Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের (NASM-SR Missile) সফল পরীক্ষা করল। বুধবার ভারতীয় নৌসেনার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ওড়িশার উপকূলে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) চাঁদিপুর থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, নৌসেনা এবং শিল্প জগতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    এই প্রকল্পেরশুরু

    বছর দেড়েক আগে নৌসেনার ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে প্রথম এনএএসএম-এসআর (NASM-SR Missile) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত নিশ্চিত করতে ‘টার্মিনাল গাইডেন্স’-এর জন্য একটি দেশীয় ইমেজিং ইনফ্রা-রেড (আইআইআর) চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই ‘লক্ষ্য’ অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব কী?

    এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্রটিতে (NASM-SR Missile) রয়েছে ম্যান-ইন-লুপ বৈশিষ্ট্য। এর ফলে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে একেবারে শেষ মুহূর্তে দিশা পরিবর্তন করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। যার জেরে এটি আরও মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ডিআরডিও (DRDO) সূত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিয়ারিং-অনলি লক-অন আফটার লঞ্চ মোডে উৎক্ষেপণ করা হয়। যে কোনও একটি লক্ষ্যকে বেছে নেওয়ার জন্য কাছাকাছি বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ছিল। পরীক্ষার সময়ে প্রথমে নির্দিষ্ট অনুসন্ধান পরে একটি বড় লক্ষ্যবস্তুকে নিশ্চিত করা হয়। পরে টার্মিনাল পর্যায়ে, পাইলট একটি ছোট লুকনো লক্ষ্যবস্তুকে ফাইনাল লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেয়। মিসাইল তবু নির্ভুলভাবে সেই ছোট লক্ষ্যে আঘাত হেনে ধ্বংস করে দেয়।

    এই ক্ষেপণাস্ত্রে কী কী সিস্টেম রয়েছে?

    মিড-কোর্স গাইডেন্সের জন্য দেশীয় ফাইবার অপটিক জাইরোস্কোপ ভিত্তিক ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) এবং রেডিও অল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র (NASM-SR Missile) তৈরিতে। এছাড়াও, এটি সমন্বিত অ্যাভিওনিক্স মডিউল, ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল অ্যাকুয়েটর এবং অ্যারোডাইনামিক এবং জেট ভ্যান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে থার্মাল ব্যাটারি, পিসিবি ওয়ারহেড এবং সলিড প্রপালশন সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে ইন-লাইন ইজেক্টেবল বুস্টার এবং লং-বার্ন সাসটেইনার রয়েছে। এই মিসাইলটি ডিআরডিও (DRDO), রিসার্চ সেন্টার ইমারত (Research Centre Imarat, RCI), ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (DRDL), হাই এনার্জি মেটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি (HEMRL) এবং টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি (TBRL) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।

  • PM Modi: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত ২ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন, ‘‘সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত’’, বললেন মোদি

    PM Modi: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত ২ যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন, ‘‘সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহত্তম নৌশক্তি হিসেবে উঠে আসছে ভারত। বুধবার সেনাবাহিনী দিবসে মুম্বইয়ে নৌসেনার তিনটি যুদ্ধজাহাজকে অন্তর্ভুক্ত করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ সাগরে (Indian Navy শক্তি বাড়াচ্ছে আত্মনির্ভর ভারত।  এদিন ‘আইএনএস সুরাট’, ‘আইএনএস নীলগিরি’ এবং ‘আইএনএস ভাগশির’ ওরফে ‘হান্টার কিলার’ সাবমেরিনকে দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করলেন মোদি।

