Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • Oman Oil Tanker Sinks: ওমান উপকূলে ডুবে যাওয়া তেল ট্যাঙ্কার থেকে আট ভারতীয়কে উদ্ধার নৌসেনার

    Oman Oil Tanker Sinks: ওমান উপকূলে ডুবে যাওয়া তেল ট্যাঙ্কার থেকে আট ভারতীয়কে উদ্ধার নৌসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওমানে মাঝ সমুদ্রে (Oman Oil Tanker Sinks) তেলের ট্যাঙ্কার ডুবে তলিয়ে গিয়েছিলেন ১৩ জন ভারতীয়-সহ মোট ১৬ জন। বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ন’জনকে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। আট জন ভারতীয় ছাড়াও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক। এখনও পাঁচ ভারতীয়-সহ সাত জন নিখোঁজ। একযোগে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা এবং ওমানের সমুদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওএমএসসি৷ 

    কেন দুর্ঘটনা (Oman Oil Tanker Sinks) 

    ওমানের (Oman Oil Tanker Sinks) দুকম বন্দরের কাছে রাস মাদ্রাকার দক্ষিণ-পূর্বের সমুদ্রে তেলের ট্যাঙ্কার ভর্তি জাহাজটি উল্টে যায়। মনে করা হচ্ছে, আবহাওয়াজনিত কারণেই এই দুর্ঘটনা। আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। ওই এলাকায় এখনও সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চলছে ঝোড়ো হাওয়া। নৌবাহিনীর মুখপাত্রের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, তৈলবাহী ট্যাঙ্কার এমভি প্রেস্টিজ ফ্যালকন জাহাজ ডুবে গিয়েছে৷ উদ্ধারকাজ শুরু করতে ১৬ তারিখ ওমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ শুরু হয় উদ্ধারকার্য৷ আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিকূলতা ছাড়াও জাহাজডুবির নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, উদ্ধারকাজ শেষ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

    তৎপর নৌসেনা (Oman Oil Tanker Sinks) 

    ওমানের সমুদ্রে (Oman Oil Tanker Sinks) এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, ওমান সরকার এবং উপকূলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছে দূতাবাস। ভারতীয় নৌসেনাও ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তেগকে ওমানের ওই অংশের সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান চালানোর কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। এ ছাড়াও নৌসেনাকে এই কাজে সাহায্য করছে পি৮আই নামের বিমান। বুধবার নিখোঁজ ১৬ জনের মধ্যে ৯জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮জন ভারতীয় ও একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chiefs Of Army Navy: বিরল নজির, ভারতের দুই বাহিনীর প্রধান দুই সহপাঠী  

    Chiefs Of Army Navy: বিরল নজির, ভারতের দুই বাহিনীর প্রধান দুই সহপাঠী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে তাঁরা ছিলেন সহপাঠী। বর্তমানে তাঁরা হতে চলেছেন দুই বাহিনীর প্রধান (Chiefs Of Army Navy)। বেনজির এই ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন তামাম ভারতবাসী। সেনা প্রধান পদে মনোনীত হয়েছেন লেফটেন্যান্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং নৌসেনা প্রধান পদে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী।

    দুই সহপাঠী দ্বিবেদী ও ত্রিপাঠী

    মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় সৈনিক স্কুলের ছাত্র ছিলেন উপেন্দ্র ও দীনেশ। পঞ্চম শ্রেণির এই দুই পড়ুয়ার সেকশনও ছিল একই – এ। রোল নম্বরও ছিল কাছাকাছি। দ্বিবেদীর ছিল ৯৩১, আর ত্রিপাঠীর ছিল ৯৩৮। স্কুলজীবন থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দু’জনের। সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। দু’জনে দুই বাহিনীতে যোগ দিলেও, যোগাযোগ রয়েছে নিয়মিত (Chiefs Of Army Navy)। এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভারত ভূষণ বাবু লিখেছেন, “…দুজন এমন কৃতী পড়ুয়া, যাঁরা পঞ্চাশ বছর পর নিজেদের বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবেন, তাঁদের তৈরি করার এমন বিরল কৃতিত্বের অধিকারী মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার সৈনিক স্কুল।”

    দ্বিবেদীর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কী রয়েছে জানেন?

