Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • INS Himgiri: চিন-পাকিস্তানের ঘুম ছুটিয়ে এবার সমুদ্র দাপাবে গার্ডেনরিচে তৈরি আইএনএস হিমগিরি

    INS Himgiri: চিন-পাকিস্তানের ঘুম ছুটিয়ে এবার সমুদ্র দাপাবে গার্ডেনরিচে তৈরি আইএনএস হিমগিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগেই আরও বাড়ল ভারতের নৌসেনার শক্তি। শত্রুদের সামনে আরও পরাক্রমী হয়ে উঠল দেশের নৌবাহিনী। তাদের হাতে এল আইএনএস হিমগিরি (INS Himgiri)। ব্রহ্মস ও বারাক মিসাইল বহনকারী এই স্টেলথ যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াতে উন্নতমানের রণতরী তৈরিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করতে একাধিক যুদ্ধজাহাজ নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। এবারও তার ব্যতিক্রমহল না।

    শক্তি বাড়ল নৌসেনার

    আইএনএস হিমগিরির হাত ধরে ভারতীয় নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল। দেশের সবথেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্টেলথ ফ্রিগেট নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল জিআরএসই। ব্রহ্মস মিসাইল এবং বারাক মিসাইল যুক্ত এই ফ্রিগেট নৌবাহিনীকে সবদিক থেকে সমৃদ্ধ করল বলেই মনে করছেন সামরিকবিশারদরা। আইএনএস হিমগিরি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে নীলগিরি ক্লাসের প্রথম ফ্রিগেট। গার্ডেনরিচ শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই ফ্রিগেট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হল। এটি পি১৭এ (P17A) ফ্রিগেট সিরিজের অধীনে নির্মিত এবং ভারতের দ্বিতীয় ৬৬৭০টনের নীলগিরি ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ।

    হিমগিরির বৈশিষ্ট্য

    হিমিগিরির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর উন্নত স্টেলথ ডিজাইন ও কাঠামো। সুপারস্ট্রাকচার জিওমেট্রিক স্টেলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজ। যার ফলে এটি শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। ডিজেল ও গ্যাস দুই (CODAG) সিস্টেমে চালিত এই যুদ্ধজাহাজ প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল/ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম।

    রেডার ও সেন্সর সিস্টেম: হিমিগিরিতে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও প্রাইমারি ট্র্যাকিং-এর জন্য ব্যবহৃত মাল্টি-ফাংশন ফেজড অ্যারে রেডার (MF-STAR AESA) অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়াও হিমিগিরির লং রেঞ্জ সার্ভিলেন্স রেডার (Long-range surveillance) বা ল্যানজা (Lanza-N) রেডার, লক্ষ্যবস্তুকে দূর থেকে ডিটেক্ট করার জন্যই তৈরি। ৩) এছাড়াও ডিআরডিও (DRDO) নির্মিত হামসা (HUMSA-NG) এনজি হল সাবমেরিন হান্টিং পদ্ধতি যা জাহাজটির মূল চোখ ও কান।

    ইলেকট্রনিক ওয়ারফেস ও ডিকয় প্রোটেকশন (Electronic Warfare ও Decoy Protection): ১) শক্তি ইডব্লু সুইট (Shakti EW Suite) – শত্রুর রেডার ও কমিউনিকেশন জ্যাম করার জন্য ব্যবহার করা হবে। ২) কবচ পদ্ধতি (Kavach & Mareech Systems) – এটি একটি অ্যাক্টিভ ডিকয় লঞ্চার, যা জাহাজ বিধ্বংস্বী ক্ষেপণাস্ত্র বা টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করতে ব্যবহৃত হবে।

    অস্ত্রসজ্জা: এই অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজে বহন করা যাবে-

    ৮ × ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল।

    ৩২ × বারাক-৮ এলআর স্যাম (Barak-8 LR-SAM বা Medium to Long-range SAM) – শত্রু বিমান ও মিসাইলকে প্রতিহত করার জন্য