    ভারত বৃহত্তম নৌশক্তিতে পরিণত হবে

    এদিন তিন রণতরীকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তির পর মোদি (PM Modi) বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ভারতীয় বাহিনীকে নতুন শক্তি ও নতুন দৃষ্টি দিয়েছিলেন। আজ তার পবিত্র ভূমিতে আমরা একবিংশ শতাব্দীর নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ করছি। এই প্রথম একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাবমেরিন একসঙ্গে কার্যকর হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, “ভারত বৃহত্তম নৌশক্তি হিসেবে উঠে আসছে। গতি আসছে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে, যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক।” এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের সামুদ্রিক ঐতিহ্য, নৌবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসের জন্য এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের জন্য বড় একটা দিন। এই প্রথমবার একইসঙ্গে ডেস্ট্রয়ার (একটি দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ, হরেক রকম মারণ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম, বিশেষ করে সাবমেরিন এবং বিমানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার জন্য সজ্জিত), একটি ফ্রিগেট (মিশ্র অস্ত্রের যুদ্ধজাহাজ, সাধারণত একটি ডেস্ট্রয়ারের চেয়ে হালকা) এবং একটি সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তি হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে।” 

    ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট

    দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কার্যত বিপ্লব আনতে চলেছে এই তিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ জাহাজ।  তিন যুদ্ধ জাহাজ ভারতের হাতে এসে যাওয়ায় গোটা বিশ্বেই ভারতের নৌসেনার দাপট আরও বেশ কিছুটা যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সমগ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চল জুড়ে প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী হিসাবেও আবির্ভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে আমাদের নৌবাহিনী শত শত জীবন এবং হাজার হাজার কোটি টাকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পণ্যসম্ভার রক্ষা করেছে। এটি ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা বাড়িয়েছে, আপনাদের প্রচেষ্টার কারণে একটি বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রতি আস্থা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ, এটা স্পষ্ট যে আশিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, উপসাগরীয় দেশগুলি এবং আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে ।” 

    এই দুই যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন নৌবাহিনীর (Indian Navy) চিফ অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী। তিনি বলেন,  “এই প্ল্যাটফর্মগুলি নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের সামুদ্রিক স্বার্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাগরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ এই অঞ্চলে সবার জন্য নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির চিন্তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    আইএনএস সুরাটের বিশেষত্ব

    • পি-১৫বি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার প্রকল্পের চতুর্থ এবং শেষ যুদ্ধজাহাজ
    • দৈর্ঘ্যে ১৬৪ মিটার এবং ৭০,০০০ টন ভার বহন করতে পারে
    • সমুদ্রে গতিবেগ ৩০ নট (প্রায় ৫৫ কিলোমিটার) গতিবেগ
    • বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি।
    • এই জাহাজে ৭৫% দেশীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
    • অত্যাধুনিক অস্ত্র-সেন্সর শত্রুপক্ষকে খুঁজে বের করতে থাকতে আরও উন্নত নেটওয়ার্ক
    • আইএনএস সুরাটের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের মে মাসে উদ্বোধন হয়।

    আইএনএস নীলগিরি-র বিশেষত্ব

    • পি-১৭এ স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ
    • ১৪৯ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬৬৭০ টন ভার বহন ক্ষমতা
    • সমুদ্রে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা।
    • দেশীয় পরবর্তী প্রজন্মের ফ্রিগেটের একটি ক্লাসিক উদাহরণ
    • দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে
    • ভারী ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা। 
    • আইএনএস নীলগিরির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। এটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়।

    আইএনএস ভাগশির-এর বিশেষত্ব

    • পি-৭৫ স্করপিন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন।
    • ৬৭ মিটার লম্বা এবং ১৫৫০ টন ওজন বহন ক্ষমতা। 
    • ফরাসি নৌবাহিনীর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। 
    • এটি দেশকে আরও স্বনির্ভর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: বহরে বাড়ছে নৌসেনা, চলতি মাসেই নৌবাহিনীতে একযোগে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তিন যুদ্ধজাহাজ

    Indian Navy: বহরে বাড়ছে নৌসেনা, চলতি মাসেই নৌবাহিনীতে একযোগে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তিন যুদ্ধজাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বহরে বাড়ছে নৌসেনা। চলতি মাসেই ভারতীয় নৌসেনার রণসম্ভারে যুক্ত হয়েছে তিনটি নয়া রণতরী। জানুয়ারির ১৫ তারিখ ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে এই যুদ্ধজাহাজগুলি। তিনটি যুদ্ধজাহাজ হল— প্রোজেক্ট ১৭এ-র অন্তর্গত প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস নীলগিরি’,  প্রোজেক্ট ১৫বি-র অন্তর্গত চতুর্থ তথা শেষ স্টেলথ ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস সুরাট’ এবং স্করপিন শ্রেণির ষষ্ঠ তথা শেষ সাবমেরিন ‘আইএনএস বাঘশীর’। এগুলি সবই মুম্বাইয়ের মারগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড (MDL)-এ তৈরি হয়েছে।