    তবে ত্রিপাঠী নৌসেনা প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন পয়লা মে। দ্বিবেদী এখনও দায়িত্ব নেননি। তিনি দায়িত্ব নেবেন পয়লা জুলাই, সোমবার। ঘটনাচক্রে, তাঁর জন্মদিনও পয়লা জুলাই। নর্দান আর্মি কমান্ডার হিসেবে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে দ্বিবেদীর। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ‘স্ট্যান্ড অফে’র সময় সেনার যে গতিবিধি চলছিল, তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাও রয়েছে দ্বিবেদীর ঝুলিতে। ১৯৮৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার জম্মু-কাশ্মীর রাইফেলসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দ্বিবেদীকে। সেই তিনিই এবার হতে যাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান। দ্বিবেদী হবেন সেনাবাহিনীর ৩০তম প্রধান। এমন একটা সময় বাহিনীর দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি, যখন বাহিনীতে চলেছে আধুনিকীকরণের কাজ।

    আর পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ১৪ জন মহিলা সমেত ৩০ জন মুসলিম ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    রেওয়ায় সৈনিক স্কুলের পাঠ শেষে দ্বিবেদী ভর্তি হন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে। পরে যান ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজে। ডিএসএসসি ওয়েলিংটন এবং এমহাউয়ের আর্মি ওয়ার কলেজের ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রাত পোহালে সেই তিনিই হবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান (Chiefs Of Army Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rafale Marine Jet Deal: ভারতে এসেছে ফরাসি দল, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান নিয়ে আজ শুরু আলোচনা

    Rafale Marine Jet Deal: ভারতে এসেছে ফরাসি দল, ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান নিয়ে আজ শুরু আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে লোকসভা ভোটের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান কেনার দর কষাকষি-পর্ব (Rafale Marine Jet Deal)। নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কিনতে মনস্থির করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য হতে পারে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এবার সেই চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলতে ভারতে এসে পৌঁছেছে ফ্রান্সের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সূত্রের খবর, আজই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। খুব শীঘ্রই হয়ত দু’পক্ষের তরফে যৌথ ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কারা থাকবেন বৈঠকে?

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চুক্তি-মূল্য ও আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা (Rafale Marine Jet Deal)। ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানগুলি ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত-এর ওপর মোতায়েন থাকবে। ২৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে, ২২টি সিঙ্গেল সিটার বা এক আসন-বিশিষ্ট এবং ৪টি ডবল সিটার (দুই-আসন বিশিষ্ট) বিমান কেনা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য ডাবল সিটার জেটগুলি ব্যবহার করা হবে। এর পাশাপাশি থাকবে, বর্তমানে ব্যবহৃত রুশ-নির্মিত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিও। যা জানা যাচ্ছে, ফরাসি প্রতিনিধিদলে থাকবেন সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা। বৈঠকে থাকবেন রাফালের উৎপাদনকারী সংস্থা দাসো এভিয়েশন এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা তালে-র শীর্ষ আধিকারিকরাও। অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিনিধিদলে থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সরঞ্জাম ক্রয় বিভাগ এবং ভারতীয় নৌসেনার শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা।

    চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাফাল-আলোচনায় (Rafale Marine Jet Deal) মূলত তিনটি বিষয় উঠে আসবে। এক, ২৬টি রাফাল মেরিনের দাম। দুই, আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রসম্ভার। তিন, চুক্তি স্বাক্ষর ইস্তক বিমান হস্তান্তরের সময়সীমা। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে ভারত। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিষয়টি মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব রাফাল-এম যুদ্ধবিমান হাতে পেতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। চুক্তি হওয়ার পর অন্তত ২ বছরের মধ্যে ২৬টি বিমানের প্রথম ব্যাচ হয়ত ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসবে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। দেশের পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম উপকূলে একটি করে বিমানবাহীন রণতরী মোতায়েন করতে তৎপর নৌসেনা। সেই লক্ষ্যে, বুড়ো হয়ে যাওয়া মিগ-২৯কে-র পরিবর্তে অত্যাধুনিক রাফাল-এম যুদ্ধবিমানই যে প্রথম পছন্দ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট চুক্তি

    দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নৌসেনার (Indian Navy) দুটি বিমানবাহী রণতরীর জন্য ফ্রান্সের রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি রাফাল এম যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। এরপর ফ্রান্সের তরফে প্রস্তাব চেয়ে পাঠোনা হয় (রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল)। ফ্রান্স গত ডিসেম্বরে ভারতীয় টেন্ডারে সাড়া দিয়েছিল। ফ্রান্সের পাঠানো প্রস্তাব পর্যালোচনা করার পর তা গৃহীত হলে ভারতের তরফে লেটার অফ অ্যাকসেপটেন্স পাঠানো হয়। যার স্বীকৃতিস্বরূপ জবাবও দেয় মাক্রঁ প্রশাসন। এবার চূড়ান্ত আলোচনায় (Rafale Marine Jet Deal) বসবে দুই পক্ষ। তারপরই চুক্তি সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, বায়ুসেনার জন্য কেনা ৩৬টি রাফাল বিমানের মতোই, রাফাল-এম বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট চুক্তি হবে। অর্থাৎ, সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: নৌবাহিনীতে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে তথ্যপাচার, পাক এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ এনআইএ-র

    NIA: নৌবাহিনীতে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে তথ্যপাচার, পাক এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলার কাজ করত আমন সালিম শেখ। পাকিস্তানের আইএসআই নিযুক্ত এই গুপ্তচরকে গত বছরের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। জানা গিয়েছে, তার কাজ ছিল হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন গোপন তথ্য আদায় করে তা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া। গ্রেফতার হওয়া এই পাকিস্তানি গুপ্তচরের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)।

    শেখ আমন সালিমের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করা হয় গত বৃহস্পতিবারই বিশাখাপত্তনমে এনআইয়ের বিশেষ আদালতে। এই চার্জশিটে গ্রেফতার হওয়া শেখ আমন সালিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাকে ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’-এর বিভিন্ন ধারাও দেওয়া হয়েছে। এনআইএ-র (NIA) সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচররা যে সিম কার্ড ব্যবহার করত। তা অ্যাকটিভ করার কাজ ছিল সালিমে ওপরেই। অর্থাৎ হানি ট্র্যাপের পাশাপাশি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের ফোনের সিমও সাপ্লাই করত সে। তার এই কার্যকলাপ প্রথম সামনে আসে ২০২১ সালেই।, সে সময়ে অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ২০২১ সালে, পাকিস্তানি গুপ্তচরদের এই সিম অ্য়াক্টিভেট কার্যকলাপ ধরা পড়ে যায়। এরপরেই নাম সামনে আসে আমন সালিম শেখের।

    টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করত সালিম

    এনআইএ (NIA) সূত্রে আরও তথ্য মিলেছে, টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করত সে। পাকিস্তানের আইএসআই তাকে (সালিম) পরিচালনা করত। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করা আরও কয়েকজন এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মীর বালাজ খান ও অলভিন। প্রসঙ্গত, মীর বালাজ খান একজন পাকিস্তানি নাগরিক। ক্রিপ্টো চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানের আইএসআই তাকে যে কাজ দিত তা সে সম্পন্ন করতো। গত বছরের ৬ নভেম্বর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে দুজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এরা হল মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডা এবং আলভেন। প্রসঙ্গত, মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর হওয়ার অপরাধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Third Aircraft Carrier: তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ শীঘ্রই, হবে আরও ৫-৬টি, বড় ঘোষণা রাজনাথের

