Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • Largest Drug Bust: গুজরাট উপকূলে বাজেয়াপ্ত ২২ হাজার কোটির মাদক! গ্রেফতার পাঁচ পাকিস্তানি

    Largest Drug Bust: গুজরাট উপকূলে বাজেয়াপ্ত ২২ হাজার কোটির মাদক! গ্রেফতার পাঁচ পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার (Largest Drug Bust) গুজরাট উপকূলে, যার আনুমানিক মূল্য ২২ হাজার কোটি টাকা। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির যৌথ অভিযানে গুজরাটের সমুদ্র উপকূলে ৩,৩০০ কেজির মাদক বাজেয়াপ্ত হল। এই অভিযানে সামিল ছিল গুজরাট পুলিশও। জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই মাদকের মধ্যে ৩,০৮৯ কেজি চরস রয়েছে। এছাড়া ১৫৮ গ্রাম মেথামফেটামিন এবং ২৫ কেজির মরফিন রয়েছে। মাদক বোঝাই নৌকাটিকে ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সওয়ারী পাঁচজনকে গ্রেফতারও করেছে ভারতীয় নৌসেনা। ধৃতরা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিন আরব সাগরে নজরদারি চালানো একটি এয়ারক্রাফট বিষয়টি প্রথমে জানায় নৌ সেনাকে। তারপর সেই খবর পৌঁছায় নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজের কাছে (Largest Drug Bust)। এবং পরে সন্দেহজনক ওই ছোট জাহাজটিকে আটক করে নৌসেনা।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট অমিত শাহের

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মাদক-মুক্ত ভারত গড়তে চান। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের এজেন্সিগুলি আজ উপকূলে মাদক বাজেয়াপ্ত করে বিশাল সাফল্য পেয়েছে। এনসিবি, নৌসেনা, গুজরাত পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৩২ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। আমাদের সরকার যে মাদক-মুক্ত (Largest Drug Bust) দেশ গড়তে চায়, সেই দায়বদ্ধতাকেই মান্যতা দিয়েছে এই ঐতিহাসিক সাফল্য। এই সাফল্যে আমি এনসিবি, নৌসেনা এবং গুজরাত পুলিশকে শুভেচ্ছা জানাই।’’

    নৌসেনার বিবৃতি

    ভারতীয় নৌবাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এনসিবি এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওই ছোট জাহাজ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে এত পরিমাণ মাদক একসঙ্গে উদ্ধার (Largest Drug Bust) হয়নি। আটক করা নৌকা, মাদক এবং ধৃতদের ভারতীয় বন্দরে আইন প্রয়োগকারী এক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালি জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন জাহাজের নাবিকরা, রীতিমতো লড়াই করে আহতও হয়েছেন। পরে তাঁদের মধ্যে একজন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাদের এই সাফল্যে শোরগোল পড়েছে দেশে। গত ১৪ ডিসেম্বর এমভি রুয়েন নামক একটি জাহাজ থেকে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। সেখানে বলা হয়, ছ’জন জলদস্যু অবৈধ ভাবে দখল করেছে জাহাজকে। এরপর ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে ওই নাবিককে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Pirates of Somalia)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) কবলে আটকে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারে কাজ করে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। এমভি রুয়েন নামে ওই মালটার পণ্যবাহী জাহাজটি অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাতে ১৮ জন নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে বর্তমানে ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অপহরণের পর জলদস্যুরা (Pirates of Somalia) জাহাজটিকে সোমালিয়ার তটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় খবর পেয়ে এডেন উপসাগরে টহলরত ভারতের নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বিমান সেখানে পৌঁছে যায়। ভারতের সরকারি একটি সূত্রে বলা হয়, জলদস্যুরা মিলে জাহাজকে সোমালিয়ার সীমানার দিকে নিয়ে যেতেই ভারতীয় নৌবাহিনী আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর শুরু হয় দস্যুদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেকায়দায় পরে দস্যুরা এক আহত নাবিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়।