    তিন জাহাজের কথা

    প্রায় আড়াই বছর ধরে সমুদ্র যুদ্ধের মহড়া দেওয়ার পরে অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস সুরাট’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, গত ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’ গোত্রের এই ডেস্ট্রয়ার। শীঘ্রই সেটি নৌসেনায় কমিশন-প্রাপ্ত হবে। আইএনএস সুরাট-এর সৌজন্যে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রাগারে আসতে চলেছে পি-১৫বি শ্রেণির চতুর্থ ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’। মুম্বইয়ের ‘মাঝগাঁও ডকইয়ার্ডে’ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজকে ২০২২ সালের মে মাসে জলে ভাসিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে সামুদ্রিক ট্রায়ালে ব্যস্ত থেকেছে সুরাট। ক্ষেপণাস্ত্র, কামান, টর্পিডো-সহ নানা অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিতও হয়েছে। আইএনএস সুরাট হল প্রজেক্ট ১৫বি-র শেষ রণতরী।

    আইএনএস সুরাট ছাড়াও হল প্রজেক্ট ১৭এ-র প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস নীলগিরি’ও আগামী ১৫ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি শিবালিক ক্লাসের ফ্রিগেটের তুলনায় উন্নত স্টেলথ বৈশিষ্ট্য এবং রেডার সিগনেচার কমানোর প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এটি আধুনিক বিমান চালনার সুবিধা সহ একটি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ। চেতক, সি কিং এবং এমএইচ-৬০আর হেলিকপ্টারও বহন করতে সক্ষম নীলগিরি। এছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে স্করপিন ক্লাস সাবমেরিন ‘আইএনএস বাঘশীর’। এটি বিশেষ মিশন যেমন অ্যান্টি-সারফেস যুদ্ধ, অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধ পরিচালনা করতে সক্ষম। আধুনিক টর্পিডো, মিসাইলে সজ্জিত এই সাবমেরিন ভবিষ্যতে এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (AIP) প্রযুক্তি সংযুক্ত করার জন্যও প্রস্তুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: আরবসাগরে নৌসেনার শক্তিবৃদ্ধি, সোমবার হাতে আসছে স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তুশিল’

    Indian Navy: আরবসাগরে নৌসেনার শক্তিবৃদ্ধি, সোমবার হাতে আসছে স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তুশিল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় সর্বাধুনিক স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ‘আইএনএস তুশিল’ পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। আগামী সোমবার, রাশিয়ার উপকূলীয় শহর কালিনিনগ্রাদে আইএনএস তুশিলকে ভারতীয় নৌসেনায় কমিশন্ড বা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    ‘আইএনএস তুশিল’-এর গুরুত্ব

    তুশিল শব্দের অর্থ রক্ষাত্মক বর্ম। আইএনএস তুশিল সাগরে ভারতীয় নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের জাহাজ কারখানায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। এই গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট গোত্রের এই যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেলথ প্রযুক্তি। শত্রুপক্ষের রেডারকে ফাঁকি দিতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির জন্য সমুদ্রে তুশিলের উপস্থিতি বুঝতেই পারবে না বিপক্ষ। আড়াল থেকেই আক্রমণ শানাতে পারবে তুশিল। আধুনিক সমস্ত রকমের যুদ্ধসরঞ্জাম মোতায়েনের ব্যবস্থা রয়েছে এতে। অন্তর্ভুক্তির পর, আইএনএস তুশিল ভারতীয় নৌবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্লিটের অংশ হবে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ফ্রিগেটগুলির মধ্যে একটি বলে জানান কর্মকর্তারা। এটি শুধু ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতার বৃদ্ধির প্রতীক হবে না, বরং ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বের দৃঢ় এবং সহনশীল শক্তিরও প্রতীক বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: সুখবর শোনাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অপরিবর্তিত রেপো রেট, সাধারণের ওপর বাড়ছে না ঋণের বোঝা

