Tag: Indira Gandhi

Indira Gandhi

  • PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। আজ, বুধবার ওই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের একটি প্রধান উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের (Emergency) অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে শুধু সংবিধানের আত্মাকেই লঙ্ঘন করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।”

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটিতে লেখেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২তম সংশোধন তাদের (কংগ্রেসের) ষড়যন্ত্রের এক প্রধান নিদর্শন। দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাঁদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ – এই একুশ মাস দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই পর্বে দেশে এক দমনপীড়নের ঢেউ নেমে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষকে বিনা কারণে কারাবন্দি করা হয়। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ। এই ‘এমার্জেন্সি’র সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘনের, মৌলিক অধিকার স্থগিত করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করার এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের জেলে পাঠানোর জন্য কাঠগড়ায় তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয়েছিল — এমার্জেন্সি জারি করা হয়েছিল। দেশবাসী এই দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মূল্যবোধকে পদদলিত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এবং বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র ও সাধারণ নাগরিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। যেন সেই সময়ের কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকেই বন্দি করে ফেলেছিল!”

    প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অটল ছিলেন! এঁরা ছিলেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী —যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করা এবং সেই আদর্শগুলিকে সংরক্ষণ করা, যাঁদের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হয়েছিল, যাতে তারা বিপুল ভোটে হেরে যায় (Emergency)।”

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলোকে ফের একবার আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করছি। আমরা যেন উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি এবং গরিব ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।” প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে অভ্যন্তরীণ অশান্তির আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার নেপথ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচার বিভাগের কিছু পদক্ষেপ, যা শাসক দলের নেতৃত্বের বৈধতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে আদেশ অমান্য করতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা। পূর্ববর্তী দুটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল চিন (১৯৬২) ও পাকিস্তানের (১৯৭১) সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময় (PM Modi)।

    জরুরি অবস্থা

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ছ’বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেই দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনিও এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন (PM Modi)।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অতীতের সেই কালো অধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিতে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার সেই দিনটি স্মরণ করে নয়া ঘোষণা করল এনডিএ। জোটের তরফে এই মর্মে ঘোষণা করা হয়, এবার থেকে ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কী লিখলেন অমিত শাহ? (Constitution Murder Day)

    তিনি লিখেছেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা কারণে কারাগারে ঢোকানো হয় এবং সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ওই কালো দিন ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। বিশেষ এই দিনে সেই সব মানুষের অবদানকে স্মরণ করা হবে যারা ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কারণে অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যারা স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতন সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। সংবিধান হত্যা দিবস গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এবং প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করবে। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।”

    সংবিধান হত্যা দিবস

    ২৫ মে নয়াদিল্লিতে এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী পালনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় (Constitution Murder Day)। ২০২৪ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল যে, ২৫ জুন প্রতিবছর সংবিধান হত্যা দিবস (Emergency) হিসেবে স্মরণ করা হবে, যেটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশবাসীর মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত করা হয়েছিল এবং কঠোর সেন্সরশিপ জারি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক মতপার্থক্য দমন করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা। এদিকে, রবিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেন। এই বৈঠকের শেষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। একটি হল ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করা এবং অন্যটি হল জাতিভিত্তিক জনগণনার উদ্যোগকে সমর্থন করা।

    নাড্ডার বক্তব্য

    বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা বিভিন্ন নেতাদের দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ আমাদের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে (Emergency)। প্রথমটি ছিল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এতে আমাদের সেনাবাহিনীর কাজ এবং তাদের সাহসিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে (Constitution Murder Day)।” নাড্ডা বলেন, “আজ বৈঠকে জাতিভিত্তিক জনগণনা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। সবাই এতে সম্মতি দিয়েছেন এবং মোদিজির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, আমরা জাতিভিত্তিক রাজনীতি করি না। বরং যাঁরা বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত, তাঁদের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে চাই। এটি সমাজের জন্য একান্ত প্রয়োজন।”

    গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ

    এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এটি রাজ্য-স্তরে সুশাসনের কার্যকরী পদ্ধতি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। উপস্থিত নেতারা ছত্তিশগড় সরকারের উন্নয়ন মডেল এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলিও নিয়ে আলোচনা করেন। এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে (Emergency) ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের বস্তার অলিম্পিকস এবং বস্তার পাণ্ডুম নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রধানমন্ত্রী ও বৈঠকে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী মুখ্যমন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে (Constitution Murder Day)।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ১১ বার ভাষণ! মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দিল্লির লালকেল্লায় বক্তব্য রাখবেন। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ১১ বার স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) বক্তব্য রাখবেন। চলতি বছরের ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হয়। দেখা যায়, ফের ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ জোট। এরপরেই ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। তখনই তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ডকেও স্পর্শ করেন।

    নেহরু ও ইন্দিরার পরেই ১১ বার ভাষণ দেবেন মোদি (PM Modi) 

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু টানা তিনবার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জওহরলাল নেহরু ১৭ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবসে। অন্যদিকে, ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এবং তার পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি অবশ্য টানা তিনবার ক্ষমতায় ফেরেননি। ইন্দিরা গান্ধী ১৬ বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপরেই স্থান পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তিনি লালকেল্লা থেকে ১১ বার বক্তৃতা করবেন জাতির উদ্দেশে। অর্থাৎ নেহরু, ইন্দিরার পরেই তিনি হচ্ছেন এদিক থেকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ 

    লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পরেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, যিনি ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য দিয়েছেন। গতবারই মনমোহনের রেকর্ড স্পর্শ করেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে পরাস্ত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরের স্বাধীনতা দিবসে তিনি প্রথমবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তাঁর সেই লালকেল্লার ভাষণে তিনি স্বচ্ছ ভারত এবং জনধন অ্যাকাউন্টের মতো নতুন কর্মসূচিরও ঘোষণা করেন।

    স্বাধীনতা দিবসে গড়ে ৮২ মিনিট ভাষণ দেন মোদি (PM Modi)

    স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদি, অন্য যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর থেকে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন। তথ্য বলছে, এর আগে দশবার স্বাধীনতা দিবসে তিনি গড়ে ৮২ মিনিট করে বক্তৃতা করেছেন। নরেন্দ্র মোদির পরে স্থান রয়েছে আই কে গুজরালের। ১৯৯৭ সালে লালকেল্লায় (Independence Day) তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন ৭১ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গড় ৮২ মিনিট বক্তব্য দিলেও, ২০১৭ সালে তিনি ভাষণ দেন ৫৫ মিনিট। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রেখেছিলেন ৯৪ মিনিট। ১৯৪৭ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জহরলাল নেহরু বক্তব্য রেখেছিলেন ২৪ মিনিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

     Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার পুরো সময় ধরেই ছদ্মবেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এক দুই বছর আগের সময় নয়, প্রায় ৫০ বছর আগেকার ঘটনা। ২৫ জুন ১৯৭৭ সালে তৎকালীন ইন্দিরা সরকার সংবিধানকে বিসর্জন দিয়ে গোটা দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সারা দেশ কারগারে পরিণত হয়েছিল। মোদি, কংগ্রেসের সেই সময়ের অন্ধকার দিনের কথা তুলে ধরেছেন সংসদে। কীভাবে দেশে এই গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করেছিলেন, সেই বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম।”

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    সংসদে জরুরি অবস্থা সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “এই রকম দমন পীড়ন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সবরকম কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে ছাত্রযুব সমাজ গড়ে তুলেছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। ছাত্র সমাজের শক্তি সেই সময় দেখা গিয়েছিল। আমি সেই সময় আরএসএস-এর যুব প্রচারক হয়ে সামজিক কাজ করছিলাম। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অধীনে আমরা কাজ করছিলাম। যুব সমাজের আন্দোলন দেশ ব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কংগ্রেসের আগ্রাসী চোখ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ছদ্মবেশী রূপ নিয়ে নানান গোপন মিটিং করতাম। আমাদের অনেক সঙ্গীরা এই কাজে সমাজ জাগরণে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ লোকসভায় টানা দ্বিতীয়বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা, অভিনন্দন মোদির