    উল্লেখ্য, জলদস্যুদের কারণে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দস্যুরা জাহাজ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ উঠে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই জলদস্যুদের প্রভাব কম থাকলেও বর্তমানে তারা বেশ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ভারতের উপকূলগুলিতে সমুদ্র সীমান্তে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    MiG 29K Fighter Jet Crash: মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়ল নৌসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, প্রাণে বাঁচলেন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার (GOa) সমুদ্রের উপর ভেঙে পড়ল ভারতীয় নৌ সেনার মিগ২৯-কে যুদ্ধ বিমানটি (MiG 29K Fighter Jet Crash)। কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন বিমানচালক। জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে ভেঙে পড়ার মুহূর্তে বিমান থেকে বেরতে সক্ষম হয়েছেন সেই পাইলট। দুর্ঘটনার পরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নৌ সেনা (Indian Navy)।

    আরও পড়ুন: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    নৌ সেনার তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, গোয়ার সমুদ্রের উপর দিয়ে একটি মিগ ২৯-কে নিয়মিত যাত্রা করছিল। তখন বিমানটি নৌ সেনা ঘাঁটিতে ফিরে আসার সময় তাতে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে এটি ভেঙে পড়ে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে গেছে এবং দ্রুত SAR অপারেশনে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাইলটের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। বোর্ড অফ এনকোয়ারি-এর তরফে এই ঘটনার কারণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌ সেনা সূত্রে খবর, বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মিগ২৯-কে একটি অত্যাধুনিক, এয়ার ডমিনেন্স ফাইটার ও সবরকম আবহাওয়াতেই চলতে পারে, এমন একটি যুদ্ধ বিমান। এর সর্বোচ্চ গতি শব্দের গতির দ্বিগুণেরও বেশি। আর এটি ৬৫০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে আজ ফাইটার জেটে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২০ সালে, মিগ২৯-কে আরব সাগরের উপর যাওয়ার সময় হঠাৎ ভেঙে পড়ায় নিশান্ত সিং নামে এক ভারতীয় নৌ সেনার পাইলট মারা যান। এই ঘটনার আগে, ২০১৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ নভেম্বর, দুটি মিগ২৯ ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আবার ২০১৮ সালেও একটি ভারতীয় মিগ২৯-কে মাঝ পথে ভেঙে পড়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অপহৃত জাহাজ উদ্ধারের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার (Bulgeria) প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ। আরব সাগরে টানা ৪০ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। দীর্ঘ তিন মাস ধরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক থাকা জাহাজ ও তার কর্মীদের উদ্ধার করেছে আইএনএস কলকাতা। ওই জাহাজে বুলগেরিয়ার ৭ নাগরিক ছিলেন। তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। 

    মোদিকে ধন্যবাদ 

    বুলগেরিয়ান (Bulgeria) জাহাজটিকে উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান সেখানকার রাষ্ট্রপতি রুমেন রাদেভ। এই সফল অভিযানের জন্য ভারতকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান, বুলগেরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী  মারিয়া গ্যাব্রিয়েলও। তিনি বলেন, “আমি সফল অপারেশনের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছিনতাইকৃত জাহাজ রুয়েন ও তার ক্রু সদস্যরা এখন মুক্ত। এদের মধ্যে ৭ জন বুলগেরিয়ার নাগরিক ছিলেন। ভারতের এই সমর্থন এবং মহান প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ। আমরা ক্রুদের জীবন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    জয়শঙ্করের বার্তা

    বুলগেরিয়ার (Bulgeria) এই অভিনন্দন বার্তার প্রত্যুত্তরে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Dr S Jaishankar) বলেন, “বন্ধুরা এর জন্যই।” সম্প্রতি হুথি আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আরব সাগরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। এই আবহে ওই জলসীমায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবসময় বন্ধু দেশগুলির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই ভারতের নীতি বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INS Kolkata: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    INS Kolkata: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমহর্ষক অভিযান ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অপহৃত জাহাজ উদ্ধার করল আইএনএস কলকাতা (INS Kolkata)। ৪০ ঘণ্টার লড়াই শেষে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ৩৫ জন জলদস্যু। পণ্যবাহী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৭ জন কর্মীকে। আটক করা ওই জাহাজ থেকে বিপুল পরিমাণ বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের উপকূল থেকে প্রায় ২৬০০ কিমি দূরে গভীর সমুদ্রে এই অভিযান চালিয়েছিল আইএনএস কলকাতা। 