    শক্তি বাড়বে নৌসেনার

    ২০১৬ সালে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে, নৌসেনার হাতে আসতে চলেছে তুশিল। এই আওতায়, চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট তৈরি হবে। দুটি জাহাজ রাশিয়ায় নির্মিত হবে, অন্য দুটি জাহাজ ভারতেই নির্মিত হবে। ৩,৯০০ টনের এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১২৫ মিটার। জাহাজটি বেশ কয়েকটি ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্যাক্টরি সি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং অবশেষে ভারতের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডেলিভারি অ্যাকসেপ্টেন্স ট্রায়াল। আরবসাগর ও ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি, চিন-পাকিস্তানের প্রভাব খর্ব করতে দারুণ কাজে আসবে এই যুদ্ধজাহাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Drishti-10 Drone: সামুদ্রিক নিরাপত্তায় জোর, কেনা হল দেশে তৈরি নজরদারি ড্রোন ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’

    Drishti-10 Drone: সামুদ্রিক নিরাপত্তায় জোর, কেনা হল দেশে তৈরি নজরদারি ড্রোন ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি ডিফেন্স (Adani Defence) অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ভারতের নৌবাহিনীকে তাদের দ্বিতীয় ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর’ নজরদারি ড্রোন (Drishti-10 Drone) প্রদান করেছে। ভারতের সামুদ্রিক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বুধবার সংস্থার তৈরি ড্রোনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের গোড়ায় প্রথম স্টারলাইনার ড্রোন পেয়েছিল নৌসেনা।

    উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ‘দৃষ্টি ১০ স্টারলাইনার’ (Drishti-10 Drone) নৌসেনার জন্য প্রথম ভারতে তৈরি নজরদারি ড্রোন। নৌসেনার হাতে এই ড্রোন আসায় সমুদ্রে শত্রুপক্ষের জাহাজ বা জলদস্যুদের জলযানে নজরদারি করতে সুবিধা হবে। একটানা ৩৬ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম এই ড্রোন ৪৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। ‘দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর’ হল ভারতের একমাত্র দেশীয় উড়ন্ত ড্রোন যা ৩২,০০০ ফুট উচ্চতায় নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করতে পারে। দ্বিতীয় ড্রোনটি গুজরাটের পোরবন্দরে, নৌবাহিনীর সামুদ্রিক অপারেশনগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। 

    আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ

    এই ড্রোনটি শুধুমাত্র নৌবাহিনীর জন্য নয়, বরং জুন মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর (Drishti-10 Drone) প্রদান করা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রথম ড্রোনটি পাঞ্জাবের ভাতিন্দা ঘাঁটিতে স্থাপন করবে, যেখানে এটি পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তের ওপর নজরদারি করতে সক্ষম হবে। আদানি ডিফেন্সের এই দেশীয় ড্রোনটি ভারতীয় স্বনির্ভরতার একটি বড় উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। মাত্র তিন বছরের মধ্যে তারা এমন একটি এমএএলই ড্রোন তৈরি করেছে যা সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় নেয়। দৃষ্টি-১০ স্টারলাইনর ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ভবিষ্যত গড়তে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত, যা মিশন চলাকালে নির্ভরযোগ্যতা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে, এমনকি কঠোর পরিবেশ ও পাহাড়ি অঞ্চলেও কাজ করতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rafale Deal: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই

    Rafale Deal: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। দেশের জলসীমায় শত্রুদের বুকে কাঁপুনি ধরাতে এবার ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল মেরিন কমব্যাট (Rafale Deal) এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে আসছে ভারত। এই বিষয়ে চুক্তি সম্ভবত পরের মাসেই হতে চলেছে বলে আভাস দিয়েছেন নৌসেনার (India Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী। নৌসেনা দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান তিনি। 