    আর কী বলেন?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কংগ্রেসের এই জরুরি অবস্থকে অন্ধকার দিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের আরএসএস বরিষ্ঠ নেতা জগড়া, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য দেওয়া-নেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। এই সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সমাজের অন্তরালে থেকে কাজ করছিল। গুজরাটে তৈরি করা হয়েছিল লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই আমি আমি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সঙ্ঘের কার্যবাহ হয়ে গিয়েছিলাম। এই সময় নানান লেখালেখি করতাম। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লেখাগুলির মাধ্যমে যাতে চিহ্নিত না হয়ে যাই, সেই জন্য শিখ বা গৈরিক সন্ন্যাসীর বেশে আত্মগোপন করে কাজ করেছিলাম।”

    উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালে জরুরি অবস্থার উপর ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’ নামক একটি বই লেখেন মোদি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই যশভাই প্যাটেল এই বইয়ের প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় মোদির মাত্র বয়স ছিল ২৭ বছর।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন, জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি। এদিন সাত সকালেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে একই উপলক্ষে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” ক্ষমতায় টিকে থাকতে তিনি যে সংবিধানের স্পিরিটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলেন, তাও বলেন মোদির সেনাপতি।

    শাহি তোপ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Amit Shah) লিখেছেন, “কংগ্রেস বিভিন্ন সময় আমাদের সংবিধানের স্পিরিট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। একটি বিশেষ পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে তারা এটা করেছিল।” এর পরেই তিনি লেখেন, “ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস পার্টির যুবরাজ (রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ) ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর ঠাকুমা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এবং তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী ১৯৮৫ সালের ২৩ জুলাই লোকসভায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা (জরুরি অবস্থা) নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, জরুরি অবস্থা জারিতে কোনও ভুল নেই।”

    তোপ কংগ্রেসকেও

    পোস্টে শাহ লিখেছেন, “রাজীব গান্ধী এও বলেছিলেন, এই দেশের যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী মনে করেন জরুরি অবস্থা প্রয়োজনীয়, এই পরিস্থিতিতে এবং জরুরি অবস্থা জারির আবেদন না করেন, তাহলে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন।” তিনি বলেন, “স্বৈরতান্ত্রিক একটি কাজ নিয়ে এই যে গর্ব অনুভব করা এটা প্রমাণ করে একটি পরিবার এবং ক্ষমতা ছাড়া কংগ্রেসের কাছে আর প্রিয় কিছুই নয়।”

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    এদিনই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Emergency: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    Emergency: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই।” দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তিতে এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার।”

    ‘অভিশপ্ত’ সেই দিন

    ফেরা যাক, ১৯৭৫ সালের ‘অভিশপ্ত’ সেই দিনটিতে। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ইন্দিরা গান্ধী। রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ। ২৫ জুন জারি হয় জরুরি অবস্থা। এই অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস। এই সময় সংবিধান সংশোধন করে নিজেকে ডিক্রি দ্বারা শাসক করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধন হয়। অনেকে অবশ্য একে সংশোধনী না বলে ‘মিনি সংবিধান’ বলতেই পছন্দ করেন। এই সময় সংবিধান সংশোধন করতে গিয়ে বদল আনা হয় সংবিধানের প্রস্তাবনায়ও। ৪০ আর্টিকেল, ৭ শিডিউলের পাশাপাশি ১৪টি নতুন আর্টিকেলও যোগ করা হয়। সংবিধানে দুটি নতুন অংশও যোগ করা হয়।

