Tag: Indian Navy

Indian Navy

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অপহৃত জাহাজ উদ্ধারের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার (Bulgeria) প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ। আরব সাগরে টানা ৪০ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। দীর্ঘ তিন মাস ধরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক থাকা জাহাজ ও তার কর্মীদের উদ্ধার করেছে আইএনএস কলকাতা। ওই জাহাজে বুলগেরিয়ার ৭ নাগরিক ছিলেন। তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে  (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। 

    মোদিকে ধন্যবাদ 

    বুলগেরিয়ান (Bulgeria) জাহাজটিকে উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান সেখানকার রাষ্ট্রপতি রুমেন রাদেভ। এই সফল অভিযানের জন্য ভারতকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান, বুলগেরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী  মারিয়া গ্যাব্রিয়েলও। তিনি বলেন, “আমি সফল অপারেশনের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছিনতাইকৃত জাহাজ রুয়েন ও তার ক্রু সদস্যরা এখন মুক্ত। এদের মধ্যে ৭ জন বুলগেরিয়ার নাগরিক ছিলেন। ভারতের এই সমর্থন এবং মহান প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ। আমরা ক্রুদের জীবন রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    জয়শঙ্করের বার্তা

    বুলগেরিয়ার (Bulgeria) এই অভিনন্দন বার্তার প্রত্যুত্তরে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Dr S Jaishankar) বলেন, “বন্ধুরা এর জন্যই।” সম্প্রতি হুথি আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আরব সাগরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। এই আবহে ওই জলসীমায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবসময় বন্ধু দেশগুলির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই ভারতের নীতি বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INS Kolkata: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    INS Kolkata: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমহর্ষক অভিযান ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অপহৃত জাহাজ উদ্ধার করল আইএনএস কলকাতা (INS Kolkata)। ৪০ ঘণ্টার লড়াই শেষে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ৩৫ জন জলদস্যু। পণ্যবাহী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৭ জন কর্মীকে। আটক করা ওই জাহাজ থেকে বিপুল পরিমাণ বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের উপকূল থেকে প্রায় ২৬০০ কিমি দূরে গভীর সমুদ্রে এই অভিযান চালিয়েছিল আইএনএস কলকাতা। 

    দুর্ধর্ষ অভিযান

    ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) মুকুটে জুড়ল আরও একটি সাফল্যের পালক। ভারতীয় নৌসেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এম ভি রুয়েন নামক মাল্টার একটি পণ্যবাহী জাহাজকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অপহরণ করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।  সেই জাহাজকে ব্যবহার করেই অন্য জাহাজের উপরে হামলা করত দস্যুরা। গত বৃহস্পতিবারও ওই জাহাজ থেকেই বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী জাহাজের উপরে হামলা করার চেষ্টা করে জলদস্যুরা। সাহায্যের বার্তা পেয়েই এগিয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। শুরু হয় অভিযান। নৌসেনা জাহাজ আটকাতে, গুলি চালাতে শুরু করে জলদস্যুরা। নৌসেনার তরফে বারংবার তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও, অপহৃত জাহাজ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। পাল্টা জবাব দেয় নৌসেনাও। 

    আটক ৩৫ জলদস্যু

    মাঝ সমুদ্রে টানা ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে আইএনএস কলকাতা (INS Kolkata)। ভারতীয় নৌসেনার ড্রোন, হেলিকপ্টারের সাহায্যে ওই জাহাজে বন্দি হয়ে থাকা ১৭ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ৩৫ জন জলদস্যু। নৌসেনা (Indian Navy) সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক আইন মেনে খুব কম বলপ্রয়োগ করেই জলদস্যুদের আটক করা হয়েছে। এই জাহাজটিকে উদ্ধার করার অপারেশনে আইএনএস কলকাতা ছাড়াও যুক্ত ছিল প্যাট্রল ভেসেল আইএনএস সুভদ্রা, পি৮আই নজরদারি বিমান। এছাড়াও বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানের থেকে মেরিন কমান্ডোদের (মার্কোস) ‘এয়ার ড্রপ’ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ভারতের পশ্চিম উপকূলের উদ্দেশে এমভি রুয়েনকে নিয়ে রওনা হয়েছে আইএনএস কলকাতা। 

     