    দুর্ধর্ষ অভিযান

    ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) মুকুটে জুড়ল আরও একটি সাফল্যের পালক। ভারতীয় নৌসেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এম ভি রুয়েন নামক মাল্টার একটি পণ্যবাহী জাহাজকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অপহরণ করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।  সেই জাহাজকে ব্যবহার করেই অন্য জাহাজের উপরে হামলা করত দস্যুরা। গত বৃহস্পতিবারও ওই জাহাজ থেকেই বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী জাহাজের উপরে হামলা করার চেষ্টা করে জলদস্যুরা। সাহায্যের বার্তা পেয়েই এগিয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। শুরু হয় অভিযান। নৌসেনা জাহাজ আটকাতে, গুলি চালাতে শুরু করে জলদস্যুরা। নৌসেনার তরফে বারংবার তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও, অপহৃত জাহাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। পাল্টা জবাব দেয় নৌসেনাও। 

    আটক ৩৫ জলদস্যু

    মাঝ সমুদ্রে টানা ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে আইএনএস কলকাতা (INS Kolkata)। ভারতীয় নৌসেনার ড্রোন, হেলিকপ্টারের সাহায্যে ওই জাহাজে বন্দি হয়ে থাকা ১৭ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ৩৫ জন জলদস্যু। নৌসেনা (Indian Navy) সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক আইন মেনে খুব কম বলপ্রয়োগ করেই জলদস্যুদের আটক করা হয়েছে। এই জাহাজটিকে উদ্ধার করার অপারেশনে আইএনএস কলকাতা ছাড়াও যুক্ত ছিল প্যাট্রল ভেসেল আইএনএস সুভদ্রা, পি৮আই নজরদারি বিমান। এছাড়াও বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানের থেকে মেরিন কমান্ডোদের (মার্কোস) ‘এয়ার ড্রপ’ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ভারতের পশ্চিম উপকূলের উদ্দেশে এমভি রুয়েনকে নিয়ে রওনা হয়েছে আইএনএস কলকাতা। 

     

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভিজল কলকাতা, দিনভর কেমন থাকবে আবহাওয়া?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি জাহাজের উপরে জলদস্যুদের হামলা রুখল ভারত। এর পাশাপাশি জাহাজে থাকা সমস্ত নাবিকদেরও উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। বাংলাদেশের পতাকা লাগানো জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লা’ কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাঝ পথেই হঠাৎ জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হয়ে ওই জাহাজ। আটক করা হয় জাহাজে থাকা সকল নাবিকদেরও। খবর পেয়েই অপারশেনে নামে ভারতের নৌবাহিনী। উদ্ধার করা হয় জাহাজকে।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট নৌবাহিনীর

    এই উদ্ধারকাজের বর্ণনা নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। সেখানে লেখা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী বাংলাদেশের জাহাজকে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। খবর মেলে, জলদস্যুদের হামলার মুখে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ। দ্রুততার সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফ থেকে একটি যুদ্ধজাহাজকে সেখানে পাঠানো হয়। তারপরেই চলে উদ্ধার কাজ।

    মার্চের প্রথমেই আরও ১ বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার

    তবে এটাই নতুন কিছু নয়, মার্চ মাসের প্রথমেই ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) এডেন উপসাগরের একটি পণ্যবাহী জাহাজের উপর আগুন লেগে গেলে সেখান থেকেও ২১ জন নাবিককে উদ্ধার করে। জানা যায়, জলদস্যুদের মিসাইল হামলার জেরে ওই জাহাজে আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই উদ্ধারকৃত নাবিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয়ও ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই এমভি আবদুল্লা নামের ওই বাংলাদেশি জাহাজকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা আটক করে।

     

  • Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ফের ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার বার্বাডোজের পতাকা লাগানো একটি জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি (Houthi Attacks In Red Sea)। ইরান সমর্থিত ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাণিজ্যিক ওই জাহাজটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন, জখমও হন বেশ কয়েকজন। এই জাহাজটি থেকেই এক ভারতীয়-সহ মোট ২১জন কর্মীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