    মৌলিক অধিকারে আঘাত

    সংবিধান সংশোধন করতে (Emergency) গিয়ে ইন্দিরা প্রথমেই আঘাত হেনেছিলেন দেশবাসীর মৌলিক অধিকারে। আক্রমণ করেছিলেন বিচারব্যবস্থাকেও। মূল আঘাত নেমে এসেছিল সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার এবং কনস্টিটিউশনাল রেমেডির অধিকারের ওপর। ডানা ছেঁটে দিয়েছিলেন জুডিশিয়াল রিভিউয়ের। ক্ষমতা খর্ব করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এবং রিটের এক্তিয়ার হ্রাস করা হয়েছিল।   

    ক্ষমতার লোভ

    ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে আরও একটি কাজ করেছিলেন ইন্দিরা। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে রাশিয়ার ধাঁচে ছ’বছর করে ফেলেছিলেন। সংসদের কোরাম ব্যবস্থাও তুলে দিয়েছিলেন। কমিয়ে দিয়েছিলেন লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলির আসন সংখ্যা। জরুরি অবস্থায় সময় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে প্রাণপণ করেছিলেন ইন্দিরা। যাঁরাই জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে – তা তিনি কংগ্রেসই হোন কিংবা বিরোধী। এই সময়ই গ্রেফতার করা হয়েছিল মোরারজি দেশাই, জেপি নারায়ণ, চৌধুরী চরণ সিং, অটল বিহারী বাজপেয়ী, এলকে আডবাণী, আচার্য কৃপালনী-সহ বিরোধী নেতাদের। খর্ব করা হয়েছিল নাগরিক স্বাধীনতা।

    সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিধি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন কর্মী ও সাংবাদিককেও। কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল সংবাদপত্রের। গুরুত্বপূর্ণ কোনও খবর প্রকাশ করতে হলে তা পাশ করাতে হতে হত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। এই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরখাস্ত করা হয়েছিল অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকারগুলিকে। পুলিশ বিনা বিচারে গ্রেফতার করেছিল বহু নিরীহ নাগরিককে। জরুরি অবস্থার (Emergency) সময় দেশে সংসদকেই চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়। জুডিশিয়াল কোনও রিভিউ ছাড়াই সংবিধান সংশোধনের অধিকারও দেওয়া হয় সংসদকে। ইন্দিরার এই সংশোধনীর ফলে জরুরি অবস্থার সময় দুর্বল হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবস্থা।

    সংবিধানের প্রস্তাবনায় বদল

    সংবিধানের (Emergency) প্রস্তাবনায় তিনটি নতুন শব্দ ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ যোগ করা হয়। ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ শব্দগুলি। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলা হলেও, কী ধরনের সমাজতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে, তার কোনও দিক নির্দেশ ছিল না। ‘জাতির ঐক্য’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছিল ‘জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতা’ শব্দবন্ধ। নাগরিকদের জন্য ১০টি মৌলিক কর্তব্য যোগ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে যখন সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, তখন তাতে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

    এই সংশোধনীতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল এবং অন্যান্য বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল যোগ করা হয়। নির্দেশমূলক নীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত আইনগুলি কিছু মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের কারণে আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না বলেও বলা হয়। লোকসভার স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ বিবেচনার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল। সংসদ আইনটি মন্ত্রিসভার পরামর্শের মধ্যেই বেঁধে দেয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে। সংঘাতপূর্ণ কিংবা দাঙ্গা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের অনুমতিও দেয় সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনী।

