Tag: Indus Water Treaty

Indus Water Treaty

  • India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি পাকিস্তানে ‘ওয়াটার স্ট্রাইক’ (India-Pakistan War)। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে। ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মিশাইল হানায় লন্ডভন্ড পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এবার ভসে যেতে পারে চন্দ্রভাগার তীরবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা।

    বন্যার আশঙ্কা শিয়ালকোটে

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ। এবার খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে কয়েকদিন ধরে । পাশাপাশি রামবানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামবানে সালাল বাঁধের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল এই লকগেট। সেই লকগেটগুলো খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকগুন বেড়ে যায় চন্দ্রভাগার জল। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। এই আশঙ্কায় সেখানকার শয়ে শয়ে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

    চন্দ্রভাগা নদীতে বেড়েছে জলস্রোত

    দুই দিন আগে, চেনাব বা চন্দ্রভাগার বাগলিহার বাঁধ আটকে জলের মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারত। কয়েক ঘণ্টা জল আটকে দেওয়ায় শুকিয়ে মরার আতঙ্কে হাহাকার করে উঠেছিল পাকিস্তান। সেদেশের কৃষি-শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে এই চেনাবের জলের উপর। এবার সেই চেনাবেরই চার চারটি লক গেট খুলে দিল ভারত। এর জেরে এবার বন্যায় ভাসতে পারে পাকিস্তান। জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বাগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে চন্দ্রভাগা নদীতে একলাফে বেড়েছে জলস্রোত। ভারত জল ছাড়ায় এবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে হু হু করে। এমন চলতে থাকলে পাকিস্তানের ওই অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতেও পারে।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার জেরে ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ (Bangladesh)। ভারতের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভীত বাংলাদেশ সরকারও।

    বিপজ্জনক খেলা (Indus Water Treaty)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআইকে মুক্ত হস্তে কাজ করতে দেওয়া এবং ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ও সুন্দরবনের মংলা বন্দরের কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চিনকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো থেকে ঢাকাকে সরে আসতে হবে। নাহলে দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কিংবা আরও কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার চেয়েও ঢের বেশি কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে পারে। ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে বাংলাদেশ সহ নিম্নাঞ্চলের দেশগুলিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই চুক্তি তিনটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (কার্গিল সহ) এবং ২০০৮-এর মুম্বই হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছিল। তাই এই উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত যখন আগামী বছর ৩০ বছরের পুরানো গঙ্গা জল চুক্তি নবীকরণের কথা রয়েছে।

    ভারতের শতাধিক নদী বাংলাদেশে গিয়েছে

    গঙ্গার বাইরে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র-সহ বারাক, ফেনির মতো শতাধিক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৯ সালে ভারত ফেনি নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। যদিও তাতে উদ্বেগ কমেনি। ভারত ঢাকার সঙ্গে সঠিক সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, বন্যা সতর্কতা আদানপ্রদান করে। এই তথ্য প্রবাহে সামান্য বিঘ্নও বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে (Indus Water Treaty)। দিল্লি জল বা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। কারণ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ প্রধান নদীর উৎপত্তিই হয়েছে তিব্বতে। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই বেজিং থেকে তথ্যপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ এই নদীগুলির প্রধান জলাধার রয়েছে ভারতেই। তাছাড়া, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত সতর্কও রয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে, দিল্লি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল জলাধার সহ একাধিক বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। এগুলি উজানের প্রবাহে অপ্রত্যাশিত ওঠানামা মোকাবিলায় সাহায্য করবে (Bangladesh)।

    ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে

    আসল কথা হল, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সহযোগীর ওপরও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে পারে, তবে কোনও সম্পর্ক বা চুক্তিই যাচাই-বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নয়। ভারত কঠোর শক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলে কারণ সে তার উন্নয়নের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। ১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম (Indus Water Treaty)। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে ইউনূসের দেশকে। শেখ হাসিনা এটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। এর সুবিধা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিমস্টেক উপঅঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছিল। ২০১৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের অকার্যকর প্রক্রিয়া এড়িয়ে অগ্রগতির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

    সার্কের ব্যর্থতা

    দুর্ভাগ্যবশত, মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই ধারাকে উল্টে দেন। তিনি কখনও বিবিআইএন (BBIN)-এর উল্লেখ করেননি। বরং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে মজবুত করার দিকে ঝুঁকেছেন। মাত্র আট মাসের মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছায় – এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্য পরিবহণের শক্তি যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করে দেয় (Bangladesh)। সার্কের ব্যর্থতা ও এর পিছনের কারণগুলি সকলেই জানেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের লাভকে উপেক্ষাই করা যায়। তবুও ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে রাজনীতিকীকরণের লক্ষ্যেই কেবল সার্ককে সমর্থন করছেন (Indus Water Treaty)। এটি একটি দশক প্রাচীন পরিকল্পনা, যা বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, যেখানে ভারত বৈশ্বিক মহাশক্তির অবস্থান জোগাড় করতে তৎপর। বুধবার, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সকল পাক নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমও বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ

    ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে। সম্প্রতি তিনি দিল্লিকে স্টেকহোল্ডার না করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বাজার দখলের লক্ষ্যে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলাধুলা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। একসময় উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্রের মামলা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। ইউনূস প্রশাসন সেই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই মুক্তি দিয়েছে (Bangladesh)। মারণাত্মক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের প্রধান এখন মুক্ত। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরিরের পোস্টার বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আল-কায়েদার পতাকা চোখে পড়ে ঢাকার যত্রতত্র। এগুলো কি ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনার অংশ?

    ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর। কাশ্মীর হামলা এই দৃঢ়সংকল্পকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ এটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করছে (Indus Water Treaty)। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আলোচনার ধারা নিয়ন্ত্রণে আনতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছে। প্রচলিত মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের রুটিন কাজের অংশ হলেও, আসল দক্ষতা দেখিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে। সরকারের প্রায় সবাই ফেসবুকে নিজেদের দফতরের দায়িত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে জটিল ও বিস্তারিত মতামত শেয়ার করছে। যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জবাবদিহিতা ছাড়াই এই পরিকল্পনাটি সযত্নে পরিকল্পিত করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এগুলোর মুখোমুখি হলে তারা পোস্ট মুছে দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকবে। তবে স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই আলোচনা চলতে থাকে। একজন শীর্ষ মন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। কাশ্মীর হামলার পরেও তারা একই কাজ করেছিল।

    কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সাধারণত জুলাই মাসের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনূস মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২৩ এপ্রিল তিনি মোদি সরকারকে কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বর্ণনা করে কলকাতাভিত্তিক এক কংগ্রেস সমর্থকের একটি পোস্ট শেয়ার করেন (Indus Water Treaty)। পোস্টটির ভূমিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি। তবে কে এর পেছনে আছে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।” নজরুলের এই বক্তব্য দ্রুত ডিজিটাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক ইনকিলাবের মতো পাক-সমর্থিত ইসলামিস্ট মিডিয়া একে লিড নিউজ করে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে দেন (Bangladesh)। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নিম্ন অববাহিকার দেশ। ফলে ভারতের ছোটখাট কোনও সিদ্ধান্তেরও চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বাংলাদেশকে (Indus Water Treaty)।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পর এবার কাশ্মীরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধ হবে না। নদীগুলির অবস্থান ভারতে হওয়ার কারণে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য এদেশের ওপরেই নির্ভর করতে হত পাকিস্তানকে। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। পাকিস্তান বর্তমানে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি রয়েছে যেমন সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোন বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়াতে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছু বন্ধ হল। এতে বেশ বিপাকে পড়বে পাকিস্তান (Indus Water Treaty)। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    জলশক্তি মন্ত্রকের উচ্চ আধিকারিক দিলেন ব্যাখ্যা

    এ নিয়েই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Indus Water Treaty) একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে বন্ধ হল তথ্য আদান প্রদান। দৈনিক তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জলের নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিতই থাকছে। যেহেতু এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত, তাই এদেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পাকিস্তানকে চলতে হত এবং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তির অধীনে ভারত রবি, বিপাশা এবং শতদ্রু- এই তিন নদীর সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলি থেকে জল গ্রহণ করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির মধ্যে আছে চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলাম। সিন্ধু প্রণালীর প্রধান নদী- সিন্ধু এবং পাঁচটি উপনদী: রবি, বিপাশা, শতদ্রু, ঝিলাম এবং চেনাব। এই পাঁচটি উপনদীই বাঁদিক দিয়ে ভারত হয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে এই প্রণালীর ডান তীরের উপনদীগুলি ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না। রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুকে একত্রে পূর্ব নদী বলা হয় এবং চেনাব, ঝিলাম এবং সিন্ধুকে পশ্চিম নদী বলা হয়।

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ায় গতি পাবে এদেশে জল বিদ্যুতের কাজ

    পাকিস্তানের সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে তাদের আশি শতাংশ জল সরবরাহ হয় সিন্ধু ব্যবস্থার মাধ্যমে। জানা যায়, সিন্ধু প্রণালীর এই জল তাদের ৯৩ শতাংশ কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরে ভারতবর্ষের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি আরও গতি পেতে পারে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নালিশ করে। সেই রায়ের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আর সেইরকম বাধা কোনও রইল না।’’

    কোন কোন প্রকল্পের কাজে গতি?

    পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত হওয়ার ফলে কিষাণগঙ্গা এবং রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধ নির্মাণ দ্রুত গতিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( ৩৩০ মেগাওয়াট) নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতি মঞ্চেও গিয়েছে। অন্যদিকে, রবি নদীর ওপর শাহপুরকান্দি বাঁধের কাজও এরফলে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা যাচ্ছে, চেনাব অববাহিকায় কিরু (৬২৪ মেগাওয়াট), কোয়ার (৫৪০ মেগাওয়াট), কীরথাই I এবং II (১৩২০ মেগাওয়াট) এবং সাওয়ালকোট (১,৮৫৬ মেগাওয়াট) প্রকল্পগুলিও দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা করে ভারত আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। কারণ, এর আগে ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের যুদ্ধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তবে কখনও এই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। এবারে মোদি সরকার সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করে দিল।

    সিন্ধুর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে ভারত?

    অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত বর্তমানে সিন্ধুর উপর একটি বাঁধ নির্মাণের (Indus Water Treaty) কথাও বিবেচনা করতে পারে। ঠিক ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চিন যেমন বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি এবং কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও যাবে। পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরদার আওয়াইস ভারতের পদক্ষেপকে জল‌ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনার মতে, পাকিস্তান প্রায় ভারতের উন্নয়নকে থামানোর জন্য এই চুক্তিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

    প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার কী জানাচ্ছেন?

    ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘উঁচু অববাহিকার দেশ হিসাবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে এটি চুক্তি বাতিলের প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। যদিও চুক্তিটি বাতিল করার জন্য কোনও সুস্পষ্ট বিধান নেই, তবে চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৬২-তে পর্যাপ্ত পরিসর দেওয়া আছে। যা বলে, পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।’’

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চাই, পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ ভারতের

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চাই, পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ পাঠালো নয়াদিল্লি। গত ৩০ অগাস্ট নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে কেন্দ্র। ৬৪ বছর আগের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বর্তমানে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে, বলে মনে করে নয়াদিল্লি।

    চুক্তিতে পরিবর্তন অবধারিত

    দীর্ঘ ৯ বছর আলাপ-আলোচনার পর ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তিতে (Indus Water Treaty) সই করে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। এর ফলে বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্তস্থিত নদীর জল ব্যবহারে দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা এবং তথ্য বিনিময়ের একটি প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই চুক্তিতে বেশকিছু পরিবর্তন অবধারিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে মোদি সরকার। নোটিশে জনসংখ্যার পরিবর্তন, পরিবেশগত সমস্যা সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছে ভারত। তবে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে পাক সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। 

    সমস্যা আসলে কী

    ৯ বছরের আলোচনার পরে ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) সই করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী— পূর্ববাহিনী নদীগুলো অর্থাৎ, শতদ্রু, বিপাশা এবং ইরাবতীর জল যত খুশি ব্যবহার করতে পারবে ভারত। উল্টো দিকে, পশ্চিমবাহিনী সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগা নদীর বেশিরভাগ জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমবাহিনী এই নদীগুলোতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধুর যতটা জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে ভারতের, তার ৯০ শতাংশের একটু বেশি এখন ব্যবহার করে ভারত।

    জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান

    সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ। তবে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী জল ব্যবহার করলেও তা আটকাতে পারবে না পাকিস্তান। অথচ কিষেণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়া ইস্যুতে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে পাকিস্তান। ভারতের দাবি, সেই কারণেই তারা যখন নিজেদের নির্ধারিত কোটার জল ব্যবহার করতে যায় বা বাঁধ বানাতে চায়, তখন পাকিস্তান নানা রকম আপত্তি তুলতে থাকে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতেরও দ্বারস্থ হয় তারা। ভারতের অভিযোগ, এই একতরফা পদক্ষেপ আদতে সিন্ধু জলচুক্তির নবম ধারার লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে প্রথম দফা নির্বাচন নির্বিঘ্নেই, ভোট পড়ল ৫৮ শতাংশ

    বিরোধ নিষ্পত্তি জরুরি

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, কিষাণগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের মধ্যেই এই নোটিশটি পাঠিয়েছে দিল্লি। সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) অধীনে বিবাদ নিষ্পত্তি জন্য ভারত সহযোগিতা করছে না বলে এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। যার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাঙ্ক সম্ভাব্য বিকল্পের কথা বলে। দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদীর সিংহভাগ জল ব্যবহার করে পাকিস্তান। পাশাপাশি ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়েও ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ-বিশেষজ্ঞ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান নানা আছিলায় তা এড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে সিন্ধু জলচুক্তি সংশোধনের দাবিতে পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ পাঠাল ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    India Pakistan Relation: ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন হল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র (India Pakistan Relation)। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী।

    ১৯ বছরের তরুণী আয়েশা  

    জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সী আয়েশা রেশান (India Pakistan Relation)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সী এক ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া রোগীর হার্ট বসানো হয়। ঐ রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    কী জানালেন আয়েশা? 