    চূড়ান্ত পর্যায়ে চুক্তি

    নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘রাফাল (Rafale Deal) মেরিন নিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শুধু ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটিতে এটি নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা। যেহেতু এটি সরকার থেকে সরকারের ডিল, তাই এটা নিয়ে বেশি সময় লাগবে না।’’ নৌসেনার জন্য আসা এই এয়ারক্রাফ্টগুলি বহু পর্যায়ের আলোচনা সমঝোতার পর দামের দিক থেকেও কিছুটা কাটছাঁট হচ্ছে বলে খবর। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ৩৬টি রাফাল বিমান ভারতে আসে ফ্রান্স থেকে। সেই বিপুল পরিমাণ রাফাল বিমান কেনার পর এবার এই ২৬টি রাফাল মেরিন এয়ারক্রাফ্ট ভারতের সেনার শক্তিকে আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    নতুন বিমানে নয়া কী কী 

    নতুন রাফাল যুদ্ধবিমানগুলিতে (Rafale Deal) বেশ কয়েকটি ‘মডিফিকেশন’ এর কথা বলেছে ভারতীয় নৌসেনা। জেটগুলিতে উন্নত রেডার লাগানোর কথা বলা হয়েছে। নতুন কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র যেমন রুদ্রম অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল, বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ মিসাইল ওই বিমানে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। এই অস্ত্রগুলি রাফাল মেরিন এয়ারক্রাফ্টে যুক্ত হলে তা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এর পাশাপাশি, নতুন তিনটি পরমাণু শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন (SSN) নির্মাণের বিষয়েও কেন্দ্রের তরফে সবুজ সঙ্কেত শীঘ্রই হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন নৌ-প্রধান। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নৌসেনার শক্তিকে বাড়িয়ে নিতে, ৬২টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন বর্তমানে দেশের মাটিতে তৈরি হচ্ছে। যা পরে নৌসেনায় যুক্ত হবে। 

    নৌসেনা দিবসের প্রস্তুতি

    পুরীর ব্লু ফ্ল্যাগ বিচে আগামী ৪ ডিসেম্বর উদযাপিত হবে নৌসেনা (India Navy) দিবস। জানা যাচ্ছে, এই অনুষ্ঠানের কারণে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরীর সমুদ্র সৈকত। অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হবে ২৪টি যুদ্ধ জাহাজ, ৪০টি এয়ারক্র্যাফ্ট। এ ছাড়াও একাধিক হেলিকপ্টার, প্যারাশুট, ফাইটার জেটও দেখা যাবে নৌসেনার সেলিব্রেশনে। সি বিচে আনা হবে ৮টি যুদ্ধ ট্যাঙ্কও। মূলত ভারতীয় নৌসেনার শক্তি প্রদর্শনের জন্যই এই বিরাট আয়োজন। ইতিমধ্যেই সি বিচ জুড়ে চলছে মার্কোশ কমান্ডো, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধ ট্যাঙ্কের মহড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে সাইক্লোন ‘ফেনজল’। শনিবার তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলে মহাবলীপুরম এবং কারাইকলের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তামিলনাড়ুতে প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী। 

    ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ 

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি)। আইএমডি তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু উপকূলে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পুদুচেরি এবং উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশেও।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে চেন্নাই, ময়িলাদুথুরাই, তিরুভারুর, নাগাপট্টিনম, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট এবং কাড্ডালোর জেলায়। ইতিমধ্যেই এই আট জেলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নাগাপট্টিনম, তিরুভারুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাই মঙ্গলবার থেকেই সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১,৬৩৪টি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, শ্রীলঙ্কার উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি প্রায় ৯ ডিগ্রি উত্তর এবং ৮২ ডিগ্রি পূর্বে কেন্দ্রীভূত। নিম্নচাপটি পুদুচেরির প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং তামিলনাড়ু উপকূল অভিমুখে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে শক্তি সঞ্চয়ে সচেষ্ট হবে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে শনিবার সকালে প্রত্যাশিত ল্যান্ডফলের আগে ঝড়টি আরও দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছে আবহবিদরা৷ সিস্টেমটি উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল, কাড্ডালোর, পুদুচেরি, তাম্বারাম এবং চেন্নাইয়ের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঝুঁকি থাকবে। 

