Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    INS Vikramaditya: আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন! তদন্তের জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অগ্নিকাণ্ড। বুধবার কর্নাটক (Karnataka) উপকুলবর্তী এলাকায় থাকাকালীন আগুন লাগে ভারতের বিশাল এই রণতরীতে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই, বলে জানিয়েছে নৌসেনা (Indian Navy)৷ এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। জাহাজের ক্রু মেম্বারদের তৎপরতায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে৷ 

    এর আগেও একবার এই যুদ্ধজাহাজে আগুন লেগে এক নৌ-কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। কী কারণে এই আগুন লাগল সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন নৌসেনার অফিসাররা। তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। নৌসেনার তরফে জানানো হয়, জাহাজে থাকা অফিসার এবং কর্মীদের তৎপরতায় এ যাত্রায় জাহাজের পুরো অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। সময় থাকতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তাই জাহাজে থাকা জিনিসপত্রের বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: অদূর ভবিষ্যতে ড্রোন উৎপাদনের হাব হবে ভারত, আশা ডিআরডিও প্রধানের

    ২০১৪ সালে রাশিয়া (Russia) থেকে এই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি কেনে নৌসেনা। খরচ পড়েছিল ১৬,১২৩ কোটি টাকা। জাহাজটিতে ৩০ টি মিগ-২৯কে (MiG 29K) যুদ্ধবিমান ও ছ’টি হেলিকপ্টার রাখা যেতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার উচ্চতার এই যুদ্ধজাহাজ ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু, ওজন ৪০০০০ টন। পৃথিবীতে খুব কম দেশের কাছেই  বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে, এটি ৪৪ হাজার ৫০০ টন ওজন ধারণে সক্ষম। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ বহনে সক্ষম রণতরীটিতে ২২টি ডেক রয়েছে। এটি ৮ হাজার টন জ্বালানি ধারণ করতে এবং একবারে ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল বা ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে।

    আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে এখন। বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজটিতে বসানো হচ্ছে ‘মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম’। এর ফলে আরও সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারবে।
     

  • Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (Garden Reach Shipbuilders and Engineers) নির্মিত নৌসেনার (Indian Navy) নতুন স্টেলথ ফ্রিগেট (Stealth Frigate) শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত থাকবেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R. Hari Kumar) সহ নৌসেনা, প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of Defence) ও গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের শীর্ষ পদাধিকারীরা।

    প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha) প্রকল্পের আওতায় থাকা স্টেলথ ফ্রিগেটের নকশা করেছে নৌসেনার আওতাধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন। এই সংস্থাই দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর নকশাও করেছে। প্রোজেক্ট ১৭-আলফা প্রকল্পের প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। 

    নৌনেসার নিয়মানুসারে, যে কোনও প্রকল্পের প্রথম জাহাজের নামকে সেই প্রকল্পের শ্রেণি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। যে কারণে, এই প্রকল্পের বাকি ৬টি জাহাজগুলিকে “নিলগিরি-শ্রেণি” ফ্রিগেট হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। আগামীকাল, যে জাহাজটির উদ্বোধন হবে, সেটি হবে গার্ডেনরিচে নির্মিত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা দ্বিতীয় জাহাজ। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    আগামীকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে, নৌসেনার ঐহিত্য অনুসারে, জাহাজের নামকরণ ও উদ্বোধন করবেন দেশের নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের স্ত্রী শ্রমতী কলা হরি কুমার। এই জাহাজের নাম হতে চলেছে ‘আইএনএস দুনাগিরি’ (INS Dunagiri)।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই জাহাজের বৈশিষ্ট্য—