    আয়েশা জানিয়েছেন, এখন ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন তিনি। তাঁর নিঃশ্বাস নিতেও কোনও ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন (India Pakistan Relation) তিনি। ভবিষ্যৎ জীবনে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। ২০১৯ সালে আয়েশা প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় একবার হার্টঅ্যাটাক হয়েছিল তাঁর।

    ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়েশার মা

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের (India Pakistan Relation) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তাঁরা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।”

    কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আয়েশা 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সার্জেন এস বালাকৃষ্ণণ ২০২৩ সাল থেকে ওই তরুণীর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তিনি ওই তরুণীর মাকে জানিয়েছিলেন হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। যদিও বিদেশি রোগীর হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট-এর ক্ষেত্রে ভারতীয় রোগী তালিকাভুক্ত না থাকলে তবেই অঙ্গদানের বিধান রয়েছে। যেহেতু দাতা ৬৯ বছর বয়সী ছিলেন তাই এত বয়স্ক মানুষের হৃদযন্ত্র সেই সময় অপেক্ষারত তালিকাভুক্ত কোনও ভারতীয় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করার ঝুঁকি কোনও চিকিৎসক নেন নি। ফলে সহজেই ওই পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বয়স বেশি হলেও দাতার হৃদযন্ত্র বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। এখন পাকিস্তানি (India Pakistan Relation) তরুণীর দেহে রয়েছে ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র।

    চিকিৎসার খরচ বহন কারা করল?

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। ট্রান্সপ্লান্টের কয়েকদিন পরেই আয়েশাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করার আগ্রহ দেখিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। বৃহস্পতিবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।এদিন ভারতের তরফে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কিষানগঙ্গা ও রাতলে হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমাদের মনে হয় না দেশের হয়ে কোনও চুক্তিকে ব্যাখ্যা করার অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ওটা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।

    নয়াদিল্লি…

    নয়াদিল্লির তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বব্যাঙ্ক কোর্ট অফ অর্বিট্রেশনে যাওয়ায় ভারত অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ। অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) কমিশনার ২৫ জানুয়ারি নোটিশ জারি করেছে। এই নোটিশে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফে ভারতের দেওয়া নোটিশের এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে কী বলা হয়েছে বা এই চুক্তি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়েও অবগত নন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের ওপর পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও, আটকাতে পারবে না। ২০১৫ সালে ভারতের কিষেনগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের জল কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সিন্ধু জল চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করবে ভারত। ভারতের এই আশ্বাস কানে তোলেনি পাকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল ভারত (India)। ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরের সিন্ধু জল চুক্তি সংশোধনের জন্য ইসলামাবাদকে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারত সরকার। সরকার সাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের একাধিক ভুল পদক্ষেপের ফলেই সিন্ধু জল চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। চুক্তি সংশোধনের জন্য নোটিশ জারি করতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, সিন্ধু জল চুক্তি হওয়ার পর জল বণ্টনে বরাবরই নরম মনোভাব দেখিয়ে এসেছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায়…

    স্বাধীনতার পর থেকেই এই সিন্ধু নদের জল ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। টানা ছ বছর ধরে আলাপ আলোচনার পর ১৯৬০ সালে ভারত পাকিস্তান (Pakistan) দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জল চুক্তি। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে গিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। পাকিস্তানের তরফে ওই চুক্তিতে সই করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান।

    একাধিক নদীর জলবণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও তথ্য আদানপ্রদানের জন্য স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। ২০১৫ সালে একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগের অনুরোধ জানায় পাকিস্তান। এই কমিটি ভারতের কিষেন গঙ্গা ও ব্যাটল হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্টসের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আপত্তিকর দিকগুলি পরীক্ষা করে দেখবে। ২০১৬ সালে পাকিস্তান একতরফাভাবে এই অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন এই আপত্তিকর (Indus Water Treaty) জায়গাগুলি বিচার করে দেখুক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভারতও একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি! ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনা করে একটি সর্বসম্মত পথ বেছে নিতে বলে। তার পর থেকে লাগাতার চেষ্টা করেও ভারত এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে রাজি করাতে পারেনি। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পার্মানেন্ট ইন্ডাস কমিশনের পাঁচটি বৈঠক হয়েছে। সেগুলিতে এনিয়ে কোনও আলোচনাই করতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। তাই সিন্ধু জল চুক্তির শর্তগুলি লঙ্খনের ফলে পাকিস্তানকে নোটিশ দেয় ভারত। সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের মাধ্যমে ২৫ জানুয়ারি এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নোটিশের উদ্দেশ্য হল, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) লঙ্ঘন সংশোধন করার জন্য পাকিস্তানকে ৯০ দিনের মধ্যে আন্তঃসরকারি আলোচনায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share