    জাহাজে মিসাইল হামলা (Houthi Attacks In Red Sea)

    এদিন লোহিত সাগর দিয়ে যাচ্ছিল পণ্যবাহী জাহাজ এমভি ট্রু কনফিডেন্স। জাহাজটি (Houthi Attacks In Red Sea) যে এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, সেখান থেকে ইয়েমেনের বন্দরশহর এডেনের দূরত্ব ১০১ কিলোমিটার। আচমকাই জাহাজটিতে মিসাইল ছোড়ে হুথি জঙ্গিরা। আগুন লেগে যায় জাহাজটিতে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান জাহাজটির ক্যাপ্টেন। বার্তাটি পৌঁছায় ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতার কাছে। দ্রুত রওনা দেয় ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার মাধওয়াল বলেন, “হেলিকপ্টার ও নৌকোর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির কর্মীদের। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    দায় কবুল হুথির 

    ঘটনার নেপথ্যে যে হুথিই, তার প্রমাণ মিলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলার দায় কবুল করায়। তাদের দাবি, হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছিল জাহাজটিকে। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করাতেই চালানো হয়েছে হামলা। গত অক্টোবরে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তার পর থেকেই লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হুথির বিরুদ্ধে। হামলা বন্ধ না হলে ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তার পরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথি।

    ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “অন্তত দুজন নিরপরাধ নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। এটি ছিল আন্তর্জাতিক জাহাজগুলিতে হুথিদের বেপরোয়াভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দুঃখজনক কিন্তু অনিবার্য পরিণতি। এদের অবশ্যই থামাতে হবে।” মাসখানেক আগেও লোহিত সাগরে দুটি জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। তার প্রেক্ষিতে হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, “মঙ্গলবার প্রথম হামলাটি হয় আমেরিকান জাহাজ স্টার নাসিয়াকে লক্ষ্য করে ও অন্যটি ব্রিটিশ জাহাজ মর্নিং টাইডকে লক্ষ্য করে (Houthi Attacks In Red Sea)।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক নিরাপত্তার দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হল ভারত। দেশের জলসীমাকে নিশ্ছিদ্র করতে নৌসেনার অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন অস্ত্র। বুধবার, শিকারী হেলিকপ্টার ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোচিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা (Indian Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। 

    কেন এই হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ?

    আধুনিক যুগের যুদ্ধক্ষেত্রে ও রণকৌশলে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাবমেরিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, একে কেউ দেখতে পায় না। জলের ওপর ভাসমান জাহাজকে সকলে দেখতে পেলেও, ডুবোজাহাজ থেকে যায় আড়ালেই। ফলে, ডুবোজাহাজ থেকে গোপনে শত্রু কখন কোথায় কীভাবে হামলা করে দেবে, তার আগে সেই অদৃশ্য সাবমেরিন কোথায় আছে, তা চিহ্নিত করা ভীষণই জরুরি। বর্তমানে, আধুনিক ও অত্যাধুনিক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়ে থাকে, এমন সব গোপন অস্ত্রের খোঁজ চালানোর জন্য। ঠিক তেমন ভাবেই, সমুদ্রের অতলে শত্রুর সাবমেরিন ঠিক কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে, সেই কাজে সিদ্ধহস্ত ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter)।

    পোশাকি নাম ‘সি হক’ (Indian Navy)

    এই হেলিকপ্টারের পোশাকি নাম ‘সি হক’। অর্থ— সমুদ্রের বাজ। নামের মতোই কাজ এই কপ্টারের। জলের নীচে বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এর ‘দৃষ্টি’। এতটাই শক্তিশালী এর সেন্সর। আর শুধু নজর নয়। এই কপ্টারে মোতায়েন করা যায় টর্পিডো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একবার শত্রুর সাবমেরিন চিহ্নিত হলে, আকাশে উড়তে উড়তেই নির্ভুল লক্ষ্যে টর্পিডো দেগে তাকে গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ নৌসেনার নতুন ‘রোমিও’। বুধবার কেরলের কোচিতে নৌসেনার ঘাঁটি আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন সংস্থা সিকরস্কির তৈরি কপ্টারটির প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে। এখন থেকে এই কপ্টারগুলি নৌসেনার (Indian Navy) নবগঠিত ৩৩৪ নম্বর এভিয়েশন স্কোয়াড্রনে মোতায়েন থাকবে।