    প্রোজেক্ট ১৭-এ প্রকল্পের আওতায় থাকা ফ্রিগেটগুলি স্টেলথ। অর্থাৎ, এক কথায় এই জাহাজের ওপর এমন আস্তরণ রয়েছে, যাতে এর রেডার সিগনেচার (Radar signature) কমে যায়। এক কথায়, শত্রুর রেডারে ধরা পড়বে না। মূলত, এই জাহাজগুলির প্রধান নকশা প্রোজেক্ট-১৭ শ্রেণি থেকে নেওয়া। তবে, তাতে অনেক আধুনীকিকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (Surface to Air Missile)-এর ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম (VLS) বা লম্বালম্বি নিক্ষেপ-ব্যবস্থা।

    এই জাহাজগুলি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার (anti-surface warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৮টি ব্রহ্মোস (BrahMos) জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (anti-ship cruise missiles)। এই মিসাইলের সর্বোচ্চ গতি ‘মাক ৩’, অর্থাৎ শব্দের গতির তিনগুণ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে ৭৬ মিমি নেভাল গান (OTO Melara 76 mm naval gun)। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি নৌসেনার, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়া

    অ্যান্টি-এয়ার ওয়ারফেয়ার (anti-air warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে ৩২টি বারাক ৮ইআর (Barak 8ER) দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (LR-SAM)। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আকাশপথে আসা শত্রুর যে কোনও বিপদ যেমন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মানবহীন বিমান বা ড্রোন— সবকিছুকে ধ্বংস করতে জুড়িহীন এই ইজরায়েলি-জাত ক্ষেপণাস্ত্রের।

    অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (anti-submarine warfare) সক্ষমতার অঙ্গ হিসবে এতে রয়েছে দুটি টর্পেডো লঞ্চার। এক-একটি থেকে তিনটি করে টর্পেডো নিক্ষেপ করা যায়। এতে রয়েছে ২টি সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার (anti-submarine rocket launchers) যার মধ্য দিয়ে রুশ নির্মিত ১ কিমি পাল্লার আরবিইউ-৬০০০ স্মার্চ-২ (RBU-6000 Smerch-2) রকেট নিক্ষেপ করা যায়। এছাড়া, শত্রুর ছোঁড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে এতে রয়েছে ২টি অ্যান্টি-টর্পেডো ডিকয় সিস্টেম (anti-torpedo decoy system) এবং ৪টি ডিকয় লঞ্চার (Kavach anti-missile decoy launchers)। 

    এই জাহাজের ডেক থেকে দেশীয় এএলএইচ ধ্রুব মার্ক-৩ (ALH Dhruv MK-III) জলপথ নজরদারি কপ্টার এবং ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং (Westland Sea King) জাহাজ ও সাবমেরিন-বিধ্বংসে পারদর্শী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। 

  • INS Vikrant: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    INS Vikrant: চতুর্থ সি-ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর, ছবি প্রকাশ নৌসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্ভুক্তির দিকে আরও একধাপ এগলো দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী বা ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার (Indigenous Aircraft carrier)। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই চতুর্থ তথা চূড়ান্ত দফার সামুদ্রিক ট্রায়াল (4th phase of sea trials) সম্পন্ন করেছে বিক্রান্ত। 

    আগামী ১৫ অগাস্ট, অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম স্বাধীনতা বর্ষপূর্তির দিন সরকারিভাবে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে আইএসি-১ (IAC-1) যুদ্ধজাহাজকে। তখন নামকরণ করা হবে “আইএনএস বিক্রান্ত” (INS Vikrant)। ট্যুইটারে নৌসেনার তরফে যে ছবিগুলি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জাহাজের ডেকে রয়েছে রুশ নির্মিত মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। 

    [tw]


    [/tw]

    নৌসেনার ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশায় ৩৭,৫০০ টনের এই জাহাজ নির্মিত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোচিন শিপইয়ার্ড (Cochin Shipyard Limited)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    সূত্রের খবর, মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি এই রণতরীতে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) হেলিকপ্টার, মার্কিন সংস্থা সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৩০ রোমিও (MH-30R) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার এবং দেশে তৈরি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL) নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH)। পরবর্তীকালে, মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলির জায়গা নেবে মার্কিন বোয়িং নির্মিত এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (Boeing F/A-18E/F Super Hornet) অথবা ফরাসি দাসো এভিয়েশন (Dassault Aviation) নির্মিত রাফাল-এম (Rafale-M) যুদ্ধবিমান।