    ১ × ৭৬এমএম সুপার গান (76mm Super Rapid Gun Mount) – মাঝারি পাল্লার নৌ ও বিমান টার্গেটের বিরুদ্ধে কাজ করবে এটি

    টর্পেডো লঞ্চার ও রকেট ডেপথ চার্জার – সাবমেরিন হান্টিং-এ কার্যকর হবে।

    ২ × একে ৬৩০এম সিআইডব্লুএস (Close-In Weapon System) – শেষ মুহূর্তে জাহাজের দিকে ধেয়ে আসা মিসাইল বা বিমান থামানোর জন্য ব্যবহৃত হবে।

    ৬× ৫৩৩এমএম টর্পেডো টিউব , ও রকেট লঞ্চার আছে।

    কোন কাজে ব্যবহৃত হবে হিমগিরি

    হিমগিরি মূলত মাল্টি ডাইমেনশনাল ক্ষমতার ফ্রিগেট। যা সমুদ্র সীমার সুরক্ষা, বিমান হামলা প্রতিহত, সাবমেরিন হান্টিং, ও সমুদ্রে স্ট্রাইক অপারেশনে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে সাগরে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নৌসেনার জন্য চারটি নজরদারি জাহাজ বানানোর বরাত পায় গার্ডেনরিচ। এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে ‘শত্রু’ পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার ‘নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল’ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থাটি। বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে এভাবেই একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছে গার্ডেনরিচ। এবার হিমগিরির পালা।

     

     

     

     

     

  • PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi: ‘‘পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল চলবে না!’’ সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ফের হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারত যে কোনওরকম ‘ব্ল্যাকমেল’ সহ্য করবে না, সংসদে (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে তা ফের স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বিকেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে পাকিস্তান, জঙ্গি, বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি তিনি সংঘর্ষবিরতির নেপথ্যে ট্রাম্পের কৃতিত্ব নেওয়ার দাবিকেও নস্যাৎ করেলেন। এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই সময়েও রাজনৈতিক স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পাশে দাঁড়ায়নি।”

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারে। কিন্তু সেই পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে পাকিস্তান যদি মনে করে যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে অথবা সেই অস্ত্রভান্ডারের কারণে ভারত মেপে পা ফেলবে, তাহলে খুব বড় ভুল করছে ইসলামাবাদ। একথা মঙ্গলবার সংসদে ফের স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ‘‘পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা বুঝেছিল, বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে। পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। ২২ মে ২২ এপ্রিলের বদলা নেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে যাইনি, সেখানেও গেছি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিদের আড্ডা ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ ভাবতেও পারবে না, কোথায় গেছি। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে। আমরা প্রমাণ করেছি যে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা চলবে না। তার সামনে ভারত মাথানত করবে না। পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এখনও কয়েকটি এয়ারবেস আইসিইউতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।’’

    মেড-ইন-ইন্ডিয়া অস্ত্রেই ঘায়েল

    অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

    বিরোধীদের বার্তা

    এদিন লোকসভায় (Parliament Monsoon Session) দাঁড়িয়ে বিরোধীদের সরাসরি আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি। অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি। ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে। বিদেশনীতি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। দুনিয়ার সমর্থন নিয়েও কথা হল। একটা কথা স্পষ্ট বলছি, দুনিয়ার কোনও দেশ ভারতকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বাধা দেয়নি। ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের সমর্থনে বয়ান দেয়। সব দেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে।’’

    ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেননি

    ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি প্রসঙ্গে এদিন ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গও উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। উনি এক ঘণ্টা চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেনার সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। তাই কলটা নিতে পারিনি। পরে আমি ফোন করেছিলাম। ফোনে আমাকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে বলে পাকিস্তান বড় হামলা করতে চলেছে। আমার জবাব ছিল, যদি পাকিস্তানের এমনই উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে এর মূল্য চোকাতে হবে। যদি পাকিস্তান হামলা করে আমরাও বড় প্রত্যুত্তর দেব। এটাই ছিল আমার জবাব।’’

     

     

     

  • Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    Operation Mahadev: সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগই ধরিয়ে দিল! ‘অপারেশন মহাদেব’-এ কীভাবে ফাঁদে পড়ে জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসা ও তার ২ সহযোগীকে খতম করল ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় সোমবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা ও জম্ম-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঠিক যেই মুহূর্তে সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই উপত্যকা থেকে বড় খবর দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছেই লিদওয়াসেতে দাচিগাঁওয়ের হারওয়ানের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর চিনার কোর। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন মহাদেব’ (Operation Mahadev)।

    সংঘর্ষে ৩ জঙ্গি নিহত

    সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা এ দেশের বাসিন্দা নয়। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি মুসার। এই মুসা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ছিল বলে খবর। সে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। শ্রীনগরের দাচিগাঁওয়ে সোমবারের সংঘর্ষে নিহত আর দুই জঙ্গির নাম হল আবু হামজা এবং ইয়াসির। এমনটাই বলছে একটি সূত্র। এই দু’জনও মুসার মতো পাকিস্তানের বাসিন্দা। শ্রীনগর পুলিশের সিনিয়র সুপার জিভি সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নিহত তিন জন পাকিস্তানের। তাঁরা লস্করের জঙ্গি।

    কে ছিল এই হাসিম মুসা?

    হাসিম মুসা, যিনি সুলেমান মুসা নামেও পরিচিত, এর আগে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সাথে যুক্ত ছিল৷ যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো শাখা। অর্থাৎ, পাক সেনায় কমান্ডোর শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিল সে৷ একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, লস্করকে নানা ভাবে এই ভাবেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেনা ‘উপহার’ দিয়ে থাকে পাকিস্তানের সেনা৷ যাতে তারা সমান্তরাল সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের দিয়ে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করা চালিয়ে যেতে পারে৷ সাধারণত, একটু বেশি বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনারাই যোগ দেয় লস্করের এই বিশেষ বিশেষ কাজগুলোতে৷ গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, মুসা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়। মুসা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া-সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার পরে, সে বদগাঁও, বারামুল্লা, রাজৌরি, পুঞ্চ এবং গান্ডেরওয়ালের মতো জেলাগুলোতে সক্রিয় ছিল। পহেলগাঁও হামলার পরে আটক ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের (OGWs) জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের অন্তত তিনটি হামলার সাথে মুসার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়৷ যার মধ্যে রয়েছে গান্ডেরওয়াল এবং বারামুল্লায় হামলা, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সংগৃহীত ডিজিটাল গোয়েন্দা তথ্য এবং মানুষের থেকে জানা তথ্যের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলিতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছিল।

    কীভাবে ফাঁদে ফেলা হয় জঙ্গিদের?

    সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ২৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও ৪ প্যারা ইউনিটের একটি যৌথ দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে। নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নীচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল। শ্রীনগরের কাছেই দাচিগাঁও ন্যাশনাল ফরেস্ট। তার কাছেই এক জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি জায়গায় ছিল ত্রিপল ঢাকা এক এলাকা। রিপোর্ট বলছে, সেই ত্রিপল ঢাকা এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে মুসার দেহ। ২২ এপ্রিলের অভিশপ্ত দুপুরে পহেলগাঁওতে নিরস্ত্র ২৬ জনকে নিকেশ করে জঙ্গিরা। দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্ট নামের এক জঙ্গি সংগঠন তার দায় নেয়। সামনে আসে ৪ জঙ্গির স্কেচ। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। পহেলগাঁওতে হামলা চালানো সেই জঙ্গিদেরই মধ্যে একজন হল হাসিম মুসা। জঙ্গি দমনে এখনও অভিযান চলছে, আরও দুইজন জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। একটি জঙ্গিঘাঁটি সেনার নজরে এসেছে। সেখান থেকে অনেকগুলি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে, যা ডিকোড করে ‘সেফ হাউস ও পি-৩’ শব্দ সামনে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    Pakistani Spy: অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচার, গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়ে পাকিস্তানকে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে বিশাল যাদব নামে নৌবাহিনীর ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। নৌসেনার দিল্লির সদর দফতরে কর্মরত ওই কর্মী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ‘স্পাই’ হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ।

    ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। নৌসেনার সদর দফতরে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল বিশাল। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল প্রথমে ‘হানি ট্র্যাপের’ কবলে পড়ে। সে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করত। অপারেশন সিঁদুর অভিযান চলার সময়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তার মাধ্যমেই পেয়েছে আইএসআই। পুলিশের দাবি, তার মোবাইল ফোন ঘেঁটেই এই কথা জানা গিয়েছে। বিশাল যাদব টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এক মহিলাকে সরবরাহ করেছিল। ওই মহিলা তার ‘পাকিস্তানি হ্যান্ডলার’ ছিল।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ

    পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, রাজস্থানের সিআইডির গোয়েন্দা ইউনিট কারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছে তার ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল যাদবের কাজ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। তখনই জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিত। বিশালের কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য জানার জন্য তাকে নিয়মিত টাকাও দিত ওই মহিলা।

    টাকা নিয়ে তথ্য পাচার

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমসে আসক্ত ছিল বিশাল। খেলায় হেরে যাওয়ার পরে তার টাকার দরকার পড়ত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্রিপটোকারেন্সি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়ত বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন জয়পুরে নিয়ে গিয়ে বিশালকে জেরা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কোন কোন তথ্য বিশাল ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করেছে তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা। পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পাক গুপ্তচর-যোগের অভিযোগে ধৃত নেট-প্রভাবী জ্যোতি মালহোত্রার ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এরই মধ্যে নৌসনার অফিসে কর্মরত বিশালের গ্রেফতারিতে পাক গুপ্তচর-যোগের তদন্তে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    India-Pakistan Conflict: আদমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা, সুখোই যুদ্ধবিমান ধ্বংস! পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি খারিজ স্যাটেলাইট ইমেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে (Adampur Airbase in Punjab) হামলা করেছিল পাকিস্তান, দাবি করে ইসলামাবাদ। তাতে ভারতের বেশকিছু যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবিও করে পাকিস্তান। এবার, স্যাটেলাইটের তোলা ছবি সামনে এনে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) সেই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন। পাকিস্তানের এই দাবিকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রমাণ সহকারে।

    পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি নস্যাৎ

    অপারেশন সিঁদুরের পর নাকি পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পার্ক করা একটি সুখোই-৩০ এমকেআই ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমনটাই তারা দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। এদিকে টপ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ফটো বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেছেন, পাকিস্তান সংঘাত-পূর্ববর্তী একটি ছবি ব্যবহার করেছিল। এক্স-এ একটি পোস্টে আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করার জন্য পাকিস্তানের ব্যবহৃত ছবিটি পোস্ট করেছেন সাইমন। দাবির সমর্থনে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পাকিস্তান যেটিকে বার্ন মার্ক বলে দাবি করছে, তার কাছাকাছি একটি জেট দেখা যাচ্ছে। ওই সময় একটি মিগ-২৯ বিমানে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে ওই বিমানবন্দরে। ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে যা একেবারেই স্বাভাবিক।’ ফলে, স্যাটেলাইট ইমেজে ফের প্রমাণিত হল যে,পুরোটাই পাকিস্তানের বানানো মিথ্যে কথা।

    স্যাটেলাইট চিত্র বলে দিল সত্যি

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত যে (Operation Sindoor) অভিযান চালায়, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। সেখানে পর পর জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় ভারত। প্রায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এর পর পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা। গোড়ায় সেই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, পরবর্তী ভারতীয় সেনার তরফে ক্ষয়ক্ষতি ও গোড়ার দিকে কিছু ভুলভ্রান্তির কথা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ভারত পাকিস্তানের অনেক বেশি ক্ষতি করেছে বলেও জানানো হয়। এবার পাকিস্তানের ভুয়ো দাবি নস্যাৎ করলেন এক জিও-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞও।

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

LinkedIn
Share