    বিপর্যয় রুখতে সক্রিয় নৌবাহিনী

    শুক্রবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি তীব্রতা এবং বিস্তার বাড়াবে এবং শুক্রবার ভোর রাত থেকে ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জারি থাকতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী দু’দিন অবিরাম বৃষ্টি এবং প্রবল ঝোড়ো দমকা বাতাস রেল, সড়ক ও বিমান চলাচল ব্যাহত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলে ভারী বৃষ্টি, প্রবল বাতাস ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য, নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নৌবাহিনী বিভিন্ন ভৌগলিক এলাকায় দুর্যোগ সহায়তা দল (FRTs) এবং ডাইভিং টিমকে প্রস্তুত রেখেছে, যারা জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া, জরুরি ত্রাণ সামগ্রী যেমন খাদ্য, জল, ওষুধ এবং প্রস্তুত খাবারের বাক্স সহ অন্যান্য সরঞ্জাম পূর্ণ বিশাল যুদ্ধজাহাজগুলিকে সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। ত্রাণের উপকরণ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানোর জন্য পরিবহণ যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলগুলি উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য বোট ও হেলিকপ্টার নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। বিপদাপন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা হিসেবে, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল নৌসেনা

    Indian Navy: ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ ও স্থলপথে শত্রুকে শায়েস্তা করতে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ছিল ভারতের হাতে। এবার ডুবোজাহাজ থেকেও ছোড়া যাবে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। এদিন ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের (SLBM) সফল পরীক্ষা করল ভারত। বুধবার পরমাণু বিদ্যুৎচালিত ডুবোজাহাজ ‘আইএনএস অরিঘাত’ থেকে এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে। এটি কঠিন জ্বালানি দ্বারা চালিত ‘কে-৪’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র বলে জানা গিয়েছে। 

    ‘কে-৪’ মিসাইলের সফল পরীক্ষা

    প্রতিরক্ষামন্ত্র্রক সূত্রে খবর, সাড়ে ৩ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায় বেজিং সহ চিনের গুরুত্বপূর্ণ শহর চলে আসবে। সবচেয়ে বড় কথা, শত্রুর সীমার বাইরে থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিক্ষেপ করতে পারবে ভারত। বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে বিশাখাপত্তনম উপকূল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়। এই ধরনের পরীক্ষা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার করল নৌসেনা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের আরও কিছু পরীক্ষা চালাবে নৌসেনা। এখনই কোনও সরকারি ঘোষণা না করা হলেও সূত্রের খবর, ‘আইএনএস অরিঘাত’ থেকে কে-৪ মিসাইলের পরীক্ষাটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কে-৪ মিসাইলের পরীক্ষার জন্য গত কয়েক বছর ধরে শুধুমাত্র সাবমেরিনের পন্টুন ব্যবহার করা হয়েছিল। সূত্রের মতে, পরীক্ষা ফলাফল বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হবে এবং পরবর্তী বিশ্লেষণের পরে উচ্চ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিস্তারিত জানানো হবে। এই পরীক্ষা সফল হলেই ভারতীয় সেনার মুকুটে যোগ হবে ‘আণবিক ত্রিশক্তি’র পালক। 

    কে-৪ মিসাইলে সজ্জিত ‘আইএনএস অরিঘাত’

    উল্লেখ্য, ভারতের কাছে এই মুহূর্তে পারমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন (SSBN) রয়েছে দুটি। তার একটি হল ‘আইএনএস অরিহন্ত’ এবং অন্যটি ‘আইএনএস অরিঘাত’। দুটি ডুবোজাহাজই পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। তবে, ‘আইএনএস অরিহন্ত’ কেবলমাত্র ৭৫০ কিমি পাল্লার ‘কে-১৫’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। সেই জায়গায় তার উত্তরসূরি ‘আইএনএস অরিঘাত’ ৩,৫০০ কিমি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। 