    ভারতের প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌ-বাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। সেই নামেই নামাঙ্কিত করা হচ্ছে নতুন রণতরীকে। 

    [tw]


    [/tw]

    বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনায় রয়েছে একটিই মাত্র বিমাণবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya), যা রাশিয়া থেকে কিনেছিল ভারত। অন্যদিকে, চিনের নৌসেনায় ইতিমধ্যেই দুটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তৃতীয়টির পরীক্ষা চলছে। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    বিক্রান্ত-এর ৭৬ শতাংশ অংশই দেশীয়। ২০০৯ সালে এই যুদ্ধজাহাজের নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

  • Rafale M vs F/A 18 Super Hornets: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    Rafale M vs F/A 18 Super Hornets: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মার্কিন এফ-১৮ (US F/A 18 Super Hornets) বা ফরাসি রাফাল (French Rafale M) কিনতে আগ্রহী নৌসেনা (Navy)। দেশে তৈরি তেজস (TeJas) থাকলেও বিদেশি বিমানের উপরেই আপাতত ভরসা রাখছে ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’ বা ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি ‘মেরিন রাফাল’কে পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    গত কয়েক মাস ধরে গোয়ার নৌঘাঁটি আইএনএস হংস থেকে দুটি যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পরীক্ষার ভিত্তিতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (DAC) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে বায়ুসেনার জন্যও যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের তৈরি যুদ্ধবিমান। শেষপর্যন্ত দাম এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ফ্রান্সের তৈরি মেরিন রাফালকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও, রইল তালিকা

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রামাদিত্যে এবং আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগে থেকেই রুশ মিগ-২৯কে’র বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজস ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছিল। সে লক্ষ্যে তেজসের কয়েক দফা পরীক্ষাও চলেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিংয়ে সফল হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে তেজস। অ্যারেস্টর হুকের সাহায্যে ৯০ মিটারের মধ্যে গতিবেগ ২৪৪ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল তেজস। তবে অস্ত্রবহন ক্ষমতা ও বেশিক্ষণ ওড়ার ক্ষেত্রে তেজস আমেরিকা ও ফরাসি যুদ্ধবিমানের তুলনায় একটু পিছিয়ে। তাই রাফাল বা সুপার হর্নেটের মধ্য থেকে কোনও একটিকে বেছে নিতে চাইছে নৌসেনা। পরবর্তী পর্যায়ে তেজসকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, বলে আশাপ্রকাশ করছেন এক নৌসেনা আধিকারিক।

  • INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। বৃহস্পতিবার এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। তার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indigenously built) তৈরি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে চলেছে নৌসেনা। এদিন বিক্রান্তকে নৌসেনার হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited) বা সিএসএল (CSL)। একাধিক ট্রায়ালের (Trial) পর নির্মাণ সংস্থার তরফে এই রণতরী  তুলে দেওয়া হল নৌসেনার হাতে। 

    [tw]


    [/tw]

    কোচিন শিপইয়ার্ড জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ৪৫ হাজার টন। সর্বোচ্চ ২৮ নট (Knot) গতিতে ছুটতে পারে এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier)। এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই যুদ্ধ জাহাজ হাতে পাওয়ার পর এদিন ট্যুইট বার্তায় ভারতীয় নৌসেনা জানায়, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিমানবাহী রণতরী হাতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজ চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগর (Indo Pacific region) এবং ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন করা হতে পারে এই রণতরী। এখানে থাকবে মিগ-২৯কে (Mig-29K) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft)। এছাড়াও এই রণতরীতে থাকবে কামোভ-৩১ (Kamov-31), এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল কপ্টার  এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter)। এর প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • Agnipath Recruitment: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    Agnipath Recruitment: অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল সেনা ও নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath Scheme) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। শুক্রবার থেকে সেনার এই দুই বিভাগে সেনা ও নাবিক পদে আবেদনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Online Registration) শুরু হয়েছে।