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভিজল কলকাতা, দিনভর কেমন থাকবে আবহাওয়া?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি জাহাজের উপরে জলদস্যুদের হামলা রুখল ভারত। এর পাশাপাশি জাহাজে থাকা সমস্ত নাবিকদেরও উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। বাংলাদেশের পতাকা লাগানো জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লা’ কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাঝ পথেই হঠাৎ জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হয়ে ওই জাহাজ। আটক করা হয় জাহাজে থাকা সকল নাবিকদেরও। খবর পেয়েই অপারশেনে নামে ভারতের নৌবাহিনী। উদ্ধার করা হয় জাহাজকে।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট নৌবাহিনীর

    এই উদ্ধারকাজের বর্ণনা নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। সেখানে লেখা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী বাংলাদেশের জাহাজকে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। খবর মেলে, জলদস্যুদের হামলার মুখে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ। দ্রুততার সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফ থেকে একটি যুদ্ধজাহাজকে সেখানে পাঠানো হয়। তারপরেই চলে উদ্ধার কাজ।

    মার্চের প্রথমেই আরও ১ বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার

    তবে এটাই নতুন কিছু নয়, মার্চ মাসের প্রথমেই ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) এডেন উপসাগরের একটি পণ্যবাহী জাহাজের উপর আগুন লেগে গেলে সেখান থেকেও ২১ জন নাবিককে উদ্ধার করে। জানা যায়, জলদস্যুদের মিসাইল হামলার জেরে ওই জাহাজে আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই উদ্ধারকৃত নাবিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয়ও ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই এমভি আবদুল্লা নামের ওই বাংলাদেশি জাহাজকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা আটক করে।

     

  • Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ফের ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার বার্বাডোজের পতাকা লাগানো একটি জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি (Houthi Attacks In Red Sea)। ইরান সমর্থিত ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাণিজ্যিক ওই জাহাজটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন, জখমও হন বেশ কয়েকজন। এই জাহাজটি থেকেই এক ভারতীয়-সহ মোট ২১জন কর্মীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

    জাহাজে মিসাইল হামলা (Houthi Attacks In Red Sea)

    এদিন লোহিত সাগর দিয়ে যাচ্ছিল পণ্যবাহী জাহাজ এমভি ট্রু কনফিডেন্স। জাহাজটি (Houthi Attacks In Red Sea) যে এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, সেখান থেকে ইয়েমেনের বন্দরশহর এডেনের দূরত্ব ১০১ কিলোমিটার। আচমকাই জাহাজটিতে মিসাইল ছোড়ে হুথি জঙ্গিরা। আগুন লেগে যায় জাহাজটিতে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান জাহাজটির ক্যাপ্টেন। বার্তাটি পৌঁছায় ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতার কাছে। দ্রুত রওনা দেয় ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার মাধওয়াল বলেন, “হেলিকপ্টার ও নৌকোর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির কর্মীদের। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    দায় কবুল হুথির 

    ঘটনার নেপথ্যে যে হুথিই, তার প্রমাণ মিলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলার দায় কবুল করায়। তাদের দাবি, হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছিল জাহাজটিকে। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করাতেই চালানো হয়েছে হামলা। গত অক্টোবরে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তার পর থেকেই লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হুথির বিরুদ্ধে। হামলা বন্ধ না হলে ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তার পরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথি।

    ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “অন্তত দুজন নিরপরাধ নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। এটি ছিল আন্তর্জাতিক জাহাজগুলিতে হুথিদের বেপরোয়াভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দুঃখজনক কিন্তু অনিবার্য পরিণতি। এদের অবশ্যই থামাতে হবে।” মাসখানেক আগেও লোহিত সাগরে দুটি জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। তার প্রেক্ষিতে হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, “মঙ্গলবার প্রথম হামলাটি হয় আমেরিকান জাহাজ স্টার নাসিয়াকে লক্ষ্য করে ও অন্যটি ব্রিটিশ জাহাজ মর্নিং টাইডকে লক্ষ্য করে (Houthi Attacks In Red Sea)।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক নিরাপত্তার দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হল ভারত। দেশের জলসীমাকে নিশ্ছিদ্র করতে নৌসেনার অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন অস্ত্র। বুধবার, শিকারী হেলিকপ্টার ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোচিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা (Indian Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। 

    কেন এই হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ?