    বহু ক্ষেপণাস্ত্রে সমাদৃত রোমিও

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন ২৪টি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল কপ্টার কিনেছে ভারত। ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। শুধু টর্পিডো নয়। এই শিকারী হেলিকপ্টারটি একাধিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণান্ত্র বহনেও সক্ষম। ষার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বখ্যাত ‘হেলফায়ার’ বা (নরকের আগুন) মিসাইল। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে নিধন করতে মার্কিন সেনা ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, এটি ৩৮ রকমের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রবাহী রকেট বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে ফ্রিগেট ও বিমানবাহী রণতরী থেকেও এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরে চিন ও মলদ্বীপ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও এক ধাপ বাড়াতে এবার নতুন নৌ-ঘাঁটি চালু করতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহে, এই নতুন ঘাঁটিকে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে উঠে আসা নতুন এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। 

    দেশের নতুন নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস জটায়ু’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ৪ মার্চ নতুন নৌ-ঘাঁটিকে দেশের উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেদিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে নৌসেনার উভয় বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্য। জানা গিয়েছে, ওইদিন একটি রণতরী থেকে উড়ে আরেকটি রণতরীতে অবতরণ করবে নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। এছাড়া, দুই বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’-এর অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় উপস্থিত থাকবে নৌসেনার আরও একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।

    নজরে চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে সীমিত সংখ্যক অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে চালু করা হবে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। এর পর ধীরে ধীরে আড়েবহরে তা প্রসারিত করা হবে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়েছে চিন। সাম্প্রতিককালে তাকে সঙ্গে দিচ্ছে একদা ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত মলদ্বীপ। সেদেশের তখতে বর্তমানে রয়েছে চিন-ঘেঁষা প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি আসার পর থেকেই মলদ্বীপের আচরণ ও কর্মকাণ্ড ভারত-বিরোধী হয়ে উঠেছে। যা, ভালো চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ‘আইএনএস জটায়ু’

    এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেই, মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই নৌ-ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটি (INS Jatayu) থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লক্ষদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ঠিক যেমন বঙ্গোপসাগরে দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস বাজ’ থেকে ওই অঞ্চলের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হয়, ঠিক সেভাবেই লক্ষদ্বীপের এই নয়া নৌ-ঘাঁটি থেকে দেশের পশ্চিম পাড়ে নজর রাখা হবে। 

    ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার

    নয়া নৌ-ঘাঁটি (INS Jatayu) চালুর পাশাপাশি, একই দিনে ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় নৌসেনায়। এই অনুষ্ঠানটি হবে কোচিতে। প্রথম পর্যায়ে চারটি চপার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই হেলিকপ্টারগুলিকে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তি মারফৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। রণতরীতে মোতায়েন করার জন্য ২০০টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। সেখানেই এই মেগা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের মধ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদন করা হয় এদেশই, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের কারখানায়। ব্রহ্মসের গতি শব্দের প্রায় ৩ গুণ। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার ওপর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকী, চলমান লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার অর্থ শত্রু রেডার এটি ধরা পড়ে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। ফলে, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

    পাল্লা বেড়ে ৪৫০ কিমি

    ব্রহ্মস (Brahmos) এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যাকে স্থল, জাহাজ, বিমান এমনকী সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রথমদিকে, ব্রহ্মসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু, আধুনিক সংস্করণের পাল্লা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মস। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ অধিক পাল্লার সংস্করণই কিনতে চলেছে নৌসেনা। জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ভারতীয় নৌসেনার এখন প্রথম পছন্দ ব্রহ্মস। 

    আরও পড়ুন: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস

    শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস (Brahmos)। ফিলিপিন্স কিনছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি বেশ কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী, মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মসের লঞ্চার ও কন্ট্রোল সিস্টেম পাঠানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, পাঠানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিপিন্স ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজের অস্ত্রাগারে জায়গা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share