    প্রথমবার দুটি ব্যাচে ৪০ হাজার অগ্নিবীর (Agniveer) নিয়োগ করবে ভারতীয় সেনা বাহিনী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের প্রথম ব্যাচে ২৫ হাজার এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় ব্যাচে আরও ১৫ হাজার।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    যারা এখন অনলাইনে আবেদন করবেন, তাঁদের নিয়োগের পরবর্তী ধাপ অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু করবে ভারতীয় সেনা। প্রথম ব্যাচের কমবাইন্ড প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৬ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষেই ট্রেনিং শেষ করে কাজে যোগ দেবে প্রথম ব্যাচ। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

    শুক্রবার থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে নৌসেনাও। চলতি মাসের ১৫-৩০ তারিখের মধ্যেই খুলে যাবে অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো। লিখিত এবং শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই বছরেই ৩ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    ২৪ জুন থেকেই অগ্নিবীর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। বায়ুসেনায় আবেদন করা যাবে ৫ জুলাই অবধি। ২৪-৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইন পরীক্ষা নেবে ভারতীয় বায়ুসেনা। ডিসেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রশিক্ষণের মেয়াদ সহ চার বছরের চাকরিতে সেনাদের নিয়োগ করা হবে। এই অগ্নিবীরদের আর্মি অ্যাক্ট ১৯৫০-এর অধীনে নিয়োগ করা হবে এবং প্রার্থীরা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে যেখানেই নির্দেশ দেওয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবেন। এই স্কিমের অধীনে নথিভুক্ত অগ্নিবীররা কোনও ধরনের পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না। 

    বেতন ১ম বছর – মাসিক ৩০,০০০ টাকা, ২য় বছর – মাসিক ৩৩,০০০ টাকা, ৩য় বছর – মাসিক ৩৬,৫০০ টাকা, ৪র্থ বছর – মাসিক ৪০,০০০ টাকা। চার বছর শেষে করবিহীন এককালীন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।  

     

  • Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    Defence Recruitment “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অগ্নিপথে দেশের তরুণরা। সেনার (Army) তিন বিভাগে চাকরি নিয়ে মঙ্গলবার “অগ্নিপথ প্রকল্পের” ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক অ্যাখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister)। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী তরুণরা দেশের সেনাবাহিনীতে সাময়িকভাবে ” অগ্নিবীর” (Agniveer) হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারবেন। ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগে মিলবে আকর্ষণীয় বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্যই হল বেতন, পেনশন বিল কমানো এবং অস্ত্রের জরুরি সংগ্রহের জন্য তহবিল খালি করা। এই প্রকল্পের অধীনে চার বছরের জন্য সেনাতে লোক নিয়োগ করা হবে। এই চার বছরের কাজের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়োগের প্রথম কিস্তিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখায় ৪৫,০০০ এর বেশি নিয়োগ হবে। সরকারি তরফে তাঁদের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা, বিমা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। 

    চার বছর পর এই সৈন্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে কাজে বহাল রাখা হবে। তাঁরা ক্যাডারে নিযুক্ত হয়ে আরও ১৫ বছর নন-অফিসার পদে চাকরি করতে পারবেন।জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়াদে চাকরি চলে যাওয়ার আনুমানিক ৩০ দিনের মধ্যে ২৫ শতাংশ সেনাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হবে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার নয়া তারিখ ধরে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। সেই তারিখের ভিত্তিতেই বেতন এবং পেনশন পাবেন সেনারা। এই পদ্ধতিতে নিয়োগ চালু হলে সেনাদের প্রথম চার বছরের পেনশনের ভার বহন করতে হবে না কেন্দ্রকে। তার ফলে প্রচুর ৫.২ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।

    [tw]


    [/tw]

    চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে থাকবেন যাঁরা ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন সৈনিকরা। তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কাটা হবে তাতে সরকারও সমান অবদান রাখবে। এর ফলে সৈন্যরা চার বছরের চাকরির পরে তাদের অবসর গ্রহণের সময় এককালীন ১০ লাখ টাকা পাবে। যদিও চাকরি ছাড়ার পর তাঁরা আর পেনশন যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।  

    দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। এবার পরিকল্পনাটি সামরিক বিষয়ক বিভাগ দ্বারা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এবার থেকে সামরিক বাহিনীতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ চলবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রতিরক্ষা খাতে সরকারের ব্যায়ও কিছুটা কমবে। আর্থিক সাশ্রয়ের জন‌্যই জওয়ান ও অফিসার নিয়োগে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভাবনা কেন্দ্রের। 

    এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধানেরা। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানান, এই প্রকল্পের ফলে সেনাবাহিনীতে তরুণ এবং অভিজ্ঞ সেনাদের যথোপযুক্ত সংমিশ্রণ ঘটবে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী বলেন, বিমানবাহিনীতে আধুনিক-প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে তরুণ সম্প্রদায় বড় ভূমিকা নেবে। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, মহিলারাও এই প্রকল্পে সমান সুবিধা পাবেন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। প্রশিক্ষণের পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় কাজ শুরু করবে ‘অগ্নিবীর’রা।

     

  • Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তিই ব্যবহার করুন, আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভরতা’র (Atmanirbhar Bharat) ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।নেভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইনডিজেনাইজেশন অর্গানাইজেশন (NIIO) সেমিনার ‘স্বাবলম্বন’-এ আবার সেই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশীয় প্রযুক্তিকে সামনে রেখে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপনের জন্য, নৌবাহিনী আগামী বছরে অন্তত ৭৫টি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি এবং পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়ে নৌসেনার এক আধিকারিক জানান, এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হল দেশীয় শিল্পকে তরান্বিত করা। নৌবাহিনী আত্মনির্ভর ভারত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।  গত বছর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরনির্ভরশীল না থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশেই বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা আর তার মধ্যে দিয়ে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। চলতি বছরে ভারত প্রতিরক্ষা আমদানি ২১ শতাংশ কমিয়েছে। রেকর্ড ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার গত আট বছরে শুধু প্রতিরক্ষা বাজেটই বাড়ায়নি, বরং স্থানীয় স্তরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের উপরেও জোড় দিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশীয় প্রযুক্তির সংখ্যা বাড়াতে ক্রমাগত কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত যে ভারত যখন তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের নৌবাহিনী একটি অভূতপূর্ব উচ্চতায় যাবে। দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারাই দেশের নিরাপত্তা মজবুত করা হবে।” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার প্রচেষ্টা ভারতের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে বলে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

  • Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩২ বছর ধরে দেশসেবা। অংশগ্রহণ করেছে ‘অপারেশন তালওয়ার’ ও ‘অপারেশন পরাক্রম’ অভিযানে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘ডিউটি’। এবার অবসরের পথে আইএনএস অক্ষয় (INS Akshay) এবং আইএনএস নিশাঙ্ক (INS Nishank)। এই দুই যুদ্ধজাহাজকে ‘ডিকমিশন্ড’ (decommissioned) করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian navy)।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে হয় ডিকমিশনিং প্রক্রিয়াটি। রক্তরাঙা সূর্যাস্তের সময় শেষবারের মতো নামানো হয় জাতীয় পতাকা,  নৌসেনার পতাকা এবং দুটি জাহাজের ডিকমিশনিং পেন্যান্ট। আইএনএস নিশাঙ্ক একটি উচ্চগতির মিসাইল ক্রাফট (High speed missile craft)। ১৯৮৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দেশসেবায় যুক্ত হয়। এর এক বছর পর নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস অক্ষয়। আইএনএস নিশাঙ্ক এবং আইএনস অক্ষয় যথাক্রমে ২২ মিসাইল ভেসেল স্কোয়াড্রন ও ২৩ পেট্রল ভেসেল স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। মহারাষ্ট্র নেভাল এরিয়ার ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিংয়ের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল এই দুই যুদ্ধজাহাজ।