    Third Aircraft Carrier: তৃতীয় বিমানবাহী রণতরীর নির্মাণ শীঘ্রই, হবে আরও ৫-৬টি, বড় ঘোষণা রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা আগ্রাসন থেকে দেশের জলসীমা এবং সর্বোপরি ভারতের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা খোলসা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানালেন, শীঘ্রই তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী (Third Aircraft Carrier) নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া, অদূর ভবিষ্যতে ভারতে আরও ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করা হবে বলেও বড় দাবি করলেন তিনি।

    কী বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজনাথ জানান, খুব শীঘ্রই ভারতের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। এই জাহাজটিও আইএনএস বিক্রান্ত-এর মতো ৪৫ হাজার টনের হবে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এই মুহূর্তে ২টি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি দেশীয় বিক্রান্ত। অন্যটি ২০১৩ সালে রাশিয়া থেকে কেনা আইএনএস বিক্রমাদিত্য। তৃতীয়টির (Third Aircraft Carrier) উৎপাদন শীঘ্রই শুরু হবে। তবে, আমরা এখানেই থেমে থাকতে রাজি নই। আমরা আরও ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করব।’’

    ভারত মহাসাগরে চিনের মোকাবিলা

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ভারত ৫-৬টি আরও বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে ফেলে, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় জলসীমার কাছে চিবনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করা সহজ হবে। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) শক্তি প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। চিনের চেয়ে বেশি না হলেও, তা চিনের সমকক্ষ হয়ে উঠবে (Third Aircraft Carrier)। প্রসঙ্গত, চিনও জানিয়েছে যে, তারা ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমানে, চিনের হাতেও দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। একটি সাবেক সোভিয়েত জমানার লিয়াওনিং। অন্যটি দেশে তৈরি শ্যানডং। সম্প্রতি, ৮০ হাজার টনের ফুজিয়ানের সি-ট্রায়াল (সামুদ্রিক পরীক্ষাপর্ব) শেষ হয়েছে। শীঘ্রই তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

    দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতীয় নৌজাহাজ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার তা সম্পন্ন হলে, চিন একটিকে (বিমানবাহী রণতরী) পাকাপাকিভাবে ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করতে পারে। ফলে, ভারতের হাতেও যদি অন্তত তিনটে বিমানবাহী রণতরী (Third Aircraft Carrier) থাকে, তাহলে চিনা আগ্রাসনের চোখে চোখ রেখে মোকাবিলা সহজ হবে। চিনও অতি-সাহসী হয়ে ওঠার আগে দুবার ভাববে। রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) ঘোষণা অনুযায়ী যদি ভারতের হাতে একবার ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরী চলে আসে, তাহলে একটিকে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে মোতায়েন করে রাখা সম্ভব হবে। 

    দুই জলসীমার সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে

    তিনটে বিমানবাহী রণতরীর (Third Aircraft Carrier) দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। বাহিনীর মতে, একসঙ্গে তিনটি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার থাকলে, দেশের দুই জলসীমা — পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে আরবসাগরে একইসঙ্গে দুটি মোতায়েন করে জলসীমাকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। সেই সময় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে তৃতীয়টিকে বসানো হলেও, সমস্যা হবে না। 