    আর পড়ুন: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    বিরোধীদের মতে, সংবিধান সংশোধনের নামে ইন্দিরা আদতে ধ্বংস করেছিলেন ভারতের সংবিধানকে। ছুরিকাঘাত করেছিলেন আম্বেডকরের ভাষায়। প্রয়াত হয়েছেন ইন্দিরা। অতীত হয়েছে তাঁর জমানা। তবে রয়ে গিয়েছে সংবিধানের গায়ে তাঁর লাগানো ‘কালো দাগ’। এই সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেই তৃপ্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অঙ্গীকার, “আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধান রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সঙ্কল্প নেবে যে ভবিষ্যতে আর কেউ এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না (Emergency)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য কংগ্রেস দ্বারা জারি করা জাতীয় জরুরি (Emergency) অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলনকারীদের এই দিনটিকে স্মরণ করে গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন বলেছে। বিজেপি আরও বলেছে, “ভারতীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতির অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল এই দিনটি। জরুরি অবস্থা বিরোধী সকল সত্যাগ্রহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অভিবাদন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কুর্নিস জানাই।” সংসদে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরেন। দেশের তৎকালীন নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছিলেন। মোদি বলেছেন, “আগামীকাল সেই কালাদিন। তরুণ প্রজন্ম কখনই ভুলবে না যে কীভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে গোটা দেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানকে কীভাবে পরিত্যাগ করা হয়েছিল তা দেখে ছিলেন মানুষ। ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ প্রতিশ্রুতি দেবে যে এই দিনটি আর কখনই দেখবে না। সংসদের অধিবেশনে কাজে ব্যাঘাত এবং বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। কাজের বিষয়ে আলোচনা ও প্রচেষ্টার বিষয়বস্তুকেই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। আমি আশা করছি বিরোধী দল জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    কেন জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা?

    তৎকালীন সরকার ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ঘটছে বলে কারণে দেখিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। এই জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছিল ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। আবার এই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যহার করা এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিসীমাকে সীমিত করা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও মানুষের মানবাধিকারকে কেড়ে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “বিজেপি কখনওই সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি কখনওই ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলাবে না। পরিবর্তন করবে না সংরক্ষণনীতিও।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। ১৯৭৬ সালে কংগ্রেস সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলে দিয়েছিল বলেও দাবি তাঁর।

    রাজনাথের নিশানায় ইন্দিরা (Rajnath Singh)

    তিনি বলেন, “অথচ ওরাই (কংগ্রেস) অযথা বিজেপিকে টার্গেট করছে। একে নির্বাচনী ইস্যু করছে।” রাজনাথ বলেন, “১৯৭৬ সালে প্রথমবার ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজটি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।” তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের গণপরিষদ তখন এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য হয়েছিল যে সংবিধানে প্রয়োজনে সংশোধন করা যেতে পারে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল এসব একাধিকবার করেছে। কিন্তু সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলের প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু তারা এটা করেছিল। এবং এখন আমাদের দোষারোপ করছে। বিজেপি এটা মনেই ঠাঁই দেয়নি।”

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নয়

    বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে সংবিধান ছিঁড়ে ফেলে ছুড়ে ফেলে দেবে বলে নানা সময় নির্বাচনী প্রচারে দাবি করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা আবার একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বিজেপি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দিয়ে দেবে। কাস্ট ভিত্তিক সংরক্ষণ বন্ধে বিজেপির যে কোনও পরিকল্পনা নেই, তাও জানান রাজনাথ। পাশাপাশি এও জানিয়ে দেন, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নৈব নৈব চ। তিনি বলেন, “কেন আমরা সংরক্ষণ তুলে দেব? ওবিসি, এসটিদের জন্য সংরক্ষণ এ দেশে প্রয়োজন। ওরা (বিরোধীরা) ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে চায়। কিন্তু আমরা সাফ জানিয়ে দিচ্ছি, যেহেতু আমাদের সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ অনুমোদন করে না, তাই কোনও পরিস্থিতিতেই আমরা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হতে দেব না।”

    আর পড়ুন: “৪০০ পার নিছক স্লোগান নয়…”, সাক্ষাৎকারে বললেন রাজনাথ

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হচ্ছে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। ২৫ মে হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন। এবার ৪০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি, দাবি পদ্ম-পার্টির। তবে নির্বাচনের ফল ঠিক কী হবে, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share