    আরও পড়ুন : সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

    নৌসেনা জানিয়েছে, জাহাজগুলি ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয়ভাবে নৌ-পরিষেবায় যুক্ত ছিল। কার্গিল যুদ্ধের সময় অপারেশন তালওয়ার এবং ২০০১ সালে অপারেশন পরাক্রম সহ বেশ কয়েকটি নৌ অভিযানে অংশ নিয়েছিল। উরি হামলার পরে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন নিশাঙ্ককেও মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar)।

    ১৯৯৫-৯৬ সাল পর্যন্ত আইএনএস নিশাঙ্ক ছিল তাঁরই অধীনে। উপস্থিত ছিলেন এম গোপীনাথও। ১৯৯৬ সালের মে মাসে আইএনএস অক্ষয়-এর কমান্ড নিয়েছিলেন তিনিই। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন গোপীনাথ। বলেন, আমি আমার বাবাকে একজন নৌ-অফিসার হিসাবে আইএনএস অক্ষয়ে আসতে দেখেছি। আমার স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল। আমিও একজন নৌ-অফিসার হয়েছিলাম।

    গত সপ্তাহেই ৩৪ বছর চাকরি করার পর অবসর নিয়েছিল আইএনএস গোমতী। এদিন নিল আরও দুই জাহাজ। তবে নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুসারে, দেশের সেবায় অক্লান্ত থাকেন সৈনিকরা। এই জাহাজরাও সৈনিক। তাই কোনও যুদ্ধজাহাজ ডিকমিশন্ড করা হলে নতুন দুই জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয় একই নামে।

    সৈনিকদের যে মৃত্যু নেই!

     

  • Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: এধরনের যুদ্ধজাহাজ আত্মনির্ভরতার প্রতীক, স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধনে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ হোক বা আন্তর্জাতিক— ভারত মহাসাগর অঞ্চলে যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে দেশের নৌসেনাকে। শুক্রবার কলকাতায় যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বললেন, গোটা মহাসাগরীয় অঞ্চলে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। 

    গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স নির্মিত ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস দুনাগিরি’-র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ। তিনি বলেন, বিশ্বের পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী, ভারতের পরিকাঠামো উন্নত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত প্রবর্তিত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরীয় ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান, দেশের জলসীমান্তকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত রাখতে নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও পরিকাঠামো উন্নত থেকে উন্নততর করা হোক।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচে অত্যাধুনিক স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন, থাকবেন রাজনাথ, নৌসেনা প্রধান

    রাজনাথ বলেন, এধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভারতের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এই জাহাজ ভারতের সক্ষমতা প্রমাণ করে। নৌসেনার শক্তি প্রদর্শন করে। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার সংকল্প নিয়েছেন, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর ফলে, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসবে।  

    এদিন যে জাহাজের উদ্বোধন হল, তা প্রোজেক্ট ১৭-আলফা (Project 17-Alpha)-র অন্তর্গত। প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেটের নাম ‘আইএনএস নিলগিরি’। পি ১৭-এ (P-17A) ফ্রিগেট ঘরানার এটি হতে চলেছে চতুর্থ জাহাজ। এই প্রকল্পের আওকায় মোট সাতটি জাহাজ তৈরি হচ্ছে। জাহাজগুলি নির্মাণ করছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক লিমিটেডে (MDL) ও কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (GRSE)। এর আগে, ২০২০ সালে প্রথম জাহাজ গার্ডেনরিচে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের দ্বিতীয় জাহাজ ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri) স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    রাজনাথের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। তিনি বলেন, ভারতীয় জলসীমা সুরক্ষিত করার পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হল দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ হাজার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। 

LinkedIn
Share