    কী মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা

    তবে বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, একসঙ্গে ৫-৬টি বিমানবাহী রণতরীকে (Third Aircraft Carrier) মোতায়েন করতে হলে, প্রচুর সংখ্যক জাহাজ ও সহযোগী পরিকাঠামোরও প্রয়োজন। তাঁদের মতে, বিমানবাহী রণতরী হল ‘কোহিনূরে’র মতো। তারা কখনও একা যায় না। একটি বিমানবাহী রণতরীর সুরক্ষায় সর্বদা তাকে ঘিরে থাকে একাধিক ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ও করভেট ও জ্বালানি সববরাহকারী ট্যাঙ্কার প্রভৃতি রণতরীর একটা টিম। জলের নীচে থাকে সাবমেরিন। আকাশে চক্কর কাটতে থাকে অ্যাওয়াক্স নজরদারি বিমান। এই সব মিলিয়ে তৈরি হয় একটি বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’ (Carrier Battle Group)। এর জন্য প্রয়োজন বিশাল বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো। রাজনাথের (Rajnath Singh) এই দাবিকে বাস্তব করতে হলে, নৌসেনা (Indian Navy) তথা প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর বিনিয়োগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে, বিশেষ করে মূলধন বরাদ্দ প্রভূত পরিমাণে বাড়াতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: চিন্তিত চিন-পাক! ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল, কী বিশেষত্ব?

    Indian Air Force: চিন্তিত চিন-পাক! ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভারে আরও শক্তিবৃদ্ধি হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) ও নৌসেনার। ভারতের হাতে চলে এল দূরপাল্লার আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সুপারসনিক ‘র‌্যাম্পেজ’ মিসাইল (Rampage Missile)। সদ্য এই মিসাইল ব্যবহারের উদাহরণ রেখেছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। ইরানের টার্গেটে তাক করার সময় এই ব়্যাম্পেজ মিসাইলকে তারা ব্যবহার করেছে। এবার সেই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতেও। 

    এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল…

    র‌্যাম্পেজ মিসাইলটি তৈরি করেছে ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইজরায়েলি মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মার্ক-২ প্রজন্মের ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একদিকে যেমন উচ্চগতি সম্পন্ন, ঠিক তেমনভাবে কাজেও অত্যন্ত পারদর্শী (Rampage Missile)। সামরিক পরিভাষায় একে বলা হয়— ‘হাই-স্পিড লো ড্র্যাগ’। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল— এটি জিপিএস/আইএনএস নেভিগেশন সিস্টেম অনুসরণ করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকায় শত্রুর জ্যামারেও এর কোনও ক্ষতি হয় না। ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকে। সর্বোপরি, যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় এটি সমান কার্যকর।

    আরও শক্তিশালী সুখোই-৩০, মিগ-২৯

    বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রে খবর, বাহিনীর প্রধান রুশ-নির্মিত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানে এই অত্যাধুনিক মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বায়ুসেনার মিগ-২৯ ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমানেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। একইভাবে, নৌসেনায় ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানেও এই মিসাইল (Rampage Missile) ফিট করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এর ফলে, এখন থেকে কমিউনিকেশন সেন্টার (সামরিক তথ্যের আদানপ্রদান কেন্দ্র), রেডার স্টেশন, বায়ুসেনা ঘাঁটি সহ শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে অতি সহজেই টার্গেট করতে পারবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি।

    জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয়েছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র

    ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতের পর— অত্যাবশ্যকীয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা প্রদান করেছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তার ওপর ভিত্তি করেই এই র‌্যাম্পেজ মিসাইলগুলি কিনেছে বায়ুসেনা (Indian Air Force) ও নৌসেনার এভিয়েশন বিভাগ। সূত্রের খবর, বর্তমানে ব্যবহৃত ‘স্পাইস-২০০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অধিক দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম র‌্যাম্পেজ (Rampage Missile)। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় স্পাইস-২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।

    ব্রহ্মসের নতুন জুড়িদার…

    সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানগুলির আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু করেছে বায়ুসেনা (Indian Air Force)। এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানগুলির অস্ত্রসম্ভার ও বহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ এই যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করে এর জীবনকাল ও ক্ষিপ্রতা এবং মারণক্ষমতা — সব উন্নত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের সেরা ৪০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও। এটিও আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র। এবার তার জুড়ি হিসেবে যোগ দিল র‌্যাম্পেজ (Rampage Missile)। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ভারতেও যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন করা যায়, তার সম্ভাবনাও রয়েছে। 

    নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আন্দামানেও

    অন্যদিকে, র‌্যাম্পেজ মিসাইল (Rampage Missile) কেনার পাশাপাশি ভারত নিজস্ব সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ‘রক্স’ (ক্রিস্টাল মেজ-২) নামের এমনই একটি নতুন-প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ফের হুথিদের খপ্পর থেকে ২২ ভারতীয় সহ ৩০ জনকে উদ্ধার করল নৌসেনা

    Indian Navy: ফের হুথিদের খপ্পর থেকে ২২ ভারতীয় সহ ৩০ জনকে উদ্ধার করল নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরে ফের ভারতীয় নৌবাহিনীর (INS Kochi) সাফল্য। পানামার (Panama) পতাকা সম্বলিত সেচেলেসের (Scychelles) জাহাজ থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করল নৌসেনা (Indian Navy)। এর মধ্যে ২২ জন ভারতীয় ছিলেন। হুতি সংগঠনের জঙ্গিরা এই জাহাজে হামলা চালিয়েছিল। ভারতীয় নৌসেনার এই রক্ষা অভিযানের কথা স্বীকার করেছে মার্কিন নৌসেনা।

    ঠিক কী হয়েছিল (Indian Navy)

    জানা গিয়েছে, লাল সাগরে ওই মার্চেন্ট ভেসেল অ্যান্ড্রোমেডা স্টার (Andromeda Star) কাঁচা তেল নিয়ে ফিরছিল। হুতি জঙ্গিরা আক্রমণ শানালে সাহায্যের জন্য ছাড়ে ডিস্ট্রেস ম্যাসেজ ছাড়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন। সাহায্যের আবেদন পেয়ে তড়িঘড়ি এগিয়ে যায় ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আইএনএস কোচি (INS Kochi)। কোচির আগমনেই পালায় হুতি জঙ্গি। নৌবাহিনী জানিয়েছে জাহাজের সকল সদস্য সুরক্ষিত আছে। জাহাজের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

    আইএনএস কোচিকে মিশনে বাছা হয়

    নৌবাহিনী (Indian Navy) জানিয়েছে হুতি জঙ্গিতে কাছে মিসাইল ড্রোন জাতীয় অত্যাধুনিক সরঞ্জাম থাকায় আইএনএস কোচিকে (INS Kochi) এই মিশনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এটি বিধংসী জাহাজ। শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়। আইএনএস কোচিকে সাহায্য করে একটি হেলিকপ্টার, কমান্ডো বাহিনী এবং এক্সক্লুসিভ অর্ডিন্যান্স ডিসপোজাল টিম। এই বিধ্বংসক জাহাজে রয়েছে গাইডেড মিসাইল সিস্টেম, অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম, টরপিডো, র‍্যাডার ও আরো অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের পর লাল সাগর,  গালফ অফ এডেন, মধ্য ও উত্তর আরব সাগরে দুষ্কৃতি দৌতাত্ম্য বেড়েছে। জলদস্যু ছাড়াও বেশ কয়েকটি ইসলামিক উগ্রপন্থী সংগঠন জাহাজ ছিনতাই ও জাহাজের কর্মীকে বন্ধক বানিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা শুরু করেছে। যার জন্য ভারতীয় এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হয়েছে ভারতীয় নৌসেনাকে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিক লাগোয়া সাগরে বাহিনীকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি অপারেশন করতে হয়েছে।

    নৌসেনার তৎপরতা

    এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (Excluisive Economic Zone) কোস্ট গার্ডকে সঙ্গী করে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। সাম্প্রতিক সময়ে এমভি রুয়েনের উপর জঙ্গি হামলা এবং এমভি কেম প্লুটোর উপর ড্রোন আক্রমণের পর চিন্তা বেড়েছে বভিন্ন দেশের বাহিনীর। ইন্ডিয়ান এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন ছাড়া অন্য অঞ্চলেও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় নৌসেনার (INS Kochi)।