    আধুনিক যুগের যুদ্ধক্ষেত্রে ও রণকৌশলে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাবমেরিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, একে কেউ দেখতে পায় না। জলের ওপর ভাসমান জাহাজকে সকলে দেখতে পেলেও, ডুবোজাহাজ থেকে যায় আড়ালেই। ফলে, ডুবোজাহাজ থেকে গোপনে শত্রু কখন কোথায় কীভাবে হামলা করে দেবে, তার আগে সেই অদৃশ্য সাবমেরিন কোথায় আছে, তা চিহ্নিত করা ভীষণই জরুরি। বর্তমানে, আধুনিক ও অত্যাধুনিক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়ে থাকে, এমন সব গোপন অস্ত্রের খোঁজ চালানোর জন্য। ঠিক তেমন ভাবেই, সমুদ্রের অতলে শত্রুর সাবমেরিন ঠিক কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে, সেই কাজে সিদ্ধহস্ত ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter)।

    পোশাকি নাম ‘সি হক’ (Indian Navy)

    এই হেলিকপ্টারের পোশাকি নাম ‘সি হক’। অর্থ— সমুদ্রের বাজ। নামের মতোই কাজ এই কপ্টারের। জলের নীচে বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এর ‘দৃষ্টি’। এতটাই শক্তিশালী এর সেন্সর। আর শুধু নজর নয়। এই কপ্টারে মোতায়েন করা যায় টর্পিডো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একবার শত্রুর সাবমেরিন চিহ্নিত হলে, আকাশে উড়তে উড়তেই নির্ভুল লক্ষ্যে টর্পিডো দেগে তাকে গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ নৌসেনার নতুন ‘রোমিও’। বুধবার কেরলের কোচিতে নৌসেনার ঘাঁটি আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন সংস্থা সিকরস্কির তৈরি কপ্টারটির প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে। এখন থেকে এই কপ্টারগুলি নৌসেনার (Indian Navy) নবগঠিত ৩৩৪ নম্বর এভিয়েশন স্কোয়াড্রনে মোতায়েন থাকবে।

    বহু ক্ষেপণাস্ত্রে সমাদৃত রোমিও

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন ২৪টি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল কপ্টার কিনেছে ভারত। ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। শুধু টর্পিডো নয়। এই শিকারী হেলিকপ্টারটি একাধিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণান্ত্র বহনেও সক্ষম। ষার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বখ্যাত ‘হেলফায়ার’ বা (নরকের আগুন) মিসাইল। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে নিধন করতে মার্কিন সেনা ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, এটি ৩৮ রকমের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রবাহী রকেট বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে ফ্রিগেট ও বিমানবাহী রণতরী থেকেও এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    INS Jatayu: লক্ষদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে নজর রাখবে ‘জটায়ু’, চালু হচ্ছে দেশের নয়া নৌ-ঘাঁটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরে চিন ও মলদ্বীপ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও এক ধাপ বাড়াতে এবার নতুন নৌ-ঘাঁটি চালু করতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহে, এই নতুন ঘাঁটিকে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে উঠে আসা নতুন এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। 

    দেশের নতুন নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস জটায়ু’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ৪ মার্চ নতুন নৌ-ঘাঁটিকে দেশের উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেদিনের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে নৌসেনার উভয় বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রান্ত ও আইএনএস বিক্রমাদিত্য। জানা গিয়েছে, ওইদিন একটি রণতরী থেকে উড়ে আরেকটি রণতরীতে অবতরণ করবে নৌসেনার প্রধান যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে। এছাড়া, দুই বিমানবাহী রণতরীর ‘ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ’-এর অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় উপস্থিত থাকবে নৌসেনার আরও একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন।

    নজরে চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে সীমিত সংখ্যক অফিসার ও কর্মীদের নিয়ে চালু করা হবে ‘আইএনএস জটায়ু’ (INS Jatayu)। এর পর ধীরে ধীরে আড়েবহরে তা প্রসারিত করা হবে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলে নিজেদের গতিবিধি বাড়িয়েছে চিন। সাম্প্রতিককালে তাকে সঙ্গে দিচ্ছে একদা ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত মলদ্বীপ। সেদেশের তখতে বর্তমানে রয়েছে চিন-ঘেঁষা প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি আসার পর থেকেই মলদ্বীপের আচরণ ও কর্মকাণ্ড ভারত-বিরোধী হয়ে উঠেছে। যা, ভালো চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ‘আইএনএস জটায়ু’

    এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেই, মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই নৌ-ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটি (INS Jatayu) থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লক্ষদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ঠিক যেমন বঙ্গোপসাগরে দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নৌ-ঘাঁটি ‘আইএনএস বাজ’ থেকে ওই অঞ্চলের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হয়, ঠিক সেভাবেই লক্ষদ্বীপের এই নয়া নৌ-ঘাঁটি থেকে দেশের পশ্চিম পাড়ে নজর রাখা হবে। 

    ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার

    নয়া নৌ-ঘাঁটি (INS Jatayu) চালুর পাশাপাশি, একই দিনে ‘এমএইচ-৩০ রোমিও’ মাল্টিরোল হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় নৌসেনায়। এই অনুষ্ঠানটি হবে কোচিতে। প্রথম পর্যায়ে চারটি চপার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই হেলিকপ্টারগুলিকে সরাসরি দুই সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তি মারফৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। রণতরীতে মোতায়েন করার জন্য ২০০টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। সেখানেই এই মেগা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের মধ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদন করা হয় এদেশই, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের কারখানায়। ব্রহ্মসের গতি শব্দের প্রায় ৩ গুণ। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার ওপর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকী, চলমান লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার অর্থ শত্রু রেডার এটি ধরা পড়ে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। ফলে, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

    পাল্লা বেড়ে ৪৫০ কিমি

    ব্রহ্মস (Brahmos) এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যাকে স্থল, জাহাজ, বিমান এমনকী সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রথমদিকে, ব্রহ্মসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু, আধুনিক সংস্করণের পাল্লা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মস। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ অধিক পাল্লার সংস্করণই কিনতে চলেছে নৌসেনা। জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ভারতীয় নৌসেনার এখন প্রথম পছন্দ ব্রহ্মস। 

    আরও পড়ুন: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস

    শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস (Brahmos)। ফিলিপিন্স কিনছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি বেশ কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী, মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মসের লঞ্চার ও কন্ট্রোল সিস্টেম পাঠানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, পাঠানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিপিন্স ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজের অস্ত্রাগারে জায়গা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে। দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের (Qatar) জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার কাকভোরে পা রেখেছেন ভারতভূমে। দেশে ফিরে তাঁরা যেমন ভারত মাতা কী জয় স্লোগান দিচ্ছেন, তেমনি উদাত্ত কণ্ঠে গাইছেন মোদি প্রশস্তিও।

    চরবৃত্তির অভিযোগ

    নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন সদস্যরা কাজ করছিলেন আল ধারা নামের এক বেসরকারি সংস্থায়। চরবৃত্তির অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২০২২ সালের অক্টোবরে বন্দি করা হয় কাতারের কারাগারে। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাতারের (Qatar) আইনে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ওই বছরেরই মে মাসে আল ধারা গ্লোবাল দোহায় তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এই অপারেশনে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, যাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়, তাঁরা দেশে ফেরেন।

    মৃত্যুদণ্ড

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ধৃত আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। সে দেশের এই রায়কে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ভারত সরকার। এই রায়ের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত বৈধ অপশনগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ৯ নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারত। সেই আপিল গ্রহণও করে কাতারের উচ্চ আদালত। ১৬ নভেম্বর ভারত সরকার আপিলের কথা জানায়। সরকারের তরফে এও জানানো হয় সদর্থক কিছু ঘটতে চলেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তৎকালীন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “কাতার সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্ত করতে যা যা করা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।” ২৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে কাতার আদালত। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র সঙ্গে দেখা করেন। অরিন্দম বাগচী বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল, তার দুটো শুনানি হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    ২৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড রদ করা হয় বলে জানায় কাতারের আদালত। বিষয়টিকে ভারতীয় কূটনীতির বিরাট সাফল্য বলে মনে করে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে অবশ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কাতার আদালত জানায় মৃত্যুদণ্ড রদের কথা। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। এদিন ভোরেই দিল্লি এসে পৌঁছান সাত ভারতীয়। দেশে তাঁদের স্বাগত জানানো হয় সরকারের তরফে (Qatar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    Indian Navy: মাঝসমুদ্রে দুর্ধর্ষ অভিযান মার্কোসের! সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ২১ জনকে উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) বিরাট সাফল্য। আরব সাগরে হাইজ্যাক করা এমভি লিলি নরফোক জাহাজে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনার ‘মার্কোস’। উদ্ধার অভিযানের সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নৌবাহিনীর তরফ থেকে।

    ১৫ জন ভারতীয় উদ্ধার

    শুক্রবার আইএনএস চেন্নাইয়ের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে এই অপহৃত হওয়া জাহাজকে। জানা গিয়েছে, সোমালিয়া উপকূলের কাছে অপহরণ হওয়া এমভি লিলি নরফোক জাহাজ (Indian Navy) থেকে মোট ১৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌসেনা। সেই সঙ্গে নৌবাহিনী আরও ৬ জন ক্রু সদস্যকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেছে। ফলে মোট উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জন হলেন সদস্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল জানিয়েছেন, “অপহৃত হওয়া জাহাজ থেকে ১৫ জন ভারতীয় সহ মোট ২১ জন ক্রুকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য

