Tag: Indians

Indians

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রাতা সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বিদেশে বিপদে পড়ে তাই তাঁরই শরণ নিলেন কয়েকশো ভারতীয় শ্রমিক। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও নিজের নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে নিরাপদে দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন (Saudi Arabia)।

    বন্ধ বেতন (PM Modi)

    সৌদি আরবে সেনদান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডে কাজ করতে গিয়েছিলেন কয়েকশো ভারতীয়। এঁদের বেশিরভাগই বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই শ্রমিকদের অভিযোগ, গত আট মাস ধরে কোম্পানি তাঁদের বেতন দেয়নি। তাই তাঁরা খাদ্য এবং বাসস্থানের মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা থেকেও বঞ্চিত। জুবাইলের কিং ফয়সাল ওয়েস্ট রোডে অবস্থিত কোম্পানির হাউজিং ক্যাম্পে কোনওক্রমে বসবাস করছেন তাঁরা। বেতন না পাওয়ায় অমানবিক পরিবেশে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। বেঁচে রয়েছেন পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুবিধা ছাড়াই।

    কী বলছেন আটকে পড়া শ্রমিকরা

    বিপদে পড়ে তাঁরা প্রথমে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিয়াধে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের। অভিযোগ, সেখান থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। এই বিপন্ন শ্রমিক দলটির একজন শৈলেশ কুমার চৌহান। তিনি বলেন, “আমরা মেল ও ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনও সাড়া পাইনি।” তিনি বলেন, “যদি শীঘ্রই সাহায্য না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।”

    ভারতীয় দূতাবাসের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ওই শ্রমিকরা সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জেলাশাসক ও গোপালগঞ্জের সাংসদ অলক কুমার সুমনের কাছেও আবেদন করেছেন। সুমন যোগাযোগ করেন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে (PM Modi)। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই বিপাকে পড়েন সে দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ভারতীয়রা। কেবল ইউক্রেন নয়, তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে আটকে যাওয়া ভারতীয়দের উদ্ধার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন গঙ্গা’। এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতীয় তো বটেই বিপন্ন কয়েকজন পাকিস্তানি পড়ুয়া এবং প্রতিবেশী অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকদেরও উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতাও ব্যক্ত করেন।

    এবারও প্রধানমন্ত্রী ঠিক কিছু একটা করবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন বিপন্ন (Saudi Arabia) ওই ভারতীয় শ্রমিকরা।

  • US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    US Military Aircraft: ১০৪ অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরে এল মার্কিন সামরিক বিমান, এরপর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসী নিয়ে অমৃতসরের (Amritsar) শ্রী গুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করল একটি মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)।

    অবতরণ করল মার্কিন সামরিক বিমান (US Military Aircraft)

    বুধবার ১.৫৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করেছে। এদিন যাদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার ও গুজরাটের। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে তিনজন করেও রয়েছেন। রয়েছেন চণ্ডীগড়ের দুজনও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রশাসন তাদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। এদিন যাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের কেউই তাঁদের নিতে বিমানবন্দরে আসেননি।

    ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭-তে করে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতে ফেরত পাঠাল প্রথম দফার অবৈধ অভিবাসীদের। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প। তার পরেই দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করে। অনেক পাঞ্জাবি, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে “ডাঙ্কি রুট” বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন, মূলত তাঁদেরই তাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    অপরাধের রেকর্ড থাকলে পাঠানো হচ্ছে ডিটেনশন সেন্টারে

    জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো যৌথভাবে পরীক্ষা চালাচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অতীত বা রেকর্ড নেই, তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে (US Military Aircraft)। তবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিকা থেকে যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাঁদের অফিসিয়াল নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে ২০৫ জন অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা থেকে ভারতে এই প্রথম পাঠানো হল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাচ।

    প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন ট্রাম্প। এই অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় (Amritsar) বসবাসকারী বেশ কয়েকটি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও (US Military Aircraft)।

  • Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine conflict) হত ১২ ভারতীয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে (Ukraine) ভারতীয়দের নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সংস্থা। পরে তাঁদেরই ট্রেনিং দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Russia Ukraine conflict)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবরুদ্ধ ও বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ভারতীয়কে অবিলম্বে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ১২৬ জন। এঁদের মধ্যে ৯৬ জনই ফিরে এসেছেন। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অবশিষ্ট ১৬ জনকে রাশিয়া নিখোঁজ ঘোষণা করেছে।

    বিনিল বাবুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

    রাশিয়ান এক এজেন্টের দেওয়া চাকরির টোপ গিলে সে দেশে গিয়েছিলেন কেরলের বছর একত্রিশের বিনিল বাবু। ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “বিনিল বাবুর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যত দ্রুত বিনিলের দেহ এদেশে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা।” তিনি জানান, মস্কোয় চিকিৎসাধীন (Russia Ukraine conflict) আর এক ভারতীয়কেও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, “মস্কোর দূতাবাস এই দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কেরলের এক ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রুশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই সময় তিনি পুতিনকে ভারতীয়দের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। অক্টোবরে কাজান ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের একপ্রস্ত কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে (Ukraine)। সেই সময়ও মোদিকে পুতিন আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, যেসব ভারতীয়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল রাশিয়া তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেবে (Russia Ukraine conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। চিঠিতে তাঁদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে (Bangladesh) চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্যরাও।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Bangladesh Crisis)

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতিকে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার সঙ্গে দেখেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশ জুড়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ (পুলিশ সহ), শিক্ষা জগৎ এমনকি সংবাদমাধ্যমও। পুলিশ বাহিনী এখনও পূর্ণ শক্তিতে দায়িত্বে ফিরে আসেনি এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি এবং পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, স্বাভাবিকতা এখনও ফিরে আসেনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভারতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের দেড় কোটি শক্তিশালী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর (Bangladesh Crisis) মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পাশাপাশি রয়েছে শিয়া, আহমদিয়া এবং অন্যান্যরা। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সীমান্তের ওপারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভারতে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি যে এটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জনগণকে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার পথে এক সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে (Bangladesh), যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের টিকিয়ে রেখেছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Syria: ‘‘দ্রুত ফিরে আসুন, থাকলেও বেশি বাইরে বেরোবেন না”, সিরিয়ার ভারতীয়দের বার্তা নয়াদিল্লির

    Syria: ‘‘দ্রুত ফিরে আসুন, থাকলেও বেশি বাইরে বেরোবেন না”, সিরিয়ার ভারতীয়দের বার্তা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের। ইউক্রেন, ইজরায়েলের পরে এবার সিরিয়ায় (Syria) বসবাসকারী ভারতীয় (Indians) নাগরিকদের উদ্দেশে। পশ্চিম এশিয়ার ওই গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য শুক্রবার মধ্যরাতে নির্দেশিকা জারি করেছে সাউথ ব্লক। সেখানে ‘প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনো’, ‘সাবধানে চলাফেরা করা’ এবং ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’র কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সুযোগ থাকলে সিরিয়া ছাড়ার বার্তাও দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

    অশান্ত সিরিয়া! (Syria)

    গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত সিরিয়ার (Syria) পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সেদেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর আলেপ্পো কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বোমা, গুলির হামলায় ঝরছে রক্ত। গত এক সপ্তাহের যুদ্ধে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো এবং সামরিক কৌশলগত অবস্থানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হামা দখল করে নিয়েছে দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল- ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। দুই মিত্র দেশ রাশিয়া এবং ইরানের সাহায্য সত্ত্বেও ক্রমাগত পিছু হটছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনা। এদিকে কর্মসূত্রে বহু ভারতীয় সিরিয়ায় বসবাস করেন। তাঁদের নিয়েই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    কী নির্দেশ দিল ভারত?

    এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিতে বলেছেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে সিরিয়া (Syria) ভ্রমণ এড়াতে বলা হচ্ছে। সে দেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করবে সিরিয়ার ভারতীয় দূতাবাস।” তারপরই গভীর রাতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সিরিয়া ছাড়ার বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। সে দেশে যে ভারতীয় নাগরিকেরা রয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করতে একটি হেল্পলাইন নম্বর এবং ইমেল আইডিও দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ- “যাঁদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা দ্রুত সিরিয়া ছেড়ে ফিরে আসুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন, জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি। এদিন সাত সকালেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে একই উপলক্ষে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” ক্ষমতায় টিকে থাকতে তিনি যে সংবিধানের স্পিরিটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলেন, তাও বলেন মোদির সেনাপতি।

    শাহি তোপ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Amit Shah) লিখেছেন, “কংগ্রেস বিভিন্ন সময় আমাদের সংবিধানের স্পিরিট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। একটি বিশেষ পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে তারা এটা করেছিল।” এর পরেই তিনি লেখেন, “ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস পার্টির যুবরাজ (রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ) ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর ঠাকুমা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এবং তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী ১৯৮৫ সালের ২৩ জুলাই লোকসভায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা (জরুরি অবস্থা) নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, জরুরি অবস্থা জারিতে কোনও ভুল নেই।”

    তোপ কংগ্রেসকেও

    পোস্টে শাহ লিখেছেন, “রাজীব গান্ধী এও বলেছিলেন, এই দেশের যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী মনে করেন জরুরি অবস্থা প্রয়োজনীয়, এই পরিস্থিতিতে এবং জরুরি অবস্থা জারির আবেদন না করেন, তাহলে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন।” তিনি বলেন, “স্বৈরতান্ত্রিক একটি কাজ নিয়ে এই যে গর্ব অনুভব করা এটা প্রমাণ করে একটি পরিবার এবং ক্ষমতা ছাড়া কংগ্রেসের কাছে আর প্রিয় কিছুই নয়।”

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    এদিনই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kuwait Fire: কুয়েত থেকে ৪৫ দেহ নিয়ে ফিরল বায়ুসেনার বিমান, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অনাবাসীর

    Kuwait Fire: কুয়েত থেকে ৪৫ দেহ নিয়ে ফিরল বায়ুসেনার বিমান, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অনাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। দেহ ভারতে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার সকালে কুয়েতের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের (Kuwait Fire) ঘটনায় মৃতদের দেহ আনতে পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে নামের একটি বিশেষ বিমান। এই বিমানে করেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৪৫ জনের দেহ।

    ফিরল দেহ (Kuwait Fire)

    কুয়েতের দুর্ঘটনার পরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কুয়েতে যাবেন ভারতের নয়া বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। শুক্রবার সকালে তিনি কুয়েতে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। শনিবার ফিরলেন দেহ নিয়ে। কুয়েতে গিয়ে মন্ত্রী দেখা করেছিলেন হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ (Kuwait Fire) ভারতীয়দের সঙ্গে। মন্ত্রীর সঙ্গে তখন ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা। এদিন দেহ নিয়ে বিমানটি কোচি বিমানবন্দর ছুঁতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়।

    মৃতদের মধ্যে একজন বাংলার

    কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে যে পঁয়তাল্লিশজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কেরলের বাসিন্দা ২৩ জন। মৃতদের মধ্যে ৭ জনের বাড়ি তামিলনাড়ুতে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করেও রয়েছেন। ওড়িশার দু’জনেরও মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করেও রয়েছেন মৃতদের মধ্যে। কোচি থেকে বিমানটিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।

    আরও পড়ুন: তিস্তা পাড়ে বন্যার শঙ্কা, গঙ্গা পাড় শুকনো! দক্ষিণবঙ্গে আর কবে ঢুকবে বর্ষা?

    মৃত ভারতীয়দের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান, অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী এমএ ইউসুফ আলি। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আগেই মৃতদের পরিবারকে দু’লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিয়েছিলেন মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও।

    প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে আগুন লাগে কুয়েতের এক বহুতলে। এই বহুতলে ছিলেন ১৯৫ জন শ্রমিক। এঁদের সিংহভাগই ভারতীয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয় ৪৯ জনের। কুয়েত সরকার জানিয়েছে, ৪৫ জন ভারতীয়ের মৃতদেহ চিহ্নিত করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন (Kuwait Fire)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share