল, ভারতের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষা করা এবং ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাতে এমন কিছু না হয়, সেটা দেখা।”

  • China Spy Ship: ভারত মহাসাগরে ফের চিনা গুপ্তচর জাহাজ, কারণ জানেন?  

    China Spy Ship: ভারত মহাসাগরে ফের চিনা গুপ্তচর জাহাজ, কারণ জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও গুপ্তচর (China Spy Ship) জাহাজ পাঠাল শি জিন পিংয়ের দেশ। বর্তমানে ভারত মহাসাগরে রয়েছে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত (India)। ভারতীয় নৌবাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। নজর রাখছে জাহাজটির ওপরও।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগরে চিন যে গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship) মোতায়েন করেছে, সেটি ভারতের জলসীমার অনেক দূরে। তবুও নিরাপত্তার খাতিরে ড্রাগনের দেশের ওই গুপ্তচর জাহাজটির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। মানববিহীন এরিয়াল ভেহিক্যাল দিয়েই চালানো হচ্ছে নজরদারি।

    অগাস্ট মাসেই একটি চিনা গুপ্তচর (China Spy Ship) জাহাজ নোঙর করেছিল শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে। এরই কিছু দিন আগে চিনের ওই জাহাজটি রওনা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। জাহাজটি যাতে হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য শি জিন পিংয়ের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি।

    জানা গিয়েছে, ওই গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship) চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হাম্বানটোটায়। কয়েকদিন পরে শ্রীলঙ্কার বন্দর ছাড়ে জাহাজটি।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    সূত্রের খবর, বর্তমানে বালি উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে চিনের এই নয়া গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship)। এটি এমন এক সময় ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছে, যখন ভারত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নোটিশ জারি করেছে। প্রসঙ্গত, ভারত ১০-১১ নভেম্বরের মধ্যে ওড়িশা উপকূলে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে নিক্ষেপ করতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ২২০০ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share