    আরও পড়ুনঃ কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলা, গ্রেফতার আসরাফ সহ ২

    নৌসেনার বক্তব্য

    নৌসেনা (Indian Navy) জানিয়েছে তারা আরব সাগর, গালফ অফ এডেন, লালসাগর এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা দিতে তৎপর এবং যে কোনও ধরনের ছোট বড় সমস্যার মোকাবিলায় সক্ষম। সাম্প্রতিক অতীতে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাবিকদের উদ্ধার করেছে নৌসেনা। যে কোন দেশের তরফে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা চাওয়া হলে ভারতীয় নৌসেনা (INS Kochi) যথাসম্ভব প্রচেষ্টা করছে এবং আগামীদিনেও করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy Chief: নৌসেনার পরবর্তী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি, নাম ঘোষণা কেন্দ্রের

    Indian Navy Chief: নৌসেনার পরবর্তী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি, নাম ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনীর পরবর্তী প্রধান (Indian Navy Chief) হিসেবে ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠির (Vice Admiral Dinesh Tripathi) নাম ঘোষণা করল কেন্দ্র। বর্তমানে, নৌসেনার উপ-প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন দীনেশ। আগামী ৩০ এপ্রিল অবসর নিতে চলেছেন নৌসেনার বর্তমান প্রধান অ্যাডমিরান আর হরি কুমার। সেদিনই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন দীনেশ ত্রিপাঠী। 

    ৪ দশক ধরে নৌসেনায় যুক্ত

    নৌসেনায় প্রায় ৪০ বছরের যুক্ত রয়েছেন দীনেশ (Vice Admiral Dinesh Tripathi)। বিভিন্ন সময়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। নৌসেনার পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান — ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ও কেরলের এড়িমালায় অবস্থিত ইন্ডিয়ান নেভাল অ্যাকাডেমির কমান্ডান্ট সহ দায়িত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। ৪ দশকের কেরিয়ারে তিনি একাধিক রণতরীর কমান্ডার ছিলেন— আইএনএস বিনাশ, আইএনএস কির্চ, আইএনএস ত্রিশূল — যার মধ্যে অন্যতম। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি নৌসেনার উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এবার তাঁকে নৌসেনার ভাবী প্রধান (Indian Navy Chief) হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্র।

    ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রাক্তনী

    রেওয়া সৈনিক স্কুল এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রাক্তনী দীনেশ ত্রিপাঠি (Vice Admiral Dinesh Tripathi) নৌসেনায় অফিসার হিসেবে যোগ দেন ১৯৮৫ সালে। ওয়েলিংটনে অবস্থিত ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক হন। পরবর্তীকালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ওয়ার কলেজ থেকেও পড়াশোনা করেন। নৌসেনায় কর্তব্যপরায়ণতা এবং দায়িত্ববোধের জন্য তিনি পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল (PVSM), অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেল (AVSM) এবং নৌসেনা মেডেল (NM) সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন (Indian Navy Chief)।

    একজন সামরিক অফিসার হওয়ার পাশাপাশি, ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি (Vice Admiral Dinesh Tripathi) একজন ক্রীড়াপ্রেমীও। টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেটে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। তাঁর স্ত্রী শশী ত্রিপাঠি একজন শিল্পী তথা গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র ছেলে পেশায় আইনজীবী। পুত্রবধূ নীতি-নির্ধারণকারী ক্ষেত্রে কর্মরত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: বিপদের দিনে পাশে ভারত, উদ্ধার হওয়া পাক নাবিকদের মুখে ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’ স্লোগান

    Indian Navy: বিপদের দিনে পাশে ভারত, উদ্ধার হওয়া পাক নাবিকদের মুখে ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত (Indian Navy)। তাই পাকিস্তানিরাও দিল ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’ স্লোগান। প্রসঙ্গত, সোমালির জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ পাকিস্তানিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। আরব সাগরে এক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে জলদস্যুদের হাত থেকে পাক নাগরিকদের উদ্ধার করে নৌসেনা। ভারত তাঁদের জীবনদান করেছে, এই উপকারে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাই পাকিস্তানিরা স্লোগান তুললেন ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’।

    কী ভাবে উদ্ধার?