    সেনা সূত্রে খবর, আগামী বছরের মধ্যে একই ধরনের আরও একটি ডুবোজাহাজ তৈরি করে ফেলবে ভারতীয় সেনা। যার নাম ‘আইএনএস অরিধমান’। যার ওজন ৭,০০০ টন। ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) কে-৪ মিসাইলটি তৈরি করেছে যা দেশের নিউক্লিয়ার-পাওয়ারড সাবমেরিনগুলোকে সজ্জিত করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যৌথ যুদ্ধ মহড়া শেষ হল মঙ্গলবার। ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’ নামে গত আট দিন ধরে চলা যুদ্ধাভ্যাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রস্তুতি।

    কেন এই মহড়া

    ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অরুণাচল প্রদেশে ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া চালাচ্ছে। এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য হল প্রতিকূল পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার ইতিবাচক পরিণতির পরে এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই ‘পূর্বী প্রহার’ বা ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া।

    প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা 

    সেনা সূত্রের খবর, চিন সীমান্তে এই মহড়ায় যোগ দেয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ রুদ্র। আমেরিকা থেকে আনা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজারের পাশাপাশি সোয়ার্ম ড্রোন, ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি) ড্রোন, এবং লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)-সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগে সেনার তিন শাখার জওয়ান ও অফিসারেরা পরিচিত হয়েছেন। প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা, তরুণ অফিসারদের শেখানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Japan Agreement: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    India Japan Agreement: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি (India Japan Agreement) স্বাক্ষরিত হল। সম্প্রতি টোকিওতে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি মোতাবেক এই দুই দেশ যৌথভাবে ‘ইউনিফাইড কমপ্লেক্স রেডিও অ্যান্টেনা’ (UNICORN Mast) মাস্ট বা জাহাজের মাস্তুল তৈরি করবে, যা একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। 

    ইউনিকর্ন মাস্ট

    সামরিক সূত্রে খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজেগুলির স্টেলথ বৈশিষ্ট্য বাড়ানোর জন্য এই নতুন প্রজন্মের ইউনিকর্ন মাস্ট (UNICORN Mast) বা মাস্তুল সিস্টেম বসানো হবে। তিনটি জাপানি কোম্পানি মিলিতভাবে এই প্রযুক্তি তৈরি করে। এই অ্যান্টেনাগুলি বর্তমানে জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের মোগামি-শ্রেণির ফ্রিগেটে মোতায়েন করা আছে। প্রচলিত মাস্তুলের পরিবর্তে একাধিক যোগাযোগ সিস্টেমের অ্যান্টেনাকে একত্রিত করে পুরোটা একটা রেডোম-এর মধ্যে ঢেকে দিয়ে রেডার ক্রস-সেকশন (RCS) হ্রাস করে এই নয়া প্রযুক্তি (UNICORN Mast) জাহাজগুলিকে অধিকমাত্রায় স্টেলথ করে তুলবে। একইসঙ্গে অত্যাধুনিক অ্যান্টেনা থাকায় নিজেদের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগও স্থাপন সম্ভব হবে (India Japan Agreement)। এর ফলে একদিকে যেমন শত্রুদের মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন সহজ হবে। অন্যদিকে, শত্রুর রেডারে অদৃশ্য থাকতে পারবে। এর ফলে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর পরিবেশে নৌবাহিনী তার কার্যকারিতা উন্নত করতে পারবে।

    ভারত-জাপান বন্ধুত্ব 

    প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রথমবার ভারত ও জাপানের মধ্যে এই ধরনের চুক্তি (India Japan Agreement)  স্বাক্ষরিত হল। টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে ১৫ নভেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের টোকিওস্থ রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জ এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন অধিগ্রহণ প্রযুক্তি ও লজিস্টিক্স সংস্থার কমিশনার ইশিকাওয়া তাকেশি। এই চুক্তি ২০১৫ সালের ভারত-জাপান প্রতিরক্ষা (India Japan Agreement) সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি স্থানান্তর চুক্তির অন্তর্গত। ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, জাপানের সহযোগিতায় এই উন্নত প্রযুক্তি (UNICORN Mast) ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘ভারত ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’ দ্বারা ভারতের মাটিতে তৈরি হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share