    এই বিরাট উদ্ধার অভিযানের সাফল্য প্রসঙ্গে নৌসেনার মুখপাত্র বলেন, “ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার আরব সাগরে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জলপথে ওই এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের (Indian Navy) চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং জলদস্যুদের হামলা আটকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই স্থানে ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে চারটি যুদ্ধ জাহাজ প্রহরায় নিযুক্ত করা হয়েছে।”

    কীভাবে অপারেশন সম্পন্ন হল

    ৫ জানুয়ারি ভারতীয় নৌসেনার মেরিন কমান্ডোরা লাইবেরিয়ার পতাকা নিয়ে চলা একটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি লিলি নরফোকে (Indian Navy) পৌঁছে অপারেশন সম্পন্ন করে। কমান্ডোরা ভারতীয় আইএনএস চেন্নাইয়ে করে নরফোক জাহাজের কাছে পৌঁছায়। অপহৃত হওয়া জাহাজ এমভি লিলি নরফোকের খোঁজ করতে পি-৮১ নজরদারি বিমানকে নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও দূরপাল্লার প্রিডেটর এমকিউ-৯বি সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছিল।

    অপহরণের খবর কীভাবে মিলেছিল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউকে মেরিটটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) বৃহস্পতিবার এমভি লিলি নরফোকের (Indian Navy) অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিল। সামুদ্রিক জলপথে জাহাজের চলাচল এবং গতি প্রকৃতির উপর নজর রাখে এই ইউকেএমটিও। সেই খবর ভারতের কাছে পৌঁছতেই সময় নষ্ট না করে মাঝ সমুদ্র রেসকিউ অপারেশনে নামে ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: সাগরে বাড়ছে হানাদারির ঘটনা, নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা

    Indian Navy: সাগরে বাড়ছে হানাদারির ঘটনা, নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ও মধ্য আরব সাগর ও এডেন প্রণালী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। বেশ কিছু দিন ধরে আন্তর্জাতিক এই শিপিং লেন দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলা হচ্ছিল। সেই হামলা বন্ধেই পদক্ষেপ করল ভারতীয় নৌসেনা। এই লেনে চলাচলকারী জাহাজগুলির ওপর হামলা ঠেকাতে নৌসেনার তরফে ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট মোতায়েন করা হয়েছে।

    নৌসেনার তৎপরতা

    কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা যায়, তাই মোতায়েন করা হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত জাহাজও। নৌসেনা জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে সম্প্রতি নিরাপত্তার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্যে তার মোকাবিলা করা হবে। ভারতীয় উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এমভি ছেম প্লুটো জাহাজের ওপর ড্রোন হানা হয়েছিল ঠিক দিন  দুয়েক আগে। তার পরেই পদক্ষেপ করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। জাহাজটিতে ২১ জন ক্রু-মেম্বার ছিলেন।

    জাহাজে হামলা

    এঁদের মধ্যে ২০ জন ভারতীয়। একজন ভিয়েতনামের নাগরিক। কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘বিক্রমে’র কড়া প্রহরায় জাহাজটি মুম্বই বন্দরে এসে ভিড়েছে। এর ঠিক দু’দিন আগেই হামলা হয়েছিল জাহাজটির ওপর। ভারতীয় নৌসেনার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে লোহিত সাগরে, এডেন প্রণালী এবং উত্তর ও মধ্য আরব সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং লেনে চলাচলকারী জাহাজগুলির ওপর হামলা হতে দেখা গিয়েছে। এমভি রুয়েনের ওপর জলদস্যুদের হানার ঘটনা ঘটেছিল ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ৭০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। সম্প্রতি এমভি ছেম প্লুটোর ওপর ড্রোন হানা হয়েছে। পোরবন্দর থেকে এটির দূরত্ব প্রায় ২২০ নটিক্যাল মাইল।

    আরও পড়ুুন: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট ছাড়াও নৌসেনার (Indian Navy) তরফে এবং নজরদারি ড্রোন ও বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। আমেরিকার দাবি, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইরানের মদতপুষ্ট হুথিই হামলা চালিয়েছে ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরে চলাচলকারী কয়েকটি জাহাজে। হুথির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে যারা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে, তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share