    ভারতীয় নৌসেনার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৮ মার্চ আল-কাম্বার নামক ইরানের একটি মাছ ধরার (Indian Navy) ভেসেলে আক্রমণ চালায় সোমালি জলদস্যুরা। এর ঠিক একদিন পরেই ভারতের দুটি জাহাজ (আইএনএস সুমেধা ও আইএনএস ত্রিশূল) অভিযান শুরু করে। ২৯ মার্চ আরব সাগরে সোকোত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল দক্ষিণ-পশ্চিমে হদিশ মেলের ভেসেলটির। সেখানে দেখা যায়, সোমালিয়ার ৯ জন সশস্ত্র জলদস্যু নৌকাটিকে অপহরণ করে রেখেছে। বন্দি বানিয়ে রাখা হয় ভেসেলে থাকা ২৩জন পাকিস্তানী মৎসজীবীকে। ১২ ঘণ্টার লড়াই চলার পর ভারতীয় নৌসেনার কাছে আত্মসমর্পণ করে সোমালি জলদস্যুরা। উদ্ধার করা হয় ২৩ জন পাকিস্তানী নাগরিককে। তারাই ভারতীয় নৌ সেনাকে (Indian Navy) ধন্যবাদ জানিয়ে ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দেন।

    সক্রিয় ভারতীয় নৌসেনা

    প্রসঙ্গত, এক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকতেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের কারবারিরা। মূলত জাহাজ ছিনতাই করে মুক্তিপণ আদায় করে তারা। মাঝের কয়েক বছর উপদ্রব কিছুটা কমলেও গত কয়েক মাসে ফের জলদস্যুদের তৎপরতা নজরে এসেছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের একাধিক জায়গায় তাই ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৩ মার্চেই ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান যে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ করে যেতে থাকবে নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জন পাক নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা

    Indian Navy: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জন পাক নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরে জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমালি জলদস্যুদের (Somali Pirates) কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে মুক্ত করে সেনা। শুক্রবার আরব সাগরে এই অভিযানে। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। 

    দুর্ধর্ষ অভিযান

    নৌসেনার (Indian Navy) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তাতে উঠে পড়েন ন’জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে নৌসেনার টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় যুদ্ধাজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জাহাজের ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিকে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটিকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

    সক্রিয় ভারতীয় নৌসেনা

    প্রসঙ্গত, এক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকতেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের কারবারিরা। মূলত জাহাজ ছিনতাই করে মুক্তিপণ আদায় করে তারা। মাঝের কয়েক বছর উপদ্রব কিছুটা কমলেও গত কয়েক মাসে ফের জলদস্যুদের তৎপরতা নজরে এসেছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের একাধিক জায়গায় তাই ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৩ মার্চেই ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান যে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ করে যেতে থাকবে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    ‘অপারেশন সংকল্প’-র আওতায় আগের ১০০ দিনে কীভাবে ভারত জলদস্যুদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তাও জানান তিনি। ১০০ দিনে ‘অপারেশন সংকল্প’-র আওতায় জলদস্যুদের কবল থেকে মোট ১১০ জনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাঁদের মধ্যে ৬৫ জন বিদেশি নাগরিক। এর আগেও জানুয়ারি মাসে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের পতাকাবাহী মাছধরার একটি নৌকা। সেই নৌকা থেকেও ১৯ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধার করে ভারতের নৌসেনা (Indian Navy)। এবারও আন্তর্জাতিক সমস্ত নিয়ম মেনেই জলদস্যুদের মোকাবিলা করে পাক নাবিকদের উদ্ধার করল ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share