Tag: Indias Economy

Indias Economy

  • Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় হাল ফিরেছে ভারতের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান এখন পাঁচ নম্বরে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কীভাবে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তা ফাঁস করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ (Mossad)। এই মোসাদ রাহুল এবং কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদার ওপর গোপনে নজরদারি অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বিরোধী দলীয় নেতাদের বিতর্কিত আমেরিকান শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে বের করা।

    স্পুটনিকের খবর (Mossad)

    রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই মোসাদ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আদানি গ্রুপের বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যায়। বড়সড় ধস নামে ভারতের শেয়ার বাজারে।

    হাইফা বন্দরের শেয়ার

    ওই সময় আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এপিএসইজেড) ইজরায়েলের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দরের অধিকাংশ শেয়ার কেনার জন্য ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল। ১৮ মাসের প্রতিযোগিতামূলক দরাদরির পর সম্পন্ন হয় চুক্তি। এই চুক্তিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইইসি) প্রকল্পের মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছিল (Rahul Gandhi)।

    নেতানিয়াহুর প্রশ্ন

    হাইফা বন্দর অধিগ্রহণের সভায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “হিন্ডেনবার্গের এই প্রতিবেদনটি আপনার ব্যবসার জন্য একটি বড় হুমকি, তাই না?” আদানি সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “একেবারেই না। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা (Mossad)।”
    তবে নেতানিয়াহুকে অপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি কোনও হুমকি না-ও দেখেন, আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। এটি আপনাকে দুর্বল করলে শুধু এই বন্দর চুক্তিই নয়, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আমরা গড়ে তুলেছি, তা নষ্ট হতে পারে।” হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলিকে ইজরায়েলের স্বার্থের বিরুদ্ধে পরোক্ষ আক্রমণ বলে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু আদানিকে আশ্বস্ত করেন, “ইজরায়েল তার বন্ধুদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটি খতিয়ে দেখব।” এর পরেই আদানির অজান্তেই নেতানিয়াহু মোসাদকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেন।

    অপারেশন জেপেলিন

    স্পুটনিকের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে চালু হয় অপারেশন জেপেলিন। এটি একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহমূলক উদ্যোগ, যা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ও তার পরবর্তী প্রভাব পরিকল্পনা বা সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মোসাদের দুটি এলিট ইউনিট – টজমেট এবং কেশেত তৎপরতা শুরু করে। তাদের মিশন ছিল প্রতিবেদনের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের শনাক্ত করা, যাকে কেবল একটি কর্পোরেট আক্রমণ নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত-ইসরায়েলি জোটের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ভূ-অর্থনৈতিক আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় (Mossad)।

    মোসাদের দাবি

    হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন ও তাঁর নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক অফিসকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। মোসাদের দাবি, এই ষড়যন্ত্রে অ্যাক্টিভিস্ট ল’ইয়ার, সিমপ্যাথেটিক মিডিয়া আউটলেট, হেজ ফান্ড এবং হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতারা জড়িত রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, এই ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন, ডিপ স্টেট এবং জর্জ সরোসের সঙ্গে যুক্ত।মোসাদের তদন্তের অভিমুখ শীঘ্রই ঘুরে যায় ভারতের বিশিষ্ট বিরোধী নেতাদের দিকে, যার মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী ও স্যাম পিত্রোদা। স্পুটনিকের দাবি, পিত্রোদার আমেরিকা-ভিত্তিক বাড়ির সার্ভার থেকে পাওয়া এনক্রিপ্টেড তথ্য থেকে গোপন যোগাযোগ ও ব্যাকচ্যানেল আলোচনার প্রমাণ মিলেছে, যা তাঁদের হিন্ডেনবার্গ ও এর গ্লোবাল সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত করছে।

    ‘বিটার ডাইনাস্ট’

    এই দাবি অনুযায়ী, মোসাদের অভ্যন্তরীণ নথিতে যাকে ‘বিটার ডাইনাস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই রাহুল গান্ধী আদানি গোষ্ঠী ও মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হিন্ডেনবার্গের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় সাধন করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাসে রাহুল ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অল্টোয় ছিলেন, যেখানে তিনি হিন্ডেনবার্গ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে, ব্লিৎসের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, নিউ ইয়র্কে নাথান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে রাহুলের গোপন বৈঠকও হয়েছে (Mossad)।

    যদিও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হিন্ডেনবার্গ, সোরোস বা কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। তাদের সাফ কথা, এই অভিযোগগুলি হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরাতে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যতই মহৎ হোক না কেন, কখনওই ন্যায্য হতে পারে না। মোসাদের ‘অপারেশন জেপেলিনে’ প্রকাশিত তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে রাহুল গান্ধীর বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ – যার মধ্যে রয়েছেন ডিপ স্টেটের (Rahul Gandhi) এজেন্টরা, জর্জ সরোস এবং অন্যান্য ভারত-বিরোধী নেটওয়ার্ক –রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Mossad)।

  • India Economy: বজ্রের গতিতে ছুটছে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা, বলছে আইএমএফ

    India Economy: বজ্রের গতিতে ছুটছে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রের গতিতে ছুটছে ভারতীয় অর্থনীতির (India Economy) চাকা। আগামী বছরগুলিতেও এই চাকা চলবে গড়গড়িয়ে। অন্তত এমনই বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ডের। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এটা থেকে যাবে ৬.৫ শতাংশে। আইএমএফ এটা আগেই স্থির করেছিল ৬.৩। আইএমএফের হিসেব বলছে গ্রোথ রেট ০.৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬.৭ শতাংশ। আইএমএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৫ এবং ২৬ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির গ্রোথ রেট হবে ৬.৫ শতাংশ। গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় গ্রোথ রেট বেড়েছে ০.২ শতাংশ।

    ভারতের অর্থনীতি

    ভারতের অর্থনীতি (India Economy) যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, নানা সমীক্ষায় তা প্রকাশ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারংবার বলেছেন, “বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের ঠাঁই হবে তিন নম্বরে।” বর্তমানে এই তালিকায় দেশ রয়েছে পাঁচ নম্বরে। এতদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ভারতের অর্থনীতির চাকা যে গড়গড়িয়ে চলবে, ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে তা জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

    ভারতের জিডিপি বাড়বে

    ওই মঞ্চে তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ অর্থবর্ষে আমরা আশা করছি, ভারতের জিডিপি বেড়ে হবে ৭ শতাংশ।” তিনি আরও (India Economy) জানিয়েছিলেন, মানিটারি নীতি তৈরি করছে তাঁদের রিসার্চ টিম। ফেব্রুয়ারিতে সেটি প্রকাশ করা হবে। তিনিও বলেছিলেন, “এর ভিত্তিতে আমি বলতে পারি ভারতীয় অর্থনীতির গ্রোথ খুব দ্রুতগতি সম্পন্ন।”

    আরও পড়ুুন: ‘আমাদের এলাকা এটা’ চিনা সেনাদের যোগ্য জবাব দিলেন লাদাখের মেষপালকরা

    কিছুদিন আগেই ভারতীয় অর্থনীতি যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা ধরা পড়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এক সমীক্ষায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও জানিয়ে দিয়েছিল, ভারতের অর্থনৈতিক ভিত্তি যথেষ্ট মজবুত।কোভিডের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। এই ধাক্কা অবশ্য লাগেনি ভারতীয় অর্থনীতির গায়ে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতিরই সুফল ফলতে শুরু করেছে। তার জন্যই মজবুত হয়েছে ভারতের অর্থনীতি (India Economy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

         

LinkedIn
Share